এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

বারমাসি ও হাইব্রিট ২১ প্রকার বীজ প্যাকেজ,,,,,,,,,,, অরন্য সিড ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🪴 বারমাসি ও হাইব্রিট ২১ প্রকার বীজ প্যাকেজ  🪴

👉দামঃ২৬০ টাকা,ডেলিভারী চার্জ ফ্রী.


🪴৯৮% বিশুদ্ধতা,জার্মিনেট রেটঃ ৯০%🪴


👉যারা অনলাইন থেকে বীজ কিনে বার বার প্রতারিত হয়েছে। তাদের জন্য এই অফার।


🪴আপনাদের জন্য যা যা আছে🪴


০১)🌲Hybrid🌲বারমাসি বুলেট মরিচ (ভারত মাতা)-১০টি বীজ।


০২)🌲Hybrid)🌲ক্যাপসিকাম (গ্রীণ/ইয়োলো/রেড/মালিক সীডস/Lifeng সীড)-১০টি বীজ।


০৩)🌲Hybrid+Variety🌲বারমাসি মিস্টি কুমড়া (সুইট কিং/মায়াবী/লাল তীর)-১০ টি বীজ।


০৪)🌲Hybrid🌲বার মাসি টমেটো (গুরু ইন্ডিয়ান/মহাবীর)-১০ টি বীজ।


০৫)🌲Hybrid+Variety🌲বারমাসি লাউ (হাজারী) - ১০ টি বীজ।


০৬)🌲Hybrid+🌲বার মাসি ধুন্দুল(আর্তি /মালিক সীডস/সুন্দরী) ৩ পিস।


০৭)🌲Hybrid🌲মরক্কো ধনিয়া পাতা (সুগন্ধী সুপার গ্রীণ)-১০+ বীজ।


০৮)🌲Hybrid🌲সাদা বেগুন বারমাসি -০৫ পিস।


০৯)🌲Variety🌲 শসা (গ্রীণ বার্ডস/মালিক সীডস)-১০ পিস।


১০)🌲Variety🌲 করলা(টিয়া/টিয়া সুপার /মালিক সীডস-৪+৬=১০ টি বীজ।


১১)🌲Hybrid🌲বারমাসি বেগুন প্রীতম(মালিক সীডস/লাল তীর)-১০ টি বীজ।


১২)🌲Hybrid🌲বেগুন (Black Ball/Green Ball/দেবগিরি/মালিক সীডস-১০ টি বীজ।


১৩)🌲Hybrid🌲মরিচ (নন্দীনী / বিজয় প্লাস/জেনিথ সীডস/মল্লিকা সীডস)-১০ টি বীজ।


১৪)🌲Variety🌲 ডেড়শ (সুপার সুমি/ইস্পাহানি/এ সি আই)-২০টি বীজ।


১৫)🌲বরবটি লং গ্রীণ🌲(ইস্পাহানী/এ সি আই/মালিক সীডস)-১০ পিস।


১৬))🌲Variety🌲 জালি(জালি রাজ/ইস্পাহানী/বুলেট/সুপার কুইন/এ সি আই)-১০ টি বীজ।


১৭)বারমাসি পেপে (টেস্টি/রেড লেডি / গ্রীণ লেডি/দেবগিরি)-২০টি বীজ।


১৮)পেয়াজ (লাল তীর/তাহেরপুরী)-৩০+ বীজ।


১৯)পুই শাক -২০+ টি বীজ । 


২০) ধুন্দুল সুন্দরী  (/মালিক সীডস/সুন্দরী)-১০ পিস।


২১)ডাটা শাক (গ্রীণ/বাসন্তী)-০১ জিপার প্যাক।


⏩ এই কম্বো মূল্য = ২৬০টাকা।


⏩ বিভিন্ন কোম্পানির বাছাইকৃত সেরা জাত গুলির সমন্বয়ে এই প্যাকেজ। 


 

⏩ প্রতি আইটেম বীজ জিপার প্যাকেটে আলাদাভাবে নাম লিখে দেয়া হবে


 ⏩ কৃষি বাঁচলে বাঁচবে দেশ সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হই। বাড়ির আঙ্গিনায়, বেলকনি,বাড়ির ছাদে নিজের চাহিদা অনুযায়ী চারা রোপন করি।আমরা দিচ্ছি A গ্রেট এর বীচ ও হাইব্রিট বীচ।


🚛 শহর ও গ্রামের যেকোন জায়গা থেকে অর্ডার করতে পারেন। আপনার ঠিকানায় পৌছে দেয়া হবে। অগ্রীম পেমেন্ট করতে হবেনা। পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে।


📩 অর্ডার কনফার্ম করতে আপনার নাম, বিস্তারিত ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিন।


📞 01609274889

অরন্য সিড ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গাছের পাতা কুকড়ে যায়??,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গাছের পাতা কুকড়ে যায়??


অনেকেই মরিচ,টমেটো, শিম, বরবটি পেপে বা অন্যান্য  গাছের পাতা কোকড়ানো এর

 জন্য কাংখিত ফলন পান না তাদের জন্য কার্যকরী কীটনাশক। ১০০% পরীক্ষিত।  


মূলত থ্রিপিস, সাদা মাছি পোকা ও মাকড়ের আক্রমণ হলে এমন হয়।


আক্রমণ রোধে ইমিডাক্লোপিড গ্রুপের কীটনাশক ইমিটাফ

এবামেক্টিন গ্রুপের কীটনাশক ভেকটিন ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় ।


ব্যবহারবিধিঃ ১ লিটার পানিতে ইমিটাফ. ০.৫ মিলি(হাফ মিলি) ও ভেক্টিন ১ মিলি  একসাথে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন সব গাছে পাতায় বিকালে বা রাতে। দুইটা এক সাথেই দিতে হবে। 


আক্রান্ত গাছে পাতায় ৩  দিন পর পর কয়েকবার  স্প্রে করে দিবেন।

সুস্থ্য হলে  প্রতি ১৫ দিন পর পর নিয়মিত একবার  স্প্রে করে দিবেন। তাইলে আর কোকড়াবে না। 


🔴দামঃ ইমিটাফ ১০০ টাকা

             ভেকটিন ১০০ টাকা।


লোকেশন অনুযায়ী ডেলিভারি চার্জ।


সারা দেশে হোম ডেলিভারি দেয়া যাবে।




গরীব স্কুল ছাত্রী ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

 স্যার একটা কথা কমু?

-কি বল?

-আইজ আমারে সারে ১২টায় ছুটি দেবেন?

-কেন? কি করবা?

-বাসায় গিয়া ভাত খামু, পেটে খুব ক্ষিধা লাগছে।

-কেন সকালে খেয়ে আসোনি?

-জ্বি না।

-কেন?

-তরকারি নাই। আর লবণ দিয়া ভাত খাইতে পারি না।

তাই খাইতে পারি নাই।

কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন

লাগলো স্যারের?

-রাতে কি খেয়েছো?

-গরম ভাতে পানি দিয়া ডাল মনে করে ভাত।

-এখন কি দিয়ে খাবে?

-মায় কইছে ইস্কুল ছুটির পর গেলে কচু

রাইন্ধা রাখব। হেইডা দিয়া মজা কইরা ভাত খামু।

মায় খুব মজা কইরা কচু রানবার পারে।

কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারিনি।

একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু

খেয়ে আসব। নিবা তোমার বাসায়?

যাইবেন স্যার সত্য?

হ্যাঁ যাব। যাও বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।

মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে তার

চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে

রইলাম।

তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ

আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের

খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে। যা তারা

খেয়ে শেষ করতে পারে

না। উচ্ছিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে। এমন অনেক

বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে

পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার!

সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ

গুলোর দিকে ফিরেও তাকান না। তাকাবেন কেন??

তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার বডি স্প্রে

গায়ে দিয়ে ঘুরে

বেড়াই। ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক

টাকা উড়ানোর খেলায়। কেউ পাখি,কেউ কিরণমালা,

কেউ শীলা কি জাওয়ানি নামক উদ্ভট সব পোশাক

কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই

বাইরের পোশাক গুলোতে আমাকে কি মানাচ্ছে?

অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুইটা টাকা

দেন। তখন বলি-ভাংতি নাই। মাফ কর। গার্লফ্রেন্ডকে

নিয়ে চাইনিজ এ

অনেক-ই যায়। কত টাকা খরচ হয় হিসাব রাখে না অথচ

গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়াইয়া দেন।

তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। ঐ

গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?

অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে গরীবের

ঘরে জন্ম দিয়েছেন। আর আপনাকে সোনার

চামচ মুখে দিয়ে কোন ধনী বাবার ঘরে।


আসুন আমাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে আমরা এদের পাশে দাড়াই, আমাদের  টাকা থেকে কিছু অংশ দিয়ে ওদের জন্য কিছু করি🙂আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দিন 💝

 আমিন।-ধ্রুব।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


জীবনের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিয়ের ১৩ বছর পরে ও যখন সন্তান হচ্ছিলো না। তখন আমার স্বামী ২য় বিবাহ করেন। এবং সে মাসেই টেস্ট করে জানতে পারলাম আমি গর্ভধারণ করেছি।। 


ওই মূহুর্তে আমার মনে হয়েছে আল্লাহ দিলে যখন আর ১ টা মাস আগে দিতে। 

খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমি। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো৷ 

আমার মা কে বলেছি। তিনি বলেছেন পাশে আছি যা মনে হয় করো তুমি।।


ও বিয়ে করার পর আমাকে বলেছে তোমার ইচ্ছে হলে এখানে ও থাকতে পারো। 

আবার তোমার বাবার বাড়ি ও থাকতো পারো। 

আমার দরজা সবসময় তোমার জন্য খোলা। 

বিয়ে করার পর আমি বাবার বাড়ি যায় কিন্তুু ওখানে ঘুম আসতো না। কোনো কিছু শান্তি লাগতো না।আশেপাশে চাচীদের, আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কথা শুনে খারাপ লাগতো। 

আমাকে সরাসরি কিছু বলতো না তবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলতো। 

বাপের বাড়িতে আমার কদর কমে যায় একদম। 

ওখানে ২ দিন থাকার পর আবার চলে আসি। 

এখানে আসলে কলিজা ফেটে যেতো। আমার স্বামীকে অন্য কেউ জড়িয়ে ধরছে নাস্তা দিচেছ। আমার সংসার টা সামলাচ্ছে। 

আমার সাথে শশুর বাড়ির সবাই কথা বলা কমিয়ে দিলো। সবাই নতুন বউকে টাকে নিয়ে মাতামাতি করতো। 

আর আমি রুমে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতাম।। 


তখন মনে হতো বাপের বাড়ি চলে যায়। 

এখানে কয়েকদিন থাকার পর বাপের বাড়ি গেলে সেখানে ও ভালো লাগতো না। 

আবার একা একা চলে আসতাম। কান্না ও আসতো না আমার।নামাজ কালামে ও মন বসতো না। 

আমার শাশুড়ী বলতো তুই চলে যা।

সবাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতো চলে যাও।


গর্ভধারণ  এর বিষয় টা প্রায় ১৫ দিনের এর মতো কাউকে বলিনি। 

১৫ দিন পর আমার স্বামীকে জানাই।।  

তিনি শুনার পর খুশি হলেন এবং বললেন আমার মোটামুটি সামর্থ্য আছে। আমি দুজনকেই চালাতে পারবো অসুবিধা নাই।। 

তুমি আমার বড় বউ আর ও ছোট বউ। তোমরা দুজনেই থাকো আমার জীবনে।। 

তোমাদের অনেক ভালোবাসি। তোমাদের ছাড়া আমি বাচবো না। 

 

আমি মনে মনে হেসে বলি হারামজাদা তুই আমাকে ছাড়া ঠিকই বাঁচবি শুধু ওরে ছাড়া বাঁচবি সেটা বল। 


তারপর উনি ভাগ করলেন আমার সাথে সপ্তাহে ২ দিন থাকবেন এবং নতুন বউয়ের সাথে বাকি দিন রাএি যাপন করবেন। 

আমার ভাগে বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার গুলো পড়ে ছিলো। 

বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার আসলে আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যেতাম।। 

আমি স্বামীকে খুব ভালোবাসি।।তবে এখনকার এই চেহারা  মানুষ টাকে না।


আমার কান্না আসতো না। তবে আমার বিয়ের ছবিগুলো নিলে কান্না আসতো মাঝে মাঝে। আমি বউ সাজ অবস্থায় পাশের শেরওয়ানি পরিহিত স্বামীটাকে অনেক ভালোবাসি। 

আমি তাকে ফিরে পেতে চাই।। 

সুন্দর সময় ছিলো আমাদের জীবনটাতে কিন্তুু একটা সন্তান এর জন্য হাহাকার ছিলো।। 


সময়ের সাথে মানুষের চেহারা, চামড়া,একই থাকলে ও  চামড়ার ভিতরের নফস টা বদলে গিয়েছে। 

ঘৃণা হয়।। 


আমি খেতাম না কেমন শুকিয়ে কালো হয়ে গিয়েছিলাম। মার কাছে গেলে মা ফলমূল খাওয়াতো। আমি খেতাম না।। 

আমার শাশুড়ী তো নতুন বউ ছাড়া কিছু বুঝতো না। আর ননদ ননস গুলো তো আরো বাড়ে।। তাদের নতুন ভাইয়ের বউ অনেক ভালো বউ। 

আজীবন আমি রেঁধে বেড়ে খাওয়াইছি সেটার কোন মূল্যা নাই। 

যে পাতে খেয়েছে সে পাতে মলমূত্র ত্যাগ করেছে এরকম একটা অবস্থা।। 


আমার স্বামী নতুন বউকে নিয়ে ঘুরতে যেতো।। প্রায় সময়ই আর আমি সেটা দেখতাম। কান্না একটু ও আসতো না। 

আমাকে জিজ্ঞেস ও করতো না,,  তোমার কি খেতে মন চাই বা তুমি কি খাবে। 

ওহ ভালো কথা আমার রান্না কেউ খেতো না। কারণ আমার রান্না মজা নাই আমি রান্না করতে জানি না। 

এজন্য নতুন বউ আমার শাশুড়ী দের সাহায্য নিয়ে রান্না করতো। 

আর আমি রুমে বসে বসে টাইমে টাইমে খেতাম। 

আর মানুষ কে বলে বেড়াতো আমাকে অনেক সুখে রাখছে। 


নতুন বউ বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট। একদিন ও কে বলি বোন বৃষ্টি আসতেছে ছাদ থেকে কাপড়গুলো নিয়ে আয়। 

আমার স্বামী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে কারণ আমি তার নতুন বউকে কেন তুই করে বলেছি।।। 


আল্লাহর গজব পড়ুক এমন স্বামীর উপর।। 


আমি বুঝতেছিলাম না তখন কি করবো। 

দেখতে দেখতে আমার ডেলিভারি টাইম আসে।। যেদিন আমার পেইন উঠে ওইদিন আমার স্বামী তার নতুন বউয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। তখন মোবাইল এত সহজলভ্য ছিলো না।। 

তাই খবর দিতে পারি নাই। 

আমার এক চাচাত জা আমাকে মেডিকেল নিয়ে যায়। আমার সাথে আর কেউ যায় নি। 

কারণ আমার শাশুড়ী বুড়ো মানুষ উনি নাকি কিছু চিনে না। 

আর আমার ননদ ননস এর জামাইরা বিজি এজন্য। 


 আমার  ডেলিভারির খরচ আমার মা বহন করে।।

আমি নরমালে ২ টি জমজ পুএ সন্তান এর জন্ম দি।।

সরকারি মেডিকেল এ ৩ দিন থাকার পর আমি আমার বাপের বাড়ি যায়। 

মেডিকেল এ তিন দিন ছিলাম আমাকে শশুর বাড়ি একটা কু*ওা ও দেখতে আসে নাই। 

এক বেলা ভাত নিয়ে। 


আমি বাপের বাড়ি যাওয়ার ৭ দিন পর আমার জামাই খবর পাঠায় বাচ্চা দের নিয়ে ওদের ওখানে যেতে। 


আমার জামাইর থেকে শরম লাগতেছে আমার বাড়িতে আসতে।। 


আমি যায় না। আমি বলি এখন যাবো না আরো কয়েকদিন পর যাবো। 

 ৯ দিন পার হওয়ার পরে ও আমি নাম রাখি নাই বাচ্চাদের। মনে করছি শশুর বাড়ির লোকেরা আসলে তখন রাখবো। 

কিন্তুু কেউ আসে নাই। পরে আমার এক চাচা উনি মৌলভী। 

উনি আমার বাচ্চা দের নাম রেখে দেয়।। কোনো আয়োজন অনুষ্ঠান ছাড়া। 

আমার বাপের বাড়িতে সবাই ছি ছি করে। বলে বাচ্চা হয়েছে এত বছর পর অথচ কেউ দেখতে আসে না। 

আমার বাপের বাড়িতে আমার মূল্যায়ন একদম কমে যায়। 

আমাকে তেমন কেউ সাহায্য করতো না। বাচ্চা দের কাঁথা,জামা কাপড় সব আমি ধুয়তাম।। 

মা ও কেমন যেন অবহেলা করতো।। 


আমার বাচ্চাদের কেউ এক জোড়া কাপড় পযন্ত কিনে দেয় নি।। 

পরে আমার১ ভরি গয়না বিক্রি করে বাচ্চা দের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কিনি। 

মার বাড়ি ২০ দিন থাকার পর আমি চলে যায় শশুর বাড়ি। 

কারণ এখানে আমি বাচ্চা দের খরচ বহন করতে পারছিলাম না এজন্য।। 

শশুর বাড়িতে যাওয়ার পর আমার স্বামী বাচ্চাদের কোলে নেয়। 

আমার জামাইর নতুন বউকে ডেকে বলে দেখো তোমার ছেলেদের। 

তার কোলে দিয়ে বলে এগুলো এখন থেকে তোমার সন্তান অবহেলা করো না। 

আমি ওর কোল থেকে আমার বাচ্চা কেড়ে নিতে গিয়ে আমার ছোট বাচ্চা টা নিচে পড়ে যায়।। 

আর সাথে সাথে কান্না করে উঠে। 

আমার স্বামী ওই অবস্থায় আমাকে গালাগালি করে চুল ধরে পিঠের মধ্যে অনেক গুলো ঘুষি মারে। 

আমি কান্না করতে করতে বলি আমার বাচ্চা এগুলো আর কারো বাচ্চা না।। 

আমাকে কেউ একটু ধরতে ও আসে নাই যখন মারছিলো।।। 


মানুষ কতটা অমানুষ এ রুপ নেয় তা আমার স্বামীকে না দেখলে বুঝতাম না।। 


তারপর ওরা চলে যায় আমার রুম থেকে।। আমি আমার বাচ্চা দের নিয়ে অনেক কান্না করে বলি তোদের  মা আছে আমি মরি নাই। 

তোদের আমি ভালোবাসি।। 


কয়েকদিন পর আমার স্বামী যখন আমার রুমে আসে তখন বলি আমার ছেলেদের আকিকা করাবে না। 

উনি বলে এখন টাকা নাই পরে করবো। ওদের মুসলমানির সময়।। 


তারপর বাচ্চাদের আদর করতে করতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে কেমন বুড়া হয়ে গেছো। তোমার দিকে তাকাতে ও ঘৃণা লাগে। পেট টা কত বড় হয়ে গেছে।। 

কেমন যেন আমার নানী নানী টাইপ হয়ে গেছো।। 


আমি হেঁসে হেঁসে বলি আমার কথা বাদ দাও নাতি।। তোমার নতুন বউ নিয়ে সুখে থাকো।। 


সে হেঁসে বলে মাশাআল্লাহ আমার নতুন বউ আকাশের চাঁদ।। 

আমি বলি আল্লাহ তোমাদের আরো সুখ দিক।। 


আমি বলি আমার বাচ্চাদের টিকা দিতে হবে কালকে।। 

বলে আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যাবো।। 


পরেরদিন ও আর ওর নতুন বউ রেডি হয়ে আসে।। আমার বাচ্চাদের নিতে। 

আমি বলি তোদের হাতে তো আমি বাচ্চা ছাড়বো না। আমার বাচ্চা আমি নিয়ে যাবো । 

আমি বাচ্চার মা। 


তখন আমার স্বামী আমাকে বলে তোমার সাথে বাহিরে যেতে আমার শরম লাগে।। 


আমি কিছু বলি না। বলি টাকা দাও আমার বাচ্চাকে আমি নিয়ে যাবো। 

পরে আমাকে ৬০ টাকা দেয়। 

আমি সরকারি মেডিকেল এ নিয়ে টিকা দিয়ে আসি। 

২ বাচ্চা একসাথে কোলে নিয়ে যায় আমার সাথে কেউ যায় না। 

মেডিকেল এর এক আয়া টিকা দেওয়ার সময় সাহায্য করে আমাকে। 

মেডিকেল এ আমার অনেক সময় লাগে। কারণ টিকা দেওয়ার ফলে বাচ্চারা অনেক কাঁদছিলো। 

সবাই বলতেছিলো আমি একা কেন। 

কেউ সাথে আসে নাই কেন।। 

অনেক কষ্টে বাচ্চা দের নিয়ে বাসায় আসি হেঁটে হেঁটে। 

কারণ আসার আর গাড়ি ভাড়া ছিলো না। 

২০ মিনিট হাটতে হয়েছিলো বাচ্চা ২ টা নিয়ে।। 

যাওয়ার সময় ১০ টাকা দিয়ে রিকশা করে গিয়েছি। 

আর একটা টিকার দাম২৫ টাকা।। 

২ জনের ৫০ টাকা নিয়েছে।। 


বাসায় এসে বাচ্চাদের রেখে একটু বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে শুনতে পায় আমার স্বামী আমার শাশুড়ী কে বলছে দুধ রোজ নিতে। 

কারণ আমার স্বামীর নতুন বউ গর্ভধারণ করেছে।। 


আমি বাথরুম থেকে বেড়িয়ে অনেক হাসি বাচ্চা দের কোলে নিয়ে।

রুমে এসে আমার স্বামী আমাকে বকা দিচ্ছে কারণ বাচ্চারা কাঁদছে কেন।

আমি নাকি মা হওয়ার যোগ্যতা রাখি না। আল্লাহ ভুল করে আমি ভুল মানুষকে বাচ্চা দান করছে।  

কারণ আমার বাচ্চারা কাঁদছে টিকার ব্যাথায়। 

সে একটু মায়া মহব্বত ও দেখালো না। 


আমার নিয়তি এতটা খারাপ.... 


চলবে....


অবহেলা 

১ম খন্ড 

Nusrat 

সত্য ঘটনা অবলম্বন.....


নেক্সট পার্টগুলো সবার আগে আইডি তে দেওয়া হবে নিল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করুন 👉 Mohammad Murad Hossain


১৮ প্রকার উন্নত জাতের শবজি পাচ্ছেন ১২১ টাকায়,,,,,, শিকদার সিডস ১ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 😍 ১৮ প্রকার উন্নতজাতে

















র সবজির বীজ   পাচ্ছেন মাত্র ১২১ টাকায়,,,,,, 


👉👉 সারাবাংলাদেশে ক্যাশঅন হোমডেলিভারী চার্জ মাত্র ৫৯ টাকা 🥰🥰🥰


👉👉 যা যা থাকছে,,,, 


👉 ক্যাপসিকামের বীজ ৭ পিস,,,  


👉 ( হাইব্রিড )  পেপের বীজ ১০ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  বেগুনের বীজ ১৫ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  লাউয়ের বীজ ৫ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  কুমড়ার বীজ ৫ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  শশার বীজ ১০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  টমেটার বীজ ১৫ পিস,,,  


👉( হাইব্রিড )  বরবটীর বীজ ৭ পিস,,,  


👉 চালকুমড়ার বীজ ৫ পিস,,,,


👉(  নওগার ) খিরাইয়ের বীজ ১০ পিস,,, 


👉 ( হাইব্রিড )  করল্লার বীজ ৫ পিস,,,  


👉 ( বড়সাইজের )  ঝিঙ্গার বীজ ৫ পিস,,,


👉 ( ফরিদপুরী )  পিয়াজের বীজ ৩০ পিস,,,


👉 ( মোটাডগা )  পুইশাকের বীজ ২০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  ঢেঁড়সের বীজ ২০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  মরিচের বীজ ১০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  ধুন্দলের বীজ ৫ পিস,,,, 


👉 চিচিংগার বীজ ৫ পিস,,,


সবগুলো বীজ আলাদা আলাদা জিপার পলিতে প্যাকিং করা থাকবে ইনশাআল্লাহ ,,,,,,


👉 এছাড়া অর্ডার করলেই পাচ্ছেন আকর্ষনীয়  গিফট 😍


( তাই আর দেরি কেন অর্ডার করতে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, সহ পেজে মেছেজ করুন।  হোমডেলিভারী চার্জ ৫৯ টাকা 🥰 )


















বিশ্বাস ও আশা ----কাজী নজরুল ইসলাম,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিশ্বাস ও আশা

----কাজী নজরুল ইসলাম


 বিশ্বাস আর আশা যার নাই, যেয়ো না তাহার কাছে

নড়াচড়া করে, তবুও সে মড়া, জ্যান্তে সে মরিয়াছে।

শয়তান তারে শেষ করিয়াছে, ইমান লয়েছে কেড়ে,

পরাণ গিয়াছে মৃত্যুপুরীতে ভয়ে তার দেহ ছেড়ে।

 

থাকুক অভাব দারিদ্র্য ঋণ রোগ শোক লাঞ্ছনা,

যুদ্ধ না ক’রে তাহাদের সাথে নিরাশায় মরিও না।

ভিতরে শত্রু ভয়ের ভ্রান্তি মিথ্যা ও অহেতুক

নিরাশায় হয় পরাজয় যার তাহার নিত্য দুখ।

 

“হয়ত কী হবে” এই ভেবে যারা ঘরে ব’সে কাঁপে ভয়ে,

জীবনের রণে নিত্য তারাই আছে পরাজিত হয়ে।

তারাই বন্দী হয়ে আছে গ্লানি অধীনতা কারাগারে;

তারাই নিত্য জ্বালায় পিত্ত অসহায় অবিচারে!

 

এরা আকারণ ভয়ে ভীত, এরা দুর্বল নির্বোধ,

ইহাদের দেখে দুঃখের চেয়ে জাগে মনে বেশী ক্রোধ।

এরা নির্বোধ, না ক’রে কিছুই জিভ মেলে প’ড়ে আছে,

গোরস্তানেও ফুল ফোটে, ফুল ফোটে না এ মরা গাছে।

 

এদের মুক্তি অদৃষ্টবাদ, ব’সে ব’সে ভাবে একা,

‘এ মোর নিয়তি’ বদলানো নাহি যায় কপালের লেখা!

পৌরুষ এরা মানে না, নিজেরে দেয় শুধু ধিক্কার,

দুর্ভাগ্যের সাথে নাহি লড়ে মেনেছে ইহারা হার।

 

এরা জড়, এরা ব্যাধিগ্রস্ত, মিশো না এদের সাথে,

মৃত্যুর উচ্ছিষ্ট আবর্জনা এরা দুনিয়াতে।

এদের ভিতরে ব্যাধি, ইহাদের দশদিক তমোময়,

চোখ বুঁজে থাকে, আলো দেখিয়াও বলে, ‘ইহা আলো নয়।’

 

প্রবল অটল বিশ্বাস যার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে,

যৌবন আর জীবনের ঢেউ কল-তরঙ্গে আসে,

মরা মৃত্তিকা করে প্রাণায়িত শস্যে কুসুমে ফলে,

কোনো বাধা তার রুধে না ক পথ, কেবল সুমুখে চলে।

 

চির-নির্ভয়, পরাজয় তার জয়ের স্বর্গ-সিঁড়ি,

আশার আলোক দেখে তত, যত আসে দুর্দিন ঘিরি’।

সেই পাইয়াছে পরম আশার আলো, যায়ো তারি কাছে,

তাহারি নিকটে ম্রিত্তুঞ্জয়ী আভয়-কবচ আছে।

 

যারা বৃহতের কল্পনা করে, মহৎ স্বপ্ন দেখে,

তারাই মহৎ কল্যাণ এই ধরায় এনেছে ডেকে।

আসম্ভবের অভিযান-পথ তারাই দেখায় নরে,

সর্বসৃষ্টি ফেরেশতারেও তারা বশীভূত করে।

 

আত্মা থাকিতে দেহে যারা সহে আত্ম- নির্যাতন,

নির্যাতকেরে বধিতে যাহারা করে না পরাণ-পণ,

তাহারা বদ্ধ জীব পশু সন, তাহারা মানুষ নয়,

তাদেরই নিরাশা মানুষের আশা ভরসা করিছে লয়।

 

হাত-পা পাইয়া কর্ম করে না কূর্ম-ধর্মী হয়ে,

রহে কাদা-জলে মুখ লুকাইয়া আঁধার বিবরে ভয়ে,

তাহারা মানব-ধর্ম ত্যজিয়া জড়ের ধর্ম লয়,

তাদের গোরস্তান শ্মশানে, আমাদের কেহ নয়।

 

আমি বলি শোনো মানুষ! পূর্ণ হওয়ার সাধনা করো,

দেখিবে তাহারি প্রতাপে বিশ্ব কাঁপিতেছে থরোথরো!

ইহা আল্লার বাণী যে, মানুষ যাহা চায় তাহা পায়,

এই মানুষের হাত পা চক্ষু আল্লার হয়ে যায়!

 

চাওয়া যদি হয় বৃহৎ, বৃহৎ সাধনাও তার হয়,

তাহারি দুয়ারে প্রতীক্ষা করে নিত্য সর্বজয়।

অধৈর্য নাহি আসে কোনো মহাবিপদে সে সেনানীর,

অটল শান্ত সমাহিত সেই অগ্রনায়ক বীর।

 

নিরানন্দের মাঝে আল্লার আনন্দ সেই আনে,

চাঁদের মতন তার প্রেম জনগণ-সমুদ্রে টানে।

অসম সাহস বুকে তার আসে আভিয় সঙ্গ ক’রে,

নিত্য জয়ের পথে চলো সেই পথিকের হাত ধ’রে।

 

পূর্ণ পরম বিশ্বাসী হও, যাহা চাও পাবে তাই;

তাহারে ছুঁয়ো না, সেই মরিয়াছে, বিশ্বাস যার নাই।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল‍্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন?,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল‍্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন? —আজকের দিনের আনুমানিক কয়েকশ টাকা। 


১২০ বছর আগে, খাজা সলিমুল্লাহ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দান করেছিলেন বুয়েটের (BUET) জন‍্য। তখন সেটার নাম বুয়েট ছিলো না। ছিলো ঢাকা সার্ভে স্কুল। সেটাকে তিনি রূপ দিলেন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে। (খাজা সলিমুল্লাহার বাবার নাম ছিলো আহসানউল্লাহ) 


১৯০৮ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক সভায় বিনা বেতনে বাধ‍্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার দাবি তুলেন তিনি। —চিন্তা করা যায়! 


পূর্ব বাংলায় কোন ইউনিভার্সিটি নেই। সলিমুল্লাহ সেটা মানতে পারলেন না। কি করা যায়, সে নিয়ে ভাবতে থাকলেন। ১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, তখনকার ভাইস রয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় আসেন। হার্ডিঞ্জের সামনে দাবি নিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাহস পূর্ব বাংলায় যদি কারো থাকে, সেটা একমাত্র সলিমুল্লাহর। তার বয়স তখন চল্লিশ বছর। সে সময়ের ১৯ জন প্রখ‍্যাত মুসলিম লিডার নিয়ে তিনি হার্ডিঞ্জের সাথে দেখা করেন। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের প্রথম দাবি তুলেন। সেই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো। 


সলিমুল্লাহ ছিলেন আদ‍্যোপান্ত শিক্ষানুরাগী। পূর্ব বাংলায় শিক্ষার বিস্তারের জন‍্য, পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করার লক্ষ‍্যে তিনি বহু বৃত্তি, বহু প্রকল্প চালু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা এবং ঢাকা সার্ভে স্কুলকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপ দেয়া ছিলো তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ‍্য অবদান। 


শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তাহলে পূর্ব বাংলার সেই মেরুদণ্ড তৈরিতে সলিমুল্লাহর চেয়ে বড়ো ভূমিকা সম্ভবত বিংশ শতকে খুব বেশি কেউ রাখেনি। অথচ সেই মানুষটাকে নিয়ে আমাদের সমাজে তেমন আলোচনা দেখি না। স্মরণসভা দেখি না। কষ্ট হয় কিছুটা! 


মাত্র ৪৩-৪৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে হয়তো পূর্ব বাংলার শিক্ষার জন‍্য আরো বহুকিছু করে যেতেন। 


নবাব স‍্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের মৃত‍্যুবার্ষিকী আজ (১৬ জানুয়ারি)। তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


কতদিন দেখিনি তোমায় __গীতিকার-প্রণব রায়, শিল্পী- মান্না দে,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কতদিন দেখিনি তোমায়

__গীতিকার-প্রণব রায়, শিল্পী- মান্না দে


কতদিন দেখিনি তোমায়

তবু মনে পড়ে তব মুখখানি,

স্মৃতির মুকুরে মম আজ

তবু ছায়া পড়ে রানী

কতদিন দেখিনি তোমায়।


কত দিন তুমি নাই কাছে,

তবু হৃদয়ের তৃষা জেগে আছে,

প্রিয় যবে দূরে চলে যায়

সে যে আরও প্রিয় হয় জানি

কতদিন দেখিনি তোমায়।


হয়ত তোমার দেশে আজ

এসেছে মাধবী রাতি

তুমি জোছনায় জাগিছো নিশি,

সাথে লয়ে নতুন সাথী

হেথা মোর দীপ নেভা রাতে

নিদ নাহি দুটি আঁখি পাতে

প্রেম সে যে মরিচীকা হায়

এ জীবনে এই শুধু মানি।


কতদিন দেখিনি তোমায়

তবু মনে পড়ে তব মুখখানি,

স্মৃতির মুকুরে মম আজ

তবু ছায়া পড়ে রানী

কতদিন দেখিনি তোমায…


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


শীতের সিন্ধু___কাজী নজরুল ইসলাম (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক),,,, পয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শীতের সিন্ধু

___কাজী নজরুল ইসলাম (কাব্যগ্রন্থ- চক্রবাক)


ভুলি নাই পুনঃ তাই আসিয়াছি ফিরে

ওগো বন্ধু, ওগো প্রিয়, তব সেই তীরে!

কূল-হারা কূলে তব নিমেষের লাগি

খেলিতে আসিয়া হায় যে কবি বিবাগি

সকলই হারায়ে গেল তব বালুচরে, –

ঝিনুক কুড়াতে এসে – গেল আঁখি ভরে

তব লোনা জল লয়ে, –তব স্রোত-টানে

ভাসিয়া যে গেল দূর নিরুদ্দেশে পানে!

ফিরে সে এসেছে আজ বহু বর্ষ পরে,

চিনিতে পার কি বন্ধু, মনে তারে পড়ে?


বর্ষার জোয়ারে যারে তব হিন্দোলায়

দোলাইয়া ফেলে দিলে দুরাশা-সীমায়,

ফিরিয়া সে আসিয়াছে তব ভাটি-মুখে,

টানিয়া লবে কি আজ তারে তব বুকে?


খেলিতে আসিনি বন্ধু, এসেছি এবার

দেখিতে তোমার রূপ বিরহ-বিথার।

সেবার আসিয়াছিনু হয়ে কুতূহলী,

বলিতে আসিয়া – দিনু আপনারে বলি


কৃপণের সম আজ আসিয়াছি ফিরে

হারায়েছি মণি যথা সেই সিন্ধু-তীরে!

ফেরে না তা যা হারায় – মণি-হারা ফণী

তবু ফিরে ফিরে আসে! বন্ধু গো, তেমনি

হয়তো এসেছি বৃথা চোর বালুচরে!–

যে চিতা জ্বলিয়া, –যায় নিভে চিরতরে,

পোড়া মানুষের মন সে মহাশ্মাশানে

তবু ঘুরে মরে কেন, –কেন সে কে জানে!

প্রভাতে ঢাকিয়া আসি কবরের তলে

তারি লাগি আধ-রাতে অভিসারে চলে

অবুঝ মানুষ, হায়! – ওগো উদাসীন,

সে বেদনা বুঝবে না তুমি কোনোদিন!


হয়তো হারানো মণি ফিরে তারা পায়,

কিন্তু হায়, যে অভাগা হৃদয় হারায়

হারায়ে সে চিরতরে! এ জনমে তার

দিশা নাহি মিলে, বন্ধু! – তুমি পারাবার,

পারাপার নাহি তব, তোমার অতলে

যা ডোবে তা চিরতরে ডোবে আঁখিজলে!‌

জানিলে সাঁতার, বন্ধু, হইলে ডুবুরি,

করিতাম কবে তব বক্ষ হতে চুরি

রত্নহার! কিন্তু হায় জিনে শুধু মালা

কী হইবে বাড়াইয়া হৃদয়ের জ্বালা!

বন্ধু, তব রত্নহার মোর তরে নয় –

মালার সহিত যদি না মেলে হৃদয়!


হে উদাসী বন্ধু মোর, চির আত্মভোলা,

আজি নাই বুকে তব বর্ষার হিন্দোলা!

শীতের কুহেলি-ঢাকা বিষণ্ণ বয়ানে

কীসের করুণা মাখা! কূলের সিথানে

এলায়ে শিথিল দেহ আছ একা শুয়ে,

বিশীর্ণ কপোল বালু-উপাধানে থুয়ে!

তোমার কলঙ্কী বঁধু চাঁদ ডুবে যায়

তেমনই উঠিয়া দূর গগন-সীমায়,

ছায়া এসে পড়ে তার তোমার মুকুরে,

কায়াহীন মায়াবীর মায়া বুকে পূরে

ফুলে ফুলে কূলে কূলে কাঁদ অভিমানে,

আছাড়ি তরঙ্গ-বাহু ব্যর্থ শূন্য পানে!

যে কলঙ্কী নিশিদিন ধায় শূন্য পথে –

সে দেখে না, কোথা, কোন বাতায়ন হতে,

কে তারে চাহিয়াছে নিতি! সে খুঁজে বেড়ায়

বুকের প্রিয়ারে ত্যজি পথের প্রিয়ায়!


ভয় নাই বন্ধু ওগো, আসিনি জানিতে

অন্ত তব, পেতে ঠাঁই অন্তহীন চিতে!

চাঁদ না সে চিতা জ্বলে তব উপকূলে –

কে কবে ডুবিয়া হায়, পাইয়াছে তল?

এক ভাগ থল সেথা, তিন ভাগ জল!


এসেছি দেখিতে তারে সেদিন বর্ষায়

খেলিতে দেখেছি যারে উদ্দাম লীলায়

বিচিত্র তরঙ্গ-ভঙ্গে! সেদিন শ্রাবণে

ছলছল জল-চুড়ি-বলয়-কঙ্কণে

শুনিয়াছি যে-সঙ্গীত, যার তালে তালে

নেচেছে বিজলি মেঘে, শিখী নীপ-ডালে।

যার লোভে অতি দূর অস্তদেশ হতে

ছুটে এসেছিনু এই উদয়ের পথে! –


ওগো মোর লীলা-সাথি অতীত বর্ষার,

আজিকে শীতের রাতে নব অভিসার!

চলে গেছে আজি সেই বরষার মেঘ,

আকাশের চোখে নাই অশ্রুর উদ‍্‍বেগ,

গরজে না গুর গুর গগনে সে বাজ,

উড়ে গেছে দূর বনে ময়ূরীরা আজ,

রোয়ে রোয়ে বহে নাকো পুবালি বাতাস,

শ্বসে না ঝাউয়ের শাখে সেই দীর্ঘশ্বাস,

নাই সেই চেয়ে-থাকা বাতায়ন খুলি

সেই পথে – মেঘ যথা যায় পথ ভুলি।

না মানিয়া কাজলের ছলনা নিষেধ

চোখ ছেপে জল ঝরা, –কপোলের স্বেদ

মুছিবার ছলে আঁখি-জল মোছা সেই,

নেই বন্ধু, আজি তার স্মৃতিও সে নেই!


থর থর কাঁপে আজ শীতের বাতাস,

সেদিন আশার ছিল যে দীরঘ-শ্বাস –

আজ তাহা নিরাশায় কেঁদে বলে, হায় –

“ওরে মূঢ়, যে চায় সে চিরতরে যায়!

যাহারে রাখিবি তুই অন্তরের তলে

সে যদি হারায় কভু সাগরের জলে

কে তাহারে ফিরে পায়? নাই, ওরে নাই,

অকূলের কূলে তারে খুঁজিস বৃথাই!

যে-ফুল ফোটেনি ওরে তোর উপবনে

পুবালি হাওয়ার শ্বাসে বরষা-কাঁদনে,

সে ফুল ফুটিবে না রে আজ শীত-রাতে

দু ফোঁটা শিশির আর অশ্রুজল-পাতে!”


আমার সান্ত্বনা নাই জানি বন্ধু জানি,

শুনিতে এসেছি তবু – যদি কানাকানি

হয় তব কূলে কূলে আমার সে ডাক!


এ কূলে বিরহ-রাতে কাঁদে চক্রবাক,

ও কূলে শোনে কি তাহা চক্রবাকী তার?

এ বিরহ একি শুধু বিরহ একার?


কুহেলি-গুণ্ঠন টানি শীতের নিশীথে

ঘুমাও একাকী যবে, নিশব্দ সংগীতে

ভরে ওঠে দশ দিক, সে নিশীথে জাগি

ব্যথিয়া ওঠে না বুক কভু কাও লাগি?

গুণ্ঠন খুলিয়া কভু সেই আধরাতে

ফিরিয়া চাহ না তব কূলে কল্পনাতে?

চাঁদ সে তো আকাশের, এই ধরা-কূলে

যে চাহে তোমায় তারে চাহ না কি ভুলে?


তব তীরে অগস্ত্যের সম লয়ে তৃষা

বসে আছি, চলে যায় কত দিবা-নিশা!

যাহারে করিতে পারি চুমুকেতে পান

তার পদতলে বসি গাহি শুধু গান!

জানি বন্ধু, এ ধরার মৃৎপাত্রখানি

ভরিতে নারিল যাহা – তারে আমি আনি

ধরিব না এ অধরে! এ মম হিয়ার

বিপুল শূন্যতা তাহে নহে ভরিবার!

আসিয়াছি কূলে আজ, কাল প্রাতে ঝুরে

কূল ছাড়ি চলে যাব দূরে বহুদূরে।


বলো বন্ধু, বলো, জয় বেদনার জয়!

যে-বিরহে কূলে কূলে নাহি পরিচয়,

কেবলই অনন্ত জল অনন্ত বিচ্ছেদ,

হৃদয় কেবলই হানে হৃদয়ে নিষেধ ;

যে-বিরহে গ্রহ-তারা শূন্যে নিশিদিন

ঘুরে মরে ; গৃহবাসী হয়ে উদাসীন –

উল্কা-সম ছুটে যায় অসীমের পথে,

ছোটে নদী দিশাহারা গিরিচূড়া হতে ;

বারে বারে ফোটে ফুল কণ্টক-শাখায়,

বারে বারে ছিঁড়ে যায় তবু না ফুরায়

মালা-গাঁথা যে-বিরহে, যে-বিরহে জাগে

চকোরী আকাশে আর কুমুদী তড়াগে ;

তব বুকে লাগে নিতি জোয়ারের টান,

যে-বিষ পিইয়া কণ্ঠে ফুটে ওঠে গান –

বন্ধু, তার জয় হোক! এই দুঃখ চাহি

হয়তো আসিব পুনঃ তব কূল বাহি।

হেরিব নতুন রূপে তোমারে আবার,

গাহিব নতুন গান। নব অশ্রুহার

গাঁথিব গোপনে বসি। নয়নের ঝারি

বোঝাই করিয়া দিব তব তীরে ডারি।

হয়তো বসন্তে পুনঃ তব তীরে তীরে

ফুটিবে মঞ্জরি নব শুষ্ক তরু-শিরে।

আসিবে নতুন পাখি শুনাইতে গীতি,

আসিবে নতুন পাখি শুনাইতে গীতি,


যেদিন ও বুকে তব শুকাইবে জল,

নিদারুণ রৌদ্র-দাহে ধুধু মরুতল

পুড়িবে একাকী তুমি মরূদ্যান হয়ে

আসবি সেদিন বন্ধু, মম প্রেম লয়ে!

আঁখির দিগন্তে মোর কুহেলি ঘনায়,

বিদায়ের বংশী বাজে, বন্ধু গো বিদায়!


পোয়েট এন্ড পয়েম ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

কবিতা,  ও মেয়ে __শতাব্দী রায়,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ও মেয়ে

__শতাব্দী রায়

ও মেয়ে তোর বয়স কত?

: কি জানি গো,মা থাকলে বলে দিত।

সেই যে বারে দাঙ্গা হল,শয়ে শয়ে লোক মরল,

হিন্দুদের ঘর জ্বলল, মুসলমানের রক্ত ঝরল,

তখন নাকি মা পোয়াতি,দাঙ্গা আমার জন্মতিথি।

ও মেয়ে তোর বাবা কোথায়?

: মা বলেছে,গরিব দের বাবা হারায়

কেউ তো বলে বাপটা আমার হারামি ছিল।

মায়ের জীবন নষ্ট করে,অন্য গাঁয়ে ঘর বাঁধল।

মা বলত, শিবের দয়াই তোকে পেলাম,

শিবকেই তাই বাপ ডাকলাম।

ও মেয়ে তোর প্রেমিক আছে?

ছেলেরা ঘোরে ধারে-কাছে?

: প্রেমিক কি গো?মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে?

স্বপ্ন দেখাই দিন দুপুরে?

চুড়ি কাজল মেলাতে কেনায়,

ঝোপের ধারে জামা খোলায়?

এসব নন্দ কাকা করেছে দুবার

প্রেমিক ওকেই বলব এবার।

ও মেয়ে তোর পদবি কি?

: বাপই নাকি দেয় শুনেছি

পদবী থাকলে ভাত পাওয়া যায়?

বাপের আদর কাঁদায় হাসায়

ওটা কি বাজারে মেলে?

কিনব তবে দু-দশে দিলে

দামী হলে চাই না আমার

থাক তবে ও বাপ-ঠাকুরদার

ও মেয়ে তুই রূপসী?

:লোকে বলে ডাগর গতর সর্বনাশী

রুপ তো নয়, চোখের ধাঁধা।

যৌবনেতে কুকুরী রাঁধা।

পুরুষ চোখের ইশারা আসে,

সুযোগ বুঝে বুকে পাছায় হাত ও ঘষে।

রুপ কি শুধুই মাংসপেশী?

তবে তো আমি খুব রূপসী।

ও মেয়ে তোর ধর্ম কি রে?

মেয়েমানুষের ধর্ম কি গো?

সব কিছু তো শরীর ঘিরে,

সালমা বলে ধর্মই সমাজ বানায়,

সন্ধেবেলা যখন দাঁড়াই

কেউ তো বলে না,হিন্দু নাকি?

সবাই বলে,কতই যাবি?

বিছানা নাকি ধর্ম মেলায়

শরীর যখন শরীর খেলায়

তাই ভাবছি এবার থেকে ধর্ম বলব শরীর বা বিছানাকে।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...