আজ আমাদের প্রজাতি পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে বাস করে। কিন্তু সবসময় এমন ছিল না। চলুন জেনে নিই, হোমো সেপিয়েন্স কিভাবে আফ্রিকা থেকে বের হয়ে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আর এই যাত্রায় তারা অন্য যেসব মানব প্রজাতির সাথে দেখা করেছিল সেগুলো নিয়েও।
হোমো সেপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় উদ্ভব হয়েছিল ৩ লক্ষ বছরেরও বেশি আগে। অনেকদিন ধরে আমাদের প্রজাতি শুধু আফ্রিকাতেই ছিল। কিন্তু শত শত হাজার বছর ধরে হোমো সেপিয়েন্স ধীরে ধীরে আরব, এশিয়া এবং শেষ পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এই যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না এবং সোজা পথেও হয়নি। এটা একধরনের গল্প যেখানে ছিল ভুল শুরু, হারিয়ে যাওয়া জনসংখ্যা, বিলুপ্ত মানব প্রজাতি এবং বিশাল দূরত্বের কাহিনি। এটা এমন একটা গল্প যা বারবার বদলাচ্ছে, নতুন ফসিল আবিষ্কারের মাধ্যমে যেগুলো মানব বিবর্তনের টাইমলাইনকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করে। শেষ পর্যন্ত, এই যাত্রা পুরো পৃথিবীকে বদলে দেয়।
হোমো সেপিয়েন্স কেন আফ্রিকা ছেড়ে চলে যায়? —
হোমো সেপিয়েন্স কেন প্রথমে আফ্রিকা ছাড়ে, সেটা এখনো পরিষ্কার না। যদিও অনেক থিওরি আছে, কিন্তু ধারণা করা হয় জলবায়ুর পরিবর্তন এর সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা হতে পারে। আমাদের মানব বিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস স্ট্রিংগার বলেন, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া হয়তো প্রাচীন মানুষদের মাইগ্রেট করতে উৎসাহিত করেছিল।ধারণা করা হয়, আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে আসা হোমো সেপিয়েন্সরা গরমের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারত কিন্তু খুব শুকনো পরিবেশে টিকতে পারত না। তাই সম্ভবত আবহাওয়া সাময়িকভাবে কিছুটা উষ্ণ ও আর্দ্র হয়েছিল পশ্চিম এশিয়ায়। অথবা হতে পারে উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশ আরও শুষ্ক হয়ে উঠেছিল যেটা মানুষদের ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। যেভাবেই হোক, এই বিষয়গুলো হয়তো ছোট ছোট দলকে আফ্রিকা ছাড়তে প্ররোচিত করেছিল বা বাধ্য করেছিল। মনে রাখতে হবে, তখন তারা নতুন জায়গা খুঁজতে বের হয়নি তারা শুধুই তাদের খাবারের জোগানে হেঁটে চলছিল।আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে গাছপালা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় জন্মাতো আর যেসব পশু এই গাছ খেত তারাও সেই পথে যেত। প্রাচীন মানুষরাও সেই পশুদের অনুসরণ করত ফলে তারা নতুন অচেনা জায়গায় গিয়ে পড়ত।
আগে মনে করা হতো আমাদের প্রজাতি একবারই আফ্রিকা ছেড়েছিল অনেক আগের কোনো এক সময়। কিন্তু সাম্প্রতিক আবিষ্কার এই ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। প্রাচীন আধুনিক মানুষের ডিএনএ বিশ্লেষণ বলছে শত শত হাজার বছরের ব্যবধানে বহুবার মানুষ আফ্রিকা ছেড়েছে। এই মাইগ্রেশনগুলোর বেশিরভাগই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি অর্থাৎ তারা আমাদের পূর্বপুরুষ না। কিন্তু তারা ফসিল আর পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ রেখে গেছে যেগুলো প্রমাণ করে তারা অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল এবং হাজার হাজার বছর টিকে ছিল। আগে এইগুলোকে ব্যর্থ অভিবাসন বলা হতো কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা এই পথিকদের গুরুত্ব নতুন করে বুঝছেন।
আফ্রিকা ছাড়ার একটা সম্ভাব্য পথ হলো সিনাই আর আরব উপদ্বীপ দিয়ে। আফ্রিকা আর ইউরেশিয়ার একমাত্র স্থলপথ ধরে হেঁটে হেঁটে হোমো সেপিয়েন্স মাইগ্রেট করতে পারত কোনো সমুদ্র পার হওয়ার দরকার পড়ত না। আজকে যেটা গরম আর শুষ্ক আরব উপদ্বীপ, তা আগে এমন ছিল না। সেখানে প্রাচীন হ্রদের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যেমন নেফুদ মরুভূমির খাল্ল আমাইশান ৪ (KAM-4) জায়গায়। এই জায়গায় দেখা যায় ৪ লক্ষ বছর থেকে ৫৫ হাজার বছরের মধ্যে অন্তত ৫ বার সেখানে স্থায়ী মিঠা পানির হ্রদ ছিল। এই জায়গায় পাওয়া পাথরের অস্ত্র থেকে বোঝা যায়, শুধু হোমো সেপিয়েন্স না আরও পুরোনো প্রজাতিরাও সেখানে বাস করেছিল যারা আমাদের আগে আফ্রিকা ছেড়েছিল।
ক্রিস বলেন, এই মাইগ্রেশন এক ধাপে ঘটেনি। তারা ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে একটা জায়গায় অনেকদিন থেকেছে তারপর আরেকবার আবহাওয়ার পরিবর্তনে সামনে এগিয়েছে। এই যাত্রা ছিল খুবই কঠিন কারণ তারা নতুন আবহাওয়া, নতুন পশু আর নতুন রোগের মুখোমুখি হয়েছিল। আর আফ্রিকা থেকে যেসব ছোট ছোট দল বের হচ্ছিল তাদের মধ্যে জেনেটিক বৈচিত্র্যও কম ছিল ফলে অভিযোজন ক্ষমতাও কম ছিল। হোমো সেপিয়েন্স যখন আফ্রিকার বাইরে এগোতে থাকে তারা একটা অন্য মানব প্রজাতির মুখোমুখি হয় নিয়ান্ডারথালদের।
হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালদের সাক্ষাৎ —
নিয়ান্ডারথাল, অর্থাৎ হোমো নিয়ান্ডারথালেনসিস, একটা বিলুপ্ত মানব প্রজাতি, যারা ইউরোপ আর এশিয়ায় ৪ লক্ষ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত ছিল। যদিও নিয়ান্ডারথাল আর হোমো সেপিয়েন্স আলাদা প্রজাতি তারা একে অপরের খুব কাছাকাছি আত্মীয় বা প্রজাতি।
এমনকি কাছাকাছি প্রজাতি হলে তাদের মাঝে সন্তানও হতে পারে। নিয়ান্ডারথালদের জিনোম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আমাদের দুই প্রজাতির মধ্যে প্রাচীন সময়ে প্রজনন হয়েছিল যার প্রমাণ শত শত হাজার বছরের পুরোনো। মানব দেহে কয়েক ধরনের ডিএনএ থাকে। একটা হলো নিউক্লিয়ার ডিএনএ যা বাবা-মা উভয় থেকে পাওয়া যায় আর একটা মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ যেটা শুধু মায়ের দিক থেকে আসে। জার্মানিতে পাওয়া একটা নিয়ান্ডারথালের পা-এরর হাড় বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ২৭০,০০০ বছর আগে হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রজনন হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এর ফলে নিয়ান্ডারথালরা তাদের আসল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ হারিয়ে হোমো সেপিয়েন্সের ডিএনএ পেয়েছিল। আরেকটা ডিএনএ সেট পাওয়া যায় Y ক্রোমোজোমে যেটা শুধু পুরুষদের মধ্যে থাকে। নিয়ান্ডারথালরা সম্ভবত এই Y ক্রোমোজোমও হোমো সেপিয়েন্স থেকে পেয়েছিল। এই ঘটনাগুলো কোথায় হয়েছিল, সেটা নিশ্চিত না কিন্তু দক্ষিণ ইউরোপ একটা সম্ভাব্য জায়গা। যেমন গ্রিসের অ্যাপিডিমা গুহায় পাওয়া মাথার পেছনের অংশ ২ লক্ষ বছরের পুরোনো যেটা এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো হোমো সেপিয়েন্স ফসিল। প্রায় ৪০ হাজার বছর পর সেই জায়গায় নিয়ান্ডারথালরা ছিল। যদিও নিশ্চিত না যে তারা এখানে একসাথে ছিল, তবুও সম্ভাবনা আছে।
এই নিয়ান্ডারথালদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ছিল হোমো সেপিয়েন্সের মূল অভিবাসনের জন্য, যা ৬০,০০০ বছরের মধ্যে ঘটেছিল। প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে এই অভিবাসনের সময় হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রজননের ফলে আফ্রিকার বাইরে যাদের পূর্বপুরুষ ছিল তাদের ডিএনএ-তে প্রায় ২% নিয়ান্ডারথালদের জিন রয়েছে। এই সময়ের প্রজননে ত্বকের রঙ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য শরীরের কাজে নিয়ন্ত্রণকারী জিন ট্রান্সফার হয়েছিল যা হোমো সেপিয়েন্সদের আফ্রিকার বাইরের পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। ইউরোপে প্রবেশের সময় এই জিনগুলো খুব উপকারী ছিল।
হোমো সেপিয়েন্সরা কীভাবে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছিলো? —
একবার হোমো সেপিয়েন্সরা পশ্চিম এশিয়া পেরিয়ে গেলে তারা অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতিতে বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার এই সময়কাল বিভিন্ন জায়গায় আবিষ্কৃত ফসিল, অস্ত্র, পাথরের সরঞ্জাম এবং ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, হোমো সেপিয়েন্সরা প্রথমে উপকূল বরাবর দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিল। কিছু প্রমাণ রয়েছে যে, তারা সুমাত্রায় ৭৩,০০০ বছর আগে উপস্থিত ছিল এবং অস্ট্রেলিয়ায় ছিল ৬০,০০০ বছর আগে। যদি এই তারিখগুলো সত্যি হয় তবে সেটা আমাদের জানামতে সবচেয়ে পুরোনো সফল অভিবাসন মানে, সেই সময়ের মানুষরা আজকের মানুষের পূর্বপুরুষ। হোমো সেপিয়েন্সদের এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ ছিল, তাদের আশেপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। তারা শিকার করতো, ফলমূল খেতো এবং প্রয়োজনমতো নতুন উপায়ে জীবনধারা বদলাতে পারতো। তারা খুবই অভিযোজনক্ষম ছিল। যেসব জায়গায় তারা পৌঁছেছিল সেগুলো ছিল একে অপরের থেকে একদম আলাদা। তবুও তারা টিকে ছিল এমনকি সফল হয়েছিল। হোমো সেপিয়েন্সরা শুধু স্থলপথে নয়, সম্ভবত সমুদ্রপথেও ভ্রমণ করেছিল। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে হলে তখনও কিছুটা সাগর পার হতে হতো। কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, তারা হয়তো ভেলায় চড়ে ছোট ছোট দ্বীপের সাহায্যে ধাপে ধাপে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিল। আফ্রিকার বাইরে হোমো সেপিয়েন্সদের ছড়িয়ে পড়া ছিল বিস্ময়করভাবে সফল। তবে একমাত্র তারাই ছিল না, যারা এতদূর পৌঁছেছিল।
হোমো সেপিয়েন্সরা যখন নতুন নতুন জায়গায় পৌঁছায়, তখন তারা শুধু নিয়ান্ডারথাল নয় আরও অনেক মানব প্রজাতির মুখোমুখি হয়। যেমন, পূর্ব এশিয়ায় তারা ‘ডেনিসোভান’ নামে পরিচিত এক বিলুপ্ত মানব প্রজাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রথমে ২০০৮ সালে সাইবেরিয়ার এক গুহায় আবিষ্কৃত হাড় ও দাঁতের মাধ্যমে এই প্রজাতিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ডিএনএ বিশ্লেষণে জানা যায়, তারা হোমো সেপিয়েন্সের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল কিন্তু ভিন্ন প্রজাতি। ডেনিসোভানদের সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্যে অনেকবার প্রজনন হয়েছিল, যার প্রমাণ বর্তমান মানুষের জিনে পাওয়া যায় বিশেষ করে মেলানেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের মধ্যে।এই প্রজননের ফলে এমন কিছু জিন হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্যে আসে যা উচ্চতা, রোগ প্রতিরোধ এবং এমনকি উচ্চ পর্বতের অক্সিজেন স্বল্পতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। তিব্বতের কিছু মানুষের মধ্যে এমন জিন রয়েছে যা তারা ডেনিসোভানদের কাছ থেকে পেয়েছে। এই ঘটনায় বোঝা যায়, হোমো সেপিয়েন্স শুধু তাদের নিজস্ব অভিযোজন ক্ষমতার কারণে নয় অন্য মানব প্রজাতিদের সঙ্গে মিশে তাদের জিন গ্রহণ করেও টিকে থাকতে পেরেছিল।
ইউরোপে বিস্তার এবং নিয়ান্ডারথালের বিলুপ্তি —
হোমো সেপিয়েন্সরা ইউরোপে প্রবেশ করে প্রায় ৪৫,০০০ বছর আগে। তারা তখন নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে শুরু করে। কিছু সময় উভয় প্রজাতি ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে পাশাপাশি বাস করেছিল।তবে প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে নিয়ান্ডারথালরা রহস্যজনকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই বিলুপ্তির কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, কিন্তু সম্ভবত হোমো সেপিয়েন্সদের প্রতিযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও সীমিত সংখ্যার কারণে তারা টিকে থাকতে পারেনি।অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, হোমো সেপিয়েন্সরা বেশি সংগঠিত ছিল, তারা বেশি সংখ্যায় বসবাস করতো এবং সামাজিক জটিলতা বেশি ছিল যার ফলে তারা নিয়ান্ডারথালদের তুলনায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। তারা সম্ভবত আরও উন্নত ভাষা ব্যবহার করতো, আরও দক্ষভাবে জ্ঞান ও কৌশল ভাগ করে নিতে পারতো।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় মানুষের আগমন —
এশিয়া ও ইউরোপের পর হোমো সেপিয়েন্সরা ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়। এটাই ছিল মানুষের বিস্তারের সর্বশেষ ধাপ। অনেক দিন ধরে ধারণা ছিল, তারা উত্তর এশিয়ার দিকে গিয়ে বরফাচ্ছন্ন ভূমি পেরিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল প্রায় ১৩,০০০ বছর আগে। তবে সাম্প্রতিক প্রমাণ বলছে তারা হয়তো আরও আগে ২০,০০০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে পৌঁছেছিল।তারা হয়তো সাগরের ধারে উপকূল ধরে দক্ষিণে অগ্রসর হয়েছিল এবং দক্ষিণ আমেরিকার শেষপ্রান্ত, চিলির মন্টে ভার্দে নামক জায়গায় প্রায় ১৮,৫০০ বছর আগে পৌঁছেছিল।
মানবজাতির এই বৈশ্বিক বিস্তার ছিল একটি দীর্ঘ, জটিল, এবং বিপদে ভরা যাত্রা। জলবায়ু, রোগ, শিকার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবকিছু মোকাবিলা করে হোমো সেপিয়েন্সরা এক এক করে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় পৌঁছেছে। এই যাত্রায় তারা শুধু টিকে থাকেনি, বরং বিবর্তনের ইতিহাসে এককভাবে টিকে থাকা একমাত্র মানব প্রজাতি হিসেবে আজকের পৃথিবীতে পৌঁছেছে।
প্রতিটি নতুন আবিষ্কার নতুন ফসিল, ডিএনএ বা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই গল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা এক বিশাল অভিযানের উত্তরসূরি যা আজও অব্যাহত।
✍️ Imam Hossain Anjir
Team Science&Experiment
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন