এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

জাতীয় সংগীতের সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নন!

 জাতীয় সংগীতের সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নন!


১৮৯০ থেকে ১৯০০ সাল। এই দশবছর টানা রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কাটিয়েছেন। এখানে বসে লেখা কবিতা ও গল্পগুলোই রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে মনে করা হয়। রবিঠাকুর তখন শিলাইদহের জমিদার।

স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকেন কুঠি বাড়িতে। একদিন গভীর রাত। রবীন্দ্রনাথ জেগে আছেন। হয়তো লিখছিলেন, কিংবা ভাবনার জগতে ছিলেন নিমগ্ন।

হঠাৎ কে যে গান গেয়ে যায়। রবিন্দ্রনাথ ঝুল বারান্দায় আসেন। কুঠিবাড়ির সামনে চওড়া গেঁয়োপথ। সেই পথে কে যেনে গান গেয়ে যাচ্ছে।

লোকটার হাতে লন্ঠন। দূর থেকে ম্লান আলোয় পুরো চেহারা বোঝা যায় না। রবীন্দ্রনাথের মনে ধরে গানটা। যেমন কথা, তেমনি মিঠে সুর। গায়কীও চমৎকার।

পরদিন  রবীন্দ্রনাথ জানতে পারেন, রাতে যিঁনি গান গাইতে গাইতে এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি শিলাইদহ পোস্ট অফিসের ডাক হরকরা। অর্থাৎ রানার। রাতে ডাক নিয়ে ফেরার পথে উচ্চস্বরে গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি। লোকটার নাম গগন। গগন হরকরা।

রবিঠাকুর একদিন ডেকে পাঠান গগনকে। দারিদ্রপীড়িত মানুষ গগন। বয়সেও রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বেশ বড়। গান তিনি গান, তবে অন্যের লেখা গান নয়। নিজের লেখা নিজেরই সুর। রবীন্দ্রনাথ  আবার শোনেন সেই গান। বড় ভালো লাগে।

বেশ কয়েক বছর, এদেশের রাজনীতি তখন উত্তাল। বৃটিশ সরকার শাসন আর শোষণের সুবিদার্থে বাংলাকে ভেঙ্গে দুভাগ করতে চাইছেন। কিন্তু রবিন্দ্রনাথসহ দেশের বহু মানুষ তখন এই বাংলা ভাগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আন্দোলন করে। সেই আন্দলনের সময় রবীন্দ্রনাথ একটা গান লেখেন। সেটাই এখন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। কিন্তু গানটা রবীন্দ্রনাথ লিখলেও, সুরটা তাঁর নিজের নয়, শিলাইদহের সেই ডাক হরকরা সেই রাতে যে গান গাইতে গাইতে ডাকের বস্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই গানটার সুর বসিয়ে দিলেন আমার সোনার বাংলা গানের গায়ে। পেয়ে গেলাম নম নরম করে দেয়া আমাদের জাতীয় সঙ্গিতটা। আর গগন হরকারা সেই গানের কথা ছিল: ''আমি কোথায় পাব তারে

আমার মনের মানুষ যেরে…


রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার বিশেষ অন্তরঙ্গতা ছিল এবং প্রায়ই দুজনে রসালাপ ও সঙ্গীত চর্চা করতেন।রবীন্দ্রনাথ তার গুণমুগ্ধ ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের "যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক" ও "আমার সোনার বাংলা" গান দুটি, গগন হরকরার যথাক্রমে "ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে" ও "আমি কোথায় পাব তারে" গান দুটির সুর ভেঙে রচিত হয়।


গগন কার কাছ থেকে গানের দীক্ষা নিয়েছিলেন তা জানা সম্ভব হয়নি, তবে গগন লালনের গানের খুব ভক্ত ছিলেন। লালনও গগনের গান এবং গগনের সান্নিধ্য খুব পছন্দ করতেন। গগনের গানের খুব ভক্ত ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তিনি গগনের কাছে গগন ও লালনের গান শুনতেন। গগনের গান আমি কোথায় পাব তারের সুরে প্রভাবিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ এর জাতীয় সংগীত লিখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডাকঘর নাটকটি গগন হরকরার জীবন থেকে প্রভাবিত হয়ে লিখেছিলেন নাটকের গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর চরিত্রটি তা প্রমাণ করে।




কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...