মুণ্ডুহীন কনিষ্কের স্ট্যাচু
কনিস্কের মূর্তিতে কেন মুন্ডু নেই, সে প্রসঙ্গে ইন্টারনেট থেকে কুড়িয়ে দুটো আজব সম্ভাবনার কথা বলে শুরু করা যায়, বলা বাহুল্য কৌতুকচ্ছলে।
(১) ভাস্কর্যটি গড়ার পাথর ও অন্যান্য উপকরণ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে ভাস্কর মাথাটি বানাতে পারেননি।
(২) কনিষ্ক বোঝাতে চেয়েছেন ভারতবর্ষ শাসন করতে মাথার প্রয়োজন হয় না।
হারানো মুন্ডু নিয়ে এ ধরনের নানা জল্পনা-কল্পনা, রসিকতা, রূপকথার বেড়াজাল ডিঙিয়ে আসল কারণ কি তা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না।
তবে, এ কথা জানা যায় মূর্তিতে মুন্ডু না থাকলেও, আসল মানুষটির মাথায় ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, হৃদয়ে নির্ভীকতা, শৌর্যবীর্যে অতুলনীয়, শিল্পকলার প্রতি একান্ত অনুরাগ এবং শাসনকার্যে দূরদর্শিতা।
মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তিম লগ্নে যে কয়টি রাজবংশ পাদপ্রদীপের আলোয় আসে তাদের মধ্যে কুষাণ সাম্রাজ্যের কনিষ্ক ছিলেন উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। তিনি শকাব্দ সন প্রবর্তন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে, বিশেষ করে চীন দেশে, মহামতি বুদ্ধের পরেই সবচেয়ে বড় অবদান রেখে গেছেন।
ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর কুষাণদের আদি বাসভূমি মধ্য এশিয়া। সেখান থেকে তারা বর্তমান আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান সাম্রাজ্য স্থাপন করে প্রথম শতাব্দীতে উত্তর ভারতের বেনারস পর্যন্ত তাদের সাম্রাজ্য বিস্তৃত করেন। রাজধানী পুষ্পপুরা (বর্তমান পেশোয়ার), তক্ষশীলা এবং মথুরা। তাদের ভাষা গ্রিক ব্যাকট্রিয়ান ও সংস্কৃত।
![]() |
ফেইসবুক থেকে নেওয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন