এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

গল্প-রিমুর জয়  পর্ব -১১ লেখক রিহান অরণ্য,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গল্প-রিমুর জয় 

পর্ব -১১

লেখক রিহান অরণ্য 


দরজা খুলা রেখেই  আমি আমার জামাইর কাছে গেলাম,অনেক রাগ অভিমান জমা আছে আমার মনে কিন্তুু এখন যদি রাগ আর অভিমান দেখাতে যাই তাইলে হাইব্রিড মেয়েটা মনে করবে আমার জামাইর সাথে আমার মিল নাই,  তাই রাগ অভিমান ভুলে জামাইর বুকে শুয়ে গেলাম,হাইব্রিড মেয়েটা দরজার সামনে দিয়ে একবার যায় আর আসে, 


এই দিকে আমার জামাই আমাকে কাছে পয়ে মাতাল মতো অবস্থা, জরিয়ে ধরে পাগলের মতো চু'মু খেতে লাগলো, ওর পাগলামি দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারিনি ওঠে দরজা লাগিয়ে দিলাম,  যাতে শান্তি মতো আদর নিতে পারি,, এতোদিনের আদর হিসাব করে সুদেআসলে   পোষিয়ে নিয়েছি,   এক ঘন্টা পর দরজা খুলছি, বাহিরে তাকিয়ে দেখি  হাইব্রিড মেয়েটা  দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে কিছু বলে নি তারে দেখিয়ে তার সামনে প্লাজু ঠিক করতে লাগলাম, সে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,   কিছুই যেহেতু বলে না তাই আমি বললাম আমার জামাইর রুমে কিন্তুু যাবি না, জামাইটা আমার ঘুমাচ্ছে অনেক টা দুর্বল হয়ে গেছে, এতোদিনের খাবার একসাথে খাইছিতো তাই,, তার পরও হা'ইব্রিড মেয়েটা   কিছুই বলে না, 


আমি চলে আসলাম রুমে গোসল করবো এখন,  কিন্তুু ফোনটা খুঁজে পাচ্ছি না,  পরে মনে হলো ফোন তো আমার জামাই রুমে,তাই ফোন আনতে আবার জামাই ঘরে গেলাম, গিয়ে দেখি ওই মেয়ে আমার জামাইর রুমে বসে আছে খাটের কোনায়,  দেখেই আমার মাথা গরম হয়ে গেছে, আমি বললান তুই এনে কি করছ,দেহছ না বেচারা কান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে, তুই আসলে কেন রুমে হা,,তর ও কি লাগবে নাকি এই বলে ওর হাত ধরে টান দিয়ে জামাইর কাছে নিয়ে গেলাম আর বললাম নে খা,  কি হলো দারিয়ে আছত কেন জ্বিবে পানি নিয়ে,   খা তুই,  কতো বড় সাহস এই সময় তুই রুমে ডুকলে,  এই সব বলতে বলতে জামাইর উপরে চাদর দিয়ে ওর  সবটা ডেকে দিছি,, আমার জামাইর একটা সবাব ঘুমালে ওটা হাতের মুঠোয় ধরে ঘুমিয়ে থাকে, হাইব্রিড মেয়েটা এতোক্ষণ খাটের কোনায় বসে বসে সব কিছু দেখছিলো,  তাই আবার বললাম খাবার জিনিস দেখলে জ্বিবে পানি চলে আসে  নাকি,, ওই আয় তরে চেক করমো আর কোন কোন জায়গায় পানি আসলো তর, এইবার আর দাঁড়িয়ে থাকেনি সোজা চলে গেছে ওর রুমে, আমি ফোনটা হাতে নিয়ে দরজা লাগিয়ে চলে গেলাম,, গোসল করে রুমে শুয়ে শুয়ে গান শুনতে ছিলাম আর আমি ও একটু একটু গাইতেছিলাম রোকসানা আন্টি এসে দেখে ফেলছে, আন্টি বলে কি রে রিমু তর মনে কি রং লাগছে নাকি,এতোদিন তো  অসুস্থ ছিলে, আমি বললাম আজকে ডক্টর মেডিসিন  দিছে তা ও ২ বার,  আন্টি বুঝতে পারেনি কি বলছি তাই বলে কখন গেলি ডক্টরের কাছে তুই না বলছোত তর জামাইর রুমে যাবি,, আর ডক্টরের কাছে যখন গেছোত আমাকে বলে যাইতে ২ টা গেস্টিকের বড়ি আনাতাম,  আমি বললাম,আবার গেলে আনমো নে,  এখন বলো কি রান্না করছো, আন্টি হাসি দিয়ে বললো আজকে চিংড়ি মাছ বোনা করছি তর যে প্রিয়ো এটা আমি জানি,,আমি বললাম আন্টি ভালো করছো শুধু আমার না আমার জামাইর ও প্রিয়ো,, 


দুপুর হয়ে গেলো জামাইটা এখনও ওঠলোনা,, বসে আছি জামাই রাইখা কমনে খাই,এই দিকে হিশাব নিকাশের সুদ তুলতে গিয়ে এখন খিদে ও পেয়েছে,   দূর আর ভালোলাগেনা  খাবার রুমে নিয়ে আগে খেয়ে নেই তার পর টেবিলে এসে বসে থাকমো জামাইর সামনে,  যখন বলবে কি হলো খাওনা কেন তখন বলবো খাবোনা, যদি জিজ্ঞেস করে কেন তখন বলবো তুমি খায়িয়ে দিলে খাবো, তখনতো হাইব্রিড মেয়েটার সামনে আমাকে ওর খায়িয়ে দিতে হবে, ওরে আল্লাহ হাইব্রিড মেয়েটা দেখতেছিনা গেলো কই আবার, 

আবার নি আমার সিন্ধুকে হাত দিতে গেলো এই বলে ওরে খুজতে লাগলাম কোথাও দেখিনা,   মনে মনে বলতে লাগলাম না আবার আমার সিন্ধুকে  তালা খোলার চেষ্টা করছে,  বেডা মানুষ ঘুমের মধ্যে  কাউকে পেলেই হয়,  নিজের বউ না অন্য মেয়ে সেটা তখন ওদের মাথায় আসে না, তাই দৌড়ে হেলাম আমার সিন্ধুকের ঘরে,  গিয়ে দেখি আমার জামাই তো ঘুমে, তাইলে হাইব্রিড গেলো কই তার রুমে ও তো নাই,,  


আন্টি, ওই আন্টি এই দিকে আসো, আন্টি বললো কি হইলো আমি বললাম আন্টি ওই মেয়েকে দেখতেছিনা যে, আন্টি বলে সে তো বাহিরে গেছে,   আমি বললাম বাহিরের কেন গেলো এই দূপুরে,, আন্টি বলে জানিনা আমি কিছু,  আমি বললাম জানতে হবে না এখন খাবার দাও আমার ঘরে, আন্টি বলে কেন টেবিলে খাবিনা আমি বললাম খিদে পেয়েছে আর ওই বেডা কখন ঘুম থেকে উঠে কে জানে, মনে মনে বলতে লাগলাম   ২ ম্যাচ খেলে এই অবস্থা, 😑


রুমে গিয়ে দূপুরের খাবার খেয়ে নিলাম,,  তার পর টেবিলে এসে চেয়ার উপরে পা রেখে বসে আছি, একটু পর মেয়েটা আসলো বাহির থেকে, হাতে কি জানি একটা আছে, 

ওর রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো, একটু পর আবার বের হলো, মনে হয় গোসল করছে, টেবলে এসে বসলো খাবার খাইতে, আমিই ওরে খাবার দিলাম সে খাইলো খাবার সময় একটা কথা ও বললো না,৷ খাবার শেষ করে আবার সে তার রুমে চলে গেলো,  মনে মনে ভাবলাম মেয়েটা যদি এই ভাবে থাকতো তাইলে ওর লগে আমার ঝগড়া করা লাগতোনা,,

আবার বসে রইলাম কিন্তুু ওনি আসলো না খেতে, 


দূর ওই বেডা আর কতো ঘুমায় না খেয়ে এটা বলতে বলতে আমার জামাই রুমে গেলাম, গিয়ে দেখি ওনি নাই রুমে, ওয়াশরুমের লাইট অন করা বুঝতে পারছি গোসল করতে গেছে,,    আমি ও রুম থেকে বের হয়ে খাবার রেডি করে দিলাম টেবিলে স্যার  আসলো খাবার খাইতে, আমি বসলাম অল্প একটু নিয়ে,না খেলে বেডায় নানান কথা জিজ্ঞেস করবে তার থেকে অল্প কয়ডা খাই,, 


খাবার শেষ করে  স্যারকে বললাম আমার টাকা লাগবে, অনেক কিছু কিনতে হবে স্যার বলে ঠিক আছে দিচ্ছি,এই বলে ওর রুমে গেলো, রুম থেকে বের হয়ে বলে এই নাও,


 আর রেডি হও একটু পর ডক্টর কাছে যাবো, 


আমি রেডি হয়ে আসলাম স্যার আমাকে নিয়ে ডক্টর কাছে গেলো,  স্যার চাইছিলো আল্টাসোনো করার জন্য, কিন্তুু ডক্টর বললো আরো ৪ সপ্তাহে পরে করেন তাইলে ভালো হবে,,তাই শুধু চেকাপ করে চলে আসলাম,,আসার সময় আমাকে মার্কেট নিয়ে গেছে এই প্রথম আমাকে সে শাড়ি কিনে দিছে আর মেক্সির কাপর,, 


 মার্কেট থেকে বাসায় চলে আসলাম,,   বাসায় এসে শাড়ি পরবো কিন্তুু ব্লাউজ নাই পেডি কোড নাই কিছু নাই কমনে পরি,  ইস ইচ্ছে ছিলো  শাড়ি পরে আজকে জমাইর লগে থাকবো তা আর মনে হয় হবে না,,    স্যার  আমাকে বাসায় দিয়ে আবার বাহিরে গেছিলো, এখনও ফিরে নাই,  এই দিকে আমরা রাতের রান্না ও রেডি করে ফেলছি,,  স্যার আসলো,  ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে এসে খেতে বসলো সাথে ওই মেয়ে ও,, কোন কথা বলে না শুধু একবার বলছে  আমার জামাই কে আপনি চিটাগং কবে যাবেন, জামাই উত্তর দিলো ঠিক নাই,  তখন মেয়ে টা বললো যাবার সময় আমাকে নিয়ে যাবেন, 


খাবার শেষ করে ওরা যার যার রুমে চলে গেলো আমি খেয়ে  টেবিল পরিস্কার করে  রুমে গিয়ে আন্টিকে বললাম আন্টি তুমি ঘুমাও আমি জামাইর কাছে যাবো, আন্টি বলে ঠিক আছে তবে ওই ময়ে যেন টের না পায়,আমি বললাম ও  টের পেলেও সমস্যা নাই, আন্টি তো আর জানে না আজকের ঘটনা ওর লগে কি হইছে তাই বললো জেন হাইব্রিড টা টের না পায়, শাড়িটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম, জামাই রুমে যাবো,  যাবার সময় ওই ময়ে দেখছে আমি যে স্যারের রুমে গেছি,, কিছু বলে নাই,, 


রুমে ডুকে পরনের কাপড় খুলে শাড়ি পরছি ব্লাউজ পেডি কোড ছাডাই,,  নতুন শাড়ি পরাতে জামাইর  আদর কতে একটু সমস্যা হচ্ছে তাই আর দেরি না  করে শাড়ি ও খুলে ফেলছি,,  এইবার কোন ঝামেলা নাই,,  আজকে কেন জানি আমার ও,,,,,৷ ৷৷৷৷,,,,,  তাই  আর দেরি না করে একবার শেষ করলাম তার পর ওর বুকে শুয়ে আমি জানতে চাইলাম কবে পাবো আমাদের অধিকার, স্যার  বলে আমাদের মানে আমি কি আরো বিয়ে করছি নাকি,, আমি বললাম আরে বেকুব আমাদের বলতে আমি আর আমার পেটের বাচ্চা, স্যার  বলে ও আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম,,  আমি বললাম ভয় কেন বিয়ে কি আরো করছো নাকি,স্যার বলে দূর কি যে বলো


আমার কথার উত্তর দাও কবে পাবো অধিকার, তখন স্যার বললো এই মূহুর্তে বিয়ের কথা বলা যাবে না কারণ আব্বু চিটাগং গেছে বড় ভাই কে ওই খানের জায়গা রেজিস্ট্রার করে দিতে, তার পর আমার পালা তার  মাঝে যদি ঝামেলা হয় তাইলে কিছুই পাবোনা,  তুমি আর কিছু দিন  অপেক্ষা করো,  আমি ওর বুকে শুয়ে কান্না করছি সে বলে , কি হলো কান্না করো কেন আমি তো আছি এই বলো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমাকে আদর দিতে লাগলো,, তার পর থেকে  

অনেক বার হইছে আমাদের,  আমার নারীত্বের প্রথম সুখ আজকেই পেলাম যে দিন বিয়ে হইছে সেই দিন থেকে টেনশনে ছিলাম স্যারের হলে ও আমার তেমন টা হয়নি কিন্তুু আজকে আমার মনের মতো করে  সব কিছু  নিছি,,


স্যারের রুমে গোসল করে সকাল সকাল বের হয়ে  গেছি রুম থেকে,   আন্টি রান্না করছে আমি গিয়ে ঘুমাইছি, রাতে তো ঘুমাতে পারিনি তাই নাস্তা না খেয়ে ঘুমাচ্ছি, 


 দূপুের আগে আগে আন্টি আমাকে ডেকে বলে তর জামাই লগে ওই মেয়ে কি নিয়ে জানি ঝগড়া করছে, এটা শুনে ওঠেই দৌড়ে গেলাম জামাই রুমে গিয়ে দেখি রুমের  কিছু জিনিস  মেজেতে পরে আছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে, স্যার  বলে কিছুনা, তুমি আসলে কেন ঘুম থেকে উঠে,  আমি বললাম কি হইছে জিজ্ঞেস করলাম  না বললে কিন্তুু খবর আছে, 


স্যার কোন কথা না বলে চলে গেলো বাহিরে,  পিছনে পিছনে ওই মেয়ে ও চলে যেতে লাগলো আমি হাত বাড়িয়ে ওর চুলে ধরলাম,  ওই তুই কই যাছ, কি হইছে জানতে চাইলাম বলছ না কেন,,  আমার হাতের টান ওর চুলে লাগতেই সে পরে গেল, আর ওর হাতের কাছে   Tv রিমুট ছিলো ওটা দিয়ে আমার পেট বরাবর ঢিল মারছে,,


চলব

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...