ক্লাসরুমে এবং পরীক্ষার খাতায় ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া কিছু অদ্ভুত উত্তর।
১.
বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্ন এসেছে, পানিতে বাস করে এমন ৫টি প্রাণীর নাম লিখ।
ছাত্র লিখল...ব্যাঙ, ব্যাঙের বাবা, মা, বোন আর দুলাভাই।
২.
ইতিহাস ক্লাসে স্যার সুমিকে দাঁড় করালেন, "বলো তো, আকবর জন্মেছিলেন কবে?"
সুমি: স্যার, এটা তো বইয়ে নেই!
স্যার: কে বলেছে বইয়ে নেই। এই যে আকবরের নামের পাশে লেখা আছে ১৫৪২-১৬০৫।
সুমি: এটা জন্ম-মৃত্যুর তারিখ? আমি তো ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার। তাই তো বলি, এত্তবার ট্রাই করলাম, রং নাম্বার বলে কেন!
৩.
যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে।
শিক্ষক: আমি টেবিলটা ছুঁয়েছি, টেবিলটা মাটি ছুঁয়েছে, সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি — এভাবে একটা যুক্তি দেখাও তো।
দুজন ছাত্র হাত তুলল।
১ম ছাত্র: যেমন ধরুন স্যার, আপনি মুরগি খেয়েছেন, মুরগি কেঁচো খেয়েছে, সুতরাং আপনি কেঁচো খেয়েছেন।
২য় ছাত্র: আমি আপনাকে ভালবাসি, আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন, সুতরাং আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি।
৪.
বিজ্ঞান পরীক্ষার রেজাল্টের খাতা দেওয়ার দিন শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, "ব্যাকটেরিয়ার চিত্র আঁকতে বলা হয়েছিল। তুই সাদা খাতা জমা দিয়েছিস কেন?"
ছাত্র নির্বিকারভাবে জবাব দিল, স্যার, আমি ব্যাকটেরিয়ার চিত্র এঁকেছি। কিন্তু আপনি তো তা খালি চোখে দেখতে পারবেন না!
৫.
ড্রইং পরীক্ষায় বিড়াল আঁকতে দেওয়া হয়েছে। ক্লাস ফাইভের মেয়ে গম্ভীর মুখে বিরাট এক বিড়াল আঁকছে পাতা জুড়ে। নিচে ডানদিকে লিখেছে পি টি ও। টিচার অবাক। জিজ্ঞেস করলেন, "ড্রইং খাতায় পি টি ও কেন?"
ছাত্রী জানাল, "আমার মা বলে দিয়েছেন উত্তর এক পাতায় না ধরলে ওই কথা লিখতে হয়। আমার বিড়াল এত বড় হয়েছে যে সেই অনুপাতে একটি পেল্লায় লেজ দরকার। সেই লেজ এই পাতায় আঁটবে না। তাই আমি ঠিক করেছি পি টি ও লিখে পরের পাতায় মনের সাধ মিটিয়ে লেজখানা আঁকব।
৬.
শিক্ষক: "উত্তম" শব্দের বিপরীত শব্দ বলো।
ছাত্রী: (মুচকি হেসে) সুচিত্রা।
৭.
অন্যমনস্ক এক ছাত্রীকে স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, "এই মেয়ে, সর্বনাম পদের দুইটা উদাহরণ দাও তো।"
মেয়েটি হকচকিয়ে দাঁড়িয়ে বলল, "কে? আমি?"
শিক্ষক বললেন, "গুড। হয়েছে, বসো।"
৮.
শিক্ষক: আচ্ছা দুধ থেকে ছানা তৈরির একটি সহজ উপায় বল।
ছাত্র: ভীষন সহজ স্যার। গাভীকে তেঁতুল খাওয়ালেই হবে।
৯.
শিক্ষক: তোমার কাছে দেয়াশলাই বা গ্যাস লাইট নেই। আগুন জ্বালাবে কীভাবে?
ছাত্র: স্যার রবি সিম সামনে রেখে বলবো জ্বলে ওঠো আপন শক্তিতে!
১০.
শিক্ষকঃ বল তো সবচেয়ে হাসিখুশি প্রাণী কোনটি?
ছাত্র: হাতি স্যার!
শিক্ষক: কেন?
ছাত্র: দেখেন না, হাতি খুশিতে সব সময় তার দাঁত বের করে রাখে।
১১.
শিক্ষক: সন্ধি কাকে বলে?
ছাত্র: স্যার, প্রথমটুকু পারি না, শেষেরটুকু পারি।
শিক্ষক: আচ্ছা, শেষেরটুকুই বল।
বল্টু: স্যার, শেষেরটুকু হলো...তাকে সন্ধি বলে।
১২.
শিক্ষক: তুই কি বলবে Dialog নাকি Paragraph?
ছাত্র: Dialog বলব স্যার।
শিক্ষক: ঠিক আছে বল।
ছাত্র: চৌধুরী সাহেব! আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা মানুষ, আমাদেরও ইজ্জত আছে।
(শিক্ষক রেগে গিয়ে খপ করে ছাত্রের চুলের মুঠি ধরে ফেললেন)
ছাত্র: তোর সাহস তো কম না, বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াস। জানিস, তোর ওই হাত আমি কেটে ফেলতে পারি?
১৩.
শিক্ষক: যারা একেবারে নির্বোধ এবং গাধা তারা ছাড়া সবাই বসে পড়।
সকলে বসে পড়লেও শুধু সবুজ একা দাঁড়িয়ে আছে।
শিক্ষক: কিরে, ক্লাসে তুই একাই নির্বোধ আর গাধা?
সবুজ: না স্যার, আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন, এটা ভাল দেখাচ্ছে না, তাই...।
#𝑪𝒐𝒍𝒍𝒆𝒄𝒕𝒆𝒅
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন