এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

গত ৩ এপ্রিল বিমান বাহিনীর একটা প্রশিক্ষন বিমান নড়াইলের মাজপাড়া ইউনিয়নের তাড়াশি বিলের ধানক্ষেতে জরুরী অবতরণ করেছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেকে ইনবক্সে জানতে চাচ্ছেন, অনেক বিভিন্ন বিরুপ মন্তব্য করা পোস্টে আমাকে ট্যাগ করছেন, তাই লিখতে বসলাম। আমার কাছে এই মূহুর্তে সবচেয়ে বড় সুখবর দূঘটনা কবলিত পিটি-৬ বিমানের দুজন পাইলট স্কোয়াড্রন লীডার নাদিম ও স্কোয়াড্রন লীডার মাহফুজ অক্ষত আছেন। পিটি-৬ বেসিক ট্রেইনার বিমানগুলো চীনের তৈরী, ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে, এবিমান দিয়েই কম খরচে মানসম্মত পাইলট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বিমান বাহিনী একাডেমি। অত্যাধুনিক বিমানের সহজ কিংবা জটিল সব ম্যানুভারের প্রাথমিক পাঠ দান করা যায় এই বিমান দিয়ে। আর শুধু ক্যাডেট ফ্লাইং প্রশিক্ষন নয় কোউয়ালিফাইড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টররাও এই বিমানেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ যারা যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান বা হ্যালিকপ্টার পাইলট হবেন তাদের এই বিমানেই প্রাথমিক ও এডভান্স প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যে কোন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহোলিং একটা ব্যয় বহুল খাত তবে আমাদের দেশে পিটি-৬ বিমানের রক্ষনাবেক্ষন ২০০০ সাল থেকেই বিমান বাহিনী দেশেই করছে। এর এয়ারফ্রেম ওভারহোলিং, ইঞ্জিনের রক্ষনাবেক্ষন সহ অনেক কাজ দেশেই হচ্ছে, যা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে । যতোটুকু জানা যায়- পাইলটদের আকাশে প্রশিক্ষণের সময় ইঞ্জিন অন অফ করে ইমারজেন্সি ফেলিউর প্রশিক্ষন দেয়া হয়। অর্থাৎ মাঝ আকাশে বিমান ইঞ্জিন বন্ধ হলে বা শত্রুর আক্রমণে ইঞ্জিন নস্ট হলে কিভাবে পাইলট বিমান নিরাপদে ল্যান্ড করাবেন সেটা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই বিমানটিতে ইঞ্জিন অফ করার সময় ইঞ্জিনের তাপমাত্রা অত্যাধিক কমে যায়, তখন আকাশে আর ইঞ্জিনটি চালু হয় নাই - বিমানে থাকা প্রশিক্ষক তখন বাধ্য হয়ে এই রকম জরুরী অবতরণ করছেন। দুর্ঘটনা কবলিত আমাদের পিটি-৬ বিমানের পাইলট ছিলেন দক্ষ প্রশিক্ষক, তার সঠিক সিদ্ধান্তে নিজ ও প্রশিক্ষণার্থীর প্রাণ রক্ষা পেলো, তার পেশাধারী বিচক্ষণতায় জনবসতি পাশ কাটিয়ে তিনি ধানের জমিতে ল্যান্ড করে ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়েছেন। টিভিতে দেখলাম এমআই-১৭১ হ্যালিকপ্টার দিয়ে বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে, এখানেও কর্তৃপক্ষের বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। নয়তো ধানী জমিতে সড়ক পথ বানিয়ে বিমান উদ্ধার হতো অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় সাপেক্ষ। বিমানটির এয়ারফ্রেম (কাঠামো)দেখলাম ঠিক আছে শুধু প্রপেলার বেকে গেছে , অবশ্যই বিমানটি আবার উড্ডয়ন যোগ্য হবে। ইঞ্জিন পাওয়ারলেস একটি বিমানকে শুধু মাত্র গতির ধারাবাহিকতায় ভূমিতে অবতরণ করে পাইলট সঠিক সিদ্ধান্ত ও সঠিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তাই বুঝে না বুঝে ট্রল করা থেকে বিরত থাকুন ।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গত ৩ এপ্রিল বিমান বাহিনীর একটা প্রশিক্ষন বিমান নড়াইলের মাজপাড়া ইউনিয়নের তাড়াশি বিলের ধানক্ষেতে জরুরী অবতরণ করেছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেকে ইনবক্সে জানতে চাচ্ছেন, অনেক বিভিন্ন বিরুপ মন্তব্য করা পোস্টে আমাকে ট্যাগ করছেন, তাই লিখতে বসলাম। 


আমার কাছে এই মূহুর্তে  সবচেয়ে বড় সুখবর দূঘটনা কবলিত পিটি-৬ বিমানের  দুজন পাইলট স্কোয়াড্রন লীডার নাদিম ও স্কোয়াড্রন লীডার মাহফুজ অক্ষত আছেন। 


পিটি-৬ বেসিক ট্রেইনার বিমানগুলো চীনের তৈরী, ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে,  এবিমান দিয়েই কম খরচে মানসম্মত পাইলট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বিমান বাহিনী একাডেমি।  অত্যাধুনিক বিমানের সহজ কিংবা জটিল সব ম্যানুভারের প্রাথমিক পাঠ দান করা যায় এই বিমান দিয়ে। 


আর শুধু ক্যাডেট ফ্লাইং প্রশিক্ষন নয় কোউয়ালিফাইড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টররাও এই বিমানেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ যারা যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান বা হ্যালিকপ্টার পাইলট হবেন তাদের এই বিমানেই প্রাথমিক ও এডভান্স প্রশিক্ষণ নিতে হয়। 


যে কোন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহোলিং একটা ব্যয় বহুল খাত তবে আমাদের দেশে পিটি-৬ বিমানের  রক্ষনাবেক্ষন ২০০০ সাল থেকেই বিমান বাহিনী দেশেই করছে। এর এয়ারফ্রেম ওভারহোলিং, ইঞ্জিনের রক্ষনাবেক্ষন সহ অনেক কাজ দেশেই হচ্ছে, যা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে । 


যতোটুকু জানা যায়- পাইলটদের আকাশে প্রশিক্ষণের সময় ইঞ্জিন অন অফ করে ইমারজেন্সি ফেলিউর প্রশিক্ষন দেয়া হয়। অর্থাৎ মাঝ আকাশে বিমান ইঞ্জিন বন্ধ হলে বা শত্রুর আক্রমণে ইঞ্জিন নস্ট হলে কিভাবে পাইলট বিমান নিরাপদে ল্যান্ড করাবেন সেটা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই বিমানটিতে ইঞ্জিন অফ করার  সময় ইঞ্জিনের তাপমাত্রা অত্যাধিক কমে যায়, তখন আকাশে আর ইঞ্জিনটি চালু হয় নাই - বিমানে থাকা প্রশিক্ষক তখন বাধ্য হয়ে এই রকম জরুরী অবতরণ করছেন।


দুর্ঘটনা কবলিত আমাদের পিটি-৬  বিমানের পাইলট ছিলেন  দক্ষ প্রশিক্ষক, তার সঠিক সিদ্ধান্তে  নিজ ও প্রশিক্ষণার্থীর প্রাণ রক্ষা পেলো,  তার পেশাধারী বিচক্ষণতায় জনবসতি পাশ কাটিয়ে তিনি ধানের জমিতে ল্যান্ড করে ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়েছেন। 


টিভিতে দেখলাম এমআই-১৭১ হ্যালিকপ্টার দিয়ে বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে, এখানেও কর্তৃপক্ষের বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। নয়তো ধানী জমিতে সড়ক পথ বানিয়ে বিমান উদ্ধার হতো অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় সাপেক্ষ। বিমানটির এয়ারফ্রেম (কাঠামো)দেখলাম  ঠিক আছে শুধু প্রপেলার বেকে গেছে , অবশ্যই বিমানটি আবার উড্ডয়ন যোগ্য হবে।


ইঞ্জিন পাওয়ারলেস একটি বিমানকে শুধু মাত্র গতির ধারাবাহিকতায় ভূমিতে অবতরণ করে পাইলট সঠিক সিদ্ধান্ত ও সঠিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তাই  বুঝে না বুঝে ট্রল করা থেকে বিরত থাকুন ।






কোন মন্তব্য নেই:

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...