এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষে কুরআন ও সুন্নার আলোকে মিলাদুন্নবী ﷺ অনুষ্ঠানের অস্তিত্বের ধারাবাহিক দলীল। ছারছিনা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 .          পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষে

কুরআন ও সুন্নার আলোকে মিলাদুন্নবী ﷺ অনুষ্ঠানের 

                অস্তিত্বের ধারাবাহিক দলীল। 

                          পর্ব নং {০১}

===================================

                نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد :-

                          قال تعالى: ورفعنالك ذكرك  .

              শাব্দিক ও পারিভাষিক বিশ্লেষণ

 -----------------------------------------------------------------

 আলোচনা লিখার আগে মিলাদুন্নবীর শাব্দিক আলোচনা করবো । ميلاد + نبي , দুটি শব্দ একত্রে মিলে মিলাদুন্নবী বলা হয় । সমাজে ‘মিলাদ’ এর তিনটি শব্দ প্রচলিত আছে মিলাদ, মাওলিদ ও মাওলূদ । ‘মিলাদ’ অর্থ জন্মের সময়, ‘মাওলিদ’ অর্থ জন্মের স্থান, ‘মাওলূদ’ অর্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান । আর ‘নবী’ শব্দ দ্বারা বুঝায় হুজুর (সঃ) কে । শাব্দিক অর্থে ‘মিলাদুন নবী’ বলতে হুযুর (সঃ) এর বিলাদত শরীফ বা জন্মবৃত্তান্তকে বুঝানো হয়ে থাকে । মিলাদ তথা স্থান বা কালবাচক বিশেষ্য । যেমন মীছাক, মীকাত, মীয়’আদ ইত্যাদি শব্দগুলো একইভাবে ইসমে যরফ তথা স্থান বা কালবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় । বিভিন্ন অভিধানে মীলাদ শব্দটির অর্থ কিভাবে লিখা হয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করছি-


• আল্লামা ইবনে মানযুর আল আফরীকি (মৃতঃ ৭১১ হিঃ) লিখেছেনঃ

অর্থাৎ লোকটির মিলাদঃ যে সময় সে জন্মগ্রহন করেছে সে সময়ের নাম ।


• গিয়াছুল লুগাতে লিখিত আছেঃ 

মিলাদ শব্দটির মীম অক্ষর যের বিশিষ্ট যার অর্থঃ জন্মকাল ।


• মুন্তাখাব অভিধানে লিখিত আছেঃ

নবজাতক শিশু,জন্মকালীন ঘটনা,জন্মের সময়কাল ।


• ইংরেজী ও আরবী ডিকসনারীতে আছে

‘মিলাদ’ অর্থঃ birth (process of being born, coming into the world) অর্থাৎ পৃথিবীতে আগমনের সময় ।


* ফায়েদাঃ


আমরা দেখলাম মিলাদুন্নবী অর্থঃ হুজুর (সঃ) এর জন্মের সময় বা জন্মকালীন ঘটনা । আমরা বিভিন্ন অভিধান খুঁজে দেখলাম যে, মিলাদ শব্দটি কে কোন অভিধানবেত্তা ইসমে আ’লাহু তথা যন্ত্রবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহার করেন নাই । যারা এমনটি বলেন, মূলতঃ তা নবীর সাথে বেয়াদবী বৈ কিছুই নয় ।


# মিলাদের পারিভাষিক অর্থ:-


১) আল্লামা মোল্লা আলী আল ক্বারী (রহঃ) তার বিখ্যাত কিতাব “আল মাওরিদুর রাবী” তে বলেন


মিলাদ বলতে নবীর জন্মবৃত্তান্ত তার মুজিযাসমূহ ও সিরাতের আলোচনার জন্য একত্রিত হওয়া, আর যথাযথ প্রশন্সাসহ তার প্রতি দরুদ ও সালাম পড়া । জীবিত ও মৃতের জন্য দোয়া, অতঃপর তাবাররুক (খাবার) আয়োজন করে মানুষের অন্তরে নবীর জন্মে আনন্দিত হওয়া ।


২) মিলাদুন্নবী অর্থ হচ্ছেঃ-

 

রাসুলে মাকবুল ﷺএর জীবনকালের ঘটনাবলী, সানা সিফাত, মাতৃগর্ভে অবস্থানকালীন অলৌকিক ঘটনাবলী, তার বংশ পরিচয়য়, হালিমা (রাঃ) এর ঘরে প্রতিপালিত হওয়ার ঘটনা আলোচনার নামই মিলাদ ।

           

                  { মুহাম্মাদ ওমর ফারুক }

                              বাগেরহাট । 

                ----------------------------------------

                         (১৭/০৯/২০২৩ইং। )  

                              চলবে +

ছারছিনা  ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিশি রাতের কল ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নিশি রাতের কল 

পর্ব ১


রাত প্রায় ১ টা আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা অদ্ভুত রকমের নাম্বার থেকে কল আসলো। নাম্বারটা ছিলো +০৭৫১৮। ভাবলাম হয়তো সিম কোম্পানী থেকে কলটা এসেছে। ফ্রিতে কোন গান শোনায় কিনা। কলটা ধরতেই বেশ অবাক হয়ে যাই। ঐ পাশ থেকে একটা মেয়ের কাঁদো কাঁদো কন্ঠ। মেয়েটা আমাকে বললো:


-হ্যালো! আপনি কী  সাকিল হাসান ?

-হ্যাঁ বলুন। আপনি কে?

-আপনি আমায় চিনবেন না। আমার একটা সাহায্য চাই আপনার কাছ থেকে।

-এতো রাতে!! কি সাহায্য?

-সাহায্যটা কাল সকালে করলেও চলবে।

-আচ্ছা আগেতো বলুন কি সাহায্য।

-বলছি। হয়তো আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন না বা ভাববেন মজা করছি। 

আমার নাম জান্নাতুন অরিন । আমি সুলতান নগরে থাকি। রোজ সকালে পাশের এলাকায় একটা টিউশনি পড়াতে যাই। রোজকার মতো আজকে সকালেও টিউশনি শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলাম। রাস্তাটা বেশ ফাকা ছিলো। হঠাৎ কিছু অপরিচিত ছেলেদের দেখলাম রাস্তায় মাতলামো করছিলো। আমি তাদের দেখে ভয় পেয়ে যাই । আমি ভয়ে ভয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ তাদের মধ্য থেকে একটা ছেলে আমার সামনে এসে দাড়ায়। আমি কিছু বলার আগেই ছেলেটা আমার মুখ চেপে ধরে। বাকি ছেলেগুলো আমাকে জোর করে ধরে একটা গাড়িতে তোলে। তারা আমার মুখ আমার ওরনা দিয়ে বেঁধে

দেয়। আমি চাইলেও চিৎকার করতে পারছিলাম না। আমি নিজেও জানতাম না তারা আমাকে কোথায় আর কেনো নিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর তারা আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে জোর করে একটা পুরাতন জমিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। জমিদার বাড়িটা আমি আগে থেকেই চিন্তাম তবে এর আগে কখনো এখানে আসা হয়নি। ওরা ৫ জন ছিলো।


এতক্ষনে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তারা আমাকে কেনো ধরে এনেছে। তারা আমাকে একটা ঘরের ভেতর নিয়ে যায় এবং নরপশুর মতো আমার উপর ঝাপিয়ে পরে এবং জোর করে একের পর এক আমাকে রেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি যখন একজনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি তখন তাদের মধ্যে একজন একটা ছুরি এনে আমার গলায় চালিয়ে দেয়। আমি সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে যাই এবং কিছুক্ষন পরে মারা যাই। এরপর তারা আমার লাশটাকে জমিদার বাড়ির পাশেই একটা ঝোপে ফেলে চলে যায়।

-কী বললেন? আপনি মারা গেছেন!! আর আপনার লাশ ঝোপে ফেলে গেছে তারা? এতো রাতে আপনি কল দিয়ে আমার সাথে মজা করছেন? আপনি যদি মারা গিয়ে থাকেন তাহলে আমার সাথে কথা বলছেন কিভাবে!!?


-সেটা আমি আপনাকে পরে বলবো। প্লিজ আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আমার লাশটা ঝোপে পরে রয়েছে। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমার বাবা আমাকে অনেক খুচ্ছে। সে থানায়ো জিডি করেছে। তারা পুরো এলাকা আমায় খুজে পাগল হয়ে যাচ্ছে। আপনি প্লিজ একবার আমার বাবার কাছে গিয়ে বলুন যে আমার লাশটা জমিদার বাড়ির ঝোপে পরে রয়েছে। তারা যাতে দ্রুত আমার লাশটাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।

-আপনি আসলেই একজন সাইকো। এতোরাত্রে আমার সাথে মজা নিচ্ছেন? ফোন রাখুন!


এই বলেই রেগে কলটা কেটে দিলাম। ভাবলাম এতোরাতে এই ধরনের মজার কোন মানেই হয় না?! মেয়েটা কী উল্টাপাল্টা কথা বলছিলো। মেয়েটা মারা গেলে আবার আমার সাথে কথা বলছে কিভাবে!


কিন্তু মেয়েটা কে ছিলো!? আর আমার নামই বা জানলো কিভাবে?!! তা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু এতো সিরিয়াস একটা বিষয় নিয়ে কোন মেয়ে কেনো আমার সাথে মজা করবে এটাও বুঝলাম না। এরপর ভেবেই নিলাম হয়তো পরিচিত কোন বন্ধু মজা করেছে। তাই এটা নিয়ে আর কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।


পরের দিনটা পুরোটাই স্বাভাবিক ভাবে কাটিয়ে দিলাম। দিনে একবারো কলটার কথা মনেও পড়েনি। আবার রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় ১ টা বেজে গেলো। হঠাৎ আবার সেই +০৭৫১৮ নাম্বার থেকে কল আসলো। প্রথম বারে ধরলাম না। পরে আবার আরেকটা কল আসলো একই নাম্বার থেকে। এইবার অনেকটা রেগেই কলটা ধরলাম। আর বললাম:

-কী সমস্যা আপনার? আজকে আবার কল দিয়েছেন কেনো?!


-আপনাকে না বললাম আমাকে একটু সাহায্য করতে। আপনি আজকে দিনে আমার বাবার কাছে কেনো জাননি?? আর আমার কথা কেনো বলেননি? জানেন আজ আমি মারা গেছি দুইদিন হয়ে গেলো। দুই দিন ঝোপটাতে কতো কষ্টে পরে রয়েছি। আমার বাবাও আমায় খুজতে খুজতে অনেক অসুস্হ্য হয়ে পড়েছেন। প্লিজ একবার অন্তত আমার বাবার কাছে গিয়ে সব কথা তাকে খুলে বলুন।

-আপনি এতো মানুষ থাকতে আমার সাথে কেনো মজা নিচ্ছেন? প্লিজ এসব বন্ধ করুন।

-দেখুন আমি মজা করছি না। আপনি অন্তত একবার আমার বাড়িতেতো গিয়ে দেখুন। সব বুঝতে পারবেন। আমার বাড়ি আপনার বাড়ি থেকে খুব একটা দুরে না। সুলতান নগর বাজারের নিকটে ১০৭ নাম্বার বাড়িটাই আমার প্লিজ একটু সাহায্য করুন।


এরপর আমি কলটা কেটে দিলাম। মেয়েটার কথাগুলো বিশ্বাস করার মতো না। কিন্তু মেয়েটা এমনভাবে আমার সাথে কথাগুলো বলেছিলো যে আমার মনে হলো মেয়েটা মিথ্যা কথা বলছে না। আর মেয়েটা আমার নামও জানে। অর্থাৎ আমাকে চিনে।


আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমার কী করা উচিত। মেয়েটা এমন সব কথা বলেছিলো যে এটা কারো সাথে শেয়ার করলে, সেও আমায় পাগল ভাববে।


তবে আমি এতোটা বুঝতে পারছিলাম যে একটা মেয়ে এইসব ব্যাপার নিয়ে অন্তত আমার সাথে মজা করবে না।


সবার প্রথমে তাহলে কাল আমাকে সুলতান নগরের ১০৭ নাম্বার বাড়িটাতে যেতে হবে। তারপরেই সব কিছু বুঝতে পারবো। আর যদি কেউ মজা করে থাকে তাহলেও হয়তো তার বাড়ি ঐখানেই রয়েছে।


সুলতান নগর আমাদের এলাকা থেকে খুব একটা দুরে না। তাই পরের দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই সুলতান নগরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম। সুলতান নগরে পৌছানোর পর সেখানকার মানুষদের কাছে ঠিকানা জেনে ঠিক ১০৭ নাম্বার বাড়িটার সামনে গেলাম।


বাড়িতে পৌছে দেখলাম বাড়িটাতে বেশ ভীর। এরপর একজন লোকের কাছে ভীরের কারন জানতে চাইলাম। লোকটা আমাকে যাহ বললো আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। লোকটা বললো:

-গত দুই দিন ধরে এই বাড়ির মেয়েটাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়েটা দুইদিন আগে পাশের এলাকায় টিউশনি করাতে গিয়েছিলো এরপর থেকে আর বাড়ি ফিরেনি। পুলিশ সহ এলাকাবাসী ২দিন ধরে পুরো কয়েকটা এলাকা খুজেও মেয়েটাকে পায়নি। সেই টেনশনে মেয়েটার বাবা অনেক অসুস্হ্য হয়ে পড়েছে ।


মেয়েটা আমাকে ফোনে যা যা বলেছিলো তা যে এইভাবে সত্যি হবে ভাবতে পারিনি।


এরপর আমি লোকটার কাছে মেয়েটার নাম জানতে চাই। লোকটা বললো:

-জান্নাতুন অরিন।


এরপর আর আমার কিছুই বলার ছিলো না। আমি অবাক হয়ে বাড়িটার সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। তার মানে মেয়েটা কল করে যাহ বলেছিলো সব সত্যি। কিন্তু একজন মেয়ে মারা জাওয়ার পর কিভাবে ফোনে কথা বলতে পারে তা আমার মাথায় আসছিলো না।


মেয়েটার বাকি কথাগুলোও যদি সত্যি হয় তাহলে মেয়েটার লাশ এখন জমিদার বাড়ির ঝোপে পরে রয়েছে। আর এই কথাটা শুধু আমি জানি। আমি ভাবছিলাম মেয়েটার বাবাকে বা পুলিশকে কিভাবে বলবো যে মেয়েটার লাশ জমিদার বাড়ির ঝোপে পরে রয়েছে।


কারন তাদের যদি বলি যে মেয়েটার লাশ ঐ ঝোপে পরে রয়েছে তাহলে তারা আমার কাছ থেকে জানতে চাইবেন যে এটা আমি কী করে জানলাম। আর আমি যদি বলি যে মেয়েটা মারা জাওয়ার পর আমাকে কল দিয়ে এইকথা গুলো বলেছে তাহলে তারা আমার কথা বিশ্বাসতো করবেই না উল্টা আমাকে আরো সন্দেহ করবে। তাই ভাবলাম তাদের কিছু বলার আগে প্রথমে সেই জমিদার বাড়ির ঝোপে গিয়ে দেখি কোন লাশ পাই কিনা।

তবে আমার কেনো জানি মনে হচ্ছিল যে আমি ঝোপে লাশটা পাবো না।


এরপর আমি একজন লোকের কাছ থেকে জমিদার বাড়িটার ঠিকানা জেনে জমিদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর সেই পুরোনো জমিদার বাড়িতে পৌছালাম। দেখলাম আসলেই বাড়িটা বেশ নির্জন একটা জায়গায়। এখানে মানুষ খুব একটা আসা-জাওয়া করে না। মেয়েটার কথা মতো আমি বাড়িটার আশেপাশে ঝোপ খুজে বেড়াচ্ছিলাম। প্রথমে কোন ঝোপ না দেখলেও কিছুক্ষণ পর বেশ কিছুটা দুরে একটা ঝোপ দেখতে পেলাম। ঝোপটা দেখেই ভয়ে ভয়ে ধীরে ধীরে ঝোপটার দিকে এগোতে লাগলাম। এরপর ঝোপটাতে তাকিয়ে যাহ দেখলাম আমি পুরো ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। মেয়েটা যাহ বলেছিলো তাই ঠিক হলো। ঝোপে একটা মেয়ের অর্ধনগ্ন অবস্থায় লাশ পরেছিলো। লাশটা থেকে বেশ দূরগন্ধও বের হচ্ছিলো।


আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই ভয়ে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে জমিদার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলাম। এরপর আশেপাশের লোকদের চিৎকার করে ডাকলাম। তারা আসলে তাদেরকে বলি যে ঐ বাড়ির ঝোপটায় একটা মেয়ের লাশ পরে রয়েছে। তারাও অবাক হয়ে দৌড়ে যায় ঝোপটার কাছে এবং লাশটা দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায়।


আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার সাথে কি হচ্ছে। মেয়েটা যাহ বলেছিলো ঠিক তাই হলো। তার মানে মেয়েটা মিথ্যা বলেনি। সে আসলেই মারা জাওয়ার পর আমাকে কল দিয়েছিলো। আমি ভয়ে চুপচাপ মাটিতে বসে পড়লাম। একটু পর এলাকার লোকেরা পুলিশকে কল করলো এবং পুলিশ আসলো।


পুলিশ এসেই লাশটাকে দেখে চিনতে পারলো যে এই মেয়েটাই ২ দিন আগে সুলতান নগর থেকে নিখোজ হয়েছিলো। এরপর তারা মেয়েটার বাবাকে কল করে এখানে আসতে বলে। পুলিশ সবার কাছ থেকে জানতে পারে যে সবার আগে লাশটা আমিই দেখেছিলাম। তাই তারা আমাকে প্রশ্ন করে যে আমি কিভাবে এখানে আসলাম আর লাশটাকে দেখলাম! আমি আসল কারণটা তাদের বলতে পারছিলাম না। কারন তারা আমার কথা বিশ্বাস করবে না। তাই তাদের বললাম যে আমি এখানে এমনি হাটাহাটি করতে করতে চলে এসেছিলাম আর লাশটাকে দেখতে পাই। তারা আমার কথা বিশ্বাসো করে নেয়। এরপর একজন মহিলা কন্সটেবল এসে পুলিশ অফিসারকে বলে:


-স্যার লাশটাকে দেখে মনে হচ্ছে গনধর্ষণ করা হয়েছিলো এবং পরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আনুমানিক মেয়েটা দুই দিন আগে মারা গেছে।


এরমানে এখন আমি নিশ্চিত যে মোবাইলে কল করে কেউ আমার সাথে মজা করেনি। মেয়েটা যা যা বলেছিলো তার পুরোটাই সত্যি।


এরপর আমি পুলিশ অফিসারের কাছে অনুমতি নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় অনেক রাত হয়ে যায়।


আমি নিজের ঘরেই চুপচাপ বসে ভাবছিলাম যে একটা মৃত মেয়ে কিভাবে কল দিয়ে তার মৃত্যুর কথা বলতে পারে। আর পৃথিবীতে এতো মানুষ থাকতে মেয়েটা আমাকেই বা কেনো কল দিলো। মেয়েটাতো তার বাবাকেও সরাসরি কল দিয়ে সব বলতে পারতো।


এগুলো ভাবতে ভাবতে আবার মোবাইলের স্ক্রীনে সেই অদ্ভুদ নাম্বারটা ভেসে উঠলো, "+০৭৫১৮"। ভয়ে পেয়ে গেলাম মেয়েটা আজ আবার আমাকে কেনো কল দিয়েছে।


চলবে........

কপি

পেস্ট

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নায়ক ফেরদৌস অভিনিত ছবি

🌸🌸ফের‌দৌস অভিনীত সি‌নেমার তালিকাঃ-

================❤️❤️=================

১।বু‌কের ভিতর আগুন(শাবনূর)

২।‌প্রে‌মের জ্বালা(শাবনূর)

৩।ব‌স্তির মে‌য়ে(শাবনূর)

৪।এই মন চায় যে(শাবনূর)

৫।সবার উপ‌রে প্রেম(শাবনূর,কাজল)

৬।প্রা‌ণের মানুষ(শাবনূর)

৭।আমার স্বপ্ন তু‌মি(শাবনূর)

৮।ব্যা‌চেলর(শাবনূর,অ‌পি ক‌রিম)

৯।দুই নয়‌নের আলো(শাবনূর)

১০।ব‌লোনা ভা‌লোবা‌সি(শাবনূর,পূ‌র্ণিমা)

১১।বউ বন্ধক(শাবনূর)

১২।যত প্রেম তত জ্বালা(শাবনূর)

১৩।তু‌মি বড় ভাগ্যবতী(শাবনূর,শানু)

১৪।বউ শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ(শাবনূর,শানু)

১৫।ফু‌লের মত বউ(শাবনূর)

১৬।র‌ঙিন ঘর জামাই(শাবনূর)

১৭।ঘ‌রের লক্ষ্মী(শাবনূর)

১৮।‌জি‌দ্দি বউ(শাবনূর)

১৯।জ‌মেলা সুন্দরী(শাবনূর)

২০।‌বিয়াইন সাব(শাবনূর)

২১।‌গোলাপী এখন বিলা‌তে(শাবনূর)

২২।কাল সকা‌লে(শাবনূর)

২৩।‌দোস্ত আমার(শাবনূর)

২৪।জীবন সীমা‌ন্তে(শাবনূর)

২৫।ভালবাসার যুদ্ধ(শাবনূর)

২৬।‌খেয়া ঘা‌টের মা‌ঝি(শাবনূর)

২৭।‌কিছু আশা কিছু ভালবাসা(শাবনূর,‌মৌসু‌মি)

২৮।পৃ‌থিবী আমা‌রে চায় না(কা‌ঞ্চি)

২৯।পর‌দেশী বাবু(রচনা ব্যানার্জী)

৩০।হঠাৎ বৃষ্টি(‌প্রিয়াঙ্কা,জুন মা‌লিয়া,শ্রী‌লেখা)

৩১।চু‌পি চু‌পি(‌প্রিয়াঙ্কা)

৩২।টক ঝাল মি‌ষ্টি(‌প্রিয়াঙ্কা,ভারত)

৩৩।‌মি‌ট্টি(‌হিন্দী)

৩৪।চু‌ড়িওয়ালা(মধু‌মিতা)

৩৫।‌মিস ডায়না(‌মৌসু‌মি)

৩৬।রাজ গোলাম(একা)

৩৭।আমার প্র‌তিজ্ঞা(তামান্না)

৩৮।মধু পূ‌র্ণিমা(পূ‌র্ণিমা)

৩৯।‌বিপ্লবী জনতা(পূ‌র্ণিমা)

৪০।দুর্ধর্ষ সম্রাট(পূ‌র্ণিমা)

৪১।সন্তান যখন শত্রু(পূ‌র্ণিমা)

৪২।রাক্ষুসী(‌রো‌জিনা,পূ‌র্ণিমা)

৪৩।জীবন চা‌বি(পূ‌র্ণিমা)

৪৪।খায়রুন সুন্দরী(‌মৌসু‌মি)

৪৫।বাংলার বউ(‌মৌসু‌মি)

৪৬।দজ্জাল শ্বাশুড়ী(‌মৌসু‌মি,ই‌রিন জামান)

৪৭।‌সোনার ময়না পা‌খি(‌মৌসু‌মি,ই‌রিন জামান)

৪৮।‌ছোট বোন(শাবনূর,‌শিমলা)

৪৯।‌মে‌হের নিগার(‌মৌসু‌মি,ই‌রিন জামান)

৫০।কখ‌নো মেঘ কখ‌নো বৃ‌ষ্টি(‌মৌসু‌মি)

৫১।রুপান্তর(শ‌া‌কিবা)

৫২।স্বপ্নপূরণ(‌মৌসু‌মি)

৫৩।ময়নাম‌তির সংসার(‌মৌসু‌মি)

৫৪।এক বুক জ্বালা(‌মৌসু‌মি)

৫৫।সন্ত্রাসী বন্ধু(তামান্না)

৫৬।‌কেন ভালবাসলাম(রত্না)

৫৭।তু‌মি শুধু আমার(‌কেয়া,রত্না)

৫৮।তু‌মি কি সেই(‌কেয়া,রত্না)

৫৯।বউ হ‌বো(‌নেহা)

৬০।ওস্তাদ(ঋতুপর্ণা,ভারত)

৬১।প্রা‌ণের স্বামী(রচনা,ভারত)

৬২।শু‌য়োরানী দু‌য়োরানী(ঋতুপর্না,ভারত)

৬৩।দাদা ঠাকুর(অ‌র্পিতা,ভারত)

৬৪।‌প্রেমশ‌ক্তি(অর্পিতা,ভারত)

৬৫।মাস্টারমশাই(রচনা,ভারত)

৬৬।অকৃতজ্ঞ(ঋতুপর্ণা,ভারত)

৬৭।আমা‌দের সংসার(শ্রী‌লেখা,ভারত)

৬৮।ফুল আর পাথ‌র(ঋতুপর্না,ভারত)

৬৯।প্র‌তি‌হিংসা(ঋতুপর্ণা,ভারত)

৭০।দাদু নাম্বার ওয়ান(রচনা,ভারত)

৭১।কারাগার(প‌পি)

৭২।ওপা‌রে আকাশ(প‌পি)

৭৩।গঙ্গাযাত্রা(প‌পি)

৭৪।না বোলনা(সুমনা সোমা)

৭৫।এক কাপ চা(‌মৌসু‌মি,ঋতুপর্না)

৭৬।পরম‌প্রিয়(‌শিমলা)

৭৭।তুই য‌দি আমার হইতি রে(‌মৌসু‌মি)

৭৮।কামব্যাক(ঋতুপর্না,ভারত)

৭৯।আমার ভা‌লোলাগা আমার ভালবাসা(ঋতুপর্না,ভারত)

৮০।মর্য‌াদা(ঋতুপর্না,ভারত)

৮১।শুভ বিবাহ(অপু,‌নিপুন)

৮২।ধ্রুবতারা

৮৩।চন্দ্রকথা(শাওন)

৮৪।আমার আছে জল(‌মিম)

৮৫।চার অক্ষ‌রের ভালবাসা(প‌পি)

৮৬।স্বামীহারা সুন্দরী(প‌পি)

৮৭।লাট্টু কসাই(শাহনূর)

৮৮।বিন্দুর ছে‌লে(‌মৌসু‌মি)

৮৯।ক্ষু‌দে যোদ্ধা(প‌পি)

৯০।স্বামী নি‌য়ে যুদ্ধ(শাবনূর,আন্না)

৯১।আহা(সাথী)

৯২।আয়না(সোহানা সাবা)

৯৩।ন‌ন্দিত নর‌কে(সুমনা সোমা)

৯৪।বধূবরণ(‌মৌসু‌মি)

৯৫।আ‌রো একবার(ঋতুপর্না,ভারত)

৯৬।তু‌মি য‌দি আমার হ‌তে(ঋতুপর্ণা,ভারত)

৯৭।আয়না‌তে(ঋতুপর্না,ভারত)

৯৮।মহানগর(ভারত)

৯৯।রূপকথার সাঁঝবা‌তিরা(ভারত)

১০০।স্ব‌প্নের ফে‌রিওয়ালা(ভারত)

১০১।এই অর‌ণ্যে(ভারত)

১০২।পটাদার কী‌র্তি(ঋতুপর্না,ভারত)

১০৩।ফাইটার(ল‌কেট,ভারত)

১০৪।কৃষ্ণপক্ষ(ক্যা‌মিও)

১০৫।‌প্রিয়া তু‌মি সুখী হও(শায়লা সা‌বি)

১০৬।৬৯ পাতলা খান লেন(‌মৌটুসী)

১০৭।‌দিলতো পাগল(শাবনূর)

১০৮।এরই নাম ভালবাসা(‌রে‌সি)

১০৯।‌খোকাবাবু(ল‌কেট,ভারত)

১১০।আত্মদান(‌নিপুন)

১১১।অবুঝ বউ(‌প্রিয়াংকা)

১১২।বাদশা দ্য ডন(সুষমা সরকার)

১১৩।‌গে‌রিলা(জয়া আহসান)

১১৪।পুত্র(জয়া)

১১৫।ই‌য়ে‌তি অভিযান

১১৬।‌গোলাপজান(‌মৌসু‌মি)

১১৭।বৃ‌ষ্টি ভেজা আকাশ(‌মৌসু‌মি)

১১৮।কুসুম কুসুম প্রেম(‌মৌসু‌মি)

১১৯।‌চিটার নাম্বার ওয়ান(চুম‌কি)

১২০।ও‌রে সাম্পানওয়ালা(‌মৌসু‌মি)

১২১।মন জা‌নেনা ম‌নের ঠিকানা(‌মৌসু‌মি)

১২২।এ চো‌খে শুধু তু‌মি(শাবনূর)

১২৩।দুঃ‌খিনী জোহরা(শাবনূর)

১২৪।রানী কু‌ঠির বা‌কি ইতিহাস(প‌পি)

১২৫।জবাব‌দি‌হি(ম‌নিকা)

১২৬।বাবা আমার বাবা(‌মৌসু‌মি)

১২৭।মা‌য়ের স্বপ্ন(প‌পি)

১২৮।হরিচাঁদ ঠাকুর(পা‌পিয়া,ভারত)

১২৯।ঝ‌ড়ো হাওয়া(ভারত)

১৩০।খাঁচা(ঋতুপর্না,ভারত)

১৩১।মন যা‌কে চায়(ঋতুপর্না,ভারত)

১৩২।জনম জন‌মের সাথী(ঋতুপর্না,ভারত)

১৩৩।সাগর কিনা‌রে(ঋতুপর্না,ভারত)

১৩৪।হার জিৎ(রচনা,ভারত)

১৩৫।‌বি‌য়ের লগ্ন/মা‌য়ের মত ভাবী(রচনা)

১৩৬।এনকাউন্টার(ভারত)

১৩৭।আকর্ষণ(ঋতুপর্না,ভারত)

১৩৮।সমা‌ধি(ভারত)

১৩৯।‌শোভ‌নের স্বাধীনতা(‌নিপুন)

১৪০।‌ছে‌ড়ে যাস না(রূপসা,ভারত)

১৪১।স্বর্গ থে‌কে নরক(‌নিপুন)

১৪২।৫২ থে‌কে ৭১(নিপুন)

১৪৩।দুই বেয়াই‌য়ের কী‌র্তি(প‌পি)

১৪৪।হঠাৎ দেখা(ঋ‌দ্ধিমা ঘোষ,ভারত)

১৪৫।‌কে আমি(ক্যা‌মিও)

১৪৬।জা‌গো(‌বিন্দু)

১৪৭।পাস‌পোর্ট(ভারত)

১৪৮।ফাইনাল মিশন(ভারত)

১৪৯।কা‌লের পুতুল

১৫০।কবীর(ক্যা‌মিও)

১৫১।‌কি‌স্তির জ্বালা

১৫২।বৃহন্নলা(‌সোহানা সাবা)

১৫৩।‌মেঘকন্যা

১৫৪।প‌বিত্র ভালোবাসা

১৫৫।লিডার

১৫৬। ১৯৭১ সেই সব দিন

১৫৭। সুজন মাঝি

১৫৮। পোস্টমাস্টার ৭১

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমার স্ত্রীকে আমার আর ভালো লাগে না, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "আমার স্ত্রীকে আমার আর ভালো লাগে না,এর ব্যাখ্যা কি ডক্টর?তাকে এখন আর আমার পছন্দ না।সাইকোলজির মতে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।

অপর পাশে বসা ভদ্রলোকের কথা শুনে বিস্মিত হইনি মোটেই।এরকম উদ্ভট ঘটনা নিয়ে প্রায়ই লোক আসে আমার কাছে।আমি মুচকি হেসে চশমা ঠিক করলাম।বললাম,

চা খাবেন নাকি কফি?

কিছু খেতে চাই না।আমি আমার সমস্যা নিয়ে সিরিয়াস ডক্টর।এর পার্মানেন্ট সলুউশন দরকার।

আমি চা অর্ডার করলাম।বললাম আপনি আপনার প্রবলেম টা ক্লিয়ারলি বলুন।কেন ভালো লাগে না,কবে থেকে ভালো লাগে না এ টু জেড।

লোকটি কলার ঠিক করলো।চায়ে চুমুক দিয় বলতে শুরু করলো,

আমার স্ত্রী এর সাথে আমার প্রেমের বিয়ে!তখন তার বয়স ছিল উনিশ।ভার্সিটি লাইফের প্রেম আমাদের।সেসময় সে প্রচন্ড সুন্দর ছিল।তার রুপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেই।তাকে রাজি করাতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে আমায়।সে এতটাই সুন্দর ছিল যে আমার বন্ধুরাও তার রুপে বিমোহিত হতো।গত চার বছর আগে আমি তাকে পালিয়ে এনে বিয়ে করি।কারন তার মা বাবা আমার সাথে অনন্যার বিয়ে দিবে না।তাদের একটাই সমস্যা ছিল যে আমার মাসিক আয় তখন কম,যা এখন একটু বেড়েছে!তাছাড়া অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে তাই বড়লোক ছেলে খুঁজছিল,সেক্ষেত্রে আমি মধ্যবিত্ত।অনন্যা নিজেও আমায় খুব ভালোবাসতো, কেয়ার করতো।ইদানিং সে সবসময় খিটখিট করে।অফিস থেকে ফিরলেই এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে।আগের মতো আমার খেয়াল রাখা তো দূর আমার কোনকিছুই তার মনে থাকে না।তার চেহারায় এখন লাবন্যতা নেই,শরীরের গঠন ভালো নেই,আগে যেমন সুন্দর ছিল এখন তেমনটা নেই,যেন সে ত্রিশ বছরের কোন দূর্বল নারী।তার চোখে মুখে এখন আর কোন মুগ্ধতা খুঁজে পাই না।মনে হয় সে প্রেমিকা হিসেবেই ঠিক ছিল।বিয়ের দু বছরের মাথায় তার প্রতি আমার আকর্ষন কমে যায় আর এখন সেই আকর্ষণ নেই বললেই চলে। আমি জানি আমার মন মানসিকতা কে আপনি দায়ী করবেন কিন্তু অনন্যার পরিবর্তনের কারনে আমি আতঙ্কিত।

আমি হাত বাড়িয়ে ভদ্রলোক অর্থাৎ আয়মান নামক লোকটিকে থামালাম।জিজ্ঞেস করলাম,

আপনার বাসায় কে কে আছেন?

প্রত্যুত্তরে সে বললো,

মা-বাবা,আর আমার ছেলে,অনন্যা,আমি আর আমার এক বোন।তবে বছরের বেশিরভাগ সময় দাদা দাদী এসে আমাদের বাড়িতে থাকেন।

আমি বললাম,

আপনার মাসিক আয় কত?

ত্রিশ হাজার ।

অনন্যা কে বিয়ে করার সময় কত ছিল?

চৌদ্দ হাজার ।

আপনার আম্মুকে কত টাকা দেন,বা পরিবারের জন্য কত টাকা ব্যয় হয়?

বাড়ি ভাড়া,বাজার-সদাই,কারেন্ট বিল,গ্যাস বিল সহ প্রায় সব টাকাই মাকে দিতে হয়।কিছু টাকা রাখি তাতে আমার আর বাচ্চা আরহান এর হয়ে যায়।

আপনার বোনকে কত টাকা দেন হাত খরচ হিসেবে?

ও যখন যেটা চায় তাই এনে দেয়া হয়।হাত খরচ মা ইহ দেন যখন লাগে।একমাত্র বোন বলে সে আদরে মানুষ হয়েছে।

আপনার বাড়ির কাজ কে করে?

অনন্যা সব সামলায়।দাদী বয়স্ক মানুষ,বোনের কলেজ প্রাইভেট আছে তাই তার কাজ শুধু পড়াশোনা।মায়ের শরীর ভালো থাকে না তাই সব দায়িত্ব অনন্যার হাতে।অনন্যা ও সব দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছে।

আপনার কি অন্য কাউকে পছন্দ?

না ডক্টর সেরকম নয়।আমি অনুতপ্ত এটা ভেবে যে কেন অনন্যাকে আমার আর পছন্দ নয়,কেন এখন তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি না।আগের মতো ভালোবাসা পেলে হয়তো তাকে ভালো লাগতো কিন্তু তার ব্যবহার আর কর্মকান্ড অসহনীয়।আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি কিন্তু তার রুক্ষতার জন্য মন মালিন্য হচ্ছে।

বন্ধু-বান্ধব কতজন আছে আপনার?

অনেক জন।

তাদের সময় দেন কিভাবে?

অফিস থেকে এসে আড্ডা দিই বাইরে।নইলে ছুটির দিন ঘুরে ফিরে।ভার্সিটি লাইফে এরাই সাহায্য করেছিল অনন্যার হাত ধরতে।

আপনার স্ত্রীকে হাত খরচ কত দেন?

এইবার আয়মান সাহেব ইসস্ত হলেন।বললেন,

ডক্টর আমার সমস্যা আমার স্ত্রীকে নিয়ে।আপনি আমার পরিবারকে টানছেন কেন,বন্ধুদের টানছেন কেন??আর ওর হাত খরচের কোন প্রয়োজন হয় না কারন ও বাইরে বের হয় না তেমন।আর টুকটাক যা লাগে আমিই এনে দিই।কিন্তু আপনার এইসব জেনে আদৌ কোন লাভ হবে?আমার সমস্যা তো অন্য কোথাও।

একটা প্রবলেম সলভ্ড করতে অনেকগুলো বিষয় জানতে হয় দেখা যায় সেগুলোই সমস্যার সমাধান।আপনি যদি বুঝতে পারতেন সমস্যাটা কোথায় তাহলে আমার কাছে কি আসতেন?নইলে আমি কি সাইনস্টিস হতে পারতাম?

আপনার সন্তান কেমন ধরনের?মানে শান্ত না দুষ্টু?

ছেলেটা প্রচন্ড দুষ্টু।দু বছর বয়সী ছেলেটা সবাইকে নাজেহাল করে দেয়।আমি সারাদিন অফিসে থাকি।এইসব কথা অনন্যাই আমায় বলে।আর আমি বাড়িতে থাকলে বাচ্চা দুষ্টুমি করে যা বাড়াবাড়ি রকমের নয়।এটা ওটা ভাঙ্গাভাঙ্গি তার স্বভাব।

অনন্যার পড়ালেখা?

বিয়ের পর আর মা পড়তে দেননি।সংসার সামলানো দায় হয়ে পড়েছে তাই।এছাড়া পাড়া প্রতিবেশীরাও কটু কথা বলে।

আমি হাসলাম একটু,আয়মান সাহেব অবাক হলেন।আমি বললাম,

মিস্টার আয়মান আপনি একজন ভালো প্রেমিক হলেও ভালো স্বামী নন।এটা কি আপনি জানেন?

কি সব বলছেন?তার সব দায়িত্ব নিয়েছি,একটা পরিবার দিয়েছি,ভালোওবেসেছি।ইদানিং ওর পরিবর্তনের জন্যই এত মনোমালিন্য।

আমি আয়মান সাহেব কে বললাম,

অনন্যা যখন আপনার প্রেমিকা ছিল তখন সে সুন্দর করে সেজেগুজে আপনার সাথে দেখা করতো।কোন কালার ড্রেস পড়বে,কোন কালার ইয়ারিং পরবে ভাবতে ভাবতেই তার বহুত সময় লাগতো।আপনার সাথে সে সবসময় স্থির শান্ত হয়ে কথা বলতো কারন আপনি তার প্রেমিক।

অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে।বাবা মায়ের আদরে আদরে মানুষ হয়েছে সে।আপনাকে বিয়ে করে সে কি পেয়েছি বলুন তো?আচ্ছা আপনি লাস্ট কবে অনন্যা কে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন মনে আছে?আচ্ছা লাস্ট কবে সে আপনার কাছে কিছু চেয়েছে মনে আছে?মিস্টার আয়মান আপনি অনন্যাকে আপনার বউ এর চেয়ে বেশি বাড়ির বউ ভেবেছেন।আদরে বেড়ে ওঠা মেয়েটা আপনার চৌদ্দ হাজার টাকা বেতনেও আপনার পাশে থেকেছে,আপনার হাত ধরেছে।কঠিন সময়ে সে কিন্তু আপনাকে ছাড়েনি। সে মা-বাবাকে ভূলে আপনার সাথে চলে এসেছে,আর আপনি তাকে রানী করে না রেখে বাড়ির ঝি হিসেবে ট্রিট করছেন।

আয়মান সাহেব বেশ চটে গেলেন।বললেন,

কি বলতে চান আপনি?ঘরের কাজ করলেই সে ঝি হয়ে যায়?বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন নয় পরিবারের মাঝেও বন্ধন।

মিস্টার আয়মান গত দু বছর আগে আপনার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে।বাচ্চা প্রসবের যে পেইন তা আপনারা বুঝবেন না।সেসময় শরীর দূর্বলের পাশাপাশি সুইং কাটা ছেঁড়ার কষ্ট সহ্য করেছে সে,আপনি তার পাশে ছিলেন কতক্ষন?অনন্যা আলালের ঘরের দুলালি হয়ে আপনার বাড়ির সব কাজ,বাবা মায়ের সেবা,আপনার দাদা-দাদীর সেবা,বোনের সেবা,আপনার সেবা করে গেছে।এত এত কাজ করার পর তার কি মন চাইবে অফিস থেকে ফেরার পর আপনার সাথে মিষ্টি করে কথা বলতে?সেজেগুজে বসে থাকতে?

আপনি আপনার বোনকে কোন কাজ করতে দেন না কারন সে আপনার বোন। অথচ বাচ্চা সামলানোর পাশাপাশি কিভাবে অনন্যা সংসার সামলেছে আল্লাহ্ তায়ালাই জানে।

আচ্ছা আপনি তো বললেন অনন্যা আপনার সাথে ভালো করে কথা বলে না,আপনি বলুন তো আপনি লাস্ট কবে তার প্রশংসা করেছেন?রান্নার হাতের তারিফ করেছেন?তার দিকে ভালো করে তাকিয়েছেন,এটা ওটা করতে সাহায্য করেছেন?

আয়মান চুপ থাকলো।বললাম,

শুধু শারীরিক সম্পর্ক করলেই স্বামী হওয়া যায় না।স্ত্রী শুধু সবার খেদমত করবে আর আপনার চাহিদা মেটাবে এমন নয়।কবে আপনি তাকে নিয়ে ঘুরেছেন?তার সাথে মন খুলে কথা বলেছেন মনে পড়ে?আপনি তার চেহারায় লাবণ্য নেই তাই দুঃখ প্রকাশ করছেন,কিন্তু কেন নেই খোঁজ নিয়েছেন?ছুটির দিন বাচ্চাকে নিজে রেখে কখনো বলেছেন অনন্যা ঘুমাও,না ঘুমিয়ে চোখের নিচে কালি পড়েছে তোমার?যেই মেয়েটা হাত কেটে গেলে বাড়ি মাথায় তুলেছে সেই মেয়েটা রাত দিন খেটে যাচ্ছে অথচ আপনি ভাবছেন তার রুপ নেই কেন?আপনার স্ত্রী অনন্যা ভালো একটা শাড়ি পড়ে না,মাথা আচরানোর সময় পায় না,রাতে না ঘুমিয়ে শরীর বসে গেছে।এত কিছুর পর সৌন্দর্য থাকবে আপনি ভাবেন কিভাবে?

আয়মান চুপ রইলেন।খেয়াল করলাম তার চোখ চিকচিক করছে।আমি ঠান্ডা চায়ে চুমুক দিলাম গলা ভেজানোর জন্য ।সেসময় আমার ফোনে কল এলো।ওপাশের মানুষটা আমার ভিষণ চেনা।আমার ঘরের মানুষ,আপন মানুষ।কল ধরে লাউড স্পিকারে দিলাম,

হ্যালো?

হ্যাঁ বলুন।

কি করছো?

রোগী দেখছি।

আজ তাড়াতাড়ি আসবে কেমন?আমিও ছুটি নিয়েছি।চিত্রাপাড়ের ওখানে মেলা বসেছে আমরা ঘুরতে যাবো কিন্তু।আর তুমি সাদা রঙের শাড়ি পড়বে কেমন?তোমায় শূভ্রপরী লাগবে।আর চুলে গাজরা দিতে ভুলো না।

আমি হাসলাম।বললাম,

আসবো একটু পরেই।আপনিও পাঞ্জাবী পড়বেন।

মেঘু শুনো,

হ্যাঁ বলুন

ভালোবাসি।অপেক্ষায় রইলাম।

ফোনটা কেটে আমি আয়মান সাহেবের দিকে তাকালাম ।উনি আমার আর আমার স্বামী মাহদির কথোপকথন শুনছেন।বললেন,

আমি খুব লজ্জিত ম্যাম।আমি এখন কি করতে পারি?যে অন্যায় করেছি তা কি ক্ষমার যোগ্য?

আপনি অনন্যাকে সময় দিন।ছুটির দিন বন্ধুদের সাথে না ঘুরে অনন্যার সাথে সময় কাটান।তাকে কিছু হাত খরচ দিবেন যা দিয়ে সে নিজের বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে পারবে।অনন্যার যত্ন নিন,পারলে বাসায় একজন সাহায্যকারী রাখুন।অনন্যার সাথে মন খুলে কথা বলুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।অনন্যা পছন্দ করে এমন কিছু করুন,তার পাশে থাকুন।পারলে দুজনে হাওয়া বদল করে আসুন।অনন্যার মনের রাগ,অভিমান,অভিযোগ প্রকাশ করার অধিকার দিন।আয়মান সাহেব,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর,শান্তির।এতে হারাম নেই,বাঁধা নেই।বিশ্বাস,সম্মান ভালোবাসা একটি সম্পর্কে জরুরী।কেবল সৌন্দর্যের মায়ায় পড়লে চলে না

ব্যক্তিত্ব,এবং মানুষটার অন্তরের প্রেমে পড়ুন।দুজনের প্রতি দুজনের সম্মান বজায় রাখুন।একবার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে তা ঠিক হবে না।মনে রাখবেন ভাঙা আয়না জোড়া লাগলেও দাগ রেখে যায়,গায়ে কাঁটা বিধে গেলে তা বের করলেও ক্ষত রয়ে যায়।

আয়মান সাহেব শুনলো।তারাহুরো করে উঠে গেল অনন্যার কাছে।আমিও বের হলাম কেবিন থেকে,মাহদি বোধহয় অপেক্ষা করছে।

আয়মান বাড়ি গিয়ে বেল বাজালো।অনন্যা শাড়িতে হাত মুছে দরজা খুলে বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।আয়মান হাতের গাজরা টা অনন্যার দিকে বাড়িয়ে দিল।অনন্যা বিস্মিত চোখে তাকালো,গত কয়েকমাসে এসব সে দেখেনি।

আয়মান বললো,

অনু চলো কোথাও ঘুরতে যাই।কতদিন হলো বলোতো আমরা ঘুরতে যাই না।

অনন্যা খুশি হলো বোধহয়,অভিমান চড়া হলো।ব্যক্তিত্ব টেনে আনলো,পরক্ষণেই বললো,

বাসায় অনেক কাজ।কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়।তুমি বন্ধুদের সাথে যাও। তাচ্ছিল্যের সাথে বললো,আমায় নিয়ে তোমার না ভাবলেও চলবে।

কাজের লোক আসবে কাল থেকে।আজ থেকে আমি তোমার সেবা করবো অনু।যা করেছি ভুলে যাও,আমায় ক্ষমা করে দাও।আমি তোমায় অবহেলা করেছি,তোমার যত্ন নেইনি,আমি স্বামী হিসেবে ব্যর্থ।আমি লজ্জিত অনু,আর এমনটা হবে না।আমি আদর্শ স্বামী হবো কথা দিচ্ছি।

অনন্যা কাঁদলো,এটা বোধ হয় সুখের কান্না,নিজের জীবনের পাওয়া আনন্দ সে আবার পেল।অনন্যা কে ধরে আয়মান বাইরে নিয়ে এসে বললো,

কাল থেকে এক সাহায্যকারী আসবে,সেই বাড়ির সব কাজ করবে আর তার সাথে মায়া(আয়মানের বোন)টুকটাক কাজ করে দিবে,আমার বাচ্চাকে সামলাবে।আর আম্মু তুমি দাদির সেবা করবে।অনন্যাকে এইবার নিজের মতো করে বাঁচতে দাও,নিজের স্বাধীনতায় বাঁচতে দাও।মা বাবা ত্যাগ করে মেয়েটি অনেক কষ্ট পেয়েছে।ওকে একটু নিজের মেয়ে ভাবো।

এর দু মাস পরে আয়মানের সাথে আমার দেখা।হুট তোলা রিকশা চড়ে দুজনে কোথাও যাচ্ছিল।অনন্যা মেয়েটি দেখতে সত্যিই চমৎকার।তার এই সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছিল যত্নের অভাবে।এইতো ফাল্গুনের শাড়িতে মেয়েটিকে কি অপূর্বই না লাগছিল।আমি তাকিয়ে ছিলাম দুজনের দিকে।

আয়মানের কাছ থেকে সব শুনলাম।সবকিছু ঠিক হবার গল্প শোনালো।দুজনই ধন্যবাদ দিলো আমায় ।আমি দোয়া করে দিলাম।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এতই ঠুনকো নাকি?

~ সমাপ্ত!

ফেইসবুক থেকে 

কপি

পেস্ট

বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩

মুসলমানদের লোকের মাস চলছে,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মুসলিমদের শোকের মাস মহররম নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ঐতিহাসিক কবিতা।


নীল সিয়া আসমা লালে লাল দুনিয়া,

‘আম্মা ! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া’।

কাঁদে কোন্ ক্রদসী কারবালা ফোরাতে,

সে কাঁদনে আঁসু আনে সীমারেরও ছোরাতে !

রুদ্র মাতম্ ওঠে দুনিয়া দামেশকে–

‘জয়নালে পরাল এ খুনিয়ারা বেশ কে?

‘হায় হায় হোসেনা’ ওঠে রোল ঝন্‌ঝায়,

তল্‌ওয়ার কেঁপে ওঠে এজিদেরো পঞ্জায়!

উন্‌মাদ ‘দুলদুল্’ ছুটে ফেরে মদিনায়,

আলি-জাদা হোসেনের দেখা হেথা যদি পায়!

মা ফাতেমা আস্‌মানে কাঁদে খুলি কেশপাশ,

বেটাদের লাশ নিয়ে বধূদের শ্বেতবাস!

রণে যায় কাসিম্ ঐ দু’ঘড়ির নওশা,

মেহেদির রঙটুকু মুছে গেল সহসা!

‘হায় হায়’ কাঁদে বায় পূরবী ও দখিনা–

‘কঙ্কণ পঁইচি খুলে ফেলো সকিনা!’

কাঁদে কে রে কোলে করে কাসিমের কাটা-শির?

খান্‌খান্ খুন হয়ে ক্ষরে বুক-ফাটা নীর!

কেঁদে গেছে থামি হেথা মৃত্যু ও রুদ্র,

বিশ্বের ব্যথা যেন বালিকা এ ক্ষুদ্র!

গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতিমা,

‘আম্মা গো পানি দাও ফেটে গেল ছাতি মা!’

নিয়ে তৃষা সাহারার, দুনিয়ার হাহাকার,

কারবালা-প্রান্তরে কাঁদে বাছা আহা কার!

দুই হাত কাটা তবু শের-নর আব্বাস

পানি আনে মুখে, হাঁকে দুশ্‌মনও ‘সাব্বাস’!

দ্রিম্ দ্রিম্ বাজে ঘন দুন্দুভি দামামা,

হাঁকে বীর ‘শির দেগা, নেহি দেগা আমামা!’

মা’র থনে দুধ নাই, বাচ্চারা তড়্‌পায়!

জিভ চুষে কচি জান থাকে কিরে ধড়্‌টায়?

দাউদাউ জ্বলে শিরে কারবালা-ভাস্কর,

কাঁদে বানু–’পানি দাও, মরে জাদু আস্‌গর!’

কলিজা কাবাব সম ভুনে মরু-রোদ্দুর,

খাঁ খাঁ করে কার্‌বালা, নাই পানি খর্জুর,

পেল না তো পানি শিশু পিয়ে গেল কাঁচা খুন,

ডাকে মাতা, –পানি দেবো ফিরে আয় বাছা শুন্!

পুত্রহীনার আর বিধবার কাঁদনে

ছিঁড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাঁধনে!

তাম্বুতে শয্যায় কাঁদে একা জয়নাল,

‘দাদা! তেরি হর্ কিয়া বর্‌বাদ্ পয়মাল!’

হাইদরি-হাঁক হাঁকি দুল্‌দুল্-আস্‌ওয়ার

শম্‌শের চম্‌কায় দুশমনে ত্রাস্‌বার!

খসে পড়ে হাত হতে শত্রুর তরবার,

ভাসে চোখে কিয়ামতে আল্লার দরবার।

নিঃশেষ দুশ্‌মন্; ওকে রণ-শ্রান্ত

ফোরাতের নীরে নেমে মুছে আঁখি-প্রান্ত?

কোথা বাবা আস্‌গর্? শোকে বুক-ঝাঁঝরা

পানি দেখে হোসনের ফেটে যায় পাঁজরা!

ধুঁকে ম’লো আহা তবু পানি এক কাৎরা

দেয়নি রে বাছাদের মুখে কম্‌জাত্‌রা!

অঞ্জলি হতে পানি পড়ে গেল ঝর্-ঝর্

লুটে ভূমে মহাবাহু খঞ্জর-জর্জর!

হল্‌কুমে হানে তেগ ও কে বসে ছাতিতে?–

আফ্‌তাব ছেয়ে নিল আঁধিয়ারা রাতিতে!

আস্‌মান ভরে গেল গোধূলিতে দুপরে,

লাল নীল খুন ঝরে কুফরের উপরে!

বেটাদের লোহু-রাঙা পিরাহান-হাতে, আহ্–

‘আরশের পায়া ধরে কাঁদে মাতা ফাতেমা,

‘এয়্ খোদা বদ্‌লাতে বেটাদের রক্তের

মার্জনা করো গোনা পাপী কম্‌বখ্‌তের!’

কত মোহর্‌রম্ এল্ গেল চলে বহু কাল–

ভুলিনি গো আজো সেই শহীদের লোহু লাল!

মুস্‌লিম্! তোরা আজ জয়নাল আবেদিন,

‘ওয়া হোসেনা-ওয়া হোসেনা’ কেঁদে তাই যাবে দিন!

ফিরে এল আজ সেই মোহর্‌রম মাহিনা,–

ত্যাগ চাই, মর্সিয়া-ক্রন্দন চাহি না!

উষ্ণীষ কোরানের, হাতে তেগ্ আরবির,

দুনিয়াতে নত নয় মুস্‌লিম কারো শির;–

তবে শোনো ঐ শোনো বাজে কোথা দামামা,

শম্‌শের হাতে নাও, বাঁধো শিরে আমামা!

বেজেছে নাকাড়া, হাঁকে নকিবের তূর্য,

হুশিয়ার ইস্‌লাম, ডুবে তব সূর্য!

জাগো ওঠো মুস্‌লিম, হাঁকো হাইদরি হাঁক।

শহীদের দিনে সব-লালে-লাল হয়ে যাক!

নওশার সাজ নাও খুন-খচা আস্তিন,

ময়দানে লুটাতে রে লাশ এই খাস দিন।

হাসানের মতো পি’ব পিয়ালা সে জহরের,

হোসেনের মতো নিব বুকে ছুরি কহরের;

আস্‌গর সম দিব বাচ্চারে কোর্‌বান,

জালিমের দাদ নেবো, দেবো আজ গোর জান!

সকিনার শ্বেতবাস দেব মাতা কন্যায়,

কাসিমের মতো দেবো জান রুধি অন্যায়!

মোহর্‌রম্! কারবালা! কাঁদো ‘হায় হোসেনা!’

দেখো মরু-সূর্যে এ খুন যেন শোষে না!


👉 MD Asif Iqbal এর ওয়াল থেকে সংগৃহীত।

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

শুঁয়োপোকা থেকে চকোলেট' তৈরি হচ্ছে''--- , ফেইসবুক থেকে নেওয়া

''আজকের সন্ধ্যায় আপনাদেরকে শোনাই শুঁয়োপোকা থেকে চকোলেট' তৈরি হচ্ছে''---

,

দক্ষিণ আফ্রিকার এক ইঞ্জিনিয়ার ওয়েনডি ভেসেলা শুঁয়োপোকা থেকে চকোলেট তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছেন,কী ভাবে তৈরি হচ্ছে সেই চকোলেট?শুঁয়োপোকা থেকেও এত সুস্বাদু চকলেট তৈরি করা যায় তা চেখে দেখে হতবাক ক্রেতারা ও।নতুন প্রকার চকোলেটের স্বাদ চেখে দেখতে কার না ভাল লাগে? যদি সেই চকোলেট হয় প্রোটিনে ভরপুর, তা হলে তো কথাই নেই।আচ্ছা ধরুন, আপনি জানতে পারলেন কোনও চকোলেট আদতে শুঁয়োপোকা দিয়ে তৈরি! তখনও কি খেতে ইচ্ছা করবে সেটি? পারবেন কি মুখে তুলতে?শুঁয়োপোকা থেকেই ওয়েনডি তৈরি করেছেন ময়দা।আর সেই ময়দা দিয়েই বানানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চকোলেট বিস্কুট, কেক, প্রোটিনবার।মোপেন ওয়র্ম’ নামে পরিচিত এই বিশেষ শুঁয়োপোকাটির দেহে থাকা প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে বানানো হচ্ছে সেই সব বিশেষ চকোলেট সামগ্রী।ওয়েনডি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে দেশ বিদেশ থেকে গ্রাহকরা আসছেন।তাঁর বানানো এই অভিনব চকোলেট বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে আফ্রিকায়।সম্প্রতি এক খাদ্য মেলায় ওয়েন্ডির তৈরি এই প্রোটিনবার ও চকোলেটের প্রদর্শনও করা হয়েছে।সেই মেলায় তাঁর এই উদ্যোগ দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।অনেকেই বলেছেন, তাঁরা একেবারেই পোকা খেতে পছন্দ করেন না।কিন্তু এই চকোলেট খেলে মনেই হচ্ছে না যে এটি শুঁয়োপোকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।এই চকোলেটের স্বাদ অতুলনীয়।বাণিজ্যিক স্বার্থে এই বিশেষ ধরনের শুঁয়োপোকার চাষ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন ওয়েনডি। ভবিষ্যতে নিজের এই ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।এই ধরনের শুঁয়োপোকার দেহে রয়েছে প্রোটিন ও আয়রন।এই বিশেষ প্রজাতির শুঁয়োপোকা চাষ করা খুব সহজ।মোপেন ওয়র্ম’ পরিবেশ বান্ধব। এই শুঁয়ো পোকার চাষ করা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়।মোপেন নামের গাছেই থাকে এই শুঁয়োপোকা।আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তের শুকনো অঞ্চলে এই শুঁয়ো পোকার আধিক্য দেখা যায়।নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এরা মোপেন গাছ থেকেই শুষে নেয়।আলাদা করে জল বা জমির প্রয়োজন পড়ে না এদের জন্য। --সংগৃহীত,

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

ছাদবাগানে ইপসম লবণের সেরা ১০টি ব্যবহার

 ছাদবাগানে ইপসম লবণের সেরা ১০টি ব্যবহার


1. বীজের সফল অঙ্কুরোদগমে

এটি ইপসম লবণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। বীজের অঙ্কুরোদগমে ইপসম লবনের সল্যুশন মাটির একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে কাজ করে। এর ব্যবহার অঙ্কুরিত বীজকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। প্রতি গর্তে ১-২ টেবিল চামচ ইপসম লবণ ও প্রতি ১০০ বর্গফুট কর্ষিত জমিতে ১ কাপ ইপসম লবণ ব্যবহার করলে সবচেয়ে সেরা ফলাফল পাওয়ার জন্যে।

2. মাটির পুষ্টি শোষণ বৃদ্ধিতে

আপনার বাগানের মাটিতে ইপসম লবণের ব্যবহার মাটির জৈব পুষ্টি শোষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান মাটি থেকেই গ্রহণে সহায়তা করে। এটি রাসায়নিক সারের প্রতি নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমায়।

3. আকর্ষণীয় ও পর্যাপ্ত গোলাপ উৎপাদনে

ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে ইপসম লবণ গোলাপের কুড়ি তৈরিতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুল চাষকারীদের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যানতাত্ত্বিকরা এই বিষয়ে একমত যে ইপসম লবণ গোলাপে কুড়ির সংখ্যা ও আকার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি ক্লোরোফিলের পরিমাণ বাড়ায়, যা কিনা গোলাপের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়ক।

4. ক্ষতিগ্রস্থ মূলের ধাক্কা কাটাতে

বীজ থেকে চারা তৈরিকারী নার্সারীর ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকগুলো ব্যবহারের মধ্যে অন্যতম একটি হল এটি উদ্ভিদকে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও বীজতলায় তৈরি চারা মাঠে স্থানান্তরের সময় ক্ষতিগ্রস্থ শেকড় দ্রুত ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে।তবে সতর্ক থাকতে হবে রোপিত চারার চারপাশে ইপসম লবণ দেওয়ার সময় এর মূলের সংস্পর্শে যেন না আসে। এতে চারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

5. মরিচের ফলন বাড়ায়

আজকাল ছাদবাগানে অনেকেই মরিচ চাষ করি। মরিচের সাইজ ও অধিক ফলনের জন্যে দুই সপ্তাহ পর পর ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োগ করা জরুরি। অধিক ঝালযুক্ত মরিচ পেতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি দিতে হবে।

প্রতি সপ্তাহে একবার করে প্রতিটি মরিচ গাছে ১ চামচ ইপসম লবণ ছিটিয়ে দিলেই চলবে

6. পাতার ক্লোরফিল বৃদ্ধিতে

ক্লোরফিলের সৃষ্টিই ম্যাগনেশিয়াম থেকে। ম্যাগনেশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে গাছের পাতার সংখ্যা ও ক্লোরফিল বৃদ্ধিতে। এর অভাবে পাতায় ক্লোরিসিস দেখা দেয়। পাতা হলুদ হয়ে যায়। গাছের চারিপাশে ইপসম লবণ প্রয়োগ করলে গাছের স্বাস্থ্যবান পাতার পরিমাণ বাড়বে ও অধিক ফলের নিশ্চয়তা বেড়ে যাবে।

7. পাতা কোঁকড়ানো প্রতিরোধে

প্রতি গ্যালন পানিতে ২ টেবিল চামচ ইপসম লবণ মিক্স করে পাতায় সরাসরি প্রয়োগ করলে ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে হওয়া পাতা কোঁকড়ানো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

8. কীটপতঙ্গকে বাগান থেকে দূরে রাখতে

আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত খাবার লবণের মতো অতোটা কার্যকরী না হলেও ইপসম লবণ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গকে বাগানের ধারেকাছে ঘেষতে দেয় না। গাছে ইপসম লবণ ছিটিয়ে দিলে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের শরীর ও পায়ে আচড় কাটে ও বিরক্তির সৃষ্টি করে।


9. ফলের মিষ্টতা আনয়নে

যেকোনো উদ্ভিদের জীবনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার ফুল হয়, সেই ফুল থেকে ফল পাওয়া যায়। ইপসম লবণ প্রয়োগে ক্লোরফিলের মান উন্নয়ন করে ফলের মিষ্টতা নিশ্চিত করে।

10. সুস্বাদু টমেটো উৎপাদনে

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, টমেটো ফার্মে ইপসম লবণ ব্যবহারে এর ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতি কাটিয়ে টমেটোকে আরও বেশি সুস্বাদু করতে সাহায্য করে। একারণে অনেকেই টমেটো চাষে ইপসম লবণের ব্যবহার করে।

টমেটো গাছে নিয়মমাফিক ও প্রিমিত ইপসম লবণ প্রয়োগ করলে টমেটোকে আকর্ষণীয়, সুস্বাদু ও বড় কর তোলে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উদ্ভিদের চেয়ে টমেটো গাছে দ্বিগুণ মাত্রায় ইপসম লবণ ব্যবহার করতে হয়।

উপকারিতা পেতে এক গ্যালন পানিতে ২ টেবিল চামচ ইপস্ম লবণ মিশিয়ে প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর গোড়ায় ঢালুন। সাথে সাথেই ফল পাবেন। সবচেয়ে ভাল হয় পাতায় পানি স্প্রে করে দিলে। এতে আরও দ্রুত উপকারিতা পাবেন।

চা তৈরির পর কী করেন... ??? ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 চা তৈরির পর কী করেন... ???


নিঃসন্দেহে চা-পাতা ফেলে দেন। আজ থেকে চা তৈরির পর টি ব্যাগ বা চা-পাতা গুলো ফেলে না দিয়ে বরং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন। কেন? কারণ এই ফেলনা চা-পাতা ও টি ব্যাগগুলোই আপনার অর্থ সাশ্রয় করবে প্রতিদিন। জেনে নিন কেন ব্যবহার করা চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করা যায় দারুণ সব কাজে আর বাঁচানো যায় সময়-অর্থ সবই! 


১) পোকা কামড় দিয়েছে বা পুড়ে গিয়েছে কোথাও? একটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। সব যন্ত্রণা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। চোখের ফোলা ভাব দূর করতেও এটা দারুণ কাজে দেয়। পাতলা কাপড়ে চা পাতা বেঁধে পুঁটলি করেও ব্যবহার করতে পারেন।


২) ব্যবহৃত চা-পাতা ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন। তারপর আপনার জুতোর মাঝে বা জুতোর আলমারিতে রেখে দিন। ঘামের বাজে গন্ধ আর কখনোই জুতোতে হবে না। টি ব্যাগও রাখতে পারেন।


৩) প্রতিদিনের ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দিন ফ্রিজে। চা-পাতা হলে টিস্যুতে মুড়ে রাখুন। ফ্রিজ থাকবে সতেজ ও পরিষ্কার, কোন রকম ফ্রেশনার ছাড়াই। এছাড়াও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ছিটিয়ে বাথরুমে, আলমারিতে রাখতে পারেন চা-পাতা বা টি ব্যাগ। রাখতে পারেন স্কুল কলেজে যাওয়ার কাপড়ের ব্যাগেও।


৪) তেল লাগানো চিটচিটে থালা বাসন বা হাঁড়ি পাতিল পরিষ্কার করতে চা-পাতার জুড়ি নেই। দামী ডিশ ওয়াসার বারের বদলে রাতের বেলা সিংকে পানি দিয়ে তাতে কিছু ব্যবহৃত চা-পাতা দিয়ে দিন। তেল চিটচিটে বাসন এতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে স্বাভাবিক ভাবেই ধুয়ে নিন। একদম ঝকঝকে হয়ে উঠবে।


৫) মাকড়সা এবং এই ধরণের ছোট পোকামাকড় চা খুবই অপছন্দ করে। ব্যবহৃত টি ব্যাগ বা চা পাতা ঘরের কোণায় কোণায় দিয়ে রাখুন, এরা থাকবে আপনার ঘর থেকে দূরে।


৬) গাছপালায় অনেক পোকামাকড়ের সমস্যা? ব্যবহৃত চা পাতা ধুয়ে গাছের গোঁড়ায় দিয়ে রাখুন। পোকামাকড় দূরে থাকবে, আবার গাছের সার হিসাবেও কাজ করবে।


৭) আধা ভেজা ব্যবহৃত চা পাতা কার্পেটে ছড়িয়ে দিন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঝাড়ু দিয়ে ফেলুন বা ভ্যাকুয়াম ক্লিন করে নিন। বাজে গন্ধ ও ময়লা সব গায়েব।


৮) আপনার কাঠের আসবাবগুলো প্রায় শুকনো ব্যবহৃত ব্যাগ দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে হয়ে উঠবে।


৯) জেসমিন টি বা এমন যে কোন ফ্লেভারের টি ব্যাগ ভাত রান্নার শেষ দিকে পাতিলে দিয়ে দিতে পারেন। মিষ্টি একটা গন্ধ হবে।


১০) গরম পানির মাঝে ফেলনা চা-পাতা দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন। পায়ের গন্ধ দূর হবে।


#collected

কপি
পেস্ট

প্রশ্নঃ হজ শেষে জামারায় নিক্ষিপ্ত পাথর কী করা হয়,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

প্রশ্নঃ হজ শেষে জামারায় নিক্ষিপ্ত পাথর কী করা হয়?


হজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে জামারায় কয়েক বার ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ অন্যতম। ১০ জিলহজ মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় প্রথমে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করে। পরবর্তী তিন বা দুদিন (১১, ১২ বা ১৩ জিলহজ) তিন জামারায় তারা সাতটি করে মোট ৪২টি বা ৬৩টি পাথর নিক্ষেপ করেন। এভাবে সব হাজিকে মোট ৪৯টি বা ৭০টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।


অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকে, জামারায় নিক্ষেপের পর এত পাথর কোথায় যায়? বা পরবর্তীতে এসব পাথর দিয়ে কী করা হয়? 


১৩ জিলহজ পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সব হাজি মিনা প্রান্তর ছেড়ে চলে যায়। এরপর সুবিশাল স্থানটি আগামী হজ পর্যন্ত জনশূন্য হয়ে পড়ে থাকে। সব হাজির চলে যাওয়ার পর এসব পাথরের সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মূলত হাজিরা পাথর নিক্ষেপের পর জামারাতের চার স্তর থেকে তা ১৫ মিটার নিচে চলে যায় এবং বেসমেন্টে গিয়ে জমা হয়। এরপর একটি বিশেষ বেল্টের সাহায্যে সিভিং প্রক্রিয়ায় নিক্ষিপ্ত সব পাথর সংগ্রহ করা হয় এবং পানি স্প্রে করে পাথরের গায়ে জমে থাকা ধুলো ও ময়লা দূর করা হয়। অতঃপর পরিষ্কার পাথরগুলো গাড়িযোগে অন্যত্র নিয়ে পরবর্তী হজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। 


সৌদি আরবের আবাসন প্রতিষ্ঠান কিদানা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সহযোগিতায়, মক্কাভিত্তিক সংস্থা গিফট চ্যারিটেবল অ্যাসোসিয়েশন পাথর পুনঃব্যবহারের প্রক্রিয়ারসহ হজের স্থানগুলোর উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মিনায় জামারাত ব্রিজ সংলগ্ন রোডে হজযাত্রীদের পাথরভর্তি থলে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও মুজদালিফাতে প্রায় ৩০০টির বেশি পয়েন্টে এসব সরবরাহ করা হয়। 


এ বছর ১৮ লাখের বেশি হজযাত্রী হজ পালন করেছেন। এই হিসেবে গত ১ জুন (১৩ জিলহজ) পর্যন্ত এবারের হজে ১০ কোটির বেশি পাথর জামারায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। হজযাত্রীদের সংখ্যা অনুপাতে নুড়ি পাথরের পরিমাণ অনুমান করা হয়।


তথ্যসূত্র কালেরকন্ঠ

কপি
পেস্ট

রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩

জীবন থেকে নেওয়া,,, ফেইসবুকের গল্প

 || বুয়েটের এক ভাইয়ের জীবন থেকে নেওয়া ৷৷


আমার জীবনে পাওয়া দশটি সেরা লজ্জাঃ


১) ক্লাস ফাইভে পড়ি, পাশের বাড়ির আমার বয়েসি এক ছেলের সাথে ওর বিদেশী লেগো সেট নিয়ে খেলা করি। একদিন ওর সেটের একটা পার্টস খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ও খুজলাম। আমি ওর বাসা থেকে বের হবার সময় ওর মা আমার শার্ট প্যান্টের পকেট চেক করলো।


2) আমার এক কাজিন একটা দূর্দান্ত আই,বি,এম পিসি কিনলো। মানে ওর বাবা কিনে দিয়েছিলো। উনি তখন ইন্টার পড়তেন। সবাই কে দাওয়াত করে এনে কম্পিউটার দেখাচ্ছে। আমি ওই পিসি র মাউস টা একটু নাড়ানোর অপরাধে কষে থাপ্পড় খেলাম।


৩) কুরবানি ঈদের পরের দিন আমি বাড়িওয়ালার বাসায় দেখা করতে যাই। উনারা কথা বার্তা বললেন। আমি টেবিলে বসে আছি। পরিচারিকা পোলাও মাংস, কাবাব নিয়ে এলো। আমি হাত ধুতে বাথরুমে

গেলাম। এসে দেখি কিছুই নেই। সে তাদের 

আত্মীয়কে খাবার দেবার পরিবর্তে ভুল করে আমাকে দিয়েছে। পরে সেমাই খেয়ে চলে এলাম।


৪) পাড়ার সবাই একটা রেস্টুরেন্ট এ খেতে

গিয়েছি। এক ভাইয়ার বাবা গাড়ি কিনেছেন সেই সেলিব্রেশনে। আসার সময় দামী মাইক্রোবাস এ সবার যায়গা হলো। আমার হলো না। এক বড় ভাই

বল্লো, তুমি একটা রিকশা করে চলে আসো। আমি

গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। একটা মেয়ে ফিক করে হেসে ফেল্লো।


৫) আমার ক্যালকুলেটর নষ্ট, বন্ধু কে বললাম

এক্সাম চলছে কলেজে, দুই/তিন দিনের জন্য ক্যালকুলেটরটা ধারদে। ওর ক্যালকুলেটর টা এক্সপেনসিভ। ও দিলো না। হেসে হেসে বল্লো, এইটা হারায়া ফেললে তোর আব্বাও এইটা কিনে দিতে

পারবে না।


৬) স্কুল লাইফে একটা মেয়ে কে অনেক পছন্দ

করতাম। তাকে বলার সাহস কখনো হয়নি। একদিন সাহস করে ওর বার্থডে তে একটা গোলাপ দিয়ে ওকে বললাম, হ্যাপি বার্থডে। ওর গোলাপ টা ছুড়ে ফেলে আমাকে বল্লো, যেমন ফকিন্নি মার্কা চেহারা তেমন ফকিন্নি ছাত্র। এতো সাহস ক্যান তোমার!!

পাশে ওর অনেক বান্ধবী ছিলো, সবাই হো

হো করে হেসে ফেল্লো।


৭) ক্রিকেট ম্যাচ হবে। পাশের পাড়ার সাথে।

চ্যালেঞ্জ ম্যাচ। আমি খুবই এক্সাইটেড। আগের দিন ব্যাট মুছে রেডি করলাম। সকালে আমার মা আমাকে আদর করে দোয়া পড়ে

দিলেন। মাঠে গিয়ে দেখি আমাদের টিমে ১৪ জন। আমি ওপেনিং বোলিং করবো। হালকা প্র্যাক্টিস করছি। ক্যাপ্টেন বড় ভাই ১১ জন

সিলেক্ট করে দুই জন এক্সট্রা রাখলেন। আমি রিকশা

করে মাথা নিচু করে বাড়ি ফিরে এলাম। ১৪তম লোকটা আমি।


৮) নাইনে অংকে পেলাম ৩৯। ক্লাস টেনে রোল

নাম্বার পিছিয়ে ৬০। আমার আত্মীয় স্বজন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। একবার আমার মামার বাসায় বেড়াতে গেলাম। ক্লাস থ্রি তে পড়া মামাতো বোন আমার কাছে একটা অংক নিয়ে এলো। সুন্দর

করে বুঝিয়ে দিলাম। আমার মামী বল্লো, যাও সুমনের (আমার আরেক কাজিন) কাছে বুঝো। ও অংক বুঝে নাকি? যথারীতি সবাই হেসে ফেল্লো।

ক্লাস থ্রি এর অংক ও আমি বুঝি না।


৯) ছোট্ট বেলায় খুব রোগা ছিলাম। দেখতেও

ভালো ছিলাম না। একসাথে পাড়ার সব ছেলেরা যখন খেলতাম, কোনো সুন্দর মেয়ে আশেপাশে এলে অন্য রা আমাকে আব্দুল আব্দুল করে ডাকতো। একবার আমি শুনতে পেরেছিলাম একটা ছেলে

বলছিলো, ওর নাম ও আব্দুল, দেখতে ও

আব্দুলের মতো।


১০) কলেজ লাইফে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের

উপস্থাপনা আমার করার কথা, কিন্তু উপস্থাপিকা আমার সাথে উপস্থাপনা করতে চায়নি। কারণ, আমি ওর লেভেলের স্মার্ট নই। আমাকে অনুষ্ঠানের দিন রিহার্সেল সত্ত্বেও দর্শক সারি তে বসতে হলো, যদিও বেশীক্ষণ থাকা লাগেনি, অন্য ছাত্র ছাত্রীর হাসাহাসির কারনে বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। 


এই ঘটনা গুলো প্রতিটাই আমার সাথে ঘটা। আমি নিজের ব্যাপারে সত্যিই কনফিডেন্ট ছিলাম না। খুব কষ্ট হতো। মাঝে মাঝে মনে হতো মরে যাই না কেনো? আমি বড়লোক নই, সুদর্শন নই, স্মার্ট নই, কথা বলতে পারি না, খারাপ ছাত্র। কি দরকার আমার পৃথিবী তে থাকার? অনেক সময় শিক্ষকদের বকা খেতাম, মার খেতাম। কিন্তু আমি বেচে রইলাম, মরতে ভয় হয়। আমি চেষ্টা করে গেলাম। আমার ভালো কোনো গুন না থাকলে ও একটা শক্তি ছিলো। স্বপ্ন কে বাস্তবতার রূপ দেবার জন্য সাহস। একা একাই যুদ্ধ করেছি। পাশে পেয়েছি আমার মা আর বাবা কে। আমার উপর তাদের অনেক বিশ্বাস ছিলো। মানুষের সব অপমান, লাঞ্ছনা সহ্য করে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি নিজেকে পরিবর্তন করেছি। 


I always forgive, but never forget.

আমার জীবন টা খুব সহজ সুন্দর ছিলো না। আমাকে জীবনে অনেক অনেক ধাক্কা খেতে হয়েছে। আর আমি শিখেছি - "জীবনে তোমার সব চেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু তুমি নিজেই।" চোখের পানি কেউ মুছে দেয় না, নিজেকেই মুছতে হয়। ঘুরে দাঁড়াতে হয়। যখন কোনো আশা থাকেনা, আশা তৈরী

করে নিতে হয়। লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে চলে

যাবার পর ও সেখানে যাবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় মাথা উচু করে সবার মাঝে নিজেকে আলোকিত করতে।

আমি কষ্ট করেছি, সবাই যখন আনন্দ করতো, আমি

তখন পারতাম না। কিন্তু একদিন পেরেছি। এবং সেই জয়ের তৃপ্তি যে কত খানি, আমি জানি।


আজ আমাকে যে কোনো প্রোগ্রামে সন্মান

করা হয়। আমাকে লজ্জা পেতে হয় না। মোটামুটি সফল একজন প্রকৌশলী বলা চলে।

আমার যে পরিমান লেগো সেট আছে,

অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আমি যে কম্পিউটার

ব্যবহার করি ওই ভ্যালু তে সাধারন মানের দশ টা

কম্পিউটার কেনা যাবে। অনেক অনেক

ইলেকট্রনিক গেজেট আমি কিনি। অপচয় হয়তো,

কিন্তু তৃপ্তি পাই। প্রতি টা লজ্জার, চড়ের, লাঞ্ছনার হিসাব আদায় করি। অসুন্দর বলে অনেক অপমানিত হয়েছি, এখন হইনা

বরং সবাই বেশ হ্যান্ডসাম ই বলে কথা না বলতে

পেরেও এখন ভালো বক্তা। আনস্মার্ট হয়েও এখন অফিসে স্মার্টনেসের রেফারেন্স।

ঘুরে দাঁড়ানো খুব কষ্টের কিছু না। প্রয়োজন শুধু

সাহস আর দমের। বুকে দম থাকলে হারতে চাইলেও হারা যায় না। আর আশা, সুন্দর একটা স্বপ্ন। যা পূরন করা একমাত্র লক্ষ্য হতে হবে।


* Don't expect help.... help yourself. আমি যখন

ভেঙ্গে পড়েছিলাম, তিন টা ওষুধ, আমার কাজে

লেগেছিলো...


Self motivation.

Self Confidence.


#collected

কপি
পেস্ট

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...