এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

চাঁদ নিয়ে কনফিউশন?

 চাঁদ নিয়ে কনফিউশন? 


তাহলে বলি, চাঁদ মূলত পৃথিবীর কক্ষপথে ৫ ডিগ্রী হেলে থাকে, তবে এই কক্ষপথ মাঝে মাঝে উপর নিচ করতে থাকে। মাঝে মাঝে যখন পৃথিবীর কক্ষপথ ও চাদের কক্ষপথ সমান্তরালে আসে তখন রাহু বা কেতু পয়েন্টে (০ ডিগ্রী বা ১৮০ ডিগ্রী এংগেল) পূর্ণগ্রহন বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। 


বাদ বাকি সকল অবস্থানেই, সূর্য পৃথিবী চাঁদ অন্য একটা এংগেল করে থাকে,  ফলে চাদকে সর্বদাই সূর্যের উপরে বা নিচে দেখা যায়৷ 


চাঁদ সূর্যের মত পূব আকাশেই উদিত হয় এবং পশ্চিম আকাশে অস্ত যায়। তবে নতুন চাঁদ সূর্যের ৫৩ মিনিট পরে উদিত হয় এবং প্রতিদিন ৫৩ মিনিট করে পেছাতে থাকে। এভাবে করে প্রতিদিন চাঁদ ও সূর্যের উদয় অস্তের সময় পার্থক্য বাড়তে থাকে৷ 


আমি জানি এগুলা হুদা কথায় বোঝা কষ্টকর, ভিজুয়ালাইজেশন দেখাতে পারলে ভালো হত, ভবিষ্যতে একদিন দেখাবো ইন শা আল্লাহ। 


অমাবশ্যার দিন সূর্য আর চাঁদ প্রায় একই সময়ে অস্ত যায় এবং চাদের আলোকিত পৃষ্ঠ পৃথিবীর উলটো দিকে থাকায় চাঁদ দেখা পসিবল হয়না। 


দ্বিতীয় দিনে, চাঁদ প্রায় সূর্য ও পৃথিবীর সাথে ৮.৫ ডিগ্রী বা তার বেশী কোন করে থাকে এবং প্রায় ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। এ সময় চাঁদ দেখা যায়। প্রশ্ন হল আমরাতো সবসময় চাঁদ দেখিনা,কেন? 


উত্তর জটিল, আসলেই জটিল। যাদের কল্পনা শক্তি প্রবল তারা অনুধাবন করতে পারেন। আমি কিন্ত বলেছি চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথ সাধারণত ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হেলে থাকা যা উপর নিচ (টিল্ডিং/শিফটিং করে) করতে থাকে। ফলে উপর থেকে নিচে ১০ ডিগ্রী পর্যন্ত কৌণিক ব্যবধান তৈরী হতে পারে। তাই চাঁদ সর্বোচ্চ ৫৩ মিনিট আগে/পরে ডুববে। অমাবশ্যার আগের দিনগুলিতে আগে আগে ডুবে আর পরের দিনগুলিতে পরে ডুবে৷  আবার এই হিসাব কিন্ত একদম শুরুর দিন এক্সাক্ট পয়েন্ট থেকেই হিসাব করা হয়েছে, কিন্ত সময় গণনার সূক্ষ্ম ব্যবধানে এটা প্রতিনিয়ত সামান্য করে পরিবর্তন হয়। তাই আজকে চাদের পজিশন কোথায় তার উপর ভিত্তি করে হিসাব নিকাশ করতে হবে। তাই সেই এংগুলার ডিস্টেন্স এর হিসেব অনুযায়ী ঠিক ৫৩ মিনিট হবে না তার কম বেশী হবে তা হিসাব করতে হবে। এইগুলা ৩ডি মডেলে বোঝা সহজ, আমার কথাগুলি অনেকের মাথার উপর দিয়ে যাবে। 


যাইহোক হিসেব করে দেখা গেছে, ৩০ তারিখে চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে প্রায় ১ ঘন্টার উপর এবং আট ডিগ্রীর কাছাকাছি এংগেলে অবস্থান করবে, ফলে খুবই চিকন প্রস্থের একটা কম উজ্জ্বল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা আছে৷ এই সম্ভাবনা প্রায় ৮০ ভাগ। একই দিনে সৌদী আরব আর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। 


তবে একটা মজাদার ব্যাপার লক্ষ্য করা যাবে। আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপ সমূহে ২৯ তারিখেই চাঁদ দেখার সম্ভাবনা পূরণ হতে চলেছে। কানাডা USA তে ২৯ তারিখ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় ৭০/৮০ ভাগ৷ ভালো কথা এই পার্সেন্টেজ সায়েন্টিফিক নয়, শুধু ধারণা দেয়ার জন্য বলা।


এই পোস্টে আপনারা ৩০ তারিখের এক্সাক্ট সময় ব্যবধান ও কৌনিক ব্যবধান কল্পনা করতে পারেন। 


যদি ২৯ তারিখে আমেরিকাতে চাঁদ দেখা যায় তবেতো অনেকেরই ৩০ তারিখে সৌদী আরবের আগে আগে ঈদ করতে হতে পারে। আপনারা রেডিতো?

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...