টাকা পয়সার সিক্রেট কি আসলে? মানুষ ধনী বা বড়লোক কিভাবে হয়? তারা কি এমন কিছু জানে যা বাকিরা জানেনা?
ধনী হতে চাইলে কিছু কঠিন সত্য বুঝতে হবে।
এগুলো গল্প না, ফর্মুলা না, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বের করা একেকটা সত্য।
অনেকে মনে করেন, ধনীরা হয়তো হঠাৎ করেই ভাগ্যবান হয়ে উঠেছে। টাকাপয়সা নাকি নিজেরাই এসে ধরা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা একদমই আলাদা।
আসলে তারা এমন কিছু নিয়ম মেনে চলে, যেগুলো বেশিরভাগ মানুষ জানেই না। আর জানলেও গুরুত্ব দেয় না। কারণ সেগুলো সহজ না, কিন্তু ফলাফল অসাধারণ।
এই কথাগুলো শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা আসলেই নিজের জীবন পাল্টাতে চান। যারা আর পুরনো জীবনটাকেই মেনে নিতে রাজি নন। যারা নিজের পাশাপাশি নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা করেন।
নিচে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট শেয়ার করছি। এগুলো শুধু পড়লেই হবে না, বিশ্বাস করতে হবে এবং ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
একবার মনের মধ্যে গেঁথে গেলে, ১২ মাসও লাগবে না, নিজের উন্নতি চোখে পড়বে..
১. সময়ের বদলে মূল্য তৈরি করেন।
একজন সাধারণ মানুষ তার সময় বিক্রি করে আয় করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করেই আয় আসে।
কিন্তু যারা ধনী হয়েছেন, তারা এমন কিছু তৈরি করেছেন, যেটা তাদের উপস্থিতি ছাড়াও ইনকাম এনে দেয়। ব্যবসা, ডিজিটাল প্রডাক্ট, ইনভেস্টমেন্ট, এই জিনিসগুলোই তাদের “সময়” কে বাড়িয়ে দিয়েছে।
২. ঋণ নিজে খারাপ না, কিভাবে ব্যবহার করা হয় সেটাই আসল ব্যাপার।
বুদ্ধিমান মানুষ ঋণ নিয়ে সম্পদ তৈরি করেন যেমন বাড়ি, ব্যবসা, জমি ইত্যাদি।
আর অনেকেই ঋণ নিয়ে কেনেন দামি ফোন, গ্যাজেট, শখের জিনিস, যেগুলো এক টাকাও ফেরত আনে না।
একটা কথা মনে রাখুন, যেকোনো ঋণ যদি আপনার আয় বাড়াতে সাহায্য না করে, তাহলে সেটা আসলে একটা বোঝা।
৩. চাকরি নিরাপত্তা দিতে পারে, কিন্তু স্বাধীনতা দিতে পারে না।
অনেক ধনী ব্যক্তি শুরু করেছেন চাকরি দিয়ে, কিন্তু সেখানকার ইনকামকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজেদের সিস্টেম।
অন্যদিকে কেউ কেউ একই ইনকাম শুধু খরচ করে ফেলেছেন।
স্বপ্ন যদি থাকে বড় কিছু গড়ার, তাহলে নিজের কিছু একটা শুরু করতেই হবে, ছোট হোক, ধীরে হোক, কিন্তু শুরুটা জরুরি।
৪. যাদের সঙ্গে সময় কাটান, তারাই আপনাকে গড়ে তোলে বা ভেঙে দেয়।
নেগেটিভ চিন্তাভাবনার মানুষের সাথে থেকে কেউ কখনো সামনে এগোতে পারেননি।
একজন মানুষ হিসেবে আপনি যাদের সাথে সময় কাটান, তাদের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্যম, সবই আপনার মধ্যে প্রভাব ফেলে।
নিজেকে এমন মানুষের মাঝে রাখুন, যাদের কাছ থেকে শেখা যায়।
৫. প্রচারে নয়, প্রগতিতে বিশ্বাস রাখেন।
আসল সাফল্য যারা অর্জন করেন, তারা সোশাল মিডিয়ায় তা প্রচার করে বেড়ান না।
তারা নীরবে কাজ করেন, সম্পদ তৈরি করেন, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেন।
সারাক্ষণ কে কী বলছে সেটা না ভেবে, নিজের কাজেই মন দিন। ফলাফল এমনিতেই কথা বলবে।
৬. প্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করেন।
আজকের দুনিয়ায় জ্ঞানই সবচেয়ে বড় পুঁজি।
যারা প্রতিনিয়ত শিখছেন, তারা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছেন।
বই, কোর্স, ভিডিও, রিয়েল অভিজ্ঞতা, যেকোনো কিছু থেকেই শেখা সম্ভব।
যদি শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে উন্নতির পথ নিজেই বন্ধ করে দিচ্ছেন।
৭. বিক্রি করার দক্ষতা না থাকলে, সফল হওয়াও কঠিন।
যে যা-ই করুন, পণ্য হোক, সার্ভিস হোক, নিজের স্কিল হোক সব ক্ষেত্রেই বিক্রি জানাটা জরুরি।
নিজের কথা, নিজের কাজ, নিজের প্রস্তাব ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারা মানে হচ্ছে সামনে সুযোগ তৈরি হওয়া।
সেলস মানে শুধু মার্কেটিং না, এটা আসলে কমিউনিকেশন যেটা আপনার ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে।
এই বিষয়গুলো কোনো ম্যাজিক ট্রিক না, বরং বাস্তব জীবনের tested সত্য।
যত তাড়াতাড়ি এই জিনিসগুলো হৃদয়ে ধারণ করবেন, তত দ্রুত জীবন বদলাতে শুরু করবে।
#hasanshanth #entrepreneurmindset #richlife #howto #business #bd #knowledgesharing
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন