কেয়া আর আমি অন্তরঙ্গ অবস্থায় খাটের ওপর আছি এমন সময় দোলা ভাবী আমাদের রুমে ঢুকেই আমাদের এই অবস্থায় দেখে থমকে গেল।
আমি জলদি করে কেয়াকে আমার ওপর থেকে ঠেলে সরিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে নিলাম, কেয়াও দোলা ভাবীকে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো।
আমি দোলা ভাবীকে বললাম– ভাবী কিছু বলবেন?
দোলা ভাবী থতমত খেয়ে বললো– না মানে ইয়ে আরকি... এই সময়ে এসে পড়াটা ঠিক হয়নি।
বললাম সমস্যা নেই ভাবী, আর দরজা লক করা হয়নি সেটাও খেয়াল করিনি।
দোলা ভাবী লজ্জায় লাল হয়ে আছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বললো– তোমরাও পারো, এখন কি এসবের সময়?
আমি মুচকি হেসে বললাম– এসবের আবার নির্দিষ্ট সময় হয় নাকি ভাবী, যখন ইচ্ছে দিতে নিতে হয়। ভালোবাসা বিনিময়ের কোনো সময় হয়না।
দোলা ভাবী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো– এরকম যদি সবাই বুঝতো।
দোলা ভাবী দেখতে সুশ্রী, লম্বা সুন্দরী, সংসারে কোনকিছুর অভাব না থাকলেও সবসময় কেমন মনমরা হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে কেয়ার কাছে আসে মাঝেমধ্যে তাছাড়া তেমন ঘরের বাহির হয়না।
আচ্ছা তোমরা তোমাদের সময় উপভোগ করো আমি যাচ্ছি এবার, বলে দোলা ভাবী চলে গেল।
কেয়া উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আসতেই কেয়ার হাত ধরে টেনে বিছানায় ফেলে কেয়ার ঠোঁটে আলতো করে কামড় দিয়ে বললাম– সারাক্ষণ শুধু আদর আর আদর, অন্য কিছুর হুস থাকেনা তাইনা?
এবার কেয়া উল্টে আমার ওপর উঠে বললো– এরকম একটা সুইট জামাইর আদর পেলে হুশ তো উড়ে যাবেই।
কেয়ার মুখ চেপে ধরে বুকের মাঝখানে একটা চুমু খেয়ে বললাম– চুপ একদম, আদর করতে দাও।
তারপর কম্বলের ভেতর ডুব মেরে কেয়ার সারা শরীরে আদর দিতে লাগলাম আর কেয়াও উপভোগ করতে লাগলো খুব।
আমরা পালিয়ে এসে বিয়ে করেছি, বাসা নিয়ে আছি দুজন, আপাতত আমার কাজবাজ নেই তাই সারাক্ষণ কেয়াকে সময় দিতে পারছি অফুরন্ত। পরিবার ছেড়ে এসে কেয়ার মনে যে কষ্ট সেটা ভুলিয়ে রাখার জন্যই কেয়াকে খুব আদরে রাখি সারাক্ষণ।
আমাদের ইচ্ছে একটা বেবি নেয়ার, বেবি হলে হয়তো সবাই মেনে নিবে আমাদের।
প্রতিবারই শারীরিক মেলামেশার পরে আমরা আনন্দিত হই যে এবার বুঝি কেয়া বেবি কনসিভ করবে, কিন্তু পরে টেস্টের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।
আমি কেয়াকে বলি সমস্যা নেই বউ, রুমে তো আমরা দুজনেই, যতক্ষণ বেবি না হচ্ছে মিশন চলবে আনলিমিটেড।
কেয়া মিষ্টি হেসে বলে– দুষ্ট বর একটা।
আমি জিভ দিয়ে কেয়ার গাল চেটে বলি– মিষ্টি বউ একটা।
কেয়া মুচকি মুচকি হাসে।
আমাদের দুজনের রাত দিন আনন্দে কাটে ভীষণ, আমরা একে অপরকে পেয়ে সুখী।
আমি কাজের খোঁজে বাইরে গেলে কেয়া দোলা ভাবীর কাছে যায় বা দোলা ভাবী কেয়ার কাছে আসে। যেহেতু দোলা ভাবী আমাদের সামনের ফ্ল্যাটে থাকে। আমার বয়স তেইশ আর কেয়ার আঠারো, দোলা ভাবীর ছাব্বিশ সাতাশ হবে। তিনি আমাদের সিনিয়র হলেও কেয়ার সাথে নাকি বন্ধুর মতো কথাবার্তা বলে, হাসে খেলে। আমার সাথেও মাঝেমধ্যে একটু আধটু মশকারি করে।
আজকে আমাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ভাবী চলে যাবার পরে আমরা আবারও শারীরিক মেলামেশা শেষে ফ্রেশ হই, আমি চলে যাই অফিসে আর কেয়া বাসায় একা।
ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে আবারও ভাবীর সাথে দেখা কেয়ার, কেয়ার হাতে ভেজা কাপড় দেখে ভাবি মশকারি করে বললো– কি গো, সারাক্ষণ লেগেই থাকা হয় বুঝি দুজনের।
কেয়া মুচকি হেসে বললো– লেগে না থেকে উপায় কি ভাবি, জামাই যদি এত্তো রোমান্টিক হয়।
ভাবী এগিয়ে এসে বললো– তাই নাকি?
কেয়া বললো– একদম তাই ভাবী, ও যেমন রোমান্টিক, তেমন আমার পাগল। আমাকে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলতে পারলে মনে হয় তাই করতো, হা হা হা।
দোলা ভাবী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো– প্রথম প্রথম ওরকম সবাই থাকে বুঝলি? ধীরে ধীরে ভালোবাসা পানসে হয়ে যায়।
কেয়া বললো– যে ওরকম হবার সে হবেই, তাই বলে সবাই তো এক নয় ভাবী।
ভাবী বললো– তোকে অনেক আদর করে তাইনা।
কেয়া বললো– হ্যা খুব, রাতে আমাকে জড়িয়ে না ধরলে ওর নাকি ঘুমই আসেনা। কত যে পাগলামি। জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ঘুমাবে, পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে গলায় পিঠে আদর করবে। ঘুমের মধ্যেই কিনা শুরু করে দেয় হা হা হা, ওর আদরের চাপে আমি ভর্তা হয়ে যাই।
কেয়ার কথা শুনে দোলা ভাবী হো হো করে হেসে ওঠে।
কেয়া আবার বললো– আমার পিরিয়ড চলাকালে খুব সায়েস্তা হয়, তখন তো আর কাছে আসতে পারেনা হা হা, তাছাড়া একটা দিনও কাছে না এসে মেলামেশা না করে থাকতে পারেনা। কি একটা জ্বালা।
ভাবী বললো– আজীবন তোদের জীবন হাসি আনন্দে এমন ভরপুর থাকুক।
আমি বাসায় ফেরার পরে কেয়া আমার কাছে সবকিছু বললো। আমি বললাম এতকিছু শেয়ার করতে নেই পাগলী।
এরপর থেকে ভাবী প্রায়ই বাসায় আসে, আমাদের গল্প হয় আড্ডা হয়। আর ভাবীর চাহনিতে কেমন একটা রহস্য প্রকাশ পায়।
বেশ কিছুদিন পরে কেয়ার পিরিয়ড শুরু হয়। ভাবীকে দেখলাম কেয়াকে গরম পানি করে দিতে, কেয়ার যত্ন নিতে। দেখে ভালোই লাগলো।
বিকেলে ভাবী এসে বললো– আজকে আমাদের বাসায় তোমাদের দাওয়াত কিন্তু, আমি নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবো আজ তোমাদের।
সন্ধ্যায় আমি কেয়া গিয়ে ভাবীর বাসায় উপস্থিত। আড্ডা হলো, আড্ডা শেষে খাওয়াদাওয়া। ভাবীর স্বামী মানে ভাই আজ সম্ভবত বাসায় নেই।
খাওয়াদাওয়া শেষে আমরা বাসায় ফিরলাম। আজ খুব জলদি কেন যেন ঘুম পাচ্ছে। কেয়া শোবার কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমিও কখন ঘুমিয়ে পড়লাম টের পাইনি।
রাতে কারো অস্বাভাবিক স্পর্শে ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে লাফিয়ে উঠলাম...
চলবে...
গল্পঃ ভুল। প্রথম পর্ব
প্রতিটা মেয়ের গল্পটা পড়া উচিত জেসমিন আক্তার নেহা ফেইসবুক থেকে কপি করা
1 টি মন্তব্য:
good
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন