নওমুসলিম ও আমাদের কর্তব্য
আমাদের ইসলামী আবেগ প্রবল কিন্তু ইসলামী ইলম ও আমলে দুর্বল।
আমাদের ওয়াজ, নসিহত ও আকাংক্ষা হল - আমরা বিশ্বের নির্যাতীত মুসলিমদের রক্ষা করবো, মাহাদী হাফিঃ সৈনিক হয়ে মালহামা,গাজাওয়ে হিন্দে অংশগ্রহণ করবো।বীরত্ব দেখিয়ে বিশ্বজয় করবো।
অথচ নিজদেশে নওমুসলিমদের রক্ষায় আমরা অল্পকিছু সাহসী ব্যক্তিছাড়া তেমন কারো ভূমিকা নেই। অথচ মালহামার সাহায্যকারী হবে নওমুসলিম বা তাদের বংশধর মাওয়ালীরা এমনকি মালহামার অন্যতম কারন হবে কাফেররা নওমুসলিমদের ছিনিয়ে নিতে আসবে। কিন্তু মুসলিমরা দিবে না লড়াই করবে, যেখানে অনেকে পালিয়ে যাবে অল্পকিছু মুসলিমের হাতে বিজয় আসবে।
এই যুদ্ধের কারণ ও সাহায্যকারী হবে মাওয়ালী বা নওমুসলিমরা।
আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যাবৎ রোম’রা আ’মাক অথবা দাবিক-এ অবতরণ না করে। সেসময় পৃথিবীবাসীর মধ্য থেকে (মুমিনদের) সর্বোত্তম একটি সৈন্যদল মদিনা হতে (বের হয়ে) তাদের দিকে ধাবিত হবে। তারা পরষ্পরে যখন সারিবদ্ধ হয়ে (মালহামাতুল কুবরা তথা মহাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন) রোম’রা বলবে: আমাদের এবং যারা আমাদের লোকদেরকে আটকিয়ে রেখেছে তাদের মাঝ থেকে তোমরা সরে যাও, আমরা ওদের সাথে যুদ্ধ করবো। তখন মুসলমানরা বলবে: (এটা কখনই হতে পারে) না, আল্লাহ’র শপথ, আমারা তোমাদের এবং আমাদের (মুসলমান) ভাইদের মাঝ থেকে সরে দাঁড়াবো না। এরপর তাঁরা তাদের (তথা রোম বাহিনীর) সাথে যুদ্ধ করবে। তখন (যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মুসলমানদের মধ্যে) তিন ভাগের এক ভাগ (ভয়ে) পালিয়ে যাবে, আল্লাহ তাদের তওবা আর কখনই কবুল করবেন না। আর এক তৃতীয়াংশ শহীদ হয়ে যাবে; তাঁরা হবে আল্লাহ’র কাছে (সেই জিহাদের) সর্বোত্তম শহীদ। আর (অবশিষ্ট) এক তৃতীয়াংশ (যাঁরা বেঁচে যাবে তাঁরা ওই জিহাদে রোমদের উপর) বিজয় লাভ করবে; (পরে) তাঁরা আর কখনই ফিতনায় পতিত হবে না। এরপর তাঁরা (সামনে অগ্রসর হয়ে) কুস্তুনতুনিয়া (কন্সট্যান্টিনোপোল/ইস্তাম্বুল, তুরষ্ক) জয় করবে। তারা যখন তাদের তরবারী জয়তুন গাছে ঝুলিয়ে গণীমতের মাল বন্টন করতে থাকবে, এমন সময় শয়তান তাদের মাঝে চিৎকার দিয়ে বলবে: নিশ্চই মাসিহ (দাজ্জাল) তোমাদের পরিবারের পিছনে লেগেছে। তখন তাঁরা (অবস্থার সত্যতা যাঁচাইয়ের জন্য) বেরিয়ে পড়বে, কিন্তু (বাস্তবে) খবরটি ছিল মিথ্যা। তাঁরা যখন শাম-এ গিয়ে পৌছবে, (তখন) দাজ্জাল বের হবে। তাঁরা জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সারিবদ্ধ হতে হতেই সালাতের সময় হবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন এবং সালাতে তাদের ইমামাত করবেন। আল্লাহ’র দুশমন (দাজ্জাল) যখন তাঁকে দেখবে, তখন সে এমনভাবে গলে যাবে যেভাবে লবণ পানিতে গলে যায়। তিনি যদি তাকে (ওভাবেই) ছেড়ে দিতেন, তাহলে (সে গলতে গলতে) একসময় (পুরাপুরি) ধ্বংস হয়ে যেতো। কিন্তু আল্লাহ ঈসা (আ.)-এর হাত দ্বারা তাকে হত্যা করবেন। তাই (শেষ পর্যন্ত) ঈসা (আ.)-এর বর্শার মধ্যে তার রক্ত তারা দেখতে পাবে।
সহিহ মুসলীমঃকিতাবুল ফিতান অধ্যায়-৭১৭০(হাদিস একাডেমি) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭০১৪, ইসলামিক সেন্টার ৭০৭১)
ভাই বাস্তবতা উপলব্ধি করুন - আমরা হয়তো গাজাওয়ে হিন্দের ভয়াবহতা বা মালহামায় অংশগ্রহণের আগে মৃত্যু আসতে পারে কিন্তু সর্বযুগে মুসলিম ভাইদের জন্য সাহায্য, সহযোগিতা করা যায়। তাদের রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দিলে শহীদ।
সাহাবীরা প্রতিযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ হতো - ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষায় জন্য কে অগ্রগামী হবে, তাই তার আল্লাহর প্রিয় হয়েছিল ও জান্নাতের সমৃদ্ধির সুসংবাদ পেয়েছিল।
আর এখন আমাদের ঐক্য হল পহেলা বৈশাখে কিভাবে পান্তা-ইলিশ খাবে, কতটা নির্লজ্জভাবে উদযাপন করবে অথবা শহীদ মিনারে কে আর কার আগে ফুল দিয়ে গোনাহে লিপ্ত হবে বা কোন ক্রীড়ার মিলনমেলায়।
সামান্য জমি,সম্পদের জন্য ভাই,স্বজনদের সাথে শত্রুতা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
অবৈধ প্রেম,তাগুত নেতার জন্য প্রয়োজনে রক্তাক্ত হতে রাজি কিন্তু ইসলাম ও মুসলিম রক্ষায় নিরব।
বহু নওমুসলিমকে দেখছি - ইসলামের কারনে সব হারিয়ে মসজিদে সামান্য সাহায্যের আকুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে।
আসলে লজ্জার কার! আমাদের সম্পদ,ইলম, শক্তি কি কাজে আসবে যদি ইসলাম ও মুসলিমের কল্যানে ব্যয় হয়।
অথচ মুহাজির সাহাবীরা যখন অসহায় হিজরত করেছিল- উম্মতের আজকের মত এত সম্পদ ছিল না, ছিল না অধিক সংখ্যা।
কিন্তু রসুল(সা) পরস্পরকে ভ্রাতৃপ্রেমে আবদ্ধ করেন,আনসারগন নিজের সম্পদ ও গৃহ, জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে রসুল (সা:) ও মুহাজিরদের রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়।
আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীকে নিবাস হিসেবে গ্ৰহণ করেছে ও ঈমান গ্রহণ করেছে, তারা তাদের কাছে যারা হিজরত করে এসেছে তাদের ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তার জন্য তারা তাদের অন্তরে কোন (না পাওয়াজনিত) হিংসা অনুভব করে না, আর তারা তাদেরকে নিজেদের উপর অগ্ৰাধিকার দেয় নিজের অভাবগ্ৰস্ত হলেও। বস্তুতঃ যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।
এখানে আনসারগণের কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। তারা মদীনায় অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং ঈমানে খাঁটি ও পাকাপোক্ত হয়েছেন। সুতরাং আনসারদের একটি গুণ এই যে, যে শহর আল্লাহ তা'আলার কাছে ‘দারুল হিজরত’ ও ‘দারুল ঈমান হওয়ার ছিল, তাতে তাদের অবস্থান ও বসতি মুহাজিরগণের পূর্বেই ছিল। মুহাজিরগণের এখানে স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্বেই তারা ঈমান কবুল করে পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
আনসারদের দ্বিতীয় গুণ বৰ্ণনা প্রসংগে বলা হয়েছে যে, “তারা তাদেরকে ভালবাসে, যারা হিজরত করে তাদের শহরে আগমন করেছেন।” এটা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের রুচির পরিপন্থী। সাধারণত: লোকেরা এহেন ভিটে-মাটিহীন দুৰ্গত মানুষকে স্থান দেয়া পছন্দ করে না। সর্বত্রই দেশী ও ভিনদেশীর প্রশ্ন উঠে। কিন্তু আনসারগণ কেবল তাদেরকে স্থানই দেননি, বরং নিজ নিজ গৃহে আবাদ করেছেন, নিজেদের ধন-সম্পদে অংশীদার করেছেন এবং অভাবনীয় ইযযত ও সম্ভ্রমের সাথে তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক একজন মুহাজিরকে জায়গা দেয়ার জন্য কয়েকজন আনসারী আবেদন করেছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত লটারীর মাধ্যমে এর নিস্পত্তি করতে হয়েছে।(সুরা হাশর -৯)
এবং মুহাজির ও আনসারদের নিয়ে চুক্তিপএ হয় তারমধ্যে কুরায়শী এবং মদিনার মুসলমান এবং তাদের অনুসারীদের মধ্যে উম্মী নবী মুহাম্মদ (সা) এ সনদ জারী করেন।
এক জাতি হিসাবে তারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করবে অন্যদের মুকাবিলায়।
এরপর তিনি আনসারদের প্রত্যেক বংশ-গোত্র-এর উল্লেখ করেন। এরা হলো, বনূ সাইদা, বনূ জুশাম, বনূ নাজ্জার, বনূ আমর ইব্ন আওফ, বনূ নাবীত। এমনকি চুক্তিতে তিনি একথাও উল্লেখ করেন যে, কোন মুসলমান ঋণভারে জর্জরিত বিপণ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়হীন রাখবে না এবং ফিদিয়া আর দিয়্যতের ক্ষেত্রে নিয়ম-রীতি অনুযায়ী পরস্পরের সাহায্য-সহায়তা করবে।
মু'মিন মুত্তাকীরা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গঠন করবে বিদ্রোহী, যালিম, অত্যাচারী, পাপাচারীর বিরুদ্ধে, মু'মিনদের মধ্যে ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টির বিরুদ্ধে। এমন কি আপন সন্তানদের বিরুদ্ধে গেলেও এ মোর্চা গঠন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সকলে নবী মুহাম্মদ (সা)-কে সহায়তা করবে।
কোন কাফিরের বদলায় কোন মু'মিন কোন মু'মিনকে হত্যা করবে না।
মু'মিনের বিরুদ্ধে কোন কাফিরের সাহায্য করা যাবে না।
. আল্লাহর যিম্মা-অঙ্গীকার এক ও অভিন্ন। তাদের পক্ষ থেকে একজন সামান্য-নগণ্য ব্যক্তিও কাউকে আশ্রয় দিতে পারবে।
অন্যদের মুকাবিলায় মুসলমানগণ পরস্পরে ভাই।
সকল মুসলমানের নিরাপত্তা আর স্বার্থ এক। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে কোন মু'মিন অপর মু'মিন ভাইকে বাদ দিয়ে সন্ধি চুক্তি করবে না। তা সমভাবে সকলের জন্য ইনসাফ ভিত্তিক হতে হবে।
. যে সব যোদ্ধা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হবে, তারা একে অন্যের সহায়তা করবে।
মু'মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় নিহতদেরকে পরস্পরে সহায়তা করবে।
মু'মিন-মুত্তাকীরা সত্য-সরল ও সঠিক হিদায়াতের উপর আছে। কোন মুশরিক কোন কুরায়শীকে জান-মালের নিরাপত্তা দেবে না। কোন মু'মিনের মুকাবিলায় সে প্রতি- বন্ধক হবে না (এবং তার বিরুদ্ধে সাহায্য-সহায়তা করবে না)।
অহেতুক কোন মু'মিনকে হত্যা করলে হত্যাকারীকে দায় বহন করতে হবে এবং নিহত ব্যক্তির ওলী-ওয়ারিসকে সন্তুষ্ট করতে হবে। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সমস্ত মু'মিনের কর্তব্য হবে। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কিছু করা তাদের জন্য হালাল হবে না।
