এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা 

 কৃষিতে জৈব বালাইনাশক, পর্ব- ১.


জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশক জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছ-গাছড়ার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘ কালের।


নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার ফলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।


জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা :


১. উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।


২. জৈব বালাইনাশক প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।


৩. মাটির অনুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই।


৪. মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নাই।


৫. জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়।


৬. জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকে না বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ।


ভেষজ বালাইনাশকসমূহ:


১. নিমের পাতা, ছাল ও কাপড় কাচা সাবান দ্বারা: 


দুই কেজি নিমের পাতা, ১.৫ কেজি নিমের ছাল শিল পাটায় একটু থেতলে নিন। থেতলানো পাতা, ছাল এবং ৫০ গ্রাম গুড়া সাবান একটি পাত্রে দিয়ে ৫ লিটার পানি মিশ্রিত করুন। জ্বাল দিয়ে ৫ লিটার পানিকে কমিয়ে ১ লিটার বানিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। ৯ লিটার পানি যোগ করে স্প্রে করুন। এতে সকল প্রকার মাছি পোকা, বিটল জাতীয় পোকা, কীড়া ও বিছা পোকা দমন করা যায়।


২. নিম পাতার গুড়া দ্বারা: 


নিম পাতা ছায়ায় বিছিয়ে দু/এক সপ্তাহ শুকাতে হবে। শুকনা পাতা ভাল করে গুড়া করতে হবে। প্রতি ৫০ কেজি বীজ সংরক্ষণের জন্য ১ কেজি গুড়া মিশাতে হবে। সংরক্ষনের মেয়াদ বাড়াতে হলে সমপরিমাণ ধুতরা পাতার গুড়া একই রকম মিশাতে হবে। এতে গুদামজাত ফসলের পোকা দমন হয়।


৩. নিম বীজ দ্বারা: 


এক কেজি নিম বীজ ছায়ায় শুকিয়ে খোসা ছড়িয়ে নিন। বীজ পিষে মলমের মত তৈরী করুন। এর সাথে ৭৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশান। মিশ্রণটি ১০০ লিটার পানি মিশালে ২% দ্রবণ তৈরী হবে। দ্রবণ এক রাত রেখে দিন। এরপর ৭০-৮০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২/৩ ঘন্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে জমিতে ব্যবহার করুন। এতে পাতা মোড়ানো পোকাসহ বিভিন্ন ধরণের কীড়া ও গান্ধী পোকা দমন করা যায়। ইহা কৃমিনাশকের কাজ করে।


৪. মেহগনি বীজ: 


৮-১০ টি কাচা মেহগনি বীজের ফলের সাদা অংশ কুচি কুচি করে কেটে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে ৫০ গ্রাম কাপড় পরিষ্কার করা পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করুন। বাদামী গাছ ফড়িং, মাজরা, পাতা মোড়ানো ও ডায়ামন্ড ব্যাক মথ দমন করা যায়।


৫. তামাক পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কাচা তামাক পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে কচলিয়ে নিন। ছেকে ব্যবহার করুন অথবা বড় আকারের ১০ টি শুকনা পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে ছেকে নিয়ে ব্যবহার করুন। মাইট ও জেসিড দমন করা যায়।


৬. বিষকাটালী ও ঢোল কলমী দ্বারা: 


বিষকাটালী বা ঢোল কলমীর পাতা, কান্ড (পেষানো) ১ কেজি, ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে স্প্রে করুন। এতে এফিড, মাছি, পাতা ও ফলখেকো কীড়া দমন করা যায়।


৭. টমেটো গাছ দ্বারা: 


এক কেজি কান্ড ও পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিন। ছেকে নিয়ে স্প্রে করুন। এতে কান্ড পাতার শোষক পোকা লার্ভা দমন হয়।


৮. কালো কচুর পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কালো কচুর পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে ছেকে ব্যবহার করুন। এতে কীড়া, বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা শোষক পোকা দমন হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

হাতের খোসা ওঠা♦️ (Peeling of skin on hands) হলে সাধারণত যে  হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো  উপসর্গ

 ♦️হাতের খোসা ওঠা♦️ (Peeling of skin on hands) হলে সাধারণত যে  হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো  উপসর্গ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়: ✅ *১. Graphites*   - ত্...