এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৪

কফি হাউস’’ ___গৌরি প্রসন্ন মজুমদার (শিল্পী- মান্না দে) ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ‘‘কফি হাউস’’

___গৌরি প্রসন্ন মজুমদার (শিল্পী- মান্না দে)


কফি হাউসের সেই আড্ডাটা

আজ আর নেই

আজ আর নেই।

কোথায় হারিয়ে গেল

সোনালী বিকেলগুলো সেই

আজ আর নেই ।

নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে

নেই তারা আজ কোন খবরে,

গ্র্যাণ্ডের গীটারিস্ট গোয়ানীস ডিসুজা ঘুমিয়ে

আছে যে আজ কবরে,

কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে,

শেষে পাগলা গারদে আছে রমা রায়

অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যানসারে 

জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায় ।

সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে

শুনেছি তো লাখ্ পতি স্বামী তার

 হীরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়া সে

গাড়ীবাড়ী সবকিছু দামী তার।

আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল

বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো

আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে

ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো ।

একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা

চারমিনারটা ঠোঁটে জ্বলতো

কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায়

এই নিয়ে তর্কটা চলতো,

রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক

কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম,

চারটেতে শুরু হয়ে জমিয়ে আড্ডা মেরে

সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম।

কবি কবি চেহারা কাঁধেতেঝোলানো ব্যাগ

মুছে যাবে অমলের নামটা 

একটা কবিতা তার হোল না কোথাও ছাপা

 পেলনা সে প্রতিভার দামটা 

অফিসের সোশালে ‘অ্যামেচার’ নাটকে

 রমা রায় অভিনয় করতো 

কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ

কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো ।

সেই সাত জন নেই আজ

টেবিলটা তবু আছে সতটা পেয়ালা

অজোও খালি নেই 

একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি

শুধু সেই সেদিনের মালী নেই

কত স্বপনের রোদ ওঠে এই কফি হাউসে 

কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়

কত জন এল গেলো কতজনই আস

কফি হাউসটা শুধু থেকে যায় ।

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই

আজ আর নেই

কোথায় হারিয়ে গেল

সোনালী বিকেলগুলো সেই

আজ আর নেই ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪

ক"র গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "ক" ব্যবহার করে এতো দীর্ঘ লেখা। সত্যিই অসাধারণ দক্ষতা।  🙏🏻


পুরোটা পরে দেখুন খুব ভালো লাগবে আপনাদের। 


কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল, "কাকা, কড়ি কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। 

কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।

কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল"?


কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন। 


কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল, _"কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে"?_


কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন, _"কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"।_


সংগৃহীত

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইট রম্য_গল্প😃 ফেইসবুক থেকে নেওয়া রেহানা_পুতুল 

 #থার্টি_ফার্স্ট_নাইট #রম্য_গল্প😃

কলমে #রেহানা_পুতুল 

বছরের শেষরাইত আজকে।বহুত বিতিকিচ্ছিরি কইরা কুলসুম বিবিকে বিছানায় আনলাম। নইলে নাতিপুতি,বউ,পোলা,সংসার সামলিয়ে প্রতিদিন সে ঘুমাইতে আসে রাইত বারোটার পরে। মানে একদিন শেষ  কইরা আরেকদিনের শুরুতে। আমি দরজা বন্ধ করতে গেলেই কুলসুম বিবি হালকা ঝাঁঝে চেঁচিয়ে উঠে কইলো,


এই আফনের হইছে কি? দুয়ারে সিটকিনি দ্যান ক্যা?


আমি নরম গলায় কইলাম,


আইজ তোমার একদিন কি আমার শ্যাষদিন বউ।


চড়ুই পাখির আণ্ডার মতন সে তার আণ্ডামার্কা চোখের সাইজকে আরো বৃহৎ করে কইলো,


আজিব তো! কি হইছে?


আমি শুরু করলাম আমার দুঃখের বয়ান। দেখো খোকার মা, বিয়ের পর থেইকা আইজ অবধি তোমারে কাছে পাইতে আমার যুদ্ধ করা লাগছে। আমি যদি কোন ফেমাস ব্যক্তি হইতাম। এইটা নিয়া কাগজে কলমে লিখালিখি হইতো। তোমারেও সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়তে হইতো। নানান প্রশ্নের উত্তর না দিয়া সারতানা তুমি। 


কুলসুম বিবি গোলগোল চোখে আমার দিকে চাইয়া কইলো,

কি জিগাইতো হেরা আমারে? ফাউল কনকর।


কি জিগাইতো? তারা জিলাপির মতন পেঁচায়া পেঁচায়া ধরতো তোমারে? কইতো,

 আপনার কি অপছন্দের বিয়ে উনার সাথে? 


আপনি স্বইচ্ছায় কখনো উনাকে টাচ করতে দেননা কেন?


আপনি আলাদা বিছানায় ঘুমান কেন? এতে আপনার গুনাহ হচ্ছে জানেন না?


 অন্তরঙ্গ রিলেশনে এত অনীহা কেন আপনার দিক হতে? নাকি মানসিক দূরত্ব ও রয়েছে আপনার পক্ষ হতে? 


 উনি সবসময় ভিলেনের মতো জোর করে আপনার থেকে ভালোবাসা আদায় করতে হয় কেন?


সমস্যাটা আসলে কার? আপনার উনার স্পর্শ ভালোলাগে না? নাকি উনি যুবক বয়সের মতো অতিরিক্ত রোমাঞ্চ  করতে চায় আপনার সঙ্গে? কোনটা? 


থামেন কইলাম, বলে মৃদু ধমক দিলো হেতি আমারে। আমি কইলাম থামাথামির কাম নাই আইজ। আমি এখন তোমার সাংবাদিক। জবাব চাই। না দিলে রক্ষা নাই।

আইচ্ছা খোকার মা, এই আন্ধার রাইতের আসমানরে সাক্ষী কইরা কওতো, 

আমি কি জোর কইরা সাদি করছি তোমারে? 


কুলসুম বিবি চুপ মাইরা আছে। মুখে কোন বুলি ফুটে না। তখন অভিমানে, জিদ্দে, আমার বুক ভাইঙা আসে। আমি কইতে লাগলাম ,  


তুমি নানান অজুহাতে বিয়ার চল্লিশ বছর পার কইরা দিলা। সাদির পর কইতা,

 আমি বালিকা। নরম গাল আমার।আপনের শলার মত দাঁড়ি আমার গালে লাগলে ব্যথা পাই। গাল লাল হয়।সকালে সবাই নানান কথা কয়।আমার শরম লাগে।

👉#রাইটার #রেহানা_পুতুল পেইজে আপনার পছন্দের সব গল্প পেতে প্লিজ ফলো ও লাইক দিয়ে রাখুন।🙏


এই ভুয়া ছুতোয় পাঁচ বছর খাইলা। সবার বালিকা বয়েস শেষ  হয় উনিশে। আর তোমার শেষ হইছে তেইশে। 

মাইনা নিলাম।কারণ তোমার কচি অঙ্গখানি বুকে চাইপা ধরলেও বেশ আরাম পাইতাম। মনে হইতো হাজীর বিরিয়ানি আর কুমিল্লার রসমলাই খাইতাছি।


তারপর শুরু করলা, 

বাচ্চাদের নিয়া রাইত জাগি।ওদের যত্ন নিতে নিতে আমি ক্লান্ত। দয়া কইরা দূরে থাকেন। 


মাইনা নিলাম। কারণ সন্তানদের এতটুকু অযত্ন হউক তা আমিও চাইনাই। তাদের ভালোথাকাটাই আমার ভালো থাকা। এইভাবে আরো কয়েক বছর পার হইলো।


তারা যখন আলাদা শোয়ার মত বড় হইলো।তখন দুজনেই রুমের দরজা খোলা রাখতাম। কারণ তারা যদি রাত জাইগা ভয় পায়।তারা ঘুমালে তোমারে ধরতে গেলে বলতে, 


ওরা এসে পড়বে। এতবছর পর আর কিসের চুমাচুমি,জড়াজড়ি? দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাইবার সুযোগও দাওনি।


আমার যৌবনকাল বৃথা যাওয়ার জন্য তুমিই দায়ী। তবুও মাইনা নিলাম।


 তোমার গলার স্বর তো নয়।যেন মাইক। ধরতে গেলেই চিল্লাইয়া উঠতে। তখন তারা এসো বলত,

কি হইছে আম্মু?আব্বু ঝগড়া করে তোমার সাথে?


তোমার নিরবতায় তারা বুঝে নিতো তাই। এভাবেই নানাভাবেই আমাকে বাঁশ দিয়ে আসছো। নিরবে মাইনা নিতাম। কারণ আমি শান্ত আর শান্তিপ্রিয় মানুষ।


তারপর তারা বড় হওয়ার পর বলতে, 


আপনি এত্ত বেশরম ক্যান?বিয়ের এত বছর হইছে,তবুও বউকে ধরতে চান।বদস্বভাব বদলান। কি ভাববে তারা? 


হুহ।চুপ থাকতাম ছেলেমেয়ে শুনবে বলে।এরপর তাদের বিয়ে হলো। তখন বলতে,


আমার শরীরে নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এসব পিরিত এখন আর ভালো লাগেনা। ছেলে বউ এখন রঙ ঢঙ করবো। সেইখানে আপনে এমন করা মানায়? আক্কেল থাকা লাগে। 


মাইনা নিলাম সম্মানের দিকে তাকাইয়া।


তারপর শুরু হইলো তোমার আরও শত বাহানা। নাতি হইছে। খেয়াল রাখা লাগে। আর আলাদা ঘুমাইতে এই ছুতায়,

আপনে ঘুমাইলে এত জোরে নাক ডাকেন,মনে হয় গ্রামে আমাদের উত্তর পুকুরপাড়ে কেউ করাত দিয়া বাঁশ কাটতাছে।


তোমার নানা বাহানার জাঁতাকলে আমার জীবনের রঙ্গরসের অনুভূতিগুলার কোরবানি হইছে। আইজ মানামানি নাই। একবছর গত হইলো মানে আমার মরনের সময় ঘনায়া আসছে। আমাদের খানদানে সব পুরুষ বউদের আগে মইরা যায়। বেশী আয়ু পায়না।


আইজ তোমার মাক্ষনের মতন গালে চুমা খামুই বলে, কুলসুম বিবিরে ঝাপটাইয়া ধরলাম। মূহুর্তেই হেতি ছোবল মারা সাপের মত ফোঁসফোঁস করতে করতে, 

আআআ...এইটা মাইনষের হাত না লোহা?ছাড়েন কইলাম।


নাতি নাতনিরা দৌড়ে আইসা দরজা ধাক্কা দিতে লাগল। আমি খুইলা দিলাম। তারা চোখ বড় বড় করে জানতে চাইলো,


দাদু কি হইছে? দিদা এমন চিল্লালো কেন?


কুলসুম বিবি চুপ হয়ে আছে। ছেলের বউ এসে ও জানতে চাইলো,

বাবা কোন সমস্যা?


আমি লজ্জায় মরে গেলাম। নিজের বউর দিকে কড়মড় কইরা চাইয়া, 

মনে মনে কইলাম,

বছরের শেষ রাইতেও একটু সুখ পাইতে দিলানা। জীবন আমার প্যাড়াময়। বিরহময়।


খানিকবাদে দেখি একি খোদার কুদরতি। কুলসুম বিবি আমার বুকের সাথে ল্যাপ্টাইয়া আছে। তাকে জড়াইয়া ধইরা কইলাম,


স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার নিদিষ্ট কোন সময় নাই।বয়স নাই। শরম নাই।

সে তারাবাত্তির লাহান একখান ঝলক মারা হাসি দিলো। আমি মনে মনে কইলাম, 

যাক এই মাঝবয়সে আইসা কুলসুম বিবি বুঝল কিছু। আমার বিরহ জীবনের অবসান ঘটিলো বুঝি। 


সঙ্গীর সঙ্গে চলতে জাইনলে, তার আবেগময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়া-পাওয়ার গুরুত্ব দিলে, সকল মাইনষের জীবনটা আসলেই বহুত আনন্দময় ও বহুত শান্তিময় হবে। 

সবাইকে #হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৪🙋‍♀️💚🥀

কপি পেস্ট 

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪

ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প,,,,

 আমি চেয়েছিলাম তুমি হও হুমায়ূন আহমেদের  কোনো এক উপন্যাসের সহজ সরল নায়িকার মতো প্রাণবন্ত। কোন কোন ঘুম না আসা রাত্তিরে তুমি ওপাশ থেকে ফোন করে গান ধরো, যদি মন কাঁদে তুমি ফিরে এসো, ফিরে এসো এক বর্ষায়।


ফাইভস্টার রেস্তোরার দামি ম্যানুর কফির স্বাদ না খুঁজে মাঝেমধ্যে ওই শ্যাঁতশ্যাঁতে হোটেলের সিঙ্গারর গাল ভাঙার আবদার করো। খাওয়া শেষে খুব শক্ত করে হাত চেপে ধরে রিকশায় চড়ে শহর দেখতে দেখতে হয়ে ওঠো চমৎকার প্রেমিকা।


বৃষ্টি হলে শাড়ি চুড়ি পরে চোখে গাঢ় করে কাজল দিয়ে সাজুগুজু করো। চিঠিতে লিখে রাখো বৃষ্টি নামার আনন্দের সংবাদ, চিঠির খামে ভরে রাখো কয়েকফোঁটা বৃষ্টি।


জন্মদিন এলে ওসব চিঠি কুরিয়ার করে পাঠাও সঙ্গে পাঠাও গুনে গুনে বেশ কয়েকটি কদমফুল।


অথচ, অথচ তুমি নিজেকে জড়ালে ওয়েস্টার্ন পোশাকে। আমার প্রাণবন্ত স্নিগ্ধ প্রেমিকা না হয়ে বুকের অন্দরের গোপন ফিতা দেখিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়ে উঠলে নষ্টালজিক এক নারী। নাপিত থেকে মুচি তোমার বুকের সাইজ মেপে তোমাকে প্রশংসায় ভাসায়, ডুবায়, চুবায়। 


আমি খুঁজি প্রেম, তুমি যৌনতা। আমি চাই একটু তোমার কাঁধে মাথা রাখতে, তুমি চাও কামনার আগুনে জ্বলেপুড়ে আঙ্গার হতে। আমার এই সব চাওয়াকে তুমি খেইত্যা বলে উপাধি দাও। তুমি মেনে নাও পৃথিবীর যাবতীয় অশ্লীলতা, অথচ আমাকে বলো লম্পট।


আমি বোধহয় সেইসব খেইত্যা মানুষদের দলে ভিঁড়েছি যাদের এখনও কবিতা পড়লে হৃদয় শূন্য হয়ে আসে, জোছনা দেখলে হতে চায় গৃহত্যাগী, বৃষ্টি দেখলে বিড়াল ছানার মতো প্রিয়তমার বুকে ঢুকে বসে থাকতে চায় চুপচাপ।


আমি বোধহয় সেই-সব খেইত্যা প্রেমিকদের দলের মানুষ যারা শুধু প্রেমিকার প্রেমটুকুই চিনেছে, প্রেমিকার শরীর ছোঁয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


তুমি হয়তো জানো না, শরীর যদি আমায় টানতো তবে আমি পৃথিবীর এক'শো তিরানব্বইটি দেশের নারীর নগ্ন শরীরের দিকে ছুটতাম, তোমাকে কেন্দ্র করে ঘুরতাম না।


লেখা: আরিফ হুসাইন

সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:০২-০১-২০২৪ খ্রি: আজকের শিরোনাম:-

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০২-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ।


অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টাকারী বিএনপিকে ভোটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহবান জানালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনা।


আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী ও দুর্নীতিবাজ বিএনপিকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


সবার অংশগ্রহণে তৈরি হওয়া নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপি সমর্থকরাও  যোগ দিয়েছে - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।


শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের ছয় মাসের কারাদণ্ড।


সারাদেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বই উৎসব উদযাপিত - বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেল প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী।


জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি।


অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা।

 সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:০১-০১-২০২৪ খ্রি: আজকের শিরোনাম:-

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০১-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:-


কালের গর্ভে হারিয়ে গেল ২০২৩- নতুন আশা – আকাংখা নিয়ে ২০২৪ কে স্বাগত জানালো বিশ্ববাসী, দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


সরকার দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় – বিনামূল্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


আসন্ন নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিলেন সিইসি।


সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার পর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বিএনপি - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীরাও শামিল হয়েছে এবং তারা নৌকায় ভোট দেবে - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


নগরীতে মেট্রোরেলের শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।


লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলার চেষ্টাকালে কমপক্ষে ১০ জন হুথি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে মার্কিন বাহিনী।

মুসা  (আঃ) একদিন আল্লাহর সাথে কথা বলার,,,, গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

মুসা (আঃ) একদিন আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য তুর পাহাড়ের কাছে যাচ্ছেন।যাবার পথে একটা হরিণের সাথে দেখা।হরিণ মুসা (আঃ) কে ডেকে বলেন আমি জানি তুমি আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারো।এরপর  যখন আল্লাহর সাথে কথা বলবে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর আল্লাহর কাছে থেকে জেনে নিও তো।মুসা (আঃ) হরিণকে বলল কি প্রশ্ন?


হরিণ বলল অনেক দিন হলো আমাদের বনে বৃষ্টি হয়না।আল্লাহর সাথে কথা বলে জেনে নিও তো কবে নাগাদ বৃষ্টি হতে পারে।মুসা (আঃ) বলল আচ্ছা ঠিক আছে আমি উত্তর জেনে আসবো।


মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে আল্লাহকে প্রশ্ন করলো আচ্ছা বনের পশুরা সব মারা যাচ্ছে পানির অভাবে বৃষ্টি কবে দিবে?তখন আল্লাহ বলল আগামী ১০০ বছর বৃষ্টির কোন প্ল্যান নাই,অই বনে ১০০ বছর পর বৃষ্টি হবে।


এই কথা শুনে মুসা (আঃ) এর মন খারাপ হয়ে গেলো।সে আর কোন কথা না বলে চলে আসলো।সে আসতে আসতে ভাবছে এই কথা হরিণকে কিভাবে বলবো তাই সে একটু চোরের মতো করে পালানোর চেষ্টা করছে যেন হরিণের সাথে দেখা না হয়।কিন্তু হরিণ ঠিক  সামনে দাঁড়িয়ে আছে।হরিণ জিজ্ঞেস করলো কি উত্তর দিল আমার আল্লাহ।তখন মুসা  (আঃ) বলছে যা বলেছে তা শোনার মতো না।তখন হরিণ বলল আল্লাহ কি বলেছে সেটাই বল তোমাকে তো বানাই বলতে বলছিনা।মুসা (আঃ) বললো আগামী ১০০ বছর এই বনে বৃষ্টি হবে না ১০০ বছর পর বৃষ্টি হবে।হরিণ এই কথা শুনেই বললো আলহামদুলিল্লাহ...


মুসা (আঃ) হরিণের আলহামদুলিল্লাহ শুনে রাগে বললো ১০০ বছর তুমি বেঁচে থাকবে তোমার বংশের কেও বেঁচে থাকবে আলহামদুলিল্লাহ বললে কেন।তখন হরিণ বললো তুমি এত ভাবতে যেও না মুসা (আঃ)। আমার আল্লাহর চাইতে তোমার মায়া আমার উপর বেশি না।আমার আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন।


কিছুক্ষণ পর আকাশে মেঘ করে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো।সারা বন বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলো।সব কিছু থেকে হাহাকার মিটে গেলো...


পরের দিন মুসা (আ) আল্লাহর কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে আল্লাহকে একটু রাগান্বিত ভাবে জিজ্ঞেস করলো তুমি কালকে বললে আগামী ১০০ বছর বৃষ্টি হবেনা।আবার কালকেই বৃষ্টি দিয়ে দিলে এটা কেমন হলো।তখন আল্লাহ বললো মুসা (আঃ) আমার প্ল্যান ঠিক ছিলো আমার সিডিউলে আগামী ১০০ বছর বৃষ্টির কোন পরিকল্পনা ছিলনা। কিন্তু হরিণের আমার প্রতি বিশ্বাসের জন্য আমি এতো খুশি হয়েছি যে আমার সিডিউল পরিবর্তন করে ১০০ বছর পরের বৃষ্টি আমি আজকেই দিয়ে দিলাম..

জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন।

কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল।

কৃষি কাজে , ভারী জিনিস বহনে ও নিত্যদিনের চলা ফেরায় ঘোড়াটিকে তিনি ব্যবহার করতেন।


একদিন ঘোড়াটি হারিয়ে গেলো। তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না।


কৃষকের স্ত্রীর খুব মন খারাপ।কিন্তু কৃষক লোকটির কোন অস্থিরতা নেই। তার কোন আফসোস নেই।

হারিয়ে যাওয়া ঘোড়ার জন্য তার কোন দুঃচিন্তা নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছুই যেন হারায়নি।


আসে পাশের প্রতিবেশীরা এসে বললো,

"তোমার কি দুর্ভাগ্য ! একটা মাত্র ঘোড়া তাও হারিয়ে গেলো "


এই কথা শুনে কৃষক লোকটি একটু মৃদু হেসে বললো , "হতে পারে "


তার কিছুদিন পর ঘোড়াটি আবার কৃষকের বাড়ি ফিরে আসলো এবং তার সাথে আরোও তিনটি বন্য ঘোড়া।


কৃষকের বাড়িতে অনেক আনন্দ।


শুধু হারানো ঘোড়া ফিরে আসেনি , তার সাথে আবার আরোও তিনটা ঘোড়া।


প্রতিবেশীরা আবার দেখতে আসলো , সবাই লোকটিকে বলতে থাকলো ,

"তোমার কি সৌভাগ্য , হারানো ঘোড়া ফিরে পেয়েছো সেই সাথে আবার তিনটা বাড়তি ঘোড়া "


কৃষক আগের মতই হাসি মুখে বললো , "হতে পারে"


দুই দিন পর কৃষকের একমাত্র ছেলে একটা বন্য ঘোড়ায় চড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

এবং পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে।


এই খবর শুনে প্রতিবেশীরা এসে খুবই আফসোস করলো।

কৃষককে দুঃখ করে বললো ,

"এমন করে ছেলের পা ভেঙে গেলো , সত্যিই বড় দুর্ভাগ্য ! "


কথা শুনে কৃষক লোকটি মুচকি হেসে বললো , "হতে পারে"


পরদিনই কৃষকের বাড়িতে রাজার সৈন্যরা এসে হাজির।

যুদ্ধের জন্য তারা গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছে।


কিন্তু কৃষকের ছেলের ভাঙা পা দেখে তাকে না নিয়েই চলে গেলো।


এইবার প্রতিবেশিরা এসে সবাই বললো ,

"তোমারতো দেখছি অনেক বড় সৌভাগ্য , ছেলেকে আর যুদ্ধে গিয়ে মরতে হবে না "


মৃদু হেসে কৃষকের একই উত্তর , "হতে পারে "


বৃদ্ধ কৃষকই ঠিক। এক জীবনে ভালো -মন্দ সবকিছুকেই মেনে নিতে হয়।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ! ___কাজী নজরুল ইসলাম পয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ! 

___কাজী নজরুল ইসলাম


স্বাধীনতা হারাইয়া আমরা যখন আত্মশক্তিতে অবিশ্বাসী হইয়া পড়িলাম এবং আকাশমুখো হইয়া কোন্ অজানা পাষাণ-দেবতাকে লক্ষ করিয়া কেবলই কান্না জুড়িয়া দিলাম, তখন কবির কণ্ঠে আশার বাণী দৈব-বাণীর মতোই দিকে দিকে বিঘোষিত হইল, ‘গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ’!’ বাস্তবিক আজ আমরা অধীন হইয়াছি বলিয়া চিরকালই যে অধীন হইয়া থাকিব, এরূপ কোনো কথা নাই। কাহাকেও কেহ কখনও চিরদিন অধীন করিয়া রাখিতে পারে নাই, কারণ ইহা প্রকৃতির নিয়ম-বিরুদ্ধ। প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া কেহ কখনও জয়ী হইতে পারে না। আজ যাহারা স্বাধীন হইয়া নিজের অধীনতার কথা ভুলিয়া অন্যকেও আবার অধীনতার জাঁতায় পিষ্ট করিতেছে, তাহারাও চিরকাল স্বাধীন ছিল না। শক্তি লাভ করিয়া যাহারা শক্তির এমন অপব্যবহার করিতেছে, কে জানে প্রকৃতি তাহাদের এই অপরাধের পরিণাম কত নির্মম হইয়া লিখিয়া রাখিয়াছে! ‘এয়সা দিন নেহি রহেগা’, চিরদিন কারুর সমান যায় না। আজ যে কপর্দকহীন ফকির, কাল তাহার পক্ষে বাদশাহ্ হওয়া কিছুই বিচিত্র নয়। অত্যাচারীকে অত্যাচারের প্রতিফল ভোগ করিতেই হইবে। আজ আমি যাহার উপর প্রভুত্ব করিয়া তাহার প্রকৃতি-দত্ত স্বাধীনতা, মনুষ্যত্ব ও সম্মানকে হনন করিতেছি, কাল যে সে-ই আমারই মাথায় পদাঘাত করিবে না, তাহা কে বলিতে পারে? শক্তি সম্পদের ন্যায্য ব্যবহারেই বৃদ্ধি, অন্যায় অপচয়ে তাহার লয়।


অন্যকে কষ্ট দিয়ে তাহার ‘আহা-দিল’ নিতে নাই, বেদনাতুরের আন্তরিক প্রার্থনায় আল্লার আরশ টলিয়া যায়। শক্তির অপব্যবহারের জন্য রোম-সাম্রাজ্য গেল, জার্মানির মতো মহাশক্তিরও পরাজয় হইল। কত উত্থান, কত পতন এই ভারত দেখিয়াছে, দেখিতেছে এবং দেখিবে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিবেক সর্বদাই মানবের পশুশক্তিকে সতর্ক করিতেছে। বিবেকের ক্ষমতা অসীম। যাহারা পশুশক্তির ব্যবহার করিয়া বাহিরে এত দুর্বার দুর্জয়, অন্তরে তাহারা বিবেকের দংশনে তেমনই ক্ষত-বিক্ষত, অতি দীন। তাহারা তাহাদের অন্তরের নীচতায় নিজেই মরিয়া যাইতেছে, শুধু লোক-লজ্জায় তাহাকে দাম্ভিকতার মুখোশ পরাইয়া রাখিয়াছে। সিংহের চামড়ার মধ্য হইতে লুকানো গর্দভ-মূর্তি বাহির হইয়া পড়িবেই। নীল শৃগালের ধূর্তামি বেশি দিন টিকিবে না। তাই বলিতেছিলাম, বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই। আজ যখন সমস্ত বিশ্ব মুক্তির জন্য, শৃঙ্খল ছিঁড়িবার জন্য উন্মাদের মতো সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিতেছে, স্বাধীনতা-যজ্ঞের হোমানলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা দলে দলে আসিয়া নিজের হৃৎপিণ্ড উপড়াইয়া দিতেছে, তাহাদের মুখে শুধু এক বুলি, ‘মুক্তি-মুক্তি-মুক্তি’। হস্তে তাহাদের মুক্তির নিশান – মুখে তাহাদের মুক্তির বিষাণ, শিয়রে তাহাদের মুক্তির তৃপ্তি-ভরা মহা-গৌরবময় মৃত্যু। – তখনও মুক্তির সেই যুগান্তরের নবযুগেও, আমরা কিনা পলে পলে দাসত্বের, মনুষ্যত্বহীন আত্মসম্মানশূন্য ঘৃণ্য কাপুরুষের মতো অধোদিকেই গড়াইয়া চলিতেছি! এতদূর নীচ হইয়া গিয়াছি আমরা যে, কেহ এই কথা বলিলে উল্টো আবার কোমর বাঁধিয়া তাহার সঙ্গে তর্ক জুড়িয়া দিই। আমাদের এই তর্কের সবচেয়ে সাধারণ সূত্র হইতেছে, দাসত্ব – গোলামি ছাড়িয়া দিলে খাইব কী করিয়া? কী নীচ প্রশ্ন! যেন আমাদের শুধু কুকুর-বিড়ালের মতো উদর-পূর্তির জন্যই জন্ম! এমন নীচ অন্তঃকরণ লইয়া যাহারা বেহায়ার মতো বেহুদা তর্ক করিতে আসে, তাহাদের উপর খোদার বজ্র কেন যে ভাঙিয়া পড়ে না, তাহা বলিতে পারি না! আজ সারা বিশ্ব যখন ও-রকম মরার মতো বাঁচিয়া থাকার চেয়ে মরিয়া মুক্তিলাভের জন্য প্রাণ লইয়া ছিনিমিনি খেলিতেছে, তখনও আমাদের এইরকম হৃদয়হীনতার, গোলামি মনের পরিচয় দিতে এতটুকু লজ্জা হয় না! বড়োই দুঃখে তাই বলিতে হয়, ‘এ অভাগা দেশের বুকে বজ্র হানো প্রভু, যদ্দিনে না ভাঙছে মোহ-ভার।’ আমাদের এই মোহ-ভার ভাঙিবে কে? এ-শৃঙ্খল মোচন করিবে কে? আছে, উত্তর আছে, এবং তাহা, ‘আমরাই!’ নির্বোধ মেষযূথের মতো এক স্থানে জড়ো হইয়া শুধু মাথাটা লুকাইয়া থাকিলে নেকড়ে বাঘের হিংস্র আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইব না, তাহা হইলে আমাদের ওই নেকড়ে বাঘের মতো করিয়া কান ধরিয়া টানিয়া লইয়া গিয়া হত্যা করিবে।


দেশের পক্ষ হইতে আহ্বান আসিতেছে, কিন্তু কাজে আমরা কেহই সাড়া দিতে পারিতেছি না। অনেকে আবার বলেন যে, অন্যে কে কী করিতেছে আগে দেখাও, তার পর আমাদিগকে বলিয়ো। এই প্রশ্ন ফাঁকিবাজের প্রশ্ন। দেশমাতা সকলকে আহ্বান করিয়াছেন, যাহার বিবেক আছে, কর্তব্য জ্ঞান আছে, মনুষ্যত্ব আছে, সে-ই বুক বাড়াইয়া আগাইয়া যাইবে। তোমার কী নিজের ব্যক্তিত্ব নাই যে, কে কী করিল আগে দেখিয়া তবে তুমি তার পিছু পিছু পোঁ ধরিবে? নেতা কে? বিবেকই তো তোমার নেতা, কর্তব্য-জ্ঞানই তো তোমার নেতা! দেশনায়ক যাঁহারা, তাঁহারা তো তোমার নেতা, তোমার বিবেকেরই প্রতিধ্বনি করেন। কর্তব্য-জ্ঞানের কাছে, ত্যাগের কাছে সম্ভব-অসম্ভব কিছুই নাই। সুতরাং ‘উহা সম্ভব, ইহা অসম্ভব’ বলিয়া, ছেলেমানুষি করাও আর এক বোকামি। যাহা সম্ভব তাহা করিবার জন্য তোমার ডাক পড়িত কী জন্য? অসম্ভব বলিয়াই তো দেশ তোমার বলিদান চাহিয়াছে। স্বার্থের গণ্ডি না পারাইয়া ভিক্ষা দেওয়া যায়, ত্যাগ বা বলিদান দেওয়া যায় না। তোমার যতটুকু শক্তি আছে প্রয়োগ করো, দেশের কাছে, খোদার কাছে অসংকোচে দাঁড়াইবার পাথেয় সঞ্চয় করো, তোমার বিবেকের কাছে তুমি অগাধ শান্তি পাইবে! ইহাই তোমার পুরস্কার। অন্যে জাহান্নামে যাইবে বলিয়া কী তুমিও তার পিছু-পিছু সেখানে যাইবে?


