এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪

চীনাবাদাম কিভাবে আবাদ করবেন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চীনাবাদাম_কিভাবে_আবাদ_করবেন:


#উপযুক্ত_মাটিঃ

বেলে দোআঁশ, দোআঁশ এবং চরাঞ্চলের বেলে মাটি চীনাবাদাম চাষের জন্য উপযুক্ত। চীনাবাদামের পেগ যাতে সহজেই মাটি ভেদ করে নিচে যেতে পারে সেজন্য মাটি নরম হতে হয়।


#চীনাবাদামের_জাতঃ

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট কতৃক চীনাবাদামের জাত উদ্ভাবিত জাত সমূহ হল মাইজচর/বাসন্তী/ত্রিদানা/ঝিঙ্গা/বারি চীনাবাদাম-৫/ বারি চীনাবাদাম-৬/বারি চীনাবাদাম-৭/ বারি চীনাবাদাম-৮/ বারি চীনাবাদাম-৯/ বারি চীনাবাদাম-১০/


বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক

বিনা চীনাবাদাম-১/ বিনা চীনাবাদাম-২/বিনা চীনাবাদাম-৩/ বিনা চীনাবাদাম-৪ 

লবণাক্ত এলাকার (বাগেরহাট, খুলনা, নোয়াখালী) জন্য বিনা চীনাবাদাম-৫/বিনা চীনাবাদাম-৬/ বিনা চীনাবাদাম-৭/বিনা চীনাবাদাম-৮/বিনা চীনাবাদাম - ৯


#জীবনকালঃ

রবি মৌসুমে চীনাবাদামের জীবনকাল ১৪০-১৫৫ দিন ও খরিফ মৌসুমে জীবনকাল ১০০-১২০ দিন এবং খরিফ মৌসুমের তুলনায় রবি মৌসুমে ফলন বেশী। 


#জমি_তৈরিঃ

জমির মাটি ৩-৪ বার চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। জমির চারপাশে নালার ব্যবস্থা করলে পরবর্তীকালে সেচ দেওয়া এবং পানি নিকাশ সুবিধাজনক হয়।


#বীজ_বপনের_সময়ঃ 

চীনাবাদাম রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে আবাদ করা যায়। রবি মৌসুমে কার্তিক-অগ্রহায়ন 

খরিফ ১ মৌসুমে ফাল্গুন-চৈত্র ও 

খরিফ ২ মৌসুমে শ্রাবন-ভাদ্র মাসে বপন করতে হয়। তবে দেবীগঞ্জ, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ ফসল মাঘ মাসে বপন করা হয় এবং জ্যৈষ্ঠ - আষাঢ় মাসে কর্তন করে থাকে।


#সারের_পরিমাণঃ

চীনাবাদাম ফসল নিজেই তার প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদান নাইট্রোজেন বাতাস থেকে সংগ্রহ করতে পারে। তাই ইউরিয়া সারের খুব একটা প্রয়োজন হয়না।


বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে

ইউরিয়া ৮ কেজি

টিএসপি  ২০ কেজি

এমপি ১৫ কেজি

জিপসাম ৩০ কেজি

জিংক ০.৫০ কেজি

বরিক এসিড ১ কেজি


#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ

অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যান্য সারের সবটুকু শেষ চাষের আগে জমিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৪০-৪৫ দিন পর গাছে ফুল আসার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।


নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম ছাড়াও ক্যালসিয়াম চীনাবাদামের শেষ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত দরকার। পড সরাসরি জমির উপরের স্তর হতে ক্যালসিয়াম শোষণ করে থাকে। এজন্য গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ও পড গঠনের জন্য মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকা দরকার। বোরণ, চীনাবাদাম চাষে প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদানের অভাবে ফুল ও ফলের উৎপাদন হ্রাস পায়। শিকড় বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে, শিকড়ের অগ্রভাগ মোটা হয়ে যায়। বীজ ভালভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে না।


#বপন_পদ্ধতিঃ

বীজ বপনের আগে খোসা হতে বীজ আলাদা করে নিতে হবে। বীজ সারিতে বুনতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সে.মি. এবং গাছ হতে গাছের দূরত্ব ১৫ সে.মি.। বীজ ২.৫ থেকে ৩.০ সে.মি. মাটির গভীরে বপন করতে হয়। প্রতি গর্তে একটি করে পুষ্ট বীজ বপন করতে হয়। প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম হিসাবে প্রোভেক্স (ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে বীজ শোধন করে নেওয়া ভাল।


#বীজের_পরিমানঃ

শতকে ৫০ গ্রাম 

বিঘায় ১৬ কেজি

হেক্টর প্রতি ১২০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।


#আগাছা_দমনঃ

চীনাবাদামের ফলন ভাল পাওয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায় গাছ বৃদ্ধির সময় জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। চারা গজানোর পর প্রয়োজনবোধে দুইবার (প্রথম বার ১৪-২০ দিন পর এবং দ্বিতীয় বার ৩৫-৪৫ দিন পর) জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। ফুল আসার পর গাছে বাদাম ধরার সময় গোড়ায় হালকাভাবে মাটি তুলে দিতে হবে। 


#সেচঃ

চরাঞ্চলের জমিতে সাধারণত সেচের প্রয়োজন হয় না তবে উঁচু জমিতে যেখানে মাটির রস তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে এক থেকে দুটি সেচ দেওয়া প্রয়োজন। খরিপ- ১ মৌসুমে  (চৈত্র-বৈশাখ) ফসলের অবস্থা বুঝে একটি সেচ দেওয়া যেতে পারে। খরিপ- ২ মৌসুমে সাধারণত সেচের প্রয়োজন হয় না। সুষ্ঠ ও তাড়াতাড়ি অঙ্কুরোদগমের জন্য বীজ বপনের পূর্বে জমিতে যথেষ্ট রস থাকা বাঞ্ছনীয়। জমিতে রস না থাকলে বপনের পূর্বে অথবা পরে হালকা সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুল আসার পূর্বে এবং ফল ধরার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জমিতে রস থাকে। লবনাক্ত পানি কোনক্রমে জমিতে দেয়া যাবে না। কারণ এ পানি ফল ও দানার আকার ছোট করে।


#উপরি ইউরিয়া সার প্রয়োগঃ

বাকী অর্ধেক ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৪০-৪৫ দিন পর গাছে ফুল আসার সময় প্রতি হেক্টর জমিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।


#ফসল_সংগ্রহঃ

চীনাবাদাম গাছের শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ বাদাম যখন পরিপক্ব হয় তখন উঠানোর সঠিক সময়। এ সময় গাছের নিচের পাতাগুলো হলুদ রং ধারণ করে এবং ঝরে যায়।


জাত ও মৌসুমভেদে চীনাবাদাম ১২০-১৫০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়।


#ফলনঃ

এলাকা ও জাত ভেদে রবি মৌসুমে চীনাবাদামের গড় ফলন ২.২-২.৬ এবং খরিফ মৌসুমে ১.৬-২ মে.টন/হেক্টর।




মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা 

ভোটমারী, কালিগঞ্জ লালমনিরহাট

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...