এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

কোম্পান্নীর চাকরি

 এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।


সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত।


ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।


কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।


তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।


কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।


সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।


কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।


আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।


নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।


সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।


সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।


কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।


পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।


ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।


পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।


কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।


পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।


পরের সপ্তাহেই ওই হতভাগ্য পিঁপড়াকে ছাঁটাই করা হলো।

বেশিরভাগ অফিসে হয় 

ইজি কাজে বীজি বীজি কাজে লেজি।

যারা বেশি কাজ করে তাদের বেশি ভুল হয়, তাদের চাকুরী আগে যায়।


কালেক্টেড

সাকুরা পরিবহন সাইদাবাদ টু বরিশাল

#গাজিপুর (মালেকের বাড়ি) থেকে সায়দাবাদ - পদ্মাসেতু হয়ে বরিশাল চলাচল কৃত আমাদের (NON AC) বাসের সময়সূচিঃ


🔸 ০৫:৩০ সকাল || কোচ নং ১০৭ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল-বাকেরগঞ্জ - পটুয়াখালী - কলাপাড়া- কুয়াকাটা 💙


** আব্দুল্লাহপুর: ৬:৩০ মিনিট।

** নদ্দা: ৬:৫০ মিনিট।


🔸৬:৩০ সকাল || কোচ নং ১১১ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল- ঝালকাঠি - ভান্ডারিয়া - মঠবাড়িয়া💙 


** আব্দুল্লাহপুর: ৭:৩০ মিনিট।

** নদ্দা:


🔸৭:০০ সকাল || কোচ নং ১১৩ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল 💙


** আব্দুল্লাহপুর: ৮:০০ মিনিট।

** নদ্দা: ৮:১৫ মিনিট।


🔸৯:৩০ সকাল || কোচ নং ১১৯ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল💙


** আব্দুল্লাহপুর: ১০:৪৫ মিনিট।

** নদ্দা: ১১:১৫ মিনিট।


🔸 ৯:০০ রাত || কোচ নং ২০৭ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল-বাকেরগঞ্জ - পটুয়াখালী - কলাপাড়া- কুয়াকাটা 💙


** আব্দুল্লাহপুর: ১০:০০ মিনিট।

** নদ্দা: ১০:২০ মিনিট।


🔸৯:৩০ রাত || কোচ নং ২০৮ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল- ঝালকাঠি - ভান্ডারিয়া - মঠবাড়িয়া💙 


** আব্দুল্লাহপুর: ১০:৩০মিনিট।

** নদ্দা: 


🔸১০:০১ রাত || কোচ নং ২০৯ || মালেকেরবাড়ি/গাজিপুর 

গাজিপুর- আব্দুল্লাহপুর -খিলক্ষেত -নদ্দা / রামপুরা -সায়দাবাদ – বরিশাল💙


** আব্দুল্লাহপুর: ১১:০১ মিনিট।

** নদ্দা: ১১:১৬ মিনিট।


*** সময়সূচি পরিবর্তন যোগ্য ***

-------------------------------------------------🇧🇩

✅ টিকেট বুকিং এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য কল করুন:

 +8801729556677

 +8801844167650 

[ কাউন্টার শুধুমাত্র ইনস্ট্যান্ট টিকেট বিক্রি করে, বুকিংয়ের জন্য অবশ্যই কল সেন্টারে কল করুন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ টার মধ্যে ]


🌻 আব্দুল্লাহপুর কাউন্টারঃ +880 1844-167641

 https://maps.app.goo.gl/pM72zKiPkHrka1rM9


🌻 মালেকেরবাড়ি কাউন্টারঃ +880 1844-167640

 https://maps.app.goo.gl/vdQdS3KhphWrRCW39


*** আমাদের ওয়েবসাইট:

www.sakuraparibahanbd.com


আমাদের অফিশিয়াল ফেইসবুক গ্রুপ:

Sakura Paribahan (Pvt.) Ltd. ✅ 

‎‏‎‎‎‎‎‏‎‏‏‏‎‎‎‎‎‎‏‎‎‏‎‎‎‎‏‏‏‏‏‏‏

ধন্যবাদ, 

সাকুরা পরিবহন (প্রাঃ) লিঃ 

রহস্যময় ইলিশের জীবন কাল

 


রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! যাকে দেখা যায় না, ধরা যায় না!


ফিচার


শিবব্রত বর্মন


02 December, 2021, 11:10 pm


Last modified: 11 December, 2021, 12:49 pm


ইলিশের বিচরণ কেবল মেঘনার অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাগর থেকে তারা মিয়ানমারের ইরাবতী নদী এবং পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী-হুগলী নদীতে প্রবেশ করে। তা ছাড়া ইলিশের উপস্থিতি রয়েছে আরও সুদূরে। পূর্বের মেকং বদ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমের পারস্য উপসাগরেও দেখা মেলে তাদের।



আপনি যখন নিজ শহরের স্থানীয় বাজার থেকে একটি ইলিশ কিনবেন, সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল যে সেই মাছটি হবে নারী ইলিশ, যার পেটভর্তি ডিম। ইলিশের মৌসুমে আক্ষরিক অর্থেই দেশের কোণে কোণে প্রতিটি বাজার উপচে পড়ে নারী ইলিশে। অথচ পুরুষ ইলিশ যেন অমাবস্যার চাঁদের মতোই দুর্লভ।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর মাসে যখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলে, তখন প্রায় সমপরিমাণ নারী ও পুরুষ ইলিশই নদীর উজান পেরিয়ে আসে মিঠাপানিতে। তাহলে এই পুরুষ ইলিশরা সব যায় কই? কীভাবে তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে স্রেফ উধাও হয়ে যায়?

মধ্য-সেপ্টেম্বরে আমি যখন চাঁদপুরে দেশের সর্ববৃহৎ ইলিশের পাইকারি বাজারে হাজির হলাম, আমি এ ব্যাপারটা দেখে খুবই অবাক হলাম যে মাটিতে সারি বেঁধে থাকা সকল ইলিশই নারী ইলিশ। 


যে প্রশ্নটিকে সামনে রেখে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেটিই ছুড়ে দিতে থাকলাম সকল ব্যবসায়ীর সামনে : সব পুরুষ ইলিশ কোথায় গেছে?

কিন্তু এত বড় বাজারের একটি লোকও আমাকে এই রহস্যের মীমাংসা সম্ভব এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে পারল না। 

'আমরা পুরুষ ইলিশ নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমরা এতেই খুশি যে সবগুলো মাছই নারী ইলিশ, আর তাদের পেটভর্তি ডিম। ক্রেতারাও এমন ইলিশই চায়, তাই এগুলোই বিক্রি হয়,' বলেন মাছ ব্যবসায়ী মিরাজ আহমেদ। হাজী সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি ট্রেডিং হাউজ আছে। 



পরিণত নারী ইলিশ। ছবি: ওয়ার্ল্ড ফিশ


এদিকে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে ওয়ার্ল্ডফিশ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সেখানকার ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'ইকোফিশ প্রকল্প থেকে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে একটি ইলিশের ঝাঁকে নারী পুরুষের অনুপাত থাকে ৫৫:৪৫।'

তাহলে আমরা চারদিকে কেবল নারী ইলিশই দেখি কেন? কয়েক বছর আগে একই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় আব্দুল কাইয়ুম নামের আরেক সাংবাদিক ও পপুলার সায়েন্সের লেখককেও। তিনি চেষ্টা করেন রহস্যভেদের।

কাইয়ুম বলেন, 'বেশ কয়েকজন জেলে ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পারি, পুরুষ ইলিশ আসলে আমরা যতটা ভাবি ততটা বিরল নয়। জেলেরা তাদের জালে পুরুষ মাছও ধরে, কিন্তু কোন মাছটি পুরুষ আর কোনটি নারী, তা তারা আলাদা করতে পারে না, কেননা পুরুষ ইলিশের কোনো জননাঙ্গ নেই।'

ড. ওয়াহাব বলেন, 'নারী ইলিশরা যেভাবে পানিতে তাদের ডিম ছাড়ে, পুরুষ ইলিশরা পানি ঠিক সেভাবেই ছাড়ে তাদের বীর্য। আর এই দুটি জিনিস প্রায় একই রকম দেখতে। শুধু এটুকুই ব্যতিক্রম যে, পুরুষ ইলিশদের ভেতরে ডিম থাকে না, কিন্তু সে কথা ডিম ছাড়া নারী ইলিশদের বেলায়ও প্রযোজ্য।'



ইলিশের ডিম। ছবি: ওয়ার্ল্ড ফিশ


তাই কেবল একজন বিশেষজ্ঞের চোখই বলতে পারে কোন ইলিশ পুরুষ। ঠিক তেমনই একজন বিশেষজ্ঞ হলেন ইকোফিশের চাঁদপুরভিত্তিক গবেষণা সহযোগী কিঙ্কর সাহা। 

কিঙ্কর বলেন, 'বেশ কয়েক বছর আগে একটি গবেষণার কাজে আমি ছিলাম চর ভৈরবের একটি মাছধরা নৌকায়। পানি থেকে জাল গোটানোর পর জেলেরা সবাই খুব মর্মাহত হয়ে পড়েন। জালে আটকা পড়া মাছগুলো ছিল আকারে ছোট এবং এরা দেখতেও ছিল তুলনামূলকভাবে দুর্বল, ক্ষীণকায় ও অনাকর্ষণীয়। একটু ভালোভাবে খেয়াল করতেই আমি বুঝলাম, সেখানকার প্রায় ৬২ শতাংশ মাছই ছিল পুরুষ। এটি ছিল প্রধানত একটি পুরুষ ইলিশের ঝাঁক, যা বেশ বিরল একটি ব্যাপার, কেননা একটি মাছের ঝাঁকে সাধারণত ৪০-৪৫ শতাংশ ইলিশ পুরুষ হয়ে থাকে।'

চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. আনিসুর রহমান বলেন, 'নারী ইলিশের মাঝে যে দীপ্তি দেখা যায়, পুরুষ ইলিশের ভেতর তা অনুপস্থিত। তারা দেখতে কদাকার না হলেও কিছুটা অনাকর্ষণীয় তো বটেই।'

গতানুগতিক মাছের বাজারে তাই আর এসব পুরুষ ইলিশের ঠাঁই হয় না। জেলেরা সেগুলোকে আলাদা করেন এবং পাঠিয়ে দেন লবণ মাখিয়ে শুকানোর জন্য। স্থানীয় কৌশলে সংরক্ষিত এসব ইলিশকে বলা হয় 'নোনা ইলিশ'। 

ড. ওয়াহাব এভাবে ব্যাখ্যা করেন, স্যামন, স্মেল্ট, হিকরি শ্যাড, ল্যাম্প্রে এবং গালফ স্টার্জনের মতো ইলিশও একটি অ্যানাড্রোমাস মাছ, যারা একটি বিশেষ ধরনের জীবনচক্র অনুসরণ করে থাকে। তাদের জন্ম হয় মিঠাপানিতে। এরপর অভিবাসিত হয়ে আট মাস তারা সমুদ্রে চলে যায় এবং সেখানেই কৈশোর পেরিয়ে পরিণত মাছ হয়ে ওঠে। তারপর তারা আবার মিঠাপানিতে ফিরে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে। 


যে প্রশ্নটিকে সামনে রেখে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেটিই ছুড়ে দিতে থাকলাম সকল ব্যবসায়ীর সামনে : সব পুরুষ ইলিশ কোথায় গেছে?

কিন্তু এত বড় বাজারের একটি লোকও আমাকে এই রহস্যের মীমাংসা সম্ভব এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে পারল না। 

'আমরা পুরুষ ইলিশ নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমরা এতেই খুশি যে সবগুলো মাছই নারী ইলিশ, আর তাদের পেটভর্তি ডিম। ক্রেতারাও এমন ইলিশই চায়, তাই এগুলোই বিক্রি হয়,' বলেন মাছ ব্যবসায়ী মিরাজ আহমেদ। হাজী সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি ট্রেডিং হাউজ আছে। 

আপনি যখন নিজ শহরের স্থানীয় বাজার থেকে একটি ইলিশ কিনবেন, সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল যে সেই মাছটি হবে নারী ইলিশ, যার পেটভর্তি ডিম। ইলিশের মৌসুমে আক্ষরিক অর্থেই দেশের কোণে কোণে প্রতিটি বাজার উপচে পড়ে নারী ইলিশে। অথচ পুরুষ ইলিশ যেন অমাবস্যার চাঁদের মতোই দুর্লভ।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর মাসে যখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলে, তখন প্রায় সমপরিমাণ নারী ও পুরুষ ইলিশই নদীর উজান পেরিয়ে আসে মিঠাপানিতে। তাহলে এই পুরুষ ইলিশরা সব যায় কই? কীভাবে তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে স্রেফ উধাও হয়ে যায়?

মধ্য-সেপ্টেম্বরে আমি যখন চাঁদপুরে দেশের সর্ববৃহৎ ইলিশের পাইকারি বাজারে হাজির হলাম, আমি এ ব্যাপারটা দেখে খুবই অবাক হলাম যে মাটিতে সারি বেঁধে থাকা সকল ইলিশই নারী ইলিশ। 

এদিকে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে ওয়ার্ল্ডফিশ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সেখানকার ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'ইকোফিশ প্রকল্প থেকে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে একটি ইলিশের ঝাঁকে নারী পুরুষের অনুপাত থাকে ৫৫:৪৫।'

তাহলে আমরা চারদিকে কেবল নারী ইলিশই দেখি কেন? কয়েক বছর আগে একই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় আব্দুল কাইয়ুম নামের আরেক সাংবাদিক ও পপুলার সায়েন্সের লেখককেও। তিনি চেষ্টা করেন রহস্যভেদের।

কাইয়ুম বলেন, 'বেশ কয়েকজন জেলে ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পারি, পুরুষ ইলিশ আসলে আমরা যতটা ভাবি ততটা বিরল নয়। জেলেরা তাদের জালে পুরুষ মাছও ধরে, কিন্তু কোন মাছটি পুরুষ আর কোনটি নারী, তা তারা আলাদা করতে পারে না, কেননা পুরুষ ইলিশের কোনো জননাঙ্গ নেই।'

ড. ওয়াহাব বলেন, 'নারী ইলিশরা যেভাবে পানিতে তাদের ডিম ছাড়ে, পুরুষ ইলিশরা পানি ঠিক সেভাবেই ছাড়ে তাদের বীর্য। আর এই দুটি জিনিস প্রায় একই রকম দেখতে। শুধু এটুকুই ব্যতিক্রম যে, পুরুষ ইলিশদের ভেতরে ডিম থাকে না, কিন্তু সে কথা ডিম ছাড়া নারী ইলিশদের বেলায়ও প্রযোজ্য।'

ইলিশের বিচরণ কেবল মেঘনার অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাগর থেকে তারা মিয়ানমারের ইরাবতী নদী এবং পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী-হুগলী নদীতে প্রবেশ করে। তা ছাড়া ইলিশের উপস্থিতি রয়েছে আরও সুদূরে। পূর্বের মেকং বদ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমের পারস্য উপসাগরেও দেখা মেলে তাদের।



অনুপ্রেরণা

 অনুপ্রেরণা.... 

সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। যা হয়তো আমরা কেউ শুনেছি, কেউ শুনিনি।


১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তার মানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!


২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থিরভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!


৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমরা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি। কারন দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল। খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।


গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়


চতুর্থ অধ্যায়ঃ এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!

শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল। তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু'জনই একসাথে জয়ী হল।


আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।


- Collected

সকাল সাতটার সংব্ বাদ শিরোনাম ৩/১০/২০২২

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(০৩-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে ওয়াশিংটন থেকে দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


* আওয়ামীলীগ আমলে সংখ্যালঘুদের অনিরাপদ প্রমাণ করতে চায় একটি অশুভ শক্তি  - এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহবান দলের সাধারণ সম্পাদকের। 


* দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের শোকের অংশীদার হওয়াই আওয়ামী লীগের আদর্শ - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর । 


* সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহাঅষ্টমী। 


* ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ম্যাচে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪। 


* এবং সিলেটে এশিয়া কাপ নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সকাল ৯টায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশের নারীরা ।

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

দাড়ি রাখার লাভ

🎀দাড়ি রাখার লাভ🎀


💌১) দাঁড়ি রাখলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) খুশি হন!

💌২) দাঁড়ি রাখা দ্বারা সকল নবীগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়!

💌৩) দাঁড়ি রাখলে নবীজির শাফায়াত লাভ হবে।

💌৪) দাঁড়ি রাখলে কবরের আযাব মাফ হবে।

💌৫) দাঁড়িওয়ালার প্রতি মানুষের ধারণা ভাল থাকে এবং সে মানুষের দোয়া পায়।

💌৬) অপরিচিত স্থানে দাঁড়িওয়ালা মুসলমান মারা গেলে, মুসলমানকিনা চেনার জন্য উলঙ্গ করে খাতনা দেখতে হয় না।

💌৭) দাঁড়িতে চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ে এবং বীরত্বের পরিচয় বহন করে।

💌৮) কিয়ামতের অন্ধকারে মুমিনের দাড়ি নূরে পরিণত হবে।

💌৯) ঈমান-আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎ ও হাশর হবে।

💌🌷🌷১০) দাঁড়ি রাখলে অনেক পাপ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

💌১১) দাঁড়ি ইসলামী সভ্যতার অন্যতম প্রতীক।

💌১২) দাড়ি রাখলে মুনকার- নাকীরের সুওয়াল- জাওয়াব সহজ হয়।

💌১৩) লম্বা দাঁড়ি স্বাস্থের ক্ষতিকর জীবানু গুলোকে গলা ওসিনাতে পৌঁছতে দেয় না।

💌১৪) দাঁড়ি গলাকে শীত ও গরমের বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।

💌১৫) দাঁড়ির অস্তিত্ব যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে,যা ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত।

💌১৬) দাঁড়ি রাখলে পাইরিয়ার মত মারাত্বক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

💌১৭) দাঁড়ি রাখলে সেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় থেকে বাঁচা যায়।

🌹🌹১৮) দাঁড়ি দ্বারা গুণাহে জারিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

💌💌১৯) দাঁড়ি রাখার দ্বারা শারীরিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।

🌷🍀🍀২০) দাঁড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড লাগালে, চোখের রগের উপর আঘাত লাগে। ফলে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। তাই দাড়ি রাখলে এই ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। 

🌷🌷২১) বেদ্বীনদার, ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ,মেয়েরা দাঁড়ি পছন্দ করে না।তাই আপনি খারাপ মেয়েদের থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

💌💌২২)দাঁড়ি রাখলে বিয়ের জন্যে পাএী দেখতে গেলে সহজে বুজতে পারবেন মেয়ে মেয়ের ফ্যমিলি দ্বীনদার কিনা।কাঁরন বেদ্বীনদার মেয়েরা দাঁড়ি পছন্দ করে না।

(বুখারি শরীফ ১৩৫৬, মুসলিম, শরীফ ২২৪২,নাসাইদ ৩৫৪)

🌹হে আল্লাহ আমাদের কে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। 

আমীন

কপি 
পেস্ট

কিছু ইংরেজী শর্ট ডায়লগ

কিছু ইংরেজি শর্ট ডায়ালগ! ❤️

🎯 What’s up – কি খবর?

🎯 Carry on – চালিয়ে যাও!

🎯 Wow – বাহ, দারুন তো!

🎯 My goodness! – একি!

🎯 How come – কি ব্যাপার?

🎯 What a mess! – কি এক ঝামেলা!

🎯 Oh shit! – ধ্যাত্তেরি!

🎯 Yes, go on – হ্যাঁ, বলতে থাকো!

🎯 Oh dear! – বলো কি!

🎯 Hi guys – হ্যালো বন্ধুরা!

🎯 Good job! – সাবাশ!

🎯 So what? – তাতে কি?

🎯 Oh, no! – এ হতে পারেনা!

🎯 Pay attention! – মনোযোগ দাও!

🎯 Definitely – অবশ্যই!

🎯 Let it pass – ছেড়ে দাও!

🎯 Obviously – অবশ্যই!

🎯 I’m off – আমি গেলাম।

🎯 It’s your turn – এবার তোমার পালা!

🎯 As if – যেন, কি যে হতো!

🎯 What a surprise!- হটাৎ যে!

🎯 Go to the devil! – গোল্লায় যাক!

🎯 What about you? – তোমার খবর কি?

🎯 so so – মোটামোটি

🎯 So be it – তবে তাই হোক

🎯 Who cares! – কার কি যায় আসে!

🎯 I’m at a loss – কি বলব ভেবে পাচ্ছিনা!

🎯 It is you, I see! – আরে তুমি যে!

🎯 Excuse me – এই যে শুনুন!

