লাখ টাকা ইনবেস্ট করে স্ট্রিট ফুড ব্যবসা করুণ: পরিশ্রম আপনাকে সফলতা এনে দিবেই! এটুজেট পরিকল্পনা
স্ট্রিট ফুড ব্যবসা বাংলাদেশসহ অনেক দেশে একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় উদ্যোগ। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড দেওয়া হলো:
স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
Step 1: বাজার গবেষণা করুন
আপনার এলাকায় কোন ধরণের স্ট্রিট ফুড বেশি জনপ্রিয় তা খুঁজে বের করুন।
প্রতিযোগীদের পর্যবেক্ষণ করুন—তারা কী বিক্রি করছে, দাম কেমন, কাস্টমারদের প্রতিক্রিয়া কেমন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—স্কুল, কলেজ, অফিস এরিয়া, বাসস্ট্যান্ড, পর্যটন এলাকা ইত্যাদি।
Step 2: একটি নির্দিষ্ট ফুড আইটেম ঠিক করুন
ভাজাপোড়া (সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি)
ফাস্টফুড (বুরগার, স্যান্ডউইচ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)
ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি
হেলদি অপশন (ফ্রুট সালাদ, জুস)
লোকাল বা ফিউশন আইটেম (তন্দুরি চা, পান্তা-মাছ ভাজা)
Step 3: ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন
দৈনিক কতজন ক্রেতা পাবেন তার ধারণা নিন।
কত টাকায় মালামাল কিনবেন ও কত টাকায় বিক্রি করবেন তা হিসাব করুন।
একটি ক্ষুদ্র ব্যবসার বাজেট তৈরি করুন (১০,০০০–৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি)।
Step 4: প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অনুমোদন সংগ্রহ করুন
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কাছ থেকে অনুমতি নিন।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসার জন্য ট্রাফিক পুলিশের অনুমতিও লাগতে পারে।
Step 5: উপযুক্ত ভেন্যু ও ভ্যান/স্টল প্রস্তুত করুন
একটি মোবাইল ভ্যান বা হাইজিনিক ছোট স্টল কিনুন/ভাড়া নিন।
স্টলটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষণীয়ভাবে সাজান।
পরিষ্কার পানি, হ্যান্ডগ্লাভস, টিস্যু, ফুড কভার রাখুন।
Step 6: কাঁচামাল ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন
প্রতিদিন ফ্রেশ কাঁচামাল কিনুন।
কুকিং পট, গ্যাস সিলিন্ডার/চুলা, ছুরি, প্লেট, কাপ, ফয়েল, ফুড গ্রেড কনটেইনার কিনুন।
Step 7: দক্ষতা অর্জন করুন
যদি নিজের রান্নার দক্ষতা কম হয়, তবে কেউকে নিয়োগ করুন বা রান্না শেখার ট্রেনিং নিন।
ফুড হাইজিন ও কাস্টমার সার্ভিস বিষয়ে জ্ঞান নিন।
Step 8: ট্রায়াল রান দিন
১–২ দিন বন্ধুবান্ধব বা ছোট এলাকায় ট্রায়াল দিন।
ফিডব্যাক নিয়ে মেনু ও দাম ঠিক করুন।
Step 9: ব্যবসা শুরু করুন
উপযুক্ত সময় (সকাল বা সন্ধ্যা) নির্ধারণ করুন।
দিনে কত বেলা বিক্রি করবেন তা ঠিক করুন।
বিকাশ/নগদ বা ক্যাশ রিসিভ করার ব্যবস্থা রাখুন।]
Step 10: প্রচার ও মার্কেটিং করুন
ফেসবুক পেজ খুলুন, লাইভ ভিডিও দিন।
প্রথম দিকে অফার দিন (যেমন: “৩ টা সিঙ্গারার সাথে ১ টা ফ্রি!”)
ইউনিফর্ম বা ব্র্যান্ডিং থাকলে ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
টিপস:
নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন—ক্রেতারা এটি খুব গুরুত্ব দেয়।
ভালো ব্যবহার ও হাসিমুখে সার্ভ করুন।
ক্রেতার মতামত নিন ও প্রয়োজনে পরিবর্তন আনুন।
ধৈর্য রাখুন—প্রথম দিকে লাভ কম হলেও পরিচিতি বাড়লে আয়ও বাড়বে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন