এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

 বই পড়ার গতি বাড়াও ৬ টি চমৎকার কৌশলে

 বই পড়ার গতি বাড়াও ৬ টি চমৎকার কৌশলে


বইকে বলা হয় মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখনকার এ সময়ে মানুষের বই পড়ার আগ্রহ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বই পড়ার গতি নিয়ে আমাদের অনেকের মাঝেই বেশ হতাশা কাজ করে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে এই বই পড়ার ক্ষীণ গতিও হতে পারে একটি কারণ। কিন্তু একটু কুশলী হওয়া গেলেই কিন্তু বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলা যায় আমাদের বই পড়ার গতিকে।

চলো শিখে নেওয়া যাক ৬টি এমন কৌশল যা আমাদেরকে দ্রুত পড়তে অনেকখানি সাহায্য করবে।


১) শব্দ করে নয় পড়তে হবে মনে মনে:

জোরে জোরে শব্দ করে পড়লে পড়া মনে থাকে, এটা আমাদের অনেকেরই ধারণা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা সত্যি হলেও জোরে জোরে শব্দ করে পড়া আমাদের পড়ার গতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। আমি আমার নিজের যাচাই করা অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমি যখন জোরে জোরে পড়ি তখন মিনিটে ১৩৪ টা শব্দ পড়তে পারি। অথচ যখন মনে মনে পড়ি তখন ওই এক মিনিটে পড়ে ফেলা শব্দের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ২১৩ তে গিয়ে দাঁড়ায়।

আর তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায় যে, জোরে জোরে পড়ার চাইতে মনে মনে পড়লে বই পড়ার গতি বেড়ে যাবে অনেকাংশে। বই পড়ার গতি বাড়াতে চাইলে এখন থেকেই জোরে জোরে পড়ার পরিবর্তে অভ্যাস করো মনে মনে পড়ার।


২) সাহায্য নাও আঙ্গুল কিংবা কোনো গাইডের:

মনোযোগকে যদি বলা হয় পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষণস্থায়ী বস্তু তাহলে খুব একটা ভুল হবে না। আর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পড়তে বসলেই আমাদের আকাশ-কুসুম চিন্তাগুলো মাথায় নাচানাচি শুরু করে দেয়। আর তাই পড়তে পড়তে মনোযোগ হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয় আমাদের জন্যে। এক্ষেত্রে প্রায় সময়ই আমরা হারিয়ে ফেলি কিংবা ভুলে যাই যে বইয়ের ঠিক কোন অংশ বা লাইনটা পড়ছিলাম। এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে কলম কিংবা পেন্সিল। আঙ্গুলের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। পড়ার সময় পেন্সিল দিয়ে লাইনগুলো মার্ক করে নিলেই এই হুট করে মনোযোগ হারিয়ে ফেলাজনিত সমস্যায় আর বিব্রত হতে হবে না। আর কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুল ব্যবহার করে পড়লে এমনিতেই একটু বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। মনোযোগ সরে গেলে কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুলও চলা বন্ধ করে দেবে!

তাই এখন থেকে কলম, পেন্সিল বা আঙ্গুল দিয়ে লাইনগুলো ধরে ধরে পড়লেই আর হুট করে হারিয়ে যাওয়ার সমস্যাটার সম্মুখীন হতে হবে না।


৩) একটি একটি করে নয় পড়ো একাধিক শব্দ একত্রে:

ধরা যাক, কারো এক হাতের একটা আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতে হবে অন্য হাতে সে ঠিক কয়টা আঙ্গুল দেখিয়েছে। অন্য হাতের দিকে না তাকানো সত্ত্বেও অধিকাংশই সাধারণত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়। বিষয়টা হলো, একটা বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু সেই বিন্দু চারপাশের অনেক কিছুই আমাদের নজরে আসে। এই ট্রিকটাকে কিন্তু দ্রুত বই পড়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায়।

তাই বই পড়ার সময় আমরা যাতে বইটাকে চোখ থেকে কিছুটা দূরে রেখে পড়ি, এতে করে অনেকগুলো শব্দ একসাথে পড়া সম্ভব হবে। আর তাতে বই পড়ার গতিও বাড়বে অনেকাংশে!


৪) সময় ও লক্ষ্য ঠিক করে পড়তে বসার অভ্যাস করতে হবে:

একটা বই নিয়ে পড়তে বসার কিছুক্ষন পরই নোটিফিকেশন বিড়ম্বনায় মনোযোগ বিসর্জন দিয়ে  পড়ার গতির বারোটা বাজিয়ে পড়ার পুরো আগ্রহ হারিয়ে ফেলাজনিত সমস্যার সম্মুখীন বই পড়ার সময় আমাদের সবার প্রায়ই হতে হয়। এক্ষেত্রে একটা ট্রিক অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়তে বসার আগে ঘড়ি দেখে ঠিক কতখানি পড়া হবে আর কতক্ষন পড়া হবে সেই লক্ষ্যমাত্রাটা নির্ধারণ করে সেটা অনুযায়ী পড়তে হবে। ধরা যাক ঠিক সন্ধ্যা ৭ টায় কেউ ১ ঘন্টার জন্যে পড়তে বসবে বলে ঠিক করলো, সে ওই এক ঘন্টায় তার পড়ার গতি অনুযায়ী ২০ পৃষ্ঠা পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ওই এক ঘন্টায় তার কাজ হবে যে কোনোভাবে সেই ২০ পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করা। এবং ওই এক ঘন্টায় তাকে থাকতে হবে অন্য সব ধরণের কাজ থেকে দূরে। এবং ঘড়ি ধরে এক ঘন্টা পর যাচাই করতে হবে যে সে তার ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কতখানি সক্ষম হলো।

এভাবে লক্ষ্যমাত্রা আর সময় নির্ধারণ করে পড়ার অভ্যাস করলেও পড়ার গতি বাড়বে অনেকখানি। আর নোটিফিকেশন ও তখন আর মনোযোগ নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।


৫) বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশে চোখ বুলিয়ে নিলে ধারণা মিলবে বই সম্পর্কে:

কোনো নতুন বই পড়া শুরুর আগে বইয়ের সূচিপত্র, ভূমিকা, শুরু আর শেষের দিকের কিছু অংশ আগে থেকেই পড়ে নেওয়া যেতে পারে। কোনো মুভি দেখার আগে ট্রেলার যেরকম ভূমিকা রাখে এটা অনেকটা সেই কাজ করবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে কোনো উপন্যাস বা গল্পের শেষ যদি পড়া শুরুর আগেই জেনে যাওয়া হয় তাহলে তো পুরো লেখাটাই জলে যাবে। এই ট্রিকটা গল্প, উপন্যাসের জন্যে প্রযোজ্য নয়। আত্ম উন্নয়নের বইগুলো এখনো আমাদের অনেকের কাছে নিরস বই হিসেবে খ্যাত। এই ধরণের বই পড়ার অভ্যাস করতে ইচ্ছুক যারা তারা এই ট্রিকটা কাজে লাগাতে উপকৃত হবে।

তাই, আগে থেকেই সূচিপত্র দেখে নিজের প্রয়োজনসাপেক্ষে কয়েকটি টপিক আগেভাগে পড়ে যদি পুরো বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মায় ব্যাপারটা খারাপ হবে না!


৬) বই পড়ার সময় ডিকশনারি কে না বলতে হবে:

অন্য ভাষা তথা ইংরেজি বই পড়তে গিয়ে সচরাচর আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি সেটা হলো পড়তে পড়তে হুট করে কোনো অপরিচিত শব্দে গিয়ে আটকে যাওয়া। সেক্ষেত্রে আমরা সাহায্য নেই ডিকশনারির। ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ডিকশনারি অর্থাৎ ফোনের ডিকশনারি অ্যাপও কিন্তু পড়ার গতি এবং আগ্রহ কমাতে ভীষণ কার্যকরী। একবার একটা শব্দের অর্থ জানতে ফোনে হাত দিলে পুনরায় আবার বইয়ে ফেরত যাওয়াটা অসম্ভবের কাছাকাছি। এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে তাহলে নতুন শব্দের অর্থ জানা হবে কী করে? এক্ষেত্রে পড়তে হবে কনটেক্সট বুঝে। আর বাড়াতে হবে পড়ার পরিমাণ। তাহলেই সমৃদ্ধ হবে শব্দভান্ডার।

এভাবেই একটা সময় দেখা যাবে গোটা একটা বই পড়া শেষ হয়ে গেছে ডিকশনারির সাহায্য ছাড়াই।

ওপরের আলোচ্য ৬ টি দারুণ কৌশলের অনুসরণের মাধ্যমে তাহলে আজ থেকেই শুরু হয়ে যাক বই পড়ার চমৎকার অভ্যাস!


- স্টুডেন্ট হ্যাকস

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...