এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

 

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

🌼🌿 প্রথমে ঔষধ > প্রিয়তা > কাতরতা 🌿🌼

1. 🤍এন্টিম ক্রুড:🤍 টক > উভয় কাতর।

2. 🤍এন্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

3. 🤍আর্জেন্ট নাইট:🤍 মিষ্টি, লবণ > গরম কাতর।

4. 🤍ব্যাসিলিনাম:🤍 মিষ্টি > অনির্দিষ্ট।

5. 🤍এসিড নাইট্রিক:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

6. 🤍কার্বোভেজ:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

7. 🤍চায়না:🤍 টক, ঝাল, মিষ্টি > শীত কাতর।

8. 🤍কস্টিকাম:🤍 ঝাল, লবণ > শীত কাতর।

9. 🤍ক্যালকেরিয়া কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > শীত কাতর।

10. 🤍ফ্লুরিক এসিড:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

11. 🤍হিপার:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

12. 🤍ক্যালি ফস:🤍 টক, মিষ্টি।

13. 🤍লাইকোপোডিয়াম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

14. 🤍ল্যাক ক্যান:🤍 ঝাল, লবণ > গরম কাতর।

15. 🤍মেডু:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > উভয় কাতর।

16. 🤍ম্যাগ মিউর:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

17. 🤍নেট্রাম ফস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

18. 🤍নেট্রাম মিউর:🤍 তিতা, লবণ > গরম কাতর।

19. 🤍সিকেলি কর:🤍 টক > গরম কাতর।

20. 🤍সিপিয়া:🤍 টক, ঝাল, তিতা > শীত কাতর।

21. 🤍সেলেনিয়াম:🤍 টক > গরম কাতর।

22. 🤍সালফার:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

23. 🤍স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যান:🤍 ঝাল।

24. 🤍থেরিডিয়ান কুরাস:🤍 টক।

25. 🤍থুজা:🤍 তিতা, লবণ > শীত কাতর।

26. 🤍ভিরেট্রাম:🤍 টক, লবণ > শীত কাতর।

27. 🤍পালস:🤍 টক, ঝাল > শীতকাতর/গরম কাতর।

28. 🤍ক্যালি কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

29. 🤍নাক্স ভমিকা:🤍 মিষ্টি, ঝাল > শীত কাতর।

30. 🤍আর্সেনিকাম অ্যালবাম:🤍 টক > শীত কাতর।

31. 🤍আকোনাইট:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

32. 🤍বেলাডোনা:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

33. 🤍ব্রায়োনিয়া:🤍 টক > শীত কাতর।

34. 🤍ক্যামোমিলা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

35. 🤍ক্যাফিয়া ক্রুডা:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

36. 🤍ক্যাংথারিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

37. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

38. 🤍ডিজিটালিস:🤍 লবণ > শীত কাতর।

39. 🤍ড্রোসেরা:🤍 টক > শীত কাতর।

40. 🤍ইপিকাকুয়ানা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

41. 🤍ইগনেশিয়া:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

42. 🤍কেন্টারিস:🤍 টক > শীত কাতর।

43. 🤍ল্যাকেসিস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

44. 🤍লেডাম প্যাল:🤍 টক > শীত কাতর।

45. 🤍ম্যাগনেসিয়া কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

46. 🤍মারকিউরাস:🤍 টক > শীত কাতর।

47. 🤍নাট্রাম কার্ব:🤍 টক > গরম কাতর।

48. 🤍ফসফরাস:🤍 টক > গরম কাতর।

49. 🤍রোডোডেন্ড্রন:🤍 টক > শীত কাতর।

50. 🤍স্পঞ্জিয়া:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

51. 🤍আলুমিনা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

52. 🤍এনাকার্ডিয়াম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

53. 🤍অ্যান্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

54. 🤍আর্সেনিকাম সেলফ:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

55. 🤍বারাইট কার্ব:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

56. 🤍ক্যালি আইওড:🤍 লবণ > গরম কাতর।

57. 🤍ক্যালি সালফ:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

58. 🤍ক্যানসারোসিন:🤍 মিষ্টি > উভয় কাতর।

59. 🤍সিনিচোনা:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

60. 🤍কোডেনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

61. 🤍কিউপ্রাম মেট:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

62. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

63. 🤍ফেরাম ফস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

64. 🤍গ্লোনোইন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

65. 🤍গ্রাফাইটস:🤍 টক > শীত কাতর।

66. 🤍হামামেলিস:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

67. 🤍হায়োসিয়ামাস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

68. 🤍ইডাক্রেনাম:🤍 টক > শীত কাতর।

69. 🤍ইডোফর্ম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

70. 🤍ইন্ডিগো:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

71. 🤍ইরিস ভার্স:🤍 টক > শীত কাতর।

72. 🤍জ্যাবোরান্ডি:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

73. 🤍কালি ব্রম:🤍 টক > শীত কাতর।

74. 🤍কালি ক্লোর:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

75. 🤍লেডাম পাল:🤍 টক > শীত কাতর।

76. 🤍লিথিয়াম কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

77. 🤍লুপুলিন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

78. 🤍ম্যাগনেসিয়া ফস:🤍 টক > শীত কাতর।

79. 🤍ম্যাংগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

80. 🤍মেডোরিনাম:🤍 টক > উভয় কাতর।

81. 🤍মেলিলোটাস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

82. 🤍মেন্টা পিপ:🤍 টক > শীত কাতর।

83. 🤍মোরফিনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

84. 🤍মিসমোডিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

85. 🤍মোনোট্রোপা:🤍 টক > শীত কাতর।

86. 🤍মিউরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

87. 🤍নাইট্রোজেন:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

88. 🤍নিকোতিনাম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

89. 🤍নাইট্রিক এসিড:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

90. 🤍নুক্স মোস্ক:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

91. 🤍অপিয়াম:🤍 টক > শীত কাতর।

92. 🤍অরিগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

93. 🤍অসিমাম স্যাঙ্ক:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

94. 🤍প্যারিস কোয়াড:🤍 টক > শীত কাতর।

95. 🤍পেট্রোলিয়াম:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

96. 🤍ফসফরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

97. 🤍প্লাটিনাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

98. 🤍প্লুম্বাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

99. 🤍পসিপরিনাম:🤍 ঝাল > উভয় কাতর।

100. 🤍রানুনকুলাস:🤍 টক > শীত কাতর।

💝💓💖 এই ঔষধগুলির প্রিয়তা এবং কাতরতা লক্ষণগুলি সাধারণত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

--Cd

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।


১। কোন বিষয় মনে উদয় হইবা মাত্র কার্যে পরিণত করা ঃ- Acid Oxalic

২। কোন পীড়ার কথা চিন্তা করিবা মাত্র সেই পীড়ার উৎপত্তি ঃ- Acid Oxalic

৩। কোনও প্রকার শব্দ ও গীতবাদ্য সহ্য হয়না ঃ- Aconite

৪। রক্ত বা ছুরি দেখিলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঃ- Alumina

৫। মানসিক লক্ষণ প্রাতে আরম্ভ, যত বেলা বাড়িতে থাকে ততই প্রবল হয় ঃ- Alumina

৬। সময় অতি ধীরে কাটে, ১ ঘন্টা সময় এক দিন বলিয়া মনে হয় ঃ- Alumina, Can. Indica

৭। শিশু স্নান করিতে চাহেনা ঃ- Ammon Carb, Antim Cr, Sulphur

৮। মনে করে সে শশ্মানে রহিয়াছে, শুনিতে পায় কে যেন তাহাকে বলিতেছে সে মরিবে ঃ- Anacardium

৯। শিশু নিয়ত কোলে বেড়াইতে চায় ঃ- Antim Tart

১০। শিশুর গায়ে হাতটি ছোঁয়াইলেই কাঁদে ঃ- Antim Tart

১১। শিশু মায়ের কোলে জড়াইয়া থাকে, চিকিৎসককে নাড়ী দেখিতে দেয়না ঃ- Antim Tart

১২। কসিয়া কাপড় পরিতে পারেনা ঃ- China

১৩। রোগী সর্বদা নিজের পীড়ার কথা বলে ঃ- Argent Nitric

১৪। সর্বদাই কথা কহিবার জন্য একজন লোক চায় ঃ- Argent Nitric

১৫। রোগী কোন কাজে হাত দিতে চাহেনা, ভাবে তাহার কাজ বিফল হইবে ঃ- Argent Nitric

১৬। সকল কাজে ব্যস্ত, তাড়াতাড়ী করে, দ্রুত চলে, উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত, নার্ভাস ঃ- Argent Nitric

১৭। মৃত্যুর দিন নির্ধারিত করিয়া বলে ঃ- Argent Nitric

১৮। সর্ব্ববিষয়ে রোগীর তাচ্ছিল্যভাব, মনে করে সে ভাল আছে ঃ- Arnica

১৯। সহজেই চটিয়া উঠা, উত্তেজিত হওয়া ঃ- Asterias Rub

২০। আত্মহত্যার ইচ্ছা ঃ- Aurum Met

২১। রোগী উদাসীন, দুঃখিত, আত্মহত্যার চিন্তা ঃ- Rhus Tox

২২। কাঁদে, ধর্ম বিষয়ে বকে, অনর্গল প্রর্থনা করে ঃ- Aurum Met

২৩। রোগী ক্রমাগত প্রশ্ন করিতে থাকে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন, উত্তরের জন্য এক মূহুর্তও অপেক্ষা করেনা ঃ- Aurum Met

২৪। প্রেমে নিরাশ কিংবা দুঃখিত হইয়া পীড়া ঃ- Aurum Met

২৫। স্ত্রীলোক বন্ধা, তজ্জন্য ভীষণ মনোকষ্ট, হিষ্টিরিয়া ঃ- Aurum Met.

২৬। নৈরাশ্য, রোগী বলে আর কেন চিকিৎসা করানো, কাঁদে মনেকরে পীড়া কিছুতেই আরোগ্য হইবেনা, মুত্যু কামনা করে, মনেকরে সে এই পৃথিবীর উপযুক্ত নহে ঃ- Aurum Met

২৭। কোনও বিষয়ে চিন্তা করিবার ক্ষমতা লোপ ঃ- Baptisia

২৮। আচ্ছন্নতা, প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই নিদ্রিত হইয়া পড়া, ঠিক উত্তর দিতে না পারা ঃ- Baptisia

২৯। ঠিক উত্তর দেয় কিন্তু তৎক্ষণাৎ আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে ঃ- Arnica

৩০। বিছানা বড় শক্ত বোধ হয় ঃ- Baptisia

৩১। কেহ আসিলে লুকায় ঃ- Barayta Carb

৩২। ঔষধ সেবন করিতে চাহেনা, বলপূর্বক খাওয়াইতে হয় ঃ- Belladona

৩৩। কোমরে কাপড় আঁটিয়া পড়িতে পারেনা ঃ- Bovista, Cal. Carb

৩৪। পরের দুঃখ দেখিয়া অন্তরে কষ্টবোধ ঃ- Causticum

৩৫। অতি সামান্য বিষয়ে শিশুর মত চীৎকার করিয়া কান্না ঃ- Causticum

৩৬। কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেই রাগিয়া যায় ঃ- Colocynth

৩৭। নিজকৃত অপরাধজনিত মনঃপীড়া ঃ- Colocynth

৩৮। ভালবাসা মনে চাপিয়া রাখিয়া পীড়া ঃ- Conium

৩৯। সামান্যমাত্র গোলমাল ও শব্দ অসহ্য, অস্থির ও উত্তেজিত হয় ঃ- Ferrum Met

৪০। কাহাকেও নিকটে থাকিতে দেয়না বা কাহারও সহিত কথা কহিতে চাহেনা ঃ- Gelsimium

৪১। যদি কেহ কাছে থাকে বা গায়ে হাত দেয়, তাহাতে বিরক্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪২। পরীক্ষার নিমিত্ত কেহ মাঢ়িতে হাত দিলেই শিশু ভীষণ ক্রুদ্ধ ও উম্মত্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪৩। গীতবাদ্যাদিতে কান্না পায় ঃ- Graphities

৪৪। রোগী একটুতেই কাঁদিয়া ফেলে ঃ- Pulsatilla

৪৫। রোগী ভাবী অমঙ্গলের আশঙ্কা করে ঃ- Graphities

৪৬। অর্থ শূন্য কথা কহে, অত্যন্ত জোরে হাসে ঃ- Hyociamus

৪৮। গায়ে কিছুতেই কাপড় চাপা রাখেনা, উলঙ্গ থাকে, অশ্রাব্য গান গায় ঃ- Hyociamus

৪৯। গুহ্যস্থানের কাপড় খুলিয়া ফেলে, অনবরত লিঙ্গে হাত দেয় ঃ- Hyociamus

৫০। কি বলিতে যাইতেছিল ভুলিয়া যায় ঃ- Hypericum

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা


🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো…


বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার আশায় দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত।

সকাল-বিকেল রিলস বানানো, এডিটিং, ভিউ বাড়ানো নিয়ে এতটাই ডুবে থাকে যে

পরিবার, পড়াশোনা, চাকরি এমনকি সম্পর্কও উপেক্ষিত হয়ে যায়।


📉 ফলাফল: সংসারে অশান্তি, আত্মবিশ্বাসে ভাটা, ক্যারিয়ারে অনিশ্চয়তা।


🔍 সোশ্যাল মিডিয়া ইনকামের প্রকৃত চিত্র (বাংলাদেশ-ভারত ভিত্তিক সমীক্ষা)


✅ মাত্র ৫-১০% মানুষ নিয়মিত ইনকাম করে

❌ বাকিরা ইনকামের আশায় সময় ও শ্রম নষ্ট করে

✅ যাদের কাছে পরিকল্পনা, দক্ষতা ও ধৈর্য আছে, তারা সফল হয়

❌ ভিউ/লাইক কম হলে মানসিক হতাশা দেখা দেয়


🧩 যে বিষয়গুলো অনেকেই ভুল বোঝে


1. সবাই ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারে না

👉 প্রতিভা, ধারাবাহিকতা এবং সত্যিকারের কনটেন্ট দরকার।


2. ভিউ মানেই টাকা না

👉 ফেসবুকে ইনকাম করতে হলে রয়েছে অনেক নিয়ম ও সীমাবদ্ধতা (যেমন: Reels Bonus, Ad Monetization, Affiliate Marketing)।


3. কেবল ভিডিও বানিয়ে ইনকাম আসবে এ ধারণা ভুল

👉 রেগুলার ও মানসম্মত কনটেন্ট, SEO, engagement strategy না থাকলে ইনকাম মেলেই না।


👨‍👩‍👧‍👦 এই প্রবণতার পারিবারিক প্রভাব


• ঘরের কাজ বা দায়িত্ব থেকে দূরে সরে যাওয়া

• স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য

• বাবা-মা বা সন্তানের জন্য সময় না থাকা

• অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা

• অন্যের সফলতা দেখে হিংসে, হতাশা


💡 সমাধান কী?


✅ আগে বুঝুন: আপনি কী বিষয়ে কনটেন্ট বানাতে পারবেন?

✅ শেখার জন্য সময় দিন: Video Editing, Scripting, Voice-over, Lighting ইত্যাদি

✅ সময়কে ভাগ করে ব্যবহার করুন: সংসার, পড়াশোনা, চাকরি সবকিছুর প্রতি দায়িত্ববোধ রাখা জরুরি

✅ অর্থ না এলে হতাশ হবেন না: শুরুতে ফল না পেলেও শেখার জার্নিটা মূল্যবান

✅ প্রয়োজনে পারিবারিক আলোচনায় বসুন: সবাইকে বোঝান আপনার লক্ষ্য, এবং শোনার অভ্যাস গড়ুন


✍️ শেষ কথা


সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম করা সম্ভব, তবে সেটা ধৈর্য, দক্ষতা ও ভারসাম্যের মাধ্যমে।

শুধু “ভিউ” আর “লাইকের” পেছনে ছুটে গিয়ে বাস্তব জীবনের দায়িত্ব ও সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলবেন না।


> 📌 রিলস নয়, বাস্তবতা আগে বুঝুন।

📌 ট্রেন্ড নয়, ভবিষ্যৎ গড়ার দিকেই মন দিন।

খেসারি হলো জনগণের জন্য গাছন্ত মাংস! 

 খেসারি হলো জনগণের জন্য গাছন্ত মাংস! 

কারণ খেসারি ডালে শতকরা প্রায় ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত প্রোটিন থাকে! এজন্য কম খরচে প্রচুর পরিমাণ আমিষের চমৎকার একটি উৎস। 


খেসারি কলাই বা খেসারির ডাল বা Grass Pea যেকোন জলবায়ুতে টিকে থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন বিধায় ফলন হয় প্রচুর, কিন্তু খরচ আর শ্রম প্রয়োজন হয় কম! ফলে আগে বঙ্গে যখন খরা মৌসুম চলতো, তখন কৃষকরা ব্যাপক পরিমাণে খেসারি উৎপাদন করতো। 


অতীতে বঙ্গের একজন গৃহস্থ নারী কেবল খেসারি ডাল দিয়েই পুরো এক বেলার খাবার রান্না করে ফেলত– খেসারির খিচুড়ি, খেসারি দিয়ে তেঁতুলের ঝোলের তরকারি, খেসারি ভর্তা, পেঁয়াজু, খেসারির ডালভাজি ইত্যাদি। গ্রামবাংলার মানুষ প্রতি দিনের খাবারের অংশ হিসেবে খেসারি ডাল খেত।

...


খেসারি ডাল খাদ্য হিসেবে পুষ্টিকর হলেও এতে থাকা β-ODAP নামক নিউরোটক্সিনের কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ল্যাথিরিজম নামক পায়ের প্যারালাইসিস হতে পারে। 

বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়ে যায়, দীর্ঘসময় ধরে শুধুমাত্র খেসারি ডালই খাদ্য হিসেবে খেতে থাকলে ল্যাথিরিজম হয়। 


১৯৪২ সালে, নাৎসিরা ইউক্রেনের ভ্যাপনিয়ার্কা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ইহুদিদেরকে খাবার হিসেবে শুধু খেসারি ডাল সরবরাহ করে। বন্দিদের খাদ্যের বিকল্প কিছু না থাকায় তারা দীর্ঘসময় ধরে খালি খেসারি ডাল খেয়ে বেঁচে ছিল। কিন্তু বেঁচে রইলেও তাদের মধ্যে প্রায় ১,২০০ ইহুদি পঙ্গু হয়ে যায়।


ভারতের স্বাধীনতার পরও বহু দশক ধরে জমিদাররা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ব্যবস্থায় কৃষকদেরকে শোষণ করেছে। মজুরি হিসেবে তাদেরকে টাকা না দিয়ে দিয়েছে সস্তা খেসারি। খেসারি বিক্রি করে অন্য খাবার কেনা যেতো না। কৃষকদেরকে বাধ্য হয়ে কেবলমাত্র খেসারি খেয়ে বেঁচে থাকতে হতো। 

না খেয়ে মারা যাওয়া কিংবা খেয়ে পঙ্গুত্ব বরণের মধ্যে দরিদ্র কৃষকরা বেছে নিয়েছিল পরেরটিকেই। যখন এই শ্রমিকরা ল্যাথিরিজমে আক্রান্ত হত, তাদেরকে ছাঁটাই করা হতো। তখন তারা কাজ হারিয়ে পাটনা, বেনারস, বোম্বে, কলকাতা ইত্যাদি বড় বড় শহরে গিয়ে ভিক্ষা শুরু করতো। এসব শহরের ভিক্ষুকদের বড় অংশ ছিল এই ল্যাথিরিজমে আক্রান্ত খেসারি খাওয়া শ্রমিক।


বেনারস হিন্দু ভার্সিটির নিউরোলজির চীফ ড. বিজয়নাথ মিশরা খেসারি ডাল নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন। উত্তর প্রদেশের ৯ হাজার মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালান ড. মিশরা। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই খাবারের একটি বড় অংশ ছিল খেসারি ডাল। তাদের মধ্যে খোঁড়া বা পা কাঁপার প্রবণতা মোটেই দেখা যায়নি। তার মতে, "যদি স্বাভাবিকভাবে খেসারি ডাল খাওয়া হয় এবং ডালের সাথে অন্যান্য খাবার খাওয়া হয়, তখন নিউরোল্যাথিরিজমের কোনো অস্তিত্বই দেখা যায় না। কেবল খেসারি খেলেই ল্যাথিরিজম হয়ে যাবে, এমন নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে চোখে পড়ে কেবল খরা ও অন্যান্য দুর্যোগের কারণে দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলেই ল্যাথিরিজমের প্রকোপ হয়েছে।" 

...


বর্তমানে এটা প্রমাণিত যে, যদি খেসারি ডাল ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং পরবর্তিতে ওই পানি ফেলে ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া হয় তাহলে কোন সমস্যা হয় না। 

প্রতিদিনের খাদ্যের অর্ধেকই খেসারি ডাল হলে এবং তা টানা তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত খেলে মানুষের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


অধিক ক্রুড প্রোটিন থাকার কারণে গবাদিপশুর সেরা প্রোটিন জাতীয় খাবার হতে পারে খেসারি। কিন্তু অতিরিক্ত খেসারি ডাল খাওয়ানো যাবে না।


Muhammad Rahat Khan

নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন। 

নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন। 

মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে রাখেন। 


মেলামাইনে গরম জিনিস পড়লেই বিপদ। toxic হয়ে যায়। 

বাসায় কাচের প্লেট ব্যবহার করুন। 

নতুন গ্লাস বা বাটিসেট কাপ এক সেট নিজেরা ব্যবহার করে ফেলুন। 

সব সময় নিজেদের কে well treat করুন।

 

বাসা যদি চান ঝকঝকে থাকুক তাহলে জেট পাউডার দিয়ে একবার একটা রুম মুছুন। আবার পরিস্কার পানিতে মুছুন। 

এভাবে সব রুম দুবার করে বেশি চাপ দিয়ে মুছুন। 

ফ্যান ছেড়ে দিন। হাটলেই দেখবেন চিক করে শব্দ হচ্ছে। 

আর আয়নার মত দেখাবে। 

ফ্যান মুছলেও কালো একটা দাগ পরে থাকে, তাই ভিম পাউডার কাপরে নিয়ে মুছুন দেখবেন কালশিটে দাগ নাই। 


ঝাড়বাতি ভিম লিকুউড দিয়ে মুছুন দেখবেন চকচক করবে।

ফুল মাসে একবার এক চিমটি জেট পাউডার এ চুবিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সাদা ফুল বেশি ময়লা ধরে। 

বাসার লাইট এক একদিনে এক এক রুম মুছে ফেলুন।

জানালার গ্রিলও ঝাড়পোছ করতে হয়। 


টয়লেট দুদিন পর পর যদি ভিম পাউডার দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন ময়লা বসে না। তবে সপ্তাহে একবার হারপিক দিতে হয়। 


মাসে একবার ফার্নিচার সরিয়ে deep clean করুন। 

যে বাচ্চার সারা বছর নাকে পানি থাকে সেখানে কার্পেট থাকলে তুলে ফেলুন। কমে যাবে। পোষ্য পালা যাবে না। 

কৃমির সমস্যা লেগে থাকলেও পোষ্য না রাখলে ভালো। 


রান্না ঘরের চিপায় ফিনিশ পাউডার দিয়ে রাখুন। 

তেলাপোকার জন্য তেলাপোকার ছবিসমেত ফিনিশ পাউডার ভালো কাজ দেয়। 

পলিথিন জমিয়ে রাখলে তেলাপোকা বেশি হয়। 


শুটকি, চালের গুড়ি, বেসন, চনার ডাল, শুকনা মরিচ freeze এ রাখুন। 

যাদের বোর্ডের আলমারি মাঝে মাঝে সরিয়ে পিছন দিকে নারকেল তেল তুলা দিয়ে লাগিয়ে দিন ঢেমপ্ হবে না। আবার ফিনিশও দিয়ে রাখতে হবে। নারকেল তেল পিপড়ার খুব পছন্দ। 


বাংলা সাবান বা তিব্বত ৫৭০ দিয়ে ডেকচি মাজবেন চকচকে হবে। 

ভিম লিকুইড বা জেড পাউডার দিয়ে plastic jug or glasses মাজবেন। 

ভিম বার এ আয়নার মত হয়না। 

মাংসের গন্ধ দূর করতে ঐ যে জেড পাউডার সাথে গরম পানি দিবেন। 

একটা plastic cloth ব্যাবহার করবেন মাংস কুটার সময়। 


দা বটি ছুড়ি সব বেসিনে পানি আটকিয়ে গরম পানি জেড পাউডার, ভিম লিকুউডে ভেজাতে দিবেন ১০ মিনিট পর নো কষ্ট। 

মাংস রাতে জাল করলেও বাইরে রাখবেন না। ভেপসা গরমে টকে যাবে। 


সব সময় freeze clean রাখুন। 

এই কুরবানির মাংস ঐ কুরবানিতে খাবেন না। ২ মাসের বেশি মাংস রাখলেই toxic, 

খাবেন আর হাগবেন nutrition value zero,


গাছ যাদের আছে টব গুলা মুছে ফেলুন, সপ্তাহে একবার গোসল দিন। 

আর যেগুলা বাসায় রাখবেন কদিন যেনো বারান্দায়ও রাখেন তবেই সতেজ হবে। 

মানি প্লান্ট ও snake plant সবচেয়ে বেশি টিকে ঘরে। পানি spray করবেন। বাড়ীতে গেলে বারান্দায় দিয়ে যান। 


পর্দা ওয়াশিং মেশিনে ৬০ মিনিট অপশনে দিন। 

বেডশীট চনমনে রাখতে দুদিন পর পরই চেন্জ করে ফেলবেন। 

একটু সাবান মাখিয়ে গরম পানিতে ভিজাবেন ১০ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলবেন। দেখবেন নতুনের মত। একটু হালকা মাড় দিতে পারেন। 


ধূলা আমাদের অসুস্থতার অন্যতম কারন। তাই পরিস্কার থাকুন। 

পাপোস দু সেট রাখুন। সপ্তাহে একবার cleaning এ দিন। 

সামনের দরজার পাপোশে সব জুতা রাখবেন না। জুতা নাকি দরজার সামনে রাখতে হয়না। রেক কিনুন। বাসায় জুতা রেকএ রাখার অভ্যাস করান।

 

বাসার সামনে ডাস্টবিন রাখবেন না। 

ডাস্টবিন টা ময়লার তাই অনেকে ভালো করে ধুয়ে রাখেন না। গরম পানি জেড পাউডার দিয়ে ভিজায়ে রাখলেই তে হয় নিজেই পরিস্কার হয়ে যাবে। 


একটা মানুষের রুচি তার পাকঘর, ডাস্টবিন আর টয়লেট দেখলেই বোঝা যায়॥ 

একদিনে সব কাজ নয় ভাগ ভাগ করে করুন। নিজেও এক্টিভ থাকবেন সাথে বাসাটাও চরম ফকফকা থাকবে। 

মন ফুরফুরে থাকুক। 


যিনি এই পোস্ট টা লিখেছেন তিনি সব কাজ নিজে করেন। আবার তার ৩টা পেইজও আছে। একটা পিচ্চিও আছে। পিচ্চি well trained,

রান্নাও নিজেই করেন। সকালের নাস্তা, বিকালের খাবার তার তৈরি। কেনা খাবার কেউ পছন্দ করে না। 

তিনি কিন্তু একদিনে সব পারেন নি। 

তিনি কোনো সুপার ওমেন না, তবে তিনি ধীরে ধীরে শিখেছেন। 

উনার বুয়া আছে তাই পারে, এটা ভুল কথা।

বুয়া সারাদিন গান্জাখোরের মতো ঝিমাতে ঝিমাতে শুধু ৩ ঘন্টার সার্ভিস দেয়! 

সব কাজই করে এলোমেলো অপরিষ্কার।

 

এক একদিনে ভাগ করে সব করেন। 

সবাই সব পারে না, বাচ্চার জন্য পারি না, সময় নাই!

এগুলা তেমন ইস্যু না, ধীরে ধীরে হবে।

চেষ্টাটাই আসল! চেষ্টাতেই আস্তে আস্তে সব হবে! 


নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

#Collected

বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা..,,,,,,,

 বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা..


‎১. ক্ত = ক+ত ✅ শক্ত  

‎২. ক্ত্র = ক+ত+র ✅ শক্ত্রিয়  

‎৩. ঙ্ক = ঙ+ক ✅ অঙ্ক  

‎৪. ঙ্ক্ষ = ঙ+ক+ষ ✅ শঙ্ক্ষ

‎৫. গ্ন = গ+ন ✅ ভাগ্নে

‎৬. গ্ধ = গ+ধ ✅ দগ্ধ

‎৭. গ্ম = গ+ম ✅ আগ্ম

‎৮. গ্ন্য = গ+ন+য ✅ অগ্ন্যাস্ত্র  

‎৯. চ্ছ = চ+ছ ✅ পিচ্ছিল  

‎১০. চ্ছ্ব = চ+ছ+ব ✅ পিচ্ছ্ব  

‎১১. জ্জ = জ+জ ✅ রজ্জু  

‎১২. জ্জ্ব = জ+জ+ব ✅ রজ্জ্বালু  

‎১৩. জ্ঞ = জ+ঞ ✅ জ্ঞান  

‎১৪. ট্ট = ট+ট ✅ বট্ট  

‎১৫. ট্ঠ = ট+ঠ ✅ অট্ঠহাসি  

‎১৬. ড্ড = ড+ড ✅ গড্ডালিকা  

‎১৭. ণ্ট = ণ+ট ✅ কণ্ঠ  

‎১৮. ণ্ট্ব = ণ+ট+ব ✅ কণ্ঠ্বন  

‎১৯. ণ্ড = ণ+ড ✅ মুন্ডু  

‎২০. ণ্ড্ব = ণ+ড+ব ✅ মুন্ড্বন  

‎২১. ত্ত = ত+ত ✅ কুত্তা   

‎২২. ত্ত্ব = ত+ত+ব ✅ তত্ত্বাবধায়ক  

‎২৩. ত্ম = ত+ম ✅ আত্মা  

‎২৪. ত্র = ত+র ✅ ত্রুটি  

‎২৫. থ্ব = থ+ব ✅ নর্থ্বান  

‎২৬. দ্দ = দ+দ ✅ রোদ্দুর  

‎২৭. দ্ভ = দ+ভ ✅ অদ্ভুত  

‎২৮. দ্ধ = দ+ধ ✅ বদ্ধ  

‎২৯. দ্ম = দ+ম ✅ পদ্ম  

‎৩০. দ্ব = দ+ব ✅ দায়িত্ব  

‎৩১. দ্র = দ+র ✅ দুর্দ্রোহ  

‎৩২. ধ্ব = ধ+ব ✅ ধ্বনি  

‎৩৩. ন্ত = ন+ত ✅ অন্তর  

‎৩৪. ন্ত্র = ন+ত+র ✅ মন্ত্র  

‎৩৫. ন্ধ = ন+ধ ✅ বন্ধন  

‎৩৬. ন্ম = ন+ম ✅ অন্যম  

‎৩৭. ন্দ = ন+দ ✅ বন্দী  

‎৩৮. ন্দ্ব = ন+দ+ব ✅ বন্ধ্বু  

‎৩৯. ন্ধ্য = ন+ধ+য ✅ গন্ধ্য  

‎৪০. ন্ত্য = ন+ত+য ✅ কন্ত্যু  

‎৪১. ঙ্ক = ন+ক ✅ রঙ্ক  

‎৪২. ঙ্ঘ = ঙ+ঘ ✅ সঙ্ঘ  

‎৪৩. ঙ্গ = ঙ+গ ✅ রঙ্গ  

‎৪৪. ঙ্ম = ঙ+ম ✅ সঙ্মিল  

‎৪৫. ঙ্য = ঙ+য ✅ সঙ্যোজিত  

‎৪৬. ঙ্ল = ঙ+ল ✅ সঙ্লগ্ন  

‎৪৭. প্ট = প+ট ✅ লিপ্ট  

‎৪৮. প্ত = প+ত ✅ মপ্ত  

‎৪৯. প্ত্র = প+ত+র ✅ শপ্ত্র  

‎৫০. প্স = প+স ✅ আপ্সোস  

‎৫১. ব্জ = ব+জ ✅ গর্জন  

‎৫২. ব্দ = ব+দ ✅ শব্দ  

‎৫৩. ব্ধ = ব+ধ ✅ নিবদ্ধ  

‎৫৪. ভ্র = ভ+র ✅ ভ্রাতা  

‎৫৫. ম্প = ম+প ✅ সম্পদ  

‎৫৬. ম্ফ = ম+ফ ✅ সম্পূর্ণফল  

‎৫৭. ম্ভ = ম+ভ ✅ নম্ভর  

‎৫৮. ম্ম = ম+ম ✅ সম্মান  

‎৫৯. ম্ন = ম+ন ✅ চুম্ন  

‎৬০. ম্ল = ম+ল ✅ চম্লক  

‎৬১. য্য = য+য ✅ নিয়্যমান  

‎৬২. ল্ল = ল+ল ✅ বল্লভ  

‎৬৩. ল্ক = ল+ক ✅ জল্ক  

‎৬৪. ল্গ = ল+গ ✅ ফল্গু  

‎৬৫. ল্ম = ল+ম ✅ গুল্ম  

‎৬৬. ল্প = ল+প ✅ তল্পি  

‎৬৭. ল্ব = ল+ব ✅ ফল্ব  

‎৬৮. ল্শ = ল+শ ✅ উল্শ  

‎৬৯. ল্স = ল+স ✅ চুল্স  

‎৭০. ল্হ = ল+হ ✅ ফল্হ  

‎৭১. শ্চ = শ+চ ✅ গশ্চ  

‎৭২. শ্ছ = শ+ছ ✅ শুচ্ছ  

‎৭৩. শ্ন = শ+ন ✅ স্নেহ  

‎৭৪. শ্ম = শ+ম ✅ সশ্ময়  

‎৭৫. শ্ল = শ+ল ✅ শ্লোক  

‎৭৬. শ্ব = শ+ব ✅ শ্বশুর  

‎৭৭. ষ্ঠ = ষ+ঠ ✅ শ্রেষ্ঠ  

‎৭৮. ষ্ণ = ষ+ণ ✅ বিষ্ণু  

‎৭৯. ষ্ট = ষ+ট ✅ দুষ্ট  

‎৮০. ষ্ফ = ষ+ফ ✅ কষ্ট্ফল  

‎৮১. ষ্ম = ষ+ম ✅ বিষ্ময়  

‎৮২. স্ক = স+ক ✅ স্কুল  

‎৮৩. স্ট = স+ট ✅ ফাস্ট  

‎৮৪. স্ত = স+ত ✅ স্থান  

‎৮৫. স্থ = স+থ ✅ প্রতিষ্ঠান  

‎৮৬. স্ন = স+ন ✅ স্নান  

‎৮৭. স্প = স+প ✅ স্পষ্ট  

‎৮৮. স্ব = স+ব ✅ স্বামী  

‎৮৯. স্ম = স+ম ✅ স্মরণ  

‎৯০. স্ল = স+ল ✅ স্লোগান  

‎৯১. স্খ = স+খ ✅ অস্খলিত  

‎৯২. স্ফ = স+ফ ✅ বিস্ফোরণ  

‎৯৩. স্স = স+স ✅ অসম্মান  

‎৯৪. হ্ন = হ+ন ✅ তাহ্নিক  

‎৯৫. হ্ম = হ+ম ✅ Brahmh  

‎৯৬. হ্ল = হ+ল ✅ উহ্লাস  

‎৯৭. র্য = র+য ✅ কর্মব্যস্ত  

‎৯৮. র্জ = র+জ ✅ র্জু  

‎৯৯. র্ত = র+ত ✅ কর্তব্য  

‎১০০. র্দ = র+দ ✅ র্দশ  

‎১০১. র্ম = র+ম ✅ বর্ম  

‎১০২. র্ব = র+ব ✅ র্বাস  

‎১০৩. র্ভ = র+ভ ✅ র্ভর  

‎১০৪. র্ব্য = র+ব+য ✅ র্ব্যক্তি  

‎১০৫. র্ম্য = র+ম+য ✅ র্ম্যান

‎আপনার জানামতে আরো কি কি যুক্তবর্ণ রয়েছে? 

‎📣 আপনি কি বাংলা টাইপিং শিখতে আগ্রহী?

‎কমেন্ট করুন: “আমি শিখতে চাই”

‎🔁 শেয়ার করে রাখুন, পরে আবার কাজে লাগবে!

‎#বাংলা_যুক্তাক্ষর #Bangla_Typing #Bangla_Learning #BornoShikkha #বাংলা #ALLITBD

ভালোবাসা_নাকি_মোহ  লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি  পর্ব ১

 মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা যেন এই মুহূর্তে ভুলেই গেছে প্রভাতি! নির্বাক হয়ে শুধু দেখছে মানুষটার বলিষ্ঠ শরীরে মাত্র লাগিয়ে আসা চিহৃ,বোঝাই যাচ্ছে খুব চট জলদি বের হয়েছে কাজ শেষ করে যাতে কেউ জানতে না পারে আর তাই তো গায়ের এলোমেলো পোশাক ও ঠিক করে আসতে পারেনি! কিন্তু ভাগ্য হয়তো সহায় ছিলো না তাই না হাতে ধরা পড়ে গেল! 


ধরা পড়ে গেছে? আদৌ কি এমনই! না প্রভাতি তো জানতো এই বিষয়ে আগে থেকেই কিন্তু কখনো তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেনি কারন তাতে সমস্যা বাড়তো, সংসারে জটিলতা সৃষ্টি হতো! তারা অস্বীকার করতো , উল্টো আমার উপর আরোপিত হতো সংসার বিচ্ছেদের বদনাম ! লোক মুখে রটিত হতো বিধবা জা''য়ে'র প্রতি হিংসা করেই এরকম মিথ্যা কথা রটাচ্ছি, মৃত ভাসুরে'র সন্তানদের দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য‌ই এই পরিকল্পনা রচিত হয়েছে! তাই তো হাতে নাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তাতে কি হতো? 


এক বছরের জানা শোনার পর বিয়ের আসরে বসে ছিলাম আমি প্রভাতী মিনহাজ আবদুল্লাহ আল রাফি'র সাথে! পারিবারিক ভাবে ঠিক হ‌ওয়া বিয়েটা আমাদের জন্য‌ই এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছিলো যাতে একে অপরকে জানতে পারি,বুঝতে পারি! সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী ই চলছিলো! বিয়েও হলো প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর! আড়াই বছরের একটা মেয়েও আছে! অথচ? 


মাস পাঁচেক হলো মাত্র বড় ভাসুর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন,রেখে গেছেন পরিপূর্ণ এক যুবতী স্ত্রী আর ছয় বছরের একটি ছেলে এবং দুই বছরের একটি মেয়ে! এক কথায় ভরপুর সংসার! আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির দুই ছেলে এক মেয়ে! মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুই ছেলে নিয়ে যৌথ সংসার গড়ার ইচ্ছায় উনি দুই ছেলে ব‌উকে নিয়েই এক ছাদের নিচে থাকেন! সুখেই ছিলো সব কিছু!  বিয়ে করে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই দেখেছি আমার স্বামী আর বড় জা মুক্তার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব! অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে তো অনেকেই খারাপ! আমার কাছে কোনরকম লেগেছে তা বুঝতে পারিনি কারন আমি এসব নিয়ে ভাবার ই সময় পাই না! বিয়ের আগে চাকরি করতাম, বাচ্চা হ‌ওয়ার আগ অবধি সেই চাকরি‌ই করতাম তাই ঘরোয়া এইসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করি নি! তাছাড়া আমার শ্বাশুড়ির মতে তাদের মধ্যে ভাই বোনের মতো পবিত্র সম্পর্ক আমিও তাই বিশ্বাস করতাম কারন আমিও তো আমার ছোট ভাই আর বড় ভাবির মাঝে ভালো বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক দেখেছি! সত্যি বলতে আমার ভাবীর কাছে আমরা দুই ভাইবোন হলাম সন্তানের মতোই তাই সেই সম্পর্ক নিয়ে খারাপ চিন্তা করাও আমার জন্য গুনাহ মনে হতো! তাছাড়া আমার স্বামী অথবা জা কে কখনো কোন বাজে অথবা চক্ষুশূল কাজ করতে দেখিনি তাহলে সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনরকম বাজে চিন্তা করার মতো বিচ্ছিরি কাজ কেমনে করি!


তবে সব টা যেন হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেলো।আর সেই ঝড় ছিলো আমার ভাসুরে'র হঠাৎ মৃত্যু! আল্লাহ জানেন কেন এই বয়সে ঐ রকম তরতাজা একজন মানুষ কে নিয়ে গেলেন তবে ( আল্লাহর) তার কোন কাজের কৈফিয়ত চাওয়ার দুঃসাহস তো আমার মতো নগন্য বান্দির নেই তাই আর সেই বিষয়ে কথা না ই বলি।


ভাসুরে'র মৃত্যুতে বাড়ি হলো নির্জন নিরব! সব কিছু কেমন থমথমে হয়ে গেছে ! পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে এখন ভাসুরে'র বিধবা আর এতিম শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মানে আমার স্বামীর উপর ই বর্তায়! তাতে আমার বিশেষ কোন অসুবিধা থাকার কারন নেই, কারন আমি বাস্তবতা বুঝি! আর হয়তো এই বোঝাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো! 


ভাসুরে'র তার স্ত্রী হিসেবে বড় জা যেমন ভেঙে পড়ে, অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি আমার স্বামী রাফিও বড় ভাইয়ের হঠাৎ প্রয়ানে স্তব্ধ হয়ে যায়! আর এটাই স্বাভাবিক! 


হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া দুই নর নারী একে অপরের সহায়ক হতে চেষ্টা করে, আমিও চুপচাপ দেখে যাই, দেখে যাই বললো মিথ্যা বলা হবে সমর্থন করে যাই!হৃদয়ের আত্নীয়,আ*ত্নার আত্নীয় বিয়োগে একে অপরকে শান্তনা দিতে চেষ্টা করে, তার জন্য ই তাদের বেশির ভাগ সময় কাছাকাছি থাকতে হয়। কিন্তু কে জানতো তারা এক অপরের সহায় হতে গিয়ে আমাকে অসহায় করে দিবে! তারা কাছাকাছি থাকতে গিয়ে এতটাই কাছাকাছি হবে যে আমাকেই ছিটকে পড়ে যেতে হবে!


বাড়িতে আজ মিটিং বসেছে! স্বামী মারা যাবার নয় মাসের মাথায় কিভাবে মুক্তা ভাবী গর্ভবতী হয়! তাও পুরো সাড়ে চার মাসের!এত দিন নাকি বুঝতে পারে নাই তাই কাউকে কিছু বলতে পারে নাই কিন্তু হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ অসুস্থ মনে হ‌ওয়ায় শ্বাশুড়ি মা জোর করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর তখনই বিস্ফোরিত হয় পুরো বিষয়টি!


আমার স্বামী বসে আছে আমার শ্বশুরের পাশে,তার থেকে কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে আছে আমার জা মুক্তা! শ্বশুরের সামনা-মুখী হয়ে বসেছেন আমার ননাস রাজিয়া সুলতানা, আর তার স্বামী মোতাহার হোসেন এবং আমার শ্বাশুড়ি মা! আর আমি লজ্জায় চুপ করে বসে আছি নিজ ঘরের খাটের দাসা চেপে ধরে! কি ভাবছেন কাঁদছি? উহু কাঁদছি না ! এরকম বিষয়ে কাঁদার কোন কারন ‌ই নেই! কেন কাঁদবো? কেন কাঁদবো আমি! আমি কি কোন অপরাধ করেছি? আমি তো কেদেঁছিলাম প্রথম দিন! উহ দিন নয়! রাত! প্রথমবার যখন আমার স্বামী আমার গভীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে নিজের শরীরের জ্বালা মেটাতে বড় ভাইয়ের বিধবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ছিলো! যখন ঘুম ভেঙ্গে তাকে পাশে না পেয়ে সন্দেহে বশত ভাসুরে'র দরজায় কান পেতে ছিলাম! শুনতে পেয়েছিলাম তাদের সুখ আর্তনাদ! বুঝতে পেরেছিলাম তাদের মনোবাসনা পূরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা! 


সন্দেহ কেন করেছিলাম? হঠাৎ কি আর সন্দেহ হয়? না! ধীরে ধীরে হয়! যখন ই অনুভব করলাম শান্তনা'র বানী আওড়াতে আওড়াতে তিন মাসের বিধবা ভাবীর সাথে আমার স্বামী প্রেম বানী'ও আওড়াচ্ছে! সকলের কাছে তা কেবল রসিকতা মনে হলেও আমার কাছে তা রস নিগাড়ানো'র প্রথম ধাপ‌ই মনে হয়েছিলো! পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকাকে পটাতে যেই বাক্য আওড়ায় তা নিশ্চয়ই ভাবীর সাথে আওড়ায় না তাও কিনা সদ্য বিধবা ভাবীর সাথে আবার সেই পুরুষ যদি হয় এক বাচ্চার বাপ! সে যাই হোক দিনদুপুরে তাদের কর্মকান্ড ই আমাকে সন্দেহ বাতিক হতে বাধ্য করেছে। আর তার প্রমান ও পেয়ে যাই সেই রাতে! তবে বুঝতে পারছিলাম ঘটনা একদিনে নয় কারন প্রথম বারেই কেউ এতটা সাবলীল ভাবে কারো ঘরে প্রবেশ করতে পারে না তার মানে প্রায় সময়‌ই এরকম কাজ করা হতো আমার নাকের ডগায় তা আমার মতো নির্বোধ বুঝতে পারে নি আর তার ই খেসারত এখন দিতে হচ্ছে!


আমার স্বামীকে হাতে নাতে ধরেছি তাও আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেছে! তাকে দেখে নিরবে ঘরে প্রবেশ করি,সে কিছু সময় আতংক,ভয় লজ্জায় কিংবা হতভম্ব হয়েই হয়তো দাঁড়িয়ে ছিলো দরজার সামনে! বুঝতে পারেনি বেচারা! তার মানবিক কাজের বহিঃপ্রকাশ যে এমনে ঘটবে,তার মানব দরদী মনের ভেতরের পাতা যে এভাবে আমার

 সামনে উন্মোচিত হবে তা হয়তো ক্ষুনাক্ষরে'ও আন্দাজ করে নি! 


এর পর থেকে আলাদা হলো আমাদের বিছানা! সে খাটে আর আমি আড়াই বছরের শিশু কে নিয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে থাকতে শুরু করলাম! আর যাই হোক অন্যের একবার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করার অভ্যাস আমার নাই! রুচিতে কুলোয় না! আর এটা তো আস্তো একটা মানুষ! যদিও এটা প্রথম আমি‌ই ব্যবহার করেছি তবুও এটা এখন আরো একজনের ব্যবহৃত ! বলা যায় আমার বেড়ে রাখা খাবারের মধ্যে হঠাৎ করেই অন্য একজন নিজের নোং*রা হাত দিয়ে দিলো সেটা নিশ্চয়ই আমি খাবো না! এটার ক্ষেত্রে ও তেমনি!


তবে তাতে আমার স্বামীর উপর বেশি একটা প্রভাব ফেললো না কারন যত‌ই বলি সেও পুরুষ মানুষ! আর তাদের কাছে শরীরের ক্ষুধা মেটানো'ই জরুরী সেটা হোক হালাল কিংবা হারাম! তার ক্ষেত্রে সেই বানী মিথ্যা হ‌ওয়ার কোন সুযোগ ই নেই। 


অবশ্য প্রথম ১৫ দিন সে কিছুটা শান্ত ছিল, একদম আদর্শ স্বামী হ‌ওয়ার প্রচুর প্রচেষ্টা করলো তাতে আমার হৃদয়ে এক চুল পরিমান টনক ও নড়লো না!  অবশ্য সে সেই রাত থেকে শুরু করে পরের পনেরো দিন হাজার ভাবে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে,তার করা কাজের হাজারটা যুক্তি দেখাতে চেয়েছে , ক্ষমাও চেয়েছে এমনকি দুই চারবার পায়ে ধরেও ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই আমি এড়িয়ে গিয়েছি! আমি কোন কথা শোনার বা বোঝার বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই নি কারন প্রতিবার ই আমার মন বলেছে একবার যে ঠকাতে পারে সে বারবার পারে! সুতরাং এইরকম বিশ্বাসঘাতক, বেইমান, প্রতারক, ছলনাকারীদের দ্বিতীয় সুযোগ দিতে নেই!আমিও তাই করেছি! তবে ভেবেছি হয়তো শুধরে যাবে কিন্তু তেমন কিছু হলো না‌। বরং পনেরো দিন পরেই সে আমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও নিজের কাজে লেগে পড়ে! আর ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় আমার মন মস্তিষ্ক থেকে!


দীর্ঘ দেড় ঘন্টা মিটিং চললো তাতেও কোন সুফল পাওয়া গেছে বলে মনে হলো না,এর মধ্যেই সম্ভবত 

মুক্তা ভাবীর মা বাবা ও চলে এসেছে।আমি যদিও দেখিনি তবুও বাইরের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের গলার ও শব্দ পাচ্ছি! তাই ধারনা করেই বললাম।পুরো সময়'টাই থেমে থেমে শুনতে পেলাম আমার ননাসে'র মুখ থেকে নির্গত হ‌ওয়া কিছু বিচ্ছিরি শব্দ যা ছিলো আমার জায়ের জন্য! তার পাশাপাশি নিজের ভাইকে ও দিলো লানত! আর আমার জন্য চিরায়িত শান্তনা'র বানী শুধু শুনতে পেলাম না তাদের কোন শব্দ! 


আমি জানি এই সমস্যার সমাধান আপাতত নাই! কারন যত‌ই হোক আপাতত জা মহিলা গ*র্ভবতী, আর এই অবস্থায় বিচার বলতে যা হ‌ওয়া উচিত তা আমাদের মডার্ন জগতে চলে না। ঐদিকে যত‌ই হোক পেটের বাচ্চাটা এই বাড়ির সম্পদ বলেই আখ্যায়িত হচ্ছে যদিও এটা কেবল বাচ্চাকে বাঁচানোর একটা প্রচেষ্টা জা"য়ের মা বাবা করছে।আমিও অবশ্য তাতেই খুশি কারন যাই হোক এতে ঐ গর্ভে থাকা অবুঝ প্রাণের কোন দোষ নেই। তাছাড়া এমন একটা সময়ে জানাজানি হলো যে এবরশন ও করানো যাবে না ,মা বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে! তাহলে এখন কি হবে? বাচ্চা পেটে থাকতে বিয়ে তো হয় না,আর সবচেয়ে বড় কথা আমার স্বামীর তো ব‌উ আছে! একটা চান্দের মতো বাচ্চা মেয়েও আছে তাহলে? কিভাবে কি হবে! এইদিকে এই কথা যদি বাইরে জানাজানি হয় তাহলে তো এই বাড়ির এত বছরের অর্জিত সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে! আবার আমার স্বামী মহাশয় গোঁ ধরে বসে আছে,সে বিয়ে করতে পারবে না! কোন মতেই সে তার স্ত্রী সন্তানদের অধিকার ভাগ করতে পারবে না! তার এইসব ছ্যাবলা কথায় আমার পেট ফাটানো হাসি আসছে! মানে শোয়ার সময় মনে হয়নি তার স্ত্রী অধিকার সে ভাগ করছে এখন যখন জানাজানি হলো, বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপার আসলো তখন তার মনে হচ্ছে অধিকার ভাগ করার যাবে না!  


ভালোবাসা_নাকি_মোহ 


লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি 


পর্ব ১


নেক্সট পর্ব এই পেজে দিয়ে পোস্ট করা হবেনা নেক্সট পর্ব (গল্পের শহর) পেজে পোস্ট করা হবে সকল পর্ব সবার আগে পেতে নিচের সবুজ (গল্পের শহর) লেখা চাপ দিয়ে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

.

 👉 পূর্ণতার শহর  

.

..

পিচ্চি_প্রেয়সী  প্রথম পর্ব  লেখক: ফাহিম_চৌধুরী 

 বাসর রাতে রুমে ঢুকতেই পিচ্চি বউয়ের কোলে ওঠার আবদার শুনেই আমি বিস্মিত। 


-- তখন বাজে রাত আটটা, আমি সচরাচর এত তাড়াতাড়ি ঘুমাই না, তাই আমি জামা কাপড় চেঞ্জ করে, রুমে আসলাম, এমন সময় আশা এসে আমার পায়ে সালাম করলো,


-- আমি বলে উঠলাম, এই কি করছিস তুই? এসব কি?


-- আশা: কেন তোমাকে সালাম করছি, আম্মু বলে দিয়েছে বিয়ের প্রথম রাতে নাকি স্বামীকে সালাম করতে হয়, আর এখন থেকে তুমি তো আমার বর এজন্য তোমাকে সালাম করলাম।


-- ওমা তাই নাকি, পিচ্চি মেয়ের আবার বর, আরে আর এসব করতে হবে না, তুই কি উপরে উঠবি নাকি আমার পা ধরে ঘুমাবি বল?


-- আশা: আরে এমন করতেছ কেন, আমি কিন্তু এখন তোমার বউ।


-- আহারে, কি কথা, যা ঘুমিয়ে পড়।


-- আশা: কেন তুমি আমাকে কোলে করে উঠাবে না?


-- এইরে শখ কত, আমার অত রোমান্টিক হবার ইচ্ছা নাই, আমার আপু নিজে নিজে উঠে পড়, আর শোন অত মন খারাপ করিস না, যা ঘুমিয়ে পড়।


-- আশা: তোমার কি খুব ঘুম পাচ্ছে, তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথা টিপে দেই, কেমন?


-- আজ সূর্যটা কোন দিকে উঠছিল রে, তোকে তো আগে ৫০ টাকা দিতে চেয়েও মাথা টিপানো যায়নি আজ তুই নিজে থেকে ওর মাথা টিপে দিতে চাচ্ছিস কেন ব্যাপারটা কি বলতো? তোর কি আজ জ্বর হয়েছে রে আপু, জ্বরের ঘোরে আবোল তাবোল বলতেছিস।


-- আশা: কিহ, তুই আমাকে, আপু বললি আমি কি তোর আপু?


-- আপু নয়তো কি রে? তুই তো আমার আপন মায়ের আপন বোনের নিজের মেয়ে, সেই সূত্রে তুই তো আমার আপুই হোস, আর শোন এর চেয়ে আর বেশি অধিকার খাটাবি না বুঝলি, বিয়েটা আমি এখন করতে চাচ্ছিলাম না বাবা মার জোর করে আমাদের বিয়েটা দিয়েছে এমন না যে বিয়েটা আমি মেনে নেইনি, সামনে আমার পরীক্ষা আর তোর সামনে পরীক্ষা, তাই আমি চাচ্ছি এই মুহূর্তে আমি বউ বউ খেলা খেলবো না।


-- আশা: প্লিজ তুই পাগলামি করিস না সামনে তোর পরীক্ষা মন দিয়ে লেখাপড়া কর সেটাই ভালো হবে, রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পড়, আমাকে একটা বালিশ দে আমি সোফায় ঘুমাই আর তুই বিছানাতে ঘুমা।


-- না পারে না, এখন তুই আমার শুধু আপু নস এখন তুই আমার বউয়ের মত আপু বুঝলি তাই কিছু একটা হয়ে যেতে পারে এজন্য একসাথে ঘুমাবো না তুমি আমাকে ক্ষমা কর।


-- আর শোন পিচ্চি মেয়ে পিচ্চি মেয়ের মত থাক, খবরদার বেশি পাকামো করবি না ঠিক আছে, আর বেশি কথা বললে আমি কিন্তু বাহিরে গিয়ে শুয়ে পড়বো।


-- আশা: এই তোমার বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই আমি বিছানাতেই ঘুমাচ্ছি আর তুমি যাও সোফায় ঘুমাও, ওকে।


-- এইতো আমার লক্ষী বউ। ঠিক বুঝতে পারছিস।


-- আমার কথা শুনে মেয়েটা মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়ল, আমার কি দোষ আমাকে তো জোর করে আম্মু বাল্য বিবাহ দিল, মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগতেছে কিন্তু কি আর করা কিছুই করার নাই এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বলতেই পারবোনা একদম এক ঘুমে সকাল হয়ে গেছে, তখন আশা জোরে জোরে চিল্লাইতেছে।


-- আশা: এই ওঠো, সকাল হয়ে গেছে।


-- না আম্মু আরেকটু ঘুমাতে দাও না আজ কলেজ নাই যাও একটু পরে উঠতেছি।


-- আশা: এ কি বললা তুমি নাউজুবিল্লাহ, আমি তোমার কোন পোষের আম্মু বল।


-- আরে আরে তুই আমি তো খেয়ালই করিনি, এত সকাল সকাল ডাকছিস কেন যা আমি আরেকটু ঘুমাবো।


-- আমি কই তোমাকে ডাকতাছে, আম্মু বলছে এজন্য ডাকলাম।


-- আম্মু ডাকছে তো কি হয়েছে, তুই, বলতে পারলি না যে ঘুমাচ্ছে, তাইতো এক কথায় সব শেষ হয়ে যেত, আচ্ছা ঠিক আছে এত পাকামি করিস না তুই যা আমি আসতেছি।


-- মেয়েটা একটু মন খারাপ করে নিচে চলে গেল আজ কেন জানিনা আমার বারবার মনে হচ্ছে আমার সাথে এটা ঠিক করলাম না এটা বোধহয় এটা বোধহয় বেশি রুট ব্যবহার হয়ে গেল, তাড়াহুড়ো করে নিচে নামলাম, আম্মুকে বললাম দাও দাও তাড়াতাড়ি খেতে দাও, আম্মু অমনি বলে উঠলো।


-- আম্মু: আগে তো আমাকেই খুব বলতিস কাজের লোক রেখে নাও, কাজের লোক না এনে তোকে বউ এনে দিলাম।


-- আশা আমাকে বলে উঠলো, আমি থাকতে তুমি আম্মুকে ডাকতেছ কেন? আমাকে বললেই তো হয়, ওকে দিচ্ছি দাঁড়াও।


-- এই বাচ্চা মেয়ে এত পাকামি করিস না তো, বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা মেয়ের মত থাকবি, এখন বেশি কথা না বলে আমাকে খেতে দে, আমি একটু বাইরে যাব।


-- আশা: এই শোনো না, আমার কিছু জিনিস লাগবে, আর তাছাড়া বিয়ের পর তো আমরা সেভাবে কোথাও ঘুরিনি, আজকে একটু আমাকে বাহিরে নিয়ে যাবা।


-- পিচ্চি মেয়ের শখ কত, তোর কি কি লাগবে আমাকে লিখে দিস আমি নিয়ে আসবো নে বাইরে ঘোড়ার সময় নেই আমার।


-- আশা: এসব কথা কেন জানিনা মেয়েটাকে বলার পর আমার কিছুতে ই ভালো লাগছিল না তাই আমি তিনটার সময় ওকে বললাম, তুই রেডি হয়ে থাকিস বিকেলে নিয়ে তোকে বের হব কি কি লাগবে মনে করে বলিস কেমন?


-- ঠিক বিকাল ৩ টায় আশা রেডি হয়ে আমাকে বলতেছে, এই মশাই, বাইরে যাবা না তোমাকে না আজ আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা।


-- যা তুই রেডি হয়ে নে, আমি উঠতেছি, তোর জন্য একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারি, না দিলি তো আমার কাঁচা ঘোমটা নষ্ট করে সালার পেত্নী একটা যা ভাগ রেডি হও।


-- আশা: এই তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছ কেন আমি কিন্তু আম্মুকে সব বলে দিবো বুঝলে।


-- এই আমাকে কিছু বলিস না আচ্ছা ঠিক আছে সরি যা তুই রেডি হয়েনে।


-- আমি তো রেডি হয়েছি তুই চোখটা খুলে একটু দেখ না নীল শাড়িতে আমাকে ঠিক কেমন লাগছে, কিন্তু প্রবলেম একটা হইছে জানিস।


-- ও মা এতো দেখছি আমার পরীর মত আপু বসে আছে।


-- আশা: কি হ আবার তুই আমাকে আপু বললি আমাকে কি বলে দেবো আমি সব।


-- আরে না না, বলিস না, ওকে ওকে পরীর মত আপু না পরীর মত বউ, এবার তো হয়েছে সালার পিচ্চি, তা তোর কি সমস্যা তুই যে বললি তোর একটা প্রবলেম হয়েছে।


-- আশা: এই দেখ না ব্লাউজের হুকটা খুলে গেছে লাগাতে পারছি না, একটু লাগিয়ে দাও না প্লিজ।


-- শালার পিচ্চি, তোকে কি আমি এমনি পিচ্চি বলি, ব্লাউজের হুকটা লাগানোর সাধ্য হয়নি তোর আবার হয়েছিস বউ, ভীষণ হাসি পাচ্ছে আমার।


-- আশা: এই কথায় কথায় তুমি আমারে পিচ্চি বলো কেন।


-- পিচ্চিরে পিচ্চি বলবো না তো কি বলবো, এই নে লাগিয়ে দিলাম, আপু হিসেবে কিন্তু, বউ বললে কিন্তু না, হয়েছে তোর, বের হবা এখন।


-- আশা: এই তুমি সব সময় এত রুট কথা বলো কেন? এভাবে বলতে পারোনা, কিগো হইছে তোমার, শালা রস কস হীন।


-- আমি এভাবে এখনই বলতে পারব না, পিচ্চি তুই আগে বড় হ তারপর দেখা যাবে।


-- আশা: তার আগেই তুমি আমাকে তুমি করে বলবা বাজি ধরে নাও।


-- জিনা, এটা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না, ওকে চল আর তর্ক না করে, বেরিয়ে পড়ি।


আমি বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলাম… কেউ দেখে ফেললে বিপদ… দুইটা হেলমেট নিয়েই বের হয়েছি… স্পিড বাড়াতে না বাড়াতেই পেছন থেকে আশা আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…তারপর   হঠাৎ সে বলে ওঠে…..


চলবে পরের পর্বের লিংক কমেন্টে। 


#পিচ্চি_প্রেয়সী 

প্রথম পর্ব 

লেখক: #ফাহিম_চৌধুরী 


আপনারা সবাই নেক্সট নেক্সট করেন কেনো আমি প্রায়  সব গল্পের পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দিয়ে রাখি তো ভালো করে চেক করবেন আর নাহয় আমার Opornota - অপূর্ণতা 彡  পেজ ফলো করবেন সেখানেও নেক্সট পার্ট গুলো পাবেন।

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴

🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲


হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল পাক (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর? করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষ


পরিচিতি:


সোনাপাতা বীরুৎ জাতীয় পাতা। দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতো এবং হালকা একটা বুনো গন্ধ আছে এই ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদে। পাতার রং কাঁচা অবস্থায় হলুদাভ সবুজ এবং শুকানো হলে হলুদাভ সোনালি বর্ণ হয়। অক্ষের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ মাথায় হলুদ রঙের ফুল ফোটে। ফুল সাদা বা গোলাপি রঙের হয়। ফলে শিমজাতীয় নলাকার বা চ্যাপ্টা হয়। ফলের ভিতরে আড়াআড়িভাবে বীজ থাকে। সুদান, সোমালিয়া, সিন্দু প্রদেশ, পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সোনাপাতার চাষ করা হয়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোনাপাতা পাওয়া যায়। আরব দেশের জঙ্গলে সোনাপাতা প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। গাছটি মুলত উষ্ণমন্ডলীয়। ফলে দেশ সমূহে বেশী জন্মে।


এর পাতা কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। শরীরের ওজন কামায়, ও উচ্ছ রক্ত চাপ কামতে সাহাজভ করে।সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।


সোনাপাতার রাসায়নিক উপাদান:


সোনা পাতায় আছে ১.৫-৩% হাইড্রোজায়ানথ্রাসিন গ্লাইকোসাইড, প্রধানত সেনোসাইড এ এবং বি যা রেইন-হায়ানথ্রোন এবং কম পরিমাণে সেনোসাইড সি এবং ডি যা রেইন-এলো-ইমোডিন-হেটেরোডায়ানথ্রোন, ন্যাপথলিন গ্লাইকোসাইড ফ্ল্যাভোনয়েড(কেম্পফেরল এবং আইসো-রামানিটিন এর ডেরিভেটিভ), ১০-১২% খনিজ উপাদান, ৭-১০% মিউসিলেজ(গ্যালাক্টোজ, এরাবিনোজ, রামনোজ এবং গ্যালাকটিউরোনিক এসিড), প্রায় ৮% পলিঅল (পিনিটল); সুগার(গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ) এবং রেজিন।


ঔষধী ব্যবহার


সোনা পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলির কারণে এটা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে বেশী ব্যবহৃত হয়। কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে উদ্দীপনা যোগায় এর কারণ হল সেনোসাইড এবং রেইন এনথ্রোন হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। রেচক (Laxative effect) বা শীতলকারক হওয়ার ফলে বৃহদন্তে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয় যা ইনটেস্টাইন্যাল উপাদান গুলোর ভলিউম এবং চাপ বৃদ্ধি করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।


বিশ্ব হার্বাল গবেষণা ইন্সটিটিউট এই ভেষজ উদ্ভিদকে অত্যন্ত শক্তিশালী ভেষজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কমিশন ই(E) কোষ্ট-কাঠিন্য নিরাময়ের জন্য সোনাপাতা গ্রহণের অনুমতি দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মাঝে মধ্যে সংঘটিত কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করার জন্য স্বল্প সময়ের চিকিৎসা হিসেবে সোনাপাতা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে সোনা পাতা ভেষজ হিসেবে সরাসরি ব্যবহারের চাইতে এর পাউডার নিয়মিত খেলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়।


সোনাপাতায় বিদ্যমান ইমোডিন বিভিন্ন পরিমাণে চিকিৎসায় ব্যবহা করা হয়। প্রদাহ নাশ করতে ১৫ মি.গ্রা./ কেজি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এন্টি সেপটিক ও এন্টি আলসার হিসেবেও এটা কাজ করে।

এন্হ্রাকুইনোন সাইটোটক্সিক এবং কোষ পুনরুদ্ধার-এ রিজেনারেশনে উদ্দীপনা জাগায়, ডিটক্সিফিকেশন এবং পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে।


সোনা পাতার চা: সোনা পাতার চা খেতে সামান্য মিষ্টি এবং অধিক তিতা যদি কড়া করে বানানো হয়। তাই, সাধারণ চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।


সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম:


প্রতিদিন ২০-৪০ মিলি গ্রাম রাতে পাতা এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে আবার আল্প পরিমান গরম পানি তাতে মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। সাথে ৩-৪ টি পাহড়ি হরতকি গুরা কে দিলে ভাল হয়।


অথবা 


রাতে আধা চা চামুচ বিডি হেলথ সোনাপাতা পাউডার আধা গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ছেকে নিয়ে অল্প পরিমাণ গরম পানি মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে । বিডি হেলথ সোনাপাতা পাউডার কিনুন এবং যথা নিয়মে সেবন করে সুন্নত পালন করুন এবং বোনাস হিসেবে পান বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা।


বিরুদ্ধ ব্যবহার/ সতর্কতা:


আমাশয়, পাতলা পায়খানার রোগীদের, বৃদ্ধদের, দুর্বলদের, ও অন্ত্রের কোন রোগ থাকলে, যেমন-অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার, এপেনহিসাইটিস ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে সোনাপাতা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এবং ৫ বছরের নিচের বাচ্চদের এই হার্বস ব্যবহার করা উচিত নয়। 

* খাবার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমের আশেপাশে থাকতে হবে।

* সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিনের বেশি সেবন করা উচিৎ না।


পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

উচ্চ মাত্রায় দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে শরীরে পটাশিয়াম লেভেল কমে যায়। পটাশিয়াম লেভেল কমে গেলে এই অবস্থাকে বলে হাইপোক্যালিমিয়া। হাইপোক্যালমিয়া হলে নিম্নলিকিত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে-


*পেটে ব্যথা

*কোষ্ট-কাঠিন্য

*লো ব্লাড প্রেশার

*গোস্ত পেশীর দূর্বলতা

*বমি বমি ভাব

*বমি হওয়া

*দৃষ্টি ভ্রম

*শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে

*হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন দেখ দেয়


দীর্ঘ সময় ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, হাড় বা গোস্তপেশী দূর্বল হয়ে পরে এবং ক্ষধা কমে যাওয়ার করণে শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। এছাড়া উচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের ফলে পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে।


সেনাতে বিদ্যমান এনথ্রাকুইনোন-এর করণে ইস্তঞ্জা (প্রস্রা)লাল, গোলাপী বা বাদামী রঙ


কবিরাজ সঞ্জয় দত্ত 

আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)।

---

🔖 Ledum Palustre 30

🌹 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থেকে উপরের দিকে ওঠে (বিশেষত পায়ের আঙুল থেকে শুরু হয়ে উপরে ওঠে)।

▪ ঠান্ডা প্রয়োগে ব্যথা কমে, কিন্তু গরমে বাড়ে।

▪ আক্রান্ত জয়েন্ট ফোলা, কালচে বা আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে।

▪ আক্রান্ত স্থান ঠান্ডা মনে হয়।

▪ গেঁটে বাত, মচকে যাওয়া, আঘাতজনিত ব্যথার জন্য উপযোগী।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ বিষণ্ণ রাগ, উদ্বেগ, নির্জনতার আকাঙ্ক্ষা।

▪ অসন্তুষ্ট, অপ্রীতিকর।

☂️ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের ব্যথা যখন নীচ থেকে উপরের দিকে ছড়ায় এবং ঠান্ডা প্রয়োগে আরাম হয়, তখন এটি খুব কার্যকর।

---

🍂 Colchicum Autumnale 30

🔴 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের তীব্র ব্যথা, যা স্পর্শে বা নড়াচড়ায় মারাত্মকভাবে বাড়ে।

▪ আক্রান্ত জয়েন্ট লাল, ফোলা এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

▪ রাতে ব্যথা বাড়ে।

▪ বমি বমি ভাব বা বমি সহ ব্যথা।

▪ গন্ধ (বিশেষ করে খাবারের গন্ধ) অসহ্য মনে হয়।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ সহজেই বিরক্ত হয়, সামান্য কারণে রেগে যায়।

▪ আলো, শব্দ বা গন্ধ অসহ্য মনে হয়।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের তীব্র আক্রমণে এটি অত্যন্ত কার্যকর, যেখানে ব্যথা স্পর্শে বা নড়াচড়ায় তীব্র হয় এবং বমি বমি ভাব বা বমি থাকতে পারে।

---

🪴 Rhus Toxicodendron 30

🔵 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের ব্যথা প্রথম নড়াচড়ায় বাড়ে, কিন্তু ক্রমাগত নড়াচড়ায় কমে।

▪ ঠান্ডা, ভেজা আবহাওয়ায় বাড়ে।

▪ জয়েন্টগুলোতে আড়ষ্টতা, থেঁতলে যাওয়ার মতো ব্যথা।

▪ সকালে ঘুম থেকে উঠলে বা বিশ্রামের পর ব্যথা বেশি।

▪ অস্থিরতা, ছটফট করা।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ অস্থির, উদ্বিগ্ন।

▪ সবকিছুতে সন্দেহপ্রবণ।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতজনিত ব্যথা, যেখানে নড়াচড়ায় আরাম হয় এবং ঠান্ডা-ভেজা আবহাওয়ায় লক্ষণ বৃদ্ধি পায়।

---

🪴 Benzoic Acid 30

🟢 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের সাথে প্রস্রাবে তীব্র দুর্গন্ধ (ইউরিক অ্যাসিডের কারণে)।

▪ মূত্র গাঢ় এবং গন্ধযুক্ত।

▪ ডান দিকের জয়েন্টগুলোতে বেশি প্রভাব।

▪ জয়েন্টগুলোতে তীব্র ব্যথা, যা ফুলে যেতে পারে।

▪ লিউকোমিয়া বা রিউম্যাটিক জ্বরের ইতিহাস।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, বিশেষত নাম মনে রাখতে কষ্ট হয়।

▪ উদ্বিগ্ন, বিষণ্ণ।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের সাথে যখন প্রস্রাবে খুব তীব্র ও কটু গন্ধ থাকে এবং ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা স্পষ্ট, তখন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

---

🪴 Urtica Urens 30

🟣 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের সাথে শরীরে চুলকানি বা আমবাতের মতো র্যাশ থাকতে পারে।

▪ সমুদ্রের খাবার বা শেলফিশ খাওয়ার পর গেঁটে বাতের বৃদ্ধি।

▪ দুধ পানে বা ঠান্ডা লেগে লক্ষণ বৃদ্ধি।

▪ তীব্র জ্বালাপোড়া ও চুলকানি।


⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের ব্যথা যখন ত্বকের র্যাশ বা চুলকানির সাথে সম্পর্কিত থাকে, বিশেষত যদি খাদ্যাভ্যাসের (যেমন শেলফিশ) সাথে সম্পর্ক থাকে।

Cd

টাকানেই মানে আপনার কোনো দাম নেই

 📌টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আপনার আদরের সন্তান দোকানে দাঁড়িয়ে একটা খেলনা পছন্দ করে, কিন্তু আপনি সেটা কিনে দিতে ব্যর্থ হন! টাকার গুরু...