গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয়
১.গাভীর গর্ভের সময়কার সাত মাসের বেশী হলে এ সময় বেশী করে প্রোটিন যুক্ত কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে,যে কোন ঘাস হলেই হবে না।ঘাসের ক্রুড প্রোটিন ও মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদান প্রসব সহায়তা করে।
২.শেষের দুইমাস দানাদার কমিয়ে আনতে হবে;এসময় গাভীর খাদ্য গ্রহনের জন্য পেটে জায়গা অনেক কমে যায়।যা খাবার দিবেন,যথেষ্ট পুষ্টিকর হতে হবে।ছোলা,মশুরী ও সয়াবিন,সরিষার খৈল উপকারী।অনেকে প্রিমাফ্যাট,হাই ফ্যাট/পাম ওয়েল ফ্যাট খাওয়ানোতে ও বেশ উপকার পাচ্ছেন।
৩.এ সময় মিনারেলস এর পরিমান বাড়াতে হবে,সাধারন লবনের/NaCl খাওয়ানো একদম কমাতে হবে,বা বাধ দিতে হবে।সাধারন লবনের পরিমান বেশী হলে ওলানে ও নাভিতে পানি চলে আসবে ও যে কোন সময় পেটফাঁপা/ Acodisis হতে পারে.
৪.এ সময় কি কি বেশী দরকার?ক্যালসিয়াম,আয়রন,জিংক,ফসফেট,সেলেনিয়াম,
কোবাল্ট,ভিটামিন AD3E সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে হবে।মনে রাখবে এই পয়েন্ট টি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ জাতীয় খাবার কি কি এটা বুঝতে অনেক জ্ঞানের প্রয়োজন তাই এটা না জানলে বাজার থেকে এসব উপাদান পরিপূরক ঔষধ/খাবার দিতে হবে।
যেমন ,
DCP Powder,Calcium Syrup/
Renasol Vitamin AD3E Syrup,
Andox D,এমাইনোভিট প্লাস সিরাপ,আয়রন সিরাপ!
এ সব ঔষধ কি পরিমান খাওয়াবেন এটা উপজেলা ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে করবেন।
প্রসবের 21 দিন আগে থেকে Calcium Syrup বন্ধ করে বা একদম কমিয়ে দিবেন, এসময় তিন দিন পর একটু সিরাপ বা 50 গ্রাম ডিসিপি দিবেন!ডিবি পাউডার ও জিংক সিরাপ চলবে। প্রসবের পর জিংক সিরাপ বন্ধ থাকবে।
৫.প্রসবের 21 দিন আগে থেকে DCAD Minus নামক পাউডার খাওয়াতে হবে সকাল বিকাল! এটি না পাওয়া গেলে আয়ুমিন প্লাস লবন, আপেল সাইডার ভিনেগার,লেবুর রস, ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট /এপসম লবন লবন উপকারী। NaCl লবন বন্ধ করুন। কারন DCAD এ সব সব রকম দরকারী উপাদান আছে।
৬.বাসস্থান শোয়ার জায়গা নরম আরামদায়ক /মেট/বালু/জীবানুমুক্ত /মশামাছি মুক্ত/Disinfectant Chemical GPC8,FAM 30, ব্লিচিং,পটাশ,ফিটকিরি,ফিনাইল,গুড়া সাবান দিয়ে 100% পরিস্কার ও শুকনো রাখুন।এ সময় গাভী দিনে 18 ঘন্টার মত শুয়ে থাকবে;যদি এর চেয়ে কম শুয়ে থাকে তা হলে চিন্তা করুন এবং কারন/গাভীর অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজে বের করে এটা সমাধানের চেষ্টা করুন।সারাক্ষন বেধে রাখবেন না,এ সময় তাকে মুক্ত থাকেত দিলে সর্বাধিক উপকার পাবেন।
৭.প্রতিদিন কিছু পাকা কলা খেতে দিতে পারেন!!
এছাড়াও কিছু লাল শাক,পুইশাক,কলমিশাক,
অংকুরিত ছোলা বুট,লেবু,সজিনা পাতা,কাঁঠাল পাতা,ইপিল ইপিল,মিস্টি কুমড়া খেতে দিতে হবে।এতে প্রসব জটিলতা সহজে দূর হয়!
এ ভাবে আপনি কোন প্রকার অক্সিটোনিন হরমোন ব্যবহার না করেই সহজে গর্ভফুল বের হবে ইনশাআল্লাহ।
এ ভাবে চললে বাছুর প্রসবে কোন জটিলতা হবেনা এটা 100% নিশ্চিত থাকেন।
এমন ও হতে পারে কোন একদিন সকাল বেলা যেয়ে দেখবেন গাভীর পাশে বাছুর রাতে ভূমিস্ট হয়ে গাভীর দুধ খাচ্ছে নিজে নিজেই।
কৃষি ভিত্তিক তথ্যের জন্য পেইজটি ফলো দিয়ে রাখবেন ধন্যবাদ ✅🥀💚🌸🤝
তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখতে শেয়ার দিয়ে রাখুন ✅💚
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন