ওরা কীভাবে তুলেছিল সেসব বিশাল পাথর?
প্রথমে ছবিটা দেখে মনে হতে পারে, এ তো স্রেফ একটা কাল্পনিক কিছু, যেখানে প্রাচীনকালের কিছু মানুষ একটা বিশাল পাথর টেনে এনে দাঁড় করাচ্ছে। কিন্তু একটু ভালো করে তাকালেই বোঝা যাবে- এই সাধারণ ছবির পেছনে লুকিয়ে আছে মানুষের বিস্ময়কর মেধা আর পরিকল্পনার নিখুঁত হিসেব।
এটা কোনো কল্পকাহিনি নয়। এটা বাস্তবসম্মত এক ব্যাখ্যা, কীভাবে নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষরা স্টোনহেঞ্জ, কারনাক বা গোবেকলি তেপের মতো মেগালিথিক কাঠামো বানিয়েছিল।
প্রক্রিয়াটা শুরু হতো মানুষ আর কাঠের রোলার দিয়ে। বিশাল পাথরের ব্লকগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আনা হতো কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। এরপর ব্যবহৃত হতো মোটা দড়ি, কাঠের ঠেকনা আর মাটি কেটে বানানো খাদ; সব মিলিয়ে গড়ে উঠত একধরনের প্রাচীন যন্ত্র। আধুনিক যন্ত্রপাতির ছিটেফোঁটাও নেই, তবু কাঠামো দাঁড়িয়ে যেত নিখুঁতভাবে। যখন পাথর তার নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছাত, তখন সেটি দাঁড় করানো হতো চমৎকার হিসেব-নিকেশ মেনে; লিভারেজ, অভিকর্ষ বল আর সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে।
না ছিল কোনো ক্রেন, না ছিল লোহার কোনো যন্ত্র। ছিল শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর পরীক্ষানিরীক্ষার ফলাফল। এই বিশাল পাথরগুলো, যেগুলোর ওজন ৩০ টনেরও বেশি হতে পারে, শুধু সৌন্দর্যের স্মারক ছিল না। এগুলো ছিল ক্যালেন্ডার, উপাসনাস্থল, সমাধি, বা আকাশের মানচিত্র। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করার মতো ব্যাপার হলো- এসব নির্মাণের পেছনে লুকিয়ে থাকা মানুষের অসাধারণ মেধা ও বৈজ্ঞানিক প্রয়োগ। তারা অনুমান করে কাজ করেনি, বরং তারা পদার্থবিজ্ঞানের মূল নীতিগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করেছে: ঘর্ষণ, গতি আর ভারসাম্যের কৌশল। হাজার হাজার বছর আগে মানুষ কীভাবে পিরামিড বানিয়েছিল সেই ব্যাপারে জানতে দেখুন আমাদের একটি ভিডিও। লিংক কমেন্টে।
.
.
#itihasergolpo #itihaser_golpo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন