এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

আপনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলে, এলোপ্যাথি চিকিৎসার এদিক গুলো আপনার জানা দরকার।

 আপনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলে, এলোপ্যাথি চিকিৎসার এদিক গুলো আপনার জানা দরকার।

এতে করে আপনি রোগীকে এবং সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হবেন, কেন এলোপ্যাথি চিকিৎসার চাইতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিরাপদ। 


এলোপ্যাথি চিকিৎসার ভয়ংকর দিকগুলি:

১. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects)

প্রায় সব এলোপ্যাথিক ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যেমন:

অ্যান্টিবায়োটিকস লিভার ও কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে।


পেইন কিলার (NSAIDs) গ্যাস্ট্রিক আলসার, কিডনি সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


স্টেরয়েডস ব্যবহারে হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, হাড় ক্ষয়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।


২. রেসিস্ট্যান্স (Drug Resistance)

অতিরিক্ত বা অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়, ফলে পরবর্তীতে কার্যকর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।


উদাহরণ: MRSA (Methicillin-Resistant Staphylococcus Aureus)—একটি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া।


৩. ইমিউন সিস্টেমে প্রভাব (Impact on Immunity)


কিছু ওষুধ যেমন কেমোথেরাপি বা ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ড্রাগস রোগীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করে ফেলে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।


৪. লং-টার্ম ডিপেন্ডেন্সি (Long-term Dependency)

অনেক এলোপ্যাথিক ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করলে রোগী নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।


যেমন: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস, স্লিপিং পিলস, ইত্যাদি।


৫. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি (Organ Toxicity)

দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ ব্যবহারে লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


উদাহরণ: Paracetamol-এর অতিরিক্ত ডোজ লিভার ফেইলিওর ঘটাতে পারে।


৬. হিউম্যান মাইক্রোবায়োমে প্রভাব (Effect on Gut Microbiome)


অনেক ওষুধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলে, যা পাচন ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


শুধু একজন চিকিৎসকের নয় বরং সাধারণ মানুষেরও খারাপ দিক গুলোর কথা জানা দরকার।

একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এ বিষয়গুলো জানতেই হবে: 

 একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এ বিষয়গুলো জানতেই হবে: 


১। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"হোমিওপ্যাথিক ওষুধে তো কার্যকর কোনো রাসায়নিক উপাদান থাকে না! এত পাতলা করে দেওয়া হয় যে কিছুই থাকে না। কিভাবে তা কাজ করে?"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

আপনি ঠিকই বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অনেক উচ্চমাত্রায় ডাইলিউট করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে—এই ওষুধে ন্যানোপর্যায়ে মূল পদার্থের কণিকা (nanoparticles) থেকে যায় যা কোষে গিয়ে কাজ করে।

২০১০ সালে IIT Bombay-এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এসব কণিকা সক্রিয় থাকে এবং জৈবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কাজেই, এটি কেবল জল নয়, বরং তথ্যবাহক (information carrier) হিসেবে কাজ করে।


২। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"হোমিওপ্যাথি আসলে প্লাসেবো—মনস্তাত্ত্বিক ভরসা ছাড়া আর কিছু নয়।"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

এই বক্তব্য  সঠিক নয়। যদি প্লাসেবো হতো, তাহলে শিশুরা, পশুপাখি কিংবা অচেতন রোগীদের ক্ষেত্রে ফলাফল কীভাবে আসে?

Arnica, Belladonna, Aconite ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহারে এমন রোগীদের মধ্যে দ্রুত আরোগ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো মানসিক প্রত্যাশা ছিল না।

এছাড়া বহু ডাবল-ব্লাইন্ড ট্রায়াল এবং মেটা-অ্যানালাইসিসেও হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।


৩। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"তবে তো গবেষণা কম। প্রমাণ তো বেশি নেই।"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার হোমিওপ্যাথিক গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, Swiss Health Technology Assessment (2011) রিপোর্টে হোমিওপ্যাথিকে নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যয়সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল, ইউকে সহ বহু দেশে সরকারিভাবে হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।


৪। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :

"হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে—তীব্র বা জটিল রোগে তো সময় নেই!"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

এটি একটি ভুল ধারণা। হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে ক্রনিক বা পুরনো রোগে, কারণ রোগ অনেক গভীরে যায়। আর এসব রোগ হোমিওপ্যাথিতে নির্মূল হয় কিন্তু এ্যালোপ্যাথিতে আরোগ্য হয়না শুধু উপশম হয় মাত্র। তাহলে কাজ দ্রুত কোন চিকিৎসা করলো? নিশ্চিয় হোমিওপ্যাথি।  তাছাড়া একিউট রোগে (যেমন জ্বর, সর্দি, ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, খাদ্যে বিষক্রিয়া) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দ্রুত ফল দেয়।

যেমন: Colocynthis দিয়ে পেট ব্যথা ১০ মিনিটের মধ্যে উপশম হতে দেখা গেছে। Pantago দিয়ে কানের ব্যাথা ২মিনিটে আরোগ্য হতে দেখা গেছে। 


৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :

"তুমি বললে, এক রোগে একাধিক ব্যক্তির ভিন্ন-ভিন্ন ওষুধ হতে পারে। এতে তো চিকিৎসা পদ্ধতির নিশ্চয়তা নেই!"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

বরং এখানেই হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক সৌন্দর্য। এটি Individualization-এর উপর ভিত্তি করে, যেটা আধুনিক Personalized Medicine-এর ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

উদাহরণস্বরূপ, তিনজন ডিপ্রেশনের রোগীকে তিনটি ভিন্ন ওষুধ (যেমন: Ignatia, Natrum Mur, Aurum Met) দেওয়া হতে পারে, কারণ তাদের মানসিক অবস্থা ও অভিজ্ঞতা আলাদা।


৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"তবে হোমিওপ্যাথির নিজস্ব প্রতিরোধমূলক শক্তি তৈরির কোনো প্রমাণ আছে?"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

অবশ্যই। হোমিওপ্যাথিতে Nosodes নামক ওষুধ থাকে, যেগুলো রোগের জীবাণু থেকেই তৈরি—যেমন Tuberculinum, Psorinum, Influenzinum।

এটি অনেকটা ভ্যাকসিনের মতোই: জীবাণুকে ক্ষীণমাত্রায় প্রয়োগ করে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করা হয়।

তফাৎ শুধু এতটুকু, হোমিওপ্যাথিতে এটা করা হয় potentization পদ্ধতিতে, ইনজেকশন বা কৃত্রিম রাসায়নিক নয়।


মোটকথা: 

 হোমিওপ্যাথি আধুনিক বিজ্ঞানের আলোয় তার যথাযথ যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে এবং বিজ্ঞান যত উন্নত হবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাই, প্রকৃত চিকিৎসা তার প্রমাণিত হবে। সত্যের পিছনে সর্বযুগে পুঁজিবাদীরা ষড়যন্ত্র করছে করবেই, তবে সত্য বিজয়ী হবেই হবে ইনশাআল্লাহ! ✌️💪


আপনাদেরকে কেউ কি এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক যুক্তি দেয়, তাহলে  কমেন্ট করে জানান @সেরা ফ্যান।

হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির জনকের ২৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা

 হ্যানিম্যান

হোমিওপ্যাথির জনকের ২৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা



সে সময় ছিল একা, ছিলো না আলো,

চিকিৎসার নামে চলতো কেবল দেহে বিষের ঢল।

চিকিৎসক হয়েও হৃদয়টা তার কাঁদতো,

রোগী বাঁচে না কেন?—প্রশ্নে প্রাণটা দগ্ধ হতো।


হ্যানিম্যান! এক নাম, এক বিপ্লবের ধ্বনি,

যে শুনলো প্রকৃতির ভাষা, নিঃশব্দ ও ধ্বনি।

“সমরূপে সমারোগ”—তোমার সেই তত্ত্ব,

বদলে দিলো চিকিৎসা, জাগালো নতুন রক্ত।


তুমি লিখলে Organon, এক-একটি বাক্যে আস্থা,

প্রতিটি শব্দ যেন মানবতার প্রতি এক ভালোবাসা।

তুমি বললে, “রোগী নয়, রোগের কারণ ধরো,”

চিকিৎসা নয়, করো আরোগ্য—এই হৃদয় দিয়ে চলো।


তোমার পথে ছিলো কাঁটা, বিদ্রূপ আর তুচ্ছতা,

তবু তুমি দমে যাওনি—নেতৃত্বে ছিলো নিষ্ঠা।

ছোট ছোট ডোজ, অথচ তার প্রগাঢ় প্রভাব,

বিজ্ঞানীরা চমকে যায়, তবু হৃদয়ে তার স্নেহস্নান।


আজও ঘরে ঘরে বাজে তোমার পদধ্বনি,

হোমিওপ্যাথির প্রতিটি বর্ণে লেখা তোমার ঋণ।

তুমি নেই, তবু আছো, প্রতিটি বোতলে প্রাণ,

যেখানে রোগ নয়, রোগীকে দেখা হয়—সেই খানেই হ্যানিম্যান।


ডা:মো:জাকির হোসেন

বি এইচ এম এস ( ঢাবি)


বইয়ের রিভিও

 প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কথা। প্রাচীন গ্রিসে তখন প্রধানত দুই ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল। এর মধ্যে একটি হলো অলিগার্কি, আর অন্যটি হলো ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র। অলিগার্কি মানে অল্প কয়েকজন লোকের শাসন। এই অল্প কয়েকজন লোক হচ্ছেন সমাজের সবচেয়ে উঁচু বংশ এবং সম্পদশালী পরিবারের লোক। প্রাচীন গ্রিসের স্পার্টা রাষ্ট্রে ছিল এই অলিগার্কি শাসনব্যবস্থা।


স্পার্টার মূলত যুদ্ধ এবং সামরিক শক্তির বিষয়েই তাদের বেশিরভাগ সম্পদ খরচ করত। স্পার্টা ছিল তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী নগর রাষ্ট্র। স্পার্টা মত আরেক শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিল এথেন্স। এথেন্সে আবার চলত ডেমোক্রেট্রিক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এথেন্সের মূল ফোকাস ছিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার দিকে। এক পর্যায়ে এথেন্সও স্পার্টার মত শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পায়। তবে স্পার্টা ছিল প্রতিষ্ঠিত শক্তি, অন্যদিকে এথেন্স ছিল উঠতি শক্তি। এথেন্স সবেমাত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিলো এবং সে সময়ের ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু এই অবস্থা বেশিদিন চলতে পারেনি। একসময় গিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিহাসে এই যুদ্ধ “পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ” নামে পরিচিত। আর এই যুদ্ধের মাধ্যমেই গ্রীক সভ্যতার সোনালী যুগের ধ্বংস শুরু হয়ে যায়।


এথেন্সের সাথে স্পার্টার এই যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞই অনেক ব্যখ্যা দিয়েছেন। এদের মধ্যে গ্রিক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডিসের ব্যখ্যায় একদম মূল কথাটা উঠে আসে। তাঁর মতে, এথেন্স যে নতুন শক্তি হিসেবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল, এতে স্পার্টার ভয় হচ্ছিলো। এথেন্স যেন স্পার্টাকে ছাড়িয়ে না যেতে পারে সে ব্যবস্থা করাটাই তখন স্পার্টার একমাত্র মাথাব্যথা।    স্পার্টার এই ভয় থেকেই দুই রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এই ঘটনাটা শুধু প্রাচীন গ্রীসেই সীমাবদ্ধ নয়। ইতিহাসে বার বার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।


সেই উনিশ শতকের শুরুতে নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “চীন ঘুমাচ্ছে, তাকে ঘুমাতে দাও। যদি এই ঘুম ভাঙে, সে পুরো পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিবে।” নেপোলিয়নের সেই কথার পর কেটে গেছে বহু বছর। এখন ২০২৩ সাল। চীনের ঘুম সত্যি ভেঙেছে। বর্তমান পৃথিবীতে শিল্প ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের চরম মুহুর্ত চলছে। আর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে আমরা স্পার্টা-এথেন্সের মতো একই ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং প্রতিষ্ঠিত শক্তি। অন্যদিকে চীন হলো উঠতি শক্তি। শক্তিশালী দেশ হিসেবে চীনের উত্থান ছিলো আশ্চর্যজনকভাবে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং নাটকীয়। এই নব্বইয়ের দশকেই চীন ছিল একটা গোবেচারা রাষ্ট্র। কিন্তু মাত্র কয়েক দশকের ভেতর চীন কৃষিপ্রধান সমাজ থেকে শিল্পোন্নত জাতিতে এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্প-উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে চীন এখন একটি মুখ্য চরিত্র।


চীনের এই বিস্ময়কর উত্থান তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বিশ্ব শক্তির ভারসাম্যের এই বিশাল পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন একটি শক্তি। চীনের বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকেই বোঝা যায় চীন নিজেও ক্ষমতার জন্য মরিয়া। নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার পথে যত প্রতিবন্ধকতা, সেসব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কিংবা আগ্রাসী হুমকি দিতে চীন দ্বিধা করে না।


একটা নতুন রাষ্ট্র যখন নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে তখন সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র তাকে হুমকি মনে করে। ধীরে ধীরে তারা যুদ্ধের দিকে ঝুকে পরে, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই যুদ্ধ এড়ানো যায় না। এই পরিস্থিতিকে বলা হয়, “থুসিডাইডস ট্র্যাপ”। আর এই থুসিডাইডস ট্র্যাপ আমাদের বলে দেয়, যখন কোনো উঠতি শক্তি প্রতিষ্ঠিত শক্তির আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে, তখন যুদ্ধই হলো সম্ভাব্য ফলাফল। চতুর্থ শতাব্দীর গ্রীক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডস হলেন এই তত্ত্বের প্রবক্তা। এই তত্ত্ব অনুসারে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রও এখন সেই থুসিডাইসের ফাদে আটকা পড়েছে।


বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার উপর চীনের ভূমিকা কী প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনও দেখার বাকি আছে। রাজনৈতিক, বিশ্লেষকসহ বিশ্বের বড় বড় থিংক ট্যাংকরা এই ভবিষ্যৎ আঁচ করার চেষ্টা করে চলেছে। এই ভবিষ্যৎকে আঁচ করতে চাইলে  আমাদের অতীতের আরও এমন ঘটনার উপর নজর দিতে হবে।


এজন্য আমরা চলে যাব বিশ শতকের জাপানে। জাপানের তখন সবেমাত্র শক্তিশালী দেশ হিসেবে উত্থান শুরু হয়েছে। তার আগে অর্থাৎ ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব রাজনীতিতে জাপানের তেমন কোন ভূমিকা ছিলোনা। কিন্তু এরপর এমন একটা ঘটনা ঘটে যা জাপানের অর্থনীতিকে ফুলে ফেপে উঠতে সাহায্য করেছিল। ঐ সময় মার্কিন নৌবাহিনীর কমোডোর ম্যাথিউ পেরি এদো উপসাগরে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের জন্য গানবোট জাহাজের একটি বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সেখানে গিয়ে তিনি জাপানের সম্রাটকে বাণিজ্যের জন্য জাপান সীমান্ত খুলে দিতে কিছুটা জোরপূর্বকই রাজি করান। লোভি জাপান তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং রাশিয়ার মতো বড় বড় দেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার সাথে পাল্লা দিতে ছুটে যায়। ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৯ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপি প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জাপান তখন কেবলমাত্র বড় বড় দেশগুলোর সমান পদমর্যাদা অর্জন করেই সন্তুষ্ট হয়নি। জাপান তখন আশেপাশের অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারেরও প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছিলো।


জাপানের প্রতিবেশী দেশ কোরিয়ায় যখন বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন জাপানের শক্তি প্রদর্শন করার সুযোগ আসে। তখন জাপান এবং চীন দুই দেশই সেখানে সৈন্য পাঠানোর সুযোগ নেয়। অতি শীঘ্রই তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে জাপান জয়ী হয়। ফলে কোরিয়া, তাইওয়ান এবং মঞ্চুরিয়ার নিয়ন্ত্রণ জাপানের হাতে চলে আসে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে মঞ্চুরিয়াতে আবার রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ ছিল। ফলে এই ঘটনায় রাশিয়া স্বভাবতই নাক গলাতে আসবে। জাপান ঐ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার ছয় দিন পর রাশিয়ার অনুরোধে ইউরোপ জাপানের উপর চাপ প্রয়োগ করা শুরু করে। ফলে জাপান বাধ্য হয়ে মঞ্চুরিয়া থেকে সরে আসে। অবশ্য জাপান আশা করেছিল যে এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া হয়ত কোরিয়াকে জাপানের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু রাশিয়া স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার জানায়। রাশিয়া কোরিয়ায় একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেয়। মঞ্চুরিয়া ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে জাপান তখন নিজেদের জন্য ক্ষতি হিসেবে দেখা শুরু করে। এর ফলে জাপান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে জাপানই জয়ী হয়।


জাপানের এই মনোভাব বিশ্ব-রাজনীতির ইতিহাসে আমরা বার বার দেখতে পাই। জাপানের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই সে তখন বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল। কিন্তু চীনের সাথে দ্বন্দ্বে রাশিয়া এবং ইউরোপের হস্তক্ষেপে জাপান বেশ অপমানিত বোধ করে। এই ঘটনায় জাপানের যে মনোভাব দেখতে পাওয়া যায়, অর্থাৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে প্রভাব বিস্তার করা, আগ্রাসী ভূমিকা, প্রতিষ্ঠিত শক্তির হস্তক্ষেপে অপমানিতবোধ হওয়া- সবই একটি উঠতি শক্তির বৈশিষ্ট্য। আর এসব বৈশিষ্ট্য সামরিক আগ্রাসনের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।


ঠিক একই ঘটনা লক্ষ করা যায় বর্তমান সময়ের চীনের মধ্যে। ঐ সময় জাপান যা যা করেছিল এবং জাপানের যে ধরনের মনোভাব ছিল তার সবই এখন চীনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। চীনের পাগলা ঘোড়ার মত অগ্রগতি চীনকে সেই একই অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত শক্তি অ্যামেরিকার সাথে তার ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিরোধে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। কিন্তু এই বিরোধ আর প্রতিযোগিতা কোথায় গিয়ে থামবে? চীন আর অ্যামেরিকা কি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে? চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মূলত থুসিডাইসের ট্র্যাপের মধ্যে পরে গেছে। এই ট্র্যাপ থেকে বের না হতে পারলে আরেকটা বড় যুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর খুব কঠিন।


চীন-আমেরিকার এই থুসিডাইডস ট্র্যাপ নিয়ে ‘Destined For War: Can America and China Escape Thucydides's Trap’ বইতে লেখক গ্রাহাম অ্যালিসন বিস্তর আলোচনা করেছেন। অ্যালিসন পরমাণু কৌশল, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং চীনা রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি মার্কিন সরকারের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, চীন নীতি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে কোন কোন ভাবে বিরোধে জড়াতে পারে, তার পরিনতি কি হতে পারে, বা এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে শেষ হবে এইসব নিয়ে এই বইতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এজন্য লেখক পৃথিবীর ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিশ্লেষণ সবকিছুরই সাহায্য নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং ভূরাজনীতি নিয়ে আগ্রহী যে কারও এজন্যই এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।


এবার আলোচনা করব বর্তমান সময়ের হট টপিক সেমিকন্ডাক্টর ইন্ড্রাস্ট্রি উপর লেখা এই বইটি নিয়ে (Chip War: The Fight for the World's Most Critical Technology)


একটা সময়ে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ড্রাস্ট্রি ছিল একচাটিয়া অ্যামেরিকার দখলে। কিন্তু এখন তাইওয়ান, কোরিয়া, ইউরোপ এবং সর্বোপরি চীনের প্রতিযোগীতার কারনে আমেরিকার হাত থেকে এই ইন্ড্রাস্ট্রির আধিপত্য চলে যেতে বসেছে। এই চিপ তৈরির প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রীতিমত এক ভু-রাজনৈতিক যুদ্ধ। অনেকেই এটাকে বলেন চিপ ওয়ার। চীন এখন তেল আমদানির চেয়ে চিপ আমদানিতে বেশি অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু চীনের লক্ষ সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া। এখন চীনকে যদি এই চিপ আমদানীই করতে হয়, তাহলে চীন কখনোই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য চীন চিপ তৈরির উদ্যোগে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢেলে দিচ্ছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে আমেরিকার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।


সিলিকন দিয়ে তৈরি মাইক্রোচিপ আজকের দিনে আর শুধুমাত্র ইলেক্ট্রনিক্সেই সীমাবদ্ধ নেই। এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ আগামী দিনে জ্বালানী তেলের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হতে চলেছে। তেল নিয়ে যে বিখ্যাত ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে, হয়ত তার থেকেও ভয়াবহ হবে এই সেমিকন্ডাটরের রাজনীতি। কারন আজকের এই আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি হলো ইলেক্ট্রনিক্স বা সেমিকন্ডার চিপ। এমনকি সামরিক শক্তি, অর্থনীতি, বা ভূ রাজনৈতিক ক্ষমতার সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো এই সেমিকন্ডাকটর। মিসাইল হোক বা মাইক্রোওয়েব ওভেন, সেটা তৈরি করতে শেষ পর্যন্ত এই চিপ ছাড়া গতি নেই। ফলে পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশগুলোও তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে বা অন্য দেশের উপর তাদের নির্ভরতা কমাতে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠছে।


অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ ক্রিস মিলার ব্যাখ্যা করেছেন যে সেমিকন্ডাক্টর কীভাবে আধুনিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিপ ডিজাইন এবং উত্পাদনে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছিল। আর এই চিপ তৈরির কারনেই কিভাবে দেশটি সামরিক শক্তিতে মারাত্মক অগ্রগতি লাভ করেছিল। স্নায়ুযুদ্ধে আমেরিকার বিজয় এবং এর বৈশ্বিক সামরিক আধিপত্যের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অ্যামেরিকার কম্পিউটিং শক্তি। কিন্তু এখন চীন তার চিপ তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সামরিক আধুনিকীকরনের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আগামী দিনে কি হতে চলেছে? চীন কি অ্যামেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে। এই বইতে ক্রিস মিলার সেই বিষয়টাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।


ফেইসবুক পোস্টের লিমিটেশনের জন্য সবগুলো বইয়ের রিভিও এখানে দেয়া সম্ভব হলো না, তাই প্রতিটি বইয়ের রিভিও প্রতিটা বইয়ের ছবির ডেস্ক্রিপশনে দেয়া হল, ছবিতে ট্যাব/ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন রিভিওগুলো।


বইগুলো আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে চাইলে আজই "Order now" বাটনে ক্লিক করে অর্ডার করুণ অথবা WhatsApp করুণ এই নাম্বারে 01950-886700 ।

আহমদুল্লা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 করোনায় চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। জমানো অর্থে ইজিবাইক কিনে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন। এক রাতে ইজিবাইকটি ছিনতাই হয়ে গেলে পৃথিবী আঁধারে ছেয়ে যায় তার।


বলছি আবদুল রশিদের কথা। ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে তার বাড়ি। শৈশব থেকেই তীব্র অর্থসংকটের ভেতর বড় হয়েছেন। 


এসএসসি পাস করেই যোগ দিতে হয় কাজে। গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। কাজ নেন গার্মেন্টসে।


প্রথম দিকে কাজ ছিল কঠিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। 


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করেন। প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের পোশাক—সবই বানাতে পারেন। শুধু তাই নয়, স্কুল ব্যাগ, মানিব্যাগ তৈরির কাজেও হয়ে ওঠেন দক্ষ। চার বছর গার্মেন্টসে কাজ করার পর হঠ্যাৎ মহামারী করোনা আসলে চাকরিচ্যুত হন তিনি। 


জমানো সামান্য পুঁজি নিয়ে ফিরে আসেন গ্রামে। ইজিবাইক কেনেন। কিন্তু এক রাতে ইজিবাইকটিও ছিনতাই হয়ে যায়। 


একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ, হাতে টাকা নেই, সংসারে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও সন্তান। দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন আবদুর রশিদ। কিন্তু হাল ছাড়েন না। 


নতুন করে বাঁচতে হবে—এই বিশ্বাস নিয়ে বাজারে বসে ব্যাগ বানানো শুরু করেন। দিনরাত খাটেন; কিন্তু আয় বাড়ে না।


এই সীমাহীন দুর্ভোগের মাঝেও উঁকি মারে স্বপ্ন—ছোট্ট করে হলেও যদি একটা কাপড়ের কারখানা দিতে পারতেন! যেখানে তৈরি হবে শিশুদের জামা, পাঞ্জাবি, ব্যাগ, মানিব্যাগ! 


আবদুর রশিদের অধরা স্বপ্ন সত্যি হতেই যেন এ সময় আমাদের উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়া হয়। আশান্বিত হয়ে ওঠেন তিনি। একটি কাপড়ের কারখানার আবেদন করেন।


কয়েক স্তরের যাচাই-বাছাইয়ের পর আবেদন গৃহীত হয় তার। কারখানার জন্য দুই ধাপে তাকে প্রদান করা হয় দুই লক্ষ টাকা। 


কারখানার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা (টিন, পিলার, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্ট, বালু, মিস্ত্রি ব্যয় ইত্যাদি)। মেশিন বাবদ খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা (ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, লক মেশিন, কানসাই মেশিন, কাপড় কাটার মেশিন, আয়রন মেশিন ইত্যাদি)। ব্যাগের কাপড় ও অন্যান্য উপকরণ ক্রয় বাবদ খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। 


আবদুর রশিদ স্থানীয় মার্কেটে নিজের বানানো ব্যাগ বিক্রি করেন। ১০০ পিস ব্যাগ বিক্রি করলে তার লাভ হয় ৭/৮ হাজার টাকা। 


ঈদে, কারখানা চালুর ১৫ দিনের মধ্যে, এক মাদরাসা থেকে ১৫০ পিস পাঞ্জাবির অর্ডার পান। সেখান থেকে লাভ করেন ১২ হাজার টাকা। 


আবদুর রশিদের আশা—আল্লাহর রহমতে দিন যত যাবে, তার আয় ততই বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

একটি দিকনির্দেশনামূলক ওভারকারেন্ট রিলে (Directional Overcurrent Relay) এর কার্যপ্রণালী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি রিলে যেটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট দিক থেকে অতিরিক্ত কারেন্ট আসলে ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়। 

 এই চিত্রটি একটি দিকনির্দেশনামূলক ওভারকারেন্ট রিলে (Directional Overcurrent Relay) এর কার্যপ্রণালী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি রিলে যেটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট দিক থেকে অতিরিক্ত কারেন্ট আসলে ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়। নিচে এই চিত্রের প্রতিটি ইউনিট বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:


১. Directional Unit (ভোল্টেজ কয়েল ও কারেন্ট কয়েল সমন্বয়): এই ইউনিটটি ফিডারের মধ্যে ত্রুটির দিক নির্ধারণ করে। V কয়েল ভোল্টেজ সোর্সের সাথে যুক্ত থাকে। I কয়েল কারেন্ট সোর্সের সাথে যুক্ত থাকে। এই দুটি কয়েল একত্রে একটি ঘূর্ণন বল (torque) তৈরি করে, যা রোটরকে ঘোরাতে সাহায্য করে। যদি ফিডারের ভোল্টেজ ও কারেন্ট নির্দিষ্ট কোণ বা পোলারিটি মেনে চলে (যা ত্রুটির নির্দিষ্ট দিক বোঝায়), তখনই এই ইউনিট কাজ করবে।


২. Overcurrent Unit (কারেন্ট সেন্সিং ইউনিট):

এটি সাধারণ ওভারকারেন্ট রিলের মত কাজ করে।

শুধুমাত্র তখনই কাজ করে যখন তাতে নির্ধারিত সীমার বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এটি Directional Unit থেকে অনুমোদন পেলে তবেই এটি ট্রিপ সিগন্যাল তৈরি করে।


৩. Trip Circuit (ট্রিপ সিগন্যাল প্রেরণ):

Directional Unit এবং Overcurrent Unit উভয়ের সম্মতিতে ট্রিপ কন্টাক্ট বন্ধ হয়। এরপর এই রিলে সার্কিট ব্রেকারকে একটি ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়, যাতে ত্রুটিপূর্ণ অংশ বিচ্ছিন্ন করা যায়।


বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

অতিরিক্ত গরমে মাছের পরিচর্যা

 অতিরিক্ত গরমে মাছের পরিচর্যা


বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরম কালই পরিলক্ষিত হচ্ছে বছরের ৮ মাস!

এরমধ্যে এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম কাল।

এ সময়ে অধিক তাপমাত্রার কারণে পুকুরের পানি অস্বাভাবিক ভাবে গরম হয়ে যায়।

পানি এত পরিমাণ গরম হয় যে, 

একজন মানুষের পক্ষে ঐ পানিতে নেমে গোসল করা সম্ভব হয় না।

মানুষ যেখানে ঘরে ছায়ার মধ্যে ফ্যানের নীচে বসে থাকতে কষ্ট হয়! 

সেখানে ঐ পুকুরে তপ্ত রোদে মাছ গুলো বাস করছে কিভাবে একবার নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন? 

মাছের জন্য সহনীয় তাপমাত্রা হচ্ছে সর্বনিম্ন ২০° ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ৩২° ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দুঃখের বিষয় গরম কালে কোন কোন অঞ্চলে সেটা ৪২/৪৫° ডিগ্রিতে চলে যাচ্ছে!!!

অতিরিক্ত গরমের ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে? 

(১) হিটস্ট্রোকে মাছ মারা যাবে। 

(২) ঘন ঘন ক্ষতিকর গ্যাস (এ্যামোনিয়া,নাইট্রেট,হাইড্রোজেন সালফাইড) উৎপন্ন হবে।

(৩) পিএইস উঠানামা করবে।

(৪) অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিবে।

(৫) প্লান্কটন ক্রাশ করবে।

(৬) মাছে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিবে।


গরম কালে কি কি পরিচর্যা নিবেন?

(১) পানির গভীরতা কমপক্ষে ৫ ফুট রাখতে হবে।

(২) দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গভীর নলকূপের সেচ দিবেন।

(৩) নীচের ছবির মতো পানির উপর মাচা তৈরি করে সবজি চাষ করবেন, যেন গরমের সময় মাচার নীচে মাছে আশ্রয় নিতে পারে।

(৪) ভিটামিন সি, লবন, গ্যাসোনিল(ইউকা), অক্সিজেন পাউডার হাতের কাছে রাখবেন।

(৫) অতিরিক্ত খাবার প্রয়োগ করবেন না।

সব ধরনের জৈব ও রাসায়নিক সার দেয়া বন্ধ রাখুন।

(৬) সপ্তাহে একবার হররা টেনে দিবেন।

ইংরেজি বানান মনে রাখার কৌশল 

 ইংরেজি বানান মনে রাখার কৌশল 🌍


ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সর্বত্রই ইংরেজির ব্যবহার প্রয়োজন হয়। মাঝেমধ্যেই আমরা ইংরেজি লিখতে গিয়ে বানানের সমস্যায় ভুগি। তা ছাড়া অ্যাডমিশন, চাকরিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও ইংরেজি বানান পার্ট থেকে প্রশ্ন আসে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি কীভাবে আত্মস্থ করবেন, তা নিয়েই আজকের আয়োজন।


🌍মনোযোগ দিয়ে শব্দগুলো পড়ুন:

প্রতিটি অক্ষরের উচ্চারণ এবং অর্থ বুঝে শব্দগুলো পড়ন। ইংরেজি বানান মনে রাখার জন্য মনোযোগ দিয়ে শব্দগুলো পড়ার গুরুত্ব অনেক।


মনোযোগ দিয়ে শব্দগুলো পড়লে মস্তিষ্কে তাদের ভিজ্যুয়াল চিত্র তৈরি হয়, যা পরে মনে রাখতে সাহায্য করে এবং প্রতিটি অক্ষরের উচ্চারণ ও স্থান বোঝা যায়, যা সঠিক বানান শিখতে সহায়ক। তা ছাড়া সঠিক বানান শেখা ও লেখার দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক, কারণ এটি লেখাকে সুগঠিত এবং পঠনযোগ্য করে তোলে। [ জানা-অজানা 360 ]


🌍শব্দ ভেঙে পড়ুন:

জটিল শব্দগুলো ছোট অংশে ভাঙন এবং প্রতিটি অংশের অর্থ বুঝুন। ইংরেজি বানান মনে রাখার জন্য শব্দ ভাঙার গুরুত্ব অনেক। শব্দ ভাঙার মাধ্যমে একটি শব্দের প্রতিটি অংশকে সহজে মনে রাখা যায়। এই পদ্ধতিতে শব্দের সঠিক উচ্চারণ ও বানান উভয়ই সহজে শেখা সম্ভব। শব্দ ভাঙার মাধ্যমে শব্দের উচ্চারণ বোঝা সহজ হয়। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন ইংরেজি শব্দগুলোর উচ্চারণ তাদের বানানের সঙ্গে মেলে না। শব্দের প্রতিটি অংশের বানান আলাদাভাবে শিখলে পুরো শব্দের বানান শেখা সহজ হয়। উদাহরণয়রূপ, 'unbelievable' শব্দটি ভাঙলে এটি হয় 'un' + 'believe + 'able'। এভাবে শব্দটির মূল অংশগুলো আলাদাভাবে শিখলে পুরো শব্দটির বানান ও উচ্চারণ মনে রাখা সহজ হয়।


মনে চিত্র তৈরি করা শব্দের সঙ্গে একটি চিত্র বা গল্প যুক্ত করুন, যাতে মনে রাখা সহজ হয়। ইংরেজি বানান মনে রাখার ক্ষেত্রে মনের চিত্র বা 'mental imagery' তৈরি করা একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি মস্তিষ্কের মধ্যে ছবির মতো একটি মেমরি তৈরি করে, যা পরে সহজে পুনরুদ্ধার করা যায়। চিত্রকল্প ব্যবহার করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের উভয় গোলার্ধ সক্রিয় হয়। এটি শেখার প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে তোলে। তা ছাড়া চিত্রকল্পগুলো আমাদের মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি গঠনে সাহায্য করে। যখন আমরা কোনো শব্দের চিত্রকল্প তৈরি করি, আমরা সেই চিত্রটি এবং এর সঙ্গে যুক্ত শব্দটি সহজে মনে রাখতে পারি। উদাহরণস্বরূপ: 'Accommodation' শব্দটি মনে রাখতে আমরা দুবার 'cc' এবং দুবার 'mm' থাকতে একটি বাড়ির দুটি কক্ষ (accommodation) কল্পনা করতে পারি। [fb.com/janaojanaa360]


🌍বারবার অনুশীলন:

কোনো কিছু আয়ত্ত করতে অনুশীলনের বিকল্প নেই। তাই নতুন শব্দগুলো লিখে বারবার অনুশীলন করুন। প্রতিদিন নতুন শব্দ লিখে চর্চা করুন। যত বেশি লিখবেন, তত বেশি মনে রাখতে পারবেন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে বানানগুলো মস্তিষ্কে দৃঢ়ভাবে বসে যায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া বারবার অনুশীলন আপনাকে বানানের ভুলগুলো চিহ্নিত ও সংশোধন করতে সাহায্য করে, যা ভবিষ্যতে ভুল কমায়।


🟠বিশেষ কিছু টিপস:


🌍মূল চিনে নিন:

শব্দের মূল (root) চিনে নিন। যেমন: 'receive' শব্দটি মনে রাখতে পারেন যে, এটি লাতিন 're-' এবং 'capere' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'to take'l


🌍নিয়ম শিখুন:

কিছু সাধারণ বানানের নিয়ম শিখুন। যেমন: 'i before e, except after ' (বিশেষত যখন উচ্চারণটি 'ee' হয়), যেমন: 'believe' এবং 'receive'l


🌍টেকনোলজি ব্যবহার করুন:

বিভিন্ন spelling apps ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: Spell Tower, Hangman, অথবা Spelling Bee appst


🌍নিয়মিত পড়া:


নিয়মিত ইংরেজি পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বেশি পড়লে বিভিন্ন শব্দের সঠিক বানান দেখার সুযোগ পাবেন।


🌍শব্দ তালিকা তৈরি:


নির্দিষ্ট কিছু শব্দের তালিকা তৈরি করে নিন, যেগুলো আপনি ভুল করেন এবং নিয়মিত সেই শব্দগুলো চর্চা করুন।


🌍মনোমুগ্ধকর কৌশল ব্যবহার করা:


কিছু শব্দের জন্য মনোমুগ্ধকর কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:


Questionnaire (প্রশ্নমালা) কোশ্চেন নাই রে (Question nai re)


Psychological (মনস্তাত্ত্বিক) পিসি চলো যাই কাল (pshy cho gi cal)


As*sas*sination (গু%প্তহ&ত্যা) গাধার ওপরে গাধা, তার ওপরে আমি, আমার ওপরে জাতি (Ass ass i nation)


Lieutenant (সামরিক কর্মী) মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া (Lie u ten ant)


Assessment (কর নির্ধারণ) গাধায় ই ডাবল মানুষেতে নাই (Assess men t)


Hallucination (অমূলক) হলে তুমি ছি জাতি (Hall u ci nation)


Diarrhoea (উদরাময়) দিয়া ডাবল R হয়ে যাবে (Dia rr hoea)


Bureaucracy (আমলাতন্ত্র) বুড়িয়া তুমি cracy (Burea u cracy)


Restaurant (রেস্টুরেন্ট) বিশ্রাম এ তুমি আর পিঁপড়া (Rest a u rant)


Illegitimate (অ*বৈধ) অসুস্থ আমি টিম খেয়েছিলাম (Illeg i tim ate)


Miscellaneous (বিবিধ) মিস করলে একটি সেলে ই ও আমাদের সঙ্গে থাকবে (Mis cell an e o us)

.

লেখা: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

তথ্যসূত্র: আমার দেশ, ০৭/০৪/২০২৫ খ্রি.

#learning #english #SpokenEnglish

মাছ চাষে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরিঃ-

 মাছ চাষে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরিঃ-


১।মাছ খাবার খাচ্ছে না,আপনি খাবার দিয়ে দিলেন, এতে খাবার পচে অপচয় হবে,পুকুরে এ্যামোনিয় গ্যাস সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে । 


২।মেঘলা আকাশ,সাগরে নিম্নচাপ, ভ্যাপসা গরমে খাবার দিলে মাছ খাবার গ্রহণ করবে না,এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩।পুকুরের পরিবেশ না বুঝে রাসায়নিক /জৈব সার ব্যবহার করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৪।মাছ পরিববন / স্থানান্তরের সময় পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে/অভিজ্ঞ লোক দিয়ে মাছ না ছাড়লে মাছ মারা যেতে পারে। 


৫।পুকুরে মাছের মজুদ ঘনত্ব ঠিক না থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৬।পুকুরের পরিবেশ এবং মাছের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ঔষধ ব্যবহার না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।  


৭।পুকুর প্রস্তুতিতে সময় না নিয়ে তাড়াহুড়ো করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


৮।নিয়মিত পরিচর্যা না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

৯।মাছ চাষে নূন্যতম প্রাথমিক ধারণা না থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


১০।চোর,রাক্ষুসে মাছ,গুইসাপ,সাপ,শেয়াল,মাছখেকো পাখি থেকে পুকুর হেফাজত করতে না পারলে বিভিন্ন  সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


১১।মাছ চাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাতের নাগালে  না থাকলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।


১২।খাবার ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে। 


১৩।কোন বয়সের মাছকে কোন ধরনের প্রোটিন সম্মৃদ্ধ খাবার দিতে হবে তা জানা না থাকলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। 


১৪।রেনু পোনা চাষের ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন না করলে রেনু খোঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেতে পারে।।


১৫।ভালো মানের পোনা সংগ্রহ করতে না পারলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে। 


১৬।মাছের বাজার সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। 


১৭।বন্যামুক্ত পুকুর না হলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। 


১৮।অতিরিক্ত লিজ দিয়ে পুকুর নিয়ে মাছ চাষ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। 


১৯।মাছ চাষে,চোর,টাউট, বাটপার,দালালের খপ্পরে পরে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে। 


২০।মাছ চাষে সর্বাবস্থায় চোখকান খোলা না রাখলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। 


২১।পোনা ক্রয় বিক্রয়ে ধারণা না থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে।


২২।পুকুরে গোবর, লিটার ব্যবহার করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


২৩।অভিজ্ঞ চাষির সাথে সুসম্পর্ক না থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন। 


২৪।যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে তুলনামূলক  ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।।


২৫।পুকুরের আদর্শ গভীরতা ঠিক না থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


২৬।ঝোপঝাড়, আগাছা, অপরিষ্কার পুকুরে মাছ চাষ করলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। 


২৭।মাছ চাষ হচ্ছে টাকার খেলা, হিসাব নিকাশ না করে মাছ চাষ শুরু করলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। 


২৮।আপনার এলাকায় কোন মাছের চাহিদা সে অনুযায়ী চাষ না করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। 


২৯।লেগে থাকার মানসিকতা না থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন। 


৩০।সর্বশেষ আবেগ আবেগ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাবে।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।আপনারা চাইলে আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।

আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে সকল মাছ চাষি ভাইদের উদ্দেশ্যে লেখা। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 


মোহাম্মদ খসরু পারভেজ 

সুনামগঞ্জ।

ট্রানজিট,  ট্রানশিপমেন্ট এবং কোরিডোরের মধ্যে পার্থক্য

 ট্রানজিট,  ট্রানশিপমেন্ট এবং কোরিডোরের মধ্যে পার্থক্য

🟥🟥 ট্রানজিটঃ

একটি দেশ দ্বিতীয় কোন দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের জন্য যখন পণ্য বহন করে নিয়ে যায়, সেটিকেই মূলতঃ ট্রানজিট বলে। এক্ষেত্রে প্রথম দেশটি দ্বিতীয় দেশটিকে ট্রানজিট-সুবিধা দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

যেমন- বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিলে, 

বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান বা তৃতীয় কোন দেশে নিয়ে যেতে পারবে। 

অর্থাৎ Transit হতে হলে অন্তত ৩টি দেশের প্রয়োজন হয়। এখানে শুধু ২য় একটি দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয়। যানবাহন ১ম দেশটিরই হয়।

🟥🟥 ট্রান্সশিপমেন্টঃ৷ 

একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামাল গুলো ঐ দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দিবে। 

সেই যানবাহন গুলো মালামাল পরিবহন করে অন্যপ্রান্তের সীমান্তে অপেক্ষমান সে দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে- এটাই ট্রান্সশিপমেন্ট।

যেমন- ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে তাদের পণ্যগুলো খালাস করে। 

তারপর বাংলাদেশের ট্রাকগুলো সেই পণ্য বহন করে ভারতের আসাম- ত্রিপুরার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে তুলে দিয়ে আসে। 

ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায় 

যেমন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সামগ্রী ট্রাকে করে বেনাপোল সীমান্তে যায় সেখান থেকে ভারতীয় যানবাহনে সেগুলি দিল্লি বিমান বন্দরে যায়। সেখান থেকে বিমানে গার্মেন্টস সামগ্রী ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানী করা হয়। সাম্প্রতিককালে ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। 

অর্থাৎ Transhipment এ ভূমি যার, যানবাহনও তার হতে হবে।

🟥🟥 কোরিডোরঃ 

কোনো দেশের এক এলাকার সঙ্গে অন্য এলাকার যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের জন্য অন্য দেশের কাছে তার, ভূমি, পথ ও বন্দর ব্যবহারের যে অধিকার চাওয়া হয়, সেটাই করিডোর।

যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের কোন যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে গেলে ‘বাংলাদেশ’ হলো তাদের জন্য করিডোর।৷

ঢাকা ১১ এপ্রিল, ২০২৫

তথ্যসূত্র 

১. উইকিপিডিয়া

২. জনাব আশীষ চৌধুরী 

৩. জনাব শুভ বালা

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...