🔰ধানের মাজরা পোকার রাসায়নিক দমন পদ্ধতি।
🔰মাজরা পোকা দমনে প্রতি বর্গ মিটারে ২-৩টি স্ত্রী মথ বা ডিমের গাঁদা অথবা গাছ মাঝারি কুশি অবস্থায় রোপনের ৪০ দিন পর থেকে) থোড় আসা পর্যন্ত ১০-১৫% মরা ডিগ অথবা ৫% মরা শিষ দেখা গেলে নিম্নেলিখিত গ্রুপের যে কোন একটি কীটনাশক বা অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
🔰কীটনাশকের গ্রুপ, বাণিজ্যিক নাম ও প্রয়োগ মাত্রা।
♦️ কার্টাপ গ্রুপ:
👉 সানটাপ ৫০এসপি ১.৫ কেজি/হেক্টর।
👉 কেটাপ ৫০এসপি ১.৫ কেজি/হেক্টর।
👉 সিকোটাপ ৫০এসপি ১.৫ কেজি/হেক্টর।
♦️ফিপ্রোনিল গ্রুপ:
👉 রিজেন্ট ৩ দানাদার ১০.০ কেজি/হেক্টর।
👉 প্রিন্স ৫০এসপি ০.৫ লিটার/হেক্টর।
👉 প্রিন্স ৩ দানাদার ১০.০ কেজি/হেক্টর।
♦️ ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল + থায়ামেথোক্সাম গ্রুপ:
👉 ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি ৭৫ গ্রাম/হেক্টর।
👉 ভিরতাকো ৬জিআর ৫ কেজি/হেক্টর।
♦️ ফুবেনডিয়ামাইড গ্রুপ:
👉 বেল্ট ২৪ডব্লিউজি ২০০ গ্রাম/হেক্টর।
♦️ কার্বোসালফান গ্রুপ:
👉 মার্শাল ২০ইসি ১.৫ লিটার/হেক্টর।
👉 পিলারসুফান ২০ইসি ১.৫ লিটার/হেক্টর।
♦️কোরানট্রানিলিপ্রোল গ্রুপ:
👉 ফার্টেরা ৪জি ১০ কেজি/হেক্টর।
👉 কোরাজেন ১৮এসসি ১৫০ মিলি/হেক্টর।
♦️ ক্লোরপাইরিফস গ্রুপ:
👉 ডার্সবান ২০ইসি ১.০ লিটার/হেক্টর।
👉 পাইরিফস ২০ইসি ১.০ লিটার/হেক্টর।
♦️♦️কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, একই গ্রুপের কীটনাশক একই পোকা দমনের জন্য পর্যায়ক্রমে/প্রতি মৌসুমে ব্যবহার না করে বিভিন্ন গ্রুপের কীটনাশক ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
♦️ধানের পোকা দমনের জন্য যে সমস্ত গ্রুপের কীটনাশক করা যাবে না-
👉 সাইপারমেথ্রিন।
👉 আলফা-সাইপারমেথ্রিন।
👉 ল্যামডা-সাইহেলোথ্রিন।
👉 ডেলথামেথ্রিন।
👉 ফেনভালারেট।
➡️কারণ,
এ সমস্ত গ্রুপের কীটনাশক ব্যবহারে পোকারপুনরুত্থান
(Resurgence) ঘটে। এছাড়া যে কোন অনুমোদিত কীটনাশক। যেমন- ক্লোরপাইরিফস এর সহিত উপরে উল্লেখিত যে কোন গ্রুপের মিশ্রন ধানের পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। যেমন- বিউটি, ক্যারাটে, কারফু, সাবসাইড, মিক্সার, ডেয়ার, এটম, কেনভস, সুপারফাস্ট, বর্ডার, দূর্বার, নাইট্রো ও আলটিমা ইত্যাদি।
@highlight @highlight
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন