এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

টেস্টিং সল্টের ক্ষতিকর দিক গুলো,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ঘটনা ১) ভাতিজার বিয়েতে দায়িত্ব পড়েছে মুদি সদাই করার।বাবুর্চির লিস্ট অনুযায়ী শুধু টেস্টিং সল্ট ছাড়া বাজার করে আনলাম।সেকি ঝগড়া বাবুর্চির।পরে ভাই আরেকজনকে দিয়ে বাজার থেকে আনিয়ে দিল।

ঘটনা ২) মাওজির কুলখানি।সেখানেও দায়িত্ব পড়লো বাজার সদাই করার।টেস্টিং সল্ট বাদ দিয়ে সব আনলাম।এবার আর বাবুর্চি কিছু বলে না কিন্তু রান্নার সময় টেবিলের উপর দেখি ৪ পেকেট টেস্টিং সল্ট।কে এনে দিছে জানিনা।

ঘটনা ৩)প্রত্যন্ত গ্রাম,শিক্ষার হার নিন্ম,আমাদের চান্দিনার ফার্মের পাশে ছোট্ট মুদি দোকান।ঘুড়ির লেজের মত ঝুলে আছে টেস্টিং সল্টের পেকেট।জিজ্ঞেস করলাম,কারা নেয়? বললো,গ্রামের সব বাড়িতেই তো ব্যবহার করে।কেন? খানা মজা হয় এজন্য।

ফুচকা,চটপটি,হালিমওয়ালা,গাছতলা,ছালাদিয়া,ফুটপাত,৩ তারা,৫ তারা,চাইনিজ,বাংলা,থাই,হোটেল,রেস্টুরেন্ট সবাই দেদারসে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করছে।এ পর্যন্ত এই "স্নায়ুবিষ" এর বিরুদ্ধে কোন আইন নেই দেশে।এর ক্ষতিকর দিকগুলো  দেখুন...

"চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা টেস্টিং সল্টকে স্নায়ুবিষ বলে আখ্যায়িত করেছেন।বিশেষজ্ঞরা জানান,টেস্টিং সল্ট মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে মনে হয়, খাবারটি খুবই সুস্বাদু। ওই খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। শিশুরা পছন্দ করে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টেস্টিং সল্টমিশ্রিত খাবার সরবরাহ নিষিদ্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক সমকালকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক বছর আগে স্নায়বিক অসুস্থতার লক্ষণযুক্ত নতুন রোগের কথা জানায়, যার নাম দেওয়া হয় 'চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম'। টেস্টিং সল্ট মানবদেহে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিষিয়ে তোলে। ফলে স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ঘুম কম হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে স্বাভাবিক খাবার অরুচিকর লাগে। কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।


অধ্যাপক ফারুক আরও বলেন, টেস্টিং সল্টকে বিজ্ঞানীরা উদ্দীপক বিষ নামে অভিহিত করেছেন। নিয়মিত টেস্টিং সল্ট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, হরমোন নিঃসরণে গোলযোগ, মনোবৈকল্য, শিশুদের ক্ষেত্রে লেখাপড়ায় কম মনোযোগ. অতিরিক্ত ছটফটানি ভাব, হাঠ7ৎ ক্ষেপে যাওয়া, মুটিয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা টেস্টিং সল্ট খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া এটি মস্তিস্কে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে টেস্টিং সল্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও এটি নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।"

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক সমকাল


সবজির বীজ গজানোর ধাপ সমূহ।,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সবজির বীজ গজানোর ধাপ সমূহ। 


অনেক সময়েই শাক সবজির বীজ বপন করলে সঠিক ভাবে গজায় না। এ জন্য কম মানসম্পন্ন বীজ , মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ, পিপড়ার আক্রমণ, ছত্রাকের আক্রমণ সহ বিভিন্ন কারন হতে  পারে। তাই চারার জন্য সঠিক নিয়মে বীজ গজানোর পক্রিয়ার ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।


🌲🌲মিষ্টিকুমড়া, শিম, বরবটি, লাউ, শশা ,তরমুজ, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা জাতীয় বীজ


১) প্রথমে রোদে ৩০-৪৫ মিনিট ধরে রাখতে হবে, কারন বীজ গুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে,রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙবে।


২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।


৩) গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।


৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷


৫) পানি ছেকে বীজ গুলি ভেজা কাপড়ের পুটলি বা পাটের ছালা বা টিস্যু পেপার এ মুড়িয়ে হালকা(খুবই অল্প) পানি স্প্রে করে লেপ/তোষক বা পরা লুঙ্গির গিঁটে বা বক্সে (যেন বাতাস না ঢুকে এমন বক্স বা বয়ামে) রেখে দুই থেকে চার দিন পর চেক করুন। অনেক বীজে বেশী সময় লাগতে পারে।


৬) দেখবেন বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছে। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার সাথে সাথে অঙ্কুর বড় না করে অঙ্কুরিত বীজ প্লাস্টিকের ট্রে, আইস্ক্রীমের কাপ বা টবে আস্তে করে লাগাবেন যেন বীজ এর অঙ্কুর না ভাঙ্গে৷ বীজের উপরে কোকোডাস্ট বা হালকা মাটি দিবেন। হালকা পানি দিয়ে দিন।


৭) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন।


৮) ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি মিশিয়ে গাছসহ মাটিতে স্প্রে করতে হবে৷


৯) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷


🌲🌲ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, টমেটো, মরিচ, ক্যাপসিকাম, বেগুন(ছোট বীজ) জাতীয় বীজ


১) প্রথমে কড়া রোদে ৩০-৪৫ মিনিট রাখতে হবে৷ কারন বীজ গুলি সুপ্তাবস্হায় থাকে, রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙ্গে৷


২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।


৩)  গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৪-৫ ঘণ্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।


৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷


৫) বীজ লাগানো টবে বা প্লাস্টিকের ট্রে বা পাত্রের মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ঝুরঝুরে কিছু মাটি বা কোকোডাস্ট আলাদা করে রাখতে হবে যেটা বীজ বপনের পর দিতে হবে। মাটির সাথে সম্ভব হলে বালু, জৈব সার, ভার্মি কম্পোস্ট, হাড়ের গুড়া অথবা শুধুমাত্র রেডি কোকোপিট ব্যবহার করলে হয়। তাহলে মাটি জমাট বাধে না ঝুরঝুরে থাকে।


৬) পানি ছেকে বীজ গুলি প্লাস্টিকের ট্রে বা পলিব্যাগ বা টবে বিছিয়ে দিন। তার উপরে হালকা করে কোকোডাস্ট বা ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে দিন এমনভাবে যেন বীজ দেখা না যায়।


৭) পাত্রে পানি স্প্রে করে দিন।


৮) প্লাস্টিক ট্রে বা টব বা পাত্রের উপরে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, যেন ভাপ উৎপন্ন হয়৷ তিন থেকে সাত দিন পর চেক করুন। বীজ অঙ্কুরিত করার জন্য অন্ধকার ও ভাপ উৎপন্ন হলে দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। ৭-১০ দিন এর মধ্যে বীজ অংকুরিত হয়ে যায়৷


৯) দেখবেন বীজ অংকুরিত হচ্ছে। তারপর ভেজা কাপড় খুলে পানি স্প্রে করে রেখে দিন৷


১০) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন

ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি আকারে স্প্রে করতে হবে৷


১১) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


ফেব্রুয়ারী মাসের কৃষি




 

জয়মালা প্রান কৃষি

 জয়মালা ২০ এস পি (অ্যাসিটামিপ্রিড ২০%)

জয়মালা ২০ এসপি কি?

জয়মালা ২০ এসপি একটি স্পর্শক ও পাকস্থলীয় ক্রিয়াসম্পন্ন নিয়োনিকোটিনয়েড শ্রেণীর অন্তর্বাহী কীটনাশক যার মধ্যে ট্রান্সল্যামিনার ক্রিয়া বিদ্যমান। এর প্রতি কেজিতে ২০০ গ্রাম সক্রিয় উপাদান ‘অ্যাসিটামিপ্রিড’ আছে।


জয়মালা ২০ এসপি পি কেন ব্যবহার করবেন?

- এটি সিস্টেমিক কীটনাশক এবং এতে ট্রান্সল্যামিনার ক্রিয়া থাকার ফলে পাতার উপরের কোষ ভেদ করে সহজে পাতার নিচে থাকা ডিম এবং নিম্ফ মেরে ফেলতে পারে।

- ধানের বাদামী গাছ ফড়িং দমন করে।

- সব্জির বিভিন্ন চোষক পোকা (Sucking Pest) যেমন- সাদা মাছি, এফিড, জেসিড ও মশা দমনে খুবই কার্যকরী।

- সাদা মাছির (White Fly) ডিম, নিম্ফ এবং পূর্ণ বয়স্ক পোকা দমনে খুবই কার্যকরী কারণ এর মধ্যে ডিম্বাণুনাশক (Ovicidal) ক্রিয়া বিদ্যমান।

- ট্রান্সলেমিনার গুণসম্পন্ন তাই পাতার উভয় পাশেই কার্যকরী।

- অন্যান্য কীটনাশাকের তুলনায় কম পরিমাণে প্রয়োগ করলেই কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।


ফসলঃ শিম, পাট, তুলা, আলু, আম, চা, ধান



রূপাই – জসীম উদ্‌দীন,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রূপাই

– জসীম উদ্‌দীন


এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল,

কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল!

কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া,

তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের ছায়া |

জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু,

গা-খানি তার শাওন মাসের যেমন তমাল তরু |

বাদল-ধোয়া মেঘে কে গো মাখিয়ে দেছে তেল,

বিজলী মেয়ে পিছলে পড়ে ছড়িয়ে আলোর খেল |

কচি ধানের তুলতে চারা হয়ত কোনো চাষি,

মুখে তাহার জড়িয়ে গেছে কতকটা তার হাসি।


কালো চোখের তারা দিয়েই সকল ধরা দেখি,

কালো দাতের কালি দিয়েই কেতাব কোরান লেখি

জনম কালো, মরণ কালো, কালো ভূবনময়;

চাষীদের ওই কালো ছেলে সব করেছে জয়।

সোনায় যে-জন সোনা বানায়, কিসের গরব তার’

রং পেলে ভাই গড়তে পারি রামধনুকের হার |

কালোয় যে-জন আলো বানায়, ভুলায় সবার মন,

তারির পদ-রজের লাগি লুটায় বৃন্দাবন |

সোনা নহে, পিতল নহে, নহে সোনার মুখ,

কালো-বরণ চাষির ছেলে জুড়ায় যেন বুক |


যে কালো তার মাঠেরি ধান, যে কালো তার গাঁও!

সেই কালোতে সিনান করি উজল তাহার গাও।

আখড়াতে তার বাঁশের লাঠি অনেক মানে মানি,

খেলার দলে তারে নিয়েই সবার টানাটানি

রজারির গানে তাহার গলা উঠে সবার আগে,

‘শাল-সুন্দি-বেত’ যেন ও, সকল কাজেই লাগে

বুড়োরা কয়, ছেলে নয় ও, পাগাল লোহা যেন,

রূপাই যেমন বাপের বেটা, কেউ দেখেছ হেন?

যদিও রূপা-নয়কো রূপাই, রূপার চেয়ে দামি,

এক কালেতে ওরই নামে সব গাঁ হবে নামি।




 পল্লী জননী - জসীম উদ্‌দীন-

 পল্লী জননী

- জসীম উদ্‌দীন-

রাত থম থম স্তব্ধ নিঝুম, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,

নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।

রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা,

করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা।

শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া জ্বলে,

তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে।


ভন্ ভন্ ভন্ জমাট বেঁধেছে বুনো মশকের গান,

এঁদো ডোবা হতে বহিছে কঠোর পচান পাতার ঘ্রাণ?

ছোট কুঁড়ে ঘর, বেড়ার ফাঁকেতে আসিছে শীতের বায়ু,

শিয়রে বসিয়া মনে মনে মাতা গণিছে ছেলের আয়ু।


ছেলে কয়, “মারে, কত রাত আছে? কখন সকাল হবে,

ভাল যে লাগে না, এমনি করিয়া কেবা শুয়ে থাকে কবে?”

মা কয়“বাছারে ! চুপটি করিয়া ঘুমা ত একটি বার, ”

ছেলে রেগে কয় “ঘুম যেআসে না কি করিব আমি তার ?”

পান্ডুর গালে চুমো খায় মাতা, সারা গায়ে দেয় হাত,

পারে যদি বুকে যত স্নেহ আছে ঢেলে দেয় তারি সাথ।

নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান,

ছেলেরে তাহার ভাল কোরেদাও, কাঁদে জননীর প্রাণ।

ভাল করে দাও আল্লা রছুল। ভাল কোরে দাও পীর।

কহিতে কহিতে মুখখানি ভাসে বহিয়া নয়ন নীর।


বাঁশবনে বসি ডাকে কানা কুয়ো,রাতের আঁধার ঠেলি,

বাদুড় পাখার বাতাসেতে পড়ে সুপারীর বন হেলি।

চলে বুনোপথে জোনাকী মেয়েরা কুয়াশা কাফন ধরি,

দুর ছাই। কিবা শঙ্কায় মার পরাণ উঠিছে ভরি।

যে কথা ভাবিতে পরাণ শিহরে তাই ভাসে হিয়া কোণে,

বালাই, বালাই, ভালো হবে যাদু মনে মনে জালবোনে।

ছেলে কয়, “মাগো! পায়ে পড়ি বলো ভাল যদি হই কাল,

করিমের সাথে খেলিবারে গেলে দিবে না ত তুমি গাল?

আচ্ছা মা বলো, এমন হয় না রহিম চাচার ঝাড়া

এখনি আমারে এত রোগ হোতে করিতে পারি ত খাড়া ?”

মা কেবল বসি রুগ্ন ছেলের মুখ পানে আঁখি মেলে,

ভাসাভাসা তার যত কথা যেন সারা প্রাণ দিয়ে গেলে।


“শোন মা! আমার লাটাই কিন্তু রাখিও যতন করে,

রাখিও ঢ্যাঁপের মোয়া বেঁধে তুমি সাত-নরি শিকা পরে।

খেজুরে-গুড়ের নয়া পাটালিতে হুড়ুমের কোলা ভরে,

ফুলঝুরি সিকা সাজাইয়া রেখো আমার সমুখ পরে।”

ছেলে চুপ করে, মাও ধীরে ধীরে মাথায় বুলায় হাত,

বাহিরেতে নাচে জোনাকী আলোয় থম থম কাল রাত।


রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া কত কথা পড়ে মনে,

কোন দিন সে যে মায়েরে না বলে গিয়াছিল দুর বনে।

সাঁঝ হোয়ে গেল আসেনাকো আই-ঢাই মার প্রাণ,

হঠাৎ শুনিল আসিতেছে ছেলেহর্ষে করিয়া গান।

এক কোঁচ ভরা বেথুল তাহার ঝামুর ঝুমুর বাজে,

ওরে মুখপোড়া কোথা গিয়াছিলি এমনি এ কালি-সাঁঝে?


কত কথা আজ মনে পড়ে মার, গরীবের ঘর তার,

ছোট খাট কত বায়না ছেলের পারে নাই মিটাবার।

আড়ঙের দিনে পুতুল কিনিতে পয়সা জোটেনি তাই,

বলেছে আমরা মুসলমানের আড়ঙ দেখিতে নাই।

করিম যে গেল? রহিম চলিল? এমনি প্রশ্ন-মালা;

উত্তর দিতে দুখিনী মায়ের দ্বিগুণ বাড়িত জ্বালা।

আজও রোগে তার পথ্য জোটেনি, ওষুধ হয়নি আনা,

ঝড়ে কাঁপে যেন নীড়ের পাখিটি জড়ায়ে মায়ের ডানা।


ঘরের চালেতে ভুতুম ডাকিছে, অকল্যাণ এ সুর,

মরণের দুত এল বুঝি হায়। হাঁকে মায়, দুর-দুর।

পচা ডোবা হতে বিরহিনী ডা’ক ডাকিতেছে ঝুরি ঝুরি,

কৃষাণ ছেলেরা কালকে তাহার বাচ্চা করেছে চুরি।

ফেরে ভন্ ভন্ মশা দলে দলে বুড়ো পাতা ঝরে বনে,

ফোঁটায় ফোঁটায় পাতা-চোঁয়াজল গড়াইছে তার সনে।

রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা।

সম্মুখে তার ঘোর কুজঝটি মহা-কাল-রাত পাতা।

পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল,

আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০২-০২-২০২৪,,,,,,

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০২-০২-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম 


মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ——— সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৬ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান ।


বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দিতে অনুবাদের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রকাশনার আহ্বান শেখ হাসিনার।


সরকারের প্রধান প্রচেষ্টা চরম দারিদ্রের হার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ——— ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও সৌদি আরব ।


আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আজ শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ—পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সায়মা ওয়াজেদ।


সিরিয়া ও ইরাকে ইরানী লক্ষ্যবস্তুতে দফায় দফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


এবং আজ ঢাকায় শুরু হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব—১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ।

সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:০১-০২-২০২৪ খ্রি:,,,,,,

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:০১-০২-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি শুরু হলো আজ - মাসব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি।


আজ শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ - উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।


বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন সফররত সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের সভাপতি।


বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি অবৈধ - অনুমতি না নিয়ে কর্মসূচি দিলে সরকার চুপচাপ বসে থাকবে না, বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সাথে কাজ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে, বিএনপি তখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করছে - মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে গাজা – জানিয়েছে জাতিসংঘ। 


ব্লুমফন্টেইনে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নেপালকে পাঁচ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ।

 সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:৩১-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,,

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:৩১-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু - সংসদে ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে  অহিংস ও  গঠনমূলক কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি।


ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত  - দ্বাদশ  সংসদে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।


দেশে চিকিৎসা ও প্রাণ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের জন্য  বিশ্বমানের জাতীয় বায়োব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব আরোপ।


টিআইবি’র দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, এ অপবাদের পরোয়া করে না সরকার - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবৃতি কোনো খবর নয়, বিজ্ঞাপন - মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি বাড়ীতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত। 


আজ ব্লুমফন্টেইনে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্বের খেলায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

গাছের হরলিক্স সরিষার খৈল দিয়ে সার তৈরির নিয়ম।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গাছের হরলিক্স সরিষার খৈল দিয়ে সার তৈরির নিয়ম।

সরিষার খৈল যে কোন ফল, ফুল এবং সবজি গাছের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উৎকৃষ্ট মানের জৈব খাদ্য উপাদান। সরিষার খৈল মাটিতে খাদ্য তৈরি করার জন্য অনুঘটকের ভুমিকা পালন করে থাকে।

সরিষার খৈল দিয়ে গাছের জন্য প্রাকৃতিক ও পরিবেশ বান্ধব উকৃষ্ট জৈব সার তৈরি করা যায়, যা উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম ও বিভিন্ন ম্যাক্রো ও মাইক্রো উপাদানের চাহিদা মেটায়। এতে ফুল, ফল এবং গাছের সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

* টাটকা সরিষার খৈল ১০০ গ্রাম। 

* ঢাকনা সহ পাত্র ১.৫ লিটারের।

* পরিস্কার পানি ১ লিটার।

* খাটি গুড় ২-৩ চা চামচ।

* নাড়ার জন্য কাঠের কাঠি।

তৈরি পদ্ধতি :

প্রথমে দেড় লিটারের একটি পাত্র/বোতলে এক লিটার পরিমানে পানি নিয়ে তাতে ১০০ গ্রাম সরিষার খৈল ও ২ চা চামচ গুড় দিয়ে কাঠি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পাত্রটি একটু  ছায়া যুক্ত স্থানে রেখে এমন ভাবে ঢেকে দিতে হবে যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। মিশ্রণটি প্রতিদিন অন্তত একবার কাঠের কাঠি দিয়ে বাম দিক হতে ডান দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা যাবে পানির উপরে একটা হলদে সোনালী রঙ হয়ে গেছে পানির এবং খৈল পঁচা অংশ নিচে জমে গেছে। 

ব্যাবহার পদ্ধতি :

* উক্ত সারের সাথে আরও ৯ ( নয়) লিটার পানি মিশিয়ে টবে প্রয়োগ করা যাবে।

* প্রতি হাফ ড্রাম টবের জন্য ১ লিটার ও ছোট টবের জন্য ১/২ লিটার সার  ১৫ দিন পর পর দেওয়া যাবে।

বিঃদ্রঃ

*  খৈল কেনার সময় নতুন খৈল কেনার চেষ্টা করবেন, তাজা খৈল নাকের কাছে নিলে গন্ধ পাওয়া যাবে।

* সার তৈরি পর রেশিও অনুপাতে পানি না মিশিয়ে গাছে ব্যবহার করলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।

* আপনার যদি অন্য কোন সার দেওয়ার সুযোগ নাও থাকে তবে নিয়মিত ১৫ দিন পর পর এই সার দিলেই আপনার গাছের উপকার হবে।



রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...