এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা,, বিষয়ে বাংলা প্রথম পত্র,,, গল্পঃ পড়ে পাওয়া,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 


নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং তৎসংলগ্ন প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
গৃহকর্মী হাবুর মায়ের আর্তচিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায় আসিফের। আধো ঘুমে দৌড়ে এসে মায়ের পাশে দাঁড়ালো। হাবুর মা বলছে গতকাল মেয়ের বিয়ের বাজার সদাই করে ফেরার পথে সিএনজিতে বাজারের ব্যাগ রেখে নেমে পড়ে।

বাজারের ব্যাগে সোনার গহনার বাক্স ও টাকার থলে ছিল। সেদিন বিকেলে হাবুর মা এসে খবর দেয় টেক্সি ড্রাইভার নিজে এসে সব ফেরত দিয়ে গেছে।
ক. হারানো বিজ্ঞপ্তি বাদল লিখেছিল কেন?
খ. ‘ও বড় হলে উকিল হবে’ - বিধু সম্পর্কে সকলের এমন ভাবনার কারণ বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকে হাবুর মায়ের সাথে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য লক্ষ্যণীয় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের টেক্সি ড্রাইভার ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কিশোররা যেন একই সূত্রে গাঁথা - মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর:
ক. ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের ছয় কিশোর বন্ধুদের মাঝে বাদলের হাতের লিখা সুন্দর ছিল। তাই হারানো বিজ্ঞপ্তি বাদল লিখেছিল।
খ. বিধুর উপস্থিত বুদ্ধি, দুরদর্শীতা ও বিচার ক্ষমতা দেখে সবাই ভাবত বিধু বড় হলে উকিল হবে।
‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে ছয় বন্ধুদের একটি কিশোর দলের অন্যতম প্রধান চরিত্র বিধু ও সমবয়সী বন্ধুদের তুলনায় একটু বেশি পরিপক্ক, তবে দূরদৃষ্টি ও বিবেচনাবোধ সবাইকে বিস্মিত করে। দুপুরেরর বিকট গরমে ক্ষীণ গুড় গুড় মেঘের ডাক শুনে ও বলে দিতে পারে কালবৈশাখী ঝড় হবে। অন্য সবাই বিশ্বাস করেনি কিছুক্ষণের মধ্যেই এর সত্যতা প্রমাণিত হল।

এছাড়া পড়ে পাওয়া বাক্সের প্রকৃত মালিক খুঁজে পেতে কাগজে লিখে তা গাছে লাগিয়ে দেয়া, বাক্সটির মিথ্যা মালিক সেজে লোক এলে তাদের যাচাই বাছাই করে ফিরিয়ে দেয়া সর্বোপরি প্রকৃত মালিককে বাক্স ফিরিয়ে দেয়ার সময় প্রাপ্তি রসিদ লিখে রাখা ইত্যাদি বিষয় দেখে সবাই বুঝতে পারে সে বড় হয়ে উকিল হবে।
বিঃদ্রঃ [গ এবং ঘ নং প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীরা উদ্দীপক ও বইয়ের সাথে মিলিয়ে নিজের মত করে উপস্থাপন করবে যেখানে তার সৃজনশীলতার পরিচয় মিলবে। এখানে একটি নমুনা উত্তর দেয়া হল]
গ. উদ্দীপকের হাবুর মায়ের সাথে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের ডবল টিনের ক্যাশ বাক্স হারানো কাপালি চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
জস্টিমাসে নির্বিষখোলার হাট থেকে পটল বেঁচে ফিরছিল কাপালি। ছোট মেয়ের বিয়ে দিবে বলে গয়না গড়িয়ে আনছিলেন। প্রায় আড়াই শ’ টাকার গয়না আর পটল বেচার পঞ্চাশ টাকা একটি ডবল টিনের ক্যাশ বাক্সে ভরে ফিরছিলেন গরুর গাড়ি করে। কখন কোথায় যে বাক্সটি পড়ে গেল কাপালি টের করতে পারেনি। সেই টাকা হারিয়ে কাপালি কষ্টে পড়ে গেল।
উদ্দীপকে গৃহকর্মী হাবুর মা মেয়ের বিয়ের বাজার সদাই করতে গিয়ে টেক্সিতে রেখে নেমে পড়ে। বাজারের ব্যাগে সোনার গহনার বাক্স এবং টাকার থলে ছিল। মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে সে গৃহকর্ত্রীর বাড়ি এসে চীৎকার করে কাঁদতে লাগল।
‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কাপালি ডবল টিনের ক্যাশ বাক্স হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। উদ্দীপকে হাবুর মা তার মেয়ের বিয়ের গহনা, বাজার সদাই, নগদ টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। এই দিক দিয়ে উভয়ের সাদৃশ্য লক্ষণীয়।
ঘ. উদ্দীপকের টেক্সি ড্রাইভার ও ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কিশোররা সততা, নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। সুতরাং তারা উভয়ই চারিত্রিকভাবে একই সূত্রে গাঁথা।
‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের লেখক ও তার বন্ধু বাদল ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় নদীর ধার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। বাদল হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। কিসের সাথে হোঁচট খেল তা দেখতে গিয়ে ওরা দেখল একটি ডবল টিনের ক্যাশ বাক্স। প্রথমে ভেবেছিল ওটাতে যে টাকা আছে তা দিয়ে ওরা সন্দেশ খাবে।

এটা কাউকে জানানো যাবে না। জানালে ভাগ দিতে হবে। যখন ওরা তালা ভাঙতে চাইল তখন তাদের মনে হল এটির মালিকের মনের অবস্থা। টাকা হারিয়ে মালিক কতই না কষ্টে আছে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিল তালা ভাঙবে না এবং এর মালিককে ফেরত দিবে। ওরা ছিল ছয় বন্ধু। এই ছয় বন্ধু মিলে বাদলদের নাটমন্দিরের কোণে একটি গুপ্ত মিটিং করলো। এই ছয় কিশোরদের মাঝে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছিল বিধু।

বিধুর মাথায় বুদ্ধি এল কি করে এর প্রকৃত মালিক খুঁজে বের করা যায়। ওরা ঘুড়ির মাপের কিছু কাগজ কেটে তাতে হারানো বিজ্ঞপ্তি লিখে নদীর ধারের গাছগুলোতে বেলের আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিল। লোভে পড়ে দুজন বাক্স নিতে এসেছিল কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি বলে কিশোর দল তাদের তাড়িয়ে দিল। যখন প্রকৃত মালিক খুর্ঁজে পেল তখন তার হাতে বাক্সটি তুলে দিল।

উদ্দীপকের টেক্সি ড্রাইভার বাজারের ব্যাগের মালিকের কথা ভেবেই গতদিন যেখানে নামিয়ে দিয়েছিল সেখানে গিয়ে পৌঁছে দেয়। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কিশোরদের কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছিল প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে। উদ্দীপকের টেক্সি ড্রাইভারের সততা ও নৈতিকতার কারণে হাবুর মায়ের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা সহজেই বলতে পারি ওরা উভয়ই সততা ও নৈতিকতার সূত্রে গাঁথা।

বিমান পথে সোনা চোরাচালানের গল্প,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আলী আকবর,রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে তাদের সাথে থাকা সোনার শুল্ক দিতে রেড চ্যানেলে প্রবেশ করেন।


যাত্রী আলী আকবর দুটি সোনার বার (২৩২ গ্রাম)  এবং৯৮ গ্রাম সোনার অলংকার এনেছেন। কাস্টমস ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী ২টি সোনার বারের জন্য শুল্ক দিলেন তিনি । আর ১০০ গ্রাম অলংকারের জন্য শুল্ক দেবার প্রয়োজন নেই।


অন্যদিকে যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইসলামও ২টি সোনার বারের শুল্ক দিলেন। আর তাদের দুজনের সাথে রয়েছে ১৯৬ গ্রাম অলংকার।


শুল্ক দেয়া শেষে ৩ জন গ্রীন চ্যানেল দিয়ে কাস্টমস জোন পার হয়ে যাবেন, এমন সময় তাদের আটকালো কাস্টমস কর্মকর্তারা। জানতে চায় কোন সোনার বার বা অলংকার আছে কিনা।  ৩জনই খুব বিরক্ত হলেন। শুল্ক দিয়ে বের  হবার পরও এই অবান্তর প্রশ্নের কোন মানে হয়।


তারা  কাস্টমস কর্মকর্তাকে দেখলেন বারের জন্য শুল্ক দিয়েছেন।  আবারও কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্ন, আর কোন  পণ্য কিংবা স্বর্ণবার আছে কিনা।


দুবাই থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে দেশে এসেছেন। লাইন দাড়িয়ে সোনার বারের জন্য শুল্ক দিয়েছেন। তারপরও  বারবার প্রশ্ন,  প্রবাসীদের জন্য  এই আয়োজন কাস্টমসের? বিরক্ত হয়ে তারা আবারও বললেন, তাদের কাছে থাকা ২টি করে স্বর্ণবার এবং ১০০ গ্রামের মধ্যে স্বর্ণালংকার ছাড়া আর কোন শুল্কযুক্ত পণ্য নেই।


কাস্টমস কর্মকর্তা তাদের তল্লাশির জন্য ডাকলেন। তারা মনে মনে ভাবছেন, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সাথে এ কি আচরণ? শুল্ক দেবার পরও এ কেমন আচরণ কাস্টমসের।  বিমানবন্দরে এই হয়রানি কবে বন্ধ হবে !


যাত্রী আলী আকবরের   শরীর তল্লাশী করা হলে  শর্ট প্যান্টে অভিনব কায়দায় আটকানো পেস্ট আকারের স্বর্ণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে শর্টপ্যান্ট  আগুনে পুড়িয়ে এবং এসিডে ধুয়ে আলী আকবর এর কাছ থেকে ৪৬৪ গ্রাম পেস্ট আকারের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।  অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চোরাচালানের অপচেষ্টা করায় তার সাথে আনা সোনার বার, অলংকারও জব্দ করা হয়।


অপরদিকে যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইসলামের  শর্টপ্যান্ট খুলে  আগুনে পুড়িয়ে এবং এসিডে ধুয়ে পেস্ট আকারের ৯২৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চোরাচালানের অপচেষ্টা করায় তাদের সাথে  সর্বমোট ১৫৮৮গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়|


 তাদের ৩ জনের কাছ থেকে সোনার বার ও অলংকারসহ ২ কেজি ৩৮২ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস।


তাদের বিরুদ্ধে  কাস্টমস আইনে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

কপি

পেস্ট
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
 
,
,
,
,
,
,
,
,

চোরাচালান সম্পর্কে তথ্য দিন +880 1612-218989


#BanglaAviation #বাংলা_এভিয়েশন

#Bangla_Aviation #বাংলা_প্রবাস #Bangla_Probash

সকাল সাতটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২৩/১০/২০২২ রবিবার

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(২৩-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত রানীগঞ্জ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে এ মাসের ২৯ তারিখে - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* নারীর ক্ষমতায়ন ও দেশে এসএমই খাতের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার - বললেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। 


* সড়কে শৃঙ্খলার অভাব সরকারের অর্জন ¤øান করে দিতে পারে - আশঙ্কা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর। 


* ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ^ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


* ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড লক্ষ্য করে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা কিয়েভের সামরিক বাহিনীর অগ্রাভিযান বন্ধ করতে পারবে না - বলেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 


* এবং অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ ক্রিকেটে আজ আয়ারল্যান্ড- শ্রীলংকার এবং ভারত-পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে।

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

৪০ দিনে জীবন পরিবর্তনের ২০ চ্যালেন্জ

 ৪০ দিনে জীবন পরিবর্তনের ২০টি চ্যালেঞ্জ-


১. ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করা।

২. ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া পড়া, মেসওয়াক করা।

৩. ওযুর করার পড়ে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।

৪. রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। 

৫.ফযরের আগে গোসল করা।

৬. আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেওয়া।

৭.ফযরের সুন্নত ও ফরজ আদায় করা।

৮. সূর্যোদ্বয়ের আগে কোরআন তিলাওয়াত করা। 

৯. সূর্যোদ্বয়ের পরে ইশরাকের নামাজ আদায় করা।

১০. প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা।

১১. সালাতুল দোহা আদায় করা।

১২. সময়মতো ফযর, যোহর, আছর,

মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করা। 

১৩. প্রতি ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল পাঠ করা।

১৪.প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নত রোজা রাখা।

১৫. প্রতিমাসে আইয়ামে বীজের রোজা রাখা।

১৬. প্রতি শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।

১৭. প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়াহ ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা।

১৮. প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক ও 

সূরা বাক্কারার শেষ ২ আয়াত তিলাওয়াত করা। 

১৯.প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে 

ক্ষমা চাওয়া। আর সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া। 

২০. দিনে অন্তত ৭০ বার ইস্তেগফার করা। 


আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং সবাইকে 

বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আ-মীন।


কপি
পেস্ট

রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদ শিরোনাম বাংলাদেশ বেতার ২২/১০/২০২২ শনিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ ।  

(২২-১০-২০২২) 

আজকের শিরোনাম-


* সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত রানীগঞ্জ সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে এ মাসের ২৯ তারিখে - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


* নারীর ক্ষমতায়ন ও দেশে এসএমই খাতের বিকাশের ওপর  বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার - বললেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। 


* সড়কে শৃঙ্খলার অভাব সরকারের অর্জন ¤øান করে দিতে পারে - আশঙ্কা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর। 


* ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ^ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঠিক প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


* ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড লক্ষ্য করে মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। 


* দলের নেতৃত্বে শি জিনপিং-এর শীর্ষ অবস্থানের স্বীকৃতি দিলো চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। 


* এবং সিডনীতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো নিউজিল্যান্ড।

কবি জসিমউদদীন

 #কবর 

#জসিমউদ্দিন 

#এটা_এমন_একটা_কবিতা_যেটা_পড়তে_গেলেই_চোখের_জল_ধরে_রাখতে_পারিনা

এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, 

তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। 

এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, 

পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। 

এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা, 

সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা! 

সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি 

লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি। 

যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত 

এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত। 

এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে 

ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে। 


 বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা 

আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ। 

শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী, 

পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি। 

দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে, 

সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে! 

হেস না¬ হেস না¬ শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে, 

দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে! 

নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে, 

পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে। 

আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, 

কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়! 

হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়, 

আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়। 


 তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি 

যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি। 

শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি, 

গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি। 

এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, 

গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে। 

মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক, 

আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ। 


 এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা, 

কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না। 

সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি, 

বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি। 

ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও, 

সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ? 

গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে, 

তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে? 

তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে, 

সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে! 


 তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি, 

তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিনমান ভরি। 

গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে, 

ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে। 

পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ, 

চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক। 

আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি, 

হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি। 

গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা, 

চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ। 


 ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি, 

কবর দেশের আন্ধারে ঘরে পথ পেয়েছিল খুজি। 

তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ, 

হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ। 

মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, বাছারে যাই, 

বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই; 

দুলাল আমার, যাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে, 

কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে। 

ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়ন¬জলে, 

কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ¬ব্যথার ছলে। 


 ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল¬ আমার কবর গায় 

স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়। 

সেই যে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে, 

পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে। 

জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু¬ছায়, 

গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়। 

জোনকি¬মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো, 

ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো। 

হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা! আয়; 

ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়! 


 এখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে, 

বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে। 

এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে, 

হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে। 

খবরের পর খবর পাঠাত, দাদু যেন কাল এসে 

দুদিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে। 

শ্বশুর তাহার কশাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে 

অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে। 

সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি, 

কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি। 

বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন, 

কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ¬বীণ! 

কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে, 

এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে। 


 ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেহ ভালো, 

কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো। 

বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন, 

পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ। 

হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়। 

আমার বু¬জীর তরেতে যেন গো বেস্ত নসিব হয়। 


 হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু, সাত বছরের মেয়ে, 

রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে। 

ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা, 

অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা! 

ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে, 

তোমার দাদির ছবিখানি মোর হদয়ে উঠিত ছেয়ে। 

বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা, 

রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা। 


 একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে, 

ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে। 

সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে। 

কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে। 

আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি, 

দাদু! ধর¬ধর¬ বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি। 

এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু, 

কথা কস নাকো, জাগিয়া উটিবে ঘুম¬ভোলা মোর যাদু। 

আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে, 


 ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিয়ে ঘন আবিরের রাগে, 

অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে। 

মসজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সুকরুণ সুরে, 

মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূরে। 

জোড়হাত দাদু মোনাজাত কর, আয় খোদা! রহমান। 

ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু¬ব্যথিত প্রাণ। 


======

কপি
পেস্ট

কম খরচে নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা, রয়েছে নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ


নিউজিল্যান্ড বা আগুটেয়ারোয়া। ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন সিলভার ফার্ণের এই দেশটি পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এই দেশকে শ্রভ্র মেঘের দেশও বলা হয়ে থাকে। চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিমণ্ডিত পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশের মতই উচ্চশিক্ষার শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে বিশ্বব্যাপী । ফলে প্রতি বছর শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্যক শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য পাড়ি জমায়। 


নিউজিল্যান্ড নিয়ে কিছু কথা
আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগে পলিনেশিয়ান বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টি তাসমান সাগরের কোল জুড়ে থাকা এই দেশটিকে আবিষ্কার করে। ছোট ছোট সেসব জাতিগোষ্টি একটা সময় সেখানে স্বতন্ত্র মাওরি (Maori) সংস্কৃতি গড়ে তোলে, যারাই নিউজিল্যান্ডিয় আদিবাসী হিসেবে পরিচিত। ১৬৪২ সালে সর্বপ্রথম ইউরোপিয়ান অভিযাত্রী হিসেবে 'আবেল তাসমান' এখানে নোঙর ফেলেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সেখানে শ্বেতাঙ্গদ্যের আধিক্য দেখা দেয়। ১৮৪০ সালে ব্রিটিশরা স্থানীয় মাওরিদের সাথে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ১৮৪১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড একটি ব্রিটিশ কলোনির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৩০ এর দশকে এক সাংস্কৃতিক বিপ্লবের (কালচারাল রেনেসাঁ) পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। এরপর থেকে বর্তমান অবধি এখনো নিউজিল্যান্ডিয়ান রাজনীতি কল্যাণমুখী এবং উদারনীতি গ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। তবে উল্লেখ্য হলো, আজও দেশটির রাষ্ট্র প্রধান গ্রেট ব্রিটেইনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যদিও দেশটির রাজনীতিতে রাণীর কোনো প্রভাব নেই। নিউজিল্যান্ডে আজও বেঁচে আছে ঐতিহ্যবাহী মাওরি সংস্কৃতি। 
কেন যাবেন  নিউজিল্যান্ডে? 
পাহাড়-পর্বতে ঘেরা এই দেশটি ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও, ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতই অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যতম এক ধনী রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড । মানুষের গড় মাথাপিছু আয় $৩১,০৬৭ ডলার। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় নিরাপদ দেশ । এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১২টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়, যা বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে ৬ঠ স্থানে রয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বিদেশীদের সঙ্গে তাদের আচরণও একই রকমের। এর পাশাপাশি খুব সহজেই স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। শিক্ষা মান আর বিভিন্ন সূচক হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অতুলনীয় . OS Ranking এবং Times Higher Ranking মতে নিউজিল্যান্ডের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্বের প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। উচ্চশিক্ষা পরবর্তী চাকুরির ক্ষেত্রেও নিউজিল্যান্ডের বাজার অত্যন্ত ঈর্ষনীয়। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৯৩% ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা শেষ করে সরাসরি চাকুরিতে প্রবেশ করার সুযোৃম

সিগারেট মাকরুহ নাকি হারাম,,,,, তাবলীগ জামাত ফেইসবুক থেকে কপি করা

সিগারেট-মাকরূহ-নাকি-হারাম??

🎙️ কুরআন-হাদীস কি বলে??


 সিগারেট খেলে কি ইবাদাত কবুল হয় না ??


- রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ

নেশা উদ্রেককারী প্রতিটি বস্তু মদের অন্তর্ভুক্ত। আর নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তু হারাম। যে ব্যক্তি একবার নেশা উদ্রেককারী জিনিস পান করলো সে তার চল্লিশ দিনের সলাতের কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো। 

[আবু দাউদঃ ৩৬৮০]


সিগারেটের গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান মৃত্যু ঘটায়"।

- আল্লাহ পাক বলেন,

"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না।" [বাকারা-১৯৫]


 সিগারেট নেশাজাতীয় জিনিস।

- নবী করিম (ﷺ) বলেছেন,

"প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার) আর প্রত্যেক নেশার জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]


কেউ একসাথে ১০টি সিগারেট খেলে তার নেশা হতে বাধ্য।

- রাসূল (ﷺ) বলেছেন:-

“যা অধিক সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু দাঊদ-৩৬৮১]


 সিগারেট অপবিত্র জিনিস।

- আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু হারাম করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]


 সিগারেটে অপব্যয় ছাড়া অন্য কিছু নয়।

- আল্লাহ পাক বলেন, "নিশ্চয়ই অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]


সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম কষ্ট পায়।

- রাসূল (ﷺ) বলেন,

"যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।" [বুখারী]


সিগারেট পুষ্টিকর কিংবা ক্ষুধা নিবারণ মূলকও কিছুই নয়। 

- জাহান্নামীদের খাবার প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, “এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।" [গাশিয়াহ-৭]


এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন-

এই ধুমপান করবেন, নাকি ছাড়বেন?আস্তাগফিরুল্লাহ.... 

আল্লাহ আমাদেরকে এ সর্বনাশা নেশা থেকে দুরে রাখুন।


আমিন! 

কপি
পেস্ট

হেমন্তে ছাতিম তরুর ম ম গন্ধে চারিদিকে ছড়িয়ে আছে,,,,, ফেইসবুক থেকে কপি করা

 

হেমন্তে ছাতিম তরু ম ম গন্ধের ফুল, বলছে কত কথা...


হেমন্তে ছাতিম ফুল জানান দিচ্ছে নবান্ন আসছে সঙ্গে শীত আসছে। পিঠাপুলি খাওয়ার দিন আসছে। প্রায় দুর্লভ দর্শন হয়ে পড়েছে অসাধারণ সুন্দর ছাতিম তরু। তারপরও দেখা মিলল পথ চলতে।
মাঝ রাত পেরিয়ে গিয়েছে। শিশির ঝরছে একটু করে। পথ নির্জন প্রায়। মাঝে-মধ্যে রিক্সার ক্রিংক্রিং শব্দ। বগুড়া নগরীর সার্কিট হাউসের সামনের সড়কটি একটু অন্যরকম। নিশুতি রাত ছিমছাম। স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় গাছের পাতাগুলো চিকচিক করছে। শোনা গেল প্রহর গোনা পাখি পেঁচার ডাক। মনে হচ্ছিল স্বপ্নের ঘোর। হঠাৎ নাকে ঝাপটা দিয়ে গেল ম ম গন্ধে মাখা হেমন্তের মৃদু হাওয়া। যেন এক মধুময় সৌরভ। উপেক্ষা করা গেল না মোটেও। ইতি উতি তাকাতেই বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (সাবেক ভিএম স্কুল) এক কোণায় চোখে পড়ল ঝাঁকড়া পাতা পল্লব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু এক বৃক্ষ। অতি পুরনো। এই বৃক্ষের নাম ছাতিম। যে ফুলের গন্ধ ভেসে যাচ্ছে।   
বৃক্ষটি ১৮৬৯ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আছে। গুঁড়িতে বাকলগুলো কুন্দের মতো ফুলে আছে। যাতে বৃদ্ধের মুখের বলি রেখার মতো অজস্্র সরু স্ফীত রেখায় ভরা। ওপরে গুচ্ছ গুচ্ছ পাতা। ফোটা ফুলের থোকায় কি মায়াময়তা। নীরবে দাঁড়িয়ে সৌরভের মিতালী করছে রাতের ঝিরিঝিরি হাওয়ার সঙ্গে। মমতার স্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছে পত্র পল্লবে। ছাতিম তরুর সঙ্গে ছাতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কান্ড কিছুটা লম্বা হয়ে শাখা-প্রশাখায় পাতার বিস্তারে মেলে ধরে। কান্ডের কয়েক ধাপ গাঢ় সবুজ পাতায় সাজানো। এই পাতা থাকে ভর বছর। তাই ছাতিম তলা ছায়াময়ও থাকে ভর বছর। ঘন ছায়ার জন্য সাধু সন্ন্যাসী ও মুনি ঋষিরা ধ্যানে বসতেন ছাতিম তরু তলে। পাতার ধরন বর্ষার ফলকের মতো। কান্ডের গ্রন্থিতে সাধারণত সাতটি পাতা বৃত্তাকার হয়ে থাকে। যে কারণে সংস্কৃতিতে এর নাম ‘সপ্তপর্ণী’। ড. নওয়াজেশ আহমেদ তাঁর বাংলা বনফুল গ্রন্থে ছাতিমের অনেক নাম উল্লেখ করেছেন। যেমন- সুপর্ণক, পত্রবর্ণ, শুক্তিপর্ণ, গন্ধিপর্ণ, গুচ্ছপুষ্প, শারদী বিনক ইত্যাদি।
ছাতিম তরুর বড় একটি তথ্য আছে শান্তি নিকেতনে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তি নিকেতনে সমাবর্তনের সময় প্রথম উপহার দিতেন ছাতিম পাতা। বর্তমানে যারা মধ্যবয়সী তারা ছাতিমের সঙ্গ পেয়েছেন একটু ভিন্ন ভাবে। নিকট অতীতে স্কুল- কলেজের শ্রেণিকক্ষে ব্ল্যাক বোর্ডের ওপর সাদা চক পেন্সিলে লেখা হতো। সেদিনের সেই ব্ল্যাক বোর্ড তৈরি হতো ছাতিম কাঠ দিয়ে। ছাতিমের কাঠ হালকা ও মসৃণ। কাঠ পেন্সিল তৈরিতেও ব্যবহার হয় ছাতিম কাঠ।
ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাল্সটোনিয়া স্কলার। তবে ছাতিম গাছের ইংরেজি নামটি একটু বিদঘুটে- ‘ডেভিল ট্রি’। বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় ভূতের গাছ। যদিও ভূতপ্রেত কুসংস্কার তারপরও অতীতে গভীর রাতে এই গাছের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় গা ছমছম করত। এই গাছকে নিয়ে লোক ছড়া আছে ‘শ্যাওড়া গাছে পেতনী ঠাসা, ছাতিম গাছে ভূতের বাসা’। প্রযুক্তির এই যুগে ভূত প্রেত কবে পালিয়েছে। দুর্লভ এই গাছকে রক্ষা করার কোনো উদ্যোগ নেই। বর্ষায় বৃক্ষরোপণের মৌসুমে অনেক গাছের  চারা রোপিত হয়। শুধু থাকে না ছাতিম তরুর চারা বা বীজ।    
একটা সময় দেশে অনেক ছাতিম তরু ছিল। যা ছিল প্রকৃতির ছাতা। ছাতিম কাঠের বাণিজ্যিক মূল্য না থাকায় ‘বাণিজ্যিক যুগে’ এই গাছ কেউ রোপণ করে না। উল্টো ছাতিম গাছ কেটে ফেলে। কে আর সৌন্দর্য ও মধুগন্ধে এই তরু রোপণ করে। এখন কালেভদ্রে চোখে পড়ে ছাতিম তরু। যা আছে তাও কর্তনের খাতায় উঠছে। কতদিন আর রক্ষা করা যাবে। বর্তমান প্রজন্ম ছাতিম তরু ঠিকমতো চেনে না।  
ছাতিমের ফুল ফোটা শুরু হয় হেমন্তে। শীতের মধ্যভাগ পর্যন্ত থাকে। গাছের সকল প্রশাখা পাতা লুকিয়ে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ছাতিমের ফুলও সবুজাভ। ফুলের নিচের অংশ নলের মতো। ওপরের অংশে পাঁচটি পাপড়ি সামান্য বাঁকানো। পরাগ কেশ ও গর্ভকেশ পরস্পর সংযুক্ত। ফলে তীব্র মধুগন্ধ হাওয়ায় ভেসে যায় দূর বহুদূর। ছাতিমের ফল অনেকটা লম্বা। শীতের শেষে ফলগুলো গাছের আরেক শোভা এনে দেয়। এর বীজ রোমশ সহজেই চারা গজিয়ে ওঠে।
ছাতিমের রয়েছে অসাধারণ ভেষজ গুণ। ছাল, আঠা, জ্বর, হাঁপানি, ক্ষত, আমাশয় ও কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় বহুকাল থেকে ব্যবহৃত। ছাতিম তরুর আদি নিবাস বাংলাদেশ সহ ভারত চীন মিয়ানমার শ্রীলঙ্কা।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে- ছিটিয়ে  ছাতিম তরু আছে। যে সংখ্যা খুবই কম। ছাতিম তরু এখনো ফুলের গন্ধে অস্তিত্ব জানান দেয়। আর কতদিন তা দিতে পারবে! মুনিঋষিরা ধ্যানে বসে জপতপের জন্য ছাতিম তরু খুঁজে ফেরে।

কপি

পেস্ট

যার মৃত্যুতে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে

 নিরাপত্তা দশক’ ঘোষণা করে সংস্থাটি। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় ২০৩০ পর্যন্ত বাড়ানো হয় সময়সীমা।


সন্তান কোলে ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন, 


সন্তান কোলে ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন, 


এদিকে, নিসচার উদ্যোগে এসএসসি পাস করা বেকার যুবকদের দক্ষ চালক হিসেবে গড়ে তুলতে ‘নিসচা ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখান থেকে বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তরা। অপরদিকে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করে সরকার। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে আইনটি কার্যকর হয়। ২০১৭ সালে ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ ঘোষণা করে সরকার।


নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কের ভয়ের থাবা থেকে জাহানারা কাঞ্চনকে বাঁচাতে না পারলেও লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করছেন তিনি। ফলে এতদিনের ব্রত, সংগ্রাম ও প্রচেষ্টা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সফল হয়েছে। কিন্তু এখনও সড়কে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল, মানুষের আহাজারি তাকে ব্যথিত করে। এ থেকে উত্তরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।


/এপিএইচ/

কপি
পেস্ট

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...