সাধারন ইট ও সিরামিক ইটঃ
=====================
ভালো মানের ইটের উপর বিল্ডিংয়ের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। খারাপ ইট হলে নোনা পড়তে পারে, সিমেন্ট খরচ বেশি হবে, তাছাড়া গাঁথুনিও দূর্বল হয়ে যাবে।
কনস্ট্রাকশনে দু ধরনের ইট ব্যবহার হয়।
১. সাধারণ ভাটায় তৈরি ইট বা বাংলা ইট।
২. মেশিনে তৈরি ইট বা সিরামিক ইট।
#সাধারন ইট :
==========
♦প্রথম শ্রেণির ইট এর বৈশিষ্ট্য:
- ভালোভাবে পোড়ানো হয়;
- ইটের রঙ ও মাপ একই থাকে।
ব্যবহার: গাঁথুনির কাজে ব্যবহার করা হয়।
♦দ্বিতীয় শ্রেণির ইট এর বৈশিষ্ট্য:
- অপেক্ষাকৃত কম পোড়া, সাইজে ছোট-বড় হয়।
ব্যবহার: অস্থায়ী দেয়ালে অথবা বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।
♦ঝামা ইট বা পিকেট ইট এর বৈশিষ্ট্য:
- বেশি পুড়ে আকার-আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়।
ব্যবহার:
- খোয়া তৈরিতে ব্যবহার করা হয়;
- ঝামা ইটের মাঝে অনেক সময় কালো ইট চলে আসে, এগুলো ঢালাইতে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ইট ব্যবহারের সতর্কীকরণ নির্দেশিকা
============================
দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণ কাজে সব সময় প্রথম শ্রেণীর ইট ব্যবহার করা উচিৎ। পাকা কাজে অথবা বাড়ির প্রাচীর নির্মাণ কাজে বা অস্থায়ী শেড তৈরির কাজে ২য় ও ৩য় শ্রেণীর ইট ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফিল্ড বা সাইটে ইট পরীক্ষা
=====================
নিচের পরীক্ষাগুলোর সাহায্যে নির্মাণ স্থলে ভাল ইট শনাক্ত করা যেতে পারে। যেমন-
♦প্রথমে একটি ইট নিয়ে এর পিঠে বা তলাতে নখ দিয়ে আচড় দিয়ে হবে, যদি আচড় পড়ে তবে তা খারাপ ইট বলে বিবেচিত হবে, আর না পড়লে ভাল ইট।
♦একটি ইট নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে হবে যদি ধাতব শব্দের সৃষ্টি হয় তবে ভাল ইট।
♦দুটো ইট হাতে নিয়ে T এর মত একটি অপরটির উপর ধরে ১ মিটার উপর থেকে সমান মাটিতে ফেলতে হবে, ভাল ইট হলে উপরের ইটটি ভাঙ্গবে ন্
বাংলাদেশে পি.ডব্লিউ.ডি সিডিউল অনুযায়ী ইটের সাইজ সাধারণত ৯ ১/২ ইঞ্চি X ৪ ১/২ ইঞ্চি X ২ ৩/৪ ইঞ্চি বা (২৩৮ মিমি X ৭০ মিমি) মাপের বাংলা ইট ব্যবহৃত হয়। আরও অনেক আকৃতির ইট আছে তবে এই আকৃতির ইট সবচেয়ে সুবিধা জনক মর্টারসহ উক্ত সাইজ হয় ১০ ইঞ্চি X ৫ ইঞ্চি X ৩ ইঞ্চি (২৫০ মিমি X ১২৫ মিমি X ৭৫ মিমি)।
♦ সিরামিক ইটঃ
=============
এটি অতি উন্নতমানের প্রথম শ্রেণীর ইটের অন্তর্ভূক্ত। এই প্রকার ইট মেশিনে তৈরি করা হয় বলে আকার ও আকৃতি সঠিক ভাবে বজায় রাখা সম্ভব হয়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গ্যাস অথবা বিদ্যুতের সাহায্যে পোড়ানোর ফলে এর রঙের সাম্যতা সর্বত্র বজায় থাকে। ফেয়ার ফেস ব্রিক ওয়ার্কে অর্থাৎ আস্তর করা হবে না এমন দেয়াল নির্মানে এই ইট ব্যবহার করা হয়। সিরামিক ইটে ৫৫% বালি, ৩০% অ্যালুমিনিয়াম, আয়রণ অক্সাইড, ৫% ম্যাগনেসিয়া ও ১% জৈব পদার্থ থাকতে পারে।
ব্রিক ওয়ার্ক করা সাধারণত সিরামিক ইট দিয়ে এবং এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ রাজমিস্ত্রি দিয়ে কাজ করাতে হয়, (বিশেষ করে সিরামিক দিয়ে যারা আগে কাজ করেছে) না হলে ফেয়ার ফেসের সৌন্দর্য নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকে।
♦সিরামিক ইট এর বৈশিষ্ট্য:
- মেশিনে তৈরি;
- সাইজ ঠিক থাকে;
- দেখতে সুন্দর এবং গুণগত মানে উন্নত।
ব্যবহার:
- গাঁথুনিতে ব্যবহার করা যায়;
- এক্সপোজড ব্রিক ওয়ালে সিরামিক ইট ব্যবহার করা হয়;
- সিরামিক ইটে ৩, ১০ বা ১৩ টি ছিদ্র থাকে, এর ভিতর রড দিলে দেয়াল মজবুত হয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন