এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ পরিক্রমা বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/৩০ বুধবার
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।
(৩০-১১-২০২২)
আজকের শিরোনাম-
* প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় - প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বললেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
* সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি কোনো সহিংসতা করে তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেবে আওয়ামী লীগ - হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের।
* সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অনুমতি দিতে পারে না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।
* আগামীকাল শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কোর্ভিড টিকাদান অভিযান - সম্মুখ সারির কর্মী, ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও গর্ভবতী নারীদের চতুর্থ ডোজ প্রদানের সুপারিশ।
* আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
* আরও অস্ত্র সরবরাহ এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ গ্রিড মেরামতে দ্রুত সহযোগিতার জন্য ন্যাটোর প্রতি ইউক্রেনের আহবান।
* এবং কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে টিকে থাকার ম্যাচে আজ রাত একটায় পোল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ফেভারিট আর্জেন্টিনা।
মুহিউসসুন্নাহ শাহ মুফতি নূরুল আমীন সাহেব দাঃ বাঃ এর- সংক্ষিপ্ত পরিচিতি,,,,মেসবাহউদ্দিন ফেইসবুক থেকে,,,
মুহিউসসুন্নাহ শাহ মুফতি নূরুল আমীন সাহেব দাঃ বাঃ এর-
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :
``আল্লাহর বান্দাগণের মাঝে এমন কিছু বান্দা রয়েছেন, যাঁরা স্বভাবজাত ওলী হয়ে থাকেন। জন্মের থেকে মুকাল্লাফ হওয়ার পূর্বেই তাঁদের বেলায়েতের আলামত ফুটে ওঠে।
তাঁদের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামীন নিজ পরিববার, সমাজ ও দেশকে আলোকিত করেন। যুগ-যুগান্তরে এমন মনীষীদের দ্বারা সহি দীনের ধারা চালু রাখেন। তারা ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে ও সামাজিক জীবনে বড় বড় বিষয় ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে দীনকে খুঁজে ফেরেন। শত বিপত্তি আর প্রলয়াঙ্করী ঝড়ের মাঝেও দীনের ঝান্ড উঁচু করে রাখেন। যাদের মুহুর্তগুলো কাটে জিকির ও ফিকিরে। এক-একটি মুহুর্ত তাদের কাছে অমূল্য রত্ন তুল্য। উম্মতের দরদে সর্বদাই অস্থির থাকেন। হুব্বুল্লাহ ও হুব্বে রাসূলের দরিয়ায় সর্বদা হাবুডুবু খান। দীন পালনে কোন তিরস্কারকারীর ভ্রুক্ষেপ বা কর্ণপাত কিছুই করেন না। ইলম ও মারেফাতে মত্ত থাকাই আসল কাজ। যাদের অবদান মুসলিম উম্মাহ কখনো ভুলতে পারেনা। আর তাদের নিয়ে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হবো তবুও শেষ হবেনা।
এমনি একজন আল্লাহর খাস বান্দা মাগুরা জেলার কৃতি সন্তান খ্যাতিমান আলেমে দীন, মুহিউসসুন্নাহ শাহ মুফতি নূরুল আমীন সাহেব দাঃ বাঃ এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরছি.....''
নাম:
নূরুল আমীন
জন্ম:
তিনি ১৯৫৫ ঈ সনে মাগুরা জেলার শাজিরকান্দী গ্রামের ঐতিহাসিক মুন্সি পরিবার ওরফে হাজী বাড়ীতে জন্ম গ্রহন করেন।
পিতা:
জনাব আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক (রহ.) যিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যিনি আপন উস্তাদ, শাইখ ও মুরব্বীগণের নেক নজর ও আপন ইখলাস ওয়ালা মেহনতের বদৌলতে ‘বড় উস্তাদজী’ উপধীতে ভুষিত হন।
তাঁর সম্মানিত পিতার জীবনী জানতে এখানে ক্লিক করু।
https://www.assiddik.com/manishi_biography/abu_bakr_siddik_rah/memoir/
https://www.assiddik.com/manishi_biography/abu_bakr_siddik_rah/brief_biography/
মাতা:
তাঁর মাতার নাম ‘চেমন আফরোজ’ জিনি একজন রত্নগর্ভা মহিয়সী রমনী ছিলেন। যিনি মাগুরার শাজিরকান্দী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত দ্বীনি পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন একজন আদর্শ বধু, আদর্শ মা, সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত রমনী এবং দ্বীনি পরিবার গঠনের সুদক্ষ কারিগর।
শিক্ষাদীক্ষা:
প্রাথমিক শিক্ষা: তিনি প্রথমিক শিক্ষা অর্জন করেন মাগুরার শিমুলিয়া মাদরাসা ও যশোর রেল স্টেশন মাদরাসা হতে।
দাওরাতুল হাদিস: জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারী (১৯৭৯) এবং দারুল উলূম দেওবন্দ ভারত (১৯৮০)
উচ্চতর শিক্ষা: উচ্চতর ইসলামী আইন (ইফতা) দারুল উলুম দেওবন্দ (১৯৮১)
কর্মজীবন:
দারুল উলুম খুলনা এ (১৯৮২-২০০২) পর্যন্ত সিনিয়র উস্তাদ ও মুফতী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সন্তান সন্ততি:
৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে। (এক ছেলের ওফাত হয়েছে)
কন্যাদের সকলের বিবাহ হয়ে গেছে এবং তিন ছেলের মাঝে বড় ছেলের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী দুইজন অধ্যায়রত আছে। তারা দুইজন হাফেজে কুরআন।
ছেলেদের নামের তালিকা:
বড় ছেলে: মরহুম আবরারুল হক
মেজো ছেলে: মিয়াজি মুহাম্মাদুল্লাহ
সেজো ছেলে: হাফেজ আনাস আমীন (অধ্যায়নরত)
ছোট ছেলে: হাফেজ যায়েদ আবরার (অধ্যায়নরত)
মেয়ের জামাতাগন সকলেই যোগ্যতাসম্পন্ন আলেমে দীন
ভাই বোন:
তাঁরা নয় ভাই ও পাঁচ বোন। (এক বোনের ওফাত হয়েছে) আল্লাহর রহমতে বাকীরা সবাই এখনো জীবিত আছেন।
নিম্নে ভাইদের নামের তালিকা দেওয়া হলো-
(এক) মাওলানা রূহুল আমীন
ফাজেলে দারুল উলুম হাটহাজারী।
শিক্ষক: জামিয়া নূরিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
(দুই) পীরে কামেল মুফতী নূরুল আমীন সাহেব
(তিন) মাওলানা ফজলুল করীম যশোরী
ফাজেলে জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগ ১৯৮৮
(চার) মুফতী মুমতাজুল করীম
১. ফাজেলে দারুল উলূম দেওবন্দ ভারত [দাওরা]।
২. ফাজলে দারুল উলূম খুলনা [খুলনা]
৩. কামিল হাদীস, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড।
(পাঁচ) হাফেজ মাওঃ আহমাদ করিম সিদ্দীক সিদ্দীক
১. হাফিযুল কুরআন
২. দাওরায়ে হাদীস [ফার্স্ট ক্লাশ] (দারুল উলূম, দেওবন্দ, ভারত)
৩. উচ্চতর আরবী সাহিত্য, [ফার্স্ট ক্লাশ] (দারুল উলূম দেওবন্দ ভারত)
৪. কামিল হাদীস [ফার্স্ট ক্লাশ] (মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ)
বহু গ্রন্থ প্রনেতা।
(ছয়) হাফেজ মোহাম্মদ রিজাউল করিম
দারুল খুলনা ও মাসনা মাদরাসা যশোর।
(সাত) হাফেজ মাও: ইমাম উদ্দীন
দারুল উলুম খুলনা ও মাসনা মাদরাসা যশোর।
(আট) মাওলানা মোসলেহ উদ্দীন
ফাযেলে দারুল উলুম হাটহাজারী।
(নয়) হাফেজ মাওলানা মুফতি মিসবাহুদ্দীন
ফাযেলঃ মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী বসুন্ধরা, ঢাকা।
আসাতিযাগণ:
★ স্বদেশে: মুফতি আব্দুল্লাহ মাগুরার হুজুর দা. বা, মুফতি আলী আকর রহ., মাওলানা রজব আলী রহ., মাওলানা আবুল হাসান রহ., মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ, মুফতি আহমাদুল হক রহ. মাওলানা শাহ আহমাদ শফী দা. বা. প্রমুখ যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গ আলেমগণ।
★ দেওবন্দে: কারী তৈয়্যব রহ. মুফতি মাহমুদুল হাসান গাঙ্গুহী রহ. মাওলানা ফখরুল হাসান রহ., মাওলানা নাসির আহমাদ খাঁন রহ. মাওলানা আনযার শাহ কাশ্মীরী রহ. মাওলানা ওয়াহিদুযযামান কিরানভী রহ. মুফতি সাঈদ আহমাদ পালনপূরী রাহিমাহুমুল্লাহ।
তিনি যার খলীফা:
তিনি আরেফ বিল্লাহ হযরত মাওলানা শাহ হাকীম মুহাম্মাদ আখতার (রহ.) ও হযরত মাওলানা শাহ মাহমুদুল হাসান দা. বা. এর খলীফা।
শাইখের সহচর্য:
১৯৮২-৮৩ সালে বাইআত হওয়ার পর থেকে করাচী হযরত রহ. বাংলাদেশে আসলেই তিনি সার্বক্ষণিক তার শাইখের সোহবতে থাকতেন। এছাড়া চারবার করাচীর খানকায় সফর করেছেন। এর মঝে ১৯৯৭ ও ২০০২ করাচীর খানকায় চিল্লা দিয়েছেন। অন্য দুইবার ২০/২২ দিন খানকায় থেকে নিজ শাইখের সোহবতে ধন্য হয়েছেন।
খেলাফত লাভ:
নব্বইয়ের দশকেই যশোর ঝিকরগাছা বাকুড়া মাদরাসায় বসেই করাচী হযরত রহ. তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন।পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ীর হযরতও তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন।
শাগরেদ:
তিনি যাদেরকে বাইয়াত ও ইসলাহের অনুমতি দিয়েছেন (খেলাফত দিয়েছেন) তাদের সংখ্যা শাতাধিক হবে। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আপন আপন যায়গায় ইসলাহে উম্মতের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন।
ঈর্ষণীয় বিশেষ কিছু গুণাবলি :
তিনি ইখলাস, তাকওয়া, যুহদ, মুআমালা-মুআশারা, শাওকুল ইলম, তামাসসুক বিদ্-দীন ওয়াস সুন্নাহ, নাশারুদ দীন, ইসলাহে নাফস, মুজাহাদা, তাফাক্কুহ, ইলমি মাহারত সর্বদিক দিয়ে তিনি অগ্রগামী। দীন জিন্দা করার ফিকিরে নিরলস ভাবে ছুটে যান দেশের আনাচে-কানাচে।
তিনি আশেকে বাইতুল্লাহ ও আশেকে মদীনা। ঋণ করে হলেও জিয়ারতে বাইতুল্লাহ ও জিয়ারতে মদীনায় গমন তাঁর মন শান্ত হয়না।
আল্লাহ তা`আলা আমাদের জন্য তাঁর ছায়াকে দীর্ঘ করুন।
বিস্তারিত জীবনী জানতে:
https://www.assiddik.com/manishi_biography/muf_nurul_ameen/
খানকাহ ও ঠিকানা:
খানকাহ ইমদাদিয়া আশরাফিয়া, গুলশানে শাইখ হযরত মাওলানা শাহ হাকিম মুহাম্মাদ আখতার সাহেব দা. বা. রহ. ফাতেমাবাগ, জিরো পয়েন্ট, খুলনা।
ওয়েব সাইট: www.nurbd.net
ফেসবুক পেজ: https://facebook.com/khanqahimdadiakhulna
পারিবারিক সংগঠন:
আস-সিদ্দীক ফাউন্ডেশন
শাহজিরকান্দি, মুসাপুর বাজার, মাগুরা।
মোবাইল : 01712-544865, 01712-572359, 01967-119283
ওয়েসবাইট: www.assiddik.com
ইমেইল : info@assiddik.com, assiddik.com@gmail.com
কপি
পেস্ট
মোনালিসা চিত্রকর্মের রহস্য,,,,,,,,,
মোনালিসা চিত্রকর্মের রহস্য:💮
🔹
🔴 লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর
সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু
মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য
খুজে পাওয়াটা কঠিন!
কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক
মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং
তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে
গেছেন অসংখ্য রহস্যের.........
১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন।
১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক
ভাবে মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর সময় নিয়ে আকা
মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান!
অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি
সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল.......
ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়,
এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর। অবাক করার বিষয়
হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল
থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি
পরিবর্তন করে!
এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা!
১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে
মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা
মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন
প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা!
কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!!
রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি
১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে
দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি
ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বলেছিল সে চোরকে
দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়। প্রায় ৩৫০ বছর
আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!!
১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া
যায়। লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের
জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ
কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য
এতো টাকা খরচ!!
এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা
কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০
মিলিয়ন ডলার।
টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!!
মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও
দিয়ে যাননি। ২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে
অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে
দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে
ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা
জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ
করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা
শুরু করেন।
২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার
ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন
ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন
যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর
৪০ মাইক্রোমিটার।
অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা!
পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার
ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে
লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।
সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই
আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা
পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে
দিয়েছে!
সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে
মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে
হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে
মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে।
মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে
হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে
তাকালেই সে হাসি গায়েব!
সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার
ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি
ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার
করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা শ্রী
তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।"
যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার
এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি
বোঝাতে চেয়েছিলেন?"
প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র
উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।
অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে
দেয়ার মত!
ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা
দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।
সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি
তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির
জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে
দেখেছিলেন!
ছবিটা একটা এলিয়েনের!!
ভিনগ্রহের এলিয়েন.....!!😲😲
কালেক্টেড
সকাল সাতটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/৩০ বুধবার
সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ: ৩০-১১-২০২২ খ্রি:।
আজকের শিরোনাম :
* সাধারণ রোগীর মত টিকেট কেটে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
* মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিব কোট পরে নয়, তাঁর আদর্শের সৈনিক হতে হবে, শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
* সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ করা হলেও বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের জন্য বাড়াবাড়ি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে সরকার - বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
* সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগান সামনে রেখে আজ দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় আয়কর দিবস।
* বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরে ধান উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।
* ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ এবং রুশ ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো সংস্কারে সহায়তা প্রদানে ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি।
* এবং কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, সেনেগাল ও ইংল্যান্ডের নিজ নিজ ম্যাচে জয়লাভ - আজ রাতে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে পোল্যান্ডের।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি অসাধারন ঘটনার মুজিযা,,,,
# রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি অসাধারন ঘটনার মুজিযা
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন পরিখা খনন করা হচ্ছিল তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভীষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম।
তখন আমি আমার স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে কোন কিছু আছে কি? আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দারুন ক্ষুধার্ত দেখেছি। তিনি একটি চামড়ার পাত্র এনে তা থেকে এক সা‘ পরিমাণ যব বের করে দিলেন।
আমার বাড়ীতে একটা বাকরীর বাচ্চা ছিল। আমি সেটি যবহ করলাম। আর সে (আমার স্ত্রী যব পিষে দিল। আমি আমার কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সেও তার কাজ শেষ করল এবং গোশত কেটে কেটে ডেকচিতে ভরলাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে চললাম।
তখন সে (স্ত্রী বলল, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের নিকট লজ্জিত করবেন না।
এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে চুপে চুপে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আমাদের একটি বাকরীর বাচ্চা যবহ করেছি এবং আমাদের ঘরে এক সা যব ছিল। তা আমার স্ত্রী পিষে দিয়েছে। আপনি আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসুন।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে সবাইকে বললেন, হে পরিখা খননকারীরা! জাবির খানার ব্যবস্থা করেছে। এসো, তোমরা সকলেই চল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার আসার পূর্বে তোমাদের ডেকচি নামাবে না এবং খামির থেকে রুটিও তৈরি করবে না।
আমি (বাড়ীতে) আসলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবা-ই-কিরামসহ আসলেন। এরপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট আসলে সে বলল, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন। আমি বললাম, তুমি যা বলেছ আমি তাই করেছি।
এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে আটার খামির বের করে দিলে তিনি তাতে মুখের লালা মিশিয়ে দিলেন এবং বারাকাতের জন্য দু‘আ করলেন। এরপর তিনি ডেকচির কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাতে মুখের লালা মিশিয়ে এর জন্য বারাকাতের দু‘আ করলেন। তারপর বললেন, রুটি প্রস্তুতকারিণীকে ডাক। সে আমার কাছে বসে রুটি প্রস্তুত করুক এবং ডেকচি থেকে পেয়ালা ভরে গোশত বেড়ে দিক। তবে (উনুন হতে) ডেকচি নামাবে না।
তাঁরা ছিলেন সংখ্যায় এক হাজার। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, তাঁরা সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে বাকী খাদ্য রেখে চলে গেলেন। অথচ আমাদের ডেকচি আগের মতই টগবগ করছিল আর আমাদের আটার খামির থেকেও আগের মতই রুটি তৈরি হচ্ছিল।
(সহীহ বুখারী)
৮৭ সূরা আল আ'লা,,,,, সর্বোন্নত
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১
سَبِّحِ ٱسْمَ رَبِّكَ ٱلْأَعْلَى
উচ্চারণঃ ছাব্বিহিছমা রাব্বিকাল আ‘লা-।
অর্থঃ আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ২
ٱلَّذِى خَلَقَ فَسَوَّىٰ
উচ্চারণঃ আল্লাযী খালাকা ফাছওওয়া-।
অর্থঃ যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৩
وَٱلَّذِى قَدَّرَ فَهَدَىٰ
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযী কাদ্দারা ফাহাদা-।
অর্থঃ এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৪
وَٱلَّذِىٓ أَخْرَجَ ٱلْمَرْعَىٰ
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীআখরাজাল মার‘আ-।
অর্থঃ এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৫
فَجَعَلَهُۥ غُثَآءً أَحْوَىٰ
উচ্চারণঃ ফাজা‘আলাহূগুছাআন আহওয়া-।
অর্থঃ অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৬
سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنسَىٰٓ
উচ্চারণঃ ছানুকরিউকা ফালা-তানছা-।
অর্থঃ আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৭
إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُ إِنَّهُۥ يَعْلَمُ ٱلْجَهْرَ وَمَا يَخْفَىٰ
উচ্চারণঃ ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্নাহূইয়া‘লামুল জাহরা ওয়ামা-ইয়াখফা-।
অর্থঃ আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৮
وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ
উচ্চারণঃ ওয়া নুইয়াছছিরুকা লিল ইউছরা-।
অর্থঃ আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ৯
فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ ٱلذِّكْرَىٰ
উচ্চারণঃ ফাযাক্কির ইন নাফা‘আতিযযিকরা-।
অর্থঃ উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১০
سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَىٰ
উচ্চারণঃ ছাইয়াযযাক্কারু মাইঁ ইয়াখশা-।
অর্থঃ যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১১
وَيَتَجَنَّبُهَا ٱلْأَشْقَى
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াতাজান্নাবুহাল আশকা-।
অর্থঃ আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১২
ٱلَّذِى يَصْلَى ٱلنَّارَ ٱلْكُبْرَىٰ
উচ্চারণঃ আল্লাযী ইয়াসলান্না-রাল কুবরা-।
অর্থঃ সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৩
ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ
উচ্চারণঃ ছু ম্মা লা-ইয়ামূতুফীহা-ওয়ালা-ইয়াহইয়া-।
অর্থঃ অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৪
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ
উচ্চারণঃ কাদ আফলাহা মান তাঝাকা-।
অর্থঃ নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৫
وَذَكَرَ ٱسْمَ رَبِّهِۦ فَصَلَّىٰ
উচ্চারণঃ ওয়া যাকারাছমা রাব্বিহী ফাসাল্লা-।
অর্থঃ এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৬
بَلْ تُؤْثِرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا
উচ্চারণঃ বাল তু’ছিরূনাল হায়া-তাদ্দুনইয়া-।
অর্থঃ বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৭
وَٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ
উচ্চারণঃ ওয়াল আ-খিরাতুখাইরুওঁ ওয়া আবকা-।
অর্থঃ অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৮
إِنَّ هَٰذَا لَفِى ٱلصُّحُفِ ٱلْأُولَىٰ
উচ্চারণঃ ইন্না হা-যা-লাফিসসুহুফিল উলা-।
অর্থঃ এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;
সূরা আল আ'লা (الأعلى), আয়াত: ১৯
صُحُفِ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ
উচ্চারণঃ সুহুফি ইবরা-হীমা ওয়া মূছা।
অর্থঃ ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।
,,,,,,,,,,,
রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/২৯ মঙ্গলবার
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।
(২৯-১১-২০২২)
আজকের শিরোনাম-
* সাধারণ রোগীর মত টিকেট কেটে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
* মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিব কোট পরে নয়, তাঁর আদর্শের সৈনিক হতে হবে, শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
* সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ করা হলেও বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের জন্য বাড়াবাড়ি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে সরকার - বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
* ‘সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামীকাল দেশে পালিত হবে জাতীয় আয়কর দিবস।
* বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরে ধান উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।
* রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীতকালকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ ন্যাটোর।
* এবং কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে আজ রাতে বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রুপ পর্যায়ের চারটি ম্যাচ।
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২
কুফু বা বিয়ের ক্ষেত্রে সমতা,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে
কুফু বা বিয়ের ক্ষেত্রে সমতাঃ
বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের বয়স, আর্থিক সচ্ছলতা, পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়সের অধিক ব্যবধানের ফলে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। যা এক সময় স্থায়ী বিচ্ছেদের রূপ লাভ করে কিংবা তারা পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এজন্য ইসলাম বয়স, সম্পদ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেছেন, تَخَيَّرُوْا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ، ‘তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ কর এবং সমতা বিবচেনায় বিবাহ কর, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখ’।[হাদীস ইবনু মাজাহ: ১৯৬৮; ছহীহাহ: ১০৬৭]
ইসলাম ধর্ম কখনোই অনৈতিক বা সমাজ গ্রহণ করে না এমন কোনো কার্যক্রম সমর্থন করে না। আর এরই ধারাবাহিকতায় পরকীয়া ধরনের অপরাধ হচ্ছে অনেক বড় ধরনের জঘন্য অপরাধ। যে অপরাধের শাস্তি দুনিয়াতে অনেক ভয়ানক এবং জীবননাশক। তাই একজন মুসলমানের জন্য এই কাজটি করার আগে অবশ্যই এর শাস্তির ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিৎ। والله اعلم بالصواب
উত্তম দৃষ্টান্ত,,,,,, ফেইসবুক থেকে
মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম মোহর কত চান? তিনি বলেন ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী। ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার সামর্থ্য কতটুকু? সে বলল, সাত হাজার। মেয়ের বাবা বললেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি রাজি। আমি সুপারিশ করে বললাম, দশ সংখ্যাটা পূর্ণ। আমরা তোমাকে কিছু হাদিয়া দিই। তুমি দশ পূর্ণ করে দিও।
ছেলে বলল, তাহলে আমি নিজেই দশ হাজার দিব ইনশাআল্লাহ। আমি বললাম, প্লিজ আমাদের একটু শরিক হতে দাও তোমার সাথে। আমি তোমাকে পাঁচশ টাকা দেব। একথা শুনে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই বাকি টাকা দেয়ার জন্য হাত তুললেন।
কিন্তু মেয়ের বাপ সবাইকে আশ্চর্য করে ঘোষণা দিল, বাকি আড়াই হাজার টাকা ছেলেকে আমিই দিব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আকবার। কত উদার মনের মানুষ! নিজের মেয়ের বিবাহের মোহর বরের পক্ষ থেকে নিজেই আদায় করলেন। সুবহানাল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি একজন প্রকৃত রাজা খুঁজে পেলাম। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথার্থই বলেছেন, আত্মিক ধনীই প্রকৃত ধনী।
✍️ আতাউর রহমান বিক্রমপুরী হাঃ
কতইনা উত্তম দৃষ্টান্ত সুবহানাল্লাহ ☝🏿
( প্রত্যেকটা পিতামাতা যদি এমন হতো কতই না উত্তম হত )
কপি
পেস্ট
নিয়মিত ইসলামিক লেখা পেতে আমাদের পেইজটি ফলো করুন Message বার্তা
সকাল সাতটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/২৯ মঙ্গলবার
সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ: ২৯-১১-২০২২ খ্রি:। আজকের শিরোনাম :
* শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে - বললেন প্রধানমন্ত্রী।
* এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ - পরীক্ষার ফল গ্রহণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে যথাযথ শিক্ষা ও প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনের ওপর শেখ হাসিনার গুরুত্ব আরোপ।
* বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২২ এর খসড়ায় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন।
* ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বাধা নেই, তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
* তারেক রহমান হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবনের প্রতীক - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।
* চীনের শহরগুলোতে থেমে গেছে কোভিড বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।
* এবং কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ফেভারিট ব্রাজিল ও পর্তুগাল নিজ নিজ ম্যাচে জিতে নকআউট পর্বে উন্নীত।
বিয়ের শর্ত,,,,,,,,,,,,,
বিয়ের শর্ত, 💕
১| বিনা কারণে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ত্যাগ করা যাবে না।
২| ফরজ রোজা ও নফল রোজা রাখতে হবে। 💖
৩| সব সময় পর্দায় থাকতে হবে ও মাথা থেকে কখনও কাপড় যেন না পড়ে।💓
৪| পর পুরুষের সামনে যাওয়া বা তাদের সাথে কথা বলা যাবে না। 💗
৫| উচ্চস্বরে কথা বলা বা হাসা হাসি করা যাবে না।💖
৬| স্বামীর সকল কথা মেনে চলতে হবে।💕
৭| কারো গিবত করা বা শোনা যাবে না।❣️
৮| আপনার স্বামী চাইলে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না হলে পারবে না।🧡
৯| কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।
💚
১০| ফজর নামাজ পড়ার পড় সুরা ইয়াসিন ও রাতে সুরা মুলক ও সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করতে হবে।💝
১১| সময় পেলে ইসলামিক বই, পড়তে হবে। ও বিভিন্ন মাছনুন দুয়া পড়তে হবে।💖
১২| অন্য কারোর মোবাইল এ নিজের ছবি তোলা যাবে না। 💓
১৩| গান, ছবি, নাটক, সিরিয়াল দেখা যাবে না, ওয়াজ ও গজল শুনতে হবে।💕
১৪| সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে ও মেহমানদের আপ্পায়ন করতে হবে।💞
এমন শর্ত যদি কোনো ছেলে দেয় পারবা তো বিয়ে করতে
ইংশা আল্লাহ আমি পারবো❤️❤️
বিশ্বে গেইটস এর চেয়ে ও বড় ধনী কে,,,,
একবার এক লোক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "পৃথিবীতে তোমার চেয়ে ধনী আর কেউ আছে কি?"
বিল গেটস জবাব দিয়েছিল, "হ্যাঁ, এমন একজন আছেন যিনি আমার চেয়েও ধনী”।
তারপর তিনি একটি গল্প বললেন-
“এই সময়টি ছিল যখন আমি ধনাঢ্য বা বিখ্যাত ছিলাম না।
“একবার নিউইয়র্ক বিমান বন্দরে একজন সংবাদপত্র বিক্রেতার সাথে আমার সাক্ষাত হলো।’’
“আমি একটি সংবাদপত্র কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখেছি আমার কাছে যথেষ্ট টাকা নেই। তাই আমি কেনার সিদ্ধান্ত ছেড়ে পেপারটি বিক্রেতার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।
“আমি তাকে আমার অবস্থার কথা বলেছি। বিক্রেতা বললেন, ‘আমি আপনাকে বিনামূল্যে দিচ্ছি।’ আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম।
“দুই থেকে তিন মাস পরে, আমি একই বিমান বন্দরে আবার অবতরণ করেছি এবং কাকতালীয়ভাবে আবারও সেই পত্রিকা বিক্রেতার সাথে দেখা হলো। বিক্রেতা আমাকে আজও একটি পত্রিকা অফার করলেন। আমি অপারগতা প্রকাশ করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমি এটি নিতে পারি না কারণ এখনও আমার পরিবর্তন আসেনি। তিনি বললেন, ‘আপনি এটি নিতে পারেন, আমি এটি আমার লাভাংশ থেকে আপনাকে দিচ্ছি, আমার ক্ষতি হবে না’। বিক্রেতার আগ্রহে আমি পত্রিকাটি নিয়েছিলাম।
“ঐ ঘটনার ১৯ বছর পরে আমি বিখ্যাত এবং মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠি। হঠাৎ একদিন মনে পড়ে গেল সেই পত্রিকা বিক্রেতার কথা। আমি তাকে খুঁজতে শুরু করে দিলাম এবং প্রায় দেড় মাস অনুসন্ধানের পরে আমি তাকে খুঁজে পেলাম।
“আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,‘ আপনি কি আমাকে চেনেন? ’তিনি বলেছিলেন,‘ হ্যাঁ, আপনি বিল গেটস। ’
“আমি তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম,‘ আপনার কি মনে আছে একবার আমাকে বিনামূল্যে একটি পত্রিকা দিয়েছিলেন? ’
“বিক্রেতা বললেন,‘ হ্যাঁ, মনে আছে। আপনাকে দু’বার দিয়েছি। ’
“আমি বললাম,‘ আপনি যে আমাকে বিনামূল্যে পত্রিকা দিয়েছিলেন তা আমি ফিরিয়ে দিতে চাই। আপনি আপনার নিজের জন্য যা চান বলুন? আমি এটি পূরণ করব। ’'
“বিক্রেতা বললেন,‘ স্যার, আপনি এমন কিছু দিতে পারবেন না, যা আমার সাহায্যের সমান হবে। ’
“আমি জিজ্ঞাসা করলাম,‘ কেন? ’
“তিনি বলেছিলেন,‘ আমি আপনাকে সংবাদপত্র দিয়েছিলাম আমার দরিদ্র অবস্থান থেকে । আর আপনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। আপনার সাহায্য কীভাবে আমার সাহায্যের সমান হবে? ’
"সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে সংবাদপত্রের বিক্রেতা আমার চেয়ে বেশি ধনী, কারণ তিনি কাউকে সাহায্য করার জন্য ধনী হওয়ার অপেক্ষা করেন নি।"
মানুষের বুঝতে হবে যে সত্যিকারের ধনী ব্যক্তি হলো তাঁরাই যাদের প্রচুর অর্থের চেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ হৃদয় রয়েছে।
সত্যিকারের ধনী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।
জমি জমা সংক্রান্ত জরুরী তথ্য,,,,
= ''খতিয়ান'' কি?
= ''সি এস খতিয়ান'' কি?
= ''এস এ খতিয়ান'' কি?
= ''আর এস খতিয়ান'' কি?
= ''বি এস খতিয়ান'' কি?
=“দলিল” কাকে বলে?
=“খানাপুরি” কাকে বলে?
= ''নামজারি'' কাকে বলে ?
=“তফসিল” কাকে বলে?
=“দাগ” নাম্বার/''কিত্তা'' কাকে বলে?
= “ছুটা দাগ” কাকে বলে?
= ''পর্চা'' কাকে বলে ?
= ''চিটা'' কাকে বলে ?
= ''দখলনামা'' কাকে বলে ?
= “খাজনা” ককে বলে?
= ''বয়নামা'' কাকে বলে ?
= ''জমাবন্দি'' কাকে বলে ?
= ''দাখিলা'' কাকে বলে ?
= ''DCR'' কাকে বলে ?
=“কবুলিয়ত” কাকে বলে ?
= “ফারায়েজ” কাকে বলে?
= “ওয়ারিশ” কাকে বলে?
= ''হুকুমনামা'' কাকে বলে ?
= ''জমা খারিজ'' কাকে বলে ?
= ''মৌজা'' কি/ কাকে বলে ?
= “আমিন” কাকে বলে?
= “কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
= “সিকস্তি” কাকে বলে ?
= “পয়ন্তি” কাকে বলে?
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
=খতিয়ানঃ
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।
.
= সি এস খতিয়ানঃ
১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
.
=এস এ খতিয়ানঃ
১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।
.
= আর এস খতিয়ানঃ
একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।
.
= বি এস খতিয়ানঃ
সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।
.
= “দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।
.
= “খানাপুরি” কাকে বলে?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।
.
= নামজারি কাকে বলে ?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
.
= “তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।
.
= “দাগ” নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?
দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।
.
= “ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।
.
= পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।
.
= চিটা কাকে বলে?
একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।
.
= দখলনামা কাকে বলে?
দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।
সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।
.
= “খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।.
.
= বয়নামা কাকে বলে?
১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে।
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।
.
= জমাবন্দিঃ
জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।
.
= দাখিলা কাকে বলে?
সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।
দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।
.
= DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।
.
=“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
.
= “ফারায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
.
= “ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
.
= হুকুমনামা কাকে বলে?
আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।
.
= জমা খারিজ কিঃ
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।
.
= “মৌজা” কাকে বলে?
CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।
.
= “আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
.
= “কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
.
= “সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
= “পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
--------------------------
আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য
জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন।
---------------------------
আপনি আপনার বন্ধুদের তথা আপনজনদেরকে উপরোক্ত আইনটি/ তথ্যটি জানাতে অগ্রহী হলে #শেয়ার করুন.
আইন জানুন, সচেতন হোন, সতর্ক থাকুন।
পরবর্তী আপডেট পেতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে একটিভ থাকুন,
Share......
Share.....
Share...
কপি
পেস্ট
রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/২৮ সোমবার
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।
(২৮-১১-২০২২)
আজকের শিরোনাম-
* এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ - পাশের হার ৮৭ দশমিক চার-চার শতাংশ।
* পরীক্ষার ফল গ্রহণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে যথাযথ শিক্ষা ও প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনের ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব আরোপ।
* বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২২ এর খসড়ায় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন।
* শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে - বললেন শেখ হাসিনা।
* ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বাধা নেই, তবে আগুন ও লাঠি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
* তারেক রহমান হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবনের প্রতীক - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।
* ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে - জানিয়েছে ক্রেমলিন।
* এবং কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে আজ রাতে সুইজারল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ফেভারিট ব্রাজিল।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২
এস.এস.সি তে জিপিএ-৫ ২০০১-২০২২ সাল পর্যন্ত,,,,,,,,,
এস.এস.সি তে জিপিএ-৫ ২০০১-২০২২ সাল পর্যন্ত।
...
♦২০০১ সালে ৭৬ জন,
♦২০০২ সালে ৩২৭ জন,
♦২০০৩ সালে ১ হাজার ৩৮৯ জন,
♦২০০৪ সালে ৮ হাজার ৫৯৭ জন,
♦২০০৫ সালে ১৫ হাজার ৬৩১ জন,
♦২০০৬ সালে ২৪ হাজার ৩৮৪ জন,
♦২০০৭ সালে ২৫ হাজার ৭৩২ জন,
♦২০০৮ সালে ৪১ হাজার ৯১৭ জন,
♦২০০৯ সালে ৪৫ হাজার ৯৩৪ জন,
♦২০১০ সালে ৬২ হাজার ১৩৪ জন,
♦২০১১ সালে ৬২ হাজার ২৮৮ জন,
♦২০১২ সালে ৮২ হাজার ২১২ জন,
♦২০১৩ সালে ৯১ হাজার ২৬৬ জন,
♦২০১৪ সালে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ২৭৬ জন,
♦২০১৫ সালে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৯০১ জন,
♦২০১৬ সালে ১ লক্ষ ০৯ হাজার ৭৬৮ জন,
♦২০১৭ সালে ১ লক্ষ ০৪ হাজার ৭৬১ জন,
♦২০১৮ সালে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৬২৯ জন,
♦২০১৯ সালে ১ লক্ষ ০৫ হাজার ৫৯৪ জন,
♦২০২০ সালে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন,
♦২০২১ সালে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন,
♦২০২২ সালে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন।
কপি
পেস্ট
ফেইসবুক থেকে নেওয়া তিন টি জিনিস
☘️তিনটি কাজে বিলম্ব করিও না🍀
🔳১. নামাজের ওয়াক্ত হলে।
🔳২. মেয়ে-ছেলে বিয়ের উপযুক্ত হলে।
🔳৩. লাশ এর জানাযা হয়ে গেলে।
🍀 তিনটি জিনিস একবার আসে🍀
🔳১. মাতা-পিতা।
🔳২. সৌন্দর্য্য।
🔳৩. যৌবন।
🍀 তিনটি জিনিস ফিরে আনা যায় না🍀
🔳১. বন্দুকের গুলি।
🔳২. মুখের কথা।
🔳৩. শরীরের রূহ।
🍀 তিনটি জিনিস মৃত্যুর পর উপকারে আসে🍀
🔳১. সু-সন্তান।
🔳২. সদকা।
🔳৩. ইসলাম।
🍀 তিনটি জিনিস সম্মান নষ্ট করে🍀
🔳১. চুরি করা।
🔳২. মিথ্যা কথা বলা।
🔳৩. চোগোলখুরি করা।
🍀 তিনটি জিনিস চিন্তায় রাখে🍀
🔳১. হিংসা।
🔳২. অভাব।
🔳৩. সন্দেহ।
🍀 তিনটি জিনিসকে সব সময় মনে রেখো🍀
🔳১. উপদেশ।
🔳২. উপকার।
🔳৩. মৃত্যু।
🍀 তিনটি জিনিসকে আয়ত্তে রেখো🍀
🔳১. রাগ।
🔳২. জিহবা।
🔳৩. অন্তর।
🍀 তিনটি জিনিস অভ্যাস করো🍀
🔳১. নামাজ পড়া।
🔳২. সত্য বলা।
🔳৩. হালাল রিযিক।
🍀 তিনটি জিনিস থেকে দূরে থাকো🍀
🔳১. মিথ্যা।
🔳২. অহংকার।
🔳৩. আভিশাপ।
🍀 তিনটি জিনিসের জন্য যুদ্ধ করো🍀
🔳১. দেশ।
🔳২. জাতি।
🔳৩. সত্য।
🍀 তিনটি জিনিসকে চিন্তা করে ব্যবহার করো🍀
🔳১. কলম।
🔳২. কসম।
🔳৩. কদম।
🍀 তিনটি জিনিসে ধ্বংস হয়ে যায়🍀
🔳১. লোভ।
🔳২. হিংসা।
🔳৩. অহংকার।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন...🤲🤲🤲,,
মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ( বাহার)❤️❤️❤️
কপি
পেস্ট
এক মুঠো কাঁচের চুড়ি,,,, অপ্রেম অধ্যায় ফেইসবুকে থেকে
এক মুঠো কাঁচের চুরি
পর্ব_১৬
লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
মাঝরাতে থেকে পেটের অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করছে তানহা।দাঁতের ওপরে দাঁত চেপে সকাল হবার অপেক্ষা করছে'।সময়ের সাথে পেটের ব্যথা দ্রুত গতিতে বাড়ছে।একবার এই কাত হচ্ছে,তো' আরেকবার ওই কাত।এপাশ-ওপাশ করতে করতে ফজরে'র আজান দিয়ে দিল।তানহা দেওয়ালের সাথে নিজের হাত বারি মারলো'।চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে,আর আল্লার কাছে ধৈর্য চাচ্ছে।
তানহা'র ছটফটানি দেখে আজানের একটু আগে জাগা পেয়ে যায় ইফাদ।তানহা'র কি' হয়েছে।তা' বোঝার চেষ্টা করছে।মেয়েটা এমন কেনো?কি' সমস্যা হচ্ছে আমাকে ডেকে বলতে পারলো না'।তখন-ই ইফাদের মাথায় আসলো।আজান হয়ে গেছে।তানহা এখনো নামাজ পড়তে উঠলো না।ইফাদের আর বুঝতে বাকি রইলো না।আল্লাহ তায়ালা তানহা'কে সাময়িক সময়ের জন্য ছুটি দিয়েছে।ইফাদ তড়িঘড়ি করে উঠে বসলো।দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো'।
পেটের ওপরে গরম কিছু অনুভব করতে-ই চোখ মেলে তাকালো তানহা।ইফাদ'কে দেখে একটু অবাক হলো'।তার থেকে বেশি অবাক হলো'।ইফাদ তার পাশে শুইয়ে ছিল।উঠে গেলো কি' করে?
--আপনি কখন উঠলেন।
--যখন বউ ডেকে তুলে না।তখন নিজেকেই উঠতে হয়।
তানহা অসহায় দৃষ্টিতে ইফাদের দিকে তাকালো।
--তোমার সমস্যা হচ্ছে,আমাকে ডেকে দিলেই তো' পারতে।এভাবে কষ্ট করছো কেনো?
--আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন।তাই আপনাকে বিরক্ত করি নাই।আমার সহ্য করার অভ্যাস আছে।
--কেমন আছে দেখতেই পাচ্ছি।কেমন গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করছো।
--গরম পানি পেটে ধরে রাখো একটু হলে-ও আরাম পাবে।আমি নামাজ পড়ে আসি।বলেই ইফাদ চলে গেলো'।ইফাদের ব্যবহার দেখে তানহা খুব খুশি হলো'।ইফাদ তানহার দিকে নজর দিয়েছে।তার খেয়াল রাখছে।তার কষ্টটা অনুভব করেছে।ভেবেই মনে প্রশান্তি বইয়ে গেলো।ইফাদ অজু করে এসে বাসায় নামাজ পড়ে নিল।
--আপনি আজকে মসজিদে গেলেন না।
--তোমার ব্যথার ঔষধ নেই।
--না।
--আমাকে বলো নাই কেনো?
--আপনি মনে হয় ছিলেন।আসছেন তো' কয়দিন হলো।
--আচ্ছা আমি সকালে কিনে এনে দিব।একটু বসো আমি আসছি।বলেই ইফাদ চলে গেলো'।তানহা কপালে হাত দিয়ে দু-চোখ বন্ধ করে নিল'।বেশ কিছুক্ষণ পরে হাতে একটা বাটি নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো ইফাদ।বাটিটা বিছানায় রেখে তানহাকে বলল।
--তানহা উঠে বসো তো'।
--উঠতে ভালো লাগছে না।একটু পরে উঠে রান্না করবো।এত সকালে তো' আপনারা খান না।
--আমি তোমাকে রান্না করতে বলছি।আমি রেগে যাওয়া'র আগে উঠে বসো'।
ইফাদের কথা শুনে তানহা চোখ মেলে তাকালো'।ইফাদ তানহাকে তুলে আধশোয়া করে বসালো।তানহার পিঠের নিচে বালিশ রেখে দিল।তানহা বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে বসলো।ইফাদ কি করতে চাইছে।তা' বোঝার চেষ্টা করছে।খাবারের গন্ধ পেয়ে তানহা নিজের ডান পাশে ডাকলো।ধোঁয়া ওঠা গরম নুডুলসের বাটির দিকে তাকিয়ে আছে।অবাক হয়ে বলল।
--কে রান্না করেছে?
--আমি রান্না করেছি।কথা কম বলো চুপচাপ খাও।
--আমি খাব না।আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।
--এই সময় এমন একটু হবেই।খালি পেটে একদম থাকা যাবে না।সব সময় পেট ভরা রাখবে।তাহলে ব্যথা কম করবে।খালি পেট পেলেই ব্যথা করবে।চুপচাপ খাও কথা কম।বলেই ইফাদ তানহাকে খাইয়ে দিল।ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও খেয়ে নিল তানহা।ইফাদ তানহাকে খাইয়ে দিয়ে।আবার ঘুমোতে বলল।
--এখন ঘুমালে রান্না করবো কখন?
--এখনো অনেক সময় আছে।পরে রান্না করবে।
--সত্যি একটু ব্যথা কমেছে।
--আমি কি নিজের ভালোর জন্য খেতে বললাম।তোমার ভালোর জন্যই বলেছি।কথা না বলে,দু-চোখ বন্ধ করো।একটু ঘুমিয়ে নাও।শান্তিতে থাকতে পারবে।ইফাদ তানহা'কে শুইয়ে দিয়ে।গায়ে কম্বল টেনে দিল।তারপরে তানহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।এক পর্যায়ে তানহা ঘুমিয়ে যায়।
রোকেয়া বেগম রুম থেকে বেড়িয়ে রান্না ঘরে তানহা'র কাছে আসছিল।রান্না ঘরে এসে অবাক হয়ে গেলো।
--ইফাদ তুই এত সকালে রান্না ঘরে কি করছিস।
--আম্মু আমি একটা নতুন রেসিপি শিখেছি।সারাদিন বাসায় থাকতে পারি না।আজকে ছুটির দিন।তাই ভাবলাম আজকে তোমাদের রান্না করে খাওয়াই।
রোকেয়া বেগম সন্দেহের দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকালেন।ছেলে কি সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলছে।তিনি মুহূর্তেই বুঝে ফেললেন।ইফাদের একটা অভ্যাস আছে।ইফাদ মিথ্যা কথা বলতে পারে না।প্রয়োজনে যদি দুই একটা বলে-ও থাকে।তাহলে চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারে না।মিথ্যা বলার সময় ইফাদের দৃষ্টি সব সময় নত থাকে।
--মায়ের কাছে মিথ্যা কথা বলছিস।
ইফাদ অসহায় দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকালো।
--আম্মু আসলে তানহা অসুস্থ।তাই ভাবলাম আমি আজকের রান্নাটা করি।তুমি যদি তানহা'কে ভুল বুঝো।আজকালর সবাই না কিছু কিছু শাশুড়ী আছে।স্বামী যদি বউদের কোনো কাজ করে দেই।তখন শাশুড়ীরা বউদের অনেক কথা শুনায়।তুমি যদি তানহাকে ভুল বুঝো।তাই মিথ্যা কথা বলেছি।আম্মু তানহা তো' প্রতিদিন রান্না করে।তানহা-ও তো' একটা মানুষ তানহা'র-ও শরীর আছে।মানুষের মাত্রই শরীর খারাপ হতে পারে।এখন তার কাজ যদি অন্য কেউ করে দেয়,তাহলে সমস্যা কোথায়।
--আমাকে তুই এতটা খারাপ ভাবিস ইফাদ।আমাকে তোর এতটা খারাপ মা মনে হয়।তুই যখন ছিলি না।তখন তানহা অসুস্থ থাকলে আমি নিজেই রান্না করেছি।চৈতালি সাহায্য করেছে।আমি এতটা খারাপ মানুষ নই রে ইফাদ।এতিম মেয়েটার ওপরে অত্যাচার করবো।
ইফাদ নিজের মায়ের ব্যবহারে মুগ্ধ হলো।পৃথিবীতে সব মানুষ খারাপ হয় না।ভালো মানুষ আছে বলেই পৃথিবী এখানো টিকে আছে।
--আমি খুব গর্বিত জানো আম্মু।আমি তোমার মতো মা পেয়েছি।তুৃমি আর তানহা আমাকে রান্না করে খাইয়েছো।আজকে আমি তোমাদের রান্না করে খাওয়াবো।
--রান্না করতে পারবি তো'।হাত পুড়িয়ে ফেলিস না আবার।না পারলে আমাকে বল।আমি রান্না করে দিচ্ছি।
--লাগবে না তোমার বয়স হয়েছে।এখন তুমি বসে বসে খাবে।যখন দেখবে তানহা অসুস্থ তখন চৈতালি রান্না করবে।আর চৈতালি না পারলে তুমি করবে।চৈতালি বড় হয়েছে।এখন ওকে বাসার কাজ শিখতে হবে।
--বড় হতেই পারলাম না।বাড়ির বোঝা হয়ে গেলাম।বলল চৈতালি।
--দু'টো থাপ্পড় বসিয়ে দিব।বড়দের মুখে মুখে কথা বলিস।সবাই মা-ভাই ভাবি না।তুই কাজ করবি না।তোকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে।মেয়ে হয়েছিস।একদিন পরের ঘরে যেতে হবে।তোকে দু’কথা শোনালে আমাদের বুকে এসে আঘাত লাগবে।তাই তোকে এমন ভাবে তৈরি করতে চাই।যেনো লোকে তোকে দু’কথা শোনানোর রাস্তা খুঁজে না পায়।তুই পারিস শুধু কথার মানে না বুঝে ভুল বুঝতে।
--রাগ করছো কেনো ভাইয়া।আমি মজা করলাম।আমি জানি তোমরা আমার ভালো চাও।তবু্ও এমন কথা বললে,আমার মন খারাপ হয়ে যায়।আমি এখনই বিয়ে করবো না।আমি আগে চাকরি করবো।নিজের পায়ে দাঁড়াবো।তারপরে বিয়ে করবো।আমি অন্যের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে হতে চাই না।
--তুই চাকরি করবি।আমাদের কোনো আপত্তি নেই।নিজেকে সংযত রেখে যা করার করবি।তোর যতদূর ইচ্ছে তুই পড়াশোনা করবি।তোকে কেউ বিয়ের জন্য চাপ দিতে পারবে না।আমি যতদিন আছি।তুই নিশ্চিন্তে থাকতে পারিস।
--আমি ভালো ছেলে পেলে চৈতালিকে বিয়ে দিয়ে দিব।
--দেখছো ভাইয়া আম্মু কি বলে।
--আম্মু চৈতালির মাথার মধ্যে এসব দিবে না।পড়াশোনা করছে।আপাতত পড়াশোনায় মন দিক।বিয়ের সময় আসলে,তখন দেখা যাবে।
তিনজন বসে বসে জমিয়ে আড্ডা দিল।ইফাদ রান্না শেষ করে সবাইকে খেতে দিল।নিজেও খেয়ে নিল।বাসার সামনের দোকান থেকে ব্যথার ঔষধ কিনে নিয়ে আসলো।ঘড়িতে দশটা বাজতে যায়।তানহা এখনো ঘুমাচ্ছে।ইফাদের কথা মতো কেউ তানহাকে ডাকে নাই।চৈতালি আজকে বাসায়।মায়ের সাথে হাতে হাতে কাজ করছে।বিশটা এতিম বাচ্চাকে খাওয়াবেন রোকেয়া বেগম।ইফাদ কালকেই মাদ্রাসায় বলে আসছিলো।তারা বিকেলে আসবে বলেছে।ইফাদ সকালে গিয়ে বাজার করে নিয়ে এসেছে।
তানহা ছোট ছোট করে দু-চোখ মেলে তাকালো।ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো।
--আমি এত ঘুমালাম কি করে।সকালের রান্না হয়েছে কি' না।সবাই কি' খেয়েছে।তার শাশুড়ীর সকালে ঔষধ খেতে হয়।তানহা দ্রুত বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।তখনই ইফাদ খাবার নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।
--আমার ম্যাডামের ঘুম ভেঙেছে তাহলে।
--এত বেলা হয়ে গেছে।আপনি আমাকে ডাকেন নাই কেনো?সবাই কি' না খেয়ে আছেন।আম্মার সকালে ঔষধ খেতে হয়।আম্মা কি রাগ করেছে।
--আমার আম্মুকে তোমার এতটা খারাপ মনে হয়।
--এমা ছিঃ না একদম না।ওনার তো' বয়স হয়েছে।ওনার-ও তো ইচ্ছে করে এখন বসে বসে খাবে।ছেলের বউ হয়েছে।ছেলের বউ যেনো মেয়ের মতো আচরণ করে।প্রতিটা শাশুড়ী_ই এমনটা চায়।আমার জন্য উনি কষ্ট পাক তা' আমি চাই না।
--দেখো মেয়ের কথা।তুমি আমাকে মা' ভাবতে পারলে।আমি কেনো তোমাকে মেয়ে ভাবতে পারবো না।তুমি অসুস্থ জেনে-ও তোমাকে দিয়ে অমানুষের মতো কাজ করাবো।
--আম্মা সত্যি আমি অনেক ভাগ্যবান।আমি আপনার মতো শাশুড়ী পেয়েছি।
--আমি'ও অনেক ভাগ্যবান তোমার মতো মেয়ে পেয়েছি।আজকে বাসায় অনেক মানুষ আসবে।সব সময় মাথায় কাপড় দিয়ে রেখো আচ্ছা মা।খেয়ে রান্না ঘরে আসো।হাতে হাতে সাহায্য করবে।আজকের রান্না আমি করবো।তুমি অসুস্থ ভারি কাজ করাবো না।
--আচ্ছা আম্মা।রোকেয়া বেগম চলে গেলেন।তানহা ফ্রেশ হতে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসলো।
--তানহা খেয়ে নাও।না খেয়ে রুমের বাহিরে এক-পা রাখবে না।
--আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।
--পিঠে মার পড়লেই খেতে ইচ্ছে করবে।
--আমি কি' ছোট বাচ্চা আমাকে মারবেন।
--তুমি কি' ছোট বাচ্চা তোমাকে খাওয়ার জন্য এত করে বলতে হবে।
--পারলে খাইয়ে দিন।না হলে খাব না।
--বললেই পারতে আমার হাতে খাবে।এত ঢং করার কি ছিল।
--বললেই পারতেন আমাকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য বসে আসেন।এত নাটক করার কি আছে।
তানহার কথা শুনে ইফাদ হেসে দিল।তারপরে তানহাকে খাইয়ে দিয়ে,ঔষধ খাইয়ে দিল।দু'জন মিলে রান্না ঘরের দিকে গেলো।চৈতালি মায়ের কাজে সাহায্য করছে।ইফাদ আর তানহা তাদের সাথে যোগ দিল।
--চৈতালি ডালটা দেখিস মা।আমি রুম থেকে আসি।
--আম্মা আমি দেখছি।বলল তানহা।রোকেয়া বেগম রুমে চলে গেলো।
--এই ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছো কেনো?ভদ্রলোকের মতো পেঁয়াজ ছিলো।আমাকে আবার চাল ধুইতে হবে।
--তোমাকে চাল ধুইতে হবে না।আমি ধুইয়ে দিব।
--তানহা আমি চাল ধুইয়ে দেই।বলল ইফাদ।
--আপনি ছেলে মানুষ আপনার মেয়েদের কাজ করতে হবে না।
--তুমি অসুস্থ তোমাকে-ও ভারি কাজ করতে হবে না।এই সময়ে ভারি কাজ করতে হয় না।
ইফাদের কথা শুনে চৈতালি মুচকি মুচকি হাসছে।তানহা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।ইফাদ বলল।
--আমি চাল ধুইয়ে দেই।
--ধুইয়ে দিবেন দেন।
--আজকে যদি আমার একটা বর থাকতো।তাহলে আমাকে এভাবে কাজে সাহায্য করতো।
ইফাদ রাগী দৃষ্টিতে চৈতালির দিকে তাকালো।চৈতালি লজ্জা পেয়ে জিভে কামড় দিয়ে।মাথা নিচু করে ফেললো।রোকেয়া বেগম এসে তানহাকে সরিয়ে দিল।তানহা চৈতালিকে সাহায্য করছে।ইফাদ মাকে সাহায্য করতে।সবাই মিলেমিশে কাজ করছে।রোকেয়া বেগমের মনে হচ্ছে পৃথিবীতে তার পরিবার সবচেয়ে সুখী পরিবার।আল্লাহ যেনো সারাজীবন তার পরিবারকে এমন হাসিখুশি রাখে।কোনো দুঃখ তার পরিবারকে ছুঁইতে না পারে।ভেবেই অস্থির নিঃশ্বাস ছাড়লো।আদৌ কি তার পরিবার সুখী থাকবে।নাকি কোনো কালো অধ্যায় এসে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে যাবে।
চলবে.....,,,,,,
,,,,,,,
.........
কপি
পেস্ট
সকাল সাতটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/২৮ সোমবার
সকাল ৭ টার সংবাদ। তারিখ: ২৮-১১-২০২২ খ্রি:।
আজকের শিরোনাম :
* চলমান প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাছাই করে দ্রুত সম্পন্ন করতে সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
* এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ।
* ঢাকা মহানগরীতে বিএনপি’র ১০-ই ডিসেম্বরের সমাবেশে বাধা দেবে না সরকার - বললেন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক।
* ব্যস্ত সড়ক বন্ধ করে বিএনপি জনজীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি।
* সিলেটের বিয়ানীবাজারের পরিত্যক্ত কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হচ্ছে আজ।
* চীনে কঠোর কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বড় বড় শহরে বিক্ষোভ।
* এবং বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের সাথে ড্র করে লড়াইয়ে টিকে রইল জার্মানী- ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হেরে কানাডার বিদায় ।
৮৮ সূরা আল গাশিয়াহ্,,,, বিহ্বলকর ঘটনা,,,,,
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১
هَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ٱلْغَٰشِيَةِ
উচ্চারণঃ হাল আতা-কা হাদীছুল গা-শিয়াহ।
অর্থঃ আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَٰشِعَةٌ
উচ্চারণঃ উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন খা-শি‘আহ।
অর্থঃ অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৩
عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ
উচ্চারণঃ ‘আ-মিলাতুন না-সিবাহ।
অর্থঃ ক্লিষ্ট, ক্লান্ত।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৪
تَصْلَىٰ نَارًا حَامِيَةً
উচ্চারণঃ তাসলা-না-রান হা-মিয়াহ।
অর্থঃ তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৫
تُسْقَىٰ مِنْ عَيْنٍ ءَانِيَةٍ
উচ্চারণঃ তুছকা-মিন ‘আইনিন আ-নিয়াহ।
অর্থঃ তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৬
لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ
উচ্চারণঃ লাইছা লাহুম তা‘আ-মুন ইল্লা-মিন দারী‘ই।
অর্থঃ কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৭
لَّا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِى مِن جُوعٍ
উচ্চারণঃ লা-ইউছমিনুওয়ালা-ইউগনী মিন জু‘ই।
অর্থঃ এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৮
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
উচ্চারণঃ উজূহুইঁ ইয়াওমাইযিন না-‘ইমাহ।
অর্থঃ অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ৯
لِّسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ
উচ্চারণঃ লিছা‘ইহা-রা-দিয়াহ।
অর্থঃ তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১০
فِى جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
উচ্চারণঃ ফী জান্নাতিন ‘আ-লিয়াহ।
অর্থঃ তারা থাকবে, সুউচ্চ জান্নাতে।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১১
لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَٰغِيَةً
উচ্চারণঃ লা-তাছমা‘উ ফীহা-লা-গিয়াহ।
অর্থঃ তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১২
فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ
উচ্চারণঃ ফীহা-‘আইনুন জা-রিয়াহ।
অর্থঃ তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৩
فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ
উচ্চারণঃ ফীহা-ছুরুরুমমারফূ‘আহ।
অর্থঃ তথায় থাকবে উন্নত সুসজ্জিত আসন।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৪
وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ
উচ্চারণঃ ওয়া আকওয়া-বুম মাওদূ‘আহ।
অর্থঃ এবং সংরক্ষিত পানপাত্র
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৫
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
উচ্চারণঃ ওয়া নামা-রিকুমাসফূফাহ।
অর্থঃ এবং সারি সারি গালিচা
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৬
وَزَرَابِىُّ مَبْثُوثَةٌ
উচ্চারণঃ ওয়া ঝারা-বিইয়ুমাবছূছাহ।
অর্থঃ এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৭
أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى ٱلْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ
উচ্চারণঃ আফালা-ইয়ানজু রুনা ইলাল ইবিলি কাইফা খুলিকাত।
অর্থঃ তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৮
وَإِلَى ٱلسَّمَآءِ كَيْفَ رُفِعَتْ
উচ্চারণঃ ওয়া ইলাছ ছামাই কাইফা রুফি‘আত।
অর্থঃ এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ১৯
وَإِلَى ٱلْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ
উচ্চারণঃ ওয়া ইলাল জিবা-লি কাইফা নুসিবাত।
অর্থঃ এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে?
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২০
وَإِلَى ٱلْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
উচ্চারণঃ ওয়া ইলাল আরদি কাইফা ছুতিহাত।
অর্থঃ এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২১
فَذَكِّرْ إِنَّمَآ أَنتَ مُذَكِّرٌ
উচ্চারণঃ ফাযাক্কির ইন্নামাআনতা মুযাক্কির।
অর্থঃ অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২২
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
উচ্চারণঃ লাছাতা ‘আলইহিম বিমুসাইতির।
অর্থঃ আপনি তাদের শাসক নন,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২৩
إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ
উচ্চারণঃ ইল্লা-মান তাওয়াল্লা-ওয়া কাফার।
অর্থঃ কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২৪
فَيُعَذِّبُهُ ٱللَّهُ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَكْبَرَ
উচ্চারণঃ ফাইউ‘আযযিবুহুল্লা-হুল ‘আযা-বাল আকবার।
অর্থঃ আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২৫
إِنَّ إِلَيْنَآ إِيَابَهُمْ
উচ্চারণঃ ইন্না ইলাইনাইয়া-বাহুম।
অর্থঃ নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
সূরা আল গাশিয়াহ্ (الغاشية), আয়াত: ২৬
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُم
উচ্চারণঃ ছু ম্মা ইন্না ‘আলাইনা-হিছা-বাহুম।
অর্থঃ অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
৮৯ সূরা আল ফাজ্র,,,, ভোরবেলা
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১
وَٱلْفَجْرِ
উচ্চারণঃ ওয়াল ফাজর।
অর্থঃ শপথ ফজরের,
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২
وَلَيَالٍ عَشْرٍ
উচ্চারণঃ ওয়া লায়া-লিন ‘আশর
অর্থঃ শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার,
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৩
وَٱلشَّفْعِ وَٱلْوَتْرِ
উচ্চারণঃ ওয়াশশাফা‘ই ওয়াল ওয়াতর ।
অর্থঃ যা জোড় ও যা বিজোড়
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৪
وَٱلَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াছর।
অর্থঃ এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৫
هَلْ فِى ذَٰلِكَ قَسَمٌ لِّذِى حِجْرٍ
উচ্চারণঃ হাল ফী যা-লিকা কাছামুল লিযী হিজর।
অর্থঃ এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৬
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
উচ্চারণঃ আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বি‘আ-দ।
অর্থঃ আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৭
إِرَمَ ذَاتِ ٱلْعِمَادِ
উচ্চারণঃ ইরামা যা-তিল ‘ইমা-দ
অর্থঃ যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৮
ٱلَّتِى لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِى ٱلْبِلَٰدِ
উচ্চারণঃ আল্লাতী লাম ইউখলাকমিছলুহা-ফিল বিলা-দ।
অর্থঃ যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৯
وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُوا۟ ٱلصَّخْرَ بِٱلْوَادِ
উচ্চারণঃ ওয়া ছামূদাল্লাযীনা জা-বুসসাখরা বিল ওয়া-দ।
অর্থঃ এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১০
وَفِرْعَوْنَ ذِى ٱلْأَوْتَادِ
উচ্চারণঃ ওয়া ফির‘আউনা যীল আওতা-দ।
অর্থঃ এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১১
ٱلَّذِينَ طَغَوْا۟ فِى ٱلْبِلَٰدِ
উচ্চারণঃ আল্লাযীনা তাগাও ফিল বিলা-দ।
অর্থঃ যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১২
فَأَكْثَرُوا۟ فِيهَا ٱلْفَسَادَ
উচ্চারণঃ ফাআকছারূ ফীহাল ফাছা-দ।
অর্থঃ অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৩
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
উচ্চারণঃ ফাসাব্বা ‘আলাইহিম রাব্বুকা ছাওতা ‘আযা-ব।
অর্থঃ অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৪
إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلْمِرْصَادِ
উচ্চারণঃ ইন্না রাব্বাকা লাবিলমিরসা-দ।
অর্থঃ নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৫
فَأَمَّا ٱلْإِنسَٰنُ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ رَبُّهُۥ فَأَكْرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكْرَمَنِ
উচ্চারণঃ ফাআম্মাল ইনছা-নুইযা-মাবতালা-হু রাব্বুহু ফাআকরামাহূওয়া না‘‘আমাহূ ফাইয়াকূলু রাববীআকরামান।
অর্থঃ মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৬
وَأَمَّآ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَٰنَنِ
উচ্চারণঃ ওয়া আম্মাইযা-মাবতালা-হু ফাকাদারা ‘আলাইহি রিঝকাহূ ফাইয়াকূলুরাববী আহা-নান।
অর্থঃ এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৭
كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ ٱلْيَتِيمَ
উচ্চারণঃ কাল্লা-বাল্লা-তুকরিমূনাল ইয়াতীম।
অর্থঃ এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৮
وَلَا تَحَٰٓضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ
উচ্চারণঃ ওয়া লা-তাহাদ্দূ না ‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন।
অর্থঃ এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ১৯
وَتَأْكُلُونَ ٱلتُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
উচ্চারণঃ ওয়া তা’কুলূনাত তুরা-ছা আকলাল্লাম্মা-।
অর্থঃ এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২০
وَتُحِبُّونَ ٱلْمَالَ حُبًّا جَمًّا
উচ্চারণঃ ওয়া তুহিব্বুনাল মা-লা হুব্বান জাম্মা-।
অর্থঃ এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২১
كَلَّآ إِذَا دُكَّتِ ٱلْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
উচ্চারণঃ কাল্লাইযা-দুক্কাতিল আরদুদাক্কান দাক্কা-।
অর্থঃ এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২২
وَجَآءَ رَبُّكَ وَٱلْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
উচ্চারণঃ ওয়া জাআ রাব্বুকা ওয়াল মালাকুসাফফান সাফফা-।
অর্থঃ এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন,
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৩
وَجِا۟ىٓءَ يَوْمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَٰنُ وَأَنَّىٰ لَهُ ٱلذِّكْرَىٰ
উচ্চারণঃ ওয়া জীআ ইয়াওমাইযিম বিজাহান্নামা ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াতাযাক্কারুল ইনছা-নুওয়া আন্না-লাহুযযিকরা-।
অর্থঃ এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৪
يَقُولُ يَٰلَيْتَنِى قَدَّمْتُ لِحَيَاتِى
উচ্চারণঃ ইয়াকূ লুইয়া-লাইতানী কাদ্দামতুলিহায়া-তী।
অর্থঃ সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৫
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌ
উচ্চারণঃ ফাইয়াওমাইযিল লা-ইউ‘আযযি বু‘আযা-বাহূআহাদ।
অর্থঃ সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৬
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌ
উচ্চারণঃ ওয়ালা-ইঊছিকুওয়াছা-কাহূআহাদ।
অর্থঃ এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৭
يَٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفْسُ ٱلْمُطْمَئِنَّةُ
উচ্চারণঃ ইয়াআইয়াতুহান্নাফছুল মুতমাইন্নাহ
অর্থঃ হে প্রশান্ত মন,
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৮
ٱرْجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
উচ্চারণঃ ইরজি‘ঈইলা-রাব্বিকি রা-দিয়াতাম মারদিইয়াহ।
অর্থঃ তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ২৯
فَٱدْخُلِى فِى عِبَٰدِى
উচ্চারণঃ ফাদখুলী ফী ‘ইবা-দী।
অর্থঃ অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
সূরা আল ফাজ্র (الفجر), আয়াত: ৩০
وَٱدْخُلِى جَنَّتِى
উচ্চারণঃ ওয়াদখুলী জান্নাতী।
অর্থঃ এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আকবরের বিশ্বাসঘাতকতা ও কাশ্মীরের পরাধীনতা,,,,,,ইন্ত বাংল ফেইসবুক থেকে নেওয়া
‘আকবরের বিশ্বাসঘাতকতা ও কাশ্মীরের পরাধীনতা’
সেটা ছিল ১৫৮৫ সালের ডিসেম্বর মাস। সেই সময়ে তুষারাবৃত কাশ্মীরের সীমানায় দাঁড়িয়ে ছিল বিরাট এক সৈন্যবাহিনী। ওই বাহিনীর সার সার অশ্বারোহী, পদাতিক সৈন্যরা তাঁদের তিন সেনাপতির আদেশের অপেক্ষা করছিলেন। বাহিনীর শিবিরের সামনে যে পতাকা উড়ছিল, তাতে ছিল তৎকালীন মোঘল সম্রাট ‘জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবর’-এর প্রতীক। খোদ মোঘল সম্রাটের আদেশ ছিল যে, সেবার মোঘল বাহিনীকে কাশ্মীর জয় করতেই হবে, এবং সেখানকার স্বাধীন শাসক ‘ইউসুফ শাহ চাক’কে যেভাবে হোক বন্দী করতে হবে। ইউসুফ শাহ চাক আবার যে সে শাসক ছিলেন না। তিনি ছিলেন কাশ্মীরের বিখ্যাত ‘চাক’ রাজবংশের শাসক, যে চাক বংশ বিগত ত্রিশ বছর ধরে কাশ্মীর শাসন করেছিল।
তাঁদের আগে ‘সুলতান জয়নুল আবেদিন’ ও ‘শাহমিরি’ রাজবংশ কাশ্মীরের শাসক ছিলেন। জয়নুল আবেদিন ধর্মে মুসলিম হয়েও কাশ্মীরের হিন্দুদের ওপর থেকে ‘জিজিয়া কর’ লোপ করেছিলেন, তিনি হিন্দুজের পুজোআচ্চা ও উৎসবেও যোগ দিতেন। ঝিলাম নদীর ওপর প্রথম কাঠের সেতুটি তাঁর আমলেই তৈরী করা হয়েছিল। কাশ্মীরে কারিগর এনে কার্পেট তৈরি, কাগজের মণ্ডের শিল্প, রেশমশিল্প তাঁরই ঐতিহাসিক অবদান। এর অনেক আগে, শাহেনশাহ আকবরের ঠাকুরদা ‘বাবর’ যখন মধ্য এশিয়া থেকে যখন ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরাও কাশ্মীরের শিল্পীদের দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে বাবরের ভাই ‘মির্জা হায়দার দৌলগত’ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, “সমরখন্দ, বোখারার কিছু জায়গায় চমৎকার কারিগর দেখা যায়। কিন্তু কাশ্মীরে তাঁরা ঘরে ঘরে রয়েছে।” তবে বাবর বা ‘হুমায়ুন’ - কেউই কাশ্মীর অধিকার করতে চাননি। কিন্তু ‘পীরপঞ্জাল’ পর্বতের নীচে অবস্থিত সেই রাজ্যকে আকবর যেভাবে হোক নিজের হস্তগত করতে চেয়েছিলেন। আকবর কাশ্মীরের শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওই স্বাধীন রাজ্যকে নিজের অধিকারে নিতে চাননি। তাঁর কাশ্মীর জয়ের জেদের পিছনে থাকা আসল কারণ অন্যত্র ছিল। আসলে সুলতান ইউসুফ শাহ চাক খোদ মোঘল সম্রাটকে অপমান করেছিলেন। আকবর চেয়েছিলেন যে, কাবুল থেকে দক্ষিণে সমুদ্র অবধি শুধুমাত্র মোঘল জয়পতাকা উড়বে, কাশ্মীরও সেই পতাকার আওতা থেকে বাদ যাবে না। সেই কারণে তিনি দু’-দু’বার ইউসুফকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইউসুফ এমনই বদতমিজ ছিলেন যে তিনি খোদ সম্রাটের তলব পেয়েও তাঁর সামনে হাজির হননি! তাঁর বেয়াদবির উচিত শিক্ষা দিতেই ১৫৮৫ সালের শেষদিকে কাশ্মীরের দোরগোড়ায় মুঘল সৈন্য উপস্থিত হয়েছিল।
তবে ইউসুফ শাহ চাক, কাশ্মীরের প্রকৃত শেষ স্বাধীন শাসক, সেবার বীরের মতো মুঘল সেনাকে প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। ডিসেম্বরের কাশ্মীরে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা আর বরফের জন্য মোঘল সেনারা সেবার খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি। তবে ইউসুফ শাহ চাক সেবারের মতো কাশ্মীরকে বাঁচাতে পারলেও, তৎকালীন মোঘল সেনাপতি ‘মানসিংহ’ তাঁকে একটি হুমকি-চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে, হয় তাঁকে দিল্লীতে গিয়ে সম্রাটের সামনে আত্মসমর্পণ করতেই হবে, নয়তো পরের বার কাশ্মীরকে আর কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সত্যিই আর ছাড় মেলেনি। স্বাধীন রাজ্য কাশ্মীর পরাধীন হয়েছিল, দিল্লীর সম্রাটের সামনে কাশ্মীরকে নতিস্বীকার করতে হয়েছিল। কিন্তু মুঘলদের জন্য সেই ইতিহাস যত না গর্বের, তার থেকেও বেশি প্রতারণার ও বিশ্বাসঘাতকতার।
ইউসুফ শাহ চাক অতি উদার ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। কিন্তু একই সাথে তিনি দুর্বল ও সিদ্ধান্ত নিতে-না-পারা এক শাসকও ছিলেন। একদিন তিনি ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে দেখেছিলেন যে, আখরোটের বাগানে একজন সুন্দরী নারী আপনমনে গান গাইছেন। সেই সুন্দরী ছিলেন এক চাষিঘরের বউ, কিন্তু একই সাথে তিনি কবিও ছিলেন। এরপরে প্রেমের কী আর বাকি থাকে? যথাসময়ে তিনি সুলতানের বেগম হয়েছিলেন। সেই নারী হলেন কাশ্মীরের অন্যতম মহিলা কবি - ‘হাব্বা খাতুন’। সুন্দরী বউ পেয়ে ও শিল্পসাধনায় মগ্ন থাকবার ফলে ইউসুফ ভুলেই গিয়েছিলেন যে তাঁর কিছু প্রশাসনিক কর্তব্যও রয়েছে। ফলে তিনি প্রশাসনের কাজে ঢিলেমি দিতে শুরু করেছিলেন। এর ফলে প্রজারা তাঁর উপরে নাখোশ হয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে শত্রু রাজারা কাশ্মীর আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন। শেষমেশ ইউসুফ শাহ চাক তাঁর ভাই ‘লোহার চাক’-এর হাতে কাশ্মীরের সিংহাসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। লোহার চাক টেনেটুনে তেরো মাস কাশ্মীরের মসনদে ছিলেন।
তারপরেই ইউসুফ তাঁর হৃত রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য ফের ময়দানে নেমেছিলেন। নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তিনি ‘লাহৌরের’ তৎকালীন শাসক ও আকবরের প্রধান সেনাপতি মানসিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মানসিংহ তাঁকে আগ্রায় খোদ সম্রাট আকবরের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করবার উপদেশ দিয়েছিলেন। এরপরে ইউসুফ সেটাই করেছিলেন, তিনি ‘ফতেপুর সিক্রি’তে আকবরের দরবারে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আকবরও তখন কাশ্মীরকে হস্তগত করবার একটা সুযোগ খুঁজছিলেন, তাই তিনি তৎক্ষণাৎ রাজা মানসিংহকে প্রচুর সৈন্যসামন্ত নিয়ে ইউসুফের সঙ্গে কাশ্মীর অভিযান করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আগ্রা থেকে কাশ্মীর ফেরত যাওয়ার পথেই ইউসুফ চাক বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি মস্ত ভুল করে ফেলেছেন। তিনি বুঝেছিলেন যে আকবর সেই সুযোগে নিজেই কাশ্মীরের দখল নেবেন। তাই তখন তিনি বুদ্ধি করে মানসিংহকে বলেছিলেন, আমার সেনার সঙ্গে এখনই আপনার কাশ্মীর ঢোকার দরকার নেই, আমি বরং একাই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারা যায় কি না দেখি!
তিনি পেরেছিলেন। মোঘল সাহায্য ছাড়াই লোহার চাক-এর মন্ত্রী ‘আবদাল ভাট’কে ইউসুফ চাকের বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত করেছিল। ইউসুফ ফের কাশ্মীরে তখতে আসীন হয়েছিলেন। কিন্তু মোঘল সম্রাটের সামনে ইউসুফ কথা দিয়েছিলেন যে, তাঁর সাহায্যের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তিনি মানসিংহকে কাশ্মীরে আমন্ত্রণ জানাবেন। ইউসুফ কাশ্মীরের তখতে বসলেও মানসিংহকে আর কাশ্মীরে আমন্ত্রণ জানান নি। এতে মানসিংহ বুঝে গিয়েছিলেন যে, ইউসুফ শাহ চাক মোঘল সম্রাটের বশ্যতা স্বীকার করতে চান না। ওদিকে সম্রাট আকবর চেয়েছিলেন যে একটাই ভারত, একটাই মোঘল সাম্রাজ্য থাকবে। সেখানে অন্য শাসকেরা থাকবেন বটে, কিন্তু তাঁরা কেবলমাত্র মোঘল শাসনের প্রতিনিধি হিসেবেই নিজেদের দায়িত্ব সামাল দেবেন। তাই ইউসুফের স্বাধীনচেতা মনোভাবকে তিনি ভাল চোখে দেখেন নি। তবুও তৎক্ষণাৎ কোন বাবদ না বাঁধিয়ে তিনি কাশ্মীররাজকে সন্ধিপ্রস্তাব দিয়ে নিজের দরবারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ইউসুফ তাঁর সেই তলব প্রায় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রায় কেন? কারণ, তিনি নিজে না গিয়ে তাঁর ছোট ছেলে ‘ইয়াকুব চাক’কে আকবরের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে মোঘল সম্রাট তাঁর উপরে আরো খেপে উঠেছিলেন। ১৫৮৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি কাবুলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে অক্টোবর মাসে পাঞ্জাবে ফিরে তিনি তাঁর দু’জন প্রতিনিধিকে ইউসুফের কাছে পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তিনি যেন পত্রপাঠ তাঁর কাছে হাজিরা দেন। সেবার ইউসুফের মন্ত্রী-সেনাপতিরাই তাঁকে আকবরের আমন্ত্রণে সারা দিতে নিষেধ করেছিলেন। ফলে ইউসুফ মোঘল সম্রাটের সামনে উপস্থিত হননি।
তারপরেই ডিসেম্বর মাসে আকবরের বিশাল সৈন্যবাহিনী কাশ্মীরের দরজায় উপস্থিত হয়েছিল। বিরাট সেই মোঘল সৈন্যবাহিনীর দায়িত্বে তিন সেনাপতি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ইতিহাস বিখ্যাত ‘বীরবল’। আকবরের ‘নবরত্ন সভা’র কবি, পরামর্শদাতা ও গায়ক বীরবল। আকবরের আশা করেছিলেন যে, আট হাজার সেনা পাঠিয়ে ইউসুফের মন গলানো সম্ভব না হলেও, বীরবল নিশ্চয়ই সেকাজ করতে পারবেন। কিন্তু সম্রাটের প্রিয় সভাসদও সেবারে কিছু করতে পারেননি।
শেষেমেষে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরে, আকবরের আরেক সেনাপতি, ‘রাজা ভগবানদাস’ ইউসুফ চাককে তাঁর সামনে উপস্থিত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু মোঘল দরবারে আসার আগে ভগবানদাস আর ইউসুফ চাক-এর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, আকবর সেসব মানেন নি। কোথায় তিনি মোঘল সম্রাট, কোথায় কাশ্মীরের শাসক ইউসুফ! তাই তিনি নিয়ম ভেঙে ইউসুফকে বন্দী করেছিলেন। মোঘল সম্রাটের এহেন বিশ্বাসঘাতকতায় বিরক্ত ও বিষণ্ণ ভগবানদাস আত্মহত্যা করেছিলেন। ইউসুফ শাহ চাকও আর কোনদিন নিজের প্রিয় রাজ্যে ফিরে যেতে পারেননি। আকবর তাঁকে ‘টোডরমলের’ অধীনে বন্দী রেখেছিলেন। প্রথমে তিনি গৃহবন্দী দশায় বঙ্গদেশে ছিলেন, পরে তাঁকে মনসবদার করে বিহারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল। আজও ‘নালন্দা’ জেলার ‘বিসওয়াক’-এ তাঁর সমাধি রয়েছে।
ওদিকে আকবরের হাতে ইউসুফের বন্দিদশার খবর পেয়ে কাশ্মীরের মানুষ তাঁর ছেলে ‘ইয়াকুব শাহ চাক’কে কাশ্মীরের সিংহাসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। ইয়াকুব দক্ষ শাসক ছিলেন না, এর ফলে রাজ্যে অরাজকতা দেখা দিয়েছিল। সেই সুযোগেই মোঘলরা আবার কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছিল। তবে এমনও শোনা যায় যে, কাশ্মীরে যখন ওই অরাজকতা চলছিল, তখন সেখানকার দু’জন সুন্নি ধর্মগুরু নাকি আকবরের ‘সাহায্য’ প্রার্থনা করে তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যাই হোক, এরপরে আকবরের আদেশে ১৫৮৬ সালের ২৮শে জুন তারিখে ‘কাশিম খান’ ৪০ হাজার অশ্বারোহী আর ২০ হাজার পদাতিক সৈন্য নিয়ে কাশ্মীর আক্রমণের জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপরে মোঘল বাহিনী প্রথমে ‘রাজৌরি’, পরে ‘শ্রীনগর’ অধিকার করে নিয়েছিল। সেই সঙ্গেই কাশ্মীর নিজের স্বাধীনতা হারিয়েছিল। একই সাথে ভবিষ্যতের অগুনতি বিদেশি আক্রমণের জন্য কাশ্মীরের দরজা খুলে গিয়েছিল। ইউসুফের ছেলের দশাও পরে তাঁর পিতার মতোই হয়েছিল। পরে বিহারে পিতা পুত্রের দেখা হয়েছিল, তাঁদের দু’জনেই তখন বন্দি। কোথায় ভূস্বর্গ কাশ্মীর আর কোথায় গনগনে গরমের বিহার! ওদিকে প্রাক্তন রাজরানি হাব্বা খাতুন কাশ্মীরেই থেকে গিয়েছিলেন। তিনি ইউসুফ চাক-এর বিরহে গান লিখে একাকী নিজের মনে গাইতেন; তাঁর শেষ পরিণতি কি হয়েছিল, সে খবর ইতিহাস রাখেনি।
ঐতিহাসিকেরা মনে করেন যে, নিজেদের সাম্রাজ্যের সীমানা আরও বাড়াতেই মুঘলরা কাশ্মীর দখল করেছিলেন। সমতলের ঝাঁ-ঝাঁ গরম থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তাঁরা কাশ্মীরে গিয়ে শরীর জুড়োতেন। পরবর্তীকালে আফগান আর শিখরাও কাশ্মীরের দখল নিয়েছিলেন। ‘ডোগরা’র শাসক ‘গুলাব সিং’ তো ৮৫ লক্ষ ‘নানকশাহি’ শিখদের বসবাসের জন্য কাশ্মীরকে আক্ষরিক অর্থে কিনেই নিয়েছিলেন। তিনি কাশ্মীরের সীমানা প্রসারিত করেছিলেন এবং সেখানে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারপরে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলেছিল। গুলাব সিংয়ের উত্তরসূরিরা কাশ্মীরি মুসলিম প্রজাদের উপরে কম অত্যাচার করেন নি। কাশ্মীরি মুসলিমরা তো সেই ১৫৮৬ সালেই নিজেদের স্বাধীনতা হারিয়েছিলেন।
তাই ১৯৩১ সালে যখন তাঁরা ডোগরা রাজাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, তখন সেটা তাঁদের আরেক স্বাধীনতার লড়াই হয়ে উঠেছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সেই লড়াইয়ের প্রত্যক্ষ কোন যোগ ছিল না। কিন্তু রাজনীতির খেলায় যেমনটা হয়ে থাকে - কাশ্মীর যথারীতি ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছিল। আজও কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে দড়ি টানাটানি অব্যাহত রয়েছে।
আকবরের সঙ্গে ইউসুফের লড়াইয়ের কাহিনীতেও কিন্তু চমকের কোন অভাব নেই। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে, ইউসুফের নিজেরও দোষ ছিল, নিজের পতনের পথ তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আসল কথা হল যে, যুদ্ধে আকবরের বাহিনী ইউসুফ শাহ চাকের সৈন্যদের হাতে দুরমুশ হয়েছিল, আর যদি ইউসুফ আকবরের ফন্দিতে বন্দী না হতেন, তাহলে আকবরের কাশ্মীর বিজয়ও কখনো সম্ভব হত না। আকবর সেদিন প্রতারণা না করলে, কাশ্মীরের ইতিহাস হয়তো অন্য রকমের হতে পারত।
লেখা- রানা চক্রবর্তী
(তথ্যসূত্র:
১- আকবর, রাহুল সাংকৃত্যায়ন, আবরার পাবলিকেশন্স (২০১৭)।
২- HISTORY OF KASHMIR BY HAIDAR MALIK CHADURAH (Haidar Malik’s Tarikh-i-Kashmir {completed in 1620-21}), Dr. Raja Bano, Jay Kay Books, Srinagar (২০১৬)।
৩- Akbar: The Great Mogul (1542-1605), Vincent Arthur Smith, Alpha Edition (২০১৯)।)
কপি
পেস্ট
রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
৯০ সুরা আল বালাদ নগতথ
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির জড়।
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১
لَآ أُقْسِمُ بِهَٰذَا ٱلْبَلَدِ
উচ্চারণঃ লাউকছিমুবিহা-যাল বালাদ।
অর্থঃ আমি এই নগরীর শপথ করি
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ২
وَأَنتَ حِلٌّۢ بِهَٰذَا ٱلْبَلَدِ
উচ্চারণঃ ওয়া আনতা হিল্লুম বিহা-যাল বালাদ।
অর্থঃ এবং এই নগরীতে আপনার উপর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৩
وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ
উচ্চারণঃ ওয়া ওয়া-লিদিওঁ ওয়ামা-ওয়ালাদ।
অর্থঃ শপথ জনকের ও যা জন্ম দেয়।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৪
لَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ فِى كَبَدٍ
উচ্চারণঃ লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফী কাবাদ।
অর্থঃ নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৫
أَيَحْسَبُ أَن لَّن يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াহছাবুআল্লাইঁ ইয়াকদিরা ‘আলাইহি আহাদ।
অর্থঃ সে কি মনে করে যে, তার উপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না ?
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৬
يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا
উচ্চারণঃ ইয়াকূ লুআহলাকতুমা-লাল লুবাদা-।
অর্থঃ সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৭
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُۥٓ أَحَدٌ
উচ্চারণঃ আইয়াহছাবুআল্লাম ইয়ারাহূআহাদ।
অর্থঃ সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৮
أَلَمْ نَجْعَل لَّهُۥ عَيْنَيْنِ
উচ্চারণঃ আলাম নাজ‘আল্লাহূ‘আইনাইন।
অর্থঃ আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ৯
وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ
উচ্চারণঃ ওয়া লিছা-নাওঁ ওয়া শাফাতাইন।
অর্থঃ জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১০
وَهَدَيْنَٰهُ ٱلنَّجْدَيْنِ
উচ্চারণঃ ওয়া হাদাইনা-হুন্নাজদাঈন।
অর্থঃ বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১১
فَلَا ٱقْتَحَمَ ٱلْعَقَبَةَ
উচ্চারণঃ ফালাকতাহামাল ‘আকাবাহ।
অর্থঃ অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১২
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلْعَقَبَةُ
উচ্চারণঃ ওয়ামাআদরা-কা মাল ‘আকাবাহ।
অর্থঃ আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৩
فَكُّ رَقَبَةٍ
উচ্চারণঃ ফাক্কুরাকাবাহ ।
অর্থঃ তা হচ্ছে দাসমুক্তি
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৪
أَوْ إِطْعَٰمٌ فِى يَوْمٍ ذِى مَسْغَبَةٍ
উচ্চারণঃ আও ইত‘আ-মুন ফী ইয়াওমিন যী মাছগাবাহ ।
অর্থঃ অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৫
يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ
উচ্চারণঃ ইয়াতীমান যা-মাকরাবাহ।
অর্থঃ এতীম আত্বীয়কে
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৬
أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ
উচ্চারণঃ আও মিছকীনান যা-মাতরাবাহ।
অর্থঃ অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৭
ثُمَّ كَانَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا۟ بِٱلْمَرْحَمَةِ
উচ্চারণঃ ছু ম্মা কা-না মিনাল্লাযীনা আ-মানূওয়াতাওয়া-সাও বিসসাবরি ওয়াতাওয়া-সাও বিল মারহামাহ।
অর্থঃ অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৮
أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ
উচ্চারণঃ উলাইকা আসহা-বুল মাইমানাহ।
অর্থঃ তারাই সৌভাগ্যশালী।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ১৯
وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا هُمْ أَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ
উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিনা-হুম আসহা-বুল মাশআমাহ।
অর্থঃ আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা।
সূরা আল বালাদ (البلد), আয়াত: ২০
عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌۢ
উচ্চারণঃ ‘আলাইহিম না-রুম মু’সাদাহ।
অর্থঃ তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে।
,,,,,,,,,,
রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২০২২/১১/২৭ রবিবার
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।
(২৭-১১-২০২২)
আজকের শিরোনাম-
* চলমান প্রকল্পগুলো থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
* ঢাকা মহানগরীতে বিএনপি’র ১০-ই ডিসেম্বরের সমাবেশে বাধা দেবে না সরকার - বললেন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক।
* ব্যস্ত সড়ক বন্ধ করে বিএনপি জনজীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি।
* চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামীকাল।
* উত্তর কোরিয়ার নেতা বললেন, বিশে^র সবচেয়ে ক্ষমতাধর পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হওয়াই তার মূল লক্ষ্য।
* এবং আজ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে জাপানকে হারিয়েছে কোস্টারিকা - রাতে এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হবে স্পেন ও জার্মানি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...