আজ আমাদের শুধু ক্লান্তি, – শুধু শ্রান্তি কেন? ‘এমন করে কদ্দিন খাবি’ না গোলেমালে যদ্দিন যায় করে আর কতদিন চলিবে? আমরা আমাদের দেশের জন্য, মুক্তির জন্য কি দুঃখদৈন্যকে বরণ করিয়া লইতে পারিব না? ত্যাগ, বিসর্জন, উৎসর্গ, বলিদান ছাড়া কি কখনও কোনো দেশ উদ্ধার হইয়াছে, না হইতে পারে? স্বার্থত্যাগ করিতে হইলে দুঃখকষ্ট সহ্য করিতেই হইবে, ত্যাগ কখনও আরাম-কেদারায় শুইয়া হয় না। কিন্তু ওই দুঃখকষ্ট, ইহা তো বাহিরে; একটা সত্য মহান পবিত্র কার্য করিতে গেলে যে আত্মতৃপ্তি অনুভব করা যায়, অন্তরে যে-ভাস্বর স্নিগ্ধ দীপ্তির উদয় হইয়া সকল দেহমন আলোয় আলোকময় করিয়া দেয়, সারা দেশের ভাইদের বোনদের যে প্রশংসাভরা স্নেহকল্যাণময় অশ্রুকাতর দৃষ্টি ও সারা মুক্ত বিশ্বে সাবাসি পাওয়া যায়, তাহা এই বাহিরের দুঃখকষ্টকে কী ঢাকিয়া দিতে পারে না? কার মূল্য বেশি? বাহিরের এই নগণ্য দুঃখকষ্টের, না অন্তরের স্বর্গীয় তৃপ্তির? তুমি কী চাও? – কুকুর-বিড়ালের মতো ঘৃণ্য-মরা মরিতে, না মানুষের মতো মরিয়া অমর হইতে? তুমি কী চাও? – শৃঙ্খল, না স্বাধীনতা? তুমি কী চাও? – তোমাকে লোকে মানুষের মতো ভক্তিশ্রদ্ধা করুক, না পা-চাটা কুকুরের মতো মুখে লাথি মারুক? তুমি কী চাও? – উষ্ণীষ-মস্তকে উন্নত-শীর্ষ হইয়া বুক ফুলাইয়া দাঁড়াইয়া পুরুষের মতো গৌরব-দৃষ্টিতে অসংকোচে তাকাইতে, না নাঙ্গা শিরে প্রভুর শ্রীপাদপদ্ম মস্তকে ধারণ করিয়া কুব্জপৃষ্ঠে গোলামের মতো অবনত হইয়া হুজুরির মতলবে শরমে চক্ষু নত করিয়া থাকিতে? যদি এই শেষের দিকটাই তোমার লক্ষ্য হয়, তবে তুমি জাহান্নামে যাও! তোমার সারমেয়গোষ্ঠী লইয়া খাও দাও আর পা চাটো! আর যাহারা ত্যাগকে বরণ করিয়া লইতে পারিবে, যাহার ঘরে মুখ মলিন দেখিয়া গলিয়া যাইবে না, যাহাদের জান দিবার মতো গোর্দা আছে, আঘাত সহিবার মতো বুকের পাটা আছে, তাহারা বাহির হইয়া আইস! দেশমাতার দক্ষিণ হস্ত, আর কল্যাণ-মন্ত্রপূত অশ্রু-পুষ্প তোমাদেরই মাথায় ঝরিয়া পড়িবার জন্য উন্মুখ হইয়া রহিয়াছে। আমরা চাই লাঞ্ছনার চন্দনে আমাদের উলঙ্গ-অঙ্গ অনুলিপ্ত করিতে। কল্যাণের মৃত্যুঞ্জয় কবচ আমাদের বাহুতে উষ্ণীষে বাঁধা, ভয় কী? মনে পড়ে, সেদিন দেশমাতার আহ্বান নিয়া মাতা সরলাদেবী বাঙালার কন্যারূপে পাঞ্জাব হইতে সাহায্য চাহিতে আসিয়াছিলেন। কে কে সাড়া দিলে এ-জাগ্রত মহা-আহ্বানে? এমন ডাকেও যদি সাড়া না দাও,তবে জানিব তোমরা মরিয়াছ। বৃথাই এ-আহ্বান এ-ক্রন্দন তোমার, মা! যদি পার, সঞ্জীবনী সুধা লইয়া আইসো তোমার এ মরা সন্তান বাঁচাইতে। যদি তাহা না পার, তবে ইহাদিগকে ধুতুরার বীজ খাওয়াইয়া পাগলা করিয়া দাও। ইহাতে তাহারা ‘মানুষের মতো’ জাগিবে না, কিন্তু তবু জাগিবে! জানি, কুপুত্র অনেকে হয়, কুমাতা কখনও নয়, কিন্তু আর এমন করিয়া স্নেহের প্রশ্রয় দিলে চলিবে না, মা, এখন তোমাকে কুমাতা হইতে হইবে, তোমাকেই আঘাত দিয়া আমাদের জাগাইতে হইবে। আমরা পরের আঘাত চোখ বুজিয়া সহ্য করি কিন্তু স্বজনের আঘাত সইতে পারি না। তাই আর শুধু ডাকাডাকিতে কোনো ফল হইবে না। তোমার রুদ্রমূর্তি দিকে দিকে প্রকটিত হউক। যদিই এই রুদ্র ভীষণতার মধ্যে রণ-চণ্ডীর মহামারির মধ্যে, আমাদের মনুষ্যত্ব জাগে, যদি আঘাত খাইয়া খাইয়া অপমানিত হইয়া আবার আমরা জাগি, তাই আবার বলিতেছি, তোমরাও সাথে সাথে বলো,


গেছে দেশ দুঃখ নাই,

আবার তোরা মানুষ হ!

প্রবন্ধ - যুগবানী

পোয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে 

সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

বাঁচতে হলে জানতে হবে। মিনিকেট চালের ভাত গরমকালেও অনেকক্ষণ ভালো থাকে! আহারে! কত ভালো চাল! তাইনা? ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একটি বিশেষ সতর্কতা মূলক পোষ্ট।


বাঁচতে হলে জানতে হবে। মিনিকেট চালের ভাত গরমকালেও অনেকক্ষণ ভালো থাকে! আহারে! কত ভালো চাল! তাইনা?


আসুন জেনে নিই আসলেই কি আমরা ভালো চাল খাচ্ছি?নাকি আবর্জনা?


❌ মিনিকেট নামে কোন ধান চাষ হয়না বাংলাদেশে। 

তাহলে, এই চাল বাজারে আসে কোথা থেকে- এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, মিনিকেট চাল তৈরী হয় কারখানায়।


🌾দেশী জাতের ধান (মোটা চালের) চালকলে আসার পর শুরু হয় তেলেসমাতি। প্রথমে ধানের খোসা ছাড়ান হয়। খোসা ছাড়ানোর পর চালের অকৃত্রিম/ন্যাচারাল রঙে কিছুটা খয়েরি/বাদামি আভা থাকে। এরপর কেমিক্যাল ও হোয়াইটনার মেশিনের মাধ্যমে চালের খয়েরি/বাদামি আভার আবরণটিকে আলাদা করা হয়। এই আবরণটি বাদ দেওয়ার পর চাল কিছুটা সরু ও সাদা হয়। এখানেই শেষ নয়, পলিশার মেশিনের মাধ্যমে পলিশ করলেই হয়ে গেল মিনিকেট চাল।


🗣️এবার প্রশ্নের তীর তাক করে কেউ বলতেই পারেন- মোটা চালকে এতোভাবে প্রসেস করে মিনিকেট বানালে তো চাল ব্যবসায়ীর ক্ষতি। 

এবার ক্ষতির হিসেবটা করা যাক- ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানালে সাধারণত চাল পাওয়া যায় ৯৩৩কেজি, সাদা খুদ ২৬.৫ কেজি, কালো খুদ ১৪কেজি, মরা চাল ৪.৫ কেজি, ময়লা ০.৭৫ কেজি এবং পলিশ ২৭ কেজি। যোগ করলে দেখা যায় এক হাজার কেজি চাল প্রসেস করার পর পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬কেজি বেশী। 

এই ছয় কেজি হচ্ছে জলীয় বাষ্প ও পানি। রাইস ব্রান তেল কারখানাগুলো পলিশ কিনে নেয়, সাদা খুদ বাজারে চালের অর্ধেক দামে বিক্রি হয়। কালো খুদ আর মরা চাল পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। ভাবছেন চাল প্রসেসের খরচ কত? ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানাতে খরচ হয় মাত্র ৯০০টাকা হতে ১৫০০টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৯০পয়সা থেকে দেড় টাকা।


🤔মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানিয়ে বিক্রেতা একটু বেশী লাভ করলে ক্রেতার ক্ষতি কি? 

ছোট ক্ষতি হচ্ছে ক্রেতা চিকন চালের দামে মোটা চাল কিনছেন, অর্থাৎ কেজিতে ১৫থেকে ২০টাকা পর্যন্ত ঠকছেন। বড় ক্ষতি হলো কেজিতে ১৫ থেকে ২০টাকা বেশী দিয়ে মিনিকেট চাল নয়, ক্রেতা কিনছেন মোটা চালের আবর্জনা। কারণ, প্রসেস করার মাধ্যমে চালের উপরি আবরণ (bran অর্থাৎ pericarp, seed coat, aleurone layer, embryo) বা পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, চালের সর্বমোট ৮৫ ভাগ ভিটামিন B3 থাকে pericarp–এ, প্রোটিন আর ফ্যাট থাকে Aleurone layer -এ, খনিজের ৫১ ভাগ ও মোট আঁশের ৮০ ভাগ থাকে bran –এ, ভিটামিন B1 ও ভিটামিন E থাকে embryo -তে। চালের সব পুষ্টিকর উপাদান তেলের মিলে বিক্রির জন্য প্রসেস করে আলাদা করার পর চাল আর চাল থাকেনা, হয়ে যায় চালের আবর্জনা।


❌ মিনিকেট চাল নামে চালের আবর্জনাকে যতোটা ক্ষতিকর মনে করছেন বাস্তবে আরও বেশী ক্ষতিকর। মোটা চালকে মিনিকেটে রূপান্তর করার বিভিন্ন পর্যায়ে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড + টুথপেস্ট +এরারুটের মিশ্রণ, সোয়াবিন তেল, ফিটকারি, বরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়। প্রতি মৌসুমেই বের হয় নিত্য নতুন কৌশল।


❌ মিনিকেট চালে কখনো পোকা ধরেনা। কারণ পোকাও জানে এই চাল খাওয়ার যোগ্য নয়, এতে পুষ্টিগুণ নেই। 

অথচ দেখতে সুন্দর এই অখাদ্যকে আমি আপনি আমাদের পরিবার কে নিশ্চিন্তে খাওয়াচ্ছি এবং নিজেরাও খাচ্ছি! 

কিন্তু কেন!?😕


✨শুধু চাল নয়, এমন আরও হাজারো অখাদ্য, আবর্জনা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি জেনে- না জেনে আর তার ফলাফল স্বরূপ ভুগতে হচ্ছে কঠিন কঠিন রোগে সেই সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি এক ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনব্যবস্থা! 

হিসেব টা মেলানো খুবই সহজ, বাড়িতে কোনো মুরব্বী থাকলে একটু জেনে নিতে হবে আগেকার দিনে তারা কেমন খাবার খেয়ে জীবন যাপন করেছে আর তাদের রোগ বালাই কেমন ছিলো এবং তাদের চিকিৎসা-ই বা কেমন ছিলো।

আজকের দিনে আমরা হাজারো নিত্য নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আর নিত্য নতুন ঔষধ সেবন করে চলেছি যা একটা রোগকে ঠিক করে আরো শত রোগের জন্ম দিচ্ছে আমাদের শরীরে। এ যেনো এক চোরাবালির মধ্যে ডুবে আছি আমরা।


"সুস্বাস্থ্য যেমন

সকল সুখের মূল, 

ঠিক তেমন

স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্বাস্থের মূল।"


 (সংগৃহীত)

রিপোস্ট

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...