আলী আকবর,রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে তাদের সাথে থাকা সোনার শুল্ক দিতে রেড চ্যানেলে প্রবেশ করেন।
যাত্রী আলী আকবর দুটি সোনার বার (২৩২ গ্রাম) এবং৯৮ গ্রাম সোনার অলংকার এনেছেন। কাস্টমস ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী ২টি সোনার বারের জন্য শুল্ক দিলেন তিনি । আর ১০০ গ্রাম অলংকারের জন্য শুল্ক দেবার প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইসলামও ২টি সোনার বারের শুল্ক দিলেন। আর তাদের দুজনের সাথে রয়েছে ১৯৬ গ্রাম অলংকার।
শুল্ক দেয়া শেষে ৩ জন গ্রীন চ্যানেল দিয়ে কাস্টমস জোন পার হয়ে যাবেন, এমন সময় তাদের আটকালো কাস্টমস কর্মকর্তারা। জানতে চায় কোন সোনার বার বা অলংকার আছে কিনা। ৩জনই খুব বিরক্ত হলেন। শুল্ক দিয়ে বের হবার পরও এই অবান্তর প্রশ্নের কোন মানে হয়।
তারা কাস্টমস কর্মকর্তাকে দেখলেন বারের জন্য শুল্ক দিয়েছেন। আবারও কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্ন, আর কোন পণ্য কিংবা স্বর্ণবার আছে কিনা।
দুবাই থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে দেশে এসেছেন। লাইন দাড়িয়ে সোনার বারের জন্য শুল্ক দিয়েছেন। তারপরও বারবার প্রশ্ন, প্রবাসীদের জন্য এই আয়োজন কাস্টমসের? বিরক্ত হয়ে তারা আবারও বললেন, তাদের কাছে থাকা ২টি করে স্বর্ণবার এবং ১০০ গ্রামের মধ্যে স্বর্ণালংকার ছাড়া আর কোন শুল্কযুক্ত পণ্য নেই।
কাস্টমস কর্মকর্তা তাদের তল্লাশির জন্য ডাকলেন। তারা মনে মনে ভাবছেন, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সাথে এ কি আচরণ? শুল্ক দেবার পরও এ কেমন আচরণ কাস্টমসের। বিমানবন্দরে এই হয়রানি কবে বন্ধ হবে !
যাত্রী আলী আকবরের শরীর তল্লাশী করা হলে শর্ট প্যান্টে অভিনব কায়দায় আটকানো পেস্ট আকারের স্বর্ণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে শর্টপ্যান্ট আগুনে পুড়িয়ে এবং এসিডে ধুয়ে আলী আকবর এর কাছ থেকে ৪৬৪ গ্রাম পেস্ট আকারের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চোরাচালানের অপচেষ্টা করায় তার সাথে আনা সোনার বার, অলংকারও জব্দ করা হয়।
অপরদিকে যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও মো রুবেল ইসলামের শর্টপ্যান্ট খুলে আগুনে পুড়িয়ে এবং এসিডে ধুয়ে পেস্ট আকারের ৯২৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চোরাচালানের অপচেষ্টা করায় তাদের সাথে সর্বমোট ১৫৮৮গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়|
তাদের ৩ জনের কাছ থেকে সোনার বার ও অলংকারসহ ২ কেজি ৩৮২ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস।
তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
কপি
পেস্ট
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন