ছাগলের খামার ছোট থেকে বড় করার কৌশলঃ
1) খামারের সবচেয়ে ভালো ও স্বাস্থ্যবান ছাগল গুলোকে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য নির্বাচন করতে হবে। কারণ ভালো মানের বাচ্চা পাওয়ার জন্য ভালো জাতের ছাগল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বাচ্চা উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পালন করে ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।
2) খামারে ছাগলের বাচ্চা উৎপাদনের জন্য যে পাঁঠা দিয়ে ব্রিড করানো হবে সেই পাঁঠার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। এছাড়াও ঐ পাঁঠা দিয়ে আগে যেসব বাচ্চা উৎপাদন হয়েছে সেই বাচ্চাগুলো কেমন হয়েছে সেই বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
3) খামারের যেই ছাগি গুলোর মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করা হবে সেগুলোর বাচ্চা দেওয়ার হার থাকতে হবে দুইটি। ছাগি গুলোকে সময় মতো হিটে আসতে হবে ও বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধের যোগান দিতে সক্ষম হতে হবে। সবার আগে মনে রাখতে হবে ফার্মিং এর সফলতা নির্ভর করবে ভালো গুনাগুন সম্পন্ন মা ছাগলের উপর।
4) খামারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে কারন অবকাঠামো নির্মাণ এর ভুল হলে ছাগল ঠান্ডা কাশি, ম্যাসটাইটিস, কৃমি, সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আর ছাগল সুস্থ না থাকলে খামারের উৎপাদন কমে যাবে এবং খামারের খরচ বৃদ্ধি পাবে।
5) খামারে তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য খাদ্য উপকরণ দিয়ে ছাগল এর খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে যে খাদ্য তালিকা তৈরি করছেন তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।
6) ছাগলের চিকিৎসায় নিকটস্থ পশু হাসপাতাল এর উপর নির্ভর করতে হবে। ছাগলের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। আর প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো দ্রুত আয়ত্ব করতে হবে। প্রতিকার এর আগে অবশ্যই প্রতিরোধ করা সবচেয়ে ভালো।
7) খামারের ছাগলগুলোকে বিভিন্ন রোগের টিকা সময়মতো দিতে হবে। সময়মতো ছাগলের টিকা প্রদান করা না হলে ছাগল নানা জটিল রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
8) যদি সম্ভব হয় ছাগলের গলায় দড়ি না দিয়ে চারন ভুমির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ ছাগলকে পর্যাপ্ত চলাফেরা ও খেলাধুলার জায়গা করে দিতে পারলে ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ছাগল শারীরিকভাবে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান হবে।
শেষাংসে বলব সঠিক পরিকল্পনা আর সঠিক ব্যবস্থাপনাতেই আপনার খামারের দিন দিন উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন