ধানের আগাছা নাশক: নাম ও গ্রুপ
ধান চাষে আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগাছা ধান গাছের সাথে পুষ্টি ও জলের জন্য প্রতিযোগিতা করে, ফলে ফলন কমে যায়। এই সমস্যা মোকাবেলায় কৃষকরা আগাছানাশক ব্যবহার করেন।
আগাছানাশক কী?
আগাছানাশক হল এমন এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা নির্দিষ্ট কিছু উদ্ভিদকে (আগাছা) মেরে ফেলে, কিন্তু ফসলকে ক্ষতি করে না।
ধানের আগাছা নাশকের ধরন:
ধানের আগাছা নাশককে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
প্রি-ইমারজেন্ট আগাছানাশক: ধানের বীজ বপনের আগে বা পরে জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এটি জমিতে অঙ্কুরিত হওয়া আগাছাকে নষ্ট করে।
পোস্ট-ইমারজেন্ট আগাছানাশক: ধানের চারা উঠার পরে আগাছা দেখা দিলে প্রয়োগ করা হয়। এটি বড় হয়ে ওঠা আগাছাকে নষ্ট করে।
ধানের আগাছা নাশকের কিছু সাধারণ নাম ও গ্রুপ:
প্রিটাইলাক্লোর
বুটাক্লোর
মেট্রিবুজিন
ইমাজাপিক
আগাছা নাশক ব্যবহারের সময় সতর্কতা:
সঠিক মাত্রা: আগাছানাশকের নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে ধান গাছও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সঠিক সময়: আগাছানাশক প্রয়োগের সঠিক সময় মেনে চলতে হবে।
সুরক্ষা সরঞ্জাম: আগাছানাশক প্রয়োগের সময় হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক এবং চোখে চশমা পরতে হবে।
পরিবেশ সুরক্ষা: আগাছানাশক ব্যবহারের পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। আগাছানাশকের প্যাকেট সঠিকভাবে ফেলে দিতে হবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
আগাছানাশক ব্যবহার করার আগে স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনার জমির ধরন, আগাছার প্রকারভেদ এবং অন্যান্য কারণ বিবেচনা করে সঠিক আগাছানাশক এবং তার মাত্রা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।
আগাছা দমনের অন্যান্য উপায়:
জৈব পদ্ধতি: কম্পোস্ট, গোবর ইত্যাদি জৈব সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়ানো।
যান্ত্রিক পদ্ধতি: হাতে নিড়ানি, কুলতি ইত্যাদি যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আগাছা দমন করা।
ফসলচক্র: বিভিন্ন ধরনের ফসল পরপর চাষ করে আগাছার বৃদ্ধি রোধ করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন