আমি আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা থেকে সেলসের সকল এর উদ্দেশ্যে একটা ছোট্ট ট্রেনিং সেশন এর ব্যবস্থা করেছি।
আশা করি সবার উপকারে আসবে।
এখানে প্রতিদিন এক একটা বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব। যে বিষয়টা নিয়ে আমি আলোচনা করব সে বিষয়ে সবাই যার যার অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেয়ার করবেন।
# আলোচনার বিষয় ;
১. কিভাবে পার্টির সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হয়;
২. নতুন পার্টি কিভাবে তৈরি করতে হয় ;
৩. রিপোর্টিং সম্পর্কে ;
৪. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় ;
৫. কিভাবে কোম্পানিতে ওনারশিপ নিয়ে কাজ করতে হয় ;
৬. কিভাবে কাজের ব্যস্ততা বাড়ানো যায়;
৭. সকল পণ্যর নমুনা সাথে রাকতে হবে ;
৮. কিভাবে বড় পার্টি পরিচালনা করতে হয়;
৯. স্টক অনুযায়ী অর্ডার নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ;
১০. কিভাবে পার্টির সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে ;
১১. কিভাবে মার্কেট কাভারেজ বৃদ্ধি করতে হবে ;
১২. দায় বদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে ;
১৩. নোটবুক মেইনটেইন করতে হবে এবং প্রতিদিনের ব্যক্তিগত অর্জন নোট করে রাখতে হবে ;
১৪.কিভাবে রিপিট কাস্টমার তৈরি করতে হবে ;
১৫. কিভাবে টিম ওয়ার্ক ভাবে কাজ করতে হবে.
ধন্যবাদ
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।
২য় দিন
2.কী ভাবে নতুন পার্টি তৈরি করা যায়:
আমি আশা করি, আমরা যদি সাঁতরা স্টেপ ফলো করি। তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটা মার্কেটে আমরা নতুন পার্টি তৈরি করতে পারব। এবং আমাদের মার্কেট কাভারেজ বৃদ্ধি করতে পারবো।
১. গ্যাপ মার্কেট খোঁজা:
আমাদের ওয়ার্কিং এরিয়াতে কোন কোন মার্কেটে আমাদের অ্যাক্টিভিটিস নাই এই গ্যাপ মার্কেট গুলো খুঁজে বের করতে হবে।
২. ট্রেডিং মার্কেট খোঁজা:
আমাদের গ্যাপ মার্কেট খুঁজে বের করার পরে। গ্যাপ মার্কেট এর মধ্যে কোন কোন মার্কেটে আমরা যে প্রোডাক্ট গুলো সেল করি এই প্রোডাক্ট গুলা বিক্রি করা যাবে এই ধরনের ট্রেডিং মার্কেট গুলোকে ফাইন্ডিং করতে হবে।
৩. বড় পার্টি খোঁজা:
আমরা যে ট্রেডিং মার্কেট গুলা খুঁজে বের করলাম এই ট্রেনিং মার্কেটে আমরা যে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করি এইগুলো কারা বিক্রি করে সেটা মার্কেট ছাড়বে করে বের করতে হবে। এবং বড় বড় পার্টি গুলোকে খুঁজে বের করতে হবে।
৪. প্রতিযোগীর ব্যবসায়িক দল খোঁজা;
বড় পার্টি গুলা খোজার পরে এই পাটিগুলা। কে কোন কোম্পানির সাথে বিজনেস করে সেগুলো বের করা।
৫. ইতিবাচক বড় পার্টি নির্বাচন করুন:
বড় পার্টি গুলো কে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে। এ গুলো বের করার পরে। আমাদের নতুন প্রোডাক্ট করা বিক্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে, আমাদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করে, কোন পার্টি গুলা আমাদের প্রোডাক্টগুলো নিয়ে বিক্রি করতে চায় এই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করে এ ধরনের পার্টি গুলোকে ফাইন্ডিং করা।
৬. ইতিবাচক দলের সাথে সম্পর্ক বাড়ান:
যে পার্টিগুলো আমাদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করে। আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চায়। তাদের সাথে সময় দিয়ে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য গিফটের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা মার্কেটে গিয়ে যা খাই সেগুলো পার্টির ঘরের লোকদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এভাবে সম্পর্ক বাড়বে।
৭. আমরা যেন একটি বাজারে শীর্ষ তিনটি পার্টি সাথে ব্যবসা করার চেষ্টা করি।
আশা করি এইভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করে কাজ করলে আমরা অবশ্যই নতুন পার্টি তৈরি করতে পারব।
ধন্যবাদ
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।
3. কি ভাবে রিপোর্টিং করবেন:
১. মাসের শুরুতে পরবর্তী মাসের ট্যুর প্লান করতে হবে।
২. মাসের শুরুতে পরবর্তী মাসের টার্গেট সেট করতে হবে।
৩. সকাল ৮.৩০ এর মধ্যে কোন এরিয়তে কাজ করবেন তার পরিকল্পনা দিবেন;
৪. প্রতিদিন নোটবুক লিখবেন; কি পরিমাণ টার্গেট অরজন হল, আর কি পরিমান টার্গেট অরজন বাকি আছে তার হিসেবে লিখে রাখতে হবে। এবং টার্গেট অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. বিকাল 4.00টার মধ্যে ব্যাংকের আপডেট দিবেন; এবং
৬. বিকেল পাঁচটার মধ্যে পরের দিনের ডেলিভারি প্লান দিবেন।
৭. প্রতি শনিবারে সাপ্তাহিক এচিভমেন্ট রিপোর্ট দিবেন।
ধন্যবাদ
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।
4. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় :
নিম্নবর্তী বিষয়গুলো প্রত্যেকটা মার্কেটারের মধ্যে অবশ্যই থাকা দরকার।
1.পণ্যর জ্ঞান;
2. গ্রাহক জ্ঞান;
3. কোম্পানির জ্ঞান;
4. প্রতিযোগীর জ্ঞান;
5. নিজের দক্ষতা;
6. বিক্রয় দক্ষতা;
7. শারীরিক ভাষা;
8. উপস্থাপনা দক্ষতা;
পণ্যর জ্ঞান(১):
পণ্যের জ্ঞান হল এমন একটি দক্ষতা, যেখানে আপনার কর্মীরা সম্পূর্ণ রূপে বুঝতে পারে এবং আপনার পণ্য, এরবৈশিষ্ট্য, সুবিধা, ব্যবহার এবং সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গ্রাহকদের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতেপারে। আমরা যে প্রোডাক্টটা বিক্রি করি। সেটা সম্পর্কে A to Z ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আমরা আরেকজনকে সুন্দর ভাবে আমাদের পণ্য সম্পর্কে বোঝাতে পারবো। আমরা যে পণ্য মার্কেটে বিক্রি করি সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে, এবং আমাদের পণ্যের কি কি বৈশিষ্ট্য আছে, কি কি গুনাগুন আছে সবকিছু ভালোভাবে জানতে হবে। অন্যদের পন্য সাথে আমাদের পণ্য পার্থক্য কি, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। যদি সবগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে পারি তাহলে আমরা আমাদের পার্টি কে বোঝাতে পারবো এবং সহজে আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবো ।
অতএব একজন সেলসম্যান এর জন্য পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।
4. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় : নিম্নবর্তী বিষয়গুলো প্রত্যেকটা মার্কেটারের মধ্যে অবশ্যই থাকা দরকার।
২. গ্রাহক জ্ঞান;
৩. কোম্পানির জ্ঞান;
৪. প্রতিযোগীর জ্ঞান;
৫. নিজের দক্ষতা;
গ্রাহক জ্ঞান(২):
গ্রাহক জ্ঞান হল অভিজ্ঞতা, মূল্য এবং অন্তর্দৃষ্টি তথ্যের সমন্বয় যা গ্রাহক এবং কম্পানির মধ্যে লেনদেন এবং বিনিময়ের সময় ও প্রয়োজন তৈরি হয়। গ্রাহকদের মনমানসিকতা বুঝে তার সাথে কথা বলা। ব্যস্ত টাইমে তাকে ডিস্টার্ব না করা। যখন ফ্রি থাকে তখন তার সাথে কথা বলা। গ্রাহকদের মেজাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে, কখন কোন ধরনের মেজাজ থাকে এগুলো সম্পর্কে বুঝতে হবে তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ইত্যাদি।
কোম্পানির জ্ঞান(৩):
একজন কর্মকর্তার অবশ্যই কোম্পানির কার্যকলাপ সম্পর্কে সমস্ত জ্ঞান থাকতে হবে। কোম্পানির মিশন এবং ভিশন সম্পর্কে জানতে হবে।, আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে, তার পর কাস্টমসকে সে অনুযায়ী জানাতে হবে ।
প্রতিযোগীর জ্ঞান(৪):
আপনার প্রতিযোগী কারা, এবং তারা কী অফার করছে তা জানা, প্রতিযোগী জ্ঞান আপনাকে আপনার পণ্য, পরিষেবা এবং বিপণনকে আলাদা করে তুলতে সাহায্য করে। আপনি এই জ্ঞান ব্যবহার করে মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে পারেন যা আপনার প্রতিযোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় এবং আপনার নিজের ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
নিজের দক্ষতা(৫):
ব্যক্তিগত দক্ষতা হল সেই দক্ষতা গুলি যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি যখন আমরা পৃথকভাবে এবং দলগতভাবে অন্য লোকেদের সাথে যোগাযোগ করি। ব্যক্তিগত দক্ষতার দারা আপনাকে আলাদা করে দেখা হবে ? এখানে ব্যক্তিগতর দক্ষতার একটি তালিকা রয়েছে:
*সচেতনতা (নিজের এবং অন্যদের সম্পর্কে )
* অন্যমানুষের প্রতি যত্নশীল।
* অন্যদের সাথে একসাথে কাজ করা এবং ভালোভাবে কাজকরা।
*লোকেদের প্রয়োজন হলে সান্ত্বনা দেওয়া।
* পরিষ্কার যোগাযোগ দক্ষতা.
* সমস্যা খুজে বের করা এবং সমাধানের দক্ষতা অর্জন করা।
ধন্যবাদ
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন