এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

সময় যারযার জীবনের হিসাবে বুঝিয়ে দেয়,,,,

 একটি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এমডি অবসরের ৫ বছর পর তার শহরের একটি শাখায় এসেছিলেন টাকা তুলতে।

কেউ তাকে সালাম দিলো না,


এগিয়ে এলো না, কারণ কেউ তাকে চিনতে পারেনি।

ব্যাংকটিতে যারা কাজ করছেন সবাই নতুন।


তিনি নিজেকে ঐ ব্যাংকের সাবেক এমডি হিসেবে পরিচয় দেন।

পরিচয় পাওয়ার পর একজন অফিসার তাকে চা অফার করেন

এবং কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেন, "অবসরের পর আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?”


সাবেক এমডি বলেন,"প্রথম ২/১ বছর খুব খারাপ লেগেছে।নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে।

এখন আমি বুঝতে পেরেছি, দাবা খেলা শেষ হওয়ার পরে রাজা এবং সৈনিকদের একই বাক্সে রাখা হয়।

পদ, পদবী, উপাধি, শান-শওকাত সবই অস্থায়ী।

মানুষের ভালোবাসাটা স্থায়ী, বিনয় ও সদাচরণ দিয়ে যা অর্জন করতে হয়।”


সময় যার যার জীবনের হিসেব বুঝিয়ে দেয়।

এই সত্যটা সময় থাকতে আমরা বুঝতে চাই না!

সংগৃহীত

কপি
পেস্ট 

তুরস্কে অনুষ্ঠিত উলামা সম্মেলনে,,,,,,,,,,, মোঃ কাশেম আফ্ফান ফেইসবুক থেকে কপি করা

 (‌আজ আমার নিজের একটি লেখার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  ছিল, তার চে  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পে‌য়ে আপনা‌দের জন্য শেয়ার দিলাম)


.

তুরস্কে অনুষ্ঠিত বিশ্ব উলামা সম্মেলনে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের ঈমানদীপ্ত ভাষন


তুর্কিয়েতে (তুরষ্কে) শুরু হয়েছে ‘ইউনিয়ন অফ মুসলিম স্কলারস’ সম্মেলন। এতে অংশ নিয়েছেন বিশ্ব বরেণ্য আলেম ও স্কলাররা। তুরস্কে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ই^মা'রা-তে ইসলামিয়া আ-ফ/গা-নি*স্তা=নের ৩ সদস্যের একটি দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যাদের মাঝে রয়েছেন ই^মা'রা\তে ই:স;লা^মি\য়া:র মুখপাত্র জা¡বি:হু;ল্লাহ্ মু'জা\হিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধান মুফতি মোহাম্মদ আক'ব/র আজীমি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ওয়ালিউল্লাহ শাহীন (হাফিজাহুমুল্লাহ)।


গত ১৫ অক্টোবর তুর্কিয়ে সময় সকাল ৯ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সম্মেলন শুরু হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে আফগানিস্তানের পক্ষে থেকে ঈমানদীপ্ত বক্তব্য রাখেন ই^মা'রা-তে ইসলামিয়া আ-ফ/গা-নি*স্তা=নের  মুখপাত্র মুহতারাম জাvবি'হু'/ল্লা/হ মুজাহিদ (হাফি.)।


জনাব মুজাহিদ তাঁর বক্তব্যে ইসলামী বিশ্বের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ব্যাপারে তিনি আলেমদের মহান দায়িত্ব ও তাদের কার্যকর ভূমিকার কথা তুলে ধরার পর বলেন, আ';ফ,গা/ন/রা তাদের আলেমদের নেতৃত্বে গত শতাব্দীতে একে একে তিনটি সাম্রাজ্যকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছেন। একই আলেমরা তিনবার ব্রিটিশদেরকেও এই ভূমিতে পরাজিত করেছেন। আলেমদের এই অভ্যুত্থান না হলে আমাদের দেশ আজও পরাধীন থাকতো।


সর্বশেষ আমেরিকা যখন ও*সা*মা*র (রহ.) অযুহাত দেখিয়ে আv/ফ;গা;নি/স্তা',নে নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেছিল, তখনও কিন্তু আলেমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। এবং দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লড়াই করেছেন, যতক্ষণ না আ,ফ/গা/নি,স্তা/নে স্থিতিশীল ফিরে আসে এবং প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়।


উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে  ই^মা'রা-তে ইসলামিয়া আ-ফ/গা-নি*স্তা=নের পূর্ববর্তী প্রশাসন থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে চলে আসা দুর্নীতিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করেছে, সমস্যা দূর করেছে এবং দেশে সম্পূর্ণ শান্তি এনেছে। এই মুহূর্তে আমাদের সব সরকারি কাজ আলেমদের নেতৃত্বে চলছে।


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, আমরা অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেছি। যার অধীনে ৫ লাখেরও বেশি বেসামরিক এবং ৩ লাখ সামরিক কর্মকর্তাদের অর্থায়ন করে যাচ্ছি। এতো কিছুর পরেও আমরা জনসেবা বন্ধ করিনি। বরং জনসেবা মূলক কাজও চলছে সমানতালে।


এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুসম্পর্ক চাই। আমরা চাই মুসলিম উম্মাহ যেন এক হয়। বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের বেদনা যেনো আমরাও অনুভব করি। তাদের দুঃখে দুঃখিত হই। আর এই পরিস্থিতিতে উম্মাহকে ঐক্যের ধারণা দেওয়া আলেমদের দায়িত্ব।


এরপর তিনি প্রশ্ন আকারে বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ, যারা এক ছাদের নীচে জড়ো হয়। আমেরিকার অনেক রাজ্য, যারা এক ছাতার নীচে থাকতে পারে, তাহলে আমরা কেন তা পারি না?” তাই আলেমদেরকে উম্মাহর সংস্কার ও পনরুজ্জীবিত করতে ভুমিকা পালন করতে।


সম্মেলনে জা,বি'হু'ল্লা,হ্ মু/জা.হি/দ আ^ফ\গা;নিস্তা/নে,র বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি আ,ফ/গা'নি@স্তা'নের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উপরে মেয়েদের জন্য স্কুল অবশ্যই খোলা হবে। আমরা মেয়েদের জন্য পাঠ্যক্রম সংশোধন, তাদের পরিবহন, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং তাদের জন্য একটি পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। যাতে করে আমরা মানসিকভাবে মানুষকে মেয়েদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতে পারি। আর এটি কয়েক মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের জন্য সম্ভব ছিলো না।


যেখানে আগের পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসনের অধীনে আ,ফ'গা'নি@স্তা@নে'র ৭০ শতাংশ মানুষ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিলো, সেখানে এখন শিক্ষার মাত্রা সারা দেশে পৌঁছে গেছে। ছেলেদের পাশাপাশি বর্তমানে দেশের ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক লাখ মেয়ে পড়াশুনা করছে। আলহামদুলিল্লাহ।


মেয়েদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উপরে আলাদা স্কুল খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি, জা'বি@হু'/ল্লা,হ্ মুজাহিদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আ,ফ'/গা@নি@স্তা@নের বর্তমান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে, জব্দ করা সম্পদ ফেরত দিতে এবং নিষেধাজ্ঞার অবসান করতে বলেছেন। এসময় তিনি স্বীকৃতি বিষয়ে বলেন, আzমে,রিকার মূল সমস্যাটা আমাদের সাথে না বরং ইসলামের সাথে। আমেরিকা আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না একারণে যে, আমাদের সরকার সম্পূর্ণ ইসলামিক সরকার। আর একটি সম্পূর্ণ ইসলামী সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হল ইসলামকে স্বীকৃতি দেওয়া। আর আমেরিকা তা কখনোই চায় না।


আশা করা যায়, জা,বি'হু/ল্লা@হ মু^জা/হি/দ (হাফি.)-এর এই ঈমানদীপ্ত বক্তব্য উম্মাহর মাঝে, বিশেষ করে সম্মানিত আলেমগণের মাঝে দায়িত্ববোধ এবং ঐক্যের সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ্‌।


আল ফিরদাউস নিউজ |  আলী হাসনাত | অক্টোবর ১৬, ২০২২


©

কপি
পোস্ট 

জাল হাদিস বিষয়ের চলমান বিতর্কের শেষ ফলাফল,,,,,, মেসবাহ উদ্দিন ফেইসবুকে থেকে কপি করা

 জাল হাদীস বিষয়ক চলমান বিত‌র্কে অধ‌মের শেষ কৈ‌ফিয়ত!


যুগে যুগে আল্লাহর অনেক ওলীদের মাধ্যমে জাল হাদীস সমাজে ছড়িয়েছে। মানুষকে হেদায়াতের পথে আনার মানসেও অনেক আল্লাহর ওলীরা জাল হাদীস বানাতেন। নিজের হেকমতের কথাকে হাদীস নামে চালিয়ে দিতেন। 

উদ্দেশ্য তাদের খারাপ ছিল না। কিন্তু পদ্ধতি গলদ ছিল। 

যুগের উলামাগণ সেসব হাদীস নামে বানোয়াট কথাকে চিহ্নিত করে নবীজীর পবিত্র কথাকে ব্যক্তির বানোয়াট কথার আবর্জনা থেকে হেফাজত করেছেন। 


সন্দেহ নেই। আমি একজন কম ইলমওয়ালা মানুষ। ভালো যোগ্যতাও নেই। কিন্তু ফারেগ হবার পর থেকে নিজের জাহালাত দূরিকরণে মেহনতের চেষ্টা করেছি। এখনো চেষ্টা করছি। আমি পেরেছি কিংবা পারছি এটা বলার মতো ক্ষমতা আমার নেই। আমি আসলে এখনো পর্যন্ত মৌলিক কোন কাজ করতে পারিনি। সেই যোগ্যতাই আমার নেই। আমি কেবল বড়দের কথাগুলো নকল করি। এতোটুকুই আমার কাজ। 


মাওলানা নজরুল ইসলাম কাসেমী সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কয়েক বছর ধরে তিনি অনলাইনে অনেক পপুলার মানুষ। বেশ কিছু মাহফিলে হযরতের সাথে দেখাও হয়েছে। সামান্য কথাও হয়েছে। 

হযরতের বয়ানের বিষয়ে সন্দেহ আমার প্রথম থেকেই। এমন আজগুবী সব কথা বলেন। যা শুনতে যে কোন আহলে ইলমের সন্দেহ হবেই। 


আমিতো আর আহলে ইলম নই। ছাত্র মানুষ। কিন্তু আমার তালেবানা জেহেনেও হযরতের কথাগুলো আটকে যেতো। এসব কী বলেন? এমন কথাতো জীবনেও শুনিনি। 


হযরতের বয়ান হঠাৎ করেই সেদিন আমাকে একজন পাঠায়। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে। শুনতে বসলাম। ইন্নালিল্লাহ। আমার মতো অজ্ঞ মানুষটাও স্তব্ধ হয়ে গেলাম হযরতের জাল হাদীসের ফিরিস্তি দেখে। 


আমি জানি তিনি দাওয়াতও তাবলীগে সময় লাগান। আমি নালায়েকও মাঝে মাঝে সময় দেবার চেষ্টা করি। এ কারণে আমি ভালো করেই জানি যে, দাওয়াত ও তাবলীগের ভাইরা উলামায়ে কেরামের বয়ান কী পরিমাণ মনোযোগ সহকারে শুনেন। এবং কিভাবে হরফ ব হরফ মুখস্ত করেন। 


আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন তাবলীগের সাথীকে জানি, যারা হযরতের কথাকে চাতকের মতো গ্রহণ করেন। গোগ্রাসে গিলেন। নিজের বয়ানে গর্বের সাথে ‘মাওলানা নজরুল ইসলাম কাসেমী সাহেব বলেছেন’ বলে রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। 


কাসেমী সাহেবের বয়ান দেখে আমি আঁতকে উঠলাম। এই যে বছরের পর বছর ধরে তিনি এভাবে নবীর নামে জাল কথা বলে আসছেন। ইউটিউবে শত শত ভিডিও আপলোড হচ্ছে। লাখ লাখ ভিউ হচ্ছে। কত শত হাজারো মানুষ এভাবে বানোয়াট কথাগুলোকে নবীর কথা বলে বিশ্বাস করছে। কী হবে এদের? এতো নতুন এক সাদপন্থী ফেতনা জন্ম লাভ করছে!


একটু খবর নিতে শুরু করলাম। এমন  ভয়াবহ জাল বর্ণনা বলার পরও কিভাবে তিনি বছরের পর বছর বয়ান করে যাচ্ছেন। আমাদের দেশে কি উলামাগণ নেই, যারা হযরতকে দরদের সাথে এ বিষয়ে সতর্ক করবেন?


খোঁজ নিয়ে জানলাম। আরো ভয়ানক তথ্য। হযরতকে কয়েক বছর ধরেই একাধিক বিজ্ঞ উলামাগণ এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সরাসরি করেছেন। কিন্তু তিনি কাউকে পাত্তা দেননি। কিতাবে আছে বলে এড়িয়ে গেছেন। 


তারপরও আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ফোন দেই। আমিতো এক নাখান্দা মানুষ।

 কিন্তু আল্লাহর রহমাতে দেশের যোগ্য উলামাগণও অধমকে স্নেহ করেন। ফোন দিলে ধরতে না পারলে ব্যাক করেন। মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী ও মুফতী হাবীবুল্লাহ মাহমূদ কাসেমীদের মতো ইলমী ও আমলী মানুষগুলো, যাদের সময়ের অনেক দাম। বলতে গেলে আমার মতো অথর্বকে সময় দেবার মতো সময়ই তাদের নেই। কিন্তু তারাও ফোন দিলে ধরেন। ধরতে না পারলে ব্যাক করেন। এটা আমার যোগ্যতার কারণে নয়। তারা বড় হবার সাথে সাথে বড় দিলের মানুষ হবার কারণেই এমন করে থাকেন। 


কিন্তু মাওলানা নজরুল ইসলাম কাসেমী সাহেবকে ফোন এবং মেসেজ দেবার পরও তিনি কোন সাড়া দেননি। তখন আমি বুঝে গেলাম যে, এত বছর ধরে যেহেতু তিনি বড়দের কথাই শুনেননি। আমার মতো অনুল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরতো কোন বেইল থাকারই কথা নয়। ‌তি‌নি যে, কা‌রো কথার পাত্তা দেন না এবং ইচ্ছেকৃত এসব জাল ও বা‌নোয়াট বর্ণনা ক‌রেন, তা আমা‌দের লেখা প্রকা‌শের পর তার প্রতি‌ক্রিয়ায় "‌তি‌নি এসব ব‌লেই যা‌বেন" ম‌র্মের উদ্ধত বক্ত‌ব্যে প‌রিস্কার হ‌য়ে গে‌ছে।


এ কারণেই মূলত আল্লাহর উপর ভরসা করে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসকে মানুষের কথার নোংরামী থেকে রক্ষা করতে লিখতে শুরু করেছি। 


মাকসাদ মালিকের সন্তুষ্টি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই‌হি ওয়াসাল্লা‌মের উপর মিথ‌্যা অপবাদ দেয়া থে‌কে জা‌তি‌কে সতর্ক করা। উদ্দেশ্য উম্মত যেন জাল হাদীসের আবর্জনা থেকে রক্ষা পায়।

 জানি সমালোচনা হবে। শত্রু বাড়বে। কিন্তু আমরাতো মুসলিম হিসেবে জন্ম নেবার পর থেকে নিজের জানমাল মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তাই মা‌লিক‌কে ছাড়া ভয় কি‌সের?


কয়েকটি বিষয় বুঝে নিন।


১ 

জঈফ তথা দুর্বল বর্ণনা ফযীলতের ক্ষেত্রে বলা যায়। এ কারণে মাওলানার বলা দুর্বল বর্ণনা বিষয়ে আমার কোন কালাম নেই। কিন্তু জাল তথা বানোয়াট বর্ণনার ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া জায়েজ নেই। তাই এ বিষয়ে কোন প্রকার দুর্বলতা প্রকাশ মানে হলো, নবীর কথার ইজ্জত রক্ষার উপর কোন ব্যক্তির ইজ্জতকে প্রধান্য দেয়া। 


 এটা শুধু মাওলানা নজরুল সাহেব নয়, আমার বাবাও যদি জাল হাদীস বলেন, আমি এমনি নির্দ্বিধায় বলবো "এটা জাল এটা বলা জায়েজ নয়। হারাম"। 


 দুঃখ পেয়েছি হযরত আমাদের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু তি‌নি "এসব ব‌লেই যা‌বেন" ঘোষণার সা‌থে সা‌থে জাল হাদীস নির্ণয়ের এক উদ্ভট দলীল তিনি আবিস্কার করেছেন। সেটা হলো:


ক) দলীল ওনার কাছ থেকে নিয়ে যেতে। 


জাল হাদীসের দলীল ওনার কাছ থেকে কী নেবো? জালতো জালই। এটার অস্তিত্বের আবার দলীল কী? হাদীস দুর্বল বললে, সেটার দলীল জানা দরকার। কিন্তু যেসব জাল এসবের আবার দলীল দিয়ে বিশুদ্ধ প্রমাণের সুযোগ কোথায়?


খ) ওনি হাদীস বলবেন। আর শ্রোতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন এটা খুঁজে দেখতে। এটা সহীহ না জাল।


ইন্নালিল্লাহ। যদি শ্রোতারা নির্ধারণ করতে পারে সহীহ কোনটা আর জাল কোনটা? তাহলেতো আর তারা শ্রোতা থাকতো না, তারা হযরতের মতো বক্তাই হয়ে যেতো। 


গ) যারা হযরতের কথাগুলোকে জাল বলছেন। এরা কেউ কিতাব পড়ে না। সারাদিন ফেইসবুক চালায়। হোয়াটসআ্যাপে চ্যাটিং করে। কিতাব পড়ে না। 


আমি আমার ক্ষেত্রে মানি। আমি আমলহীন মানুষ। ইলম ও নেই। ফালতু সময় নষ্ট ক‌রি তাই অ‌নেক ইলম থে‌কে ব‌ঞ্চিত। কিন্তু আ‌মি নালা‌য়েক, কা‌সেমী সা‌হে‌বের যে বিষয়গু‌লো‌কে জাল ও বা‌নোয়াট ব‌লে চি‌হ্নিত ক‌রে‌ছি, তি‌নি কি আমাদের দে‌শের বা ব‌র্হিবি‌শ্বের কোন ইফতা বা উলুমুল হাদীস বিভাগ থে‌কে এসব জাল নয় বা বয়ান করা জা‌য়েজ ম‌র্মের ফাতওয়া দেখা‌তে পার‌বেন?


ঘ) হযরতের দাবী তিনি যা বলেছেন সবই কিতাবে আছে। সুতরাং সমালোচনা করা অহেতুক। 


আস্তাগফিরুল্লাহ। আমরা কখন বললাম কিতাবে নেই। কিতাবে থাকলেই কি সেটা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়? প্রায় সকল জাল হাদীসইতো কোন না কোন কিতাবে আছে। এখন কিতাবে থাকলেই যদি হাদীস ঠিক হয়ে যায়, তাহলেতো দুনিয়াতে জাল হাদীসের কোন অস্তিত্বই থাকবে না। 

তাহলে জারাহ তা’দীলের এ বিশাল ভান্ডার কেন অহেতুক উলামাগণ কষ্ট করে একত্র করলেন?


হযরতের জাল বয়ানের সংক্ষেপ তালিকা!


 উম্মতে মুহাম্মদী জাহান্নামে যাবে। কিন্তু জাহান্নামের আগুনে পুড়বে না। চেহারা কালো হবে না। 

চূড়ান্ত জাল বক্তব্য। এর কোন ভিত্তি নেই। 


 নাফরমান বান্দার কাছে আল্লাহ তাআলা এসে ব্যক্তির জন্ম ও জন্মের বৃত্তান্ত নির্ভর বিশাল বর্ণনা কোন হাদীস নয়। হাদীসে কুদসী হবার প্রশ্নই উঠে না। 


 আগের সমস্ত নবীরা আমাদের নবীর উম্মত হতে চেয়েছেন বলা নবীদের নামে চরম মিথ্যাচার। 


 হযরত দানিয়াল আলাইহিস সালাম উম্মতে মুহাম্মদীকে ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছেন বলা ডাহা মিথ্যা। 


 হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উম্মতে মুহাম্মদীর আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়া দেখে হতভম্ব হয়ে গেছেন বলা বানোয়াট। 


 নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের দিন ফেরেশতাদের দুইদিন ছুটি ছিল বানোয়াট কথা। 


 নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের পর ছাদ ফেটে নবীকে পুরো পৃথিবী দুই মিনিটের মাঝে ঘুরিয়ে আনার কথা হাদীসে আছে বলা হাদীসের নামে জালিয়াতি। 


 নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের পর নবীজীর খেলনা নেই বলে হযরত আমিনার মন খারাপ দেখে আল্লাহর সান্ত্বনা দিয়ে আকাশের চাঁদকে খেলনা বানানোর কথা "তাখাইয়ুল" হি‌সে‌বে বলা যে‌তেও হয়‌তো পা‌রে, কিন্তু স্পষ্টভা‌বে "আল্লাহ ব‌লেছেন" বলা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ। 


 জিবরাইল আলাইহিস সালাম নবীর কাছে এসে হাটু লাগিয়ে বসা দেখে আল্লাহ তাআলা ঈর্ষান্বিত হয়ে আল্লাহ তাআলা নবীকে মেরাজে নিয়ে নিজের পাশে বসিয়েছেন বলা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ।


১০

 সমস্ত সৃষ্টির এক হাজার বছর আগে আল্লাহ তাআলা সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করেছেন। ইমাম যাহাবী রহঃ বলেন, এটা মুনকার। ইমাম ইবনে হিব্বান রহঃ বলেন এটা বানোয়াট কথা।


تلك عشرة كاملة 

মাত্র দশটা বললাম। আপনি শায়েখের যে কোন বয়ান ইউটিউব থেকে নামিয়ে বিজ্ঞ কোন আলেমকে শুনান। দেখবেন আরো কত জাল ও বানোয়াট কথা বিজ্ঞ উলমাগণ বের করে দিবেন। 


শেষ কথা


উম্মাহ দরদী মাওলানা নজরুল কাসেমীর আমরা বিরোধী নই। তিনি উম্মতের দরদেই কথা বলেন আমরা মানি। নবীকে মোহাব্বত করেই কথা বলেন তাও মানি। 

কিন্তু এ যুক্তিতে নবীর নামে মিথ্যা বলা বৈধতা পেয়ে যাবে না। উম্মতের দরদে নবীর উপর অপবাদ আরোপ জায়েজ হয়ে যাবে না। নবীকে মোহাব্বতের নামে মানুষের বানোয়াট কথাকে নবীর নামে চালানো গুস্তাখী ছাড়া কিছু নয়। 


তাই আমাদের এ অনলাইন প্রচারের মাকসাদ মূলত মাওলানাকে ছোট করা নয়। উম্মতকে জাল হাদীসের প্রচারক হওয়া থেকে বাঁচানো। যেন তারা সতর্ক হোন। লাখ লাখ মানুষ যেন জাল হাদীস ছড়িয়ে দিয়ে নবীর হাদীসের নামে মিথ্যাচারে মগ্ন না হয়। 


সাধারণ ভাইদের প্রতি আমাদের আহবান। মাওলানা নজরুল ইসলাম কাসেমী সাহেবের প্রতি কোন প্রকার বিদ্বেষ রাখবেন না। তার ব্যাপারে কোন কটূবাক্য উচ্চারণ করবেন না। 

বাকি এতটুকু সতর্ক করবো যে, হযরতের বয়ানকৃত হাদীস শুনেই বর্ণনা করতে থাকবেন না। বরং বিজ্ঞ কোন আলেমের মাধ্যমে তাহকীক করিয়ে তারপর তা বর্ণনা করবেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের দ্বীনের জন্য কবুল করুন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত উম্মত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে কবরে যাবার তৌফিক দান করুন। 

আমীন।

কপি
পেস্ট

সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২২/১০/২০২২ শমিনার

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(২২-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে আগামী সপ্তাহে পঞ্চাশটি শিল্প ইউনিট, প্রকল্প ও স্থাপনা উদ্বোধন করা হবে। 


* নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকার পরিবর্তন করার সুযোগ নেই - বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 


* বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার - বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। 


* সেপ্টেম্বরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ এক কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। 


* বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দেশে পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’। 


* পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। 


* এবং সিডনিতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে আজ - উদ্বোধনী খেলায় নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।

স্টিফেন হকিংয়ের ছেলে বেলা,,,,, প্রথম আলোর,,, কিশোর আলো থেকে কপি করা

 



স্টিফেন হকিংয়ের ছেলেবেলা


স্টিফেন হকিং | 

((((((((((হুইলচেয়ারে নিশ্চল বন্দী থেকেও তিনি পরিণত হয়েছিলেন আমাদের কালের অন্যতম সেরা পদার্থবিজ্ঞানীতে। আবার তিনিই লিখেছিলেন আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম-এর মতো বিজ্ঞানের সর্বকালের সেরা বেস্টসেলার বই। কিন্তু কীভাবে? এই প্রশ্নগুলো কয়েক দশক ধরেই সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। সাধারণের এই তীব্র কৌতূহল মেটাতে তাই স্টিফেন হকিং ২০১৩ সালে লিখেছিলেন মাই ব্রিফ হিস্ট্রি শিরোনামের এক আত্মজীবনী। বইটিতে তাঁর ছেলেবেলা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন তিনি। এখানে তাঁর বিজ্ঞানী জীবন আর ব্যক্তিজীবন একাকার হয়ে রয়েছে। সেই বইটির একটি অধ্যায় এখানে ছাপা হলো কিশোর আলোর পাঠকদের জন্য।))))))))))

