এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

জানি একদিন আমার জীবনী লিখা রবে:--- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জানি একদিন আমার জীবনী লিখা রবে:---


আজীবন শব্দ আর বাক্য নিয়ে  নিবিড় পরীক্ষা করে গিয়েছেন। সরল কথাকে কাব্যসুষমার অলঙ্কার পরাতে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। আবার অন্যদিকে, বাংলা ভাষার সৌকর্য ও ঝংকারকে গানে যে কী আশ্চর্য দক্ষতায় উদ্ভাসিত করা যায় সেটাও শিক্ষণীয় তাঁর কাছে।গোলবাড়ির পরোটা আর কষা মাংস খেতে খেতে এক টুকরো কাগজে তিনি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার  লিখলেন, ‘আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে’। নচিকেতা সুর করে ফেললেন। গাইলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তৈরি হল একটি কালজয়ী গান।


সঙ্গীত জগতের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় অন্য গীতিকারদের সঙ্গে সমস্যা না থাকলেও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের সম্পর্ক মোটেও মধুর ছিল না। আর সুযোগটা নিতেন নচিকেতা। তিনি দু’জনকেই এক সময়ে ডাকতেন। বলে দিতেন, যে ভাল লিখবে তাঁরটাই নেবেন। প্রতিযোগিতা শুরু হত গৌরী-পুলকের। এই লড়াই থেকে সোনার ফসলই পেতেন সুরকার নচিকেতা ঘোষ।


পাবনার গোপালনগর গ্রামে জন্ম গৌরীপ্রসন্নের। ১৯২৫ বাবা প্রেসিডেন্সি কলেজের খ্যাতনামা অধ্যাপক উদ্ভিদবিদ গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার। তাঁর সহপাঠীদের তালিকায় ছিলেন সি ভি রমন, ডক্টর রাধাকৃষ্ণন।পড়াশোনায় যতেষ্ট মেধাবী গৌরীপ্রসন্ন দুটো কলম আর কিছু খুচরো পয়সা নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। টাকা না থাকলে হেঁটেই চলে যেতেন গন্তব্যে। হাজরা থেকে গড়িয়া হাঁটা ছিল ওঁর রোজকার ব্যাপার।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে।  আকাশবাণীর অবসরপ্রাপ্ত অধিকর্তা শ্রীতরফদার তাঁর রেকর্ড প্লেয়ারে শোনাচ্ছিলেন ৭ মার্চের মুজিবরের বক্তৃতা। শুনতে শুনতে সিগারেটের প্যাকেটের সাদা কাগজে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার লিখে ফেললেন ‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে/ লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি/ আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি।’ সুর করলেন অংশুমান, গাইলেনও তিনি। গানটা ইংরেজিতে অনুবাদও হয়, ‘আ মিলিয়ন মুজিবর সিঙ্গিং’। ১৯৭১-এ মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে বাজানো হয় সেই গান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২-এর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন গৌরীপ্রসন্ন। বাংলাদেশ রেডিয়োর জন্য লিখেছিলেন ‘মাগো ভাবনা কেন/ আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে’। হেমন্তের কণ্ঠে বিপ্লব এনেছিল সে গান।


অভিমান করে গৌরীপ্রসন্ন একবার বলেছেন কবিতায় সুর দিলেই গান হয় না। গানের ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা। তা না হলে রবীন্দ্রনাথ কবিতা ছাড়াও অত গান লিখতেন না। তিনি যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তা একটি গানের বইয়ের জন্য।

ক্যানসার ধরা পড়ার পরে শরীর ভাঙতে থাকে তাঁর।  হাসপাতালে শুয়ে লিখেছিলেন শেষ গান, ‘এবার তাহলে আমি যাই, সুখে থাক ভালো থাক, মন থেকে এই চাই।’ ২০ অগস্ট, মাত্র ৬২ বছর বয়সে চলে গেলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ,বড় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল বাংলা গানের স্বর্ণালী এক অধ্যায়। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ইতিহাস সৃষ্টি করতেই এসেছিলেন বঙ্গসঙ্গীত দুনিয়ায়। তাই যে কোনও শিল্পীর যে গানটি তাঁর খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর, সেই গানের গীতিকার সর্বদাই গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। তাঁর গানের জাদু শেষ হয় না,শেষ হবেনা কোনওদিন।।


সংগৃহীত # ধ্রুবতারার খোঁজে।❤️




কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...