এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

গল্প পরীর রানী যখন বউ পর্ব " ০৮ #লেখক__মোঃ__নিশাদ 

 গল্প পরীর রানী যখন বউ

পর্ব " ০৮

#লেখক__মোঃ__নিশাদ 


 কিহহ তুমিকি সত্যি বলছো। 

ইয়ামিনি " হ্যাঁ সত্যি। 


 ইয়ামিনির কথায় ইউসুফ অবাক হয়ে বললো। আমার বিশ্বাসী হচ্ছেনা। স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব। 


-এটা বাস্তব স্বপ্ন না। তোমাকে আমার ভালোলাগে। আমি তোমাকে বিয়ে করবো। এখন থেকে তুমি আমার জ্বীন। 


ইয়ামিনির কথা শুনে ইউসুফ হ্যাঁ এখন থেকে আমি তোমার জ্বীন। 


ইয়ামিনি " চলো এখন আমাকে উড়িয়ে উড়িয়ে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাবা। 

ইউসুফ " কিভাবে আমিতো পারিনা। 


কেন পারবেনা। তুমিনা বললা তুমি আমার জ্বীন। জ্বীনরা তো উড়তে পারে। 


-আমিতো মজা করে বলছি। তুমি আমাকে বাড়িতে নিয়ে চলো। 


ইউসুফের কথায় ইয়ামিনি মুসকি একটা হাসি দিয়ে দুজনে ইউসুফের বাড়িতে চলে আসলেন। 


বাড়িতে আসার পর সেই রাতে ঘুমিয়ে গেলেন। 

পরেরদিন সকালে ইউসুফ ও ইয়ামিনি খাবার শেষে। 


ইয়ামিনি বললেন। 

আমাকে তো এখন বাড়িতে যেতে হবে। আমি আজকে বাড়িতে যাই। আবার কিছুদিন পর আসবো। 


ইয়ামিনির কথায় ইউসুফের মা বললেন। 

তুমিতো তোমার বাড়ির ঠিকানা দিলানা। ঠিকানাটা দিয়ে যাও আমি তোমাদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো। 


মায়ের কথায় তখন ইউসুফ বললেন। 

-মা তোমাকে না বলছি আমি সব খবর নিয়ে আসছো। আমিতো শহরেই যাচ্ছি ওনি আমার সাথে আসুক। আমি পথে ওনার কাছে সব ঠিকানা নিয়ে আবার পরের সপ্তাহে বাড়িতে এসে তোমাকে সব বলবো তখন না হয় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসো। 


ইউসুফের কথায় ওর মা রাজি হয় আর বলে ঠিক আছে। তাহলে সাবধানে যাস। তুমিও সাবধানে যেও মা আবার এসে কিন্তু। 


মায়ের কথায় ওনার কাছে বিদায় নিয়ে ইউসুফ ও ইয়ামিনি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সবার চোখের আড়ালে যায় আর ইয়ামিনি তখন ইউসুফকে নিয়ে আবার তাঁর রাজ্যে ফিরে আসে। 


জ্বীন রাজ্যে আসার পর ইউসুফ ইয়ামিনিকে বলে। 

এখন কি করবা৷ মা কে তো বলে আসলাম পরের সপ্তাহে তোমার বাড়ির ঠিকানা দিবো। পরে মা কে কি বলবো। 


তখন ইয়ামিনি বললো। এ নিয়ে তুমি চিন্তা করোনা। তুমি আমাকে ভালোবাসো তো তাইনা। আমিও তোমাকে ভালোবাসি। আমরা এই সাতদিনের মধ্যে বিয়ে করবো। আমি আজকেই আমার রাজ্যের সকল জ্বীন পরীকে খবর দিবো আর আমার প্রসাদের সামনে হাজির হতে বলবো। সবাই আসার পর আমি তোমার আর আমার বিয়ের ঘোষণা দিবো। 


ইয়ামিনির কথায় ইউসুফ জানালেন। আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু মা কে বলে মা যেনো আমার বিয়েতে থাকে এখন তোমার যেদিন ইচ্ছে সেদিনি বিয়ের আয়োজন করো। 


তখন ইয়ামিনি ইউসুফকে বললেন। তোমার মা আমাদের বিয়েতে থাকবে এটা নিয়ে চিন্তা করোনা৷ 


এই বলে ইয়ামিনি তাঁর পাহারাদার জ্বীনদের আদেশ করলেন। সকল জ্বীন পরীদের খবর দিতে, ইয়ামিনির কথায় তাঁর জ্বীনেরা রাজ্যের সকল জ্বীন পরীদের খবর দেয়। 

খবর পেয়ে সেদিনি সকল জ্বীন পরী চলে আসে ইয়ামিনির প্রাসাদের সামনে।


সবাই আসার পর ইয়ামিনি ইউসুফকে বললেন। ইউসুফ চলো বাহিরে চলো সবাই আসছে। আমি এখনি ঘোষণা করে দিবো তোমার আমার বিয়ের কথা। 


কথাটা বলে দুজনে বাহিরে এসে দেখলেন সেই রাজ্যের সবাই এসে জড়ো হইছে। 


সবাই আসায় ইয়ামিনি সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে যাবে তাঁর আগে তাঁর রাজ্যের বৃদ্ধা বয়স্ক জ্বীনেরা বলতে শুরু করলেন। তোমাকে কিছু বলতে হবেনা৷ আমরা খবর পেয়ে গেছি। আমাদের কিছু জানানোর আগেই আমরা বলতে চাই এটা আমরা মানিনা কখনও মানবোনা৷ 


ওঁদের কথায় ইয়ামিনি বললেন আপনারা কার উপর কথা বলছেন জানেন৷ আপনারা কি জানেন এর শাস্তি কি হতে পারে৷ 


তখন সেই বৃদ্ধা জ্বীনেরা বললেন, সব জানি৷ তুমি আমাদের রাজ্যের পরীর রানী৷ আমরা সবাই তোমার কথামত চলো নিয়ম মেনে চলি৷ আমরা তোমার সব কথা মানলেও এটা মানতে পারবোনা৷ তুমি আমাদের রানী হয়ে বিয়ে করবা একটা মানুষকে তাও আবার সাজা প্রাপ্ত একটা মানুষকে। 


ওঁদের কথায় ইয়ামিনি বললো৷ মানুষ বলে কি ভালোবাসতে ও বিয়ে করতে পারিনা। ইউসুফ ভালো ছেলে আমি ইচ্ছে করে ওর শাস্তি দিয়েছিলাম যেনো ও আমার কাছেই থাকে। 

মনে রাখবেন আমি পরীর রানী আমার মুখের উপর কথা বলার আগে ভেবে কথা বলবেন। 


আমরা ভেবেই কথা বলছি। তুমি ওকে বিয়ে করতে পারবেনা৷ তুমি পরীর রানী তোমার মাঝে বিশেষ ক্ষমতা আছে মানলাম কিন্তু আমরাও বয়স্ক জ্বীন আমাদের শক্তি ও অনেক। আমরা সবাই তোমার সাথে যুদ্ধ করলে তুমি পারবানা এটা ভালো করে জানো। তাই আমাদের কথায় রাজি হয়ে যাও। তুমি এই মানুষ ছেলেটাকে বিয়ে করতে পারবেনা৷ তোমার জন্য আমরা আমাদের পাশের রাজ্যের জ্বীন সর্দারের ছেলেকে পছন্দ করছি তোমার বিয়ে ওর সাথেই হবে। 


ওঁদের কথায় ইয়ামিনি বললো আমি কাকে বিয়ে করবো না করবো সেটা আপনারা বলার কে। আমি কি আপনাদের কথা শুনবো নাকি। 


শুনতে হবে। তোমাকে আমাদের কথা শুনতে হবে। তুমি আমাদের কথা না শুনলে তোমার এই মানুষ ভাালোবাসার মানুষটাকে আর ওর মা কে আমরা ধরে নিয়ে আসবো আর মে*রে ফেলবো। এটা সুধু আমাদের কথা না এখানে আসা সকল জ্বীন পরীদের কথা, কি সবাই আমার কথায় একমত তো। 


সেই বৃদ্ধা জ্বীনদের কথায় সকল জ্বীন পরী আওয়াজ করে বলতে লাগলেন হ্যাঁ হ্যাঁ আপনার কথায় ঠিক আমরা আপনার কথায় রাজি। 


সবার কথা শুনে ইয়ামিনি অবাক হয়ে বললেন। না এমনটা করবেন না আমরা একজন আরেকজনকে পছন্দ করি৷ আপনারা ইউসুফ ও ওর মা কে কিছু করবেন না। 


ঠিক আছে করবোনা। তুমি আমাদের কথামত কাল পাশের রাজ্যের জ্বীন সর্দারের ছেলেকে বিয়ে করো। তাহলে এদের কিছু করবোনা। 


তখন ইয়ামিনি বললো না৷ আমাকে অন্য কাউকে বিয়ে করতে বাধ্য করবেন না দয়া করে। 


তুমি ভুল করছো বলে বাধ্য করছি৷ শোনো আমরা তোমাকে কিছুক্ষন সময় দিলাম। তুমি এই ছেলেটাকে নিয়ে ভিতরে যাও। আর তোমার কি মতামত জানাও। 


ওঁদের কথায় কান্না ভরা চোখে ইয়ামিনি ইউসুফকে নিয়ে ভিতরে গেলেন। 

ভিতরে গিয়ে ইউসুফকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলেন ইয়ামিনি। কান্না করতে করতে বললেন। 


এখন কি করবো ইউসুফ। ওঁরা যে এভাবে আমাদের আলাদা করার চেষ্টা করবে ভাবতে পারিনি। 


ইয়ামিনির কথায় ইউসুফ বললেন আমিও তো ভাবতে পারছিনা। জানো খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার রাজ্যের সকল জ্বীন পরীরা তোমার বিরুদ্ধে কথা বলছে ওঁরা আমার ও আমার মায়ের ক্ষতি করবে বলছে। 


ইউসুফের কথায় ইয়ামিনি বললেন, তুমি ভয় পেওনা ইউসুফ। তুমি ও তোমার মা একদিন আমার জিবন বাচিঁয়েছিলে, আজ আমি আমার জিবনে কষ্ট নিয়ে এসে তোমার ও তোমার মায়ের জিবন ওদের হাত থেকে রক্ষা করবো। আমি চাইনা আমার জন্য তোমার ও তোমার মায়ের কোন ক্ষতি হোক৷ আমাকে মাফ করে দিও৷ আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা৷ আমি তোমাকে বিয়ের কথা বললে সবাই মিলে তোমাকে ও তোমার মা কে মেরে ফেলবে। তোমাদের বাঁচাতে আমাকে এটা করতে হচ্ছে। আমি তোমার কোন কথা শুনতে চাইনা তুমি এখানেই থাকো। আমি আসছি। 


এই বলে ইয়ামিনি ভিতর থেকে কান্না করতে করতে বাহিরে এসে সকল জ্বীন পরীকে উদ্দেশ্য করে বললেন। আমি আপনাদের কথায় রাজি৷ আমি ঐ মানুষ ছেলেটাকে বিয়ে করবোনা আমি আপনাদের কথামতো বিয়ে করবো আপনার সব ব্যাবস্হা করুন৷ 


ইয়ামিনির কথায় সকল জ্বীন পরীরা আওয়াজ করে উঠলেন আর বললেন ঠিক আছে কালকেই বিয়ে হবে তোমার কালকেই বিয়ে হবে। কথাটা বলে চলে গেলেন সবাই 


সবাই চলে যাবার পর ইয়ামিনি ভিতরে গিয়ে ইউসুফ বললেন ইউসুফ, জানিনা আজকের পর তোমার ও তোমার মায়ের সাথে আমার দেখা হবে কিনা। তোমার ও তোমার অল্প দিনের গভীর ভালোবাসা আমি কখনও ভুলবোনা৷ সব সময় ভালো থেকো। 


কথাটা বলে ইয়ামিনি ইউসুফের হাতে হাত রাখায় ইউসুফ বেহুশ হয়ে যায়। 


তারপর ________

Next______

কোন মন্তব্য নেই:

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...