এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪

তাল  সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা,,,,,

 তাল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা


তাল হলো (সঙ্গীত) গীত, বাদ্য ও নৃত্যের গতি বা লয়ের স্থিতিকাল। এ তিন ক্ষেত্রেই তালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মাত্রার সমষ্টি দিয়ে তাল রচনা করা হয়। 


তাল দুপ্রকার–সমপদী ও বিষমপদী। তালের মাত্রাবিভাগ সমান হলে সমপদী, যেমন একতাল, ত্রিতাল, চৌতাল, সুরফাঁক ইত্যাদি; আর অসমান হলে বিষমপদী, যেমন তেওড়া, ধামার, ঝাঁপতাল, ঝুমরা ইত্যাদি। 


একটি তালকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়, যার নাম তাল বিভাগ। ত্রিতালে চারটি বিভাগ এবং দাদরা ও কাহারবা তালে দুটি করে বিভাগ রয়েছে। যে মাত্রা থেকে তাল শুরু হয় তাকে ওই তালের ‘সম’ বলে। তালের প্রথম বিভাগের প্রথম মাত্রায় তালি দিয়ে সম দেখানো হয়। অন্য বিভাগগুলির মধ্যে কয়েকটিতে তালি দেওয়া হয় এবং সেগুলিকে বলা হয় ‘তালি’। তালের যে বিভাগে তালি দেওয়া হয় না তা ‘খালি’ বা ‘ফাঁক’ তাল নামে পরিচিত।


তবলা, পাখোয়াজ বা খোল বাজানোর জন্য নির্দিষ্ট বোল থাকে। এক এক রকম তালের জন্য এক এক রকম বোলের সমষ্টি তৈরি হয়েছে। তালের জন্য নির্দিষ্ট সেই বোলের সমষ্টিকে যখন মাত্রা, বিভাগ, তালি, খালি ইত্যাদিতে নিবদ্ধ করা হয় তখন তাকে বলা হয় ‘ঠেকা’। যেকোনো তাল-বাদ্যের স্বরের ছোট্সমূহকে বলা হয় ‘তেহাই’। তেহাই তিনবার বাজিয়ে সমে এনে শেষ করা হয়।


সঙ্গীতে তাল অপরিহার্য, তাই তালকে বলা হয় সঙ্গীতের প্রাণ। তালের কাজ সঙ্গীতে গতির সমতা রক্ষা করা। এ গতিকে বলা হয় লয়। সঙ্গীত ও লয়ের সম্পর্ক খুব নিবিড়। লয়কে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে বিলম্বিত, মধ্য ও দ্রুত।


সঙ্গীতে প্রচলিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তাল হলো দাদরা, কাহারবা, আড়াঠেকা, ঝাঁপতাল, সুরতাল বা সুরফাঁকতাল, চৌতাল, একতাল, আড়াখেমটা, ধামার, আড়াচৌতাল, ত্রিতাল ইত্যাদি। 


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানের সঙ্গে বাজাবার উপযোগী কয়েকটি তাল রচনা করেন, যেমন ঝম্পক, ষষ্ঠী, রূপকড়া, নবতাল, একাদশী ও নবপঞ্চ তাল। নজরুল ইসলামও কয়েকটি তাল রচনা করেছেন। সেগুলি হলো নবনন্দন, প্রিয়াছন্দ, মণিমালা ছন্দ, স্বাগতা ছন্দ, মন্দাকিনী ছন্দ ও মঞ্জুভাষিণী তাল।


ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তাঁর সরোদ বাদনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য কিছু তাল রচনা করেন। তাঁর রচিত তালগুলি হলো মোহান্ত, রাজবেশ, উদয়সিন, বিজয়, বিজয়ানন্দ, উপরাল, বিক্রমত, লঘুকির, রঙ্গ, রঙ্গবরণ, রঙ্গরায়ত এবং অভিনন্দন।  


তথ্যসূত্র :

মোবারক হোসেন খান

বাংলাপিডিয়া



কানসাটর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন,,,,,,

কানসাটর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। কানসাট জমিদার বাড়ির বংশের আদি পুরুষরা পূর্বে বগুড়া জেলার কড়ইঝাকইর গ্রামে বসবাস করতেন। তখন সেখানে তাদের উপর দস্যু সর্দার পন্ডিত অত্যাচার শুরু করে দেয়। তার কারণে তারা সেখান থেকে বাধ্য হয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছায় এসে বসতি স্থাপন করেন। পরে আবার কানসাট গ্রামে এসে বসতি গড়ে তোলেন। বলা হয়ে থাকে যে একসময় রাজার কংশহাটটা নামে একটি প্রাসাদ ছিল। এই প্রাসাদের নাম থেকেই এলাকাটির নাম হয় কানসাট।


১৮৬৭ সালে  বাড়িটি নির্মাণ করেন ময়মনসিংহের জমিদার সূর্য কান্ত আচার্য চৌধুরী । ২ দশমিক ২৪ একর জায়গার উপর স্থাপিত বাড়িতে কক্ষ ১৬টি। স্থানীয়দের কাছে এটি কানসাট রাজবাড়ি নামে পরিচিত।    

জমিদার সূর্য কান্তের ছোট ছেলে শীতাংসু কান্ত আচার্য চৌধুরী সর্বশেষ এই বাড়ি থেকে জমিদারী পরিচালনা করেন, তিনি ছিলেন বেশ অত্যাচারী শাসক। 


১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর শীতাংসু কান্ত আচার্য চৌধুরী  ভারত চলে গেলে তৎকালীন সরকার বাড়িটির মালিকানা নেয়। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর বাড়িটি পুরার্কীতি হিসেবে সংরক্ষণ করে দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। বর্তমান সময়ে জমিদার বাড়িটি অযত্ন ও অবহেলার কারণে ধ্বংসের মুখে রয়েছে। এবং জমিদার বাড়িটিতে গাছপালা ও লতাপাতায় জড়িয়ে রয়েছে।


কানসাট বাংলাদেশে বড় আমের বাজার বসে প্রতি বছর আম মৌসুমে কানসাট জমিদার বাড়ির পাশে বসে জেলার সর্ববৃহৎ আম বাজার। তখন এখানে দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। যথাযথ সংস্কার, রক্ষনাবেক্ষন ও প্রচারণা করা গেলে জেলা অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে  কানসাট রাজবাড়ি।










সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ১৫-০৬-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ১৫-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


সৌদি আরবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু - হাজীরা আজ সমবেত হবেন আরাফাত ময়দানে। 


ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে পশুরহাট - সারাদেশে স্টেশন-টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভীড়। 


ঈদযাত্রায় সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও জট নেই - বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।


ঐতিহাসিক কোয়ালিশন চুক্তির পর দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পুন:নির্বাচিত হলেন সিরিল রামাফোসা। 


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিংস টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন নেপালের এবং ত্রিনিদাদে নিউজিল্যান্ড উগান্ডার মোকাবেলা করছে।

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

কলকাতা মেট্রো রেলের A to Z ◄

 কলকাতায় ঘুরতে গেলে কাজে লাগবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন 


► #কলকাতা মেট্রো রেলের A to Z ◄


কলকাতা ঘুরতে গিয়ে সঠিক গাইড লাইনের অভাবে অনেকেই ট্যাক্সি বা ক্যাবের পিছনে অনেক টাকা খরছ করছেন । যারা ওই অতিরিক্ত খরছ কমিয়ে সুন্দর ভাবে ঘুরতে চাচ্ছেন তাদের ভরসার অন্য নাম হতে পারে কলকাতা মেট্রো রেল । এ সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় জানাচ্ছি । মেট্রো রেল গুলো প্রতি ৪ মিনিট পর পর সকাল থেকে রাত ১০.২০ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া যায় । আপনি যদি টাকা কে পাইলটের মত উড়াতে ভালোবাসেন  তবে আমার এই পোস্ট টি আপনাদের জন্য নয় :) 

.

অনেকেই বনগাঁ থেকে সরাসরি শিয়ালদাহ স্টেশনে চলে আসেন । এর পর ক্যাবে ১০০ - ১৫০ রুপি দিয়ে পার্ক স্ট্রিট বা মির্জা গালিব স্ট্রীটে । আপনারা সরাসরি বনগাঁ থেকে দমদম জং এ এসে নামবেন ( দম দম জং এবং দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে প্যাঁচ লাগাবেন না ) । এখান থেকে মাত্র ১০ রুপি দিয়ে মেট্রো রেলে করে পার্ক স্ট্রীট চলে আসতে পারবেন ।


কলকাতা মেট্রো রেলের রুট 

=====================

দম দম > বেল গাছি > শ্যাম বাজার > শোভা বাজার > গিরিশ পার্ক > M.G রোড > সেন্ট্রাল > চাঁদনী চক > স্প্লানেড > পার্ক স্ট্রীট > মায়দান > রবিন্দ্র সনদ > নেতাজী ভবন > জতিন দাস পার্ক > কালীঘাট > রবিন্দ্র সরোবর > টলিগঞ্জ > নেতাজি >মাস্টার দা সুর্যসেন > গীতাঞ্জলী > কবি নজরুল > শহীদ ক্ষুদিরাম > কবি সুভাস


ভাড়া ৫, ১০ , ১৫ , ২০ । আপনি যদি দমদম থেকে পার্ক স্ট্রীট আসেন তবে ভাড়া ১০ রুপি আবার পার্ক স্ট্রীট থেকে চাঁদনী চক যান তবে ভাড়া ৫ রুপির মত । চিন্তা করার কোন কারন নেই এই দ্রুত গামী মেট্রো রেলের প্রতিটি স্টেশনে সে স্টেশন থেকে যে স্টেশনে যাবেন সেখানকার ভাড়া লিখা আছে । আপনি টিকিট কেটে উপরের সাইনবোর্ড দেখে বাম বা ডান দিকের প্লাটফর্মের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবেন ।

.

এবার আসুন আলোচনা করি কোন মেট্রো রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কি কি আছে ।

=====================================================

╚►ভিক্টরিয়াল মেমোরিয়ালঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন

╚►গড়ের মাঠঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন

╚►হাওড়া ব্রিজঃ মহত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন

╚►ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামঃ পার্ক স্ট্রীট অথবা ময়দান মেট্রো স্টেশন

╚►জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়িঃ গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশন

╚►রাম মন্দিরঃ মহত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন

╚►মার্বেল প্লেসঃ মহত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন

╚►ময়দানঃ ময়দান মেট্রো স্টেশন

╚►কালীঘাট কালী মন্দিরঃ কালীঘাট মেট্রো স্টেশন

╚►ইডেন গার্ডেনঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►কার্জন পার্কঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►নেতাজী সুভাস স্টেডিয়ামঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►মিনেলিয়াম পার্কঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►কলকাতা হাইকোর্টঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►বাবুঘাট কলকাতাঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►প্রিন্সেপ ঘাটঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►ফোর্ট উইলিয়ামঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►শহীদ মিনারঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►সেন্ট পল চার্চঃ রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন

╚►চাঁদনী চকঃ চাঁদনী চক মেট্রো

╚►নিউমার্কেটঃ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন

╚►বড় বাজারঃ মহত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন

╚►রবীন্দ্র সরোবরঃ রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন

╚►লায়ন সাফারি পার্কঃ রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন


আমরা অনেকেই নিউমার্কেট এরিয়ায় অনেক সময় হোটেল সংকটের কারনে বেশি দামে হোটেল ভাড়া দিয়ে থাকি । আপনারা ইচ্ছে করলেই দমদম বা শোভা বাজার এদিকের হোটেলে থাকতে পারেন । সেক্ষেত্রে মাত্র ১০ বা ৫ রুপি দিয়ে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে চলে আসুন । এখান থেকে মিনিট ২ হাটলেই নিউমার্কেট এরিয়া ।


নোটঃ মেট্রো রেলওয়ে স্টেশন গুলো থেকে ভ্রমনের স্থান গুলো খুব বেশি হলে ১ কিঃ মিঃ এর মধ্যে অবস্থিত, যারা ট্রাভেলার তাদের জন্য এটা কিছুই না :) মেট্রো রেলের স্টেশন গুলোতে ছবি তুলা নিষিদ্ধ এবং এই ট্রেন গুলো তে আপনি বড় বড় বস্তা ক্যারি করতে পারবেন না । সাধারন ব্যাগ , হ্যান্ড ব্যাগ , অফিস ব্যাগ , শপিং ব্যাগ ইত্যাদি বহন করতে পারবেন । ভালো থাকবেন ..... Happy Travelling

.

.ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বরফের দ্বীপ এলসমেয়ার, জনবসতি মাত্র দেড়শো জন,,,,,,

 " বরফের দ্বীপ এলসমেয়ার, জনবসতি মাত্র দেড়শো জন " 


***********************************


এলসমেয়ার দ্বীপ, গ্রিনল্যান্ড::--


সম্পূর্ণ বরফের পুরু আস্তরণে তৈরি এক দ্বীপ এই এলসমেয়ার। ইউরোপীয় গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমে কানাডার আর্কটিক আর্কিপেলাগোর উপর অবস্থিত এটি।এই দ্বীপটি প্রায় ৭৫ হাজার ৭৬৭ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। 


অঞ্চলটি শীত প্রধান এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে সারা বছরই এখানে পুরু বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। বেশ কয়েক বছর পূর্বে এখানেই আবিষ্কৃত হয়েছিল ৩৫৭ মিলিয়ন বছরের পুরনো এক জীবাশ্ম যা প্রাণীজগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা। সমগ্র এই অঞ্চলটিকে ঘিরে রয়েছে আর্কটিক কর্ডিলার পর্বতমালা। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং জীবন যাত্রার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার জন্য সমস্ত দ্বীপটিতে হাতে গোনা মাত্র ১৫০ জনের মতো মানুষ বসবাস করে।


জ্ঞানওবিজ্ঞান ফেইসবুক থেকে নেওয়া 






বাসিরহাটের ঐতিহাসিক ধান্যকুড়িয়া,,,,,,,,,,

 বাসিরহাটের ঐতিহাসিক ধান্যকুড়িয়া 🏤


আজ থেকে প্রায় দুশো তিরিশ বছর আগের কথা। সুবিশাল এই রাজবাড়ি বানিয়েছিলেন ধান্যকুড়িয়ার জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। সেসময় ফুলেফেঁপে উঠেছিল তাঁর পাটের ব্যবসা। মূলত ইংরেজদের সঙ্গেই চলত তাঁর লেনদেন। আর সেই সুবাদেই উত্তর ২৪ পরগণার এই প্রান্তিক অঞ্চলেও নিত্যদিন লেগে থাকত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনাগোনা। তাঁদের বিলিতি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে উস্কে দিতেই ইউরোপীয় দুর্গের আদলে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন মহেন্দ্রনাথ।🏰🏯


৩০ একর জায়গায় জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আস্ত এক পুষ্করিণী, যাতে রাজবাড়ির প্রতিচ্ছবি ঝলমল করে সারাদিন। গোটা দুর্গটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল এক বাগানও। দুর্গের ভেতরে ঢুকলেও রীতিমতো চমকে যেতে হবে। নানা ধরনের ভিক্টোরিয়ান কারুকাজ থেকে শুরু করে রয়েছে ইতালিয় কাচের তৈরি আসবাব। যা এক কথায় মন্ত্রমুগ্ধকর। গ্রীষ্মকালে এই রাজবাড়িতে এসে অনেক সময়ই ছুটি কাটাতেন ব্রিটিশ সাহেবরা। তাঁদের জন্য ছিল পৃথক নহবতখানা, অতিথিশালা। এমনকি সেসময় এই রাজবাড়ির জন্য পৃথক রেল স্টেশনও তৈরি করেছিল মার্টিন কোম্পানি। গায়েন গার্ডেন নামের সেই স্টেশনে এসে থামত ন্যারো গেজের ছোট্ট বাষ্পচালিত ট্রেন। বর্তমানে অবশ্য সেই স্টেশনের অস্তিত্ব নেই আর। ২০০৮ সালে তা অধিগ্রহণ করে সরকার। গড়ে ওঠে অনাথ মেয়েদের সরকারি হোম। তবে মূল বাড়িটির কিছু অংশের পুনর্নির্মাণ হলেও, সামগ্রিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি। বাড়ির সামনে অবস্থিত শ্বেত পাথরের দুটি সিংহ মূর্তির একটি চুরি গিয়েছিল বহু আগেই। কয়েক বছর আগে আরেকটি সিংহও চড়া দামে বিক্রি করে দেন মহেন্দ্রনাথের উত্তরসূরিরা। তবে শুধু ঔপনিবেশিক ইতিহাসই নয়, এই বাড়িতে শুটিং হয়েছে ‘সত্যান্বেষী’, ‘সাহেব-বিবি-গোলাম’, ‘সূর্যতপা’-সহ একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রেরও। অভিনয় করে গেছেন স্বয়ং উত্তমকুমার। এমনকি বিদেশি বিভিন্ন চলচ্চিত্রেরও শুট হয়েছে এই দুর্গেই।🏘️🏡

♦️লেখাটি ভালো লাগলে, দয়া করে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।💚


সংগৃহীত । গ্রামের গল্প গ্রুপ থেকে shahadut Hasan এর ওয়াল থেকে নেওয়া। ✍️







সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ১৪-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ১৪-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। 


বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সংশোধনী বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে উত্থাপন। 


মিঠা পানির মাছ আহরণে চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত বাংলাদেশ - জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।


রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট --- প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী।


সৌদি আরবে আজ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।


রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারে সম্মত হয়েছে জি-সেভেন।


কিংসটাউনে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই কীভাবে কাজ করে,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই কীভাবে কাজ করে


কম্পিউটার চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলির একটি হল পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU)। পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়া কম্পিউটার শুধুই ধাতু ও প্লাস্টিকের বাক্স।


পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করে। বাসাবাড়িতে সরবরাহকৃত এসি (Alternating Current) বিদ্যুৎ সরাসরি কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না, কারণ কম্পিউটার চালানোর জন্য ডিসি (Direct Current) বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। 


পিএসইউ এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ সরবরাহ করে।

.


# বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পাওয়ার সাপ্লাই


১. ইনপুট পর্যায়: পিএসইউ প্রথমে বাসাবাড়ির এসি বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। এটি সাধারণত ১০০-২৪০ ভোল্ট এসি, যা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।


২. রেক্টিফিকেশন এবং ফিল্টারিং: ইনপুট এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয়। এই রূপান্তর প্রক্রিয়াকে রেক্টিফিকেশন বলা হয়। রেক্টিফিকেশনের পর, ডিসি ভোল্টেজ স্থিতিশীল করতে ফিল্টারিং করা হয়।


৩. ভোল্টেজ রেগুলেশন: ফিল্টারিংয়ের পরে, ডিসি ভোল্টেজকে আরও নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা নিশ্চিত করে যে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে সঠিক ভোল্টেজ সরবরাহ হচ্ছে।


৪. আউটপুট পর্যায়: পিএসইউ থেকে ভিন্ন ভোল্টেজ আউটপুট থাকে, যেমন ৩.৩ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট, এবং ১২ ভোল্ট ডিসি। এই আউটপুটগুলি কম্পিউটারের মাদারবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশে সরবরাহ করা হয়।


কম্পিউটারের ডিজিটাল সার্কিট ৩.৩ ভোল্ট এবং ৫ ভোল্ট ডিসি ব্যবহার করে, আর ডিস্ক ড্রাইভ ও ফ্যানের জন্য ১২ ভোল্ট ডিসি প্রয়োজন হয়। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ক্ষমতা ওয়াটে মাপা হয়, যা ভোল্টেজ (বৈদ্যুতিক বিভবের একক) এবং অ্যাম্পিয়ার (বৈদ্যুতিক প্রবাহের একক) এর গুণফল।


পাওয়ার সাপ্লাইকে অনেক সময় সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাইও বলা হয়, কারণ এটি সুইচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসি বিদ্যুৎকে কম শক্তির ডিসি ভোল্টে রূপান্তর করে।

.


# ওয়াটেজ রেটিং


পিএসইউ-এর কার্যক্ষমতা নির্ধারণের জন্য ওয়াটেজ রেটিং গুরুত্বপূর্ণ। এটি নির্দেশ করে যে ইউনিটটি কতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, ৪৫০ ওয়াটের একটি পিএসইউ মানে এটি সর্বোচ্চ ৪৫০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।


পিএসইউ-এর অনেকগুলি কানেক্টর একসাথে কাজ করে মাদারবোর্ড, মাইক্রোপ্রসেসর, এবং সাটা বা হার্ডডিস্কে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। ল্যাপটপ এবং মিনি পিসিতে পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের মূল অংশের বাইরে থাকে, যাতে স্থান বাঁচানো যায়।


কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের শক্তি চাহিদার উপর ভিত্তি করে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট নির্বাচন করা হয়। যদি পিএসইউ প্রয়োজনের চেয়ে কম ক্ষমতার হয়, তাহলে কম্পিউটার সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না, এবং অতিরিক্ত ক্ষমতার হলে এটি বিদ্যুৎ খরচ বাড়াতে পারে। সর্বোপরি, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে সঠিক ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যাতে সব অংশ নিরবিচ্ছিন্নভাবে এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।

.


# ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই


পার্সোনাল কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত সিপিইউ কেসিংয়ের এক কোণে ধাতব বাক্সের মধ্যে থাকে। অনেক কম্পিউটারে সিপিইউর পেছন থেকে পাওয়ার সাপ্লাই দেখা যায়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে পাওয়ার কর্ড বা বিদ্যুতের তার ঢোকানোর জায়গা বা রিসেপ্টেকল এবং যন্ত্রপাতি ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি কুলিং ফ্যান থাকে।


আপনি যদি অনেক বছর ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে মনে থাকতে পারে যে প্রথম দিকের কম্পিউটারগুলিতে বড় লাল রঙের টগল সুইচ থাকত, যেগুলি অন করতে শক্তি প্রয়োগ করতে হত। এই সুইচগুলি আসলে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ১২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করত।


কিন্তু এখনকার কম্পিউটারগুলিতে অন করার জন্য মৃদু চাপ দিলেই চলে। কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য আমরা সাধারণত স্ক্রিনের মেনু অপশন থেকে "শাটডাউন" কমান্ড দিই। এই সময় অপারেটিং সিস্টেম থেকে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হওয়ার সিগন্যাল পাঠানো হয়।


কম্পিউটার চালু করতে সিপিইউর পুশ বাটনে চাপ দিলে, পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ৫ ভোল্টের সিগন্যাল পাঠানো হয়। পাওয়ার সাপ্লাইয়ে একটি বিশেষ সার্কিট থাকে, যা ৫ ভোল্টের স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার দিয়ে চলে। একে ভিএসবি (VSB) বা "স্ট্যান্ডবাই ভোল্টেজ" বলা হয়, যা কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও সক্রিয় থাকে। তাই কম্পিউটার বন্ধ থাকা অবস্থাতেও পুশ বাটন কাজ করে, কারণ এই স্ট্যান্ডবাই ভোল্টেজ সবসময় পাওয়ার সাপ্লাইকে প্রস্তুত রাখে।

.


# সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই


১৯৮০ সালের আগে পাওয়ার সাপ্লাই বেশ ভারি ও বড় আকারের ছিল। সেই সময় ১২০ ভোল্ট এবং ৬০ হার্টজ এসি বিদ্যুৎকে ৫ ভোল্ট এবং ১২ ভোল্ট ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করতে বড় ট্রান্সফর্মার এবং ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হত, যেগুলির কোনো কোনোটি সোডা ক্যানের মত বড় আকারের ছিল। সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তির আগমনের ফলে বর্তমানের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটগুলি অনেক ছোট এবং হালকা হয়েছে। 


সুইচার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরিকৃত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটগুলি বেশি দক্ষ, কম্প্যাক্ট এবং কম তাপ উৎপাদন করে। এগুলি কম শক্তি খরচ করে ও ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। ফলে, সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তি পুরনো ভারি এবং বড়সড় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং আধুনিক।

.


• কীভাবে সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করে


১. উচ্চ কম্পাংকের বিদ্যুৎ: সুইচার প্রযুক্তি এসি বিদ্যুৎকে ৬০ হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আরও বেশি কম্পাংকে রূপান্তর করে। এতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ট্রান্সফর্মারগুলি ছোট হওয়া সত্ত্বেও ১২০ ভোল্ট বিদ্যুৎকে কম ভোল্টেজে রূপান্তর করতে পারে।


২. রেক্টিফিকেশন এবং ফিল্টারিং: উচ্চ কম্পাংকের এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করা সহজ। ফলে পাওয়ার সাপ্লাইতে ভোল্টেজের তারতম্য কম হয়, যা কম্পিউটারের ক্ষুদ্র ও সংবেদনশীল যন্ত্রাংশগুলিকে সুরক্ষা দেয়।


৩. বিদ্যুৎ গ্রহণের দক্ষতা: সুইচার পাওয়ার সাপ্লাই এসি লাইনের থেকে যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন ঠিক ততটুকু গ্রহণ করে, ফলে অপচয় কম হয়। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কতটুকু ভোল্টেজ এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে, তা সাধারণত ইউনিটের গায়ে লেবেলে লেখা থাকে।

.


# পাওয়ার সাপ্লাই স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন


এক সময় ব্যক্তিগত কম্পিউটারের জন্য অন্তত ছয় ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যেত। তবে ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে, এটিএক্স ভিত্তিক পাওয়ার সাপ্লাই স্ট্যান্ডার্ডটি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়। এর সর্বশেষ সংস্করণ হল এটিএক্স 12V 2.0। এটিএক্স স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পাওয়ার সাপ্লাইগুলি এটিএক্স কেসের সাথে মানানসই এবং এটিএক্স মাদারবোর্ডের সাথে বৈদ্যুতিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের তারগুলিতে মানসম্পন্ন এবং চাবিযুক্ত কানেক্টর ব্যবহার করা হয়, যা ভুল সংযোগের ঝুঁকি কমায়। ডিস্ক ড্রাইভের জন্যও একই ধরনের কানেক্টর ব্যবহৃত হয়, যা কুলিং ফ্যানগুলিতে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজ করে তোলে। কালার কোডেড তার এবং মানসম্পন্ন কানেক্টর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মধ্যে পছন্দের সুযোগ দেয়। যারা কম্পিউটারের পাওয়ার কেবল নিয়ে ঝামেলা এড়াতে চান, তাদের জন্য নন-মডুলার পিএসইউ একটি ভাল বিকল্প, কারণ এতে সবকিছুই আগে থেকেই সংযুক্ত থাকে।


উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স সিস্টেমগুলি অ্যাডভান্সড কনফিগারেশন অ্যান্ড পাওয়ার ইন্টারফেস (এসিপিআই) নামক একটি কোড ব্যবহার করে কম্পিউটারের ভেতরের যন্ত্রাংশে শক্তি খরচ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করে। এসিপিআই নির্ধারণ করে কম্পিউটার স্লিপ মোডে থাকাকালীন কোথায় পূর্ণ, কোথায় আংশিক এবং কোথায় শূন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।


# পাওয়ার সাপ্লাই ওয়াটেজ


একটি কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ওয়াট নির্ধারণ করতে হলে ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রাংশের (যেমন CPU, GPU, RAM, হার্ড ড্রাইভ ইত্যাদি) সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ খরচ যোগ করতে হয়। তবে মনে রাখবেন, পাওয়ার সাপ্লাই কখনোই তার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চালানো উচিত নয়। তাই ২০-৩০% অতিরিক্ত ক্ষমতা সহ PSU কেনা বাঞ্ছনীয়।


যেমন, একটি ৪০০ ওয়াটের সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত ২৫০ ওয়াটের বেশি শক্তি ব্যবহার করে না। তবে আপনি যদি মাদারবোর্ডের সবকটি স্লট ব্যবহার করেন বা কম্পিউটারের কেইসে সবকটি হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে একটি উচ্চ ক্ষমতার PSU প্রয়োজন হবে।


উচ্চ-লোডের কাজের জন্য (যেমন গেমিং, ভিডিও এডিটিং) ২০০০ ওয়াট বা তার বেশি ক্ষমতার PSU প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণ ব্যবহারের জন্য ২০০-৩০০ ওয়াটের PSU যথেষ্ট। ল্যাপটপ এবং মিনি পিসির জন্য, ৫০ ওয়াট বা তার কম ক্ষমতার PSU ব্যবহার করা যেতে পারে।


প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষমতা সহ PSU কেনা ভাল, কারণ PSU কে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। এটি অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে, যা যন্ত্রাংশের ক্ষতি করতে পারে।  


নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের সময় বা কম্পিউটার আপগ্রেড করার সময় পাওয়ার সাপ্লাই আপগ্রেড করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

.


# ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার সমাধান


ব্যক্তিগত কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই অংশেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, পিসি চালু করার পর যতবার এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যায়, ততবার এটি গরম এবং ঠাণ্ডা হয়।


সাধারণত, কুলিং ফ্যান থেমে থাকলে বোঝা যায় যে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। এ সময় কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। উল্লেখ্য, কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশই পাওয়ার সাপ্লাই থেকে ডিসি বিদ্যুৎ গ্রহণ করে।


পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা বোঝার আরেকটি উপায় হচ্ছে, কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে পোড়া গন্ধ পাওয়া। আবার, কুলিং ফ্যানেরও সমস্যা হতে পারে। এই সময় পাওয়ার সাপ্লাই অংশের যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। যখন কোনো কারণ ছাড়াই কম্পিউটার রিবুট করে অথবা উইন্ডোজ ফেইলিওর (Failure) দেখায়, তখন এটি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা হতে পারে।


পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হলে, প্রথমে কম্পিউটারের সাথে দেওয়া ম্যানুয়ালগুলি পরীক্ষা করুন। সিপিইউ কেস খুলে অ্যাডাপ্টার কার্ড অথবা মেমোরি লাগানোর অভিজ্ঞতা থাকলে, সতর্কতার সাথে পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করতে পারেন। তবে অবশ্যই আগে পাওয়ার কর্ড বা বিদ্যুতের তার খুলে নিন, কারণ কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও তারের মধ্যে বিদ্যুৎ থাকতে পারে।


পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া সবচেয়ে ভাল। নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার করে ধুলোবালি অপসারণ করলে পাওয়ার সাপ্লাই ভাল অবস্থায় থাকে। ভাল মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করলে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা  কম থাকে।

.


# পাওয়ার সাপ্লাই প্রযুক্তির অগ্রগতি


সাম্প্রতিক সময়ে মাদারবোর্ড এবং চিপসেটের উন্নতির ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেরাই পাওয়ার সাপ্লাই ফ্যানের প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন (RPM) দেখতে পারেন। এজন্য বায়োস এবং মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়। নতুন ডিজাইনের পাওয়ার সাপ্লাই ফ্যানগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। প্রয়োজনমত ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ফলে শীতল করার জন্য যতটুকু গতি প্রয়োজন, ফ্যান সেই গতিতেই চলতে পারে।


ওয়েব সার্ভারগুলিতে আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই থাকে। যখন একটি পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করছে, তখন অন্যটি ব্যাকআপ হিসেবে থাকে। আজকাল সার্ভারের জন্য তৈরি নতুন কম্পিউটারগুলিতে অতিরিক্ত পাওয়ার সাপ্লাই যুক্ত থাকে, যার ফলে সিস্টেমে দুই বা তার বেশি পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করে। একটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, আর অন্যটি ব্যাকআপ হিসাবে থাকে। মূল পাওয়ার সাপ্লাই কোনো কারণে নষ্ট হলে, দ্বিতীয় পাওয়ার সাপ্লাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। এই ব্যাকআপ পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারণে মূল পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তা সহজেই করা যায়।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

অস্ট্রিয়ার ছোট্ট শহরের প্রতিরুপ তৈরি করেছে চীন, দেখতে হুবহু আসলটির মত,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

"অস্ট্রিয়ার ছোট্ট শহরের প্রতিরুপ তৈরি করেছে চীন, দেখতে হুবহু আসলটির মত "


************************************


 হলস্ট্যাট গ্রাম,হুইঝো, চীন::--


হলস্ট্যাট হল ইউরোপের ছোট্ট দেশ অস্ট্রিয়ার একটি রূপকথার শহর, যা একটি মনোরম লেকের তীরে অবস্থিত। অত্যন্ত সুন্দর এবং পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার জন্য এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে মনোনীত। 


কিন্তু এটা ভাবলে আপনি অবাক হবেন অস্ট্রেলিয়ার এই সুন্দর শহরটির একদম অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করেছে প্রতিবেশী দেশ চীন। এটি তৈরি করতে তাদের প্রায় এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। হলস্ট্যাটের অত্যাশ্চর্য শহরটি চীনে একজন খনির টাইকুন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। তবে এর নির্মাণের কারণ অজানা। 


পুরো নির্মাণ পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করা হয়েছিল।শহরটির মেয়র তাদের দেশে তার শহর পুনর্নির্মাণের চীনের সিদ্ধান্তে এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে তিনি সেখানে এসেছিলেন চীনা স্থপতিদের এই অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপ পরিদর্শনের জন্য। তিনি দেশের সাথে ভবিষ্যত সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নথিতে স্বাক্ষর করেন এবং প্রতিরূপটি খুলেন। চীনের তৈরি এই শহরটির বাড়িগুলি এবং রাত্রিকালীন আলোকিত ক্রাইস্ট চার্চটি দেখতে হুবহু আসলটির মতো।









জ্ঞানওবিজ্ঞান জ্ঞানওবিজ্ঞানফেসবুকপেজ 

fb 

fbviral 

fbpost24 fbviralpost unknown unknownfacts 

gk generalknowledge quiz 

QuizTime 

city 

duplicated 

austria 

China 

holostat 

huizo duplicatecity tourist 

touristspot

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ১৩-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ১৩-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


প্রযুক্তি ভিত্তিক, উন্নত, টেকসই ও জ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার — জাতীয় সংসদে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


গ্লোবাল ফান্ড অ্যান্ড স্টপ টিবি পার্টনারশিপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের নেতৃবৃন্দের জোট ও গ্লোবাল ফান্ড চ্যাম্পিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।


পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর দুটি স্থায়ী হাটসহ ২২টি পশুর হাটে আজ শুরু হচ্ছে কোরবানির পশু বেচাকেনা।


সারাদেশে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনে ঈদ যাত্রা।


পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও ক্রায়োস্ফিয়ার সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী।


গ্রামীণ টেলিকমের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে কোম্পানির চেয়ারম্যান ডক্টর ইউনূস ও অপর ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে অভিযোগ গঠন। 


গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ। 


নিউইয়র্কে আইসিসি টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত - ত্রিনিদাদে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন  নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছে - আজ রাতে কিংসটাউনে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...