নারিকেল গাছের পরিচর্যা ও সার ব্যবস্থাপনা🌴
একটি সুস্থ ও ফলদায়ী নারিকেল গাছের জন্য সঠিক পরিচর্যা এবং নিয়মিত সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বয়সের নারিকেল গাছে বছরে দুই কিস্তিতে সার প্রয়োগ করতে হয়।
✅ প্রথম কিস্তি: বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে (অর্ধেক সার)
✅ দ্বিতীয় কিস্তি: আশ্বিন মাসে (বাকি অর্ধেক সার)
🔷🔷সার প্রয়োগের পদ্ধতি:
গাছের গোড়া থেকে ১ মিটার দূরে এবং ১-২.৫ মিটার পরিধির মধ্যে ২০-৩০ সেমি গভীরে সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের পর মাটি কুপিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে।
🔷🔷বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগের হার
🔻 ১-৪ বছর:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ১০ কেজি
ইউরিয়া: ২০০ গ্রাম
টিএসপি: ১০০ গ্রাম
এমওপি: ৪০০ গ্রাম
জিপসাম: ১০০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ৪০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ১০ গ্রাম
🔻৫-৭ বছর:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ১৫ কেজি
ইউরিয়া: ৪০০ গ্রাম
টিএসপি: ২০০ গ্রাম
এমওপি: ৮০০ গ্রাম
জিপসাম: ২০০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ৬০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ১৫ গ্রাম
🔻 ৮-১০ বছর:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ২০ কেজি
ইউরিয়া: ৮০০ গ্রাম
টিএসপি: ৪০০ গ্রাম
এমওপি: ১৫০০ গ্রাম
জিপসাম: ২৫০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ৮০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ২০ গ্রাম
🔻১১-১৫ বছর:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ২৫ কেজি
ইউরিয়া: ১০০০ গ্রাম
টিএসপি: ৫০০ গ্রাম
এমওপি: ২০০০ গ্রাম
জিপসাম: ৩৫০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ১০০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ৩০ গ্রাম
🔻 ১৬-২০ বছর:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ৩০ কেজি
ইউরিয়া: ১২০০ গ্রাম
টিএসপি: ৬০০ গ্রাম
এমওপি: ২৫০০ গ্রাম
জিপসাম: ৪০০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ১৫০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ৪০ গ্রাম
🔻২০ বছর বা তার ঊর্ধ্ব:
পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ৪০ কেজি
ইউরিয়া: ১৫০০ গ্রাম
টিএসপি: ৭৫০ গ্রাম
এমওপি: ৩০০০ গ্রাম
জিপসাম: ৫০০ গ্রাম
জিংক সালফেট: ২০০ গ্রাম
বোরিক এসিড: ৫০ গ্রাম
🔎 গাছের সুস্থতার লক্ষণ
✅ একটি সুস্থ নারিকেল গাছে ৩২-৪০টি পাতা থাকবে।
✅ প্রতি মাসে নতুন একটি পাতা বের হয়, যা প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।
✅ পাতা ২৫টির নিচে নামলে বুঝতে হবে গাছটি পুষ্টির অভাবে দুর্বল।
✅ পাতার সংখ্যা ২০টির নিচে নেমে গেলে গাছে ফুল-ফল আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
💠💠 সঠিক যত্ন ও পরিচর্যায় নারিকেল গাছ দেবে উন্নত ফলন ও দীর্ঘস্থায়ী উৎপাদন।
@highlight The natural beauty
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন