এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

ছাদবাগানে ইপসম লবণের সেরা ১০টি ব্যবহার

 ছাদবাগানে ইপসম লবণের সেরা ১০টি ব্যবহার


1. বীজের সফল অঙ্কুরোদগমে

এটি ইপসম লবণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। বীজের অঙ্কুরোদগমে ইপসম লবনের সল্যুশন মাটির একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে কাজ করে। এর ব্যবহার অঙ্কুরিত বীজকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। প্রতি গর্তে ১-২ টেবিল চামচ ইপসম লবণ ও প্রতি ১০০ বর্গফুট কর্ষিত জমিতে ১ কাপ ইপসম লবণ ব্যবহার করলে সবচেয়ে সেরা ফলাফল পাওয়ার জন্যে।

2. মাটির পুষ্টি শোষণ বৃদ্ধিতে

আপনার বাগানের মাটিতে ইপসম লবণের ব্যবহার মাটির জৈব পুষ্টি শোষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান মাটি থেকেই গ্রহণে সহায়তা করে। এটি রাসায়নিক সারের প্রতি নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমায়।

3. আকর্ষণীয় ও পর্যাপ্ত গোলাপ উৎপাদনে

ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে ইপসম লবণ গোলাপের কুড়ি তৈরিতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুল চাষকারীদের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যানতাত্ত্বিকরা এই বিষয়ে একমত যে ইপসম লবণ গোলাপে কুড়ির সংখ্যা ও আকার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি ক্লোরোফিলের পরিমাণ বাড়ায়, যা কিনা গোলাপের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়ক।

4. ক্ষতিগ্রস্থ মূলের ধাক্কা কাটাতে

বীজ থেকে চারা তৈরিকারী নার্সারীর ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকগুলো ব্যবহারের মধ্যে অন্যতম একটি হল এটি উদ্ভিদকে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও বীজতলায় তৈরি চারা মাঠে স্থানান্তরের সময় ক্ষতিগ্রস্থ শেকড় দ্রুত ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে।তবে সতর্ক থাকতে হবে রোপিত চারার চারপাশে ইপসম লবণ দেওয়ার সময় এর মূলের সংস্পর্শে যেন না আসে। এতে চারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

5. মরিচের ফলন বাড়ায়

আজকাল ছাদবাগানে অনেকেই মরিচ চাষ করি। মরিচের সাইজ ও অধিক ফলনের জন্যে দুই সপ্তাহ পর পর ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োগ করা জরুরি। অধিক ঝালযুক্ত মরিচ পেতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি দিতে হবে।

প্রতি সপ্তাহে একবার করে প্রতিটি মরিচ গাছে ১ চামচ ইপসম লবণ ছিটিয়ে দিলেই চলবে

6. পাতার ক্লোরফিল বৃদ্ধিতে

ক্লোরফিলের সৃষ্টিই ম্যাগনেশিয়াম থেকে। ম্যাগনেশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে গাছের পাতার সংখ্যা ও ক্লোরফিল বৃদ্ধিতে। এর অভাবে পাতায় ক্লোরিসিস দেখা দেয়। পাতা হলুদ হয়ে যায়। গাছের চারিপাশে ইপসম লবণ প্রয়োগ করলে গাছের স্বাস্থ্যবান পাতার পরিমাণ বাড়বে ও অধিক ফলের নিশ্চয়তা বেড়ে যাবে।

7. পাতা কোঁকড়ানো প্রতিরোধে

প্রতি গ্যালন পানিতে ২ টেবিল চামচ ইপসম লবণ মিক্স করে পাতায় সরাসরি প্রয়োগ করলে ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে হওয়া পাতা কোঁকড়ানো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

8. কীটপতঙ্গকে বাগান থেকে দূরে রাখতে

আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত খাবার লবণের মতো অতোটা কার্যকরী না হলেও ইপসম লবণ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গকে বাগানের ধারেকাছে ঘেষতে দেয় না। গাছে ইপসম লবণ ছিটিয়ে দিলে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের শরীর ও পায়ে আচড় কাটে ও বিরক্তির সৃষ্টি করে।


9. ফলের মিষ্টতা আনয়নে

যেকোনো উদ্ভিদের জীবনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার ফুল হয়, সেই ফুল থেকে ফল পাওয়া যায়। ইপসম লবণ প্রয়োগে ক্লোরফিলের মান উন্নয়ন করে ফলের মিষ্টতা নিশ্চিত করে।

10. সুস্বাদু টমেটো উৎপাদনে

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, টমেটো ফার্মে ইপসম লবণ ব্যবহারে এর ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতি কাটিয়ে টমেটোকে আরও বেশি সুস্বাদু করতে সাহায্য করে। একারণে অনেকেই টমেটো চাষে ইপসম লবণের ব্যবহার করে।

টমেটো গাছে নিয়মমাফিক ও প্রিমিত ইপসম লবণ প্রয়োগ করলে টমেটোকে আকর্ষণীয়, সুস্বাদু ও বড় কর তোলে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উদ্ভিদের চেয়ে টমেটো গাছে দ্বিগুণ মাত্রায় ইপসম লবণ ব্যবহার করতে হয়।

উপকারিতা পেতে এক গ্যালন পানিতে ২ টেবিল চামচ ইপস্ম লবণ মিশিয়ে প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর গোড়ায় ঢালুন। সাথে সাথেই ফল পাবেন। সবচেয়ে ভাল হয় পাতায় পানি স্প্রে করে দিলে। এতে আরও দ্রুত উপকারিতা পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...