. কোন মু'মিন ব্যক্তি, যে এ সনদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ে ঈমান রাখে এবং তা স্বীকার করে, আল্লাহ্ এবং শেষ দিনে যার ঈমান ও বিশ্বাস আছে, কোন নতুন কিছু উদ্ভাবনকারীর সাহায্য সহায়তা করা তার জন্য হালাল নয়, হালাল নয় এমন নব উদ্ভাবনকারীকে আশ্রয় দান করা। যে ব্যক্তি এমন লোককে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা তাকে আশ্রয় দান করবে কিয়ামতের দিন তার প্রতি আল্লাহর লা'নত, আল্লাহর গযব আপতিত হবে। তার নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না (তার তাওবাও কবুল করা হবে না)।
. চুক্তির ক্ষেত্রে কোন বিরোধ, মত-পার্থক্য দেখা দিলে (তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জন্য) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
যে সব যোদ্ধা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হবে, তারা একে অন্যের সহায়তা করবে।
. মু'মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় নিহতদেরকে পরস্পরে সহায়তা করবে।
. মু'মিন-মুত্তাকীরা সত্য-সরল ও সঠিক হিদায়াতের উপর আছে। কোন মুশরিক কোন কুরায়শীকে জান-মালের নিরাপত্তা দেবে না। কোন মু'মিনের মুকাবিলায় সে প্রতি- বন্ধক হবে না (এবং তার বিরুদ্ধে সাহায্য-সহায়তা করবে না)।
অহেতুক কোন মু'মিনকে হত্যা করলে হত্যাকারীকে দায় বহন করতে হবে এবং নিহত ব্যক্তির ওলী-ওয়ারিসকে সন্তুষ্ট করতে হবে। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সমস্ত মু'মিনের কর্তব্য হবে। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কিছু করা তাদের জন্য হালাল হবে না।
কোন মু'মিন ব্যক্তি, যে এ সনদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ে ঈমান রাখে এবং তা স্বীকার করে, আল্লাহ্ এবং শেষ দিনে যার ঈমান ও বিশ্বাস আছে, কোন নতুন কিছু উদ্ভাবনকারীর সাহায্য সহায়তা করা তার জন্য হালাল নয়, হালাল নয় এমন নব উদ্ভাবনকারীকে আশ্রয় দান করা। যে ব্যক্তি এমন লোককে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা তাকে আশ্রয় দান করবে কিয়ামতের দিন তার প্রতি আল্লাহর লা'নত, আল্লাহর গযব আপতিত হবে। তার নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না (তার তাওবাও কবুল করা হবে না)
মজলুমের সাহায্য সহযোগিতা করবে।
প্রতিবেশী সাহায্যকারী হবে নিজের মতো,- যদি সে ক্ষতিকর বা অপরাধী না হয়।
কুরায়েশ(মুশরিক) ও তার সাহায্যকারীকে আশ্রয় দিবে না।
প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব তার অংশ রক্ষা করবে কেউ মদীনা আক্রমণ করলে সবাই মিলে রক্ষা করবে।( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া - ৩ য় খন্ড)
আজও প্রকৃত ইসলাম মানতে চান এসকল নিয়মনীতি মানা উচিত।
আল্লাহর কসম!! আমাদের উদ্দেশ্য নয় কোন ফেতনা ছড়ানো না আমরা কারো কাছে প্রশংসা বা সুবিধা আশাবাদী।
বরং নিজেদের কাপুরুষতা জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী - একটু খেয়াল করুন আমাদের নিরবতা ও কাপুরুষতা ভবিষ্যৎ বড় বিপদের সংকেত নয় কি!!
প্রতিবাদ,প্রতিরোধ না করলে আল্লাহর আযাব না এসে পড়ে!!
ফেইসবুক salsabil থেকে নেওয়া