✅ ধানের চারা রোপনের পরবর্তীতে করনীয়:
ধানের চারা রোপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে কোন চারা মারা গেলে পুনরায় সেখানে নতুন চারা রোপন করে দিতে হবে এবং প্রথম কিস্তির ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
👉 চারা রোপনের ১০-১৫ দিন জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে।
👉 চারা রোপনের পর গুঁড়ি পচা/গোড়া পঁচা রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।
🔰 গোড়া পঁচা রোগে করণীয়:
👉 এ রোগ দেখা দিলে ধানের জমির সম্পূর্ণপানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।
👉 আক্রান্ত গাছ তুলে নতুন করে চারা রোপন করতে হবে।
এমতাবস্থায়,
🔻চাম্পিয়ন ৭৭ ডাব্লিউ পি (পেট্রোকম)।
🔻জিবাল ৭৭ ডাব্লিউ পি (ইনতেফা)।, এর যে কোন একটি
🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে)
অথবা
🔻নেকসুমিন ৫৪ ডাব্লিউ পি (ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার)
🔻সানপুমা ৫৪ ডাব্লিউ পি (ম্যাকডোনাল্ড),এগুলোর যে কোন একটি বালাইনাশক -
🟢 ( প্রতি লিটার পানি ২ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে)
অথবা,
🔻ডিফেন্স ৩৫ এসসি (হেকেম)
🔻ধানসিঁড়ি ৩৫ (এসসি সী ট্রেড)
🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।)
অথবা,
রাদি/বিসমাজল/অটোব্যাক / ব্যাকট্রোবান /ব্যাকট্রল ২০ ডাব্লিউ পি এর যে কোন একটি বালাইনাশক-
🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।)
👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৭-১০ দিনের মধ্যে প্রতি চার গোছার মাঝখানে ২.৭ গ্রামের গুটি ইউরিয়া ৭-১০ সেন্টিমিটার গভীরে কাদায় পুঁতে দিতে হবে।
👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের পরে জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। যাতে মাটি ফেটে না যায়। গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ কৃত জমিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে প্রবেশ উচিত নয়।
👉 ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে বিঘায় প্রয়োগ করতে হবে।
(জমির ধরন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে)
🔸প্রথম কিস্তিঃ
👉 চারা রোপনের ১০-১২ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।
🔸দ্বিতীয় কিস্তিঃ
👉 চারা রোপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।
🔸তৃতীয় কিস্তিঃ
👉 কাইচ থোড়ের ৫-৭ দিন আগে ৮-১০ কেজি।
🔴 চারা রোপনের পরে ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ না করাই ভালো।
( এক্ষেত্রে চারা রোপনের আগে শেষ চাষে কাদায় ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ করতে হবে)
👉 ইউরিয়া সার প্রয়োগ করার সময় জমিতে ২-৩ সেন্টিমিটার পানি থাকা ভালো।
(সার প্রয়োগের সাথে সাথে হাত দিয়ে নিড়ানি দিলে সার যেমন মাটির সাথে মিশে যায় তেমনি আগাছা না থাকায় ধান গাছ বেশি পুষ্টি পায়।)
👉 চারা রোপনের ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
👉 আগাছানাশক প্রয়োগের সময় ২-৩ সেন্টিমিটার পানি ৫-৭ দিন ধরে রাখতে হবে।
👉 চারা রোপনের পরে জমিতে আগাছা দমন করার জন্য প্রেটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক ধানের চারা রোপণের ৩-৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।
🔷 এসিটাক্লোর+বেনসালফিউরানমিথাইল গ্রুপ।
🔹নিমূর্ল ১৮ ডব্লিউপি (ইয়ন)
🔹বেনসানিল ১৮ ডব্লিউপি (স্কয়ার)
🔹শাবিল ১৮ডব্লিউপি (ইনতেফা)
🔹চেনজার ১৮ ডব্লিউপি (ন্যাশনাল)
🔹সুপারমিক্স ১৮ডব্লিউপি (এসিআই)
🔹ওয়াইপার ১৮ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)
🔹ফ্লোরেক্স ১৮ডব্লিউ পি (মিমপেক্স)
🔹নিকাশ ১৮ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)
🔹হারিকেন ৩০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)
🔹গেইল ১৮ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো.)
🔹সানচান্স ১৮ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)
🔹ওয়াশ আউট ১৮ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)
🔹ক্লিন মাস্টার ১৮ ডব্লিউ পি (হেকেম)
✅এগুলোর যে কোন একটি প্রতি বিঘায় (৩৩ শতকে) ১০০ গ্রাম হারে ৫ কেজি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।
অথবা,
🔷 প্রিটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,
🔹মিমফিট ৫০০ইসি (মিমপেক্স)
🔹কমিট ৫০০ইসি (অটো ক্রপ কেয়ার)
🔹রিফিট প্লাস ৩৭ডব্লিউ ই (সিনজেনটা)
🔹রিফিট ৫০০ইসি (সিনজেনটা)
🔹সুপারহিট ৫০০ইসি (এসিআই)
🔹সিলাহ ৫০০ইসি (ইনতেফা)
🔹প্রিক্লোর ৫০০ইসি (স্কয়ার)
🔹কেমক্লোর ৫০০ইসি(হেকেম)
🔹টপ ৫০০ইসি (সেমকো)
✅ এগুলোর যে কোন একটি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি:লি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।বা,
বিঘায় (৩৩ শতকে) ১৩২ মিলি হারে চারা রোপনের ৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।
অথবা,
ধানের চারা রোপণের ৭-১০দিনের মধ্যে 🔷পাইরাজুসালফুরান ইথাইল গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,
🔹লেজার ১০ ডব্লিউপি (সিনজেনটা)
🔹জেনেসান ১০ ডাব্লিউ পি (জেনেটিকা)
🔹পাইরাগোল্ড ১০ ডব্লিউপি (মিমপেক্স)
🔹ম্যানেজ ১০ ডব্লিউপি (পদ্মা)
🔹সুপার পাওয়ার ১০ ডব্লিউপি (এসিআই)
🔹সী কর্ড ১০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)
🔹লুবাদা ১০ ডব্লিউপি (ইনতেফা)
🔹পাইরাস ১০ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)
🔹পরিস্কার ১০ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)
🔹ফাস্ট ক্লিন ১০ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)
🔹নিড়ানী ১০ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)
🔹কামলা ১০ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো)
🔹হার্বিকিল ১০ ডব্লিউ পি(হেকেম)
✅ এর যে কোন একটি আগাছানাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
👉 কাইচ থোড় আসা শুরু করলে জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে। আবার দানা শক্ত হওয়া শুরু করলে জমি থেকে পানি বের করে ফেলতে হবে।
👉 কাইচ থোড় অবস্থায় বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৫-৭ কেজি পটাশ সার গাছ শুকনো অবস্থায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন বৃদ্ধি পায়।
👉থোড় অবস্থায় পরিপুষ্ট দানা ও ফলন বৃদ্ধির জন্য সলুবর বোরন লিটারে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।
👉 পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিনে সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক এবং ধানের ফুল আসার আগে স্ট্রবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক ও সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
🔴 বোরো ধানের রোগবালাই:
ব্লাষ্ট রোগ, ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট, ব্যাকটেরিয়াল পেনিকেল ব্লাইট, মাজরা পোকা বোরো ধানের প্রধান বালাই।
রোগবালাই মোকাবেলায় প্রতিদিন জমি নিজেই পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
( তথ্য সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন