এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ১১-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ১১-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ৬১তম কনভেনশন আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আওয়ামী লীগ নেতাদের তাগিদ দিলেন শেখ হাসিনা।


আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও বিশৃংখলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে - মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের। 


অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 


উদারনৈতিক বাংলাদেশ গড়তে সংস্কৃতিতে আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বান।


ঢাকায় চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ রানে হারালো বাংলাদেশ।

নানাকে আটকে নাতনিকে  বিয়ে করেছিলেন জসীমউদ্দীন,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নানাকে আটকে নাতনিকে 

বিয়ে করেছিলেন জসীমউদ্দীন

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসীমউদ্দীন। সেখানে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়লেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর।

কবির বয়স যেন হুট করেই কুড়ি বছর কমে গেল। হৃদয়ে আনচান শুরু হলো। এ পর্যায়ে নানাভাবে মমতাজ বেগম নামের ওই কিশোরীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন তিনি। মমতাজের পিত্রালয় ফরিদপুর, কিন্তু তখন তিনি ঢাকায়, নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন।

মমতাজের প্রেমে জসীমউদ্দীন যখন দেওয়ানা, তখন কিশোরী মেয়েটি কি তা বোঝে? অগত্যা মমতাজের নানা মৌলভি ইদ্রিস মিয়াকে নানাভাবে বশে আনার চেষ্টা চালালেন কবি। বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলেন। মৌলভি সাহেব কাব্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কবির আনাগোনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। এভাবে এক দিন, দুই দিন করে মমতাজের ঘর অবধি পৌঁছে গেলেন জসীমউদ্দীন এবং তাঁকে অবাক করে দিয়ে টেবিল থেকে খাতা নিয়ে লিখলেন:

‘আমারে করিও ক্ষমা

সুন্দরী অনুপমা

তোমার শান্ত নিভৃত আলয়ে

হয়তো তোমার খেলার বাসরে

অপরাধ রবে জমা

আমারে করিও ক্ষমা।’

মমতাজ এবার কবির আকুতি বুঝতে পারলেন। নিজের অজান্তেই তাঁর প্রেমে ডুবে গেলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের স্মৃতিকথায় বেগম মমতাজ লিখেছেন, ‘ভদ্রলোক তো আমারে দেখার পর নানা দিক থেইকা আমার নানাভাইকে হাত করার জন্য লাইগা গেল। অনেককে দিয়া সুপারিশ করতে লাগল। ওই যে আমারে দেখল, আমার রূপ তার মনে ধইরা নিল। কবি তো!’

কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা মৌলভি ইদ্রিসের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন জসীমউদ্দীন। এরপর মৌলভি সাহেব যখন বুঝলেন এ বিয়েতে তাঁর নাতনিও রাজি, সে সময় তাঁর রাজি না হওয়ার তো কোনো কারণই নেই, মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজি।

কিন্তু বাদ সাধলেন মমতাজের বাবা মোহসেনউদ্দিন। তিনি কিছুতেই এই ভবঘুরে কবির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। একে তো তাঁর বয়স বেশি, তার ওপর চেহারাও কৃষ্ণবর্ণ। এ অবস্থায় দীর্ঘ এক চিঠি লিখলেন তিনি মৌলভি ইদ্রিসের কাছে, ‘আপনি কি পাগল হইয়া গেলেন! এই লোকটা (জসীমউদ্দীন) পাগল। চরে ঘুরে বেড়ায়। গান গেয়ে বেড়ায়। ভাবের গান, আধ্যাত্মিক গান, মুর্শিদি গান। গানের মজলিশে সারা রাত কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। এই রকম ছেলের সাথে বিয়া দেবেন? তার চাইতে নাতিনকে পদ্মায় ফালাইয়া দেন।’

চিঠি পাওয়ার পর উভয়সংকটে পড়লেন ইদ্রিস সাহেব। তাঁর নিজেরও কবিকে খুব পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া পাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও বটে।

অতঃপর পাত্র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বের হলেন ইদ্রিস সাহেব। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় কবির মেসের সামনে গিয়ে ‘ধরা’ খেয়ে গেলেন তিনি, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খুব আপ্যায়ন করলেন জসীম। পরে বললেন, ‘আমার কাছে নাতিন বিয়া দিবেন কি না, কথা দিয়া যাইতে হইব। নইলে আইজকা আপনাকে ছাড়ুম না।’ একবেলা আটক থাকার পর নাতনি বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি মিলল মৌলভি ইদ্রিসের।

ছাড়া পেয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু করলেন ইদ্রিস সাহেব, ১৯৩৯ সালে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো জসীমউদ্দীন ও বেগম মমতাজের বিয়ে। রবীন্দ্রনাথসহ সব বড় সাহিত্যিকই সেই বিয়েতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন।


সূত্র: শতবর্ষে জসীমউদ্দীন বইয়ে প্রকাশিত বেগম মমতাজ জসীমউদ্দীনের লেখা ‘আমার কবি’

গ্রন্থনা: বাশিরুল আমিন


////////// আরও খবর পেতে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন ///////////////////

রম্যগল্পঃ বিল্লুরবিচার

 মাছ চুরি করার অপরাধে বিল্লুর বিরুদ্ধে কেস বাদীর জেরা-


১।  আপনি কি বিল্লুকে আপনার ঝাপি থেকে  মাছ নিয়ে যেতে দেখছেন? 


- জ্বী। 


২। দেখার পরেও আপনি চুপ করে বসেছিলেন? 


- না। 


৩। বিল্লুকে তাড়া করেছিলেন?


- জ্বী। 


৪। ধরতে পারেননি?


- না। 


৫। বিল্লু আপনার চেয়ে বুদ্ধিমান এবং বেশি দৌঁড়াতে পারে। 


- সত্য নয়।


৬।  বিল্লুকে তাড়া দেওয়ার সময়ে অন্য কেউ দেখেছে? 


- মনে পড়ছে না।


৭। আপনাকে বিল্লুকে তাড়া করতে  দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী আছে আপনার কাছে?


- না। 


৮। আপনি বিল্লুকে মাছ চুরি করতে দেখেননি। তাড়াও করেননি।

 

-- সত্য নয়। 


৯। বিল্লু কী মাছ  নিয়েছিল? 


-- রুই মাছ। 


১০। বাজারে আপনি একাই কি রুই মাছ বিক্রি করেন? 


- না। 


১১। আরও অনেকে রুই মাছ বিক্রি করে? 


- হ্যাঁ। 


১২। অন্যদের মাছের চেয়ে আপনার মাছের চেহারা সাইজ আলাদা?  অন্যদের মাছের সাথে মেলালে আপনার দোকানের মাছ আলাদা করা যায়? 


- না। 


১৩।  বিল্লুর কাছের যে রুইমাছ এরকম মাছ আপনি ছাড়াও আরও অনেকে বিক্রি করে?


- হ্যাঁ। 


১৪। বিল্লুর কাছের পাওয়া মাছটা আপনার দোকানের কিনা প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়া  তা যাচাই করার আর কোনো উপায় আছে? 


- না। 


১৫। বিল্লুকে মাছ নিয়ে যেতে আপনি ছাড়া আর কেউ দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী কি আপনি কোর্টে উপস্থাপন করেছেন? 


- না। 


পর্যাপ্ত সাক্ষ্য  প্রমাণের অভাবে বিল্লুর বিরুদ্ধে চুরির  অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিল্লুকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 


রম্যগল্পঃবিল্লুর_বিচার 

Unknown_Writer 


মজার সব গল্প পেতে ফলো দিয়ে রাখুন।

শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ১০-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ১০-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত - আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশবাসী গণতন্ত্রের স্বাদ পায় - সংসদে সমাপনী ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


একনেক সভায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন - সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা ও কোম্পানীগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা। 


অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে যাতে জনদুর্ভোগ সুষ্টি করতে না পারে সে দিকে নজরদারি জোরদারের তাগিদ দিলেন রাষ্ট্রপতি।


চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু - উদ্বোধনী দিনে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে গেলেন ৮২৫ হজযাত্রী।


৪৬-তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ।চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক পাইলট নিহত - প্রধানমন্ত্রীর শোক।


চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা - আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।


আজ মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

বই  কেন পড়বেন? বই পড়লে কি হয় আর না পড়লে কি হয়?

 বই কেন পড়বেন? বই পড়লে কি হয় আর না পড়লে কি হয়?


বই পড়ার ১০টি কারণ যা বই সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিবে -


১। মানসিক ব্যায়ামঃ

শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন ব্যায়াম এর বিকল্প নেই তেমনি একইভাবে, আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখতে মানসিক ব্যায়াম জরুরি। মানসিক ব্যায়াম না করার ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।

ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের এই ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। ব্যবহার না করলে এই ক্ষমতা হারিয়ে যাবে। বই পড়া মানসিক ব্যায়াম এর একটি বড় মাধ্যম। আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখার জন্য নিয়মিত বই পড়া জরুরি।


২। মানসিক চাপ কমানোঃ

আপনি ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, একাডেমিক কিংবা চাকরিজীবনে যতই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, এই সকল চাপকে আপনি পাশে সরিয়ে রাখতে পারেন যখন আপনি একটি ভালো বইয়ের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেন।

একটি ভালো বই আপনার দুশ্চিন্তা ও অবসাদ্গুলোকে পাশে সরিয়ে আপনাকে একটি অন্য দুনিয়ায় নিয়ে যেতে পারবে, যার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।


৩। জ্ঞানঃ

বই পড়লে জ্ঞান বাড়বে - একথা বলাই বাহুল্য। নতুন নতুন তথ্য যা অব্যশই কোন না কোনো দিন আপনার দরকারে আসবে। আপনার জ্ঞানের ভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, আপনার জীবনের বাধা বিপত্তি গুলো অতিক্রমে আপনি ততটাই শক্তিশালী হবেন।

একটি কথা আমরা সবাই জানি - আপনার চাকরি/ব্যবসায়, আপনার সম্পত্তি, আপনার অর্থবিত্ত, আপনার স্বাস্থ্য - সবই হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনার অর্জিত জ্ঞান সবসময়ই আপনার সাথে থাকবে।


৪। শব্দভান্ডার বৃদ্ধিঃ

আপনি যত পড়বেন, তত নতুন নতুন শব্দ শিখবেন। আর এতেই আপনার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। পারস্পরিক কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ আমাদের শিক্ষাজীবন, ব্যক্তিজীবন বা কর্মজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে তো সুন্দর ভাষা বা ভালো যোগাযোগ দক্ষতার জন্য অনেকে বেশ সমাদৃত হন।

এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে আপনাকে সব থেকে সাহায্য করবে, 'বই পড়া'। নতুন শব্দ, এর অর্থ ও প্রয়োগ আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করে তুলতে পারে।


৫। স্মৃতিশক্তির উন্নতিঃ

তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি আমরা কে না চাই! প্রায়ই আমরা বলে থাকি, স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে, অনেক কিছু মনে থাকে না। আবার ভালো স্মৃতিশক্তির মানুষকে আমরা শ্রদ্ধার চোখে দেখি।

আপনি যখন একটি বই পড়েন, আপনাকে বইয়ের চরিত্র ও তাদের ভূমিকা, তাদের পটভূমি, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তাদের ইতিহাস, সূক্ষ্মতা স্মরণে রাখতে হয়।

আর মজার ব্যাপার হলো, আপনি যখনই আপনার মস্তিষ্কে নতুন একটি স্মৃতি দেন, তা একটি নতুন পথ তৈরি করে আপনার ব্রেইনে এবং আগের স্মৃতিগুলোকেও শক্তিশালী করে তোলে।


৬। চিন্তাশক্তি দক্ষতা শক্তিশালীঃ

দিন দিন একটি শব্দ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, Critical Thinking বা জটিল চিন্তাশক্তি। কর্ম বা ব্যক্তিজীবনে এই দক্ষতার কদর বেড়েই চলেছে। আমরা বই পড়ার সময় প্রায়ই জটিল কিছু ঘটনার কথা পড়ি, যেগুলো নিয়ে আমরা সচেতন বা অবচেতনভাবে চিন্তা করি। ঘটনাগুলোকে ধাপে ধাপে সাঁজাতে চেষ্টা করি, সমাধান করার চেষ্টা করি।

অনেক পাঠক তো রীতিমত কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় রহস্য গল্প সমাধান করার জন্য। এছাড়াও বই গুলো নিয়ে আমরা অনেকের সাথে আলাপ করি, আমাদের চিন্তা, লেখকের চিন্তা ব্যক্ত করার চেষ্টা করি।

এইসবই কিন্তু আমাদের চিন্তাশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই দক্ষতাকে শক্তিশালী করে তোলে।


৭। একাগ্রতা বৃদ্ধিঃ

আপনি কি খেয়াল করেছেন, ফেসবুকে একসময় আমরা দীর্ঘ বা বড় ভিডিও দেখতাম, কিন্তু সেখান থেকে আমরা ছোট্ট রিলসে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি? আমরা সারাদিন ফেসবুক ব্যবহার করি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই দিন শেষে বলতে পারবে না, আজকে ফেসবুকে কি কি বিষয় আমরা দেখেছে? শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি, প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।

আর আমাদের কাছ থেকে কেঁড়ে নিয়ে গেছে একাগ্রতার মত গুন। যেকোনো কাজে একাগ্রতা অত্যাবশক একটি ব্যাপার। একাগ্রতা দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ অতীতে হয়েছে। যা দিন দিন আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

যখন আমরা বই পড়ি, তখন আমরা অন্যসব কিছু থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারি, একাগ্রভাবে গল্পের বা বইয়ের মধ্যে ডুবে যেতে পারি। যা আমাদের একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ব্যাপকভাবে।


৮। ভালো লেখার দক্ষতাঃ

পড়া এবং লেখা একে অপরের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। পড়ার মাধ্যমে আমাদের ভাষা ও শব্দের জ্ঞান বাড়ে আর এই জ্ঞান আমাদের লেখনীশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই জন্যই বলে, লেখক হতে গেলে আগে অনেক অনেক পড়তে হবে, এরপর লিখতে হবে।


৯। প্রশান্তিঃ

বর্তমান সময়ে বই পড়ার সবথেকে বড় উপকার যদি চিন্তা করেন, বই পড়ার কারণে আমরা যে মানসিক প্রশান্তি পাই, সেটাই অনেক বড়। বই পড়ার সময়ে আমরা হয়তো ডিজিটাল ডিভাইসের পিছনে সময় নষ্ট করতাম, সেটা না করে আমরা যে ভালো কিছু পড়েছি, কিছু শিখেছি, এই চিন্তা এই প্রশান্তির কি অমূল্য নয়?


১০। বিনোদনঃ

বই পড়ে উপরের সবগুলো উপকার তো আমরা পাচ্ছিই, পাশাপাশি এটা আমাদের একটা বিনোদনের মাধ্যম। সবথেকে সস্তা কিন্তু কার্যকরী মাধ্যম। একটি ভাল গল্প, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের মনকে বিনোদিত করে আর এটা বিনোদনের সর্বোত্তম পথ। নির্মল ও শান্তিময় বিনোদন হলো - বই পড়া।


বিঃদ্রঃ অনূদিত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের তালিকা,,,,,,,,,

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের তালিকাঃ

যারা দেশ বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন।


(ছবিঃ সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ)

→অমর পাল — লোক সংগীতশিল্পী ও লেখক।

→আফতাবউদ্দিন খাঁ — গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও বংশীবাদক।

→আবেদ হোসেন খান — উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার বাদক ও সুরকার।

→আলাউদ্দিন খাঁ — বিশ্বখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী।

→আলী আকবর খাঁ — শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী।

→আয়েত আলী খাঁ — শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী।

→কিরীট খান — শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী।

→খাদেম হোসেন খান — সঙ্গীতজ্ঞ

→খুরশিদ খান — সঙ্গীতজ্ঞ

→ফুলঝুরি খান — যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী

→বাহাদুর হোসেন খান — উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদক

→মনমোহন দত্ত — মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, বাউল

→গিরীন চক্রবর্তী - সঙ্গীতশিল্পী

→মীর কাশেম খান — সেতারবাদক, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক

→মোবারক হোসেন খান — সংগীতশিল্পী।

→মোহাম্মদ হোসেন খসরু — সঙ্গীতজ্ঞ

→রিনাত ফৌজিয়া — সেতার বাদক

→শাহাদাত হোসেন খান — উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সরোদ বাদক ও সুরকার

→শেখ সাদী খান — সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার

→সুবল দাস — সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার

→সৈয়দ আব্দুল হাদী — সংগীতশিল্পী।

সুড়ঙ্গ,,,,,

 সুড়ঙ্গ


নাভীর ছয় ইঞ্চি নিচে এক আজব সুড়ঙ্গ রয়েছে,

সেই সুড়ঙ্গের অতল দেশে, কত দেশ-মহাদেশ 

নিরুদ্দেশ হয়েছে।

নারী দেহ এক মহাকাল, কত যুগ- কত কাল

সেই মহাকালের অতলে তলিয়েছে।


সুড়ঙ্গের গায়ে নিপুন খাঁজকাটা, 

আছে দিব্য অনলের আঁচ,

গায়ে তার আদিমতার শাণিত ধাঁচ। 

তারই মাঝে আদিম ঝর্ণা,

সেই ঝর্ণার জলে

মনুর জন্ম রহস্য আছে লিখা।


সুড়ঙ্গের

গায়ে এক অচিন তালা আঁটা,

খুলে না তালা নর চাবি ছাড়া।

কোন সে অচিন মুন্সী সেই তালার চাবি বানিয়েছে,

চাবি নিয়ে চাবি ওয়ালা থেকে থেকে দিচ্ছে ধোঁকা।

চাবির চূড়ায় আদিম ফুয়ারা,

সেই ফুয়ারা করে শীতল তপ্ত সুড়ঙ্গ, 

তাতেই সৃষ্ট এই আদি মানব রহস্য। 

সুড়ঙ্গের কাঙাল এই দুনিয়া

সুড়ঙ্গ রসে হয়ে মাতাল,হয়েছে বোকা।


সুড়ঙ্গের অতল গহব্বরে এক সুধার ফোয়ারা রয়েছে,

সেই সুধারই সন্ধানে, কত আউল-বাউল ঘর ছেড়েছে।

সুড়ঙ্গের গায়ে আজব নকশা কাটা,

সেই নকশাতেই নর চাবি পড়েছে বাঁধা।

জগৎ শ্রেষ্ঠ  শিল্পী তাঁর তুলিতে সুড়ঙ্গ  রহস্য গড়েছে,

তাইতো এই জগৎ নোনা মদে, মাতাল হয়েছে।

সুড়ঙ্গ এক চোরাবালি, 

যে দিয়েছে পা, মাতাল হয়ে ভুলেছে দুনিয়াবি। 

সুড়ঙ্গে কত জন-মহাজন কূল-মান খুইয়েছে,

কত রাজা, প্রজা হয়ে সুড়ঙ্গের দুয়ারে

মাথা নুইয়েছে।

সুড়ঙ্গের সন্ধানে কত দেব, কত ঋষি পথ-ভ্রষ্ট হয়েছে।


এই দুনিয়ায় আজব এক সুড়ঙ্গ রয়েছে,

সেই সুড়ঙ্গের জোরে এই সৃষ্টি-খেলা নিত্য চলেছে।


সোমা ঘোষ মণিকা


পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন...

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

মানুষের কোনভাবেই  শিকড়কে ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

 "মানুষের কোনভাবেই  শিকড়কে ভুলে যাওয়া উচিত নয়।"    ড. মুহাম্মদ খানী বলছেন - একদিন আমি আমার গাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোর এসে আমাকে বলল, স্যার আমি কি আপনার গাড়ির সামনের  গ্লাসগুলো পরিস্কার করে দিতে পারি?

আমি বললাম - হ্যাঁ।


সে যত্ন করে গ্লাস পরিষ্কার করে দিলে আমি তার হাতে ২০ ডলার গুঁজে দিলাম।ছেলেটি খানিক অবাক হয়ে বলল, আপনি কি আমেরিকায় থাকেন?আমি বললাম - হ্যাঁ। কেন?

সে বলল, আমি কি এই ২০ ডলারের বদলে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে কিছু কথা জানতে পারি?

আমি তার বিনয় ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে কাছে ডেকে নিয়ে আলাপ শুরু করে দিলাম। 


আলাপের শেষ দিকে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম - তুমি এভাবে রাস্তায় গাড়ি পরিস্কারের কাজ করে বেড়াচ্ছ কেন , তুমি তো একজন মেধাবী ছাত্র?


উত্তরে সে বলল, আমার দু বছর বয়সেই আমার বাবা মারা যান। আমার মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। আমি এবং আমার ছোট বোন বাইরে টুকটাক কাজ করে বেড়াই বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় যা দিয়ে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমি শুনেছি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাকি মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য স্কলারশিপ দেয়। আমার খুব ইচ্ছা সেখানে পড়ার।কিন্তু সেখানে আমাকে সাহায্য করার মত তো কেউ নেই।


আমি বললাম - চলো, আগে আমরা একসাথে ডিনার করি।

সে বলল, একটি শর্তে আপনার দাওয়াত কবুল করতে পারি। আর তা হল বিনিময়ে আমি আপনার গাড়ির পেছনের গ্লাসগুলোও পরিষ্কার করে দেব।


আমি কথা না বাড়িয়ে তা মেনে নিয়ে হোটেলে ঢুকলাম।খাবার অর্ডার করলে সে ওয়েটারকে বলল তারগুলো পার্সেল করে দিতে। সে বাসায় গিয়ে তার মা আর বোনকে নিয়ে খাবে। খেয়াল করলাম তার ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অসামান্য। 


বিদায় বেলায় সিদ্ধান্ত হল সে তার কাগজপত্রগুলো আমাকে দিবে, আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব। 

এভাবে দীর্ঘ ছয়মাস পর আমি তাকে আমেরিকা এনে ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে সক্ষম হলাম।

সে তার তার মেধা ও অধ্যবসায়ের জোরে কয়েক বছরের মধ্যেই আধুনিক টেকনোলজির কনিষ্ঠ টেক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিউইয়র্ক টাইমসের পাতায় তাকে নিয়ে লিড নিউজ হলে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়।


তার ঈর্ষনীয় সফলতায় আমি ও আমার পরিবার যারপরনাই আনন্দিত হই। এদিকে তাকে না জানিয়ে তার মা ও বোনের ভিসা ব্যবস্থা করে আচমকা তার সামনে আমেরিকায় নিয়ে এসে তাকে বড়সড় সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দেই। তাদের দেখে সে বোবা বনে যায়। এমনকি কাঁদতে পর্যন্ত ভুলে যায়।


এখন সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষকদের একজন।


তারও কিছুদিন পর আমি একদিন বাসা থেকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। দেখি সে বাইরে দাঁড়িয়ে আমার গাড়ির গ্লাসগুলো পরিষ্কার করছে!চটজলদি দৌড় গিয়ে তাকে বাধা দিয়ে বলি - এগুলো কি করছো?সে অশ্রুসজল চোখে বলল, ছাড়ুন স্যার! আমাকে আমার কাজ করতে দিন। যেন আমি আমার পরিচয় ভুলে না যাই। আমি মনে রাখতে চাই আমি কি ছিলাম আর আজ কি হলাম। এবং আপনি আমার জন্য কী করেছেন!


এই সেই ফিলিস্তিনি যুবক ফরিদ আব্দুল আলী। যিনি বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ তরুণ প্রফেসর  :) 🫡🫡


সংগৃহীত

সৌন্দর্য ও মানবিকতার এক স্বপ্নময় রানী

 প্রিন্সেস ডায়ানা  : 

সৌন্দর্য ও মানবিকতার এক স্বপ্নময় রানী


প্রিন্সেস ডায়ানা ফ্রান্সিস স্পেন্সারের জন্ম 1 জুলাই, 1961, ইংল্যান্ডের স্যান্ড্রিংহামে।  এডওয়ার্ড জন স্পেন্সার এবং তার প্রথম স্ত্রী ফ্রান্সেস শ্যান্ড কিডের চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।  1975 সালে, তার বাবার উত্তরাধিকারসূত্রে আর্ল স্পেন্সার উপাধি পেয়েছিলেন।


 এখানে তার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইট রয়েছে:


 - শিক্ষা: ডায়ানা নয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে শিক্ষিত হয়েছিলেন, তারপরে রিডলসওয়ার্থ হল প্রিপ স্কুল এবং পরে ওয়েস্ট হিথ গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।


 - বিবাহ: তিনি লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালে 29 জুলাই, 1981 তারিখে ওয়েলসের প্রিন্স চার্লসকে বিয়ে করেন।


 - সন্তান: চার্লসের সাথে তার দুটি পুত্র ছিল: প্রিন্স উইলিয়াম (জন্ম 1982) এবং প্রিন্স হ্যারি (জন্ম 1984)।


 - দাতব্য কাজ: ডায়ানা এইচআইভি/এইডস, ক্যান্সার এবং ল্যান্ডমাইনের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা সহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার উত্সাহী সমর্থক ছিলেন।


 - ফ্যাশন আইকন: তিনি একজন স্টাইল আইকন ছিলেন, প্রায়শই ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিত হতেন এবং তার মার্জিত এবং সারগ্রাহী ফ্যাশন সেন্স দিয়ে ডিজাইনারদের অনুপ্রাণিত করতেন।


 - দুঃখজনক মৃত্যু: প্রিন্সেস ডায়ানা 36 বছর বয়সে 31 আগস্ট, 1997 সালে প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।


 তার কিছু উল্লেখযোগ্য দাতব্য প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে:


 - প্রায়ই মিডিয়ার মনোযোগ ছাড়াই হাসপাতাল এবং ধর্মশালা পরিদর্শন করা

 - টেরেন্স হিগিন্স ট্রাস্টের মতো HIV/AIDS-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্যকারী সংস্থাগুলি

 - অ্যাঙ্গোলায় ল্যান্ডমাইন অপসারণের জন্য HALO ট্রাস্টের সাথে কাজ করা

 - ক্যান্সার গবেষণা এবং চিকিত্সার জন্য সচেতনতা এবং তহবিল বাড়াতে সহায়তা করা


 তার উত্তরাধিকার বিশ্বব্যাপী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে, এবং তার পুত্র, প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি, তাদের নিজস্ব ফাউন্ডেশন, রয়্যাল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তার দাতব্য কাজ চালিয়ে গেছেন।

রেডিও আরও আগের মতো গায় না,

 রেডিও আরও আগের মতো গায় না,

 

ছোটবেলায় আমাদের বিনোদন বাক্সটার নাম ছিল রেডিও।  রেডিও মানে গোল হয়ে অনুষ্ঠান শোনা। শুয়ে বসে শুনতে শুনতে সময় কাটানো। আকারে ছোট আর টিভির তুলনায় অনেক সস্তা ছিল বলে ৫০ থেকে ৯০-এর শেষ পর্যন্ত প্রায় সবার ঘর থেকে শোনা যেত রেডিওর প্রিয় আওয়াজ, “এখন শুরু হচ্ছে সৈনিক ভাইদের প্রিয় অনুষ্ঠান দুর্বার”।


বাংলাদেশে এবং ভারতের হাটে বাজারে, চায়ের দোকানে কিংবা বাড়িতে বসে রেডিও শোনার যে অভ্যেস তৈরি হয়েছিল সেটি অনেকদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং ভারতের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গিয়েছিল। রেডিওর সাথে বাঙালির  একটা যোগসূত্র আছে। বাংলার কৃতি  সন্তান জগদীশ চন্দ্র বসু রেডিওর অন্যতম আবিষ্কারকদের একজন। পরাধীন দেশে জন্মেছিলেন বলে রেডিও আবিষ্কারের কৃতিত্ব পেতে তাঁর শত বছর লেগে গেছে। অথচ যদি পেটেন্ট আগে করতে পারতেন তাহলে গুগলিয়ামো মার্কনির বদলে ইতিহাসে জগদীশ চন্দ্র বসু হতেন রেডিওর জনক।  একসময় রেডিও বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে বাংলাদেশের অনেক মফস্বলের পাড়ায় পাড়ায়  বিভিন্ন রেডিও শ্রোতা সংঘ জাতীয় সংগঠন গড়ে উঠেছিল।  


রেডিও মানে আমাদের শৈশব। রেডিও মানে রঙ্গিন মফস্বল। একটা সময় মফস্বল এর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তের ঘরে এই একটা যন্ত্র মিলত। কারণ এটাই ছিল সবার একমাত্র  বিনোদন। রেডিও মানে সংবাদ, রেডিও মানে গান, রেডিও মানে গল্পের আসর, রেডিও মানে শিক্ষা। রেডিও মানে খেলার মাঠ থেকে সরাসরি সম্প্রচার, রেডিও মানে সেই সম্প্রচার অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকারের তুবড়ি ছোটানো ভুল, “ মেঘে ঢাকা মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ”।


ছোটবেলায় বাসায় এক্সটা ব্যাটারির মজুত থাকত যেন রেডিওর কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান মিস না হয়ে যায়। দুর্বার এর মত জনপ্রিয় ছিল অনুরোধের আসর গানের ডালি,  গিতালী, মিতালী, নিশুতি। বিদেশি রেডিও চ্যানেল যেমন, আকাশবাণী, বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকা ইত্যাদি ছিল ভীষণ জনপ্রিয়।


 রেডিও কী ভাবে কাজ করে সেটিও অনেকের কাছে ছিল এক বিস্ময়। আমার এক মামার ছোটবেলায় ধারণা ছিল রেডিওর ভেতরে আসলে একদল মানুষ বাস করে। তারাই গান গায়, কথা বলে। একদিন সে বাসার লোকদের অনুরোধ জানায় রেডিওর পেছন দিকটা যেন খুলে ফেলা হয়, যাতে সে রেডিওর ভিতরে গিয়ে গান গাইতে পারে।


রেডিওর অনুষ্ঠানে কান লাগিয়ে থাকার আরেকটি কারণ ছিল রেডিওর শ্রোতাদের অনুরোধ এর আসর। এই আসরে শ্রোতাদের নাম উল্লেখ করে ঘোষক বা ঘোষিকা বলতেন, অনুরোধের এই গানটি শুনতে চেয়েছেন, দিনাজপুর মুন্সীপাড়া থেকে নাদিম, সোহেল, চট্রগ্রাম থেকে বীথি, জাহানারা এবং আরো অনেকে। অনুরোধের আসরে যে নিজের নাম শুনতে পেত সে মুখে চোঙ্গা লাগিয়ে অনেক দিন পর্যন্ত সবাইকে বলে বেড়াতো তার এই অর্জনের কথা। 


আবাহনী আর মোহামেডান এর খেলার ধারাভাষ্য শোনার জন্য রেডিও খুলে বসে থাকতেন সবাই খেলা শুরুর অনেক আগে থেকে। আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর জন্য একটা বিশেষ রেডিও বরাদ্দ থাকতো ।  যেদিন খেলা থাকত  বাড়িতে মুড়িমাখা নিয়ে কান পেতে রইতেন খেলা প্রেমীরা  শুধু একটা শব্দ শোনার জন্য, “গোওওওওওল”। ধারাভাষ্যকার এর এই একটা শব্দ সবার মনে যেমন আনন্দে ভাসিয়ে দিত, তেমনি হৃদয় বিদীর্ণ করে দিত।  


ভারতে রেডিও সম্প্রচার  শুরু হয়েছিল 1923 সালের জুন মাসে রেডিও ক্লাব অফ বোম্বে দেশে প্রথম সম্প্রচার করে। এর পাঁচ মাস পরে কলকাতা রেডিও ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।


বাংলাদেশে রেডিওর যাত্রা শুরু  বৃটিশ আমলে, ১৯৩৯ সালে। বিস্ময়কর ভাবে বাংলাদেশে যেদিন রেডিওর অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু তার ঠিক ৩১ বছর পর একই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় রেডিওর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। স্বাধীন বাংলা বেতের কেন্দ্রের গান, কথিকা, সংবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে রেডিও হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের আরেক হাতিয়ার। আর বেতার কেন্দ্রে কাজ করা কর্মীরা ছিলেন শব্দ সৈনিক ।


রেডিওর সুবিধা ছিল অনেক। এটির জন্য লাগতো না বিশাল কোনো এন্টেনা।  যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় রেডিও বয়ে নিয়ে যাওয়া যেত।  একটি মাত্র চ্যানেল নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা টিভি সে সময় পরাধীন হলেও রেডিওর এক অর্থে ছিল স্বাধীন। আধুনিক আকাশ সংস্কৃতির অনেক আগে রেডিও দেশ ও কালের  সীমানা ঘুচিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে শাসক যতই ফলাও করে নিজের গুণগান আর বিরোধীদের দুর্নাম প্রচার করত, সাধারণ মানুষ নিরপেক্ষ সংবাদ পেত রেডিওর মাধ্যমে।  


১৯৬৫ সালে  টেলিভিশন  ড্রয়িং রুমে  প্রবেশ করে। তবে একটা সময় পর্যন্ত এটি ছিল কেবল উচ্চবিত্তের যন্ত্র। কিন্তু টেলিভিশন এর দাম কমতে থাকার সাথে সাথে রেডিও  বাড়িগুলো থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। এক সময় যেটি রেডিওর শক্তি ছিল সেটাই তার দাপট কমিয়ে দেওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। টেলিভিশন যখন আকাশ সংস্কৃতির যুগে প্রবেশ করে তখন থেকে কমে যেতে শুরু করে রেডিওর আদর। এখন রেডিও একটি ঐতিহাসিক বস্তু হিসেবে দু একটা বাড়িতে শোভা পেলেও সেটি আর আগের মত ঘরে ঘরে গান গায় না।

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...