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের এক বর্গাচাষি পরিবার থেকে এসেছিলেন আমার বাবা ফ্রাঙ্ক। তাঁর দাদা, অর্থাৎ আমার প্রপিতামহ জন হকিংকে বেশ সম্পদশালী কৃষকই বলা যায়। কিন্তু তিনি এত বেশি খামার কিনেছিলেন যে এই শতাব্দীর শুরুতে কৃষিমন্দার সময় তিনি দেউলিয়া হয়ে যান। ছেলে রবার্ট, অর্থাৎ আমার দাদা তাঁর বাবাকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেও দেউলিয়া হয়ে যান। চরম সৌভাগ্যই বলতে হবে যে বরোব্রিজে একটি বাড়ির মালিক ছিলেন রবার্টের স্ত্রী। সেই বাড়িতে একটি স্কুল চালাতেন তিনি। সেখান থেকে আয় হতো খুব সামান্যই। তবু কোনোমতে ছেলেকে অক্সফোর্ডে পাঠাতে পেরেছিলেন তাঁরা। সেখানে চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ে পড়ালেখা করেছিলেন তিনি।,,,,,,,,,,,,,,,,আমার বাবা আর মায়ের সঙ্গে আমি,,,,,,,,,,,,,,,ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্কলারশিপ ও পুরস্কার জিতেছিলেন আমার বাবা। তাই পিতা-মাতাকে টাকা পাঠাতে পারতেন। পরে তিনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার চিকিৎসাবিদ্যা (ট্রপিক্যাল মেডিসিন) বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণার অংশ হিসেবে ১৯৩৭ সালে পূর্ব আফ্রিকায় ভ্রমণ করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইংল্যান্ডে ফিরতে জাহাজ পেতে স্থলপথে ও কঙ্গো নদী ধরে পুরো আফ্রিকা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বাবা। দেশে ফিরে সামরিক বাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন তিনি। অবশ্য তাঁকে বলা হয়েছিল, চিকিৎসাবিদ্যায় গবেষণাই তাঁর জন্য বেশি কাজে আসবে।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, আমার মায়ের জন্ম স্কটল্যান্ডের ডানফার্মলাইনে। এক চিকিৎসক পরিবারের আট সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়েটি ডাউন সিনড্রোমে ভুগছিলেন। তাই এক তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে তাঁকে আলাদা রাখা হতো। ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই ছিলেন তিনি। আমার মায়ের যখন ১২ বছর বয়স, তখন ওই পরিবার ডেভনে চলে যায়। বাবার পরিবারের মতোই মায়ের পরিবারও তেমন সচ্ছল ছিল না। তারপরও কীভাবে যেন আমার মাকে অক্সফোর্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন তাঁরা। অক্সফোর্ডে পড়ালেখা শেষে বেশ কয়েকটি চাকরি করেছিলেন মা। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাক্স ইন্সপেক্টর, যা তিনি কোনোভাইে পছন্দ করতে পারেননি। সেক্রেটারি হওয়ার জন্য একসময় তিনি এই চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঠিক এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে আমার বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি, ফিলিপ্পা ও মেরি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমার জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। গ্যালিলিওর মৃত্যুর ঠিক ৩০০ বছর পর। আমি হিসাব করে দেখেছি, ওই দিন আরও প্রায় দুই লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। তবে তাদের কেউ পরে জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী হয়েছিল কি না, আমার জানা নেই।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমার বাবা-মা লন্ডনে থাকলেও আমি জন্মেছিলাম অক্সফোর্ডে। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান ও ব্রিটিশদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিটি ছিল, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজে জার্মানরা বোমা ফেলবে না। এর বিনিময়ে ব্রিটিশরা হাইডেলবার্গ ও গটিনজেনে বোমা না ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দুঃখের বিষয়, অন্য আরও শহরের জন্য এ ধরনের সুসভ্য প্রতিশ্রুতি আদায় করা যায়নি।,,,,,,,,,,,,, সাগরসৈকতে আমি আর আমার বোনেরা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমরা থাকতাম উত্তর লন্ডনের হাইগেটে। আমার জন্মের ১৮ মাস পর আমার বোন মেরির জন্ম। পরে শুনেছি, আমি নাকি তার জন্মটাকে ভালোভাবে নিতে পারিনি। দুজনের বয়সের ফারাক খুব কম হওয়ায় শৈশবজুড়েই আমাদের মধ্যে একধরনের বৈরিতা ছিল। তবে বয়সকালে যথারীতি এই বৈরিতা গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কারণ, পরবর্তী সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গিয়েছিলাম আমরা। সে চিকিৎসক হয়েছিল। তাতে আমার বাবা ভীষণ খুশি হয়েছিলেন।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,প্রায় পাঁচ বছর বয়সে চারপাশে কী ঘটছে, সেসব যখন বেশ বুঝতে শিখেছি, ঠিক তখন আমার বোন ফিলিপ্পার জন্ম। এখনো মনে আছে, তার জন্মের জন্য একসময় কেমন প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে বসে থাকতাম। ভাবতাম, তিন ভাইবোন হলে খেলাধুলায় অনেক মজা করতে পারব আমরা। শিশু হিসেবে ফিলিপ্পা ছিল খুবই আবেগপ্রবণ আর সমঝদার। সব সময় তার বিবেচনাবোধ আর মতামতের গুরুত্ব দিতাম আমি। আরও অনেক পরে দত্তক নেওয়া হয়েছিল আমার ভাই এডওয়ার্ডকে। আমার বয়স তখন ১৪। তাই আমার শৈশবে তার তেমন স্মৃতি নেই। পরিবারের অন্য তিন শিশুর চেয়ে একেবারেই আলাদা ছিল সে। পড়ালেখায় কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে তার কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু সেটাই হয়তো আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। সে একটু বেয়াড়া ধরনের শিশু হলেও তাকে পছন্দ না করে কোনো উপায় ছিল না। ২০০৪ সালে সে মারা যায়। কিন্তু কারণটা কখনোই সঠিকভাবে জানা যায়নি। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটি হচ্ছে এডওয়ার্ডের ফ্ল্যাটের সংস্কারের সময় লাগানো আঠা থেকে উদ্বায়ী গ্যাসের বিষক্রিয়াই তার মৃত্যুর কারণ।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সবচেয়ে ছোটবেলার যে স্মৃতিটি এখনো আমার মনে আছে, সেটি হলো হাইগেটে বায়রন হাউস স্কুলের নার্সারি ক্লাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছি আমি। আর আমার চারপাশে শিশুরা খেলছে। তাদের খেলনাগুলো দেখে অসাধারণ বলে মনে হচ্ছিল। অবশ্য আমিও তাদের সঙ্গে খেলায় যোগ দিতে চাইছিলাম। কিন্তু আমার বয়স তখন মোটে আড়াই বছর। আসলে সেবারই প্রথম একদল অচেনা মানুষের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে। তাতে খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি। আমার ধারণা, বাবা-মা আমার এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখে একটু অবাক হয়েছিলেন। কারণ, আমিই তাঁদের প্রথম সন্তান। সন্তান লালনপালনে তাঁরা শিশু বিকাশবিষয়ক কিছু পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করতেন। এসব বইতে বলা হয়েছিল, শিশুদের দুই বছর বয়সেই সামাজিক সম্পর্ক তৈরির জন্য তৈরি করা উচিত। কিন্তু ওই ভয়ংকর সকালের পর তাঁরা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর পরবর্তী দেড় বছর বায়রন হাউসের দিকে আর পা বাড়ানন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সে সময়, অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই হাইগেট এলাকায় বেশ কিছু বিজ্ঞানী আর শিক্ষাবিদ থাকতেন। এই বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের পাঠাতেন বায়রন হাউস স্কুলে। কারণ, সেকালে এটিই ছিল সবচেয়ে অগ্রসর স্কুল।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমার মনে আছে, এই স্কুল আমাকে কিছুই শেখাতে পারেনি বলে বাবা-মাকে আমি একবার অভিযোগ করেছিলাম। কোনো কিছু জোর করে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার সেকালের সর্বসম্মত কায়দায় বায়রন হাউসের শিক্ষকেরা বিশ্বাস করতেন না। বরং সেখানে কোনো কিছু না বুঝেই পড়তে শেখানো হতো। অবশেষে আমি এভাবেই পড়তে শিখেছিলাম, কিন্তু মোটামুটি ভালোভাবে শিখতে আট বছর বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। আমার বোন ফিলিপ্পাও প্রচলিত পদ্ধতিতে পড়তে শিখেছিল এবং চার বছর বয়সেই সে পড়তে পারত। পরে আমার চেয়ে বেশি মেধার স্বাক্ষর রেখেছিল সে।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,একটা লম্বা ও সরু ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের বাড়িতে থাকতাম আমরা। বিশ্বযুদ্ধের সময় খুবই সস্তায় বাড়িটি কিনেছিলেন বাবা-মা। সে সময় সবার আশঙ্কা ছিল, লন্ডনে বোমা হামলা হবে। আমাদের বাড়ি থেকে কয়েকটা বাড়ি পরে সত্যি সত্যিই একটা ভি-২ রকেট ফেলা হয়েছিল। মা আর বোনের সঙ্গে তখন আমি সেখান থেকে বেশ দূরে ছিলাম। কিন্তু বাবা সে সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন। ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, তিনি আঘাত পাননি। বাড়িটাও তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু অনেক বছর সেখানে রাস্তার নিচে বোমা পড়ার সেই জায়গাটি নির্দিষ্ট করা ছিল। ওই জায়গায় আমার বন্ধু হাওয়ার্ডের সঙ্গে খেলতাম আমি। ওদের বাড়িটি ছিল উল্টো দিকের রাস্তায়, ঠিক তিনটি বাড়ি পরেই। আমার কাছে হাওয়ার্ড ছিল দারুণ এক বিস্ময়। কারণ, আমার চেনাজানা অন্য ছেলেদের মতো বুদ্ধিজীবী ছিলেন না ওর বাবা-মা। সে কাউন্সিল স্কুলে যেত, বায়রন স্কুলে নয়। আবার সে ফুটবল ও বক্সিংসহ এমন এমন সব খেলা সম্পর্কে জানত, যেগুলোর কথা আমার বাবা-মা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ছোটবেলায় আমার আরেকটা স্মৃতি আছে প্রথম ট্রেন সেট পাওয়ার ঘটনা নিয়ে। যুদ্ধের সময় খেলনা বানানো হতো না। অন্তত দেশের বাজারের জন্য তো নয়ই। কিন্তু খেলনা ট্রেনের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল আমার। বাবা একবার আমাকে একটা কাঠের ট্রেন বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটি আমার একটুও ভালো লাগেনি। কারণ, আমি এমন কিছু চেয়েছিলাম, যেটা নিজে নিজেই চলতে পারবে। কাজেই তিনি কোথা থেকে যেন একটা সেকেন্ডহ্যান্ড চাবিটানা ট্রেন পেয়েছিলেন। ট্রেনটা ঝালাইয়ে ঠিকঠাক করে এক বড়দিনে উপহার দিয়েছিলেন আমাকে। আমার বয়স তখন প্রায় তিন বছর। অবশ্য ট্রেনটা ঠিকমতো চলত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরেই আমেরিকা গিয়েছিলেন বাবা। কুইন মেরিতে চড়ে ফিরে মায়ের জন্য কিছু নাইলন আনেন তিনি। সে সময় ব্রিটেনে নাইলন সহজলভ্য বস্তু ছিল না। মেরির জন্য এনেছিলেন একটা পুতুল। পুতুলটিকে শোয়ানো হলে সেটি চোখ বন্ধ করতে পারত। আমার জন্য বাবা এনেছিলেন একটা কাউক্যাচার ও আট ট্র্যাকের লাইনসহ একটা আমেরিকান ট্রেন। ট্রেনের বাক্স খোলার সেই রোমাঞ্চকর মুহূর্তটির কথা এখনো ভুলিনি আমি।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চাবিটানা ট্রেনটা বেশ ভালোই ছিল বলতে হবে। তবে সেটি পেলে তুমি হয়তো মুখ ফিরিয়ে নেবে। আমি আসলে ইলেকট্রিক ট্রেন চেয়েছিলাম। হাইগেটের কাছে ক্রাউচ এন্ডে আমি একটি মডেল রেলওয়ে ক্লাব লেআউট দেখে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিতাম। ইলেকট্রিক ট্রেনের স্বপ্ন দেখতাম আমি। বাবা-মা দুজনেই একবার বাইরে গেলেন। সেই সুযোগে আমি পোস্ট অফিস ব্যাংক থেকে আমার জমানো সামান্য কটা টাকার পুরোই তুলে ফেলি। এই টাকাগুলো বড়দিনসহ বিভিন্ন বিশেষ দিনে আমি বড়দের কাছ থেকে পেয়েছিলাম। টাকাগুলো দিয়ে কিনে ফেললাম একটা ইলেকট্রিক ট্রেন সেট। কিন্তু এটিও তেমন ভালোভাবে চলত না দেখে হতাশ হয়েছিলাম। আমার উচিত ছিল ট্রেনটা ফেরত দিয়ে দোকানদার বা নির্মাতাদের কাছে ওটা পাল্টে দেওয়ার দাবি জানানো। কিন্তু তখনকার মনোভাব অনুযায়ী, কিছু কেনাতেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। কেনার পর কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে সেটা নিতান্তই আপনার দুর্ভাগ্য। কাজেই ট্রেনের ইঞ্জিনের ইলেকট্রিক মোটর সারাইয়ের জন্য আমাকে আরও খরচ করতে হয়েছিল। কিন্তু তবু সেটি কখনোই ঠিকঠাক কাজ করেনি।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অনেক পরে, অর্থাৎ কৈশোরে মডেল বিমান আর নৌকা বানিয়েছিলাম আমি। অবশ্য এসব বানানোর ব্যাপারে আমার তেমন দক্ষতা ছিল না। আসলে এগুলো বানিয়েছিলাম আমার স্কুলের বন্ধু জন ম্যাকক্লিনাহানের সঙ্গে। এ ব্যাপারে তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল। ওদের বাড়িতে ওর বাবার একটা ওয়ার্কশপ ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল এমন কোনো কিছুর মডেল বানানো, যাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। সেটি দেখতে কেমন হলো তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা ছিল না। আমার ধারণা, এই একই তাড়না থেকেই আমার আরেকজন স্কুলবন্ধু রজার ফারনিহোর সঙ্গে খুবই জটিল বেশ কিছু খেলা আবিষ্কার করেছিলাম আমি। এর মধ্যে একটা নির্মাণবিষয়ক খেলা, যেখানে কিছু কারখানা থাকত, যার প্রতিটি ইউনিট বিভিন্ন রং দিয়ে বানানো হতো, যাতায়াতের জন্য থাকত রাস্তা, রেলপথ এবং একটা স্টক মার্কেট। এ ছাড়া একটা ছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। চার হাজার বর্গবিশিষ্ট একটা বোর্ডে এটা খেলা হতো। এমনকি সামন্ততান্ত্রিক খেলাও ছিল, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড়ের একটা বংশতালিকাসহ পুরো রাজবংশ থাকত। আমার মনে হয়, ট্রেন, নৌকা আর বিমানের মতোই একটি তন্ত্র বা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে এবং তাদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তা জানার তাড়না থেকেই এই খেলাগুলো মাথায় এসেছিল। আমি পিএইচডি শুরু করার পর এই প্রয়োজনটা মিটেছিল বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত্ববিষয়ক আমার গবেষণার মাধ্যমে। মহাবিশ্ব কীভাবে চলছে, সেটি বুঝতে পারলে কোনো এক উপায়ে তুমি তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 



কিশোর আলোপ্রগতি 

কপি

পোস্ট 

কুমিল্লার ঊর্মি যুক্ত রাস্ট্রে এম আইটি তে পড়ার সুযোগ,,,,, শিক্ষার খবর থেকে কপি করা

 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্মি যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেলেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,স্কলারশিপের পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিখ্যাত ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ানলিগ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘মাইক্রোমাষ্টার ইন স্ট্যটিস্টিক্স এন্ড ডাটাসাইন্স’ বিষয়ে পড়ার সু্যোগ পেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফরোজা শারমিন উর্মি।,,,,,,,,,,,,,,,,আফরোজা শারমিন উর্মি ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ৩ দশমিক ৭৪ পেয়েছিলেন এছাড়াও তিনি স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষায় ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,স্কলারশিপ অর্জনের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে উর্মি জানান, আমেরিকার ওয়ানলিগ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এমআইটিতে ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ পেয়েছি।আমি বাংলাদেশে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এই কোর্সটি সম্পন্ন করতে পারবো।আমার এই ডিগ্রী অর্জনে ২০হাজার ইউএস ডলার অর্থায়নকরবে ওয়ানলিগ ফাউন্ডেশন।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তিনি আরও বলেন, এই স্কলারশিপ আমার জন্য ভাগ্যের। আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল এমন একটি অর্জন। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের কাছে কৃতজ্কোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি শুরু হয়েছে এ বছরের আগস্ট থেকে এবং শেষ হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উর্মির সাফল্য নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মোঃ সাইফুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষকের স্বপ্ন থাকে তার শিক্ষার্থীরা দেশেবিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থী বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা আমি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য গর্বের।,,,,,,,,,,,,,,,,,,উর্মি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও সেলিনা পারভীনের বড় সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় তিনি। কৃতিত্বের সাথে তিনি কিশোরগঞ্জ ভাগলপুর আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪ দশমিক ৬৮ এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। বর্তমানে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানিতে জুনিয়র মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আব্দুল মঈন বলেন, ‘এমন অর্জনগুলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীরা এই অর্জন দেখে উৎসাহিত হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরেই বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং মানোন্নয়নে সোচ্চার থাকব। সে অনুযায়ী কাজ করছি৷ আশা করছি আমাদের অর্জনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

কপি

পেস্ট


আশফাক উল্লাহ খান জন্মদিন ২২ অক্টোবর

২২ অক্টোবর সুবহে সাদিকের পর পৃথিবীকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে, সাম্রাজ্যবাদীদের ভীত কাঁপিয়ে দিতে জন্ম হয় এক মহা নায়কের নাম ''আশফাক''।


নিজেকে প্রকাশ করতেন 'ওয়ার্সি' এবং 'হযরত' ছদ্মনামে,পুরো নাম আশফাক উল্লাহ্‌ খান।  

পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল এর সাথে মাত্র আটজন বিপ্লবী মিলে লুট করেছিলেন কাকোরি ব্রিটিশ ট্রেন। 

ব্রিটিশ সরকার এর সি.আই.ডি ট্রেন লুটের সূত্র বের করে ফেলে এবং গ্রেফতার করে বিপ্লবীদের। কারাগারে তৎকালীন মুসলিম এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেন ব্রিটিশ সরকারের ইন্দনে বিপ্লবী রাম প্রসাদ বিসমিল ও আশফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে এবং বিসমিলের বিরুদ্ধে আশফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করেন কিন্তু আশফাক তাকে বিস্মিত করে বলেছিলেন

 "Khan Sahib!, I know Pandit Ram Prasad Bismi better than you, he is not such a person as you say but even if you are right then I am also quite sure that as a Hindu, he will be much better than British India to whom you are serving like a servant." 


এরপর বিপ্লবী আশফাককে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় এবং ভারতবর্ষ হারায় একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র । আশফাক ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভারতীয় মুসলিম, যাকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে (মূলত সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে রাজি না হওয়ায়) ফাঁসি দেয়া হয়।


আশফাক উল্লাহ্‌ খনাদের মতো মানুষদের আত্মত্যাগের ফসল আজও ভোগ করছে ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ। 

শুভ জন্মদিন হে মহান বিপ্লবী❤️❤️❤ 

কপি
পেস্ট

জাপানিদের গল্প,,, ডাক্তার আসিফ আবদুল্লা ফেইসবুক থেকে

 ©ডা. রোমেন রায়হান লিখেছেন


জাপানিরা সবচে পছন্দ করে যে ভাত খায় সেটা স্টিকি। মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে। আমার ধারণা ছিল স্টিকি ভাত কাঠি দিয়ে সহজে খাওয়া যায় বলেই জাপানিরা এটা এত পছন্দ করে। 


আমার সাত বছরের জাপান জীবনের শুরুর দিকে আমি এই ভাত খেতে একদমই পছন্দ করতাম না। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো জাপানের বাজারে জাপানি কৃষকদের উৎপাদিত এই বিশেষ ভাতের চালের দামই সবচেয়ে বেশি। 


বাজার থেকে কয়েকবার বিভিন্ন ধরণের চাল কেনার পর বুঝলাম এই চাল যদি জাপানিরা নিজেরা উৎপাদন না করে আশেপাশের কোন দেশ থেকে আমদানি করতো তাহলে এর দাম বেশ কম পড়তো। আমি কৌতুহলী হয়ে আমার সুপারভাইজার প্রফেসর কামিজিমাকে একবার জিজ্ঞেসই করে ফেললাম


আমিঃ আচ্ছা প্রফেসর, তোমরা এই চাল বিদেশ থেকে আমদানি করো না কেন? আমদানি করলে তো দাম অনেক কম পড়তো!

কামিজিমাঃ তা হয়তো পড়তো!

আমিঃ তাহলে!

কামিজিমাঃ সরকার ইচ্ছে করেই কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের অনেক বেশি দামে এই চাল কেনে।

আমিঃ কেন?

কামিজিমাঃ কৃষকদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

আমিঃ মানে?

কামিজিমাঃ কৃষক যদি ভালো দাম না পায় তাহলে কি ওরা আর কৃষিকাজ করবে? পেশা বদলে ফেলবে না!

আমিঃ তাই বলে সরকার এত বেশি দামে চাল কিনবে কৃষকদের কাছ থেকে? 

কামিজিমাঃ শোনো, আমরা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ভুলিনি। জাপান একটা দ্বীপরাষ্ট্র। ঐরকম একটা যুদ্ধ যদি আবার কখনো লাগে আর শত্রুরা যদি আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে! তখন কী হবে ভেবেছ?

আমিঃ বুঝলাম না!

কামিজিমাঃ বাইরে থেকে কোন খাবার জাপানে আসতে পারবে? আমরা কি তখন এই ধরো টয়োটা গাড়ি খাব? কৃষক যদি না বেঁচে থাকে তাহলে ঐসময় আমরা বাঁচব?


আমি অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম কামিজিমার কথা শুনে। 


আমরা কী অবলীলায়ই না আমাদের কৃষকদেরকে মেরে ফেলার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করছি!

কপি
পেস্ট

নতুনদা,,,, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়,

নতুনদা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,

দাঁড় বাধিয়া পাল খাটাইয়া ঠিক হইয়া বসিয়াছি। অনেক বিলম্বে ইন্দ্রের নতুনদা আসিয়া ঘাটে পোঁছিলেন। চাঁদের আলোতে তাহাকে দেখিয়া ভয় পাইয়া গেলাম। কলকাতার বাবু অর্থাৎ ভয়ংকর বাবু। সিষ্কের মোজা, চ্কচকে পাম্প–সু, আগাগোড়া ওভারকোটে মোড়া, গলায় গলাবন্ধ, হাতে দস্তানা, মাথায় টুপি, পশ্চিমের শীতের বিরুদ্ধে তাহার সতর্কতার অন্ত নাই।


আমাদের সাধের ডিঙিটাকে তিনি অত্যন্ত যাচ্ছেতাই বলিয়া কঠোর মত প্রকাশ করিয়া ইন্দ্রের কাঁধে ভর দিয়া আমার হাত ধরিয়া অনেক কষ্টে, অনেক সাবধানে নৌকার মাঝখানে জাঁকিয়া বসিলেন।….‘তোর নাম কি রে ?……………………….ভয়ে ভয়ে বলিলাম, ‘শ্রীকান্ত’।


তিনি দাঁত খিঁচাইয়া বলিলেন, ‘আবার শ্রী-কান্ত। শুধু কান্ত। নে, তামাক সাজ।’……….ইন্দ্র অপ্রতিভ হইয়া কহিল, ‘শ্রীকান্ত তুই এসে একটু হাল ধর্, আমি তামাক সাজছি।’…………আমি তাহার জবাব না দিয়া তামাক সাজিতে লাগিয়া গেলাম। তামাক সাজিয়া হুঁকা হাতে দিতে, তিনি প্রসন্নমুখে টানিতে টানিতে প্রশ্ন করিলেন, ‘তুই থাকিস কোথা রে কান্ত? তোর গায়ে ওটা কালোপানা কিরে? র‌্যাপার? আহা! র‌্যাপারের কী শ্রী! তেলের গন্ধে ভূত পালায়। পেতে দে দেখি, বসি!’


“আমি দিচ্ছি নতুনদা। আমার শীত করছে না—এই নাও’ বলিয়া ইন্দ্র নিজের গায়ের আলোয়ানটা তাড়াতাড়ি ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল। তিনি সেটা জড়ো করিয়া লইয়া বেশ করিয়া বসিয়া মুখে তামাক টানিতে লাগিলেন।


শীতের গঙ্গা। অধিক প্রশস্ত নয়—আধঘন্টার মধ্যে ডিঙি ওপারে গিয়া ভিড়িল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বাতাস পড়িয়া গেল। ইন্দ্র ব্যাকুল হইয়া কহিল, ‘নতুনদা, এ যে ভারি মুশকিল হল, হাওয়া পড়ে গেল। আর তো পাল চলবে না।’ নতুনদা জবাব দিলেন, ‘এই ছোঁড়াটাকে দে-না দাঁড় টানুক।’


কলিকাতাবাসী নতুনদার অভিজ্ঞতায় ইন্দ্র ঈষৎ ম্লান হাসিয়া কহিল, ‘দাঁড়। কারুর সাধ্যি নেই নতুনদা, এই স্রোত ঠেলে উজান বেয়ে যায়। আমাদের ফিরতে হবে।’………….প্রস্তাব শুনিয়া নতুনদা একমুহূর্তে একেবারে অগ্নিশর্মা হইয়া উঠিলেন—‘তবে আনলি কেন হতভাগা? যেমন করে হোক, তোকে পৌঁছে দিতেই হবে। আমার থিয়েটারে হারমোনিয়াম বাজাতেই হবে। তারা বিশেষ করে ধরেছে।’


ইন্দ্রের অবস্থা সংকট অনুভব করিয়া আমি আস্তে আস্তে কহিলাম, ‘ইন্দ্র, গুণ টেনে নিয়ে গেলে হয় না?’ বাবু অমনি দাতমুখ ভেংচাইয়া বলিলেন, ‘তবে যাও না, টানো গে নাহে। জানোয়ারের মতো বসে থাকা হচ্ছে কেন?’………তারপরে একবার ইন্দ্র, একবার আমি, গুণ টানিয়া অগ্রসর হইতে লাগিলাম। কখনোবা উঁচু পাড়ের উপর দিয়া, কখনো বা নিচে নামিয়া এবং সময়ে সময়ে সেই বরফের মতো ঠান্ডা জলের ধার ঘেঁষিয়া অত্যন্ত কষ্ট করিয়া চলিতে হইল।


আবার তাহারই মাঝে মাঝে বাবুর তামাক সাজার জন্য নৌকা থামাইতে হইল। অথচ বাবুটি ঠায় বসিয়া রহিলেন— এতটুকু সাহায্য করিলেন না। ইন্দ্র একবার তাহাকে হাল ধরিতে বলায় জবাব দিলেন, তিনি দস্তানা খুলিয়া এই ঠান্ডায় নিউমোনিয়া করিতে পারিবেন না। ইন্দ্র বলিতে গেল, না- খুলে—……হ্যা, আমি দস্তানাটা মাটি করে ফেলি আর কি! নে—যা করছিস কর।’


আরও বিপদ গঙ্গার রুচিকর হাওয়ায় বাবুর ক্ষুধার উদ্রেক হইল; বলিলেন, ‘হ্যাঁরে ইন্দ্র, এদিকে খোট্টামোট্টাদের বসতি–টসতি নেই? মুড়ি–টুড়ি পাওয়া যায় না ?’………….ইন্দ্র কহিল, “সামনেই একটা বেশ বড় বসতি নতুনদা, সব জিনিস পাওয়া যায়।


‘তবে লাগা–ওরে ছোঁড়া! টা না একটু জোরে, ভাত খাসনে ?…………..অনতিকাল পরে আমরা একটা গ্রামে আসিয়া উপস্থিত হইলাম।………..ডিঙি জোর করিয়া ধাক্কা দিয়া সংকীর্ণ জলে তুলিয়া দিয়া আমরা দুজনে হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম।


বাবু কহিলেন, ‘হাত–পা একটু খেলানো চাই। নামা দরকার।’ অতএব ইন্দ্র তাহাকে কাঁধে করিয়া নামাইয়া আনিল।…….আমরা দুজনে তাহার ক্ষুধাশান্তির উদ্দেশ্যে গ্রামের ভিতরে যাত্রা করিলাম। এ অঞ্চলে পথ–ঘাট, দোকান–পাট সমস্তই ইন্দ্রের জানা ছিল। সে গিয়া মুদির দোকানে উপস্থিত হইল। কিন্তু দোকান বন্ধ এবং দোকানি শীতের ভয়ে দরজা জানালা রুদ্ধ করিয়া গভীর নিদ্রায় মগ্ন। উভয়ে বাহিরে দাঁড়াইয়া তারস্বরে চিৎকার করিয়া এবং যতপ্রকার ফন্দি মানুষের মাথায় আসিতে পারে, তাহার সবগুলি একে একে চেষ্টা করিয়া আধঘণ্টা পরে রিক্তহস্তে ফিরিয়া আসিলাম।


কিন্তু ঘাট যে জনশূন্য! জ্যোৎস্নালোকে যতদূর দৃষ্টি চলে ততদূরই যে শূন্য! ডিঙি যেমন ছিল তেমনি রহিয়াছে, কিন্তু ইনি কোথায় গেলেন! দুজনে প্রাণপণে চিৎকার করিলাম, ‘নতুনদা। কিন্তু কোথায় কে?……….এ অঞ্চলে মাঝে মাঝে শীতকালে বাঘের উৎপাতের কথাও শোনা যাইত। সহসা ইন্দ্র সেই কথাই বলিয়া বসিল—‘বাঘে নিলে না তো-রে?’ সহসা উভয়েরই চোখে পড়িল কিছুদূরে বালির উপর কী একটা বস্তু চাঁদের আলোয় চকচক করিতেছে। কাছে গিয়া দেখি, তাহারই সেই বহুমূল্য পাম্প-সুর একপাটি। ইন্দ্র সেই ভিজা বালির উপরেই একেবারে শুইয়া পড়িয়া বলিল—‘শ্রীকান্তরে, আমার মাসিমাও এসেছেন যে, আমি আর বাড়ি ফিরে যাব না।’


তখন ধীরে ধীরে সমস্ত বিষয়টাই পরিস্ফুট হইয়া উঠিতে লাগিল। আমরা যখন মুদির দোকানে দাঁড়াইয়া দোকানিকে জাগাইবার নিষ্ফল চেষ্টা করিতেছিলাম, তখন এইদিকের কুকুরগুলিও যে সমবেত আর্তচিৎকারে এই দুর্ঘটনার সংবাদটাই আমাদের গোচর করিবার ব্যর্থ প্রয়াস পাইতেছিল, তাহা জলের মতো বুঝিতে পারিলাম। এখনও দূরে তাহাদের ডাক শোনা যাইতেছে। সুতরাং আর সংশয় মাত্র রহিল না যে, নেকড়েগুলি তাহাকে টানিয়া লইয়া গিয়া যেখানে ভোজ করিতেছে, তাহারই আশেপাশে দাঁড়াইয়া কুকুরগুলি এখন চেঁচাইয়া মরিতেছে।


অকস্মাৎ ইন্দ্র সোজা হইয়া দাঁড়াইয়া কহিল, ‘আমি যাব।’ আমি সভয়ে তাহার হাত চাপিয়া ধরিলাম, ‘পাগল হয়েছ। ভাই।’ ইন্দ্র তাহার জবাব দিল না। একটা বড় ছুরি পকেট হইতে বাহির করিয়া বাঁ-হাতে লইয়া সে কহিল, ‘তুই থাক শ্রীকান্ত, আমি না এলে ফিরে গিয়ে বাড়িতে খবর দিস—আমি চললুম।’


আমি নিশ্চয় জানিতাম, কোনোমতেই তাহাকে নিরস্ত করা যাইবে না—সে যাইবেই। কিন্তু আমারও তো যাওয়া চাই। আমিও নিতান্ত ভীরু ছিলাম না। অতএব একটি বাঁশ সংগ্রহ করিয়া লইয়া দাড়াইলাম এবং তাহার সহিত ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলাম। সম্মুখে একটা বালির ঢিপি ছিল, সেইটা অতিক্রম করিয়াই দেখা গেল, অনেক দূরে জলের ধার ঘেঁষিয়া দাঁড়াইয়া পাঁচ-সাতটা কুকুর চিঙ্কার করিতেছে। যতদুর দেখা গেল, একপাল কুকুর ছাড়া বাঘ তো দূরের কথা একটা শৃগালও নাই। সন্তর্পণে আরও কতকটা অগ্রসর হইতেই মনে হইল, তাহারা কী একটা কালোপানা বস্তু জলে ফেলিয়া পাহারা দিয়া আছে।


ইন্দ্র চিৎকার করিয়া ডাকিল, ‘নতুনদা।’ নতুনদা গলা জলে দাঁড়াইয়া অব্যক্তস্বরে কাঁদিয়া উঠিলেন—‘এই যে আমি।’ দুজনে প্রাণপণে ছুটিয়া গেলাম, কুকুরগুলি সরিয়া দাঁড়াইল এবং ইন্দ্র ঝাপাইয়া পড়িয়া আকণ্ঠ নিমজ্জিত মূৰ্ছিত—প্রায় তাহার দর্জিপাড়ার মাসতুত ভাইকে টানিয়া তীরে তুলিল। তখনও তাহার একটা পায়ে বহু মূল্যবান পাম্প-সু, গায়ে ওভারকোট, হাতে দস্তানা, গলায় গলাবন্ধ এবং মাথায় টুপি ভিজিয়া ফুলিয়া ঢোল হইয়া উঠিয়াছে।


আমরা চলিয়া গেলে গ্রামের কুকুরগুলি তাহার অদৃষ্টপূর্ব পোশাকের ছটায় বিভ্রান্ত হইয়া এই মহামান্য ব্যক্তিটিকে তাড়া করিয়াছিল। এতটা আসিয়াও আত্মরক্ষার কোনো উপায় খুঁজিয়া না পাইয়া অবশেষে তিনি জলে ঝাঁপ দিয়া পড়িয়াছিলেন এবং এই দুর্দান্ত শীতের রাত্রে তুষার–শীতল জলে আকণ্ঠ মগ্ন থাকিয়া এই অধঘণ্টাকাল ব্যাপিয়া পূর্বকৃত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতেছিলেন।


কিন্তু প্রায়শ্চিত্তের ঘোর কাটাইয়া তাহাকে চাঙা করিয়া তুলিতেও সে রাত্রে আমাদিগকে কম মেহনত করিতে হয় নাই। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য এই যে, বাবু ডাঙায় উঠিয়া প্রথম কথা কহিলেন, ‘আমার একপাটি পাম্প ?’….।

কপি

পেস্ট 

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

শিশুদের সাথে আপনার দেখানো প্রতিক্রিয়া ই ওদের গড় উঠতে সাহায্য করে

শিশুদের সাথে আপনার দেখানো প্রতিক্রিয়াই ওদের গড়ে তুলে

.

একটা জরিপে উঠে এসেছে, যেসব বাবারা তাদের শিশুদের সাথে ওদের খেলা নিয়ে কথা বলেন, তাদের শিশুরা ১৮ থেকে ৬৬ বছর পর্যন্ত প্রচেষ্টা, চরিত্র, দক্ষতা, দলবদ্ধ কাজ ও আনন্দ নিয়ে বাবার করা মন্তব্যগুলো মনে করতে পারে। প্রচেষ্টা নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিচিত মন্তব্য হলো, ‘নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করো', 'হাল ছেড়ো না কখনও’ এবং ‘এক বার না পারিলে দেখো শতবার।' এই কথাগুলো মানুষকে আমৃত্যু উৎসাহ দেয়। যে-কোনো কাজে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করতে উদ্‌বুদ্ধ করে। আপনি শিশুকে যা বলেন, সেটা তাকে পরিণত হতে সাহায্য করে। একজন পরিণত মানুষ হিসেবে বাচ্চা তার শৈশবে শোনা এ কথাগুলো মনে রাখবে। 

.

কল্পনা করুন, বাচ্চা যদি আপনার নেতিবাচক কথাগুলো মনে রাখতে পারত, তার জীবন কেমন হতো! যদি শুধু এই কথাগুলো নিয়ে তাকে বাঁচতে হতো—'ওটা অত ভালো হয়নি’, ‘তুমি কোনো কিছুই ঠিক করে করতে পারো না’, ‘তুমি যদি এ রকম হতে....!'

.

এইসব উক্তির স্বাভাবিক ফলাফল হলো, শিশুরা আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব নিয়ে বেড়ে ওঠে। এমনকি তারা আপনার প্রতি অসন্তুষ্টও হতে পারে। এটা সংগঠিত হয়ে আপনার ও বাচ্চার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যদি আপনি এ রকম কিছু না চান, তা হলে আপনার কথা থেকে নেতিবাচক উক্তিগুলো ছেঁটে ফেলুন। তার পরিবর্তে উৎসাহদায়ক কথা বলতে শিখুন, যেমন :

.

✓ আমি তোমাকে নিয়ে অনেক গর্বিত।

✓ তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে।

✓ তুমি অবশ্যই পারবে ইন শা আল্লাহ।

✓ তোমার বিবেচনাবোধে আমার আস্থা আছে।

✓ আমি জানি, তুমি এটা সামলাতে পারবে।

√ তুমি সক্ষম, তুমি তো এমন কাজ আগেও করেছ। গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ তুমি এখন করতে পারো।

✓ তুমি এটা প্রায়ই সমাধান করে ফেলেছ!

√ প্রতিদিনই তুমি উন্নতি করছ। দেখতে দেখতে তুমি অনেকটা কাজ করে ফেলেছ!

.

তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে যে, শিশুদেরকে অতিমাত্রায় প্রশংসাবাক্য শোনানো যাবে না। প্রশংসাবাক্য আর উৎসাহদায়ক কথার ভেতর পার্থক্য আছে। যেমন : আপনি তাকে এটা বলবেন না যে, তার দক্ষতা কতটা ভালো। বরং আপনি তাকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলবেন। এটা তার নিজের ও নিজের সক্ষমতার ওপর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে।


© বই : 'সন্তান গড়ার কৌশল'


Collected.

 কপি

পোস্ট

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...