🎯 Not a bit – একটুও না

🎯 That’s fantastic – এটা সত্যি চমৎকার!

🎯 How strange! - কি অদ্ভুত


🔻 পড়া শেষে "Done" লিখতে ভুলবেন না। 💙


💥 ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

ভাবুকদের ভাবনা ফেইসবুক গল্প

লেখাঃ ডা: আব্দুর রব


পুরুষ মানুষের মন খারাপের অনেক কারন থাকে। টাকা পয়সা তার একটি। এই জিনিষ টা ছাড়া পুরুষ হয়ে যায় হাঁফ লেডিস। 


ইন্টার্নীতে থাকার সময় যশোর থেকে এক টি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাত্রীর ধনী বাবা আমাদের বাড়ী দেখতে এসে বাড়ির পথ থেকে পালিয়েছিল, ভিতরে আর আসে নি। এই বয়সে বিয়ের কোন আগ্রহ ছিল না আমার, সেটা চাইও নি, পাত্রীকেও চিনি না। তবুও একটা অদ্ভুত কষ্ট হয়েছিল সেদিন। কষ্টটা আমার জন্য নয়। আমাদের গোলপাতার বাড়িটার জন্য।

....

এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল সেদিন। চেহারা শুকিয়ে গেছে, চোখ কোটরে ঢুকেছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল, কোর্ট ম্যারেজ। পরিবার মেনেও নিয়েছিল। নবম মাসের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স হয়েছে উনি নিজেও জানতেন না। খবর টা শুনেছে অন্যের কাছে। একটা বিশাল অপরাধ করেছিলেন উনি::: জুলাইতে এফসিপিএস চান্স হয় নাই, বিসিএস প্রিলি হয় নাই। 

বিসিএস রিটেন দেওয়া রংপুর মেডিকেলের এক ছেলের সাথে নতুন করে শুরু করেছে মেয়েটা। 


কারো চাই টাকা, আর কারো চাই স্ট্যাটাস। ভালবাসা এখানে শ্বান্ত্বনা ।

ভাইটাও এখন শ্বান্তনা পায়। মেয়েটির উপর তার কোন অভিযোগ নেই। " ও ভেবেছিল আমি ভাল মেডিকেলে পড়ি, অনেক ব্রিলিয়ান্ট কেউ। আমি যে গড় পড়তামানের স্টুডেন্ট পরে বুঝেছে । বোঝার পর চলে গেছে। ওর কোন দোষ নেই।" এভাবেই বলেছিলেন উনি। 

.....

আপনি পুরুষ মানুষ হয়েছেন, আর আপনার বিসিএস নাই, এফসিপিএস নাই আবার টাকাও নাই। ভুলেও নিজেকে পুরুষ ভাববেন না। যেদিন বউ চলে যাবে সেদিন ই বুঝবেন নিজেকে ভুল জেনেছেন। 'ভালবাসার সাথে টাকার সম্পর্ক নেই' এই কথা যে বলে তার দুই গালে কষে থা#*ড় দিন। নিকৃষ্টতম মিথ্যাটি সে আপনাকে বলেছে।

....

টাকা সবারই লাগে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি থাকে পুরুষের পকেটে। এর ওজন ও ব্যাথা প্রতিটা পুরুষকে বইতে হয়। টাকা না থাকলে কোন মেয়ে অমানুষ হয়ে যায় না, কিন্তু একটি পুরুষ মহিলা হয়ে যায়।

টাকা আসে, আবার চলে যায়। মাঝ থেকে ভালবাসাটা নিয়ে গেলে আর কষ্টের সীমা থাকে না।

....

গতকাল ওয়ার্ডে দুই জন রুগী খারাপ ছিল। 27 বছরের এক মেয়ে , Sub Arachnoid haemorrhage ... ICU এর জন্য. councelling. করেছিলাম। টাকা দিয়ে হয়ত সুখ কেনা যায়, জীবন তো আর কেনা যায় না। তবুও আমাদের টাকাই সব।

..

যতবার বিয়ের কথা উঠেছে, ততবার ই আমি ভয় পেয়েছি। টাকা আমাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তাই বিয়ে - ভালবাসার কথা শুনলে ভয় পাই। ফার্স্ট ইয়ারে কেরানীগঞ্জ এর ওপারে যখন দেড় হাজার টাকার টিউশুনি করতাম, নদী পার হওয়ার ছয় টাকা আমার থাকত না। আধা কিলোমিটার হেটে ব্রিজ পার হতাম। আর আজ হাজার হাজার টাকা আয় করেও দেখি ঈদে বাড়ি যাওয়ার টাকা থাকে না। জীবন আসলে একই থাকে, শুধু সময় আর চক্র টা বদলায়। 

... 

একজন বিখ্যাত প্রফেসরের সাথে কথা বলতেছিলাম। উনি যখন ইন্টার্নীতে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তখন দুই হাজার টাকা ঘাটতি থাকত। এখন বিশ লাখ টাকা আয় করেও দুই লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। কাকে কি বলব??

...

সতের শ টাকায় যখন মাস চলত। তখনও পকেটে একটা টি শার্ট কেনার মত টাকা থাকত না। আর আজ নিজের খরচই হয় ষোল হাজার টাকা। আজও টি শার্ট কেনার টাকা নাই। 

...

আমি এই হিসেব বুঝি না। 

নীল ক্যাফের ভালোবাসা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

হুট করে চাকরি চলে গেলো।ভাবলাম বেকার বসে না থেকে কিছু একটা করি।তাই টিউশনি শুরু করলাম।পাড়ার এক বড় ভাইয়ের থেকে ঠিকানা নিয়ে এক বাসায় গেলাম ইন্টারভিউ দিতে।আন্টি বলল,


-শোন,সপ্তাহে কিন্তু ছ'দিন পড়াতে হবে।ফাঁকি দেওয়া চলবে না।


-জ্বী আন্টি ছয় দিনই পড়াব।


-আর হ্যা,বাচ্চার সাথে কিন্তু উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না।আগের টিচার কে কিন্তু উচ্চস্বরে কথা বলার জন্য বাদ দিয়েছি।


আমি মিষ্টি করে হেসে বললাম,


-আন্টি, বাচ্চারা তো ফুলের মতো।সেই ফুলের সাথে যারা রূঢ় আচরণ করে তো ছোটলোকরা।আপনি চিন্তা করবেন না আমি ওর সামনে জোরে নিশ্বাসও নিব না।


একথা বলার পর দেখলাম আন্টির মুখটা একটু কালো হয়ে গেলো।সাথে সাথে আর মুড চেঞ্জ করে বলল,


-আর শোন,ভুল করেও কিন্তু গাঁয়ে হাত তোলা যাবে না।


-কি যে বলেন আন্টি,গাঁয়ে হাত?আমি তো ওর গাঁয়ে ফুলের টোকাও দেব না।আমি বাচ্চাদের গাঁয়ে হাত তোলার তীব্র নিন্দা জানাই।


এরকম আরো অনেক কন্ডিশন দিলেন।বাচ্চার ক্লাসে রোল তিন,আগে দুই ছিলো।প্রাক্তণ টিচার পড়ানোর পর এক বেরে গেছে।আমি যেন ভালো করে পড়াই,রোল যেন এক হয় ব্লা ব্লা ব্লা।সব শেষে মুল কথায় আসলেন।তিনি বললেন,


-যেহেতু তুমি সপ্তাহে ছয় দিন পড়াবা সেহেতু তোমাকে আগের টিচারের চেয়ে ডাবল সম্মানি দেব।সে সপ্তাহে তিন দিন পড়াত।


কথাটা শুনে মনটা ভরে গেলো।মনে মনে হিসেব করে নিলাম আগের টিচার দুই হাজার পেলে আমি চার হাজার পাব।পাঁচ'শ এক হাজার কম হলেও সমস্যা নাই।আগের টিচার কত টাকা নিত জানতে খুব ইচ্ছে করছিলো কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে আর জিজ্ঞেস করলাম না।পরে ছোটলোক ভাবতে পারে।


সব কথা শেষে আন্টিকে বললাম,ঠিক আছে আন্টি কাল থেকে পড়াতে আসব।বলে সেদিনের মতো বিদায় নিলাম।পরের দিন থেকে পড়ানো শুরু করলাম।ছাত্র ব্রিলিয়ান্ট।ক্লাস টু তে পড়ে।আমাকে কিছু পড়াতে হয় না।সব সে নিজেই পারে।ওর টিউশনির কোন প্রয়োজনই নাই।এক মাস পর পড়ানোর মাঝখানে এসে আন্টি হাতে একটা খাম দিলো।


খামটা বেশ মোটা আর ভারি।ছাত্রের সামনে আর খুললাম না।বাসায় এসে খুলতেই অনেকগুলো পঞ্চাশ টাকার নোট বের হলো।নোট গুলো হাতে নিয়ে যখনই গুনলাম আই এম তো অবাক।পাঁচ'শ টাকা মাত্র।পরের দিন গিয়ে ছাত্র কে জিজ্ঞেস করলাম আগে তাকে কে পড়াতো? সে বলল,


-আগে বাবা আমাকে পড়াত।ক্লাসে আমরা তিন জন সমান মার্কস পেয়েছি তাই ম্যাম লটারির মাধ্যমে রোল সিলেক্ট করেছে।অন্যদের থেকে কেন আমি এক নম্বর বেশি পাই নি তাই বাবার চাকরি চলে গেছে।বাবা আর্স এর ছাত্র তাই বাবাকে আড়াই'শ টাকা দিত।তুমি সাইন্সের তাই তোমাকে ডাবল।


এক কথা শুনে আয়াতুল করসী পরে বুকে ফুঁ দিলাম।ভাগ্যিস শুনেছে আমি সাইন্সের ছাত্র,কিন্তু ক্লাস টেন পর্যন্ত সাইন্সে ছিলাম এটা শোনে নাই।শুনলে হয় তো তিন'শর বেশি দিত না।টিউশনির বাজার এতো মন্দা কেন?নাকি আমি এই লাইনে আসায় শেয়ার বাজারের দাম পরে গেছে? 

মুসলিম বিবাহে কিছু কুসংস্কার

""বিয়েতে কুসংস্কার ও জঘন্য কিছু হারাম নিয়মঃ

যা আমাদের দেশে অহরহ ভাবে চলতেছে!!! 

_____________________________________


⭕ বিয়ের গোসল দেয় ভাবিরা, অথচ স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে গোসল দিতে দেয়া হয় না। হলুদ দিয়ে ভাবির হাতের গোসলের নামে চলে হারাম কাজগুলো।

⭕ বিয়ে করলেন আপনি, আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার হাত ধুয়ে দিবে আপনার শালি। বউকে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে আপনার বোনজামাই,ভাই, চাচাতো ভাই, বন্ধু ইত্যাদি । হারাম কাজে বৈধতা, অবাক নয় কি??!!!!

⭕ বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারাজীবন।

অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে করো। পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেমলীলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিনগুলোতে বেওয়ারিশ শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর, কাক আর শকুন মিলে ভাগাভাগি করে খায়।

.

⭕ বিয়ে করে বউকে খাওয়াবি কী?????

কথাবার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দুঃসাধ্য।

.

⭕ বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া। অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের, কন্যা পক্ষের নয়।

.

⭕ আমাদের দেশে বরপক্ষ যৌতুক নেয়, মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায়। অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রী মোহরানার হক্বদার, যৌতুক তো সম্পূর্ণ হারাম।

.

⭕ কতিপয় হুজুরের কথাবার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী। অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের ক্ষেত্রে) উত্তম।

.

⭕ বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকে না, অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।

.

⭕ পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে, আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে। অথচ বাস্তবতা???????

.

⭕ বিয়ের ব্যাপারে হাজারো বাধা-বিপত্তি থাকলেও ব্যাভিচার একেবারেই সহজলভ্য।

.

⭕ রাসূলুল্লাহ (সা.) তাক্বওয়া ভিক্তিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন, আর আমরা করছি চেহারা আর সম্পত্তি ভিত্তিক।


যার ফলে ঘটে নানান অসুবিধা। 

অবশ্যই মুসলমানদেরকে এই সমস্ত শরীয়ত বিরুধী নাফরমানী ত্যাগ করতে হবে। 


⭕ প্রিয় নবীর রেখে যাওয়া দ্বীনও ইসলাম এর আজ একি হয়েগেল মুসলমান আমাদের তো লজ্জা থাকা উচিত !


হে আল্লাহ এই মুসলিম উম্মাহ-কে সঠিক বুঝ দান করুন, 

আমিন ইয়া রাব্বি।


---সংগৃহীত 

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...