এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

প্রেম   ও   বিরহের  কবি   :   ওমর  খৈয়াম 

 প্রেম   ও   বিরহের  কবি   :   ওমর  খৈয়াম 

  

বিশ্বখ্যাত কবি ও মহামনীষী ওমর খৈয়ামের অমোঘ পংক্তি --- ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে

প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে।

বই , সেতো অনন্ত যৌবনা।’


ওমর খৈয়াম। যার সম্পূর্ণ নাম গিয়াসউদিন আবুল‌ ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ছিলেন একজন পারস্যের প্রেম ও বিরহের কবি, গণিতবিদ, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ১০৪৮ খ্রীস্টাব্দের ১৮ মে ইরানের নিশাপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন তাঁবুর কারিগর ও মৃৎশিল্পী। ছোটবেলায় তিনি বালি শহরে সে সময়কার বিখ্যাত পণ্ডিত শেখ মুহাম্মদ মানসুরীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণ করেন।


ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছুটা সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালক শহরে। সেখানে তিনি বিখ্যাত মনীষী মোহাম্মদ মনসুরীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফ্ফেক নিশাপুরির শিক্ষা গ্রহণ করেন। জীবনের পুরো সময় জুড়ে ওমর তার সব কাজ করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তিনি দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় হলে মালিক-শাহ-এর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন করতেন।


ইসফাহান শহরে ওমরের দিনগুলি খুবই কার্যকর ছিল। কিন্তু আততায়ীর হাতে সুলতান মালিক শাহ-এর মৃত্যুর পর তার বিধবা পত্নী ওমরের ওপর রুষ্ট হলে ওমর হজ্ব করার জন্য মক্কা ও মদিনায় চলে যান।পরে তাকে নিশাপুরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। নিশাপুরে ওমর গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক তার বিখ্যাত কাজগুলো সম্পন্ন করেন। তিনি নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে পরিচিত ৷


ওমর খৈয়ামের কবিতা সমগ্র, যা ওমর খৈয়ামের রূবাইয়াত নামে পরিচিত, তার জন্য। তার কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তার গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। মার্কিন কবি জেমস রাসেল লোয়েল ওমর খৈয়ামের রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলোকে বলেন ‘চিন্তা-উদ্দীপক পারস্য উপসাগরের মনিমুক্তা।’

ওমর খৈয়াম ঠিক কতগুলো রুবাই লিখে গেছেন তার সঠিক হিসাব কারো জানা নেই। তার অমর গ্রন্থ ‘রুবাইয়াৎ-ই-খৈয়াম’-এ ৭২২ টি রুবাই পাওয়া যায়। তার এই রুবাই বা চতুষ্পদী কবিতাগুলো প্রথমবারের মত ইংরেজিতে অনূদিত হয় ১৮৫৯ সালে। এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ডের এই অনুবাদের সুবাদেই ওমর খৈয়াম বিশ্বব্যাপী কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই অনুবাদের মাধ্যমে ফিটজেরাল্ড নিজেও খ্যাতিমান হয়েছেন। তার এই অনুবাদ গ্রন্থ দশ বার মুদ্রিত হয়েছে এবং ওমর খৈয়াম সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার প্রবন্ধ ও বই লিখিত হয়েছে। বাংলায় প্রথম ‘রুবাইয়াৎ-ই-খৈয়াম’ অনুবাদ করেন বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


ফার্সি কাব্য-জগতে ওমর খৈয়াম এক বিশেষ চিন্তাধারা ও বিশ্বদৃষ্টির পথিকৃৎ। তিনি এমন সব চিন্তাবিদ ও নীরব কবিদের মনের কথা বলেছেন যারা সেসব বিষয়ে কথা বলতে চেয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তা চেপে গেছেন। কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার নামে বা তার কবিতার অনুবাদের নামে নিজেদের কথাই প্রচার করেছেন। আবার কেউ কেউ ওমর খৈয়ামের কবিতার মধ্যে নিজের অনুসন্ধিৎসু মনের জন্য সান্ত্বনাও খুঁজে পেয়েছেন।

এই বিশ্বখ্যাত কবি ও মহামনীষী জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে ১১৩১ সালে ৪ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ 💝💝💝💝🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻


(লেখা: তপু দেবনাথ)


কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...