মাধব মাধবীলতা নাকি মানুষ
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
রাস্তা ধরে হাঁটছি —
ঘন বৃষ্টি উপেক্ষা করছিনা।
ভেবেছি—বে-পথু কাকের মতো
আমিও ভিজবো—!
সন্ধ্যা মালতির মতো বীজবর্তী
অংকুর জাগিয়ে বন্ধুজনের মতো
পা ফেলি—চৌ-পথের ভিটেমাটি ছুঁয়ে!
স্থিতিজড়তা মূখর করে যাপনের
আতিথিয়েতায় গূঢ় —
রহস্য উপেক্ষা করে—মুগ্ধতার পরিধিব্যাপ্ত
হতে থাকলো—দু-চোখ!
সীমিত শব্দের অভিধানে
জমে উঠলো কাব্য—!
বিহ্বল বৃষ্টি নুপুর ছাপিয়ে সুনসান পথে
মনের রঙ মহল নাড়িয়ে গেলো কেউ!
আবছা ছায়া—
আবারও লুকোচুরি—
প্রবল বর্ষনের কথকতা
নির্ভেজাল ভাবে উঁকি দেয় —
আমি ধীরে পথ হাতড়ে চলি—
ঠিক—কম্পাসের কিনারায়—!
আজ শ্রাবণঘন দিনটি
বড্ড বিবস্ত্র —!
কিছুক্ষণ পর সে মিঠে রোদের মতো
আমার সামনে—!
তাকে কি নাম দেবো—?
মাধব মাধবীলতা নাকি মানুষ!?
আসলে লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে
আমি নারী —!
সে দুটো-ই—!
আজ তার দুষ্টমি নেই
নেই মানুষকে ত্যাক্ত বিরক্ত করার অভিপ্রায়!
সেও বৃষ্টি বিলাসি—!
বলি চলো—দুজন হাত ধরে ভিজি স্ত্রোত্রপাঠে।
সে মুচকি হেসে মাথা নাড়ে।
বেলাবেলির আঁধার পেরিয়ে যাই
সন্ধ্যা নামুক —
দেখেছো—বাতাসের সংলাপে
স্খলিত মনোবৃত্তির অন্যায্য স্তবগীতে ভরে যায়
পিপাসিত মন মাধুরি—!
আজ তুমি— আমার প্রার্থনার মুখ!
বয়সের খাকি অন্ধকার দূরে তাড়িয়ে দাও
যর্থাথ স্তব্দ ঢলে ভাসি—
বর্ষা সংক্রান্ত —অমর সংবিধানে!
ভোটারলিস্টে তোমার নাম নেই
আমার বুকের ভেতর তোমার নাম লিখবো।
কি নাম তোমার—?
আশ্চর্য চোখের পলক পড়েনা
ইশারায় বুঝিয়ে দেয় কিছু।
ও তুমি বলতে পারোনা—?
তাতে সমস্যা নেই—
জীবনের গিরিপাতে কে করেছে ওজর আপত্তি
বরং শুনতে বলতে না পারাটাই ভালো!
এঁড়েতর্ক থেকে তুমি মুক্ত।
বরং প্রাণের আলোয় প্রাণ ছড়িয়ে যাক
—"আজ ঝর ঝর মুখর বাদলও দিনে"—
যুক্তিচালিত জীবন পথে সে নিস্প্রভ!
তবে প্রাণের জোর আছে—!
মনে রোমাঞ্চ আছে—!
তাইতো—বাদলাদিনে
তাথৈ তাথৈ করে নেচে মাঠ ঘাট প্রান্তর
কাঁপিয়ে দেয়!
এই ভেজা বরষা তাকে উদ্দোমতা দিয়েছে
তাইতো— আজ সে ভোকাট্টা ঘুড়ি!
এই বৃষ্টি ক্ষণে মন ভেজাতে দোসর থাকার
দরকার লেগেছে না লাগবে —কোন পাগলে বলে!?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন