বীজতলার ঠান্ডা জনিত সমস্যা(Cold injury)
#লক্ষণঃ
চারা সাদা হয়ে যায়, বৃদ্ধি থেমে যায়।
#কারণঃ
বাতাসের তাপমাত্রা ১৪° সেলসিয়াসের নিচে
এবং মাটির তাপমাত্রা ১০° এর নিচে নেমে গেলে
ধানের চারার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়
সঠিকভাবে ক্লোরোফিল উৎপাদন হয় না যার
ফলে ধানের চারার পাতা সাদা হয়ে যায়।
#ব্যবস্থাপনাঃ
১। সকাল বেলা কাটি/রশ্মি টেনে চারার পাতায়
লেগে থাকা শিশির ভেঙ্গে দিবেন।
২। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজতলা
স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
৩। শৈত্য প্রবাহের সময় বীজতলায় ৩-৫
সেন্টিমিটার পানি রাখুন এবং সন্ধ্যায়
বীজতলায় পানি ঢুকিয়ে সকালে তা বের
করে দিবেন। পুকুর বা খাল বা ডোবার পানি
দেওয়া যাবে না এক্ষেত্রে গভীর নলকূপের
পানি দিতে হবে
৪। প্রতি শতক বীজতলার জন্য ২ লিটার পানিতে
কুইক পটাশ ৫ গ্রাম+গেইভেট/সালফক্স ৫ গ্রাম
ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
#সাবধানতাঃ
১। ছায়াযুক্ত স্থানে বীজতলা তৈরি করবেন না ।
৩। শৈত্যপ্রবাহের সময় বীজ বপন করবেন না ।
৪। অতিরিক্ত শুকনো স্থানে বীজতলা করবেন না
#করনীয়ঃ
১। সম্ভব হলে শুকনো বীজতলা তৈরি করুন
শুকনা বীজতলায় অঙ্কুরিত বীজ বপন
করে তার উপর অল্প পরিমানে ঝুড়ঝুড়ে মাটি
ছিটিয়ে দিয়ে পুরো বীজতলা সাদা পলিথিন
দিয়ে ঢেকে রাখুন ।
২। আদর্শ বীজতলা(৩×১মিটার) তৈরি করুন ।
বীজতলার বেড নালা থেকে কমপক্ষে ১৫
সেন্টিমিটার উঁচু রাখুন এবং দুই বেডের
মাঝখানে ৫০ সেন্টিমিটার ফাঁকা রাখুন।
৩। সারাদিন রৌদ্রের আলো পরে এমন স্থানে
বীজতলা তৈরি করুন।
৪। ভেজা বীজতলায় বীজ বপনের পর
ধানের নাড়া পোড়ানো ছাই ছিটিয়ে দিন।
এছাড়াও বীজতলার চারায় সিডলিং ব্লাইট এবং বাকানী/গোড়া পঁচা রোগসহ অন্যান্য ছত্রাকজনীত রোগ থেকে রেহাই পেতে পাইরোক্লোস্ট্রোবিন/এজোক্সিট্রবিন/ কার্বেনডাজিম+ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে 2 গ্রাম হারে স্প্রে করুন।
লেখাঃ সোহেল রানা
উপসহকারী কৃষি অফিসার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন