এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করা ১২ বিষয়

 বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করা ১২ বিষয়


১. বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী নয় – জীবনের পথে অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও সময়ের সঙ্গে দূরে সরে যায়।


2. নিজের সঙ্গে সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – আত্মসম্মান ও মানসিক শান্তি বিশ্বের সব সম্পর্কের চেয়ে মূল্যবান।


3. কেউ পরিশ্রম দেখে না, সবাই শুধু ফলাফল দেখে – সফল হলে প্রশংসা, ব্যর্থ হলে সমালোচনা। তাই নিজের জন্যই পরিশ্রম করুন।


4. হৃদয়ভঙ্গ ও ব্যর্থতা জীবনেরই অংশ – এগুলো এড়ানো নয়, বরং শেখার সুযোগ হিসেবে দেখাই শ্রেয়।


5. বাড়ির মতো আপন কোনো জায়গা নেই – দুনিয়ার যেখানেই যান, মানসিক শান্তির ঠিকানা একটাই—নিজের ঘর।


6. পরিবার ও অর্থই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ – বন্ধু, গ্ল্যামার বা সামাজিক মর্যাদা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরিবার ও অর্থ দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে আগলে রাখে।


7. বই-ই সত্যিকার বন্ধু – বই কখনো প্রতারণা করে না, বরং জ্ঞানের আলো দিয়ে পথ দেখায়।


8. শারীরিক ব্যায়াম চাপ কমায় – শুধু ফিটনেসের জন্য নয়, মানসিক প্রশান্তির জন্যও ব্যায়াম জরুরি।


9. অনুশোচনা ও কান্নায় সময় নষ্ট নয় – যা হয়ে গেছে, তা আর ফিরে আসবে না। সামনে এগোনোর দিকেই নজর দিন।


10. আজ যা চাইছেন, কাল হয়তো তার মূল্যই থাকবে না – মানুষের চাহিদা বদলায়, তাই আবেগের বশে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।


11. আপনার সিদ্ধান্তই জীবন গড়ে দেয়, ভাগ্য নয় – ভাগ্য নির্ধারিত নয়, বরং আপনার সিদ্ধান্তই ভবিষ্যৎ তৈরি করে।


12. শৈশবই জীবনের সেরা সময় – দায়িত্বহীন, নির্মল আনন্দের সেই দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসে না।

প্রশ্ন: কোডিং শেখার দরকার আছে? যখন AI সব কাজ করে দিচ্ছে!

 প্রশ্ন: কোডিং শেখার দরকার আছে? যখন AI সব কাজ করে দিচ্ছে!


সম্প্রতি অনেকেই ভাবছে: "AI যখন কোড লিখে দিতে পারে, তাহলে প্রোগ্রামিং শেখার দরকার কী?" ChatGPT-এর মতো টুলস কয়েক সেকেন্ডেই কোড লিখে দিতে পারে—তাহলে নিজের সময় নষ্ট করে শেখার মানে কী?


এই প্রশ্ন স্বাভাবিক, কিন্তু বাস্তবতা হলো—AI যত শক্তিশালীই হোক, coding এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ!


AI ব্যবহার করতে হলে Coding জানা লাগবেই


ধরুন, ChatGPT আপনাকে একটা কোড লিখে দিল। আপনি সেটা রান করলেন, কিন্তু ঠিকমতো কাজ করছে না! এবার? যদি coding না জানেন, তাহলে সমস্যাটা বুঝবেন কীভাবে? AI কোড লিখতে পারে, কিন্তু debugging, optimization, আর efficiency বাড়ানোর কাজ আপনাকেই করতে হবে।


এছাড়া, AI সবসময় পারফেক্ট কোড লিখতে পারে না। অনেক সময় এতে bugs, security issues, কিংবা inefficient code থাকতে পারে। এগুলো শুধরানোর জন্য প্রোগ্রামিং জানা জরুরি।


AI পুরনো ডেটা থেকে শেখে, কিন্তু নতুন আইডিয়া আসে মানুষের কাছ থেকে


Coding মানে শুধু syntax শেখা না, problem-solving আর logical thinking ডেভেলপ করা। AI যা শিখেছে সেটার ভিত্তিতেই সলিউশন দিতে পারে, কিন্তু innovation আসবে মানুষের মাথা থেকে!


• নতুন প্রযুক্তি তৈরি করতে গেলে coding জানা লাগবেই

• AI শুধুমাত্র patterns ফলো করতে পারে, out-of-the-box thinking এখনো মানুষেরই কাছে সীমাবদ্ধ

• Creative problem-solving করতে গেলে programming knowledge must


AI-ভিত্তিক টুলস চালাতেও Developers লাগে!


AI, Machine Learning, আর Data Science—সবকিছুর পিছনে কোড আছে। যদি AI নিয়ে ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে Python, R, Julia-এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা লাগবেই।


ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, অটোমেশন—এসব ক্ষেত্রে coding ছাড়া এগোনো অসম্ভব। AI-কে কাস্টমাইজ, ট্রেনিং বা অপটিমাইজ করার জন্যও skilled programmers প্রয়োজন।


AI শেখার জন্যও Coding দরকার, বরং এখন শেখাটা আরও সহজ!


আগে coding শেখা ছিল অনেক কঠিন, কিন্তু এখন AI-powered tools যেমন ChatGPT, GitHub Copilot শেখার প্রসেসটা অনেক সহজ করে দিয়েছে।


• Bug fix করা এখন অনেক সহজ

• AI শেখার গাইড দিতে পারে, কিন্তু লজিক তৈরি আপনাকেই করতে হবে

• Python, JavaScript শেখার জন্য অসংখ্য রিসোর্স এখন ফ্রিতে পাওয়া যায়


AI প্রোগ্রামারদের প্রতিস্থাপন করছে না, বরং তাদের কাজ আরও সহজ করছে।


AI Developer দের চাহিদা এখন আকাশচুম্বী!


AI যত জনপ্রিয় হচ্ছে, software developers, machine learning engineers, আর data scientists-দের demand তত বাড়ছে।


কম্পানিগুলো এখন AI-driven solutions তৈরি করছে, যেখানে skilled AI developers দরকার হচ্ছে আরও বেশি।


শেষ কথা


আজকের AI-ভিত্তিক দুনিয়ায় coding শুধু trend না, বরং necessity! AI-কে কন্ট্রোল করতে গেলে, programming শেখাটা বাধ্যতামূলক।


তাই Python, JavaScript, Go, Rust—যে কোনো একটা ল্যাঙ্গুয়েজ বেছে নিন আর শেখা শুরু করুন। ভবিষ্যৎ তাদেরই হবে, যারা AI-কে শুধু ব্যবহার করবে না, বরং তৈরি করবে!

বিজ্ঞাপনটার কথা কি আপনাদের মনে আছে

 বিজ্ঞাপনটার কথা কি আপনাদের মনে আছে ?

বর্তমানে দেশের তীব্র দাবদাহের প্রেক্ষাপটে খুব মনে পড়ছে।


কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল খায়ের অভিনীত একটা বিজ্ঞাপন শৈশবে বিটিভিতে প্রায়ই দেখতাম। যতদূর মনে পড়ে, কবিরাজ আবুল খায়ের গ্রামের একটি জায়গায় লোকজন জড়ো করে বলতে থাকেন-


“আল্লাহর দান এই গাছ। যারা চিনতে পারে, তারা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারে, আর যারা চিনতে পারে না তাদের জন্য আছি আমি। আমি কবিরাজ। গাছ নিয়ে আমি প্রশ্ন করি, আপনারা উত্তর দেন।”


কবিরাজ – “গাছ আমাদের কি কামে লাগে?”

জনতা — “গাছ আমাগো অনেক কামে লাগে।”

কবিরাজ –“যেমন?”

জনতা –“গাছ আমাদের নানা রকম ফল দেয়।”

কবিরাজ — “আর?”

জনতা — “গাছ আমাদের ছায়া দেয়।”

কবিরাজ — “আর?’

জনতা — “লাকড়ি দেয়, চুলা জ্বালাই।”

কবিরাজ – “আর?”

জনতা — “কাঠ দিয়া খাট পালঙ্ক বানাই।”

কবিরাজ — “হের লাইগা-বেবাক গাছ কাইটা ফালাইতাসে। কিন্তু আসল কথাটা কেউ কইলেন না। দমের কথা ! প্রতিটা নিঃশ্বাসের লগে আমরা যে অক্সিজেন নেই, সেটা কে দেয়?”


“ভাইসব… একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আর দেয় ওষুধ যা আমি আপনাগো পৌঁছাইয়া দেই। সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?”


বৃক্ষ মালিক — “কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?”

কবিরাজ — “আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?”

বৃক্ষ মালিক — “আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।”

কবিরাজ — “এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ।”

বৃক্ষ মালিক — “আছিলো , কাইট্টা ফালাইছি।”

কবিরাজ — “আপনের গাছ?”

বৃক্ষ মালিক — “হ । টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।”

কবিরাজ — “গাছ লাগাইছিলো কে?”

বৃক্ষ মালিক — “আমার বাবায়।”

কবিরাজ — “আপনি কী লাগাইছেন ?”

বৃক্ষ মালিক — “আমি কী লাগাইছি?”

কবিরাজ — “হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।”


কবিরাজ আবারো সবাইকে জড়ো করে বলতে শুরু করেন —

“আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না।

প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি?

অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?”


জনতা- “আহো, মিয়া ভাই তোমারে নিয়া একটা চারা গাছ লাগাই আর মনে মনে কই সবুজ দুনিয়া দেখতে চাই, বুক ভইরা দম নিতে চাই। আর আমাদের সন্তানেরা, তোমাগোর লাইগ্যা টাকার গাছ লাগাইলাম। অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম।“


### আবুল খায়েরের ছবি- "আজ রবিবার" নাটক থেকে নেয়া।

এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার অসুস্থ স্ত্রীর সব কাজ নিজের হাতে করতেন

 এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার অসুস্থ স্ত্রীর সব কাজ নিজের হাতে করতেন। স্ত্রীর জন্য তিনি রান্না করতেন, নিজের হাতে খাইয়ে দিতেন, কাপড়চোপড় ধুয়ে দিতেন, ঘুম পাড়াতেন, পরিষ্কার করাতেন, এমনকি কোথাও গেলে স্ত্রীর হাত ধরে সাথে নিয়ে যেতেন! সারাদিনে এক মুহূর্তের জন্যও স্ত্রীকে চোখের আড়াল করতেন না তিনি।


একদিন এক প্রতিবেশী কিছুটা বিরক্তি সহকারে বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি সারাদিন আপনার স্ত্রীর সাথে থাকেন কেন? আপনার নিজস্ব কোনো ব্যক্তিত্ব নেই?"


বৃদ্ধ একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, "আমার স্ত্রী একজন আলঝেইমার রোগী! সে একা একা কিছু করতে পারে না।"


প্রতিবেশী কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন, "আপনি যদি ওনাকে ছেড়ে চলে যান, তাহলে উনি কি খুব কষ্ট পাবেন?"


জবাবে বৃদ্ধ বললেন, "আমার স্ত্রীর স্মৃতি বলে কিছু নেই, আমি কে তাও সে জানে না! অনেক বছর ধরেই সে আর আমাকে চিনতে পারে না।"


প্রতিবেশী বিস্মিত দৃষ্টিতে বললেন, "তারপরও প্রতিদিন আপনি তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন, যে আপনাকে চেনেই না!"


বর্ষীয়ান মানুষটি মৃদু হেসে বললেন, "সে জানে না আমি কে, কিন্তু আমি তো জানি সে কে! সে হলো আমার ভালোবাসা।"


#অনুপ্রেরণা #মোটিভেশনাল

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২০-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২০-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পেশ - নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ।


আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক - বললেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত - প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর এনসিপির গুরুত্বারোপ।


দেশের অর্থনীতির সার্বিক অগ্রগতি ও অর্জন সন্তোষজনক - বললেন অর্থ উপদেষ্টা।


ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ যাতে আর কোন মিছিল করতে না পারে, সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে - জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করা উচিত বলে মনে করে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোট - বলেছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।


ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে ৩০ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলো রাশিয়া।


সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে আজ।

ক্যাডেট কলেজে খারাপ রেজাল্টের যে কী পরিমাণ অপমান, তা ভুক্তভোগীই জানে

 ভালো ছাত্র, জিনিয়াস—এই মনগড়া ভ্রান্ত ধারণাগুলো এখনো কেন প্রচলিত আছে, তা আমি জানি না। আমি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র ছিলাম। ক্লাস এইট থেকে নাইন ওঠার সময় অঙ্কে ১০০-তে ১২, বিজ্ঞানে ১৭, আর ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছিলাম। আমার পরে যে ছেলে ছিল, সে পরীক্ষাই দিতে পারেনি অসুস্থতার কারণে। নইলে আমিই শেষ হতাম।


ক্যাডেট কলেজে খারাপ রেজাল্টের যে কী পরিমাণ অপমান, তা ভুক্তভোগীই জানে


। আমার কারণে পুরো হাউসের সামগ্রিক ফল খারাপ হলো। সিনিয়ররা মারধর করল, বন্ধুরা তিরস্কার করল, আর কলেজ কর্তৃপক্ষ অপমানের চূড়ান্ত করল—বাইরে না বের করলেও আমাকে সায়েন্স গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে আর্টস গ্রুপে জোর করে দিয়ে দিল।


বাবা বলছেন, সায়েন্স নিয়ে পড়তে। আমিও চাই। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল—সায়েন্স আমার যোগ্যতা নয়। অপমান, প্রত্যাখ্যান, এবং নিঃসঙ্গতার ভারে পিষ্ট হয়ে ১৪ বছরের এক কিশোর গিয়ে দাঁড়াল ভাইস প্রিন্সিপালের অফিসে। কাঁদলাম, হাত-পা ধরলাম। কিন্তু তাতে লাভ হলো না। অনেক অনুরোধের পর লিখিত মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলাম—যদি সায়েন্স পড়তে দিত, তাহলে এসএসসি ও এইচএসসিতে অন্তত ফার্স্ট ডিভিশন নিশ্চিত করব।


এরপরও অপমান আর টিটকারি চলতেই থাকল। কত দিন যে বাথরুমে, ছাদে, অন্ধকারে কেঁদেছি! ১৪ বছরের ছেলের অপমান সহ্য করার ক্ষমতা কতটুকুই বা থাকে? একদিন ঠিক করলাম—আর না। এই অসম্মানের উত্তর দিতে হবে।


তখন থেকেই শুরু করলাম। সবকিছু ছেড়ে দিলাম—বন্ধুবান্ধব, টিভি, সিনেমা, আত্মীয়স্বজন। শুধু বই আর পড়াশোনা। কী আছে এর মধ্যে, সেটা জানার জন্য পাগল হয়ে উঠলাম। অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাংলার প্রশ্ন তৈরি করলাম বিশ্বভারতীর বই ঘেঁটে। অঙ্কের পারমুটেশন-কম্বিনেশন-ইন্টিগ্রেশন কীভাবে বাস্তবে কাজ করে, তা বুঝতে লাইব্রেরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালাম। ইংরেজি কবিতার কবি আর তাদের রচনার সমালোচনা পড়লাম, শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে।


চার বছর ধরে প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা কেটেছে বই, রেফারেন্স আর খাতার সঙ্গে। এমনকি ঈদের দিনও নামাজ পড়ার পর ফিরে এসেছি পড়াশোনায়। বাবা-মা বলতেন, "এইবার থাম," আর বন্ধুরা বলত, "তুই কবরে চলে যাবি!" কিন্তু আমার লক্ষ্য পরিষ্কার ছিল—অপমানের জবাব দিতে হবে।


এই চার বছরে আমি শুধু এইচএসসি সিলেবাস শেষ করেছি সাতবার। বিশ্বাস না হলে অবিশ্বাস করতে পারেন।


১৯৮৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র, অঙ্কে ১২ পাওয়া, সায়েন্স গ্রুপের অযোগ্য বলা সেই ছেলেটি মেধা তালিকায় পুরো বোর্ডে প্রথম হলো! ১৫০,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম! প্রেসিডেন্ট ডাকলেন, টিভি ডাকল, পত্রিকায় ছবি ছাপা হলো।


এটা ছিল আমার মিষ্টি প্রতিশোধ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাইনি।


এই অভিজ্ঞতায় আমি শিখেছি—"ভালো ছাত্র" বা "জিনিয়াস"—এসব কিছুই নয়। আসল কথা হলো কঠোর পরিশ্রম। আমি যদি সত্যিই কিছু পেতে চাই, তাহলে সেটি পাবই। না পাওয়া মানে আমি মন থেকে চাইনি।


আপনি বিসিএসে প্রথম হতে চাননি? চাননি বলেই হননি।

ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাননি? কারণ, আপনি সত্যিই চাননি।

মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা নেই? সেটাও আসলে চাননি।


আমরা সাফল্যের ফলটা দেখি, কিন্তু এর পেছনের শ্রম, ত্যাগ, কষ্ট—এসব দেখিনা। যদি কিছু পেতে চান, তবে সেটা পাওয়ার জন্য পাগলের মতো চেষ্টা করুন। দ্বিতীয় কোনো বিকল্প রাখবেন না। ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। সফল হোন, নতুবা চেষ্টা করতে করতে হারিয়ে যান।


সৃষ্টিকর্তা আমাদের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের চেয়ে শক্তিশালী কিছু নেই। আর শ্রেষ্ঠ জীব কখনো হারতে পারে না।


এই পোস্টের উদ্দেশ্য অহংকার করা নয়, বরং যারা নিজেদের নিয়ে সন্দেহ করেন, তাদের সেই ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া।


—শাব্বির আহসান


ছবি: পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ছাপা হওয়া সংবাদ।


সৌজন্যে: বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫, পরীক্ষার আগের দিন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫,

গণিত বুঝে করলেই সহজ। ভুল করতে ভয় পেয়ো না—সেখান থেকেই শেখা যায়। ধৈর্য রাখো, ধাপে ধাপে সমাধান করো, আত্মবিশ্বাস রাখো নিজের উপর। চেষ্টা করলেই সফলতা আসবে। আজকের জন্য বোর্ড বইয়ের এই গুলো সমাধান করো।

শুভ কামনা!


★দ্বিতীয় অধ্যায়: সেট ও ফাংশন

অনুশীলনী ২.১ : ১, ৬, ৭, ১০, ১১, (উদাহরণ ১৫)

অনুশীলনী ২.২ : ১০, ১১, ১৩, ১৫, ১৮, ২১, ২৩।


★তৃতীয় অধ্যায়: বীজগাণিতিক রাশি

অনুশীলনী ৩.১ : ৮, ৯, ১০, ১৫, (উদাহরণ ৭, ১০)

অনুশীলনী ৩.২ : ৪, ৭, ১৩, ১৫, ১৬, (উদাহরণ ১৬, ১৭)

অনুশীলনী ৩.৩ : ৫, ৬, ১৮, ২১, ২৫।

অনুশীলনী ৩.৫ : ১৪, ১৭, ২৩, ৩২, (উদাহরণ ৪২)


★চতুর্থ অধ্যায়: সূচক ও লগারিদম

অনুশীলনী ৪.১ : ৪, ৬, ৮, ১৫, ১৬, ১৮, (উদাহরণ ৪)

অনুশীলনী ৪.২ : ১, ৪, উদাহরণ ৬, ১০।


★সপ্তম অধ্যায়: ব্যবহারিক জ্যামিতি

অনুশীলনী ৭.১ : ৬।

অনুশীলনী ৭.২ : ১৫, ১৬।

সম্পাদ্য ১, ২, ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ (উদাহরণ ২, ৩)


★অষ্টম অধ্যায়: বৃত্ত

অনুশীলনী ৮.১ : ৩, ৪, ৬, ৮, ১২।

অনুশীলনী ৮.২ : ৩, ৪, ৫।

অনুশীলনী ৮.৫ : ১১, ১৩, ১৫, ১৬।

উপপাদ্য ১৫ (১৩১ পৃষ্ঠার উদাহরণ ১), ১৭, ১৮, ২২, ২৩।


★নবম অধ্যায়: ত্রিকোণোমিতিক অনুপাত

অনুশীলনী ৯.১ : ৫, ১১, ১৭, ২১, (উদাহরণ ১০, ১১)

অনুশীলনী ৯.২ : ২০, ২৪, ২৬, ২৯, (উদাহরণ ১৪)


★ত্রয়োদশ অধ্যায়: সসীম ধারা

অনুশীলনী ১৩.১ : ৮, ১৫, ১৬, ২১, ২৩ (উদাহরণ ৩, ৫)

অনুশীলনী ১৩.২ : ৮, ৯, ১১, ১৫, ২৩।


★ষোড়শ অধ্যায়: পরিমিতি

অনুশীলনী ১৬.১ : ৫, ৬।

অনুশীলনী ১৬.২ : ৩, ৫, ১০, ১৩, (উদাহরণ ১৬)

অনুশীলনী ১৬.৩ : ২, ৫, ৬, (উদাহরণ ২৭)

অনুশীলনী ১৬.৪ : ১১, ১৯, (উদাহরণ ৩২)


★সপ্তদশ অধ্যায়: পরিসংখ্যান

অনুশীলনী ১৭ : ১০, ১২, ১৪, ১৫ (উদাহরণ ৪, ৬, ৭)


#mathematics #SSC #MathChallenge2025 #Class10maths 

#Faridpurmath #mathtest #students

বর্তমানে গার্মেন্টসে চাকরি পাওয়া আগের মতো সহজ নয়।

 বর্তমানে গার্মেন্টসে চাকরি পাওয়া আগের মতো সহজ নয়।


এখন বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে কোয়ালিটি নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই যারা গার্মেন্টস সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর জানা থাকা দরকার।

আজ আমি আপনাদের সঙ্গে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করলাম:


গার্মেন্টসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর:

প্রশ্ন-১: কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর (QI) কি?

উত্তর: কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর মানে হলো "মান পরিদর্শক"।


প্রশ্ন-২: Garments অর্থ কি?

উত্তর: পোশাক বা পরিধেয় বস্ত্র।


প্রশ্ন-৩: AQL এর পূর্ণরূপ?

উত্তর: Acceptable Quality Level (গুণগত মানের গ্রহণযোগ্য মাত্রা)।


প্রশ্ন-৪: DTM এর Full Meaning?

উত্তর: Dying to Match (রঙের সাথে মিলানো)।


প্রশ্ন-৫: HPS এর Full Meaning?

উত্তর: High Point Shoulder.


প্রশ্ন-৬: SPI কী?

উত্তর: Stitch Per Inch (প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি সেলাই)।


প্রশ্ন-৭: CB এর অর্থ?

উত্তর: Centre Back.


প্রশ্ন-৮: GTM এর Full Meaning?

উত্তর: Garments Total Management.


প্রশ্ন-৯: LPS এর Full Meaning?

উত্তর: Low Point Shoulder.


প্রশ্ন-১০: ডিফেক্ট কত প্রকার?

উত্তর: তিন প্রকার — Major, Minor, Critical.


প্রশ্ন-১১: ব্রোকেন স্টিচ কী?

উত্তর: সেলাইয়ের সময় কোনো স্টিচ ছিঁড়ে গেলে তাকে ব্রোকেন স্টিচ বলে।


প্রশ্ন-১২: স্কিপ স্টিচ কী?

উত্তর: নিচের সুতা উপরের সুতাকে না ধরলে তাকে স্কিপ স্টিচ বলে।


প্রশ্ন-১৩: প্লিট কী?

উত্তর: সেলাইয়ের সময় কাপড়ে ভাঁজ পড়লে তাকে প্লিট বলে।


প্রশ্ন-১৪: ওপেন স্টিচ কী?

উত্তর: সেলাই না হলে বা কিছু জায়গায় বাদ গেলে তাকে ওপেন স্টিচ বলে।


প্রশ্ন-১৫: ১ মিটার = কত সেন্টিমিটার?

উত্তর: ১০০ সেন্টিমিটার।


প্রশ্ন-১৬: ১ ইঞ্চি = কত সেন্টিমিটার?

উত্তর: ২.৫৪ সেন্টিমিটার।


প্রশ্ন-১৭: ১০ মিমি = কত সেন্টিমিটার?

উত্তর: ১ সেন্টিমিটার।


প্রশ্ন-১৮: ১ ইঞ্চিতে কত সুতা?

উত্তর: ৮ সুতা।


প্রশ্ন-১৯: Fabrics defect এর কিছু উদাহরণ:

উত্তর: knot, hole, slub, shading, stop mark, etc.


প্রশ্ন-২০: Iron defect কী?

উত্তর: Crease mark, Shining mark ইত্যাদি।


প্রশ্ন-২১: Lay কী?

উত্তর: কাপড় বিছিয়ে একটার উপর আরেকটা রাখা।


প্রশ্ন-২২: Shade কী?

উত্তর: একই কাপড়ে রঙের পার্থক্য।


প্রশ্ন-২৩: Zipper এর কত অংশ?

উত্তর: ৫টি — Tape, Teeth, Runner, Puller, Stopper.


প্রশ্ন-২৪: Wash কত প্রকার?

উত্তর: ৫টি — Normal, Enzyme, Silicon, Stone, Garment Wash.


প্রশ্ন-২৫: Needle কত প্রকার?

উত্তর: ৩টি — Sharp, Ball Point, Universal.


গার্মেন্টসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ Full Meaning:


GSM: Grams per Square Meter


SPI: Stitch Per Inch


AQL: Acceptable Quality Level


CMT: Cutting Making Trimming


PPM: Pre-Production Meeting


FOB: Free On Board


BGMEA: Bangladesh Garments Manufacturer & Exporter Association


SOP: Standard Operating Procedure


RFT: Right First Time


QMS: Quality Management System


CAD: Computer-Aided Design


KPI: Key Performance Indicator


POM: Point Of Measurement


FPL: Front Placket Length


CBL: Center Back Length


BPO: Buyer Purchase Order


আমার এই পোস্টটি যারা লাইক ও শেয়ার করেছেন, তাদের জন্য আন্তরিক ভালোবাসা।

অনুরোধ রইলো, সবাই আমাকে ফলো করুন।

আমি ইনশাআল্লাহ গার্মেন্টস সেক্টরের প্রতিটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বেলাডোনা (Belladonna) - একটি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

 🔸🍒বেলাডোনা (Belladonna) - একটি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ



১. সাধারণ পরিচিতি: বেলাডোনা হলো এক ধরণের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা মূলত Atropa belladonna গাছ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এটি প্রধানত স্নায়ুতন্ত্রের অতিরিক্ত উত্তেজনা এবং হঠাৎ শুরু হওয়া তীব্র উপসর্গগুলোর জন্য ব্যবহৃত ।


২. প্রয়োগ ক্ষেত্র: বেলাডোনা নিচের লক্ষণসমূহে কার্যকর:

হঠাৎ করে জ্বর ওঠা (উচ্চ তাপমাত্রা, শরীর লাল হয়ে যাওয়া),মাথা ব্যথা (বিশেষ করে কপালের উপরে বা পেছনে),সাইনাসের সমস্যা,

গলা ব্যথা (টনসিল ফোলা ও লাল,)

স্নায়বিক উত্তেজনা, খিঁচুনি, অবসাদ,

চোখ লাল হয়ে যাওয়া, আলোতে সহ্য করতে না পারা

ত্বকে গরম ও শুষ্ক ভাব।


৩. মাত্রা ও প্রয়োগ:

সাধারণত Belladonna 30C অথবা 200C পটেন্সিতে দেওয়া হয়।

৩০ পটেন্সি: ২-৩ ফোঁটা দিনে ২-৩ বার


২০০ পটেন্সি: দিনে ১ বার (বিশেষ উপসর্গে)


ডোজ অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।


৪. বেলাডোনা’র কাতরতা (Modality):

উত্তেজক বা তীব্রতা বাড়ার কারণ (Aggravation):

বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপসর্গ তীব্র হয়

আলো, শব্দ, নড়াচড়া ও স্পর্শে উপসর্গ বেড়ে যায়।


উত্তেজনা কমে (Amelioration):

বিশ্রামে উপসর্গ কমে,

গরম পরিবেশে আরাম বোধ হয়,

মাথায় ঠান্ডা পানি দিলে কিছুটা আরাম হয় (মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে)।


৫. কাতরতা সম্পর্কে:

বেলাডোনা রোগী সাধারণত গরমকাতর হয়।

তারা ঠান্ডা বাতাস সহ্য করতে পারে না।

রোগী অনেক সময় মুখ লাল, চোখ জ্বলজ্বলে এবং শরীর গরম থাকে


উপসংহার: Belladonna একটি তীব্র প্রকৃতির, গরমকাতর, হঠাৎ শুরু হওয়া উপসর্গের জন্য উপযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। এটি ব্যবহার করার আগে উপসর্গ বিশ্লেষণ করে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সর্বোত্তম।

Cd

এক মাস ধরে “হাত” ছিল পায়ে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটা সত্যি ঘটনা!

 এক মাস ধরে “হাত” ছিল পায়ে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটা সত্যি ঘটনা!


২০১৩ সালে চীনের হুনান প্রদেশের এক কারখানায় মারাত্মক দুর্ঘটনায় জে ওয়ে নামের এক কর্মীর পুরো ডান হাতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন এক পরিস্থিতিতে, যেখানে অনেকেই হাল ছেড়ে দিতেন—ডাক্তাররা ঠিক তখনই করলেন ইতিহাস।


হাতটি মৃত না হয়ে যায়, তাই চিকিৎসকরা সেটিকে তাঁর পায়ে "অস্থায়ীভাবে" জুড়ে দেন!

এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য ছিল হাতটিতে রক্ত চলাচল বজায় রাখা, যেন কোষগুলো বেঁচে থাকে। অবাক লাগলেও সত্যি—হাতটি পুরো এক মাস তাঁর পায়ের সঙ্গে ছিল! যদিও তখনও স্নায়ু যুক্ত হয়নি, হাত ছিল অবশ, কিন্তু রক্ত চলার কারণে তা উষ্ণ ছিল।


জে ওয়ে জানান, পায়ে হাত থাকলেও এটি তাঁর কাছে মোটামুটি স্বাভাবিকই লাগত, শুধু একটু ভারী মনে হতো।

এক মাস পর সফল অস্ত্রোপচারে সেই হাতটি আবার তার মূল জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হয়। ধীরে ধীরে স্নায়ু সংযোগ পুনরুদ্ধার হওয়ায় তিনি তাঁর হাতের অনুভূতি ও কার্যক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পথে থাকেন।


এই কাহিনি শুধু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতিরই নয়, বরং মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর ডাক্তারদের অসাধারণ চেষ্টার এক জীবন্ত উদাহরণ।


"যেখানে ইচ্ছা, সেখানে উপায়—আর কিছু মানুষ সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখায়!"


সোর্স:


The Guardian – “Chinese doctors attach severed hand to man's ankle to keep it alive”


BBC News – "Chinese man's severed hand grafted to ankle"


এই ঘটনা আপনার কী মনে করায়? চিকিৎসা, বিজ্ঞান নাকি অদম্য মনোবল? নাকি আল্লাহর ইচ্ছা?

কমেন্টে জানান এবং শেয়ার করে অন্যদেরও জানাতে সাহায্য করুন—যত বেশি জানবে, তত বেশি আশাবাদী হবে এই পৃথিবী!

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...