এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

ধানের চারা রোপনের পরবর্তীতে করনীয়

 ✅ ধানের চারা রোপনের পরবর্তীতে করনীয়:

 

ধানের চারা রোপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে কোন চারা মারা গেলে পুনরায় সেখানে নতুন চারা রোপন করে দিতে হবে এবং প্রথম কিস্তির ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে। 


👉 চারা রোপনের ১০-১৫ দিন জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে।

👉 চারা রোপনের পর গুঁড়ি পচা/গোড়া পঁচা রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।


 🔰 গোড়া পঁচা রোগে করণীয়:


👉 এ রোগ দেখা দিলে ধানের জমির সম্পূর্ণপানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।

👉 আক্রান্ত গাছ তুলে নতুন করে চারা রোপন করতে হবে। 

এমতাবস্থায়,


🔻চাম্পিয়ন ৭৭ ডাব্লিউ পি  (পেট্রোকম)। 

🔻জিবাল ৭৭ ডাব্লিউ পি  (ইনতেফা)।, এর যে কোন একটি


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে)


অথবা


🔻নেকসুমিন ৫৪ ডাব্লিউ পি (ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার) 

🔻সানপুমা ৫৪ ডাব্লিউ পি  (ম্যাকডোনাল্ড),এগুলোর যে কোন একটি বালাইনাশক - 


🟢 ( প্রতি লিটার পানি ২ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে) 


অথবা, 


🔻ডিফেন্স ৩৫ এসসি (হেকেম)

🔻ধানসিঁড়ি ৩৫ (এসসি সী ট্রেড)


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।)


অথবা,


রাদি/বিসমাজল/অটোব্যাক / ব্যাকট্রোবান /ব্যাকট্রল ২০ ডাব্লিউ পি এর  যে কোন একটি বালাইনাশক-


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।) 


👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৭-১০ দিনের মধ্যে প্রতি চার গোছার মাঝখানে ২.৭ গ্রামের গুটি ইউরিয়া ৭-১০ সেন্টিমিটার গভীরে কাদায় পুঁতে দিতে হবে। 


👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের পরে জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। যাতে মাটি ফেটে না যায়। গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ কৃত জমিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে প্রবেশ উচিত নয়।


👉 ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে বিঘায় প্রয়োগ করতে হবে। 


(জমির ধরন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে) 


🔸প্রথম কিস্তিঃ 


👉 চারা রোপনের ১০-১২ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।


🔸দ্বিতীয় কিস্তিঃ 


👉 চারা রোপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।


🔸তৃতীয় কিস্তিঃ


👉 কাইচ থোড়ের ৫-৭ দিন আগে ৮-১০ কেজি।


🔴 চারা রোপনের পরে ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ না করাই ভালো।


 ( এক্ষেত্রে চারা রোপনের আগে শেষ চাষে কাদায় ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ করতে হবে) 


👉 ইউরিয়া সার প্রয়োগ করার সময় জমিতে ২-৩ সেন্টিমিটার পানি থাকা ভালো।


(সার প্রয়োগের সাথে সাথে হাত দিয়ে নিড়ানি দিলে সার যেমন মাটির সাথে মিশে যায় তেমনি আগাছা না থাকায় ধান গাছ বেশি পুষ্টি পায়।)


👉 চারা রোপনের ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। 


👉 আগাছানাশক প্রয়োগের সময় ২-৩ সেন্টিমিটার পানি ৫-৭ দিন ধরে রাখতে হবে। 


👉 চারা রোপনের পরে জমিতে আগাছা দমন করার জন্য প্রেটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক ধানের চারা রোপণের ৩-৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।


🔷 এসিটাক্লোর+বেনসালফিউরানমিথাইল গ্রুপ।


🔹নিমূর্ল ১৮ ডব্লিউপি (ইয়ন)

🔹বেনসানিল ১৮ ডব্লিউপি (স্কয়ার)

🔹শাবিল ১৮ডব্লিউপি (ইনতেফা)

🔹চেনজার ১৮ ডব্লিউপি (ন্যাশনাল)

🔹সুপারমিক্স ১৮ডব্লিউপি (এসিআই)

🔹ওয়াইপার ১৮ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)

🔹ফ্লোরেক্স ১৮ডব্লিউ পি (মিমপেক্স) 

🔹নিকাশ ১৮ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)

🔹হারিকেন ৩০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)

🔹গেইল ১৮ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো.)

🔹সানচান্স ১৮ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)

🔹ওয়াশ আউট ১৮ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)

🔹ক্লিন মাস্টার ১৮ ডব্লিউ পি (হেকেম)


✅এগুলোর যে কোন একটি প্রতি বিঘায় (৩৩ শতকে) ১০০ গ্রাম হারে ৫ কেজি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।


অথবা, 


🔷 প্রিটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,


🔹মিমফিট ৫০০ইসি (মিমপেক্স)

🔹কমিট ৫০০ইসি (অটো ক্রপ কেয়ার)

🔹রিফিট প্লাস ৩৭ডব্লিউ ই (সিনজেনটা)

🔹রিফিট ৫০০ইসি (সিনজেনটা)

🔹সুপারহিট ৫০০ইসি (এসিআই)

🔹সিলাহ ৫০০ইসি (ইনতেফা)

🔹প্রিক্লোর ৫০০ইসি (স্কয়ার)

🔹কেমক্লোর ৫০০ইসি(হেকেম)

🔹টপ ৫০০ইসি (সেমকো) 


✅ এগুলোর যে কোন একটি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি:লি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।বা,


বিঘায় (৩৩ শতকে) ১৩২ মিলি হারে চারা রোপনের ৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। 


অথবা, 


ধানের চারা রোপণের ৭-১০দিনের মধ্যে 🔷পাইরাজুসালফুরান ইথাইল গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,


🔹লেজার ১০ ডব্লিউপি (সিনজেনটা)

🔹জেনেসান ১০ ডাব্লিউ পি (জেনেটিকা)

🔹পাইরাগোল্ড ১০ ডব্লিউপি (মিমপেক্স)

🔹ম্যানেজ ১০ ডব্লিউপি (পদ্মা)

🔹সুপার পাওয়ার ১০ ডব্লিউপি (এসিআই)

🔹সী কর্ড ১০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)

🔹লুবাদা ১০ ডব্লিউপি (ইনতেফা)

🔹পাইরাস ১০ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)

🔹পরিস্কার ১০ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)

🔹ফাস্ট ক্লিন ১০ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)

🔹নিড়ানী ১০ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)

🔹কামলা ১০ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো)

🔹হার্বিকিল ১০ ডব্লিউ পি(হেকেম)


✅ এর যে কোন একটি আগাছানাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। 


👉 কাইচ থোড় আসা শুরু করলে জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে। আবার দানা শক্ত হওয়া শুরু করলে জমি থেকে পানি বের করে ফেলতে হবে।

👉 কাইচ থোড় অবস্থায় বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৫-৭ কেজি পটাশ সার গাছ শুকনো অবস্থায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন বৃদ্ধি পায়।

👉থোড় অবস্থায় পরিপুষ্ট দানা ও ফলন বৃদ্ধির জন্য সলুবর বোরন লিটারে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।


👉 পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিনে সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক এবং ধানের ফুল আসার আগে স্ট্রবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক ও সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।


🔴 বোরো ধানের রোগবালাই:


ব্লাষ্ট রোগ, ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট,  ব্যাকটেরিয়াল পেনিকেল ব্লাইট, মাজরা পোকা বোরো ধানের প্রধান বালাই। 


রোগবালাই মোকাবেলায় প্রতিদিন জমি নিজেই পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট  উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

                              ( তথ্য সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...