এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪

 সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:০১-০১-২০২৪ খ্রি: আজকের শিরোনাম:-

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০১-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-


কালের গর্ভে হারিয়ে গেল ২০২৩- নতুন আশা – আকাংখা নিয়ে ২০২৪ কে স্বাগত জানালো বিশ্ববাসী, দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


সরকার দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় – বিনামূল্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


আসন্ন নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিলেন সিইসি।


সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার পর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বিএনপি - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীরাও শামিল হয়েছে এবং তারা নৌকায় ভোট দেবে - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


নগরীতে মেট্রোরেলের শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।


লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলার চেষ্টাকালে কমপক্ষে ১০ জন হুথি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে মার্কিন বাহিনী।

মুসা  (আঃ) একদিন আল্লাহর সাথে কথা বলার,,,, গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

মুসা (আঃ) একদিন আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য তুর পাহাড়ের কাছে যাচ্ছেন।যাবার পথে একটা হরিণের সাথে দেখা।হরিণ মুসা (আঃ) কে ডেকে বলেন আমি জানি তুমি আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারো।এরপর  যখন আল্লাহর সাথে কথা বলবে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর আল্লাহর কাছে থেকে জেনে নিও তো।মুসা (আঃ) হরিণকে বলল কি প্রশ্ন?


হরিণ বলল অনেক দিন হলো আমাদের বনে বৃষ্টি হয়না।আল্লাহর সাথে কথা বলে জেনে নিও তো কবে নাগাদ বৃষ্টি হতে পারে।মুসা (আঃ) বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমি উত্তর জেনে আসবো।


মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে আল্লাহকে প্রশ্ন করলো আচ্ছা বনের পশুরা সব মারা যাচ্ছে পানির অভাবে বৃষ্টি কবে দিবে?তখন আল্লাহ বলল আগামী ১০০ বছর বৃষ্টির কোন প্ল্যান নাই,অই বনে ১০০ বছর পর বৃষ্টি হবে।


এই কথা শুনে মুসা (আঃ) এর মন খারাপ হয়ে গেলো।সে আর কোন কথা না বলে চলে আসলো।সে আসতে আসতে ভাবছে এই কথা হরিণকে কিভাবে বলবো তাই সে একটু চোরের মতো করে পালানোর চেষ্টা করছে যেন হরিণের সাথে দেখা না হয়।কিন্তু হরিণ ঠিক  সামনে দাঁড়িয়ে আছে।হরিণ জিজ্ঞেস করলো কি উত্তর দিল আমার আল্লাহ।তখন মুসা  (আঃ) বলছে যা বলেছে তা শোনার মতো না।তখন হরিণ বলল আল্লাহ কি বলেছে সেটাই বল তোমাকে তো বানাই বলতে বলছিনা।মুসা (আঃ) বললো আগামী ১০০ বছর এই বনে বৃষ্টি হবে না ১০০ বছর পর বৃষ্টি হবে।হরিণ এই কথা শুনেই বললো আলহামদুলিল্লাহ...


মুসা (আঃ) হরিণের আলহামদুলিল্লাহ শুনে রাগে বললো ১০০ বছর তুমি বেঁচে থাকবে তোমার বংশের কেও বেঁচে থাকবে আলহামদুলিল্লাহ বললে কেন।তখন হরিণ বললো তুমি এত ভাবতে যেও না মুসা (আঃ)। আমার আল্লাহর চাইতে তোমার মায়া আমার উপর বেশি না।আমার আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন।


কিছুক্ষণ পর আকাশে মেঘ করে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো।সারা বন বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলো।সব কিছু থেকে হাহাকার মিটে গেলো...


পরের দিন মুসা (আ) আল্লাহর কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে আল্লাহকে একটু রাগান্বিত ভাবে জিজ্ঞেস করলো তুমি কালকে বললে আগামী ১০০ বছর বৃষ্টি হবেনা।আবার কালকেই বৃষ্টি দিয়ে দিলে এটা কেমন হলো।তখন আল্লাহ বললো মুসা (আঃ) আমার প্ল্যান ঠিক ছিলো আমার সিডিউলে আগামী ১০০ বছর বৃষ্টির কোন পরিকল্পনা ছিলনা। কিন্তু হরিণের আমার প্রতি বিশ্বাসের জন্য আমি এতো খুশি হয়েছি যে আমার সিডিউল পরিবর্তন করে ১০০ বছর পরের বৃষ্টি আমি আজকেই দিয়ে দিলাম..

জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন।

কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল।

কৃষি কাজে , ভারী জিনিস বহনে ও নিত্যদিনের চলা ফেরায় ঘোড়াটিকে তিনি ব্যবহার করতেন।


একদিন ঘোড়াটি হারিয়ে গেলো। তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না।


কৃষকের স্ত্রীর খুব মন খারাপ।কিন্তু কৃষক লোকটির কোন অস্থিরতা নেই। তার কোন আফসোস নেই।

হারিয়ে যাওয়া ঘোড়ার জন্য তার কোন দুঃচিন্তা নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছুই যেন হারায়নি।


আসে পাশের প্রতিবেশীরা এসে বললো,

"তোমার কি দুর্ভাগ্য ! একটা মাত্র ঘোড়া তাও হারিয়ে গেলো "


এই কথা শুনে কৃষক লোকটি একটু মৃদু হেসে বললো , "হতে পারে "


তার কিছুদিন পর ঘোড়াটি আবার কৃষকের বাড়ি ফিরে আসলো এবং তার সাথে আরোও তিনটি বন্য ঘোড়া।


কৃষকের বাড়িতে অনেক আনন্দ।


শুধু হারানো ঘোড়া ফিরে আসেনি , তার সাথে আবার আরোও তিনটা ঘোড়া।


প্রতিবেশীরা আবার দেখতে আসলো , সবাই লোকটিকে বলতে থাকলো ,

"তোমার কি সৌভাগ্য , হারানো ঘোড়া ফিরে পেয়েছো সেই সাথে আবার তিনটা বাড়তি ঘোড়া "


কৃষক আগের মতই হাসি মুখে বললো , "হতে পারে"


দুই দিন পর কৃষকের একমাত্র ছেলে একটা বন্য ঘোড়ায় চড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

এবং পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে।


এই খবর শুনে প্রতিবেশীরা এসে খুবই আফসোস করলো।

কৃষককে দুঃখ করে বললো ,

"এমন করে ছেলের পা ভেঙে গেলো , সত্যিই বড় দুর্ভাগ্য ! "


কথা শুনে কৃষক লোকটি মুচকি হেসে বললো , "হতে পারে"


পরদিনই কৃষকের বাড়িতে রাজার সৈন্যরা এসে হাজির।

যুদ্ধের জন্য তারা গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছে।


কিন্তু কৃষকের ছেলের ভাঙা পা দেখে তাকে না নিয়েই চলে গেলো।


এইবার প্রতিবেশিরা এসে সবাই বললো ,

"তোমারতো দেখছি অনেক বড় সৌভাগ্য , ছেলেকে আর যুদ্ধে গিয়ে মরতে হবে না "


মৃদু হেসে কৃষকের একই উত্তর , "হতে পারে "


বৃদ্ধ কৃষকই ঠিক। এক জীবনে ভালো -মন্দ সবকিছুকেই মেনে নিতে হয়।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ! ___কাজী নজরুল ইসলাম পয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ! 

___কাজী নজরুল ইসলাম


স্বাধীনতা হারাইয়া আমরা যখন আত্মশক্তিতে অবিশ্বাসী হইয়া পড়িলাম এবং আকাশমুখো হইয়া কোন্ অজানা পাষাণ-দেবতাকে লক্ষ করিয়া কেবলই কান্না জুড়িয়া দিলাম, তখন কবির কণ্ঠে আশার বাণী দৈব-বাণীর মতোই দিকে দিকে বিঘোষিত হইল, ‘গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ’!’ বাস্তবিক আজ আমরা অধীন হইয়াছি বলিয়া চিরকালই যে অধীন হইয়া থাকিব, এরূপ কোনো কথা নাই। কাহাকেও কেহ কখনও চিরদিন অধীন করিয়া রাখিতে পারে নাই, কারণ ইহা প্রকৃতির নিয়ম-বিরুদ্ধ। প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া কেহ কখনও জয়ী হইতে পারে না। আজ যাহারা স্বাধীন হইয়া নিজের অধীনতার কথা ভুলিয়া অন্যকেও আবার অধীনতার জাঁতায় পিষ্ট করিতেছে, তাহারাও চিরকাল স্বাধীন ছিল না। শক্তি লাভ করিয়া যাহারা শক্তির এমন অপব্যবহার করিতেছে, কে জানে প্রকৃতি তাহাদের এই অপরাধের পরিণাম কত নির্মম হইয়া লিখিয়া রাখিয়াছে! ‘এয়সা দিন নেহি রহেগা’, চিরদিন কারুর সমান যায় না। আজ যে কপর্দকহীন ফকির, কাল তাহার পক্ষে বাদশাহ্ হওয়া কিছুই বিচিত্র নয়। অত্যাচারীকে অত্যাচারের প্রতিফল ভোগ করিতেই হইবে। আজ আমি যাহার উপর প্রভুত্ব করিয়া তাহার প্রকৃতি-দত্ত স্বাধীনতা, মনুষ্যত্ব ও সম্মানকে হনন করিতেছি, কাল যে সে-ই আমারই মাথায় পদাঘাত করিবে না, তাহা কে বলিতে পারে? শক্তি সম্পদের ন্যায্য ব্যবহারেই বৃদ্ধি, অন্যায় অপচয়ে তাহার লয়।


অন্যকে কষ্ট দিয়ে তাহার ‘আহা-দিল’ নিতে নাই, বেদনাতুরের আন্তরিক প্রার্থনায় আল্লার আরশ টলিয়া যায়। শক্তির অপব্যবহারের জন্য রোম-সাম্রাজ্য গেল, জার্মানির মতো মহাশক্তিরও পরাজয় হইল। কত উত্থান, কত পতন এই ভারত দেখিয়াছে, দেখিতেছে এবং দেখিবে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিবেক সর্বদাই মানবের পশুশক্তিকে সতর্ক করিতেছে। বিবেকের ক্ষমতা অসীম। যাহারা পশুশক্তির ব্যবহার করিয়া বাহিরে এত দুর্বার দুর্জয়, অন্তরে তাহারা বিবেকের দংশনে তেমনই ক্ষত-বিক্ষত, অতি দীন। তাহারা তাহাদের অন্তরের নীচতায় নিজেই মরিয়া যাইতেছে, শুধু লোক-লজ্জায় তাহাকে দাম্ভিকতার মুখোশ পরাইয়া রাখিয়াছে। সিংহের চামড়ার মধ্য হইতে লুকানো গর্দভ-মূর্তি বাহির হইয়া পড়িবেই। নীল শৃগালের ধূর্তামি বেশি দিন টিকিবে না। তাই বলিতেছিলাম, বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই। আজ যখন সমস্ত বিশ্ব মুক্তির জন্য, শৃঙ্খল ছিঁড়িবার জন্য উন্মাদের মতো সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিতেছে, স্বাধীনতা-যজ্ঞের হোমানলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা দলে দলে আসিয়া নিজের হৃৎপিণ্ড উপড়াইয়া দিতেছে, তাহাদের মুখে শুধু এক বুলি, ‘মুক্তি-মুক্তি-মুক্তি’। হস্তে তাহাদের মুক্তির নিশান – মুখে তাহাদের মুক্তির বিষাণ, শিয়রে তাহাদের মুক্তির তৃপ্তি-ভরা মহা-গৌরবময় মৃত্যু। – তখনও মুক্তির সেই যুগান্তরের নবযুগেও, আমরা কিনা পলে পলে দাসত্বের, মনুষ্যত্বহীন আত্মসম্মানশূন্য ঘৃণ্য কাপুরুষের মতো অধোদিকেই গড়াইয়া চলিতেছি! এতদূর নীচ হইয়া গিয়াছি আমরা যে, কেহ এই কথা বলিলে উল্টো আবার কোমর বাঁধিয়া তাহার সঙ্গে তর্ক জুড়িয়া দিই। আমাদের এই তর্কের সবচেয়ে সাধারণ সূত্র হইতেছে, দাসত্ব – গোলামি ছাড়িয়া দিলে খাইব কী করিয়া? কী নীচ প্রশ্ন! যেন আমাদের শুধু কুকুর-বিড়ালের মতো উদর-পূর্তির জন্যই জন্ম! এমন নীচ অন্তঃকরণ লইয়া যাহারা বেহায়ার মতো বেহুদা তর্ক করিতে আসে, তাহাদের উপর খোদার বজ্র কেন যে ভাঙিয়া পড়ে না, তাহা বলিতে পারি না! আজ সারা বিশ্ব যখন ও-রকম মরার মতো বাঁচিয়া থাকার চেয়ে মরিয়া মুক্তিলাভের জন্য প্রাণ লইয়া ছিনিমিনি খেলিতেছে, তখনও আমাদের এইরকম হৃদয়হীনতার, গোলামি মনের পরিচয় দিতে এতটুকু লজ্জা হয় না! বড়োই দুঃখে তাই বলিতে হয়, ‘এ অভাগা দেশের বুকে বজ্র হানো প্রভু, যদ্দিনে না ভাঙছে মোহ-ভার।’ আমাদের এই মোহ-ভার ভাঙিবে কে? এ-শৃঙ্খল মোচন করিবে কে? আছে, উত্তর আছে, এবং তাহা, ‘আমরাই!’ নির্বোধ মেষযূথের মতো এক স্থানে জড়ো হইয়া শুধু মাথাটা লুকাইয়া থাকিলে নেকড়ে বাঘের হিংস্র আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইব না, তাহা হইলে আমাদের ওই নেকড়ে বাঘের মতো করিয়া কান ধরিয়া টানিয়া লইয়া গিয়া হত্যা করিবে।


দেশের পক্ষ হইতে আহ্বান আসিতেছে, কিন্তু কাজে আমরা কেহই সাড়া দিতে পারিতেছি না। অনেকে আবার বলেন যে, অন্যে কে কী করিতেছে আগে দেখাও, তার পর আমাদিগকে বলিয়ো। এই প্রশ্ন ফাঁকিবাজের প্রশ্ন। দেশমাতা সকলকে আহ্বান করিয়াছেন, যাহার বিবেক আছে, কর্তব্য জ্ঞান আছে, মনুষ্যত্ব আছে, সে-ই বুক বাড়াইয়া আগাইয়া যাইবে। তোমার কী নিজের ব্যক্তিত্ব নাই যে, কে কী করিল আগে দেখিয়া তবে তুমি তার পিছু পিছু পোঁ ধরিবে? নেতা কে? বিবেকই তো তোমার নেতা, কর্তব্য-জ্ঞানই তো তোমার নেতা! দেশনায়ক যাঁহারা, তাঁহারা তো তোমার নেতা, তোমার বিবেকেরই প্রতিধ্বনি করেন। কর্তব্য-জ্ঞানের কাছে, ত্যাগের কাছে সম্ভব-অসম্ভব কিছুই নাই। সুতরাং ‘উহা সম্ভব, ইহা অসম্ভব’ বলিয়া, ছেলেমানুষি করাও আর এক বোকামি। যাহা সম্ভব তাহা করিবার জন্য তোমার ডাক পড়িত কী জন্য? অসম্ভব বলিয়াই তো দেশ তোমার বলিদান চাহিয়াছে। স্বার্থের গণ্ডি না পারাইয়া ভিক্ষা দেওয়া যায়, ত্যাগ বা বলিদান দেওয়া যায় না। তোমার যতটুকু শক্তি আছে প্রয়োগ করো, দেশের কাছে, খোদার কাছে অসংকোচে দাঁড়াইবার পাথেয় সঞ্চয় করো, তোমার বিবেকের কাছে তুমি অগাধ শান্তি পাইবে! ইহাই তোমার পুরস্কার। অন্যে জাহান্নামে যাইবে বলিয়া কী তুমিও তার পিছু-পিছু সেখানে যাইবে?


আজ আমাদের শুধু ক্লান্তি, – শুধু শ্রান্তি কেন? ‘এমন করে কদ্দিন খাবি’ না গোলেমালে যদ্দিন যায় করে আর কতদিন চলিবে? আমরা আমাদের দেশের জন্য, মুক্তির জন্য কি দুঃখদৈন্যকে বরণ করিয়া লইতে পারিব না? ত্যাগ, বিসর্জন, উৎসর্গ, বলিদান ছাড়া কি কখনও কোনো দেশ উদ্ধার হইয়াছে, না হইতে পারে? স্বার্থত্যাগ করিতে হইলে দুঃখকষ্ট সহ্য করিতেই হইবে, ত্যাগ কখনও আরাম-কেদারায় শুইয়া হয় না। কিন্তু ওই দুঃখকষ্ট, ইহা তো বাহিরে; একটা সত্য মহান পবিত্র কার্য করিতে গেলে যে আত্মতৃপ্তি অনুভব করা যায়, অন্তরে যে-ভাস্বর স্নিগ্ধ দীপ্তির উদয় হইয়া সকল দেহমন আলোয় আলোকময় করিয়া দেয়, সারা দেশের ভাইদের বোনদের যে প্রশংসাভরা স্নেহকল্যাণময় অশ্রুকাতর দৃষ্টি ও সারা মুক্ত বিশ্বে সাবাসি পাওয়া যায়, তাহা এই বাহিরের দুঃখকষ্টকে কী ঢাকিয়া দিতে পারে না? কার মূল্য বেশি? বাহিরের এই নগণ্য দুঃখকষ্টের, না অন্তরের স্বর্গীয় তৃপ্তির? তুমি কী চাও? – কুকুর-বিড়ালের মতো ঘৃণ্য-মরা মরিতে, না মানুষের মতো মরিয়া অমর হইতে? তুমি কী চাও? – শৃঙ্খল, না স্বাধীনতা? তুমি কী চাও? – তোমাকে লোকে মানুষের মতো ভক্তিশ্রদ্ধা করুক, না পা-চাটা কুকুরের মতো মুখে লাথি মারুক? তুমি কী চাও? – উষ্ণীষ-মস্তকে উন্নত-শীর্ষ হইয়া বুক ফুলাইয়া দাঁড়াইয়া পুরুষের মতো গৌরব-দৃষ্টিতে অসংকোচে তাকাইতে, না নাঙ্গা শিরে প্রভুর শ্রীপাদপদ্ম মস্তকে ধারণ করিয়া কুব্জপৃষ্ঠে গোলামের মতো অবনত হইয়া হুজুরির মতলবে শরমে চক্ষু নত করিয়া থাকিতে? যদি এই শেষের দিকটাই তোমার লক্ষ্য হয়, তবে তুমি জাহান্নামে যাও! তোমার সারমেয়গোষ্ঠী লইয়া খাও দাও আর পা চাটো! আর যাহারা ত্যাগকে বরণ করিয়া লইতে পারিবে, যাহার ঘরে মুখ মলিন দেখিয়া গলিয়া যাইবে না, যাহাদের জান দিবার মতো গোর্দা আছে, আঘাত সহিবার মতো বুকের পাটা আছে, তাহারা বাহির হইয়া আইস! দেশমাতার দক্ষিণ হস্ত, আর কল্যাণ-মন্ত্রপূত অশ্রু-পুষ্প তোমাদেরই মাথায় ঝরিয়া পড়িবার জন্য উন্মুখ হইয়া রহিয়াছে। আমরা চাই লাঞ্ছনার চন্দনে আমাদের উলঙ্গ-অঙ্গ অনুলিপ্ত করিতে। কল্যাণের মৃত্যুঞ্জয় কবচ আমাদের বাহুতে উষ্ণীষে বাঁধা, ভয় কী? মনে পড়ে, সেদিন দেশমাতার আহ্বান নিয়া মাতা সরলাদেবী বাঙালার কন্যারূপে পাঞ্জাব হইতে সাহায্য চাহিতে আসিয়াছিলেন। কে কে সাড়া দিলে এ-জাগ্রত মহা-আহ্বানে? এমন ডাকেও যদি সাড়া না দাও,তবে জানিব তোমরা মরিয়াছ। বৃথাই এ-আহ্বান এ-ক্রন্দন তোমার, মা! যদি পার, সঞ্জীবনী সুধা লইয়া আইসো তোমার এ মরা সন্তান বাঁচাইতে। যদি তাহা না পার, তবে ইহাদিগকে ধুতুরার বীজ খাওয়াইয়া পাগলা করিয়া দাও। ইহাতে তাহারা ‘মানুষের মতো’ জাগিবে না, কিন্তু তবু জাগিবে! জানি, কুপুত্র অনেকে হয়, কুমাতা কখনও নয়, কিন্তু আর এমন করিয়া স্নেহের প্রশ্রয় দিলে চলিবে না, মা, এখন তোমাকে কুমাতা হইতে হইবে, তোমাকেই আঘাত দিয়া আমাদের জাগাইতে হইবে। আমরা পরের আঘাত চোখ বুজিয়া সহ্য করি কিন্তু স্বজনের আঘাত সইতে পারি না। তাই আর শুধু ডাকাডাকিতে কোনো ফল হইবে না। তোমার রুদ্রমূর্তি দিকে দিকে প্রকটিত হউক। যদিই এই রুদ্র ভীষণতার মধ্যে রণ-চণ্ডীর মহামারির মধ্যে, আমাদের মনুষ্যত্ব জাগে, যদি আঘাত খাইয়া খাইয়া অপমানিত হইয়া আবার আমরা জাগি, তাই আবার বলিতেছি, তোমরাও সাথে সাথে বলো,


গেছে দেশ দুঃখ নাই,

আবার তোরা মানুষ হ!

প্রবন্ধ - যুগবানী

পোয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে 

সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

বাঁচতে হলে জানতে হবে। মিনিকেট চালের ভাত গরমকালেও অনেকক্ষণ ভালো থাকে! আহারে! কত ভালো চাল! তাইনা? ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একটি বিশেষ সতর্কতা মূলক পোষ্ট।


বাঁচতে হলে জানতে হবে। মিনিকেট চালের ভাত গরমকালেও অনেকক্ষণ ভালো থাকে! আহারে! কত ভালো চাল! তাইনা?


আসুন জেনে নিই আসলেই কি আমরা ভালো চাল খাচ্ছি?নাকি আবর্জনা?


❌ মিনিকেট নামে কোন ধান চাষ হয়না বাংলাদেশে। 

তাহলে, এই চাল বাজারে আসে কোথা থেকে- এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, মিনিকেট চাল তৈরী হয় কারখানায়।


🌾দেশী জাতের ধান (মোটা চালের) চালকলে আসার পর শুরু হয় তেলেসমাতি। প্রথমে ধানের খোসা ছাড়ান হয়। খোসা ছাড়ানোর পর চালের অকৃত্রিম/ন্যাচারাল রঙে কিছুটা খয়েরি/বাদামি আভা থাকে। এরপর কেমিক্যাল ও হোয়াইটনার মেশিনের মাধ্যমে চালের খয়েরি/বাদামি আভার আবরণটিকে আলাদা করা হয়। এই আবরণটি বাদ দেওয়ার পর চাল কিছুটা সরু ও সাদা হয়। এখানেই শেষ নয়, পলিশার মেশিনের মাধ্যমে পলিশ করলেই হয়ে গেল মিনিকেট চাল।


🗣️এবার প্রশ্নের তীর তাক করে কেউ বলতেই পারেন- মোটা চালকে এতোভাবে প্রসেস করে মিনিকেট বানালে তো চাল ব্যবসায়ীর ক্ষতি। 

এবার ক্ষতির হিসেবটা করা যাক- ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানালে সাধারণত চাল পাওয়া যায় ৯৩৩কেজি, সাদা খুদ ২৬.৫ কেজি, কালো খুদ ১৪কেজি, মরা চাল ৪.৫ কেজি, ময়লা ০.৭৫ কেজি এবং পলিশ ২৭ কেজি। যোগ করলে দেখা যায় এক হাজার কেজি চাল প্রসেস করার পর পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬কেজি বেশী। 

এই ছয় কেজি হচ্ছে জলীয় বাষ্প ও পানি। রাইস ব্রান তেল কারখানাগুলো পলিশ কিনে নেয়, সাদা খুদ বাজারে চালের অর্ধেক দামে বিক্রি হয়। কালো খুদ আর মরা চাল পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। ভাবছেন চাল প্রসেসের খরচ কত? ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানাতে খরচ হয় মাত্র ৯০০টাকা হতে ১৫০০টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৯০পয়সা থেকে দেড় টাকা।


🤔মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানিয়ে বিক্রেতা একটু বেশী লাভ করলে ক্রেতার ক্ষতি কি? 

ছোট ক্ষতি হচ্ছে ক্রেতা চিকন চালের দামে মোটা চাল কিনছেন, অর্থাৎ কেজিতে ১৫থেকে ২০টাকা পর্যন্ত ঠকছেন। বড় ক্ষতি হলো কেজিতে ১৫ থেকে ২০টাকা বেশী দিয়ে মিনিকেট চাল নয়, ক্রেতা কিনছেন মোটা চালের আবর্জনা। কারণ, প্রসেস করার মাধ্যমে চালের উপরি আবরণ (bran অর্থাৎ pericarp, seed coat, aleurone layer, embryo) বা পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, চালের সর্বমোট ৮৫ ভাগ ভিটামিন B3 থাকে pericarp–এ, প্রোটিন আর ফ্যাট থাকে Aleurone layer -এ, খনিজের ৫১ ভাগ ও মোট আঁশের ৮০ ভাগ থাকে bran –এ, ভিটামিন B1 ও ভিটামিন E থাকে embryo -তে। চালের সব পুষ্টিকর উপাদান তেলের মিলে বিক্রির জন্য প্রসেস করে আলাদা করার পর চাল আর চাল থাকেনা, হয়ে যায় চালের আবর্জনা।


❌ মিনিকেট চাল নামে চালের আবর্জনাকে যতোটা ক্ষতিকর মনে করছেন বাস্তবে আরও বেশী ক্ষতিকর। মোটা চালকে মিনিকেটে রূপান্তর করার বিভিন্ন পর্যায়ে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড + টুথপেস্ট +এরারুটের মিশ্রণ, সোয়াবিন তেল, ফিটকারি, বরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়। প্রতি মৌসুমেই বের হয় নিত্য নতুন কৌশল।


❌ মিনিকেট চালে কখনো পোকা ধরেনা। কারণ পোকাও জানে এই চাল খাওয়ার যোগ্য নয়, এতে পুষ্টিগুণ নেই। 

অথচ দেখতে সুন্দর এই অখাদ্যকে আমি আপনি আমাদের পরিবার কে নিশ্চিন্তে খাওয়াচ্ছি এবং নিজেরাও খাচ্ছি! 

কিন্তু কেন!?😕


✨শুধু চাল নয়, এমন আরও হাজারো অখাদ্য, আবর্জনা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি জেনে- না জেনে আর তার ফলাফল স্বরূপ ভুগতে হচ্ছে কঠিন কঠিন রোগে সেই সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি এক ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনব্যবস্থা! 

হিসেব টা মেলানো খুবই সহজ, বাড়িতে কোনো মুরব্বী থাকলে একটু জেনে নিতে হবে আগেকার দিনে তারা কেমন খাবার খেয়ে জীবন যাপন করেছে আর তাদের রোগ বালাই কেমন ছিলো এবং তাদের চিকিৎসা-ই বা কেমন ছিলো।

আজকের দিনে আমরা হাজারো নিত্য নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আর নিত্য নতুন ঔষধ সেবন করে চলেছি যা একটা রোগকে ঠিক করে আরো শত রোগের জন্ম দিচ্ছে আমাদের শরীরে। এ যেনো এক চোরাবালির মধ্যে ডুবে আছি আমরা।


"সুস্বাস্থ্য যেমন

সকল সুখের মূল, 

ঠিক তেমন

স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্বাস্থের মূল।"


 (সংগৃহীত)

রিপোস্ট

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

লাউয়ের ফলন বৃদ্ধির উপায়,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 লাউয়ের ফলন বৃদ্ধির উপায়।


সাধারণত যৌন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুমড়াগোত্রীয় ফসলের বংশবিস্তার হয়ে থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ কুমড়াগোত্রীয় ফসলের ফুল অসম্পূর্ণ হওয়ায় পরাগায়নের জন্য অন্য মাধ্যম যেমন কীটপতঙ্গের প্রয়োজন হয়। পরাগায়ন ঠিকমতো না হলে ফল শুকিয়ে পচে বা ঝরে গিয়ে প্রায় ৯৫% ফলন কমে যেতে পারে। তখন হাত পরাগায়নের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়ন করিয়ে দিতে হয়। এজন্য কুমড়াগোত্রীয় ফুল কখন ফোটে এবং হাত পরাগায়ন কখন করতে হয় সে বিষয়ে আমাদের জানা প্রয়োজন।


লাউ ফসলের ফুল সকাল ৯.০০টা থেকে ফুটতে শুরু করে এবং বিকাল ৪.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে সম্পূর্ণ ফুল প্রস্ফুটিত হয়। পরাগধানী সকাল ১১.০০টা থেকে ২.০০টার মধ্যে পরাগরেণু উন্মুক্ত করে। লাউ ফুল ফোটার পর অল্প সময় খোলা থাকে ফলে  লাউয়ের পরাগায়ন বিকাল ৪.০০টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০টার মধ্যে করতে হবে।


প্রতিদিন ভোরে সদ্যফোটা পুরুষ ফুল ছিঁড়ে পুংরেণুসমৃদ্ধ পুংকেশর রেখে পাপড়িগুলো ছিড়ে ফেলতে হয়। এরপর পুংরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে হালকাভাবে সামান্য একটু ঘষে দিতে হয়। এতে স্ত্রী ফুল নিষিক্ত হয়ে ফল ধরে।


একটি পুরুষ ফুলের পুংকেশর দিয়ে ৫-৬ টি স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে পরাগায়ন করা যায়। এজন্য একটি লাউয়ের মাচায় শতকরা ১০টি পুরুষ ফুল রাখতে হয়। এতে শতকরা ৯৫টি স্ত্রী ফুলে ফল ধরবে।


পুরুষ লাউ ফুল এবং স্ত্রী লাউ ফুল চেনার উপায়:


পুরুষ লাউ ফুলঃ ফুলের বোঁটার অগ্রভাগে ফোটে। পাপড়ির গোড়ায় গর্ভাশয় থাকেনা। পাপড়ির মাঝখান দিয়ে বেড়ে যাওয়া পুংদন্ডে পাউডারের গুঁড়ার মত পুংরেণু থাকে।

পুংদন্ডের শীর্ষভাগে গর্ভমুন্ড থাকে না। শুধু বোঁটার অগ্রভাগে ফুটে থাকা ফুলগুলো পুরুষ ফুল।


লাউ এর স্ত্রী  ফুলঃ ক্ষুদ্রাকৃতি লাউয়ের মত গর্ভাশয়ধারী ফুলগুলো স্ত্রী ফুল। গর্ভাশয়ের ওপর থেকে পাপড়ি থাকবে। পুংদন্ড থাকবে না। গর্ভদন্ড ছোট ও মোটা। গর্ভদন্ডে আঠালো পদার্থ থাকবে।


পুংরেণু এখানে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঠায় আটকে যায়। অনেকেরই ধারণা, শুধু স্ত্রী ফুলের এই গর্ভাশয় থাকলেই লাউ ধরবে। গর্ভমুণ্ডে পুরুষ ফুলের পুংরেণু না লাগা পর্যন্ত লাউ ধরবে না।


লাউ চাষের ফলন বাড়াতে কি করবেন ?


১. গর্ভাশয় ঝরে পড়াকে অনেকেই মনে করে কচি লাউ ঝরে পড়ে। আসলে যেসব স্ত্রী ফুল পুংরেণু দ্বারা নিষিক্ত হয় না সেগুলো ঝরে পড়ে। এজন্য কৃত্রিম পরাগায়ন করাতে হবে

এরপরেও ঝরে পড়লে গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দিতে হবে। গাছপ্রতি ৫০ গ্রাম করে টিএসপি ও এমপি সার গাছের গোড়া থেকে ৬ ইঞ্চি দূর দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে


২. কচি লাউ পচে যাওয়ার কারণ হচ্ছে ফ্রুট ফ্লাই পোকা কচি লাউয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে। এ ক্ষতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে লাউ পচিয়ে ফেলে। এ পোকা হাত দ্বারা মারা যায়। ছাই দেওয়া যেতে পারে অথবা ডায়াজিনন বা ডাইমেক্রন বা নগস দিতে পারেন।


৩. বীজের অঙ্কুরোদগমের পর প্রাথমিক/ প্রধান শাখাটির ১২ টি পাতা হলে তার অগ্রস্থ বা শীর্ষস্থ অংশের ছাঁটাই করে দিতে হবে। এরপর প্রধান শাখা হতে দ্বিতীয় বর্গের প্রশাখাগুলি ১২ ফুট অবধি লম্বা হলে ঠিক আগের মত এক্ষেত্রেও সেগুলির অগ্রভাগ ছাঁটাই করে দিতে হবে।


৪. লাউ লতা খুব বড় হয় কিন্তু ফুল কম ধরে। এ জন্য জৈব সার কম দিতে হবে। টিএসপি ও এমপি সার সম্পূর্ণ মাত্রায় দিতে হবে। এছাড়াও গ্রোথ হরমোন স্প্রে করতে পারেন।


৫. ফুলের মধ্যে পিঁপড়া আক্রমণ করলে ছাই বা সেভিন দিতে পারেন।


অর্গানিক (জৈব) পদ্ধতির ফসল চাষ করুন। বিষমুক্ত খাবার উৎপাদন ও সরবরাহ করে নতুন প্রজন্ম কে বাচান।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

শ্রদ্ধা ভাজন বাচ্চু তালুকদার স্যারের ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আমি আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা  থেকে সেলসের সকল এর  উদ্দেশ্যে একটা ছোট্ট ট্রেনিং সেশন এর ব্যবস্থা করেছি। 

আশা করি সবার উপকারে আসবে। 

এখানে প্রতিদিন এক একটা বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব। যে বিষয়টা নিয়ে আমি আলোচনা করব সে বিষয়ে সবাই যার যার অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেয়ার করবেন। 


# আলোচনার বিষয় ;


১. কিভাবে পার্টির সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হয়;

২. নতুন পার্টি কিভাবে তৈরি করতে হয় ;

৩. রিপোর্টিং সম্পর্কে ; 

৪. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় ;

৫. কিভাবে কোম্পানিতে ওনারশিপ নিয়ে কাজ করতে হয় ;

৬. কিভাবে কাজের ব্যস্ততা বাড়ানো যায়;

৭. সকল পণ্যর নমুনা সাথে রাকতে হবে ;

৮. কিভাবে বড় পার্টি পরিচালনা করতে হয়;

৯. স্টক অনুযায়ী অর্ডার নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ;

১০. কিভাবে পার্টির সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে  ; 

১১. কিভাবে মার্কেট কাভারেজ বৃদ্ধি করতে হবে ; 

১২. দায় বদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে ; 

১৩. নোটবুক মেইনটেইন করতে হবে এবং প্রতিদিনের ব্যক্তিগত অর্জন নোট করে রাখতে হবে ;

১৪.কিভাবে  রিপিট কাস্টমার তৈরি করতে হবে ;

১৫. কিভাবে টিম ওয়ার্ক ভাবে কাজ করতে হবে.


ধন্যবাদ 

মোঃ বাচ্চু তালুকদার।


২য় দিন
2.কী ভাবে নতুন পার্টি তৈরি করা যায়:

আমি আশা করি, আমরা যদি সাঁতরা স্টেপ ফলো করি। তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটা মার্কেটে আমরা নতুন পার্টি তৈরি করতে পারব। এবং আমাদের মার্কেট কাভারেজ বৃদ্ধি করতে পারবো। 

১. গ্যাপ মার্কেট খোঁজা:
আমাদের ওয়ার্কিং এরিয়াতে কোন কোন মার্কেটে আমাদের অ্যাক্টিভিটিস নাই এই গ্যাপ  মার্কেট গুলো খুঁজে বের করতে হবে। 
২. ট্রেডিং মার্কেট খোঁজা:
আমাদের গ্যাপ মার্কেট খুঁজে বের করার পরে। গ্যাপ মার্কেট  এর মধ্যে কোন কোন মার্কেটে আমরা যে প্রোডাক্ট  গুলো সেল করি এই প্রোডাক্ট গুলা বিক্রি করা যাবে এই ধরনের ট্রেডিং মার্কেট গুলোকে ফাইন্ডিং করতে হবে।
৩. বড় পার্টি খোঁজা: 
আমরা যে ট্রেডিং মার্কেট গুলা খুঁজে বের করলাম এই ট্রেনিং মার্কেটে আমরা যে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করি এইগুলো কারা বিক্রি করে সেটা মার্কেট ছাড়বে করে বের করতে হবে। এবং বড় বড় পার্টি গুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। 
৪. প্রতিযোগীর ব্যবসায়িক দল খোঁজা;
বড় পার্টি গুলা খোজার পরে এই পাটিগুলা। কে কোন কোম্পানির সাথে বিজনেস করে সেগুলো বের করা। 
৫. ইতিবাচক বড় পার্টি  নির্বাচন করুন:
বড় পার্টি গুলো কে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে।  এ গুলো বের করার পরে। আমাদের নতুন প্রোডাক্ট  করা বিক্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে, আমাদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করে, কোন পার্টি গুলা আমাদের প্রোডাক্টগুলো নিয়ে বিক্রি করতে চায় এই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করে এ ধরনের পার্টি গুলোকে ফাইন্ডিং করা। 
৬. ইতিবাচক  দলের সাথে সম্পর্ক বাড়ান:
যে পার্টিগুলো আমাদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করে। আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চায়। তাদের সাথে সময়  দিয়ে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য গিফটের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা মার্কেটে গিয়ে যা খাই সেগুলো পার্টির ঘরের লোকদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এভাবে সম্পর্ক বাড়বে। 
৭. আমরা যেন একটি বাজারে শীর্ষ তিনটি পার্টি  সাথে ব্যবসা করার চেষ্টা করি।

আশা করি এইভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করে কাজ করলে আমরা অবশ্যই নতুন পার্টি তৈরি করতে পারব।

ধন্যবাদ 
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।

3. কি ভাবে রিপোর্টিং করবেন:

১. মাসের শুরুতে  পরবর্তী মাসের ট্যুর প্লান  করতে হবে। 
২. মাসের শুরুতে পরবর্তী মাসের টার্গেট সেট করতে হবে। 
৩. সকাল ৮.৩০ এর মধ্যে কোন এরিয়তে কাজ করবেন তার পরিকল্পনা দিবেন;
৪. প্রতিদিন নোটবুক লিখবেন; কি  পরিমাণ টার্গেট অরজন হল, আর কি পরিমান টার্গেট অরজন বাকি আছে তার হিসেবে লিখে রাখতে হবে। এবং টার্গেট অর্জনের  জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। 
৫. বিকাল 4.00টার মধ্যে ব্যাংকের আপডেট দিবেন; এবং
৬. বিকেল পাঁচটার মধ্যে পরের দিনের ডেলিভারি প্লান দিবেন।
৭. প্রতি শনিবারে সাপ্তাহিক এচিভমেন্ট রিপোর্ট দিবেন।

ধন্যবাদ 
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।

4. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় : 
নিম্নবর্তী বিষয়গুলো প্রত্যেকটা মার্কেটারের মধ্যে অবশ্যই থাকা দরকার। 

1.পণ্যর জ্ঞান;
2. গ্রাহক জ্ঞান;
3. কোম্পানির জ্ঞান;
4. প্রতিযোগীর জ্ঞান;
5. নিজের দক্ষতা;
6. বিক্রয় দক্ষতা;
7. শারীরিক ভাষা;
8. উপস্থাপনা দক্ষতা;

পণ্যর জ্ঞান(১): 
পণ্যের জ্ঞান হল এমন একটি দক্ষতা, যেখানে আপনার কর্মীরা সম্পূর্ণ রূপে বুঝতে পারে এবং আপনার পণ্য, এরবৈশিষ্ট্য, সুবিধা, ব্যবহার এবং সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গ্রাহকদের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতেপারে। আমরা যে প্রোডাক্টটা বিক্রি করি। সেটা সম্পর্কে A to Z ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আমরা আরেকজনকে সুন্দর ভাবে আমাদের পণ্য  সম্পর্কে বোঝাতে পারবো। আমরা যে পণ্য  মার্কেটে বিক্রি করি সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে, এবং আমাদের পণ্যের কি কি বৈশিষ্ট্য আছে, কি কি গুনাগুন আছে সবকিছু ভালোভাবে জানতে হবে। অন্যদের পন্য সাথে আমাদের পণ্য পার্থক্য কি, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। যদি সবগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে পারি তাহলে আমরা আমাদের পার্টি কে বোঝাতে পারবো এবং সহজে আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবো ।
অতএব একজন সেলসম্যান এর জন্য পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ধন্যবাদ 
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।


 4. মার্কেটারদের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় : নিম্নবর্তী বিষয়গুলো প্রত্যেকটা মার্কেটারের মধ্যে অবশ্যই থাকা দরকার। 
২. গ্রাহক জ্ঞান;
৩. কোম্পানির জ্ঞান;
৪. প্রতিযোগীর জ্ঞান;
৫. নিজের দক্ষতা;
গ্রাহক জ্ঞান(২):
গ্রাহক জ্ঞান হল অভিজ্ঞতা, মূল্য এবং অন্তর্দৃষ্টি তথ্যের সমন্বয় যা গ্রাহক এবং কম্পানির মধ্যে লেনদেন এবং বিনিময়ের সময় ও প্রয়োজন তৈরি হয়। গ্রাহকদের মনমানসিকতা বুঝে তার সাথে কথা বলা। ব্যস্ত টাইমে তাকে ডিস্টার্ব না করা। যখন ফ্রি থাকে তখন তার সাথে কথা বলা।   গ্রাহকদের মেজাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে, কখন কোন ধরনের মেজাজ থাকে এগুলো সম্পর্কে বুঝতে হবে তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে  ইত্যাদি। 
কোম্পানির জ্ঞান(৩):
একজন কর্মকর্তার অবশ্যই কোম্পানির কার্যকলাপ সম্পর্কে সমস্ত জ্ঞান থাকতে হবে। কোম্পানির মিশন এবং ভিশন সম্পর্কে জানতে হবে।, আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে, তার পর কাস্টমসকে সে অনুযায়ী জানাতে হবে ।
প্রতিযোগীর জ্ঞান(৪):
আপনার প্রতিযোগী কারা, এবং তারা কী অফার করছে তা জানা, প্রতিযোগী জ্ঞান আপনাকে আপনার পণ্য, পরিষেবা এবং বিপণনকে আলাদা করে তুলতে সাহায্য করে। আপনি এই জ্ঞান ব্যবহার করে মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে পারেন যা আপনার প্রতিযোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় এবং আপনার নিজের ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
নিজের দক্ষতা(৫):
ব্যক্তিগত দক্ষতা হল সেই দক্ষতা গুলি যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি যখন আমরা পৃথকভাবে এবং দলগতভাবে অন্য লোকেদের সাথে যোগাযোগ করি। ব্যক্তিগত দক্ষতার দারা আপনাকে আলাদা করে দেখা হবে ? এখানে ব্যক্তিগতর দক্ষতার একটি তালিকা রয়েছে:
*সচেতনতা (নিজের এবং অন্যদের সম্পর্কে )
 * অন্যমানুষের প্রতি যত্নশীল।
 * অন্যদের সাথে একসাথে কাজ করা এবং ভালোভাবে কাজকরা।
 *লোকেদের প্রয়োজন হলে সান্ত্বনা দেওয়া।
 * পরিষ্কার যোগাযোগ দক্ষতা.
* সমস্যা খুজে বের করা এবং সমাধানের দক্ষতা অর্জন করা।

ধন্যবাদ 
মোঃ বাচ্চু তালুকদার।


বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

অভিশাপ – কাজী নজরুল ইসলাম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 অভিশাপ

– কাজী নজরুল ইসলাম


যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,

অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ছবি আমার বুকে বেঁধে

পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে

ফিরবে মর” কানন গিরি,

সাগর আকাশ বাতাস চিরি’

যেদিন আমায় খুঁজবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!


স্বপন ভেঙে নিশুত্‌ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,

কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-

জাগবে হঠাৎ চমকে!

ভাববে বুঝি আমিই এসে

ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,

ধরতে গিয়ে দেখবে যখন

শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!

বেদ্‌নাতে চোখ বুঁজবে-

বুঝবে সেদিন বুজবে।


গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আস্‌বে যখন কান্না,

ব’লবে সবাই-“ সেই য পথিক তার শেখানো গান না?’’

আস্‌বে ভেঙে কান্না!

প’ড়বে মনে আমার সোহাগ,

কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!

প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি

অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি

ঘন ঘন মুছবে-

বুঝ্‌বে সেদিন বুঝবে!


আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,

তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ-

কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!

শিউলি ঢাকা মোর সমাধি

প’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!

বুকের মালা ক’রবে জ্বালা

চোখের জলে সেদিন বালা

মুখের হাসি ঘুচবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!


আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি,

থাকবে সবাই – থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী!

আসবে শিশির-রাত্রি!

থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন,

থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন,

বঁধুর বুকের পরশনে

আমার পরশ আনবে মনে-

বিষিয়ে ও-বুক উঠবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!


আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না ক আ সে-

তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে,

আসবে না ক’ আর সে!

প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে

মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে,

মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়!

সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায়

কাঁটা হ’য়ে ফুটবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,

সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-

দুলবে তরী রঙ্গে,

প’ড়বে মনে সে কোন্‌ রাতে

এক তরীতে ছিলেম সাথে,

এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,

নদীর দু’ধার এমনি আঁধার

তেম্‌নি তরী ছুটবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!


তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ,

আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ-

সখার কারা-বন্ধ!

বন্ধু তোমার হান্‌বে হেলা

ভাঙবে তোমার সুখের মেলা;

দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর,

বইতে প্রাণের শান- এ ভার

মরণ-সনে বুঝ্‌বে-

বুঝবে সেদিন বুঝ্‌বে!


ফুট্‌বে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী,

আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদ্‌নী-

চৈতী-রাতের চাঁদ্‌নী।

ঋতুর পরে ফির্‌বে ঋতু,

সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু!

চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়,

আমার মতন চোখ ভ’রে চায়

যে-তারা তা’য় খুঁজবে-

বুঝ্‌বে সেদিন বুঝ্‌বে!


আস্‌বে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন,

কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন-

টুটবে যবে বন্ধন!

পড়বে মনে, নেই সে সাথে

বাঁধবে বুকে দুঃখ-রাতে-

আপনি গালে যাচবে চুমা,

চাইবে আদর, মাগ্‌বে ছোঁওয়া,

আপনি যেচে চুমবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে।


আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হান্‌ত,

সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান–

আসবে তখন পান’।

হয়ত তখন আমার কোলে

সোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে,

আপনি সেদিন সেধে কেঁদে

চাপ্‌বে বুকে বাহু বেঁধে,

চরণ চুমে পূজবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

মিলন-মোহনায় (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক) __ কাজী নজরুল ইসলাম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মিলন-মোহনায় (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক)

__ কাজী নজরুল ইসলাম


হায় হাবা মেয়ে, সব ভুলে গেলি দয়িতের কাছে এসে!

এত অভিমান এত ক্রন্দন সব গেল জলে ভেসে !

কূলে কূলে এত ভুলে ফুলে কাঁদা আছড়ি পিছাড়ি তোর,

সব ফুলে গেলি যেই বুকে তোরে টেনে নিল মনোচোর!

সিন্ধুর বুকে লুকাইলি মুখ এমনই নিবিড় করে,

এমনই করিয়া হারাইলি তুই আপনারে চিরতরে –

যে দিকে তাকাই নাই তুই নাই! তোর বন্ধুর বাহু

গ্রাসিয়াছে তোরে বুকের পাঁজরে – ক্ষুধাতুর কাল রাহু!


বিরহের কূলে অভিমান যার এমন ফেনায়ে উঠে,

মিলনের মুখে সে ফিরে এমনই পদতলে পড়ে লুটে?

এমনই করিয়া ভাঙিয়া পড়ে কি বুক-ভাঙা কান্নায়,

বুকে বুক রেখে নিবিড় বাঁধনে পিষে গুঁড়ো হয়ে যায়?

তোর বন্ধুর আঙুলের ছোঁয়া এমনই কি জাদু জানে,

আবেশে গলিয়া অধর তুলিয়া ধরিলি অধর পানে!

একটি চুমায় মিটে গেল তোর সব সাধ সব তৃষা,

ছিন্ন লতার মতন মুরছি পড়িলি হারায়ে দিশা!

– একটি চুমার লাগি

এতদিন ধরে এত পথ বেয়ে এলি বেয়ে এলি কি রে হতভাগি?


গাঙ-চিল আর সাগর-কপোত মাছ ধরিবার ছলে,

নিলাজি লো, তোর রঙ্গ দেখিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে জলে।

দুধারের চর অবাক হইয়া চেয়ে আছে তোর মুখে,

সবার সামনে লুকাইলি মুখ কেমনে বঁধুর বুকে?

নীলিম আকাশে ঝুঁকিয়া পড়িয়া মেঘের গুণ্ঠন ফেলে

বউ-ঝির মতো উঁকি দিয়ে দেখে কুতূহলী-আঁখি মেলে।


‘সাম্পান’-মাঝি খুঁজে ফেরে তোর ভাটিয়ালি গানে কাঁদি,

খুঁজিয়া নাকাল দুধারের খাল – তোর হেরেমের বাঁদি!

হায় ভিখারিনি মেয়ে,

ভুলিলি সবারে, ভুলিলি আপনা দয়িতেরে বুকে পেয়ে!

তোরই মতো নদী আমি নিরবধি কাঁদি রে প্রীতম লাগি,

জন্ম-শিখর বাহিয়া চলেছি তাহারই মিলন মাগি!

যার তরে কাঁদি – ধার করে তারই জোয়ারের লোনা জল

তোর মতো মোর জাগে না রে কভু সাধের কাঁদন-ছল।

আমার অশ্রু একাকী আমার, হয়তো গোপনে রাতে

কাঁদিয়া ভাসাই, ভেসে ভেসে যাই মিলনের মোহানাতে,

আসিয়া সেথায় পুনঃ ফিরে যাই। – তোর মতো সব ভুলে

লুটায়ে পড়ি না – চাহে না যে মোরে তারই রাঙ্গা পদমূলে!

যারে চাই তারে কেবলই এড়াই কেবলই দি তারে ফাঁকি ;

সে যদি ভুলিয়া আঁখি পানে চায় ফিরাইয়া লই আঁখি!

–তার তীরে যবে আসি

অশ্রু-উৎসে পাষাণ চাপিয়া অকারণে শুধু হাসি!

অভিমানে মোর আঁখিজল জমে করকা-বৃষ্টি সম,

যারে চাই তারে আঘাত হানিয়া ফিরে যায় নির্মম!

একা মোর প্রেম ছুটিবে কেবলই নিচু প্রান্তর বেয়ে,

সে কভু ঊর্ধ্বে আসিবে না উঠে আমার পরশ চেয়ে –

চাহি না তাহারে! বুকে চাপা থাকা আমার বুকের ব্যথা,

যে বুক শূন্য নহে মোরে চাহি – হব নাকো ভার সেথা!

সে যদি না ডাকে কী হবে ডুবিয়া ও-গভীর কালো নীরে,

সে হউক সুখী, আমি রচে যাই স্মৃতি-তাজ তার তীরে!

মোর বেদনার মুখে চাপিয়াছি নিতি যে পাষাণ-ভার!

তা দিয়ে রচিব পাষাণ-দেউল সে পাষাণ-দেবতার!


কত স্রোতধারা হারাইছে কূল তার জলে নিরবধি,

আমি হারালাম বালুচরে তার, গোপন-ফাল্গুনদী!

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

নদীপারের মেয়ে (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক) __কাজী নজরুল ইসলাম,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নদীপারের মেয়ে  (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক)

__কাজী নজরুল ইসলাম


নদীপারের মেয়ে!

ভাসাই আমার গানের কমল তোমার পানে চেয়ে।

আলতা-রাঙা পা দুখানি ছুপিয়ে নদী-জলে

ঘাটে বসে চেয়ে আছ আঁধার অস্তাচলে।

নিরুদ্দেশে ভাসিয়ে-দেওয়া আমার কমলখানি

ছোঁয় কি গিয়ে নিত্য সাঁঝে তোমার চরণ, রানি?

  

                       নদীপারের মেয়ে!

গানের গাঙে খুঁজি তোমায় সুরের তরি বেয়ে।

খোঁপায় গুঁজে কনক-চাঁপা, গলায় টগর-মালা,

হেনার গুছি হাতে বেড়াও নদীকূলে বালা।

শুনতে কি পাও আমার তরির তোমায়-চাওয়া গীতি?

ম্লান হয়ে কি যায় ও-চোখে চতুর্দশীর তিথি?

  

                       নদীপারের মেয়ে!

আমার ব্যথার মালঞ্চে ফুল ফোটে তোমায়-চেয়ে।

শীতল নীরে নেয়ে ভোরে ফুলের সাজি হাতে,

রাঙা উষার রাঙা সতিন দাঁড়ায় আঙিনাতে।

তোমার মদির শ্বাসে কি মোর গুলের সুবাস মেশে?

আমার বনের কুসুম তুলি পর কি আর কেশে?

  

                       নদীপারের মেয়ে!

আমার কমল অভিমানের কাঁটায় আছে ছেয়ে!

তোমার সখায় পূজ কি মোর গানের কমল তুলি?

তুলতে সে-ফুল মৃণাল-কাঁটায় বেঁধে কি অঙ্গুলি?

ফুলের বুকে দোলে কাঁটার অভিমানের মালা,

আমার কাঁটার ঘায়ে বোঝ আমার বুকের জ্বালা?

ফেইসবুক থেকে নেওয়া,,, 

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...