এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪

জাপানের একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশনের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জাপানের একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র এক ছাত্রীর জন্য এখনও চালু রয়েছে। যাতে সে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে।সারা দিনে ওই একটি ট্রেন তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেয় এবং বিকেলে তাঁকে ফের ওই জনহীন স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়।🥀


হ্যা এটাই নিহোন (জাপান)


জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের একদম উত্তর প্রান্তে রয়েছে কামি শিরাতাকি স্টেশন। নিতান্তই অজ পাড়া-গাঁ বলতে যা বোঝায় অনেকটা তাই। যাতায়াতের জন্য অন্যান্য মাধ্যম থাকায় রেলপথে কেউই খুব একটা কোথাও যাওয়া-আসা করেন না। এ কারণেই রেল দপ্তর ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু পরিদর্শকরা তখন লক্ষ করেন, একটি মেয়ে সারা বছর ট্রেন ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। ট্রেন না চললে তাঁর স্কুলে পৌঁছতে খুবই কষ্ট হবে। তাই ওই ছাত্রীর জন্যই একটি গোটা স্টেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।🥀


শুধু তাই নয়, মেয়েটি যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে তার জন্য ট্রেনের টাইমও পাল্টে দেওয়া হয়। সারা দিনে ওই একটি ট্রেন তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেয় এবং বিকেলে তাঁকে ফের ওই জনহীন স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়। রেল দপ্তর এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যত দিন না মেয়েটি স্নাতক হচ্ছে, তত দিন এই ট্রেন পরিষেবা চালু রাখা হবে।☺️🥀

Collected.....

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

স্ত্রী সহবাসের পর তৎক্ষণাৎ গোসল এবং কিছু ভুল ধারণা,,,,,,,,,, দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ উপায় ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 স্ত্রী সহবাসের পর তৎক্ষণাৎ গোসল এবং কিছু ভুল ধারণা

▬▬▬◖◯◗▬▬▬

প্রশ্ন: সহবাস এর পরপরই কি গোসল করতে হবে? যদি ভুল বশত: না করা হয় তাহলে উপায় কি?


উত্তর:


নিম্নে প্রশ্নটির উত্তর প্রদান করা হল। পাশাপশি তুলে ধরা হল, সমাজে প্রচলিত সহবাস পরবর্তী কতিপয় কুসংস্কার ও ভুল ধারণা:


◉◉ গোসল ফরজ হলে সালাতের পূর্ব পর্যন্ত গোসল বিলম্ব করা জায়েজ আছে:


স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ ইত্যাদির কারণে গোসল ফরজ হলে তৎক্ষণাৎ গোসল করা আবশ্যক নয়। বরং ঘুম, ব্যস্ততা বা প্রয়োজনে বিলম্ব করা জায়েজ আছে। এ মর্মে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন:


 ➧ ১) হাদিসে এসেছে:


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ لَقِيَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ جُنُبٌ فَانْسَلَّ فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ فَتَفَقَّدَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ ‏"‏ أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقِيتَنِي وَأَنَا جُنُبٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ حَتَّى أَغْتَسِلَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لاَ يَنْجُسُ ‏"‏ ‏.‏


আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি একবার মদিনার কোন এক রাস্তায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ পেলেন। তিনি (আবু হুরায়রা রা.) তখন অপবিত্র অবস্থায় ছিলেন। এই কারণে তিনি আস্তে করে পাশ কেটে চলে গেলেন এবং গোসল করলেন। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তালাশ করলেন। পরে তিনি এলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন: আবু হুরায়রা, তুমি কোথায় ছিলে? 

তিনি বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, আপনার সঙ্গে যখন আমার সাক্ষাৎ হয় তখন আমি অপবিত্র অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি গোসল না করে আপনার সাথে উঠবস করাকে অপছন্দ করেছি। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “সুবহানাল্লাহ! মুমিন তো অপবিত্র হয় না।” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম। সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর/৭১০ অধ্যায়ঃ ৩/ হায়েজ)


 হাদিসের বক্তব্য: “মুমিন তো অপবিত্র হয় না" এর অর্থ হল, মুমিন অভ্যন্তরিণভাবে কখনো নাপাক হয় না। বাহ্যিকভাবে শরীরে নাপাকি লাগলে শরীর নাপাক হয় কিন্তু তার মধ্যে ঈমান থাকায় অভ্যন্তরিণভাবে সে পবিত্র থাকে (জীবিত ও মৃত সর্বাবস্থায়)। পক্ষান্তরে কাফির বাহ্যিকভাবে যদি পরিষ্কারও থাকে তবে ঈমান না থাকার কারণে সে অভ্যন্তরিণভাবে নাপাক।


ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন:

فيه جواز تأخير الاغتسال عن أول وجوبه

“এ হাদিসে গোসল ফরজ হওয়ার পর তা বিলম্ব করার বৈধতা পাওয়া যায়।” (সহিহ বুখারির ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারী)


➧ ২) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, 

عن غضيف بن الحارث، قال: قلت لعائشة: أكان النبي صلى الله عليه وسلم يغتسل قبل أن ينام؟ وينام قبل أن يغتسل؟ قالت: نعم. قلت: الحمد لله الذي جعل في الأمر سعة

গাযীফ ইবনুল হারিস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি আয়েশা রা. কে প্রশ্ন করলাম, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি ঘুমের পূর্বে গোসল করতেন অথবা গোসলের পূর্বে ঘুমাতেন? 

তিনি বললেন: হ্যাঁ। 

আমি বললাম: আল হামদু লিল্লাহ-সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি বিষয়টিতে ছাড় রেখেছেন। (সহিহ আবু দাউদ, হা/২২৬)


➧ ৩) এ ছাড়াও সহিহ সনদে প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সহবাসের পর শরীর নাপাক অবস্থায় রমাযান মাসে ভোর রাতে সেহরি খেয়েছেন। তারপর ফজরের আজান হলে গোসল করে মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য গেছেন। যেমন:


- উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত,

ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺣﻠﻢ، ﻓﻴﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ .

“রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় (অর্থাৎ স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নাপাক অবস্থায়) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজর হয়ে যেত। অত:পর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন।” (সহিহ বুখারি, হা/১৮২৯, মুসলিম, হা/ ১১০৯)।


-  স্ত্রী উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. বর্ণনা করেন:

ﻛﺎﻥ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﺃﻫﻠﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ.

“সহবাসের ফলে নাপাক অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজর করে ফেলতেন। অত:পর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন।” (সহিহ বুখারি, হা/ ১৯২৬)


আর এ কথা ঠিক যে, তিনি ভোর রাতে সেহরি খেতেন এবং তার উম্মতকে সেহরি খেতে উৎসাহিত করেছেন। এখান থেকে বুঝা যায়, তিনি ভোর রাতে নাপাক অবস্থায় (গোসলের পূর্বে) রোজার জন্য সেহরি খেয়েছেন। তারপর ফজর উদিত হলে গোসল করে সালাতে গেছেন।


উল্লেখ্য যে, একটি হাদিসে এসেছে: “যে ঘরে জুনুবি ব্যক্তি (গোসল ফরজ হয়েছে এমন নাপাক ব্যক্তি) এবং কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।” এই হাদিসটি মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে জইফ বা দুর্বল। তবে যে ঘরে কুকুর আছে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ মর্মে অন্য একটি সহিহ হাদিস রয়েছে।


- সালাতের সময় হলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করার পর সালাত আদায় করা আবশ্যক। কেননা সালাতের জন্য পাক-পবিত্রতা অর্জন করা পূর্বশর্ত।


◉◉ স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করতে বিলম্ব করলে ওজু করা মুস্তাহাব:


  স্ত্রী সহবাসের পর কেউ ইচ্ছে করলে তৎক্ষণাৎ গোসল করে নিতে পারে আবার ইচ্ছে করলে বিলম্বও করতে পারে। বিলম্ব করতে চাইলে অজু করে নেওয়া উত্তম। 


 ➧ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

في الصحيحين أن عمر استفتى رسول الله صلى الله عليه وسلم: أينام أحدنا وهو جنب؟ قال: "نعم، إذا توضأ".

ওমর রা. রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করলেন, শরীর নাপাক অবস্থায় কি কেউ ঘুমাতে পারে?

তিনি বললেন: “হ্যাঁ, যদি অজু করে।”  (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

 قال ابن عبد البر: ذهب الجمهور إلى أنه ـ أي: الأمر بالوضوء للجنب الذي يريد 

النوم - للاستحباب

“ইবনে আব্দুল বার বলেন, জুমহুর তথা অধিকাংশ আলেম এই মত ব্যক্ত করেছেন যে, যে জুনুবি (নাপাক) ব্যক্তি ঘুমাতে চায় তার জন্য ওজু করার নির্দেশ টি মুস্তাহাব পর্যায়ের।”


◉◉ সহবাসের পর গোসল করা সম্পর্কে কতিপয় ভুল ধারণা ও ভিত্তিহীন কথা:


১. সহবাসের সাথে সাথেই গোসল করতে হবে; নয়তো গুনাহ হবে।

২. সহবাস করে গোসলের পূর্বে মাটিতে পা রাখা যাবে না। অন্যথায় মাটি বদ দুআ করবে এবং অভিশাপ দিবে!

৩. সহবাস করার পর গোসলের পূর্বে কোন কিছুতে হাত দেয়া যাবে না। এই অবস্থায় কোন কিছুতে হাত দিলে তা অপবিত্র হয়ে যাবে!

৪. এ অবস্থায় রান্না-বান্না করলে বাড়ি থেকে লক্ষ্মী চলে যাবে। (এটি স্পষ্ট শিরক)।

৫. গোসলের পূর্বে হাতে কিছু নিয়ে দরজা ধরতে হবে।

৬. নাপাক অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না।

৭. এ অবস্থায় রান্না-বান্না করা যাবে না।

৮. ঘর-বাড়ি ঝাড়ু দেয়া যাবে না।

৯. সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো যাবে না।

১০. অবস্থায় দুআ-তসবিহ, জিকির-আজকার পাঠ করা যাবে না। 

এ সবই কুরআন-সুন্নাহ বর্হিভূত ভুল ধারণা ও বাতিল কথা। ইসলামে এ সব কথার কোন ভিত্তি নাই।

আল্লাহ আমাদেরকে দীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ দান করুন এবং সর্ব প্রকার বাতিল ও কুসংস্কার থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

আল্লাহু আলাম।


➤ সংযুক্তি:


অনেকে প্রশ্ন করে যে, নাপাক অবস্থায় যদি মারা যায় তাহলে কি গুনাহগার হবে?

উত্তর: যেহেতু সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস বা স্বপ্নদোষ জনিত কারণ, হায়েজ, নেফাস ইত্যাদি শরিয়ত সম্মত কারণে নাপাক হয়েছিল এবং ইসলাম প্রদত্ত সুযোগ থাকার কারণে গোসল করতে বিলম্ব করেছিল সেহেতু গোসলের পূর্বেই যদি মৃত্যুবরণ করেও ইনশাআল্লাহ তাতে তার কোন গুনাহ হবে না।

এক্ষেত্রে দাফনের পূর্বে তাকে যে গোসল দেওয়া হবে সেটি তার নাপাকি এবং দাফন উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে: হানজালা রা. এবং হামজা বিন আব্দুল মোতালিব রা. নাপাক অবস্থায় যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়েছিলেন।

আল্লাহু আলাম।

▬▬▬✪◯✪▬▬▬

উত্তর প্রদানে:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব



দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ উপায় ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত


(সত্তর হাজার ফেরেশতার ক্ষমাপ্রার্থনা ও শাহাদাতের মর্যাদা লাভের আমল)


 اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْـعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ


(তিনবার)


এরপর ১বার বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়ে


সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত: (১বার) পড়া


هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ إِلَّا هُوَج عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ إِلَّا هُوَج اَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَآءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُالْحَكِيْمُ


অর্থ: তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞানী; তিনিই পরম করুণাময়, অতিশয় দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনিই বাদশাহ্, মহাপবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে আল্লাহ পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, ¯্রষ্টা, উদ্ভাবক, আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ; আসমান ও জমিনে যা আছে সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


ফযীলত: যে ব্যক্তি সকালে তিনবার আ‘উ-যু বিল্লা-হিস্ সামী-‘ইল ‘আলী-মি মিনাশ্ শাইত্ব-নির রজী-ম, পাঠ করার পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা গুনাহ মাফের দু‘আ করবে। আবার সন্ধ্যায় পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা গুনাহ মাফের দু‘আ করবে এবং সে ঐ দিন মারা গেলে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ২৯২২)

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

যে পাঁচ রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়না,,,,,,  ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 হযরত ইবনে উমর (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, ৫ রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। 


১. জুমার রজনী 

২. রজবের প্রথম রজনী 

৩. মধ্য শাবানের রজনী 

৪. ঈদুল ফিতরের রজনী 

৫. ঈদুল আজহার রজনী


(মুসান্নাফে আব্দুল রাজ্জাক, হাদিস নং: ৭৯২৭ । ইমাম বায়হাকী সুনানে কুবরায় হযরত আবু দারদাহ (রা:) সুত্রে একই হাদিস বর্ণনা করেন, হাদিস নং ৬০৮৭ । ইমাম শাফেয়ী (রা:) "কিতাব আল উম" এ সংবাদ পৌছেছে মর্মে হাদিসটি বর্ণনা করেন)


রজব মাস প্রবেশ করলে প্রিয় নবীজি ﷺ এই দোয়াটি পাঠ করতেন, 


اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ


উচ্চারণ: “আল্ল-হুম্মা বা-রিক লানা ফী রজাবা ওয়া শা'বানা ও বাল্লিগনা রমাদন।”

অর্থ: “হে আল্লাহ তুমি রজব ও শাবানে আমাদেরকে বরকত দাও। আর আমাদেরকে রামাদ্বান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দাও।”


(মুসনাদ আহমাদ ১/২৫৯, ইমাম বায়হাকী- শুয়াবুল ঈমান হাদিস নং ৩৫৩৪, ইমাম তারবানী- আল আউছাত হাদিস নং ৩৯৩৯)





যে পাঁচ রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়না,,,,,,  ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

রানার – সুকান্ত ভট্টাচার্য ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রানার

– সুকান্ত ভট্টাচার্য


রানার ছুটেছে তাই ঝুম্‌ঝুম্ ঘন্টা বাজছে রাতে

রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে,

রানার চলেছে, রানার !

রাত্রির পথে পথে চলে কোনো নিষেধ জানে না মানার ।

দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার-

কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।


রানার! রানার!

জানা-অজানার

বোঝা আজ তার কাঁধে,

বোঝাই জাহাজ রানার চলেছে চিঠি আর সংবাদে;

রানার চলেছে, বুঝি ভোর হয় হয়,

আরো জোরে, আরো জোরে হে রানার দু্র্বার দুর্জয়।

তার জীবনের স্বপ্নের মতো পিছে সরে যায় বন,

আরো পথ, আরো পথ – বুঝি লাল হয় ও পূর্ব কোণ ।

অবাক রাতের তারারা, আকাশে মিট্‌মিট্ করে চায়;

কেমন করে এ রানার সবেগে হরিণের মতো যায় !

কত গ্রাম, কত পথ যায় স’রে স’রে –

শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে;

হাতে লন্ঠন করে ঠন্‌ঠন্, জোনাকিরা দেয় আলো

মাভৈঃ রানার ! এখনো রাতের কালো ।

এমনি ক’রেই জীবনের বহু বছরকে পিছু ফেলে,

পৃথিবীর বোঝা ক্ষুধিত রানার পৌঁছে দিয়েছে ‘মেলে’।

ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে

জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে।

অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, অভিমানে, আনুরাগে,

ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে।

রানার! রানার!

এ বোঝা টানার দিন কবে শেষ হবে?


রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে?

ঘরেতে অভাব; পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া,

পিঠেতে টাকার বোঝা, তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া,

রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও রানার ছোটে,

দস্যুর ভয়, তারো চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।

কত চিঠি লেখে লোকে –

কত সুখে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে, কত দুঃখে ও শোকে ।

এর দুঃখের চিঠি পড়বে না জানি কেউ কোনো দিনও,

এর জীবনের দুঃখ কেবল জানবে পথের তৃণ,

এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ শহরে ও গ্রামে,

এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে।

দরদে তারার চোখ কাঁপে মিটিমিটি, –

এ-কে যে ভোরের আকাশ পাঠাবে সহানুভূতির চিঠি –

রানার ! রানার ! কি হবে এ বোঝা বয়ে?

কি হবে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে?

রানার ! রানার ! ভোর তো হয়েছে – আকাশ হয়েছে লাল

আলোর স্পর্শে কবে কেটে যাবে এই দুঃখের কাল?

রানার! গ্রামের রানার!

সময় হয়েছে নতুন খবর আনার;

শপথের চিঠি নিয়ে চলো আজ

       ভীরুতা পিছনে ফেলে –

পৌঁছে দাও এ নতুন খবর,

       অগ্রগতির ‘মেলে’,

দেখা দেবে বুঝি প্রভাত এখুনি –

       নেই, দেরি নেই আর,

ছুটে চলো, ছুটে চলো আরো বেগে

       দুর্দম, হে রানার ॥

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪

আধুনিক চুলার বিজ্ঞাপন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 প্রশ্ন 👉প্রতি মাসে কি পরিমান লাকড়ি খরচ হবে?


উত্তর ✅ছোট ফ্যামিলি হলে মাসে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০ টাকার লাকড়ি খরচ হবে বড় ফ্যামিলি হলে সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার লাকড়ি খরচ হবে


প্রশ্ন 👉 কি দিয়ে তৈরি?


উত্তর ✅ অরিজিনাল(SS) দ্বারা তৈরি তাই এটি টেকসই ও মজবুত


প্রশ্ন 👉 কত দিনের ওয়ারেন্টি?


উত্তর ✅ চুলার বডিতে তিন বছরের ওয়ারেন্টি পাবেন,

কম্বাসন চেম্বার,চার্জার ও ফ্যানে ৬ মাসের ওয়ারেন্টি পাবেন 


প্রশ্ন 👉 চুলাতে ধোঁয়া তৈরি হয় কি???


উত্তর ✅ সাধারণত লাকড়ির চুলাতে ধোঁয়া তৈরি হয় অক্সিজেনের অভাবে আর আমাদের চুলাতে একটি কুলিং ফ্যান সেটিং করা আছে ফ্যানের বাতাসের মাধ্যমে বার্নারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি করে ফলে কোনো ধোঁয়া হয় না এবং আগুনের তাপ বহুগুণে বেড়ে যায় তবে পাতিলের তলায় কালি হবে , 


প্রশ্ন 👉এই চুলা ব্যবহার করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় কি???


উত্তর ✅ এটা মূলত লাকড়ির চুলা লাকড়ির মাধ্যমেই চলবে তবে চুলাতে মিনি একটা ফ্যান সেটিং করা আছে এই ফ্যানটা চালানোর জন্য আমরা রিচার্জেবল ব্যাটারি ফ্রি দিয়ে দিচ্ছি অতএব আপনি এই ব্যাটারির সাহায্যেই ফ্যানটা চালাতে পারবেন

তবে আপনি চাইলে বিদ্যুৎ,সোলার,পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদির সাহায্যেও ফ্যানটা চালাতে পারবেন,ফ্যানটা বিদ্যুতের সাহায্যে চালালে মাসে সর্বোচ্চ 20 টাকার মত বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে 


প্রশ্ন 👉 ফ্ল্যাট বাসায় ব্যবহার করা যাবে???


উত্তর ✅ লাকড়ি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব লাকড়ির চুলা তাই ফ্ল্যাট বাসাসহ যে কোন জায়গায় ইউজ করতে পারবেন রান্না ঘরে কোন রকমের কোন কালি হবে না ইনশাআল্লাহ 


প্রশ্ন 👉 আপনারা কি ধরনের চুলা বিক্রি করেন???


উত্তর ✅ বাসা বাড়ির জন্য সিঙ্গেল ও ডাবল চুলা সহ মাদ্রাসা ও রেস্টুরেন্টের জন্য সাইজ অনুযায়ী চুলা বানিয়ে দেওয়া হয়


প্রশ্ন 👉 এই চুলা ব্যবহার করে মানুষ উপকৃত হচ্ছে এর কোন প্রমাণ আছে কি???


উত্তর ✅ এই চুলা ব্যবহার করে মানুষ উপকৃত হচ্ছে মর্মে অনেক রিভিউ আছে আলহামদুলিল্লাহ রিভিউ দেখতে ইনবক্সে নক দিতে পারেন


প্রশ্ন 👉 লাকড়ি পুরে কয়লা হয়ে থেকে যায় নাকি ছাইয়ে রূপান্তরিত হয়???


উত্তর ✅ কাঠকে জ্বালিয়ে শেষ করে ফলে উল্লেখযোগ্য ছাই হয় না এবং স্বাভাবিক চুলা থেকে দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলতে সহায়তা করে ও আগুনের তাপমাত্রা বেশি থাকে যার কারনে রান্না খুব দ্রুত হয়। এটাতে কাঠ বা শক্ত জাতীয় লাকড়ি ব্যবহার করতে হয়, তাই এর সাথে থাকা ছোট ফ্যানের বাতাসে জ্বালানি কে কয়লায় রূপান্তর করে এবং জ্বলন্ত কয়লায় বাতাস লাগার কারণে ধীরে ধীরে কয়লা শেষ হয়ে ছাইয়ে রূপান্তরিত হয়,ছাই বা উচ্ছিষ্ট সহজেই বার্ণার উঠিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারবেন।


প্রশ্ন👉 শুধু খুচরা বিক্রি করেন নাকি পাইকারি ও বিক্রি করেন???


উত্তর✅ আমরা খুচরা ও পাইকারি উভয় ভাবেই বিক্রি করে থাকি এবং নতুন উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়ে থাকি আলহামদুলিল্লাহ


🖐️বিশেষ দ্রষ্টব্য: সর্বনিম্ন ৫ পিস চুলা অর্ডার করলেই পাবেন পাইকারি রেটে ইনশাআল্লাহ 


মুফতি আবুল হাশেম

পরিচালক:আলহেরা বালিকা মাদ্রাসা

ইমাম ও খতিব:বায়তুল আমান জামে মসজিদ

 স্বত্বাধিকারী Alhera safe chalk stove 


☎️01862969952 ব্যবস্থাপনা পরিচালক

☎️01637153629 ম্যানেজার 

☎️01734430730

 ফোনে না পেলে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিবেন প্লিজ

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নামাজের সময় কেউ ফোন দেবেন না প্লিজ 🙏 আসুন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করি



এই বাংলার শিক্ষক মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা,,,,,, ফেইসবুক মুহিন রায় থেকে নেওয়া

 ⭕ এই বাংলার শিক্ষক

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা। 


হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে  বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, স্যার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?


তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন  তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি। 


সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহা, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?" 


হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।


বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে  শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে 

বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের  ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো;


ম‌নে আছে স্যার,

একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে  আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি।  সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার  চাই। অতপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি  চুরি করি।

কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে  আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।

হ‌্যাঁ আপনার বার্তা শু‌নেও  আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লে‌াভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি  সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।

আমরা সবাই  আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।

আপনি  এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে  আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তুু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ। 

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে  তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য  আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ  আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে  চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন। 

সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি।  তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে  সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও  মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে। 

সা‌বেক ছা‌ত্রের  কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তুু  আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও  বন্ধ ছিল।


সংগৃহীত।

ফেইসবুক মুহিন রায় থেকে নেওয়া 



স্ট্রবেরি চাষের সতর্কতা,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

❏ স্ট্রবেরি চাষের সতর্কতা

☞ শিকড়

৯৯% লোক সবথেকে একটা বড় ভুল করে বসে, যেটা হল – গাছের ক্রাউন অংশটি মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে স্ট্রবেরি গাছের শিকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না। ৭০% শিকড়, মাটির উপরিভাগ থেকে মাত্র তিন ইঞ্চির মধ্যেই থাকে। তাই বেশি নজর দিতে হবে টবের এই অংশেই।


লক্ষ রাখবেন- টবের উপরিভাগ অতিরিক্ত শুকনো বা বসে না যায়, মাটি যেনো ঝুরঝুরে থাকে। আবার বেশি জল দিলেই শিকড় পচে যাবে, তাই টবের জল নিকাশি ব্যাবস্থা ঠিক রাখতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে জল দিলেই হবে। এই গাছের শিকড় আলো বাতাস খেতে ভালোবাসে, তাই টবের উপরিভাগে জল জমতে দেওয়া যাবে না।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 



 ছিলে না তুমি ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

 জানো নিরু তুমি কিন্তু বিয়ের আগেই আমার আমানত অন্য কাউকে দিয়েছিলে,

এটার জানার পর ও আমি তোমার সাথে আজ ২০বছর একই ছাদের নিচে কাটিয়েছি...!


নিরুপমা অবাক হয়নাহ, সে জানে তার স্বামী জানতো,  জেনেও তার কাছে কোনোদিন জানতে চায়নি কিছুই..!


তোমার মনে প্রশ্ন আসেনাহ নিরু? আমি কেনো এটা জেনেও তোমার সাথে এতো বছর সংসার করলাম..!

এমনকি এমন কোনোদিন কাটেনি আমি তোমায় ভালোবাসা অনুভব করাইনি! তোমার অভিযোগ এর স্বীকার ও হলাম না।


স্বামীর কথায় নিরুপমা চায়ের কাপে আরেকটা চুমুক বসালো,


ওদিকে, সাহিল অধির আগ্রহে প্রিয়তমা স্ত্রীর পানে চেয়ে আছে, তার আগ্রহ নিয়ে...!


অর্ধেক চা পান করে নিরুপমা এবার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,


আমি যখন বাবাকে জানাই আমি একজনকে ভালোবাসি,.!

ওইদিন বাবা আমায় কিছু না বললেন না, কেননা জানতেন আমি কোনোকিছু বললে ওটা পাওয়ার জন্য কতোটা জেদ নিজের মাঝে আমি জমিয়ে রাখি।


বাবা ভেবেছিলো আমাকে কিছু না জানিয়ে হয়তো বিয়ে দিয়ে দিলে আর ৫টা মেয়ের মতোন আমিও মেনে নিবো সব।


তাই আমাকে কোনো কিছু না বলেই আপনার সাথে বিয়ে টা ঠিক করে নিলো,


বিয়ের ২ঘন্টা আগেও জানতাম না আজ আমার বিয়ে, জানলে হয়তো বাড়ি থেকে কবেই পালিয়ে যেতাম।

নিজের মন নয় শুধু দেহ টাও যে তার নামে করে ফেলেছি সে খবর বাবাকে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা।


বাবা তো.! কি করে বলি? 


অন্ধকার নেমে এলো যেন, আপনার সাথে বলার সুযোগ হলোনা একটি বার যে আমি একজনকে ভালোবাসি..!


বিয়ের পর রাতেই আমাকে আপনার সাথে পাঠানো হলো চিটাগাং ..!


কে জানতো এই আশা আমায় এমনভাবে আনবে আমি আর কোনোদিন কুমিল্লাতে ফিরতে পারবোনা!


জানেন আমি আপনাকে মেনে নিতে পারিনি! হয়তো আজ ও কোনোদিন যদি সুযোগ হয় আমি এই সংসার ধর্ম ছেড়ে পালাবো..!


যাকে ভালোবেসেছিলাম এতো, তাকে মুছতে হয়তো আজ ও পারিনি..!

শুধু ইচ্ছে জাগে তার আমাকে মনে পড়ে?

নাকি স্বার্থবাদী পুরুষের খাতায় নাম লিখে সেও আমায় মুছে নিয়েছিলো?


যদি তা না হয়, কই খোজ করতে এলোনা তো? অথচ আমায় ছাড়া তার দিন কাটতোনা।

আর আজ ২০বছর কেটে গেলো?


নিরুপমা হাসে, এই হাসি হয়তো জীবনের প্রতি তার পাওয়া তাচ্ছিল্যের হাসি....!!


সাহিল নিরুপমার চশমা পড়া চোখের কোণের পানি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে,


আর মনে মনে বলে,

তোমার প্রেমিক তোমায় খুঁজেনি কে বলল নিরু?

সে তোমায় খুজতে আসেনি!

বরং তোমার সাথে তার করা কিছু বাজে ছবি আমায় আর তোমার বাবাকে দেখিয়ে তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো।


যার আচঁ যেন তোমার গায়ে না পড়ে তাইতো আজ ২০টা বছর এই বুকে আগলে রেখে দিয়েছি।

কুমিল্লার গন্ধ তোমার নাকে আসতে দিয়নি।


আমি চাইনা আমার প্রিয়তমার ক>লংক তার হৃদয়ে দাগ কাটুক।

আমি বরং তাকে অন্ধকারে রেখেই আমার আলো দিয়ে যাবো ভালোবেসে....!

ছিলে না তুমি ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী- পর্ব- ৩০ পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী- পর্ব- ৩০
পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল-
বাংলা সাহিত্যে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর সাহিত্যে এককভাবে কোনো বিশেষ ধর্মের প্রভাব ছিল না। ব্যক্তিজীবনেও নজরুলের মধ্যে ধর্মীয় উদারতা লক্ষণীয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগে তাঁকে কোনো বিশেষ ধর্ম-গোষ্ঠীর কবি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। ‘তিনি বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের কবি’—নজরুলকে নিয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গি এসেছে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠারও বেশ পরে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপর শাসকগোষ্ঠীর কাছে বিদ্রোহী কবির মূল্যায়ন ছিল ভিন্ন রকম।
১৯৪৭-এর আগস্টে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়, কাজী নজরুল ইসলাম সে সময় অসুস্থ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী ভারতে অবস্থান করছিলেন। বেশ কিছু উন্নতমানের ইসলামি কবিতা ও গান রচনা করলেও ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের বিষয়ে খুব একটা যত্নবান ছিলেন নজরুল—এমন প্রমাণ মেলে না। তিনি বিয়ে করেছিলেন হিন্দু নারীকে, ফলে তাঁর পরিবারে খুব নিষ্ঠভাবে ধর্মের চর্চা ছিল—এটা বলা কঠিন। অন্যদিকে, কবি প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে কমিউনিস্ট রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯২৬ সালে পূর্ববঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চ পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন-প্রত্যাশী হয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। স্বভাবত, এ দুই কারণে স্বাধীনতার পরপর পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকেরা নজরুলকে খুব একটা পছন্দ করেননি। উল্লেখ করা যেতে পারে, এ সময়ের প্রায় সব জ্যেষ্ঠ আমলা ছিলেন অবাঙালি। ফলে নজরুল এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তাঁদের সম্যক ধারণা না থাকা অসম্ভব নয়।
কিন্তু পরবর্তীকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছে। রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ও জনপ্রিয়তাকে খাটো বা প্রতিহত করার জন্য পাকিস্তানিদের কাছে এ সময় আদরণীয় হয়ে ওঠেন নজরুল। বলা ভালো, এ সময় নজরুলের ইসলামি গান-কবিতাসহ তাঁর বিচিত্র রকম সৃষ্টির চর্চাও শুরু হয় জোরেশোরে। একই সঙ্গে আরম্ভ হয় নজরুলকে ‘সাচ্চা মুসলমান’ হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস।
তবে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম দিকে কীভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছিল নজরুলকে, অবাঙালি পাকিস্তানি আমলাদের কাছে কেমনভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন তিনি, সেটি বোঝা যাবে নিচের সরকারি নথিতে থাকা দুই ঘটনা থেকে। ইংরেজি ভাষায় দুটি ঘটনাই লেখা রয়েছে সরকারি নথিতে। বর্তমানে নথিগুলো জাতীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষিত আছে।
প্রথম ঘটনা
১৯৫০ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগ ‘ফুলার রোড’-এর নাম ‘কবি নজরুল অ্যাভিনিউ’-এ পরিবর্তন করার একটি প্রস্তাব নোটশিটের মাধ্যমে উত্থাপন করে। নোটশিট থেকে বোঝা যায়, প্রস্তাবটি সিবি অ্যান্ড আই (কনস্ট্রাকশন, বিল্ডিং অ্যান্ড ইরিগেশন) বিভাগ থেকে ১৯৫০-এর জুলাই বা তারও আগে উত্থাপন করা হয়। সিবি অ্যান্ড আই বিভাগের কোনো নথি নোটশিটে সংযুক্ত না থাকায় বোঝা যায় না যে কেন এবং কখন এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নোটশিটের প্রথমেই স্বরাষ্ট্র বিভাগের সূত্রপাতকারী কর্মকর্তা নিচের কারণগুলো উল্লেখ করে ফুলার রোডের নাম নজরুল অ্যাভিনিউ হিসেবে পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন:
১. কবি এখনো বেঁচে আছেন।
২. তিনি কখনো পাকিস্তানে আসা এবং এখানে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। এখনো তিনি আধা হিন্দু (গুজবে জানা যায়) জীবনযাপন-পদ্ধতি অব্যাহত রেখেছেন।
৩. যদি প্রস্তাবটি কার্যকর করা হয়, তবে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টির সুযোগ বা যুক্তি সৃষ্টি হবে এই কারণে যে, একটি ইসলামিক রাষ্ট্র এমন একজন মানুষকে সম্মানিত করেছে, যে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছায় অ-ইসলামিক জীবনযাপন বেছে নিয়েছে।’
এরপর স্বরাষ্ট্র বিভাগের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ১৯৫০-এর ৩ সেপ্টেম্বর নিচের মতামত দেন:
‘যদি ফুলার রোডের নাম পরিবর্তন করা হয়, তবে তা হওয়া উচিত এমন একজনের নামে, যিনি মুসলমান ও পাকিস্তানের প্রীতি ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। কবি হিসেবে তিনি [নজরুল] যাঁদের প্রীতি অর্জন করেছেন, তাঁরা ব্যতীত এই প্রদেশের সাধারণ মানুষ তাঁর [নজরুল] প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তাই প্রস্তাবটিতে স্বরাষ্ট্র বিভাগ সম্মতি দিতে পারে না। যদি তাঁর নাম এই প্রদেশের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হয়, তবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম বিবেচনায় আনার পর তা করা উচিত।’
নোটশিটের শেষে ৩ অক্টোবর পূর্ব বাংলা সরকারের উপসচিব ডি কে পাওয়ার নিম্নোক্ত মতামত দেন:
‘সড়কের নাম পরিবর্তন অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগ যোগ্য কর্তৃপক্ষ নয়। যত দূর জানি, এই ক্ষমতা যে সড়কের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের ওপর এককভাবে ন্যস্ত—সাধারণভাবে পৌরসভা। কিন্তু এইচ অ্যান্ড এলএসজি বিভাগের পাতা ৩-এ প্রদত্ত নোট দেখে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে এই বিষয়টি সিবি অ্যান্ড আই বিভাগের আওতাধীন। যাহোক, যেহেতু সিবি অ্যান্ড আই বিভাগ আমাদের মতামত চেয়েছে, তাই তাদের বিবেচনার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সুপারিশ দাখিল করলাম।
‘অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কাজী নজরুল ইসলাম এ সময়ের সবচেয়ে খ্যাতিমান মুসলিম কবি, যিনি বাংলায় [সাহিত্য] রচনা করেছেন। তাঁর জীবনের কিছু সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাঁর নামে সড়ক নামকরণের বিরুদ্ধে হাজির করা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর কোনো অন্তরঙ্গ সম্পৃক্ততা নেই। উপরন্তু তিনি বসবাস করছেন ভারতে। তথাপি সম্ভবত এই সরকার তাঁর জন্য কিছু ভাতা বরাদ্দ করেছে। আমি অনুমান করি, কিছু বছর ধরে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন। আমার ধারণা, মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে তিনি এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছেন এবং আংশিক হলেও ইসলামি জীবনযাপন পরিত্যাগ করেছেন। তাই তাঁর নামে সড়কের নামকরণ হলে, কোনো বিশেষ গোষ্ঠী থেকে এই অজুহাতে বাধা আসতে পারে যে তিনি পাকিস্তান নামের ইসলামি রাষ্ট্র থেকে এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন, যেহেতু পাকিস্তানের কীর্তিমান সন্তানদের এখনো স্মরণীয় করা হয়নি। তাই এই পরিকল্পনাটি পরিত্যাগ করাই হবে অধিক নিরাপদ—এটাই আমাদের সুপারিশ।
‘যাহোক, যদি সম্মিলিত মতামত প্রস্তাবের পক্ষে যায়, তবে রাজনৈতিক নয়, বরং ভাষাতত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি নিচের মন্তব্যটি পেশ করব। “নজরুল ইসলাম” নামটির একটি অর্থ (অন্যান্য মুসলমান নামের মতো) ও ধর্মীয় তাৎপর্য আছে। তাই এর অংশ মাত্র—যেভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে—ব্যবহার করা আপত্তিকর মনে হবে। আমি আরবি-বিশারদ নই, তবে মনে হয়, আমি সঠিক যদি বলি “নজরুল” অর্থ “দৃষ্টিশক্তি”, “দৃষ্টিগোচরতা” এবং এর সঙ্গে সামান্য ব্যাপ্তি ঘটালে মানে দাঁড়ায় “ইসলামের শোভাময় দৃষ্টিগোচরতা” বা “মহিমা”। “উল” শব্দের পরপরই থেমে যাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক হবে এবং অ্যাভিনিউয়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটালে তা আরও উদ্ভট মনে হবে, যদি না কেউ ভুলে যায় যে এই নামের একটি স্বকীয় অর্থ আছে।
‘শেষে আমি এই কথাই বলব, যদি সড়ক নামকরণের মাধ্যমে আমরা জাতীয় বীরদের স্মরণীয় করতে চাই, তবে আমাদের সেসব সড়ক নির্বাচিত করতে হবে, যেগুলোর ইতিমধ্যে নামকরণ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের নামে, যাঁদের পাকিস্তানে স্মরণীয় করা উচিত হবে না।
‘আমি ঢাকা শহরে “সুভাষ অ্যাভিনিউ”-এর চিন্তা করছি এবং সম্ভবত অন্যান্য পৌরসভায়ও এ ধরনের আরও অনেকে আছেন, বিশেষ করে দেশভাগের আগে যে এলাকাগুলোতে অমুসলিমদের সংখ্যাধিক্য ছিল।’
এরপর নথিটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ১৯৫০ সালের ৮ নভেম্বর মহাফেজখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ঘটনা
১৯৫১ সালের প্রথমার্ধে নজরুল ইসলামের সাহায্যার্থে দিনাজপুরে ‘নজরুল এইড কমিটি’ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৮৯ টাকা ৮ আনা সংগ্রহ হয়। কমিটি সংগৃহীত টাকা কলকাতায় বসবাসরত কবিকে পাঠানোর কোনো বৈধ পথ না পেয়ে দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিএম) শরণাপন্ন হয়। ১৯৫১ সালের ২৭ জুন ডিএম পত্র মারফত পূর্ব বাংলা সরকারের স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেন। ডিএম পত্রে উল্লেখ করেন যে বর্ণিত অর্থ কমিটির সভাপতির নিকট গচ্ছিত রয়েছে। মুদ্রা বিনিময়ের জটিলতার কারণে তা কবির কাছে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র বিভাগকে যত দ্রুত সম্ভব কবির কাছে অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র বিভাগ ১১ জুলাই একটি নোটশিটের সূত্রপাত করে। সূত্রপাতকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন:
‘এটি বোঝা গেল না যে হিন্দুস্থানের একজন বিশেষ ব্যক্তির ত্রাণের জন্য কেন পাকিস্তানিরা অর্থ প্রেরণ করবে, যখন শত শত মুসলিম পিয়ন এর চেয়েও অত্যধিক দুর্বিষহ অবস্থায় তাদের দিন কাটাচ্ছে। ডিএমের পত্রটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য অর্থনৈতিক বিভাগে প্রেরণ করা যেতে পারে এবং ডিএমকে অবহিত করা যেতে পারে।’
এরপর প্রায় পাঁচ মাস গত হয়ে গেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর আসেনি। ইতিমধ্যে কমিটি বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিনাজপুরে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার স্থানীয় সাব-এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, কবির কলকাতার ঠিকানা দিলে তাদের ঢাকা অফিসের মাধ্যমে এই টাকা কবিকে পৌঁছে দেওয়া যাবে। ২৭ নভেম্বর ডিএম আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে কবির ঠিকানা জানতে চান। ঠিকানা না পাওয়া গেলে অগত্যা এই টাকা কী করা হবে, চিঠিতে সেই পরামর্শও চাওয়া হয়।
আগের নোটশিট ও দিনাজপুরের ডিএমের দ্বিতীয় চিঠিতে প্রদত্ত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র বিভাগ ৮ ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি চিঠি দেয়। ডেপুটি হাইকমিশনার কবির ঠিকানা (১৬ রাজেন্দ্র লাল স্ট্রিট, টপ ফ্লোর, কলকাতা-৬) সংগ্রহ করে ২৮ ডিসেম্বর জানিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র বিভাগকে। তারপর ১৯৫২-এর জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র বিভাগ দিনাজপুরের ডিএমকে কবির ঠিকানা দেয়। এরপর কী ঘটেছিল, তার কোনো উল্লেখ নথিতে আর পাওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র- : পাকিস্তানিদের চোখে নজরুল
লিখক-  মুহম্মদ লুৎফুল হক
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা ২০শে মে ২০১৬, প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণ

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...