এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

গানের দেবত,,,,,,,,,

 ॥ গানের দেবতা ॥


গ্রিক পুরাণে দেবতা অ্যাপোলোর পুত্র অর্ফিউসকে বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক। ভারতবর্ষে এমনই এক ‘সুরের দেবতা’ ছিলেন মহম্মদ রফি। তাঁর কণ্ঠে যখন সুর ঝরে পড়ত, তখন সাগর, পাহাড়, নদী এমনকি দেব-দানবও যেন থমকে যেত। তিনি ছিলেন ভারতের অর্ফিউস।


মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রখ্যাত শিল্পী কে. এল. সাইগলের সঙ্গে এক কনসার্টে গান গেয়ে সঙ্গীতজীবন শুরু করেন রফি। এরপর দীর্ঘ সঙ্গীতযাত্রায় ভারতীয় সিনেমার অসংখ্য নায়কের পর্দার নেপথ্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় গুরু দত্ত, রাজ কাপুর, শাম্মী কাপুর, দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, মনোজ কুমার, ধর্মেন্দ্র, ঋষি কাপুরের মতো নামজাদা অভিনেতারা রয়েছেন। লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের সুরে ১৯৮০ সালে ‘আস পাস’ ছবির “শ্যাম ফির কিউ উদাস হ্যায় দোস্ত” গানটি রেকর্ড করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন এই মহান শিল্পী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গানের সঙ্গেই ছিলেন রফি।


রফির কণ্ঠসুধা একদিকে যেমন নায়কদের খ্যাতির শিখরে তুলেছে, তেমনই সে যুগের কমেডিয়ানদেরও আলোকিত করেছে। জনি ওয়াকারের সঙ্গে রফির কাজ তার বড় উদাহরণ। জনি ওয়াকারের অধিকাংশ ছবিতেই প্লেব্যাক করেছেন রফি। জনির সংলাপের ভঙ্গি এবং চরিত্রের মেজাজ বুঝে কীভাবে গান গাইতে হবে, তা প্রায়শই রফি নিজেই ভাবিয়ে তুলতেন। জনির ‘সি আই ডি’-র “অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল জিনা ইঁহা”, ‘আর পার’-এর “আরে না না না না তৌবা তৌবা”, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস’-এর “জানে কাঁহা জিগার গায়া জি”, ‘প্যায়াসা’-র “তেল মালিশ”, ‘মধুমতী’-র “জঙ্গল মে মোর নাচা কিসি নে না দেখা”—এই গানগুলি সেই সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এমনকি এখনো এগুলি রিমিক্স হয়ে নতুন প্রজন্মের কাছেও সমাদৃত।


তাঁর সুরেলা কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে কালজয়ী গান। “চৌদভী কা চান্দ হো”, “চাহুঙ্গা মে তুঝে”, “বাহারো ফুল বরসাও”, “ইয়ে রেশমি জুলফে”, “জো ওয়াদা কিয়া উয়ো নিভানা পাড়েগা”—এসব গানের আবেদন আজও অক্ষুণ্ণ।


ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সাদাসিধে ছিলেন রফি। পারিশ্রমিক না নিয়েও বহু জায়গায় গান গেয়েছেন। চ্যারিটি শোতে অংশ নিয়েছেন, আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন দুঃস্থ শিল্পীদের। স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোয় আনন্দ পেতেন তিনি। স্টুডিও এবং বাড়িই ছিল তাঁর জীবনযাপনের কেন্দ্র। বলিউডের বিলাসী পার্টিগুলিতে তাঁকে খুব কমই দেখা যেত। ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন এবং ঘুড়ি ওড়ানো ছিল তাঁর অন্যতম বিনোদন।


মহম্মদ রফি ছ’বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেয়েছেন। মান্না দে, কিশোর কুমার, মুকেশ, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে সহ প্রায় সমস্ত সমসাময়িক শিল্পীর সঙ্গেই কাজ করেছেন রফি। শাস্ত্রীয়, পপ, লোকগান, রোম্যান্টিক কিংবা কমেডি—সব জঁরেই তাঁর দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত।


এই বহুমুখী প্রতিভা তাঁকে নিঃসন্দেহে ভারতের সঙ্গীতজগতের ‘অর্ফিউস’-এর মর্যাদা দিয়েছে। তাঁর কণ্ঠে জন্ম নেওয়া গান শুধুই সঙ্গীতের এক একক অধ্যায় নয়, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসেরও এক অমর সম্পদ।


Image Restoration, Colorization & © কিছু কথা ॥ কিছু সুর

#mohammedrafi #mdrafi #kishorekumar #kishorekumarphoto #BappiLahiri #kichukothakichusur

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...