এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

মার্সে প্রাচীন সভ্যতা ছিল? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি! 

 মার্সে প্রাচীন সভ্যতা ছিল? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি! 

🚀 এক অজানা সভ্যতার রহস্য

একজন হার্ভার্ড বিজ্ঞানী ড. জন ব্র্যান্ডেনবার্গ দাবি করেছেন যে মঙ্গল গ্রহে (Mars) একসময় একটি উন্নত প্রাচীন সভ্যতা ছিল, যা একটি পরমাণু হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল! তার মতে, মঙ্গলের মাটিতে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামের অস্বাভাবিক মাত্রা এবং লাল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের চিহ্ন এই তত্ত্বকে সমর্থন করে।  

💥 এলিয়েন আক্রমণের ইঙ্গিত?

ড. ব্র্যান্ডেনবার্গের গবেষণা অনুযায়ী, মঙ্গলের সিভিলাইজেশন হয়তো কোনো শক্তিশালী extraterrestrial (বহিঃস্থ প্রাণী) জাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তিনি মঙ্গলের কিছু এলাকায় "গ্লাসি" পৃষ্ঠের সন্ধান পেয়েছেন, যা পৃথিবীতে পরমাণু পরীক্ষার স্থানের মতো দেখতে।  

🔍 বিজ্ঞানী সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া

এই দাবি নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে বিতর্ক চলছে। অনেকেই এটিকে কনস্পিরেসি থিওরি বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন মঙ্গল নিয়ে আরও গভীর গবেষণা প্রয়োজন। নাসার Perseverance রোভার ও ভবিষ্যতের মিশন হয়তো এই রহস্যের সমাধান করতে পারে।  

🌌 মার্সের রহস্য উন্মোচনে আগ্রহী?  

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। ড. ব্র্যান্ডেনবার্গের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারগুলোর একটি হতে পারে!  


#মঙ্গল #Mars #এলিয়েন #Alien #নিউক্লিয়ারহামলা #AncientCivilization #SpaceMystery #হ্যার্ভার্ড #ConspiracyTheory #বিজ্ঞান  


📌 আপনার মতামত জানান!মার্সে সভ্যতা ছিল বলে আপনি কি বিশ্বাস করেন? কমেন্টে লিখুন! 👇

সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :

 সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :


প্রিয় অভিভাবক,

কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি জানি, আপনারা খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।


👉একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, যারা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে শিল্পী হবে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই।


👉একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।


👉একজন সংগীতশিল্পী হবে, যে রসায়নে কত নম্বর পেয়েছে তাতে তাঁর ভবিষ্যতে কিছু আসে-যায় না ৷


👉একজন খেলোয়াড় হবে, তাঁর শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি।


👉যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।


👉তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে যেন তারা মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড় কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।


👉আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন যে, সে পরীক্ষায় যত নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তার বিচার করবেন না!


👉প্লিজ, এই কাজটি করুন, যখন এটা করবেন দেখবেন যে, আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে!


👉একটি পরীক্ষা কিংবা একটি পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধা কেড়ে নিতে পারবে না ৷


👉প্লিজ, আরেকটা কথা মনে রাখবেন যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, প্রফেসর বা আইনজীবীরাই একমাত্ৰ সুখী মানুষ নন!

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত নরওয়ের ”প্রাইকেস্টোলেন

 পৃথিবীর শেষ প্রান্ত নরওয়ের ”প্রাইকেস্টোলেন



♦️কখনো কি মনে প্রশ্ন জাগে যে আমাদের এই পৃথিবীর শেষ কোথায়? বা আসলেই পৃথিবীর কোনো শেষ আছে কিনা? একজন মানুষের পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত যেতে কতক্ষন সময় লাগতে পারে? অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন পুরো পৃথিবী পাড়ি দিতে একজন মানুষের সারা জীবন কেটে যাবে। যেহেতু পৃথিবীটা গোলাকার, তাই এর শেষ প্রান্ত বলে আসলে কিছু নেই, এমন ধারণাও আমাদের মধ্যে কাজ করে। কিন্তু আমাদের গ্রহটা যেহেতু গোলাকার, তাই এর শেষ প্রান্ত বলে আসলে কিছু নেই। তবে নরওয়েতে একটি পাহাড় চূড়া আছে, যেখানে গেলে মনে হবে আপনি হয়তো পৃথিবীর শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই জায়গার নাম ‘প্রাইকেস্টোলেন’। এটি ‘পালপিট রক’ হিসেবেও পরিচিত।


♦️প্রাইকেস্টোলেন নরওয়ের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। প্রাইকেস্টোলেন নামের অপার্থিব এই জায়গাটি নরওয়ের রোগাল্যান্ড প্রদেশের স্ট্র্যান্ড পৌরসভায় অবস্থিত। এটি একটি পাহাড়ের একটি খাড়া ধার যা লিউসেফর্ড থেকে ৬০৪ মিটার অর্থাৎ এক হাজার ৯৮২ ফুট উপরে অবস্থিত। প্রাইকেস্টোলেন একটি দীর্ঘ সরু সামুদ্রিক খাঁড়ির পাশে অবস্থিত।ধারণা করা হয়, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বরফ যুগে সুবিশাল হিমবাহের প্রভাবে জায়গাটি এমন আকৃতি লাভ করেছে। অতীতে প্যাগান ধর্মের লোকেরা এখানে উপাসনা করতো। ১৯০০ সালে সর্বপ্রথম এই জায়গায় পর্যটন ব্যবস্থা চালু হয়। দুই হাজার ফুট উঁচুতে থাকা পাহাড়চূড়াটি প্রায় ৮২ বর্গ ফুট প্রশস্ত। এখানে পৌঁছাতে পায়ে হেঁটে প্রায় চার কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে এখানে কোনো পরিবেষ্টনী দেয়া হয়নি। এর ফলে দর্শনার্থীরা ভয়ংকর সৌন্দর্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। শীতকালে এখানকার শ্বেতশুভ্র প্রকৃতি দেখে মনেই হবে না এটি আমাদের গ্রহের কোনো জায়গা। বিখ্যাত ট্রাভেল গাইড প্রতিষ্ঠান লোনলি প্ল্যানেটের মতে, প্রাইকেস্টোলেন পৃথিবীর সবচেয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ভিউ পয়েন্ট।


 ♦️এমনিতেই নরওয়ের বাতাস পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার মধ্যে পালপিট রক এলাকার বাতাস বিশুদ্ধতম। সেজন্য এখানকার বাতাস বোতলজাত করে বিক্রিও করা হয়। এখানকার আট লিটারের বোতল বাতাসের দাম প্রায় এক হাজার ৫০০ টাকা।দুঃসাহসী পর্যটকেরা নানা রকমের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এখানকার রোমাঞ্চ আরো বাড়িয়ে নিতে পারে। বেস জাম্পিং, উইংসুট, রোপ ওয়াকিং, ক্লিফ হ্যাঙ্গিং বা ফ্রি হ্যাঙ্গিংয়ের মতো নানান ধরনের একশন স্পোর্টস বেশ জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক পপ কালচারের মাধ্যমে বিশেষ এই প্রাকৃতিক জায়গাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


♦️২০১৪ সালে ভাইকিংস টেলিভিশন ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য এখানে ধারণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পালপিট রকের কিনারায় বসে আছে। ২০১৭ সালে মিশন ইম্পসিবল ৬ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের কারণে প্রাইকেস্টোলেন এক সপ্তাহ পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল। হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজকে এখানে দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়।তারপর থেকে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখেরও বেশি লোক প্রাইকেস্টোলেনে ঘুরতে আসে নয়নাভিরাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে জায়গাটির বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শুধু প্রাইকেস্টোলেনই নয়, নরওয়েসহ সমগ্র স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলই ছবির মতো সুন্দর।


#sciencefacts #norway #norwaytravel

মেডোরিনাম

 📢📢📢📢📢  মেডোরিনাম


📢📢📢📢📢

.

মেডোরিনাম একটি নোসোড এবং হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পলিক্রেষ্ট ঔষধ। গনোরিয়া ভাইরাস থেকে এটি প্রস্তুত করা হয়। মেডোরিনাম হল সাইকোটিক মায়াজমের জীবন্ত প্রতিরূপ। জীবনে যে বয়সে সংগ্রাম করার ক্ষমতা, মনোভাব লক্ষিত হয় তখন সোরা কিন্তু যখন মোকাবেলা করার মনোভাব হারিয়ে আপোস করে চলার মনোভাব এসে যায় তখন সেটাকে সাইকোসিস অবস্থা বলতে পারেন। সুস্থ  প্রতিযোগীতা বাদ দিয়ে নীতিহীন ভাবে জেতার বা টিকে থাকার চেষ্টা হচ্ছে সাইকোসিস। সোরা হচ্ছে সাইকোসিসের মা। একজন সুস্থ যুবক অবৈধ মেলামেশার ফলে গনোরিয়ায় আক্রান্ত হলে দ্রুত সারার জন্য ইঞ্জেকশনের মতো ভুল চিকিৎসায় সুস্থ্যতার নামে সাইকোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে দৈহিক ও মানসিক সকল ক্রিয়াসমূহে অত্যন্ত দুর্বলতা দেখা দেয়।


উৎসঃ    নোসোড।


প্রুভারঃ ডা. সোয়ান অতঃপর ডা. এলেন,

           রেনডেল, ফিংক, নর্টন, ফ্যারিংটন, ফ্রন্ট।


মায়াজমঃ এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক,

              এন্টিসিফিলিটিক, এন্টি-টিউবারকুলার। 


কাতরতাঃ প্রথম অবস্থায় গরমকাতর।

               টিউবারকুলার অবস্থায় শীতকাতর

             (পরিণতির কারণে শীতকাতর হয়ে পড়ে)


পার্শ্বঃ   উপরে ডানপার্শ্ব, নিচে বাম পার্শ্ব।


নির্দেশক / চরিত্রগত লক্ষণঃ

১. বংশগত প্রমেহদোষ ও উপযুক্ত ঔষধের

    ব্যর্থতা।

২. জ্বালা, ব্যথা ও স্পর্শকাতরতা।

৩. ব্যস্ততা ও ক্রন্দনশীলতা।

৪. সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মেডোরিনামের

    বৃদ্ধি। পাখার বাতাস ভালো লাগে। সকালে

    খারাপ থাকে, বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত খুব

    ভালো থাকে।

৫. গনোরিয়ার প্রাথমিক অবস্থা অপেক্ষা

    গনোরিয়ার কুফল বা গনোরিয়ার গৌণ

    অবস্থায় মেডোরিনাম অধিক ফলপ্রদ।

৬. হাতে পায়ে জ্বালা, ব্রক্ষতালুতে জ্বালা,

    প্রদাহযুক্ত স্থানে জ্বালা, হিমাঙ্গ অবস্থাতেও

    জ্বালা।

৭. মেডোরিনাম অত্যন্ত গরমকাতর বটে কিন্তু

    অবস্থা বিশেষে বাতের ব্যথা গরম প্রয়োগেই

    প্রশমিত হয়।

৮. মেডোরিনামের পায়ের তলাটি বড়ই

    স্পর্শকাতর হয় যাহার ফলে সে হাটিতে পারে

    না। ইহার পায়ের তলায় যে কড়া হয় তাহা

    অতীব স্পর্শকাতর।

৯. মেডোরিনামের একটি বিশেষ লক্ষণ হাটু এবং

     কনুইয়ে ভর করে থাকলে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ

     হ্রাস পায়।

১০. সাইকোসিসের পীড়া দিনের বেলায় বৃদ্ধি পায়,

       গ্রীষ্মকালে বৃদ্ধি পায় কিন্তু বর্ষাকালে এই

       রোগী অনেকটা ভালই থাকে তাহার বাত

       পীড়াটি ব্যতীত।

১১. মেডোরিনাম থুজার চাইতে খোলামেলা, বেশি

       বেহায়া।

১২. দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা দিলে সমস্যা, কারণ

      এদের সব কিছুতে তাড়াহুড়া। রোগ সারতে

      দেরি হলে অধৈর্য্য হয়ে যায়, দ্রুত ফল চায়।

১৩. কোন শিশু বিকলাঙ্গ বা নির্বোধ হলে যদি

      দেখা যায় সেই শিশুর বাবা মা বিশেষ করে মা

      গরমকাতর, পিপসা বেশী, ঘাম বেশী, পাখার

      বাতাস খুব পছন্দ করে তবে সেই শিশুকে

      মেডোরিনাম দিলে দারুণ কাজ করে।

১৪. মেডোরিনামের শিশু গ্রীষ্মকাল আসিলেই

       নানাবিধ পেটের পীড়ায় কষ্ট পাইতে থাকে।

১৫. সারা শরীরে চুল, লবণ, ঝাল, টক, মিষ্টি, চর্বি

       একযোগে পছন্দ হলে মেডোরিনাম ভাবুন।

১৬. খুব সতর্ক দৃষ্টি। মুখ মন্ডল তৈলাক্ত,

       চকচকে।

১৭. অবরুদ্ধ প্রমেহের কুফলে বাত হইলে ইহা

       একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ।

১৮. মাথা ঘোরা এত প্রবল যে প্রায় প্রত্যেক

       রোগীর মধ্যে ইহা বর্তমান থাকে।

১৯. মেডোরিনামের রোগীর বজ্রপাতের সময়

       তাহার পদদেশে একটা বেদনা অনুভূতি হয়।

২০. সমুদ্র তীরে তাহার স্বাস্থ্যের উন্নতি।

২১. খুব বেশি পিপসা কিন্তু জ্বরের কোন অবস্থায়

        পিপাসা থাকে না।

২২. প্রচণ্ড ক্ষুধা। সে খায় দায় অথচ শুকিয়ে যায়।

২৩. সহজে ঠাণ্ডা লাগে, সর্দি তাহার নাসিকাতে

      সর্বদাই থাকে। শীতকালে পায়ের তলায় ঘর্ম

      হয়।

২৪. মাসিকের সময় প্রচণ্ড কষ্ট হয়, যৌনসম্ভোগে

      কোন আনন্দ পান না, দেহে ও মনে শুধু 

      কষ্ট আর যন্ত্রণা।

২৫. ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, শয্যা মূত্র, ক্ষীণ মূত্র ধারা,

       অতি মূত্র বা ডায়াবেটিকস।

২৬. প্রচণ্ড কোষ্ঠকাঠিন্য, পিছন দিকে অনেকটা

      হেলে চাপ দিলে তবে মল ত্যাগ হয়।

২৭. গাড়ী বা নৌকা ভ্রমনে শিরপীড়া  ও গা বমি

      বমি ভাব।

২৮. মাদকাশক্তি নিরসনে এটি একটি উপকারী

       ঔষধ।

২৯. স্রাবের দাগ কাপড় হইতে ধুইয়া ফেলিলেও

       উঠিতে চাহে না।

৩০. এই রোগীর হিমাঙ্গ অবস্থায় ঘর্ম হইতে থাকে

       তবুও বাতাস চায়।

৩১. চক্ষু প্রদাহে আলোক একেবারে অসহ্য।

৩২. মেডোরিনামের রোগী হাঁটুর উপর ভার দিয়া

      বালিশে মুখ গুঁজিয়া শুইলে উপশম। বাতের

      ব্যথা নড়াচড়ায় বৃদ্ধি পায়। আক্রান্ত স্থান

      টিপিয়া দিলে উপশম।

৩৩. ঘন ঘন স্বপ্নদোষ, ধাতুদৌর্বল্য, ধ্বজভঙ্গ

      পীড়াতে ইহার ব্যবহার বড়ই ফলপ্রদ।


মানসিক চরিতগতঃ

১. স্মৃতিশক্তি এত দুর্বল যে, কথা কহিতে কহিতেই

    ভুলিয়া যায় সে কি বলিতেছিল। বহু পরিচিত

    লোকের নাম বা ঠিকানা মনে থাকে না। কখনও

    কখনও রোগী নিজের নাম ভুলে যায়।

২. মেডোরিনাম রোগ যন্ত্রণায় অস্হির হইয়া এবং

     মৃত্যুভয়ে কাতর হইয়া কাঁদিতে থাকে, প্রার্থনা

     করিতে থাকে। ব্যাকুলতা, উদ্বেগ ও আশঙ্কা। 

৩. রোগী না কাঁদিয়া বা চক্ষুর জল না ফেলিয়া

     কিছুই বলিতে পারে না।

৪. অত্যন্ত বাচালতা। শরীরের সর্বত্র পোকা হাঁটার

     অনুভূতি।

৫. যেন কেহ তাহার পিছনে দাঁড়াইয়া আছে, যেন

    কেহ ফিস-ফিস করিয়া তাহাকে কি বলিতেছে।

    যেন কেহ তাহাকে আসবাবপত্রের পিছন থেকে

    দেখছে।

৬. শিশুরা গায়ে হাত দেওয়া পছন্দ করে না।

৭. অযোগ্যতাকে ঢেকে রাখার জন্য মনে উদ্বেগ

    কাজ করে তখন উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ

    সারাক্ষণ পা নাড়ায় বার বার হাত ধোয়।

   টেনশন হলে বার বার দাঁত দিয়ে নখ কাটে। মনে

   অপরাধ বোধ কাজ করে বার বার হাত পরিষ্কার

    করার মধ্য দিয়ে এটা প্রকাশ পায়।

৮. এদের মেজাজ কর্কশ, অহংকারী, স্বার্থপর ও

    কৃপণ, সমালোচনা দিয়ে নিজের দুর্বলতাকে

    আড়াল করার চেষ্টা করে।

৯. কারো সাথে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা

    থাকলে, যতোক্ষণ সে মানুষের সাক্ষাত না হয়

    ততোক্ষণ এরা অস্হির হয়ে থাকে পায়চারী

    করতে থাকে দেখা হলে সব ঠিক।

১০. অন্যমনষ্ক থাকে ফলে হঠাৎ কোন শব্দ হলে

      বা ধাক্কা লাগলে চমকে উঠে। এই রোগীর

      পীড়ার কথা মনে পড়িলে বৃদ্ধি। 

১১. এরা যেমন নিষ্ঠুর হয় তেমনি দয়ালু,

       অতিথিপরায়ন হয়। স্নানে ইচ্ছা। 

১২. যেহেতু সারাক্ষণ ক্ষতির আশঙ্কায় থাকে তাই

       ভয়ের স্বপ্ন দেখে, কুকুর,  সাপ কামড়াচ্ছে

       ইত্যাদি।

১৩. এই ঔষধের কোন কোন রোগী সহজেই

       রাগান্বিত হয় আবার কোন কোন রোগী

       পালসের মত অতিশয় বিনয় নম্র এবং শীতল

       মেজাজের হইয়া থাকে।

১৪. দ্রুত কথা বলে বা কাজ করে। হিংস্র, নীচ

       মন, কঠোর আবেগ প্রবণ।

১৫. বজ্র, ভূত, প্রেত, জীন প্রভৃতি এবং অন্ধকার

      রাত্রির ভীতি তাহার মধ্যে অতি উত্তমরূপেই

      লক্ষিত হয়।


ইচ্ছাঃ লবন, ঝাল, মিষ্টি, তামাক, উত্তেজক পদার্থ


বৃদ্ধিঃ ঠাণ্ডায়, দিবাভাগে, সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত

         পর্যন্ত, ভোর ৩ - ৪ টায়, স্পর্শে, বন্ধ ঘরে,

         রোগের চিন্তায়, বজ্রপাতে ও ঝড়ের পূর্বে।


হ্রাসঃ মুক্ত হাওয়ায়, সূর্যাস্তে, পেটের উপর শয়নে,

         পিছনে বাঁকলে, পাখার বাতাসে, খুব জোরে

         ঘর্ষণে, সমুদ্রতীরে।


সতর্কতাঃ

১. ডা. বোরিক বলেন - এই নোসোড ঔষধটি

    অবশ্যই ঘনঘন পুনঃপ্রয়োগ করবে না।

আপনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলে, এলোপ্যাথি চিকিৎসার এদিক গুলো আপনার জানা দরকার।

 আপনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলে, এলোপ্যাথি চিকিৎসার এদিক গুলো আপনার জানা দরকার।

এতে করে আপনি রোগীকে এবং সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হবেন, কেন এলোপ্যাথি চিকিৎসার চাইতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিরাপদ। 


এলোপ্যাথি চিকিৎসার ভয়ংকর দিকগুলি:

১. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects)

প্রায় সব এলোপ্যাথিক ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যেমন:

অ্যান্টিবায়োটিকস লিভার ও কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে।


পেইন কিলার (NSAIDs) গ্যাস্ট্রিক আলসার, কিডনি সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


স্টেরয়েডস ব্যবহারে হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, হাড় ক্ষয়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।


২. রেসিস্ট্যান্স (Drug Resistance)

অতিরিক্ত বা অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়, ফলে পরবর্তীতে কার্যকর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।


উদাহরণ: MRSA (Methicillin-Resistant Staphylococcus Aureus)—একটি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া।


৩. ইমিউন সিস্টেমে প্রভাব (Impact on Immunity)


কিছু ওষুধ যেমন কেমোথেরাপি বা ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ড্রাগস রোগীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করে ফেলে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।


৪. লং-টার্ম ডিপেন্ডেন্সি (Long-term Dependency)

অনেক এলোপ্যাথিক ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করলে রোগী নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।


যেমন: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস, স্লিপিং পিলস, ইত্যাদি।


৫. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি (Organ Toxicity)

দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ ব্যবহারে লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


উদাহরণ: Paracetamol-এর অতিরিক্ত ডোজ লিভার ফেইলিওর ঘটাতে পারে।


৬. হিউম্যান মাইক্রোবায়োমে প্রভাব (Effect on Gut Microbiome)


অনেক ওষুধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলে, যা পাচন ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


শুধু একজন চিকিৎসকের নয় বরং সাধারণ মানুষেরও খারাপ দিক গুলোর কথা জানা দরকার।

একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এ বিষয়গুলো জানতেই হবে: 

 একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এ বিষয়গুলো জানতেই হবে: 


১। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"হোমিওপ্যাথিক ওষুধে তো কার্যকর কোনো রাসায়নিক উপাদান থাকে না! এত পাতলা করে দেওয়া হয় যে কিছুই থাকে না। কিভাবে তা কাজ করে?"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

আপনি ঠিকই বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অনেক উচ্চমাত্রায় ডাইলিউট করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে—এই ওষুধে ন্যানোপর্যায়ে মূল পদার্থের কণিকা (nanoparticles) থেকে যায় যা কোষে গিয়ে কাজ করে।

২০১০ সালে IIT Bombay-এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এসব কণিকা সক্রিয় থাকে এবং জৈবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কাজেই, এটি কেবল জল নয়, বরং তথ্যবাহক (information carrier) হিসেবে কাজ করে।


২। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"হোমিওপ্যাথি আসলে প্লাসেবো—মনস্তাত্ত্বিক ভরসা ছাড়া আর কিছু নয়।"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

এই বক্তব্য  সঠিক নয়। যদি প্লাসেবো হতো, তাহলে শিশুরা, পশুপাখি কিংবা অচেতন রোগীদের ক্ষেত্রে ফলাফল কীভাবে আসে?

Arnica, Belladonna, Aconite ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহারে এমন রোগীদের মধ্যে দ্রুত আরোগ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো মানসিক প্রত্যাশা ছিল না।

এছাড়া বহু ডাবল-ব্লাইন্ড ট্রায়াল এবং মেটা-অ্যানালাইসিসেও হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।


৩। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"তবে তো গবেষণা কম। প্রমাণ তো বেশি নেই।"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার হোমিওপ্যাথিক গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, Swiss Health Technology Assessment (2011) রিপোর্টে হোমিওপ্যাথিকে নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যয়সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল, ইউকে সহ বহু দেশে সরকারিভাবে হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।


৪। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :

"হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে—তীব্র বা জটিল রোগে তো সময় নেই!"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

এটি একটি ভুল ধারণা। হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে ক্রনিক বা পুরনো রোগে, কারণ রোগ অনেক গভীরে যায়। আর এসব রোগ হোমিওপ্যাথিতে নির্মূল হয় কিন্তু এ্যালোপ্যাথিতে আরোগ্য হয়না শুধু উপশম হয় মাত্র। তাহলে কাজ দ্রুত কোন চিকিৎসা করলো? নিশ্চিয় হোমিওপ্যাথি।  তাছাড়া একিউট রোগে (যেমন জ্বর, সর্দি, ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, খাদ্যে বিষক্রিয়া) হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দ্রুত ফল দেয়।

যেমন: Colocynthis দিয়ে পেট ব্যথা ১০ মিনিটের মধ্যে উপশম হতে দেখা গেছে। Pantago দিয়ে কানের ব্যাথা ২মিনিটে আরোগ্য হতে দেখা গেছে। 


৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী :

"তুমি বললে, এক রোগে একাধিক ব্যক্তির ভিন্ন-ভিন্ন ওষুধ হতে পারে। এতে তো চিকিৎসা পদ্ধতির নিশ্চয়তা নেই!"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

বরং এখানেই হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক সৌন্দর্য। এটি Individualization-এর উপর ভিত্তি করে, যেটা আধুনিক Personalized Medicine-এর ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

উদাহরণস্বরূপ, তিনজন ডিপ্রেশনের রোগীকে তিনটি ভিন্ন ওষুধ (যেমন: Ignatia, Natrum Mur, Aurum Met) দেওয়া হতে পারে, কারণ তাদের মানসিক অবস্থা ও অভিজ্ঞতা আলাদা।


৫। হোমিওপ্যাথি বিরোধী:

"তবে হোমিওপ্যাথির নিজস্ব প্রতিরোধমূলক শক্তি তৈরির কোনো প্রমাণ আছে?"


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার:

অবশ্যই। হোমিওপ্যাথিতে Nosodes নামক ওষুধ থাকে, যেগুলো রোগের জীবাণু থেকেই তৈরি—যেমন Tuberculinum, Psorinum, Influenzinum।

এটি অনেকটা ভ্যাকসিনের মতোই: জীবাণুকে ক্ষীণমাত্রায় প্রয়োগ করে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করা হয়।

তফাৎ শুধু এতটুকু, হোমিওপ্যাথিতে এটা করা হয় potentization পদ্ধতিতে, ইনজেকশন বা কৃত্রিম রাসায়নিক নয়।


মোটকথা: 

 হোমিওপ্যাথি আধুনিক বিজ্ঞানের আলোয় তার যথাযথ যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে এবং বিজ্ঞান যত উন্নত হবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাই, প্রকৃত চিকিৎসা তার প্রমাণিত হবে। সত্যের পিছনে সর্বযুগে পুঁজিবাদীরা ষড়যন্ত্র করছে করবেই, তবে সত্য বিজয়ী হবেই হবে ইনশাআল্লাহ! ✌️💪


আপনাদেরকে কেউ কি এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক যুক্তি দেয়, তাহলে  কমেন্ট করে জানান @সেরা ফ্যান।

হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির জনকের ২৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা

 হ্যানিম্যান

হোমিওপ্যাথির জনকের ২৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা



সে সময় ছিল একা, ছিলো না আলো,

চিকিৎসার নামে চলতো কেবল দেহে বিষের ঢল।

চিকিৎসক হয়েও হৃদয়টা তার কাঁদতো,

রোগী বাঁচে না কেন?—প্রশ্নে প্রাণটা দগ্ধ হতো।


হ্যানিম্যান! এক নাম, এক বিপ্লবের ধ্বনি,

যে শুনলো প্রকৃতির ভাষা, নিঃশব্দ ও ধ্বনি।

“সমরূপে সমারোগ”—তোমার সেই তত্ত্ব,

বদলে দিলো চিকিৎসা, জাগালো নতুন রক্ত।


তুমি লিখলে Organon, এক-একটি বাক্যে আস্থা,

প্রতিটি শব্দ যেন মানবতার প্রতি এক ভালোবাসা।

তুমি বললে, “রোগী নয়, রোগের কারণ ধরো,”

চিকিৎসা নয়, করো আরোগ্য—এই হৃদয় দিয়ে চলো।


তোমার পথে ছিলো কাঁটা, বিদ্রূপ আর তুচ্ছতা,

তবু তুমি দমে যাওনি—নেতৃত্বে ছিলো নিষ্ঠা।

ছোট ছোট ডোজ, অথচ তার প্রগাঢ় প্রভাব,

বিজ্ঞানীরা চমকে যায়, তবু হৃদয়ে তার স্নেহস্নান।


আজও ঘরে ঘরে বাজে তোমার পদধ্বনি,

হোমিওপ্যাথির প্রতিটি বর্ণে লেখা তোমার ঋণ।

তুমি নেই, তবু আছো, প্রতিটি বোতলে প্রাণ,

যেখানে রোগ নয়, রোগীকে দেখা হয়—সেই খানেই হ্যানিম্যান।


ডা:মো:জাকির হোসেন

বি এইচ এম এস ( ঢাবি)


বইয়ের রিভিও

 প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কথা। প্রাচীন গ্রিসে তখন প্রধানত দুই ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল। এর মধ্যে একটি হলো অলিগার্কি, আর অন্যটি হলো ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র। অলিগার্কি মানে অল্প কয়েকজন লোকের শাসন। এই অল্প কয়েকজন লোক হচ্ছেন সমাজের সবচেয়ে উঁচু বংশ এবং সম্পদশালী পরিবারের লোক। প্রাচীন গ্রিসের স্পার্টা রাষ্ট্রে ছিল এই অলিগার্কি শাসনব্যবস্থা।


স্পার্টার মূলত যুদ্ধ এবং সামরিক শক্তির বিষয়েই তাদের বেশিরভাগ সম্পদ খরচ করত। স্পার্টা ছিল তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী নগর রাষ্ট্র। স্পার্টা মত আরেক শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিল এথেন্স। এথেন্সে আবার চলত ডেমোক্রেট্রিক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এথেন্সের মূল ফোকাস ছিল সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার দিকে। এক পর্যায়ে এথেন্সও স্পার্টার মত শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পায়। তবে স্পার্টা ছিল প্রতিষ্ঠিত শক্তি, অন্যদিকে এথেন্স ছিল উঠতি শক্তি। এথেন্স সবেমাত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিলো এবং সে সময়ের ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু এই অবস্থা বেশিদিন চলতে পারেনি। একসময় গিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিহাসে এই যুদ্ধ “পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ” নামে পরিচিত। আর এই যুদ্ধের মাধ্যমেই গ্রীক সভ্যতার সোনালী যুগের ধ্বংস শুরু হয়ে যায়।


এথেন্সের সাথে স্পার্টার এই যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞই অনেক ব্যখ্যা দিয়েছেন। এদের মধ্যে গ্রিক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডিসের ব্যখ্যায় একদম মূল কথাটা উঠে আসে। তাঁর মতে, এথেন্স যে নতুন শক্তি হিসেবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল, এতে স্পার্টার ভয় হচ্ছিলো। এথেন্স যেন স্পার্টাকে ছাড়িয়ে না যেতে পারে সে ব্যবস্থা করাটাই তখন স্পার্টার একমাত্র মাথাব্যথা।    স্পার্টার এই ভয় থেকেই দুই রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এই ঘটনাটা শুধু প্রাচীন গ্রীসেই সীমাবদ্ধ নয়। ইতিহাসে বার বার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।


সেই উনিশ শতকের শুরুতে নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “চীন ঘুমাচ্ছে, তাকে ঘুমাতে দাও। যদি এই ঘুম ভাঙে, সে পুরো পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিবে।” নেপোলিয়নের সেই কথার পর কেটে গেছে বহু বছর। এখন ২০২৩ সাল। চীনের ঘুম সত্যি ভেঙেছে। বর্তমান পৃথিবীতে শিল্প ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের চরম মুহুর্ত চলছে। আর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে আমরা স্পার্টা-এথেন্সের মতো একই ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং প্রতিষ্ঠিত শক্তি। অন্যদিকে চীন হলো উঠতি শক্তি। শক্তিশালী দেশ হিসেবে চীনের উত্থান ছিলো আশ্চর্যজনকভাবে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং নাটকীয়। এই নব্বইয়ের দশকেই চীন ছিল একটা গোবেচারা রাষ্ট্র। কিন্তু মাত্র কয়েক দশকের ভেতর চীন কৃষিপ্রধান সমাজ থেকে শিল্পোন্নত জাতিতে এবং বিশ্বের শীর্ষ শিল্প-উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে চীন এখন একটি মুখ্য চরিত্র।


চীনের এই বিস্ময়কর উত্থান তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বিশ্ব শক্তির ভারসাম্যের এই বিশাল পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন একটি শক্তি। চীনের বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকেই বোঝা যায় চীন নিজেও ক্ষমতার জন্য মরিয়া। নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার পথে যত প্রতিবন্ধকতা, সেসব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কিংবা আগ্রাসী হুমকি দিতে চীন দ্বিধা করে না।


একটা নতুন রাষ্ট্র যখন নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে তখন সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র তাকে হুমকি মনে করে। ধীরে ধীরে তারা যুদ্ধের দিকে ঝুকে পরে, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই যুদ্ধ এড়ানো যায় না। এই পরিস্থিতিকে বলা হয়, “থুসিডাইডস ট্র্যাপ”। আর এই থুসিডাইডস ট্র্যাপ আমাদের বলে দেয়, যখন কোনো উঠতি শক্তি প্রতিষ্ঠিত শক্তির আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে, তখন যুদ্ধই হলো সম্ভাব্য ফলাফল। চতুর্থ শতাব্দীর গ্রীক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডস হলেন এই তত্ত্বের প্রবক্তা। এই তত্ত্ব অনুসারে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রও এখন সেই থুসিডাইসের ফাদে আটকা পড়েছে।


বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার উপর চীনের ভূমিকা কী প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনও দেখার বাকি আছে। রাজনৈতিক, বিশ্লেষকসহ বিশ্বের বড় বড় থিংক ট্যাংকরা এই ভবিষ্যৎ আঁচ করার চেষ্টা করে চলেছে। এই ভবিষ্যৎকে আঁচ করতে চাইলে  আমাদের অতীতের আরও এমন ঘটনার উপর নজর দিতে হবে।


এজন্য আমরা চলে যাব বিশ শতকের জাপানে। জাপানের তখন সবেমাত্র শক্তিশালী দেশ হিসেবে উত্থান শুরু হয়েছে। তার আগে অর্থাৎ ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব রাজনীতিতে জাপানের তেমন কোন ভূমিকা ছিলোনা। কিন্তু এরপর এমন একটা ঘটনা ঘটে যা জাপানের অর্থনীতিকে ফুলে ফেপে উঠতে সাহায্য করেছিল। ঐ সময় মার্কিন নৌবাহিনীর কমোডোর ম্যাথিউ পেরি এদো উপসাগরে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের জন্য গানবোট জাহাজের একটি বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সেখানে গিয়ে তিনি জাপানের সম্রাটকে বাণিজ্যের জন্য জাপান সীমান্ত খুলে দিতে কিছুটা জোরপূর্বকই রাজি করান। লোভি জাপান তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং রাশিয়ার মতো বড় বড় দেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার সাথে পাল্লা দিতে ছুটে যায়। ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৯ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপি প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জাপান তখন কেবলমাত্র বড় বড় দেশগুলোর সমান পদমর্যাদা অর্জন করেই সন্তুষ্ট হয়নি। জাপান তখন আশেপাশের অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারেরও প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছিলো।


জাপানের প্রতিবেশী দেশ কোরিয়ায় যখন বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন জাপানের শক্তি প্রদর্শন করার সুযোগ আসে। তখন জাপান এবং চীন দুই দেশই সেখানে সৈন্য পাঠানোর সুযোগ নেয়। অতি শীঘ্রই তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে জাপান জয়ী হয়। ফলে কোরিয়া, তাইওয়ান এবং মঞ্চুরিয়ার নিয়ন্ত্রণ জাপানের হাতে চলে আসে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে মঞ্চুরিয়াতে আবার রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ ছিল। ফলে এই ঘটনায় রাশিয়া স্বভাবতই নাক গলাতে আসবে। জাপান ঐ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার ছয় দিন পর রাশিয়ার অনুরোধে ইউরোপ জাপানের উপর চাপ প্রয়োগ করা শুরু করে। ফলে জাপান বাধ্য হয়ে মঞ্চুরিয়া থেকে সরে আসে। অবশ্য জাপান আশা করেছিল যে এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া হয়ত কোরিয়াকে জাপানের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু রাশিয়া স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার জানায়। রাশিয়া কোরিয়ায় একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেয়। মঞ্চুরিয়া ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে জাপান তখন নিজেদের জন্য ক্ষতি হিসেবে দেখা শুরু করে। এর ফলে জাপান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে জাপানই জয়ী হয়।


জাপানের এই মনোভাব বিশ্ব-রাজনীতির ইতিহাসে আমরা বার বার দেখতে পাই। জাপানের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই সে তখন বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল। কিন্তু চীনের সাথে দ্বন্দ্বে রাশিয়া এবং ইউরোপের হস্তক্ষেপে জাপান বেশ অপমানিত বোধ করে। এই ঘটনায় জাপানের যে মনোভাব দেখতে পাওয়া যায়, অর্থাৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে প্রভাব বিস্তার করা, আগ্রাসী ভূমিকা, প্রতিষ্ঠিত শক্তির হস্তক্ষেপে অপমানিতবোধ হওয়া- সবই একটি উঠতি শক্তির বৈশিষ্ট্য। আর এসব বৈশিষ্ট্য সামরিক আগ্রাসনের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।


ঠিক একই ঘটনা লক্ষ করা যায় বর্তমান সময়ের চীনের মধ্যে। ঐ সময় জাপান যা যা করেছিল এবং জাপানের যে ধরনের মনোভাব ছিল তার সবই এখন চীনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। চীনের পাগলা ঘোড়ার মত অগ্রগতি চীনকে সেই একই অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত শক্তি অ্যামেরিকার সাথে তার ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিরোধে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। কিন্তু এই বিরোধ আর প্রতিযোগিতা কোথায় গিয়ে থামবে? চীন আর অ্যামেরিকা কি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে? চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মূলত থুসিডাইসের ট্র্যাপের মধ্যে পরে গেছে। এই ট্র্যাপ থেকে বের না হতে পারলে আরেকটা বড় যুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর খুব কঠিন।


চীন-আমেরিকার এই থুসিডাইডস ট্র্যাপ নিয়ে ‘Destined For War: Can America and China Escape Thucydides's Trap’ বইতে লেখক গ্রাহাম অ্যালিসন বিস্তর আলোচনা করেছেন। অ্যালিসন পরমাণু কৌশল, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং চীনা রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি মার্কিন সরকারের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, চীন নীতি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে কোন কোন ভাবে বিরোধে জড়াতে পারে, তার পরিনতি কি হতে পারে, বা এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে শেষ হবে এইসব নিয়ে এই বইতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এজন্য লেখক পৃথিবীর ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিশ্লেষণ সবকিছুরই সাহায্য নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং ভূরাজনীতি নিয়ে আগ্রহী যে কারও এজন্যই এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।


এবার আলোচনা করব বর্তমান সময়ের হট টপিক সেমিকন্ডাক্টর ইন্ড্রাস্ট্রি উপর লেখা এই বইটি নিয়ে (Chip War: The Fight for the World's Most Critical Technology)


একটা সময়ে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ড্রাস্ট্রি ছিল একচাটিয়া অ্যামেরিকার দখলে। কিন্তু এখন তাইওয়ান, কোরিয়া, ইউরোপ এবং সর্বোপরি চীনের প্রতিযোগীতার কারনে আমেরিকার হাত থেকে এই ইন্ড্রাস্ট্রির আধিপত্য চলে যেতে বসেছে। এই চিপ তৈরির প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রীতিমত এক ভু-রাজনৈতিক যুদ্ধ। অনেকেই এটাকে বলেন চিপ ওয়ার। চীন এখন তেল আমদানির চেয়ে চিপ আমদানিতে বেশি অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু চীনের লক্ষ সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া। এখন চীনকে যদি এই চিপ আমদানীই করতে হয়, তাহলে চীন কখনোই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য চীন চিপ তৈরির উদ্যোগে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢেলে দিচ্ছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে আমেরিকার সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।


সিলিকন দিয়ে তৈরি মাইক্রোচিপ আজকের দিনে আর শুধুমাত্র ইলেক্ট্রনিক্সেই সীমাবদ্ধ নেই। এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ আগামী দিনে জ্বালানী তেলের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হতে চলেছে। তেল নিয়ে যে বিখ্যাত ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে, হয়ত তার থেকেও ভয়াবহ হবে এই সেমিকন্ডাটরের রাজনীতি। কারন আজকের এই আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি হলো ইলেক্ট্রনিক্স বা সেমিকন্ডার চিপ। এমনকি সামরিক শক্তি, অর্থনীতি, বা ভূ রাজনৈতিক ক্ষমতার সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো এই সেমিকন্ডাকটর। মিসাইল হোক বা মাইক্রোওয়েব ওভেন, সেটা তৈরি করতে শেষ পর্যন্ত এই চিপ ছাড়া গতি নেই। ফলে পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে এই সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশগুলোও তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে বা অন্য দেশের উপর তাদের নির্ভরতা কমাতে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠছে।


অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ ক্রিস মিলার ব্যাখ্যা করেছেন যে সেমিকন্ডাক্টর কীভাবে আধুনিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিপ ডিজাইন এবং উত্পাদনে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছিল। আর এই চিপ তৈরির কারনেই কিভাবে দেশটি সামরিক শক্তিতে মারাত্মক অগ্রগতি লাভ করেছিল। স্নায়ুযুদ্ধে আমেরিকার বিজয় এবং এর বৈশ্বিক সামরিক আধিপত্যের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অ্যামেরিকার কম্পিউটিং শক্তি। কিন্তু এখন চীন তার চিপ তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সামরিক আধুনিকীকরনের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আগামী দিনে কি হতে চলেছে? চীন কি অ্যামেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে। এই বইতে ক্রিস মিলার সেই বিষয়টাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।


ফেইসবুক পোস্টের লিমিটেশনের জন্য সবগুলো বইয়ের রিভিও এখানে দেয়া সম্ভব হলো না, তাই প্রতিটি বইয়ের রিভিও প্রতিটা বইয়ের ছবির ডেস্ক্রিপশনে দেয়া হল, ছবিতে ট্যাব/ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন রিভিওগুলো।


বইগুলো আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে চাইলে আজই "Order now" বাটনে ক্লিক করে অর্ডার করুণ অথবা WhatsApp করুণ এই নাম্বারে 01950-886700 ।

আহমদুল্লা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 করোনায় চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। জমানো অর্থে ইজিবাইক কিনে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন। এক রাতে ইজিবাইকটি ছিনতাই হয়ে গেলে পৃথিবী আঁধারে ছেয়ে যায় তার।


বলছি আবদুল রশিদের কথা। ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে তার বাড়ি। শৈশব থেকেই তীব্র অর্থসংকটের ভেতর বড় হয়েছেন। 


এসএসসি পাস করেই যোগ দিতে হয় কাজে। গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। কাজ নেন গার্মেন্টসে।


প্রথম দিকে কাজ ছিল কঠিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। 


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করেন। প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের পোশাক—সবই বানাতে পারেন। শুধু তাই নয়, স্কুল ব্যাগ, মানিব্যাগ তৈরির কাজেও হয়ে ওঠেন দক্ষ। চার বছর গার্মেন্টসে কাজ করার পর হঠ্যাৎ মহামারী করোনা আসলে চাকরিচ্যুত হন তিনি। 


জমানো সামান্য পুঁজি নিয়ে ফিরে আসেন গ্রামে। ইজিবাইক কেনেন। কিন্তু এক রাতে ইজিবাইকটিও ছিনতাই হয়ে যায়। 


একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ, হাতে টাকা নেই, সংসারে বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও সন্তান। দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন আবদুর রশিদ। কিন্তু হাল ছাড়েন না। 


নতুন করে বাঁচতে হবে—এই বিশ্বাস নিয়ে বাজারে বসে ব্যাগ বানানো শুরু করেন। দিনরাত খাটেন; কিন্তু আয় বাড়ে না।


এই সীমাহীন দুর্ভোগের মাঝেও উঁকি মারে স্বপ্ন—ছোট্ট করে হলেও যদি একটা কাপড়ের কারখানা দিতে পারতেন! যেখানে তৈরি হবে শিশুদের জামা, পাঞ্জাবি, ব্যাগ, মানিব্যাগ! 


আবদুর রশিদের অধরা স্বপ্ন সত্যি হতেই যেন এ সময় আমাদের উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়া হয়। আশান্বিত হয়ে ওঠেন তিনি। একটি কাপড়ের কারখানার আবেদন করেন।


কয়েক স্তরের যাচাই-বাছাইয়ের পর আবেদন গৃহীত হয় তার। কারখানার জন্য দুই ধাপে তাকে প্রদান করা হয় দুই লক্ষ টাকা। 


কারখানার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা (টিন, পিলার, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্ট, বালু, মিস্ত্রি ব্যয় ইত্যাদি)। মেশিন বাবদ খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা (ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, লক মেশিন, কানসাই মেশিন, কাপড় কাটার মেশিন, আয়রন মেশিন ইত্যাদি)। ব্যাগের কাপড় ও অন্যান্য উপকরণ ক্রয় বাবদ খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। 


আবদুর রশিদ স্থানীয় মার্কেটে নিজের বানানো ব্যাগ বিক্রি করেন। ১০০ পিস ব্যাগ বিক্রি করলে তার লাভ হয় ৭/৮ হাজার টাকা। 


ঈদে, কারখানা চালুর ১৫ দিনের মধ্যে, এক মাদরাসা থেকে ১৫০ পিস পাঞ্জাবির অর্ডার পান। সেখান থেকে লাভ করেন ১২ হাজার টাকা। 


আবদুর রশিদের আশা—আল্লাহর রহমতে দিন যত যাবে, তার আয় ততই বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

একটি দিকনির্দেশনামূলক ওভারকারেন্ট রিলে (Directional Overcurrent Relay) এর কার্যপ্রণালী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি রিলে যেটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট দিক থেকে অতিরিক্ত কারেন্ট আসলে ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়। 

 এই চিত্রটি একটি দিকনির্দেশনামূলক ওভারকারেন্ট রিলে (Directional Overcurrent Relay) এর কার্যপ্রণালী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি রিলে যেটি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট দিক থেকে অতিরিক্ত কারেন্ট আসলে ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়। নিচে এই চিত্রের প্রতিটি ইউনিট বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:


১. Directional Unit (ভোল্টেজ কয়েল ও কারেন্ট কয়েল সমন্বয়): এই ইউনিটটি ফিডারের মধ্যে ত্রুটির দিক নির্ধারণ করে। V কয়েল ভোল্টেজ সোর্সের সাথে যুক্ত থাকে। I কয়েল কারেন্ট সোর্সের সাথে যুক্ত থাকে। এই দুটি কয়েল একত্রে একটি ঘূর্ণন বল (torque) তৈরি করে, যা রোটরকে ঘোরাতে সাহায্য করে। যদি ফিডারের ভোল্টেজ ও কারেন্ট নির্দিষ্ট কোণ বা পোলারিটি মেনে চলে (যা ত্রুটির নির্দিষ্ট দিক বোঝায়), তখনই এই ইউনিট কাজ করবে।


২. Overcurrent Unit (কারেন্ট সেন্সিং ইউনিট):

এটি সাধারণ ওভারকারেন্ট রিলের মত কাজ করে।

শুধুমাত্র তখনই কাজ করে যখন তাতে নির্ধারিত সীমার বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এটি Directional Unit থেকে অনুমোদন পেলে তবেই এটি ট্রিপ সিগন্যাল তৈরি করে।


৩. Trip Circuit (ট্রিপ সিগন্যাল প্রেরণ):

Directional Unit এবং Overcurrent Unit উভয়ের সম্মতিতে ট্রিপ কন্টাক্ট বন্ধ হয়। এরপর এই রিলে সার্কিট ব্রেকারকে একটি ট্রিপ সিগন্যাল পাঠায়, যাতে ত্রুটিপূর্ণ অংশ বিচ্ছিন্ন করা যায়।


নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...