এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে । ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে ।


লক্ষ্য করলে দেখবেন, বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি রোম্যান্টিক। ঘন ঘন প্রেমে পড়ে। ঘন ঘন ছ্যাঁকা খায়। ছ্যাঁকা খেলেই বাঙালি ছেলেরা রবীন্দ্রনাথ আর বাঙালি মেয়েরা তসলিমা নাসরিন হয়ে যায় । 


ছেলেদের কলমে তখন কান্না, আর মেয়েরা হয়ে ওঠে মারাত্মক পুরুষবিদ্বেষী। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে । কিন্তু ওই যে বলে – exception is not the example !


বাঙালিরা আসলে ভীতু জাতি । বাঙালিরা ভীষণ ইমেজের পরোয়া করে। যেমন, সিগারেট খাওয়া ছবি পোস্ট করবো বাড়ির বড়োরা কি ভাববে – এদিকে দেখা যাচ্ছে বড়োদের থোড়াই কেয়ার করে !


প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরবো কে কি ভাববে – যেন মনে হয় দু'জনে খোলা রাস্তায় সেক্স করছে। একজন বিয়ে করা মেয়ে বা বিয়ে করা ছেলের প্রেমে পড়বো – লোকজন ছিঃ ছিঃ করবে। আর কিছু হলেই খালি বলবে– আমাদের সংস্কৃতিতে এসব নেই !


কার মেয়ে কার সাথে প্রেম করে (মেয়েটা উচ্ছন্নে গেছে), কার ছেলে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায় (বড়দের সামনে কিন্তু খাচ্ছে না আর সিগারেট একটি নিষিদ্ধ উপাদান নয়), কার বউ সারাদিন স্মার্ট ফোনে ব্যস্ত (ধরেই নেওয়া হলো কারো সাথে লটঘট চলছে), কে আজ একটু খোলামেলা পোশাকে বাইরে বেরোলো (মেয়েটা এক নম্বরের *****), বিবাহিত পুরুষ বা বিবাহিতা নারীর সাথে প্রেম (সংসার ভাঙছে) -ইত্যাদি বিষয়ে সবসময় কান খাড়া । 


‘আমাদের সময় এরকম ছিল না’ বলা লোকটিও দেখা যায় রাস্তায় হাঁটার সময় ছোট পোশাক পরা মেয়ে দেখে দিশা হারিয়ে ফেলে। 


রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর প্রেমকে জোর করে অস্বীকার করে দেওর-বৌদির স্নেহ প্রমাণ করবে, আর নিজেদের হাজার হাজার ইচ্ছেকে দমন করে রাখবে শুধু কেচ্ছা হবে এই ভয়ে।


খুব কম পুরুষ কোনও লাস্যময়ী মেয়েকে দেখলে নির্লিপ্ত থাকে, খুব কম পুরুষ ভিড়ে কোনও মেয়ের খোলা পিঠে, খোলা হাতে, খোলা কাঁধে বা কায়দা করে খোলা ঊরুতে চোখ না দিয়ে পারে না, খুব কম পুরুষ বিয়ের এক দশক পরেও স্ত্রী'র প্রতি একটা বন্য উন্মাদনা অনুভব করে – কিন্তু কেউ মুখে স্বীকার করবে না। তাহলে এমন জিনিস করা কেন যা স্বীকার করা যায় না ? এহেন নারীর সংখ্যাও কম নয় ।


“তোমায় খুব ভাল লাগে” বলে কায়দা করে তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা না করে কিংবা “তোমায় ভালোবাসি” এরকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিছানায় শোয়ার ভান না করে সরাসরি বলতে শিখুন “আমার তোমার সাথে শুতে ইচ্ছে করছে”। সেটা অপরাধ নয়, পাপ নয়, অন্যায় নয়। 


শরীরের ইচ্ছে শরীরের চাহিদা শরীরের খিদেকে অস্বীকার না করে বরং সেটা মেনে নিন – বিকৃতি আসবে না।


আসলে আমরা জানিই না আমাদের সংস্কৃতি কাকে বলে। ভারতীয়দের এই সমস্যা আছে, বাঙালিদের আরও বেশি। পাশের বাড়িতে কি হচ্ছে আড়ি পেতে শোনা অথবা পর্দার আড়াল দিয়ে দেখা আমাদের অভ্যেস। আবার নিজের কিছু হলে আপ্রাণ ঢেকে রাখতে আমরা মরিয়া। কারণ লোকের কাছে মানহানী হওয়ার ভয়। 


আমরা কেমন যেন ভীতু, double standard ! যদি স্বীকার করতেই না পারলাম তাহলে কীসের সততা ? ধূমপান করা, মদ খাওয়া, রেড লাইট এরিয়াতে যাওয়া, সুন্দরী লাস্যময়ী কারো প্রেমে পড়া কিংবা সুপুরুষ কারো প্রেমে পড়া, হাত ধরে হাঁটা– যদি সাহস না থাকে তাহলে না করাই বাঞ্ছনীয় ।


আজকের টেক স্যাভি যুগে বাঙালি যেন ক্রমেই খোলসে ঢুকে যাচ্ছে । এখনো নাকি বাঙালিরা live in করতে গেলে ভয়ে কাঁপে, বান্ধবীকে বাড়ি নিয়ে আসার ভয়ে হিসি করে দেয় – আসলে সবেতেই কাজ করে পাপবোধ। সবেতেই ভাবে “খুব খারাপ কাজ করছি” – তবুও করে – আর যে কোনও বস্তুকেই রঙিন করে তোলার বদলে করে তোলে কলঙ্কিত। এটাই সমস্যা।


বুক চিতিয়ে কথা বলা, বুক চিতিয়ে দুঃসাহস দেখানো, বুক চিতিয়ে তথাকথিত scandalous হয়ে গর্বিত হওয়ার মতো বাঙালি দিনদিন কমে যাচ্ছে। বাঙালি দিনদিন ভীতু হচ্ছে, কাপুরুষ হচ্ছে, ভণ্ড হচ্ছে। এমন এক প্রেমিক জাতি বিপ্লবী জাতির এমন সঙ্কোচন – সত্যিই কষ্ট দেয় !


--সংগৃহিত

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...