এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না!,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না!


কুকুর নিয়ে অদ্ভুত সব কথা প্রচলিত আছে। এরমধ্যে কোনটা সবচেয়ে অহেতুক অথবা বড় ভুল, সেটা নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হতে পারে। এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, তার দাদি নাকি বলত, খাওয়া দাওয়া করে আড়মোড়া ভাঙলে সেই খাবার কুকুরের পেটে চলে যায়! এটা হলে অবশ্য ভালোই হতো। পথের কুকুরদের না খেয়ে থাকতে হতো না। আমরা যে অলস জাতি, তবে কুকুর নিয়ে ভুল ছড়ানোতে বলা যায় আমরা নিরলস। পুরো মেডিক্যাল সায়েন্সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রচলিত হয়েছে, কুকুর কামড়ালে নাকি পেটে বাচ্চা হয়! বলেন কেমনটা লাগে? আরেক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আরও এক ধাপ এগিয়ে কবিতা লিখলেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়…’


সেসময়কার মানুষের কবিকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, ‘আপনারে কে বলছে যে কুকুরের কাজ কামড়ানো?’ 


কুকুর নিয়ে আরেকটি গুজব হলো, মানুষ দেখিবামাত্রই কুকুর কামড় বসিয়ে দিবে। আর কুকুরের কামড় মানেই নাভির নিচে ১৪টি ইনজেকশন। আর ইনজেকশন না দিলে হবে জলাতঙ্ক। সবই এখন ভুল ধারণা। কোনো একসময় কুকুর কামড়ালে হয়তো ১৪টা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, কিন্তু কুকুর কখনও দেখামাত্রই কামড় দেয় না। মানুষ যেভাবে কামড় দেয় রাগে-ক্ষোভে-মাথা গরম করে, কুকুরের কামড়টাও সেরকম স্বাভাবিক ব্যাপার। আরও ঠিকঠাক করে বললে, তাদেরকে অকারণে মারলে, তাড়া করলে, ভয় দেখালে বা নানাভাবে উত্যক্ত করলে তারা আত্মরক্ষায় কামড় বা আঁচড় দিতে পারে।


তবে কুকুরের লালা গায়ে লাগলে বা আঁচড়-কামড় খেলেই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ সব কুকুরের শরীরে জলাতঙ্কের র‍্যাবিস ভাইরাস থাকে না। শুধুমাত্র র‍্যাবিস আক্রান্ত কুকুর কামড় দিলেই জলাতঙ্ক হতে পারে। ঢাকায় গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত প্রাণীদের ভ্যাকসিনেশন করার ফলে র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ যদি আরেকটু সচেতন হয় তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। সারাবছর ঢাকা বা ঢাকার বাইরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার যেসব ঘটনা ঘটেছে তা শুধুমাত্র ঠিকমতো প্রাণীদের ভ্যাকসিনেটেড না করার কারণে হয়েছে। 


মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যে কাজটা করতে হবে তা হলো সাথে সাথে ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্ষতস্থান সাথে সাথে ধুয়ে ফেললে ৯০ শতাংশ জীবাণু মরে যায় এবং সংক্রমণের শঙ্কা ৭০-৮০ ভাগ কমে যায়। তারপর নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে। কামড়ের পরপরই টিকা নিয়ে নিলে মৃত্যু ও জলাতঙ্ক রোধ করা যায়। 


আমাদের দেশে এমনিতেই রাস্তার প্রাণীদের সাথে বিরূপ আচরণ করা হয়। যেকোনো অজুহাতে রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের মারা হয়। এমন অবস্থায় অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ভুল তথ্য প্রচার করা থেকে আমাদের সকলের বিরত থাকা উচিত। জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ রোগ। তাই এই রোগ সম্পর্কে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা ছড়াতে হবে।

Sheero Choudhury


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


কোন মন্তব্য নেই:

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...