এক আতর ব্যবসায়ী নিজের মেয়ে বিয়ে দিবেন। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিলেন।
বিয়ে শেষে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গেল। যাবার কিছুদিন পর সে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করলো এবং জানালো তার নতুন বাড়িতে প্রচুর গন্ধ। যেহেতু সে ছোটবেলা থেকে আতরের মাঝেই বড় হয়েছে তাই সে আতরের সুঘ্রাণেই অভ্যস্ত। তার বাবা তাকে উপদেশ দিলেন ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করে যেতে এবং তার নতুন সংসারেও আতরের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিতে।
সে চেষ্টা করতে থাকে এবং আতর ঢালতেই থাকে।কিন্তু সমস্যা হয় তার নতুন পরিবারের লোকদের আতর ভালো লাগেনা। আতরের ঘ্রাণ তাদের কাছে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মত লাগে। এ নিয়ে দিনের পর দিন চলতে থাকে কলহ। কারন মেয়ে তাদের কোনমতেই বুঝিয়ে উঠতে পারেনা যে তাদের ঘরের কোনে দিনের পর দিন যে ময়লা জমেছে তা পরিস্কার করা দরকার এবং আতর ঢালা দরকার। সে যতই বুঝায় তাদের কাছে ততই এটা বিরক্তিকর লাগে এবং তারা এর বিপরীতে নানা যুক্তিতর্ক দাড় করায়। কোন এক অদৃশ্য পর্দা যেন তাদের অন্তর বিবেক মস্তিষ্কে ঠিক ঘরের কোনের ময়লার মতই পড়ে ছিল।
অনেকদিন পর মেয়ের বাবা মেয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। এসে দেখে অবাক কান্ড। সে আশা করেছিল তার মেয়ে নিজের ঘ্রাণে তার নতুন ঘর ভরে ফেলবে কিন্তু সে ভাবেনি যে তার মেয়ে নিজেই এই দুর্গন্ধে ভরে যাবে।
সে তার মেয়েকে যখন এই গন্ধের কথা জিজ্ঞাসা করে, তার মেয়ে প্রতিউত্তরে জানায় যে তার নাকে এখন আর কোন গন্ধ লাগেনা। সে ময়লার এই বিশাল স্তুপে আতর ঢালতে ঢালতে তার নিজের আতরের বোতল ই ফুরিয়ে গিয়েছে এবং ধৈর্য্য ধরতে ধরতে এতটাই সময় সে পাড় করে ফেলেছে যে এই গন্ধও তার এখন সহ্য হয়ে গিয়েছে।
এতক্ষণে মেয়ের বাবা বুঝতে পারলেন যে, সব জায়গায় আসলে আতর ঢালতেই নেই। এবং গন্ধযুক্ত জায়গায় ধৈর্য্য ও ধরতে নেই।
কারন এক পিপা আতর ঢেলে দিলেও নর্দমার গন্ধ দূর হয়না এবং ময়লায় ওপর আতর না ঢেলে, ধৈর্য্য না ধরে সেটা যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে পরিস্কার করে ফেলতে হয়।
তাহলে হয়তোবা বেচে যাওয়া আতরটুকু দিয়ে আপনি নিজেকে ছাড়িয়ে যেয়ে আশেপাশের মানুষকেও সুঘ্রাণ ছড়াতে পারবেন.........।।।।।।
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন